সপ্তম কাণ্ড। তৃতীয় প্রপাঠক
প্রথম অনুবাক
মন্ত্র- প্রজবং বা এতেন যন্তি যশমমহঃ পাপাবহীয়ং বা এতেন ভবন্তি যদ্দশমমহৰ্য্যে বৈ প্রজবং যমপথেন প্রতিপদ্যতে যঃ স্থাণুং হস্তি যো ভেষং নেতি স হীয়তে স যো বৈ দশমেহবিবাক্য উপহন্যতে স হীয়তে তস্মৈ য উপহতায় ব্যাহ তমেবা দ্বারভ্য সমনুতেহথ যো ব্যাহ সঃ হীয়তে তস্মাদ্দশমেহন্নবিবাক্য উপহতায় ন ব্যুচ্যমথো খল্কাহুযজ্ঞস্য বৈ সমৃদ্ধেন দেবাঃ সুবর্গং লোমায়ন্যজ্ঞস্য বৃদ্ধেনাসুরা পরাহভয়ন্নিতি যৎ খলু বৈ যজ্ঞস্য সমৃদ্ধং তদ্যজমানস্য যবদ্ধং তদভ্রাতৃব্যস্য স যো বৈ দশমোহহবিবাক্য উপহন্যতে স এবাতি রেচয়তি তে যে বাহ্যাঁ দৃশীকবঃ অ্যান্তে বি ক্ৰয়ূর্যদি তত্র ন বিদেয়ুরন্তঃ সদসাদবচ্যং যদি তত্র ন্য বিন্দের্গহপতিনা বুচ্যং তদবচ্যমেবাথ বা এতৎসর্পরাজ্ঞিয়া ঋগভিঃ স্তবতীয়ং বৈ সর্পতো রাজ্ঞী যদ্বা অস্যাং কিং চার্চস্তি যদাচুস্তেনেয়ং সর্পরাজ্ঞী তে যদেব কিং চ বাঁচাহহচুর্য দতোহধ্যচ্চিতরঃ তদুভয়মাল্বাহবরুধ্যোত্তিষ্ঠামেতি তাভিৰ্ম্মনসা স্তুবতে ন বা ইমামশ্বরথো নাশ্বতরীরথঃ সদ্যঃ পর্যাপ্তমহতি মনো বা ইমং সদ্যঃ পৰ্য্যাপ্তমহতি মনঃ পরিভবিতুমথ ব্ৰহ্ম বদন্তি পরিমিতা বা ঋচঃ পরিমিতানি সামানি পরিমিতানি যজুংষ্যথৈতস্যৈবাস্তো নাস্তি যব্রহ্ম তৎ প্রতিগৃণত আ চক্ষীত স প্রতিগরঃ ॥১॥
[সায়ণাচার্য বলেন–প্রথমেইনুবাকে দ্বাদশাহগতমবিবাক্যমহঃ প্রপঞ্চিত। অর্থাৎ–এই প্রথম অনুবাকে দ্বাদশাহগত দশম দিবসের অবিবাক্য ব্যাখ্যাত হয়েছে।]
মর্মার্থ- দ্বাদশাহের দশম দিনের অনুষ্ঠানে প্রমাদঘটিত কারণে কোন অঙ্গের বিস্মৃতি ঘটলে অপরে যাতে তা স্মরণ না করায়, এমন নিষেধ আরোপিত হয়েছে। এই দশম দিনে অনুষ্ঠেয় অঙ্গের (অর্থাৎ বিভিন্ন ক্রিয়ার) বাহুল্যের কারণে সকল কার্য প্রকৃষ্ট বেগে সমাপ্ত করণীয়। এর কারণ,–এই দিনে, অর্থাৎ এই দশম দিনের মধ্যেই, পাপক্ষয় করতে হয়; সুতরাং সেই প্রয়াস সহ্য করেও ত্বরান্বিত হয়ে এই অনুষ্ঠান করতে হয়। এই অনুষ্ঠাতার স্খলন সম্পর্কে লৌকিক দৃষ্টান্ত দেওয়া হচ্ছে–চোর ব্যাঘ্র ইত্যাদির ভয়ে আকুল হয়ে কোন মহারণ্যে প্রকৃষ্ট বেগে ধাবমান পুরুষের মধ্যে কোন মন্দবুদ্ধি (অর্থাৎ বুদ্ধিভ্রংশ) পুরুষ নিজেকে পণ্ডিত মনে করে সম্মুখবর্তী রাজপথ পরিত্যাগ পূর্বক যেমন অন্য কোনও পথে গমন করে, কিংবা অন্য কোন জন যেমন সহসা গমনে উদ্যত হয়ে পুরোবর্তী কোন বৃক্ষে চোট খায়, কিংবা অন্য কোন জন যেমন কণ্টক ইত্যাদির দ্বারা বা রোগের দ্বারা পীড়িত হয়ে নিরন্তর গমনভ্রংশ বা গতিচ্যুত হয়–এই তিন প্রকার পুরুষ রক্ষার নিমিত্ত গমন করতে গিয়ে যেমন জনসঙ্খহীন হয়ে পড়ে, তেমনই যে পুরুষ এই দিনের যাগের কোন অঙ্গ বিস্মৃত হন, তিনি ঋত্বিত্থের মধ্যে হীন বলে পরিগণিত হন। অন্য যাগে একজন কোন অঙ্গ বিস্মৃত হলে অপরে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু এই দশম দিনের যুগে বিবাক্য বা বিকল বা বিস্মৃত বাক্য কেউই বলে দেবেন না–এই হলো এই অনুষ্ঠানের বিধান। (অতঃপর পক্ষান্তরের বিধানসমূহ, দিনগুলির মানসগ্রহকালে স্তোত্রবিশেষ ইত্যাদি কথিত হয়েছে) ॥১॥
.
