লেখকের কথা
উনবিংশ শতাব্দীর চালচিত্রে আমি এই উপন্যাসটি রচনা করেছি। উপন্যাস, অর্থাৎ সময়ের পটভূমিকায় জীবিত মানুষের গদ্য গাঁথা। কিন্তু যেহেতু এই জীবিত মানুষগুলি অনেকেই ঐতিহাসিক চরিত্র, সেই হেতু তাঁরা ঔপন্যাসিকের ইচ্ছেমত চলাফেরা করতে পারেন। কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সে রকম প্রশ্ন অনেকে করেছেন। উপন্যাস উপন্যাসই, ইতিহাস নয়, বলাই বাহুল্য। ইতিহাসের সার্থকতা তথ্যনিষ্ঠায়, উপন্যাসের উপজীব্য হলো তত্ত্ব এবং শিল্পরস। উপন্যাসের চরিত্রগুলি কথা বলে এবং ঘুরে ফিরে বেড়ায়, কিন্তু ইতিহাস সংলাপের ধার ধারে না, এবং জীবনীগ্রন্থগুলিতেও দু-চারটি টুকরো গল্প ছাড়া জীবিত মানুষটির কীর্তিগুলির আক্ষরিক বর্ণনা থাকে না। সুতরাং যত দূর সম্ভব তথ্য আহরণ করে এদের জীবন্ত করার জন্য কল্পনাশ্রয়ী, সংলাপ বহুল পরিমাণে ব্যবহার করতে আমি বাধ্য হয়েছি। কারো কারো মনে হতে পারে, এটা লেখকের পক্ষে বেশী স্বাধীনতা গ্ৰহণ, কিন্তু আমি মনে করি, লেখকের স্বাধীনতার সীমানা টানা উচিত নয়। কারণ, পাঠকের স্বাধীনতা প্রকৃতপক্ষেই সীমাহীন। তবে, কোনো ঐতিহাসিক চরিত্রকেই আমি স্বস্থান থেকে কিংবা জীবনপর্বের নির্দিষ্ট সময়গুলি থেকে বিচ্যুত করিনি।
আমার কাহিনীর পটভূমিকা ১৮৪০ থেকে ১৮৭০ খ্ৰীষ্টাব্দ। এবং এই কাহিনীর মূল নায়কের নাম সময়। শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ গ্রন্থে এক জায়গায় লিখেছেন, ১৮২৫ হইতে ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত বিংশতি বর্ষকে বঙ্গের নবযুগের জন্মকাল বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। এই কালের মধ্যে কি রাজনীতি, কি সমাজনীতি, কি শিক্ষাবিভাগ, সকল দিকেই নবযুগের প্রবর্তন হইয়াছিল। তিনি যাকে নবযুগ বলেছেন, পরে তারই নাম হয় বেঙ্গল রেনেশাঁস এবং সে বিষয়ে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। গত শতাব্দীর এই রেনেশাঁসের ধারণাটিকে নাড়াচাড়া করাই আমার এই গ্ৰন্থ রচনার মূল উদ্দেশ্য। অনেক দিন ধরেই শাস্ত্রী মহাশয়ের এই বক্তব্য সম্পর্কে আমার মানে একটা খটকা আছে। তিনি যে বিংশতি বর্ষের কথা বলেছেন, আমার ধারণা গত শতাব্দীর মূল ঘটনা কেন্দ্রটি তার কিছু পরে। তা ছাড়া, নবযুগ বা নবজাগরণ সত্যিই কি সারা দেশে এসেছিল, না তা শুধু সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং তা নিয়েই প্রচুর ঢক্কানিনাদ হয়েছে, এই প্রশ্ন আমি নানান কাহিনীসূত্রে উত্থাপন করেছি বারবার। এবং শেষ দিকে আমার নিজস্ব মতামত দিতেও কসুর করিনি।
সময়কে রক্ত-মাংসে জীবিত করতে হলে অন্তত একটি প্রতীক চরিত্র গ্রহণ করতে হয়। নবীনকুমার সেই সময়ের প্রতীক। তার জন্মকাহিনী থেকে তার জীবনের নানা ঘটনার বৈপরীত্য, শেষ দিকে এক অচেনা যুবতীর মধ্যে মাতৃরূপ দৰ্শন এবং অদ্ভুত ধরনের মৃত্যু, সবই যে সেই প্রতীকের ধারাবাহিকতা, আশা করি তা আর বিশদভাবে এখানে বলবার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনীয় কথা শুধু এই যে, নবীনকুমারের চরিত্রে এক অকাল-মৃত অসাধারণ ঐতিহাসিক যুবকের কিছুটা আদল আছে। অন্য কোনো প্ৰসিদ্ধ পুরুষের নাম বা জীবনকাহিনী আমি বদল করিনি। কিন্তু