দ্বিতীয় অনুবাক
মন্ত্র- ব্রহ্মবাদিনো বদন্তি কিং দ্বাদশাহাস প্রথমেনাহ্নৰ্বিজাং যজমানো বৃক্ত ইতি তেজ ইন্দ্রিয়মিতি কিং দ্বিতীয়েনেতি প্রাণানন্নাদ্যমিতি কিং তৃতীয়েনেতি শ্রীনিমাল্লোঁকনিতি কিং চতুর্থেনেতি চতুষ্পদঃ পশুনিতি কিং পঞ্চমেনেতি পঞ্চাক্ষরাং পঙক্তিমিতি কিং ষষ্ঠেনেতি ষড়ঋতুমিতি কিং সপ্তমেনেতি সপ্তপদাং শরীমিতি কিমষ্টমেনেত্যষ্টাক্ষরাং গায়ত্রীমিতি কিং নবমেনেতি ত্রিবৃতং স্তোমমিতি কিং দশমেনেতি দশাক্ষরাং বিরাজমিতি কিমেকাদশেনেত্যে কাদশাক্ষরাং ত্রিষ্ঠুভমিতি কিং দ্বাদশেনেতি দ্বাদশাক্ষরাং জগতীমিত্যে বদ্বা অস্তি যাবদেদ্যাবদেবাস্তি দেং বৃক্তে ॥২॥
[সায়ণাচার্য বলেন–দ্বিতীয়ে দ্বাদশাহজিনঃ প্রশংসাহভিহিতা। অর্থাৎ–এই দ্বিতীয় অনুবাকে দ্বাদশাহ যাগকারী যজমানের প্রশংসা অভিহিত হয়েছে।]
মর্মার্থ- (প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ঋত্বিকগণের নিন্দার ছলে যজমানের প্রশংসা)-ব্রহ্মবাদীগণ প্রশ্ন করছেন–অহীন দ্বাদশাহের অনুষ্ঠাতা যজমান দ্বাদশাহের প্রথম দিবসে ঋত্বি-সম্বন্ধি যা কিছু শ্রেয়, তা কি স্বয়ং (যজমান) গ্রহণ করেন, না কি কোন বিশেষ দিনের কোন ফলবিশেষ গ্রহণ পূর্বক করে থাকেন? তখন এর উত্তরে কোন অভিজ্ঞ ব্রহ্মবাদী বলেন–তেজঃ ইত্যাদি ক্ৰমে গ্রহণ করে করেন। ব্রহ্মবাদীগণের বক্তব্য–দ্বাদশাহের প্রথম দিনে যজমান তেজঃ বা ইন্দ্রিয় সামর্থ্য, দ্বিতীয় দিনে অন্নরূপ প্রাণ (প্রাণানন্নাদ্যমিতি), তৃতীয় দিনে তিন লোক (ব্রীনিমাল্লোঁকনিতি), চতুর্থ দিনে চতুষ্পদ পশু (চতুষ্পদঃ পশুনিতি), পঞ্চমে পঞ্চাক্ষরা পঙক্তির সাধ্য ফল (পঞ্চাক্ষরপাদান্বিতং যৎপঙক্তিচ্ছন্দস্তেন সাধ্যং ফলং বৃঙক্তে), ষষ্ঠ দিনে ছয় ঋতু, সপ্তম দিনে সপ্তপদা শকরী ছন্দ, অষ্টম দিনে অষ্টাক্ষরা গায়ত্রী ছন্দ, নবম দিনে ত্রিবৃৎ স্তোম (ত্রিবৃত্ৰং স্তোমমিতি), দশম দিনে দশাক্ষরা বিরাজ স্তোম, একাদশ দিনে একাদশাক্ষরা ত্রিভূ ছন্দ এবং দ্বাদশ দিনে দ্বাদশাক্ষরা জগতী ছন্দ–এই দ্বাদশ বাক্যের দ্বারা যে শ্রেয় উক্ত হয়েছে (এতৈরুদ্বৈাদশভিবাক্যৈাবদেতচ্ছেয়), তা ঋত্বিকবর্গের জন্য বিদ্যমান। পরে এই সবগুলিই যজমান কর্তৃক গৃহীত হয়ে থাকে (আদত্তে) ॥২॥
.
তৃতীয় অনুবাক
মন্ত্র- এষ বা আপ্তো দ্বাদশাহো যত্রয়োদশরাত্রঃ সমানং হ্যেতদহপ্রায়ণীয়শ্চোদয় নীয় তিরাত্রো ভবতি এয় এমে লোকা এষাং লোকানামাস্ত্যৈ প্রাণো বৈ প্রথমোহতিরাত্রো ব্যানো দ্বিতীয়োহপানস্তৃতীয়ঃ প্রাণাপানোদানেষেদান্নদ্যে প্রতি তিষ্ঠন্তি সৰ্বমায়ুৰ্যন্তি য এবং বিশ্বাংসখ্রয়োদশরাত্রমাসতে তদাহুৰ্ব্বাথা এষা বিততা যদ্দশাহস্তাং বি ছিধ্যেহতিরাং কুরুপদাসুকা গৃহীপতেৰ্বাক স্যাদুপরিষ্টাচ্ছন্দোমানাং মহাব্রতং কুন্তি সস্ততামেব বাচমব রুন্ধতেহপদাসুকা গৃহপতেৰ্বাগৃভবতি পশবো বৈ ছন্দোমা অন্নং মহাব্রতং যদুপরিষ্ঠাচ্ছন্দোমানাং মহাব্রতং কুৰ্ব্বস্তি পশু চৈবান্নাদ্যে চ প্রতি তিষ্ঠন্তি ॥৩
[সায়ণাচার্য বলেন-তৃতীয়ে এয়োদশরাত্রোহভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই তৃতীয় অনুবাকে ত্রয়োদশরাত্র যাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে]
মর্মার্থ– স্বতন্ত্র রূপে উল্লিখিত (বিধাসমান) ত্রয়োদশরাত্র যাগ হলো সম্পূর্ণ দ্বাদশাহ। পূর্বের দ্বাদশাহের এক দিনের আধিক্যে ফলের আধিক্য ও দিনের আধিক্য থাকলেও কোন সাম্যের বিচারে দ্বাদশাহত্ব নিরূপিত হচ্ছে? এর উত্তরে বলা হয়েছে–দ্বাদশাহে প্রায়ণীয় ও উদয়নীয় উভয়ই যেমন, সেইরকম এই ক্ষেত্রেও দুরকম দিনের সমানত্বের কারণে দ্বাদশাহত্বের উপচার করা হয়েছে (সমানত্বাাদশাহেত্বাপচারঃ)। (অতঃপর বিশেষ বিধি)-দ্বাদশাহে প্রায়ণীয় ও উদয়নীয় এই দুটি অতিরাত্র। আবার এর মধ্যেও (অর্থাৎ মধ্যবর্তী দিনের মধ্যেও) কোনটি অতিরাত্র আছে, তার জন্যও লোকত্রয় প্রাপ্তি ঘটে (তেন লোকত্রয়প্রাপ্তি)। (অতঃপর ত্রয়োদশরাত্রের বিধি কথিত হচ্ছে)–প্রাণ প্রথম অতিরাত্র, ব্যান দ্বিতীয় অতিরাত্র এবং অপান তৃতীয় অতিরাত্র; প্রাণ, আপন ও উদান অন্ন লাভ করলে প্রতিষ্ঠিত সকল আয়ু লাভ করে থাকে; এই কথা বিদিত হয়ে ত্রয়োদশাত্র যাগ করণীয়। (অতঃপর মধ্যম অতিরাত্রের ছন্দোমানের উপরে স্থান প্রদান এবং প্রকারান্তরে সেই অনুষ্ঠানের প্রশংসা করা হয়েছে) ॥ ৩৷৷
.
চতুর্থ অনুবাক
মন্ত্র- আদিত্য অকাময়ন্তোভয়োলাকয়োঋধুয়ামেতি ত এতং চতুর্দশরামপশ্যন্ত মাহহরন্তেনাযজন্ত ততো বৈ ত উভষোলোকয়োরাধুবন্নস্মিংশ্চামুষ্মিংশ্চ য এবং বিদ্বাংসশ্চতুর্দশমাসত উভয়োরেব লোকয়োঋধুবন্ত্যস্মিংস্টামুষ্মিংশ্চ চতুর্দশ রাত্রো ভবতি সপ্ত গ্রাম্যা ওষধয়ঃ সপ্তাহরণ্যা উভয়ীষামবরুন্ধ্যৈ যৎপরাচীনানি পৃষ্ঠানি ভবন্তীমমেব তৈলোকমভি জয়ন্তি যপ্রতীচীনানি পৃষ্ঠানি ভবন্তীমমেব তৈলোকমভি জয়ন্তি ত্রয়স্ত্রিংশৌ মধ্যতঃ স্তোমৌ ভবতঃ সাম্রাজ্যমেব গচ্ছত্যধিরাজৌ ভবতোহধিরাজা এব সমানানাং ভব্যতিরাত্ৰাবভিতো ভবতঃ পরিগৃহীত্যৈ ॥৪॥
[সায়ণাচার্য বলেন–অথ চতুর্থে চতুর্দশরাত্রোইভিধীয়তে। অর্থাৎ–চতুর্থ অনুবাকে চতুদর্শরাত্র যাগ কথিত হয়েছে]
মর্মার্থ- আদিত্যবর্গ উভয় লোকের (ইহলোক ও পরলোকের) ঋদ্ধি (সমৃদ্ধি) কামনা করে চতুর্দশ যাগের শাস্ত্রীয় নিশ্চয়তা অনুধাবন করেছিলেন। অতঃপর তারা এই চতুর্দশরাত্রের যাগানুষ্ঠান করে উভয় লোকের ঋদ্ধি লাভ করেন। যিনি এই কথা বিদিত হয়ে চতুদর্শরাত্র যাগ করেন, তিনি ইহলোক ও পরলোকে ঋদ্ধি প্রাপ্ত হন।–(দিনসংখ্যার প্রশংসা)–চতুদর্শরাত্র হলো (ভবতি) সপ্ত গ্রাম্য ওষধী ও সপ্ত আরণ্য ওষধি, যা এই যজ্ঞসাধনে লভ্য। (অতঃপর প্রায়ণীয় ও উদয়নীয়ের মধ্যবর্তী দ্বাদশসংখ্যক দিনের কথা বলা হয়েছে) ॥৪॥
.