যাঁকে অবলম্বন করে নবীনকুমারকে গড়া হয়েছে তাঁর কয়েকটি কীর্তিচিহ্ন ছাড়া ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায় না, এতদিন পর আর জানিবার উপায়ও নেই। সুতরাং দুই চরিত্রের মধ্যে সাযুজ্য না খুঁজে নবীনকুমারকে সেই সময়ের প্রতীক হিসেবে গণ্য করাই সঙ্গত হবে। নবীনকুমারের চরিত্রে যে আমি স্বাকল্পিত বহু উপাদান সংযোজন করেছি, সেজন্য অনেকের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে। হওয়াই স্বাভাবিক। সেই সময় সম্পর্কে যদি আমি আমার নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যা না দিতে চাইব, তা হলে আর আমি এত বড় একটি গ্ৰন্থরচনা করলাম কেন?
মূর্তিপূজা এবং ব্যক্তিপূজার দেশ আমাদের। যেসব মানুষ নিজগুণে আমাদের চোখে শ্ৰদ্ধেয় হয়ে ওঠেন, তাঁদেরও দেবতার স্তরে উন্নীত করতে না পারলে আমাদের স্বস্তি হয় না। কিন্তু উপন্যাস রচনার সময় নির্লিপ্তভাবে এক একটি জীবনের সব কটি দিকই দেখাতে হয়। এতে ভক্তিমান পাঠকরা ক্ষুণ্ণ হন অনেক সময়। রামমোহন রায় কিংবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডিনার টেবিলে সুরাপান কিংবা দেশপ্রেমিক হরিশ মুখুজ্যের পরদারগমন প্রভৃতির উল্লেখই অনেকের কাছে ভয়াবহ মনে হয়। অনেকের মতে, এসব তথ্য সত্য হলেও প্রকাশ করা অব্যঞ্জনীয়। আমি তা মনে করিনি। ব্লাসফেমি আধুনিক সাহিত্যের একটি উৎকৃষ্ট আঙ্গিক, এর কুফল কিছু নেই, সুফল অনেক। পূর্ববতী কালের অনেক মহৎ চরিত্রকে পরবর্তী কালের লেখক ও ঐতিহাসিকরা আঘাত করেন, এর ফলে পাঠকসমাজে যে আন্দোলন হয়, তাতে সেই পূর্বকাল সম্পর্কে নতুনভাবে চেতনা জাগে, ইতিহাসের পুনর্বিচার হয়। টি এস এলিয়ট প্রবন্ধের খড়গাঘাতে শেলীকে প্রায় খুন করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তাতে শেলীর কোনোই ক্ষতি হয়নি, বরং শেলী সম্পর্কে আগ্রহ পুনরায় জেগেছে। যাই হোক, আমি সেকালের কোনো মহৎ মানুষের প্রস্তরমূর্তির মুণ্ডচ্ছেদ করতে চাইনি একেবারেই, শুধু মাঝে মাঝে সেইসব প্রস্তরমূর্তির পূর্বতন খড়-মাটির পা দেখিয়েছি মাত্র।
কৈফিয়ত দেবার দায় নেই ঔপন্যাসিকের। পাঠক অনায়াসেই গ্রহণ বা বর্জন করতে পারেন। তবু, প্ৰায় আড়াই বৎসর ধরে উপন্যাসটি দেশ পত্রিকায় প্রকাশের সময় অনেক পাঠক-পাঠিকা নানা কৌতূহলী পত্র পাঠিয়েছেন আমাকে, সেইজন্যই কয়েকটি কথা এখানে জানালাম। সবচেয়ে মজার কথা এই যে, রচনাটির মধ্যপথে এবং শেষের দিকে অনেকে আমাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছেন বিন্দুবাসিনীকে যেন আমি বাঁচিয়ে তুলি, গঙ্গানারায়ণ যেন ফিরে আসে, হরিশের মতন নবীনকুমারের যেন আকস্মিক মৃত্যু না হয়। চরিত্রগুলি সবই গত শতাব্দীর মধ্যপদের, এতদিনে তাঁরা সবাই পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেছেন, এদের আমি এখনো বাঁচিয়ে রাখবো কী করে? এ যেন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সমবেত সেনানীদের প্রতি শ্ৰীকৃষ্ণের সেই গীতার বাণী, এদের সকলকেই তো আমি আগে থেকে মেরে রেখেছি। তবু এ কথাও ঠিক, নবীনকুমারের মৃত্যুদৃশ্য রচনা করার সময় আমার মন বিবশ হয়ে গেছে, দু-চার লাইন লিখে আমি উঠে গেছি। দিনের পর দিন শেষ পরিচ্ছেদ রচনা অসমাপ্ত থেকেছে, আড়াই বছর ধরে সে আমার মানস-সঙ্গী, তাকে হারাতে ব্যথা বোধ করেছি। এক এক সময় এ কথাও মনে হয়েছে, ওকে আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখলে হয় না? তখন গীতার ঐ উপদেশ আমার মনে পড়েনি।