পঞ্চম অনুবাক
মন্ত্র- প্রজাপতিঃ সুবর্গং লোকমৈত্তং দেবা অন্বষন্তানাদিত্যাশ্চ পশশ্চান্বায়ন্তে দেবা অব্রুবন্যাপশূর্পজীবিষ্ম ত ইমেহগন্নিতি তেভ্য এতং চতুর্দশরাত্রং প্রত্যৌহন্ত আদিত্যাঃ পৃষ্ঠেঃ সুবর্গং লোকামাহরোহহাভ্যামস্মিল্লোকে পশুপ্রত্যৌহস্পৃষ্ঠেরাদিতা অমুন্সিল্লোঁক আধুবহাভ্যামস্মিন্ লোকে পশবো য এবং বিদ্বাংসশ্চতুৰ্দশত্রমাসত উভয়োরেব লোকয়োঋধুবন্ত্যস্মিংস্টামুষ্মিং পৃষ্ঠরেবামুষ্মিল্লোঁক ঋধুবন্তি হাভ্যামস্মিল্লোঁকে জ্যোতিগৌরায়ুরিতি ত্ৰাহো ভবতীয়ং বাব জ্যোতিরন্তরিক্ষং গৌরবায়ুরিমানেব লোকানভ্যারোহন্তি যদন্যতঃ পৃষ্ঠানি সৰ্বিবিবধং স্যান্মধ্যে পৃষ্ঠানি ভবন্তি সবিবধায় ওজো বৈ বীৰ্য্যং পৃষ্ঠান্যোজ এব বীৰ্যং মধ্যতো দধতে বৃহদ্রথষরাভ্যাং যন্তীয়ং বাব রথন্তরমসৌ বৃহদাভ্যামেব যন্ত্যধো অনয়োরেব প্রতি তিষ্ঠত্যেতে বৈ। যজ্ঞস্যাঞ্জসায়নী সুতী তাভ্যামেব সুবর্গ লোকং যন্তি পরাচো বা এতে সুবর্গ। লোকমভ্যারোন্তি যে পরাচীনানি পৃষ্ঠানপয়ন্তি প্রত্যহো ভবতি প্রত্যাবরূঢ্যা অথো প্রতিষ্ঠিত্যা উভয়োলোকয়োঋধ্বোত্তিষ্ঠন্তি চতুৰ্দশৈতাস্তাসং যা দশ দশাক্ষরা বিরাডং বিরাডুবিরাজেন্নাদ্যমব রুন্ধতে যাতশ্চতস্রো দিশো দিবে প্রতি তিষ্ঠ্যতিত্রাভিতো ভবতঃ পরিগৃহীত্যে ॥৫৷৷
[সায়ণাচার্য বলেন–পঞ্চমেহন্যশ্চতুদশরাত্রোহভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই পঞ্চম অনুবাকে অন্য চতুদর্শরাত্র যাগের কথা বলা হয়েছে]
মর্মার্থ- যখন প্রজাপতি স্বর্গে গমন করলেন, তখন প্রজাপতিকে অনুসরণ পূর্বক সকল দেবতাও গমন করলেন এবং দেবতাগণের পশ্চাতে আদিত্যবর্গ ও আদিত্যবর্গের সাথে পশুসমূহ গমন করলো। আদিত্য ও পশুগণকে দর্শন করে দেবতাগণ পরস্পর এইরকম বলতে লাগলেন-যে পশুগণের সমীপগত হয়ে আমরা মনুষ্যগণের সাথে জীবন যাপন করেছিলাম, তারা সকলেই আমাদের পশ্চাতে সমাগত। এই আগতগণের মধ্যে আদিত্যগণ স্বর্গে আরোহণ করুন, আর পশুগণ ভূমিতে প্রত্যাবর্তিত হোক–এইরকম বিবেচনা করে তারা প্রত্যাবৃত্তিগুণযুক্ত এই চতুর্দশরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করলেন। (তত্রেয়মহঃকৃপ্তিঃ-আদাবেকোহতিরাত্রঃ)। প্রথমে একটি অতিরাত্র, তারপর জ্যোতি-গো-আয়ু-এইরকম আরোহরূপ ত্রিরাত্র (জ্যোতিগৌরায়ুরিত্যারোহরূপস্ত্রিরাত্রঃ); তারপর পৃষ্ট্য ষড়হ। তারপর আয়ু-গো-জ্যোতি–এই অবরোহরূপ ত্রিরাত্র (আয়ুর্গেীর্জোতিরিত্য বরোহরূপস্ত্রিরাত্রঃ), তারপর অতিরাত্র। এইরকমে অনুষ্ঠান করে পৃষ্ঠশব্দাভিধেয় ছয় দিনে আদিত্যগণ স্বর্গে গমন করলেন। আর, প্রত্যাবৃত্তিযুক্ত এ্যহ দুটির দ্বারা (হাভ্যাং) দেবগণ পশুবৰ্গকে এই লোকে (ভূমিতে) প্রতিনিবর্তিত (প্রেরণ করেন। তারপর পৃষ্ঠের দ্বারা আদিত্যগণ স্বর্গে সমৃদ্ধি লাভ করেন। পশুগণ ঐ দুই হ্রহের সৌজন্যে এই লোকে সমৃদ্ধি প্রাপ্তি হয়।–যিনি এই কথা বিদিত হয়ে চতুদর্শরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করেন, তিনি ইহলোকে ও পরলোকে ঋদ্ধিমান হয়ে থাকেন। (অতঃপর আরোহরূপ হ্রহের বিধি, প্রত্যাবরোহরূপ হের বিধি, দিনগত সংখ্যার প্রশংসা, ইত্যাদি কথিত হয়েছে) ॥৫॥
.
ষষ্ঠ অনুবাক
মন্ত্র- ইন্দ্রো বৈ সদবেতাভিরাসীৎ স ন ব্যাবৃতমগচ্ছৎ স প্রজাপতিমুপাত্তস্মা এতং পঞ্চদশরাত্রং প্রাযচ্ছওমাহহরত্তেনাযজত ততো বৈ সোহন্যাভির্দেবতা ভ্যিাবৃতমগচ্ছদ্য এবং বিদ্বাংসঃ পঞ্চদশমাসতে ব্যাবৃতমেব পাস্পনা ভ্রাতৃব্যেণ গচ্ছতি জ্যোতিগৌবায়রিতি এরাহো ভবতীয়ং বাব জ্যোতিরন্তরিক্ষম গৌরবায়ুরেন্থেব লোকে প্রতি তিষ্ঠত্যসত্রং বা এতদ্যছন্দোমং যচ্ছন্দোমা ভবন্তি তেন সত্রং দেবতা এব পৃষ্ঠের রুন্ধতে পঞ্ছন্দোমৈরোজ্যে বৈ বীৰ্য্যং পৃষ্ঠানি পশবচ্ছন্দোমা ওজস্যে বীর্যে পশু প্রতি তিষ্ঠন্তি পঞ্চদশরাত্রো ভবতি পঞ্চদশশা বজ্রো বজ্রমেব ভ্রাতৃব্যেভ্যঃ প্র হরষ্যতিরাত্ৰা বভিতো ভবত ইন্দ্রিয়স্য পরিগৃহীত্যৈ ॥ ৬া। [সায়ণাচার্য বলেন-অথ ষষ্ঠে পঞ্চদশরাত্রোইভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই ষষ্ঠ অনুরাগে পঞ্চদশরাত্র যাগের বিষয় কথিত হয়েছে।
মর্মার্থ– দেবতাগণের স্বামিত্ব অর্থাৎ প্রভুত্ব লাভের যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে ইন্দ্র তাদের রাজা হতে পারেননি, (অর্থাৎ তিনি দেবতাগণের সমান হয়ে অবস্থান করছিলেন)। এই নিমিত্ত তিনি প্রজাপতির নিকট গমন করলে, প্রজাপতি তাঁকে এই পঞ্চদশরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করতে উপদেশ প্রদান করেন। সেই উপদেশ মতো পঞ্চদশরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করে ইন্দ্র দেবতাগণের নিকট হতে ভিন্ন বা পৃথক্ হন, (অর্থাৎ তিনি আর সাধারণ দেবতা রইলে না; তাদের অধিপতি হলেন)। সেইরকমে এই পঞ্চমদশরাত্র যুগানুষ্ঠান করে অন্যেও পাপ ও শত্রুকে নিবৃত্ত করতে পারেন, বা পাপ ও শত্রু হতে পৃথক্ হন। (অতঃপর ক্রতুগত সংখ্যার প্রশংসা ইত্যাদি কথিত হয়েছে) ॥৬॥
.