যাঁরা পণ্ডিত এবং গবেষক, তাঁরা এই রচনায় নতুন কোনো তথ্যই পাবেন না। আমি কোনো লুপ্ত বা গুপ্ত তথ্যাবলী আবিষ্কার করিনি, এ যাবৎ ছাপা পত্র-পত্রিকা এবং বই থেকেই আমার উপাদান সংগৃহীত। অনেক বিষয়েই অন্যের সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে, কিন্তু স্বেচ্ছায় কোনো ভুল তথ্য আমি দিইনি। এবং যা নতুন, তা সবই আমার কল্পনা। তবে অনেক পাঠক-পাঠিকা জানিয়েছেন যে, এ কাহিনীর অনেক ঐতিহাসিক তথ্যও তাঁদের অজানা ছিল এবং এর পর তাঁরা সেই সময়ের ইতিহাস ভালোভাবে জানার জন্য আগ্রহী হয়েছেন। সেটাও একটা লাভ। অনেকে আমাকে যখন বলেছেন যে এই বইটি লেখার জন্য নিশ্চয়ই আমি অনেক পড়াশুনো করেছি, তখন সে কথা শুনে আমি আশ্চৰ্যই হয়েছি বেশী। তেমন তো বেশী কিছু পড়িনি, আরও কত কিছু পড়া বা জানা বাকি রয়ে গেল। এরকম মনে হয়েছে বারবার। হায়, চার-পাঁচ বৎসর ধরে এরকম কোনো একটি বিষয় নিয়েই পড়াশুনো ও লেখার আলাদাভাবে সুযোগ পাওয়া তো আমাদের দেশে প্রায় অসম্ভব।
উৎসাহী পাঠকদের জন্য আমি একটি সংক্ষিপ্ত ও সুলভ গ্রন্থপঞ্জী এখানে দিলাম।
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ। শিবনাথ শাস্ত্রী
আত্মচারিত। শিবনাথ শাস্ত্রী
সাময়িক পত্রে বাংলার সমাজ চিত্র। বিনয় ঘোষ
সংবাদপত্রে সেকালের কথা। ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরাতন প্রসঙ্গ। বিপিনবিহারী গুপ্ত
আত্মচরিত। রাজনারায়ণ বসু
সেকাল ও একাল। রাজনারায়ণ বসু
কলিকাতার পুরাতন কাহিনী ও প্রথা। মহেন্দ্রনাথ দত্ত
দেবগণের মতো আগমন। দুর্গাচরণ রায়
কলিকাতার কথা। প্রমথনাথ মল্লিক
ভারতের অর্থনীতিক বিকাশের ধারা। সুনীল সেন
বাঙ্গলার পারিবারিক ইতিহাস! পণ্ডিত শিবেন্দ্রনারায়ণ শাস্ত্রী
মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবন চরিত। নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
ভারতীয় ধর্মের ইতিহাস। নরেন্দ্ৰনাথ ভট্টাচার্য
মুর্শিদাবাদ কাহিনী। নিখিলনাথ রায়
পুরনো দিন, পুরনো কথা। রঞ্জনবিলাস বসু
জনসভার সাহিত্য। বিনয় ঘোষ
বাঙ্গালার সামাজিক ইতিহাস। দুগাঁচন্দ্র সান্যাল ও ফকিরচন্দ্ৰ দত্ত
যশোহর-খুলনার ইতিহাস। সতীশচন্দ্ৰ মিত্র
হুগলী জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ। সুধীরকুমার মিত্র
কোম্পানির আমলে বিদেশী চিত্রকর। প্ৰদ্যোত গুহ
মুক্তির সন্ধানে ভারত। যোগেশচন্দ্ৰ বাগল
দাদার কথা। সুরেশচন্দ্ৰ ঘোষ
আত্মজীবন চরিত। দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়
সত্তর বৎসর (আত্মজীবনী)। বিপিনচন্দ্ৰ পাল
রাজনারায়ণ বসু, জীবন ও সাহিত্য। শ্ৰীমতী অশ্রু কোলে
আমার জীবন। মীর মশারফ হোসেন
কলিকাতার সংস্কৃতি কেন্দ্র। যোগেশচন্দ্ৰ বাগল
ডেভিড হেয়ার। প্যারীচাঁদ মিত্র। অনুবাদ
রামকমল সেন। প্যারীচাঁদ মিত্র। অনু
দ্বারকানাথ ঠাকুর। কিশোরীচাঁদ মিত্র। অনু
মনীষী ভোলানাথ চন্দ্র। মন্মথনাথ ঘোষ