সপ্তম অনুবাক
মন্ত্র- ইন্দ্রো বৈ শিথিল ইবাপ্রতিষ্ঠিত আসীৎ সোহসুরেভ্যাহবিভেৎস প্রজাপতিমুপা ধাবম্মা এতং পঞ্চদশরাত্ৰং বজ্রং প্রাযচ্ছত্তেনাসুরা পরাভাব্য বিজিত্য শিয়ম গচ্ছদগ্নিতা পাআনং নিরদহত পঞ্চদশরাত্রেণৌজো বলমিয়িং বীৰ্য্যমাত্মন্নধত্ত য এবং বিদ্বাংসঃ পঞ্চদশমাসতে ভ্রাতৃব্যানেব পরাভাব্য বিজিত্য শিয়ং গচ্ছত্যা গ্নিতা পাআনং নিঃ দহন্তে পঞ্চদশরাত্রেণৌজো বলমিয়িং বীৰ্য্যমাত্মন্দধত এতা এব পশব্যাঃ পঞ্চদশ বা অর্ধমাসস্য রায়োহর্জমাসশঃ সম্বৎসর আপাতে সম্বৎসরং পশবোহনু জায়ন্তে তস্মাৎ পশা এতা এব সুবর্গাঃ পঞ্চদশ বা অর্ধমাসস্য রায়োহৰ্দ্ধমাসশঃ সম্বৎসর আপ্যতে সম্বৎসরঃ সুবর্গো লোকস্তম্মাৎ সুবর্গা জ্যোতিগৌরায়ুরিতি হো ভবতীয়ং বাব জ্যোতিরন্তরিক্ষম গৌরসায়ুরিমানে বলোকানভ্যারোহন্তি যদন্যতঃ পৃষ্ঠানি সুব্বিৰিবধং স্যান্মধ্যে পৃষ্ঠানি ভবন্তি সবিবধায়ৌজো বৈ বীৰ্য্যং পৃষ্ঠান্যোজ এব বীৰ্য্যং মধ্যতো দধতে বৃহদ্রথন্তরাভ্যাং যন্তীয়ং বাব রথস্তরমসৌ বৃহদাভ্যামেব যন্ত্যধো অনয়োরেব প্রতি তিষ্ঠত্যেতে বৈ যজ্ঞস্যাঞ্জসায়নী সুতী ভ্যামেব সুবর্গং লোক যন্তি পরাঞ্চো বা এতে সুবর্গং লোকমভ্যারোহন্তি যে পরাচীনানি পৃষ্ঠানপ্যন্তি প্রত্যহো ভবতি প্রত্যাবরূঢ়া অথো প্রতিষ্ঠিত্যা উভযোল্লোকয়োঋদব্বোত্তিষ্ঠন্তি পঞ্চদশৈত্যসাং যা দশ দশাক্ষরা বিরাডম্নং বিরাবিরাজৈবান্নাদ্যনব রুন্ধতে যাঃ পঞ্চ পঞ্চ দিশো দিবে প্রতি তিষ্ঠ্যতিরাত্ৰাবভিতো ভবত ইন্দ্রিয়স্য বীৰ্য্যস্য প্রজায়ৈ পশুনাং পরিগৃহীত্যৈ ॥৭॥
[সায়ণাচার্য বলেন–অথ সপ্তমে দ্বিতীয় পঞ্চরাত্রোহভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই সপ্তম অনুবাকে দ্বিতীয় প্রকার পঞ্চরাত্র যাগের কথা ব্যক্ত হয়েছে।]
মর্মার্থ- কোন এক সময়ে শিথিল হয়ে পড়ে অর্থাৎ যুদ্ধে অসমর্থ হয়ে ইন্দ্র সেনারহিত অবস্থায় একাকী দরিদ্রের ন্যায় অসুরগণের উপদ্রবরহিত স্থানে (লুক্কায়িত হয়ে) অবস্থান করছিলেন। অসুরগণ হতে ভীত ইন্দ্র তারপর প্রজাপতির উপদেশক্রমে বজ্রসমান বক্ষ্যমাণ (পরে বলা হবে, এমন) পঞ্চদশরাত্র ক্রতুর অনুষ্ঠান পূর্বক অসুরগণকে পরাভূত করে স্বয়ং ঐশ্বর্য প্রাপ্ত হয়েছিলেন। সেই ক্রতুতে (অর্থাৎ যজ্ঞে) অগ্নিষ্ঠুৎ নামে আখ্যাত দ্বিতীয় দিনে ইন্দ্র তার আপন শৈথিল্যহেতুকর পাপসমূহকে নিঃশেষে দগ্ধ করেন। অবশিষ্ট পঞ্চদশরাত্র ক্রতুভাগের দ্বারা বলহেতুকর ওজঃরূপ সপ্তমধাতু অর্থাৎ শারীরিক বল ও যুদ্ধে বিজয়লাভের উৎসাহসম্পন্ন হন।–যিনি অর্থাৎ যে যজমান এইরকম বিদিত হয়েপঞ্চদশরাত্রের যাগানুষ্ঠান করেন, তিনিও শত্রুগণকে পরাভূত করে শ্রী বা ঐশ্বর্য প্রাপ্ত হন এবং অগ্নিষ্ঠুৎ-আখ্যাত দ্বিতীয় দিনে পাপসমূহকে নিঃশেষে দগ্ধ করে পঞ্চদশরাত্রের দ্বারা ইন্দ্রের ন্যায় ওজঃ, বল, ইন্দ্রিয়সামর্থ্য তথা বীর্য লাভ করেন। (অতঃপর পঞ্চদশরাত্রির প্রশংসা, ঋতুগত রাত্রিসংখ্যার প্রশংসা, প্রায়ণীয়-উদয়নীয় বিধি, ইত্যাদি উক্ত হয়েছে) ॥৭॥
.
অষ্টম অনুবাক
মন্ত্র- প্রজাপতিরকাময়তান্নাদঃ স্যামিতি স এতং সপ্তদশরামপশ্যক্তমাংহরত্তেনাযজত ততো বৈ সোহন্নদোহভবদ্য এবং বিদ্বাংসঃ সপ্তদশরাত্ৰমাসতেহদা এ ভবন্তি পঞ্চাহো ভবতি পঞ্চ বা ঋতবঃ সম্বৎসর ঋতুষেব সম্বৎসরে প্রতি তিষ্ঠ্যথথা পঞ্চাক্ষরা পঙক্তিঃ পাজো যজ্ঞে যজ্ঞমেবাব রুহৃতেহসত্রং বা এতৎ যছন্দোমং যচ্ছন্দোমা ভবত্তি তেন সত্রং দেবতা এব পৃতীৈরব রুন্ধতে পশূন্দোমৈরোজো বৈ বীৰ্য্যং পৃষ্ঠানি পশবচ্ছন্দোমা ওজস্যের বীর্যে পশুধু প্রতি তিষ্ঠন্তি সপ্তদশরাত্রো ভবতি সপ্তদশঃ প্রজাপতি প্রজাপতেরাপ্ত্যা অতিরাত্রাবভিতো ভবতোহন্নাদ্যস্য পরিগৃহীত্যৈ ॥৮॥
[সায়ণাচার্য বলেন–অষ্টমে সপ্তদশরাত্রোইভিধীয়তে। অর্থাৎ–অষ্টম অনুবাকে সপ্তদশরাত্র যাগের কথা বলা হয়েছে।]
মর্মার্থ- আমি অন্নভক্ষক হবো–প্রজাপতি এমন কামনা করে এই সপ্তদশরাত্র যাগের শাস্ত্রীয় নিশ্চয়তা অনুধাবন করেছিলেন; তারপর এই সপ্তদশরাত্রের অনুষ্ঠান করে অন্নভক্ষক হয়েছিলেন। এই কথা বিদিত হয়ে যিনি সপ্তদশরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করেন, তিনি অন্নভক্ষক হন। (অতঃপর জ্যোতি-গৌ-আয়ু ইত্যাদি দিন পঞ্চকের বিধি, ঋতুগত রাত্রিসংখ্যার প্রশংসা, প্রায়ণীয়-উদয়নীয় বিধি, ইত্যাদি উক্ত হয়েছে) ॥৮॥
.
নবম অনুবাক
মন্ত্র- সা বিড়বিক্রমাতিষ্ঠদ্ৰহ্মণা দেবেম্বয়েনাসুরেষু তে দেবা অকাময়ন্তোভয়ং সং বৃঞ্জীমহি ব্ৰহ্ম চান্নং চেতি ত এতা বিংশতিং রাত্রীরপশ্যস্ততো বৈ ত উভয়ং সমবৃঞ্জত ব্ৰহ্ম চান্নং চ ব্রহ্মচঁসিনোহন্নাদা অভবন্য এবং বিদ্বাংস এতা আসত উভয়মেব সং বৃঞ্জতে ব্ৰহ্ম চাং চ ব্ৰহ্মবচঁসিনোহন্নাদা ভবন্তি দে বা এতে বিরাজৌ তয়োরেব নানা প্রতি তিষ্ঠন্তি বিংশো বৈ পুরুষো দশ হত্যা অজুলয়ো দশ পদ্যা যাবানে পুরুষস্তমাল্বোত্তিষ্ঠন্তি জ্যোতিগোরায়রিতি এ্যহা ভবন্তীয়ং বাব জ্যোতিরন্তরিক্ষং গৌরবায়ুরিমানেব লোকানভ্যারোহত্যভিপূৰ্ব্বং ত্র্যহা ভব্যভিপূৰ্বমেব সুবর্গং লোকমভ্যারোহন্তি যদন্যতঃ পৃষ্ঠানি স্যুৰ্বিবি বধংস্যান্মধ্যে পৃষ্ঠানি ভবন্তি সবিবধত্বায়ৌজো বৈ বীৰ্য্যং পৃষ্ঠান্যোজ এব বীৰ্য্যং মধ্যততা দখতে বৃহদ্রথন্তরাভ্যাং যন্তীয়ং বাব রথস্তরমসৌ বৃহদাভ্যামেব যন্ত্যবো অনয়োরেব প্রতি তিষ্ঠত্যেতে বৈ যজ্ঞস্যাঞ্জসায়নী সুতী ভ্যামেব সুবৰ্গং লোকং যন্তি পরাঞ্চো বা এতে সুবর্গং লোকমভ্যায়োহস্তি যে পরাচীনানি পৃষ্ঠানপ্যন্তি প্রত্যহহা ভবতি প্রত্যরূঢ়া অথো প্রতিষ্ঠিত্যা উভযোল্লোকয়োঋধ্বে ত্তিষ্ঠ্যতিত্রাভিতো ভবতো ব্ৰহ্মবéসস্যান্নাদ্যস্য পরিগৃহীত্যৈ ॥৯৷৷
[সায়ণাচার্য বলেন–নবমে বিংশতিরাত্রোহভিধীয়তে। অর্থাৎ-নবম অনুবাকে বিংশতিরাত্র যাগের কথা বলা হয়েছে]
মর্মার্থ– দশরাত্ৰ-অভিমানিনী বিরাটু নাম্নী কোন দেবতা দুটি রূপে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করতেন (রূপদ্বয়েন বিভাজ্যাতিষ্ঠৎ),-দেবতাগণের মধ্যে ব্রহ্মবৰ্চস (অর্থাৎ তপস্যা ও অধ্যয়নজনিত তেজঃ)-রূপা এবং অসুরগণের মধ্যে অনুরূপা। তখন দেবতাগণ অসুরগণের নিকট হতে অন্ন অপহরণ করে সেই দুটিই, অর্থাৎ ব্রহ্মবৰ্চস্ ও অন্ন উভয়ই, লাভ করতে কামনা করেছিলেন (লভেমহীত্যকাময়ন্ত)। তারপর তা সাধনের নিমিত্ত, (বক্ষ্যমানা, অর্থাৎ পরে বলা হবে, এমন) বিংশতিসংখ্যক্য রাত্রির নিশ্চয়তা অনুধাবন করে তার অনুষ্ঠানের দ্বারা অসুরগণের নিকট হতে অন্ন অপহরণ করে নিজেরাই ব্ৰহ্মবৰ্চ ও অন্নের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল। এইরকমে অন্যেরাও এই অনুষ্ঠানের দ্বারা এইরকমই ফল প্রাপ্ত হবে; অর্থাৎ এইরকম বিদিত হয়ে যাঁরা এই পঞ্চবিংশতিরাত্র যাগের অনুষ্ঠান করবেন, তাঁরাও ব্রহ্মবৰ্চ ও অন্ন প্রাপ্ত হবেন। (অতঃপর ক্রতুগত বিংশতি রাত্রিসংখ্যার প্রশংসা, প্রত্যবরোহরূপ এ্যহের বিধান, প্রায়ণীয়-উদয়নীয়ের বিধি, ইত্যাদি উক্ত হয়েছে) ।৯
.