গিরিশচন্দ্ৰ। অবিনাশচন্দ্ৰ গঙ্গোপাধ্যায়
ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও বাংলা সাহিত্য। শিপ্রা লাহিড়ী
ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তের জীবন চরিত ও কবিত্ব। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ভবতোষ দত্ত সম্পাদিত
ঈশ্বর গুপ্ত ও বাংলা সাহিত্য। সঞ্জীবকুমার বসু
বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ভূমিকা। সতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়
মেট্রোপলিটন মন, মধ্যবিত্ত বিদ্রোহ। বিনয় ঘোষ
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। অজিতকুমার চক্রবর্তী
সতীদাহ। গোরাচাঁদ মিত্র
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন চরিত। যোগীন্দ্রনাথ বসু
মধুস্মৃতি। নগেন্দ্রনাথ সোম
মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রাবলী। সুশীল রায়। অনু
বিদ্যাসাগর। চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদ্যাসাগর ও বাঙালী সমাজ। বিনয় ঘোষ
করুণাসাগর বিদ্যাসাগর। ইন্দ্ৰমিত্র
বিদ্যাসাগর জীবন চরিত ও ভ্ৰম নিরাশ। শম্ভুচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ন
ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ। বদরুদ্দীন উমর
কলকাতায় বিদ্যাসাগর। রাধারমণ মিত্র
প্রসঙ্গ বিদ্যাসাগর। যোগনাথ মুখোপাধ্যায়
পাদরি লঙ। অমর দত্ত
পাদরি লঙ, বাংলা সাহিত্য ও বাঙালী সমাজ। শঙ্কর সেনগুপ্ত
কেশবচন্দ্র। মণি বাগচি
আচার্য কেশবচন্দ্ৰ। গৌরগোবিন্দ উপাধ্যায়
ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন। গিরিশচন্দ্ৰ নাগ
উনিশ শতকের বাঙলা সাহিত্যে কেশবচন্দ্র। ঝরা বসু
ব্যঙ্গ কবিতা ও গানে স্বাদেশিকতা। সৌম্যেন্দ্ৰ গঙ্গোপাধ্যায়
ডিরোজিও। যোগেশচন্দ্ৰ বাগল
বিদ্রোহী ডিরোজিও। বিনয় ঘোষ
সাহিত্য সাধক চরিতমালা। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
পিতা পুত্র । অক্ষয়চন্দ্র সরকার
হুতোম পাঁচার নকশা। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত
বাদশাহী আমল। বিনয় ঘোষ
পুরনো লখনউ। আবদুল হলীম শরর। অনু
ইতিহাসে বৈশ্য বা সাহা-সমাজ। দীপেন্দ্রলাল রায়
সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়। আলোক রায় সম্পাদিত
বঙ্কিমচন্দ্র। অক্ষয় দত্তগুপ্ত
বঙ্কিমচন্দ্র। হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত
বাংলার নবজাগরণের স্বাক্ষর। মনোমোহন গঙ্গোপাধ্যায়
১৮৫৭ ও বাংলা দেশ। সুকুমার মিত্র
লোকমাতা রাণী রাসমণি। বঙ্কিমচন্দ্র সেন
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ। সম্পাদনা সনৎকুমার গুপ্ত
উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা। যোগেশচন্দ্ৰ বাগল
মনমোহন বসুর অপ্রকাশিত ডায়েরি। সুনীল দাস সম্পাদিত
বাংলাদেশের সঙ প্রসঙ্গে। বীরেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
শ্ৰীপান্থের কলকাতা। শ্ৰীপান্থ
বাবু গৌরবের কলকাতা। বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা দপণ। রাধারমণ মিত্র
পুরনো কলকাতার কথাচিত্র। পূর্ণেন্দু পত্রী
গত শতকের প্রেম। পূর্ণেন্দু পত্রী