দশম অনুবাক
মন্ত্র- অসাবাদিত্যোহস্মিল্লোঁক আসীত্তং দেবাঃ পৃষ্ঠেঃ পরিগৃহ সুবর্গং লোকমগময় পরৈরবস্তাৎ পৰ্য্যগৃহুন্দিবাকীৰ্ত্তৈন সুবর্গে লোকে প্রত্যস্থাপয়ন্ পরৈঃ পরস্তাৎ পৰ্যগৃহুন পৃষ্ঠরুপবানোহন্তস বা অসাবাদিতত্যাহমুম্মিল্লোঁকে পরৈরুভয়তঃ পরিগৃহীহতো যৎপৃষ্ঠানি ভবন্তি সুবৰ্গমেব তৈলেকং যজযানা যন্তি পরৈরবস্তাৎ পরিগৃহুন্তি দিবাকীৰ্ত্তৈন সুবর্গেন লোকে প্রতি তিষ্ঠন্তি পরৈঃ পরস্তাৎ পরি গৃহুন্তি পৃষ্ঠেরুপাবনোহস্তি যৎপরে পরস্তার স্যুঃ পরাঞ্চঃ সুবর্গাল্লোকান্নিপদ্যেরন্যবস্তাঃ স্যুঃ প্রজা নিৰ্দহেয়ূরভিতো দিবাকীত্তং পরঃসামানো ভবন্তি সুবর্গ এবৈনালোঁক উভয়তঃ পরি গৃহাতি যজমানা বৈ দিবাকীৰ্ত্তং সম্বৎসরঃ পরঃসামানোহভিতে দিবাকীৰ্ত্তং পরঃসামাননা ভবন্তি সম্বৎসর এবোভয়তঃ প্রতি তিষ্ঠন্তি পৃষ্ঠং বৈ দিবাকীৰ্ত্তং পার্শ্বে পরঃসামানোহভিতত দিবাকীৰ্ত্তং পরঃসামানো ভবন্তি তস্মাদভিতঃ পৃষ্ঠং পার্শ্বে ভূয়িষ্ঠা গ্ৰহা গৃহ্যন্তে ভূয়িষ্ঠং শস্যতে যজ্ঞস্যৈ তন্মধ্যতো গ্রন্থিং গৃহত্যবিভ্রংসায় সপ্ত গৃহ্যন্তে সপ্ত বৈ শীর্ষণ্যাঃ প্রাণাঃ প্রাণানেব যজমানেষু দধতি যৎপরাচীনানি পৃষ্ঠানি ভবস্ত্যমেব তৈলোকমভ্যানোহন্তি যদিমং লোেকং ন প্রত্যবরোহেয়ুরুদ্বা মাদ্যেয়ুর্যজমানাঃ প্র বা মীয়েরন্যৎ প্রতীচীনানি পৃষ্ঠানি ভবন্তীমমেব তৈলোকং প্রত্যবরে হ্যথো অস্মিম্নেব লোকে প্রতি তিন্ত্যনুস্মা দায়েত্রো বা অপ্রতিষ্ঠিত অসীৎ স প্রজাপতিমুপাধাবম্মা এতমেকবিং শতিরাং প্রাযচ্ছত্তমাহরত্তেনাযজত তততা বৈস প্রত্যতিষ্ঠদ্যে বহুজিনোহপ্রতিষ্ঠিতাঃ স্যুস্ত একবিংশতিরাত্রমাসীর দ্বাদশ মাসাঃ পঞ্চৰ্ত্তবয় ইমে লোকা অসাবাদিতা একবিংশ এতাবন্তো বৈ দেবলোকাস্তেম্বেব যথাপূৰ্ব্বং প্রতি তিষ্ঠ্যসাবাদিত্যো ন ব্যরোত স প্রজাপতিমুপিধ বম্মা এতমেকবিংশতিরাং প্রাযচ্ছত্তমাহরত্তেনাযজত তততা বৈ সোহরোচত য এবং বিঘাংস একবিংশতিত্রমাসতেরোচন্ত এবৈকবিংশতিরাত্রো ভবতি রুম্মা একবিংশো রুচমেব গচ্ছত্যথো প্রতিষ্ঠামেব প্রতিষ্ঠা হ্যেকবিংশোহতি রাত্রাভিতো ভবতো