পুরাতন বাংলা গদ্যগ্রন্থ সংকলন। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বংলা সাহিত্যের ইতিহাস (৪র্থ খণ্ড)। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
কালীঘাট ইতিবৃত্ত। উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা, এক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। অতুল সুর
The History of Bengal. R.C. Mazumdar
British Paramountcy and Indian Renaissance. Part I & II,General Editor-R.C. Mazumdar
British Government in India/Curzon
Calcutta Old & New/H.E.A. Cotton. Ed. by N.R. Ray
Bengal under Lieutenant Governors/C.H. Buckland
The City of Dreadful Nights/Rudyard Kipling
The Good Old Days of Honourable John Company/W.H. Carey
Calcutta Past and Present/Kathleen Blechynden
Freedom Movement in Bengal/Nirmal Sinha
Calcutta Myths & History/S.N. Mukherjee
The Blue Mutiny/Blair B. Kling
On the Bengal Renaissance/Susobhan Sarkar
Calcutta Keepsake/Edited by Alok Ray
A General Biography of Bengal celebrities/Ram Gopal Sanyal
Reminiscences and Anecdotes of Great Men of India/Ram Gopal Sanyal
Awakening in Bengal in Early Nineteenth Century/Goutam Chattopadhyay
Social Ideas and Social Changes in Bengal/A.F. Salahuddin Ahmed
Rise of an Indian Public/Uma Dasgupta
British Orientalism and the Bengal Renaissance/David Copf
The Brahmo Samaj and the Shaping of the Modern Indian Mind/David Copf
History of Indian Social & Political Ideas/Bimanbehari Majumder
Voluntary Association and the Public Life in Urban Bengal/Rajat Sanyal
Studies in Judicial History of British India/Bhawani Sankar Chowdhury
The Mutineers and the People/A Hindu (Shambhu Ch. Mookherjee)
Keshab Chunder Sen/F Max Mueller
I Point to India/F Max Mueller (Ed. by Nanda Mukherjee)
The Siege of Delhi/Alexander Llewellyn
The Last Mushairah of Delhi/Akhtan Qamber
Keshalb Chunder Sen/Meredith Borthwick
David Hare/Peary Chand Mittra
The Writings of Girish Chunder Ghosh/Ed. by Manmatha Ghosh
The Life of Girish Chunder Ghosh/Ed. by Mannatha Ghosh
Memoir of Kaliprosanno Singh/Manmatha Ghosh
Counter Point/Ed. Alok Ray
Nineteenth Century Studies/Ed. Alok Ray
এই গ্ৰন্থ রচনাকালে আমাকে বইপত্র এবং নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন সরাসীকুমার সরস্বতী, বিনয় ঘোষ, ব্ৰতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, রঞ্জনা মুখোপাধ্যায়, নিখিল সরকার, পার্থসারথি চৌধুরী, অরবিন্দ গুহ, পূর্ণেন্দু পত্রী, সুশীল রায়, ইন্দ্রনাথ মজুমদার, নবনীতা দেবসেন, বিনয় ভট্টাচার্য, চিত্রা দেব, আয়ান রশীদ খান, জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়, বরুণ চৌধুরী, পল্লব মিত্র, সুব্রত রুদ্র প্রমুখ। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ।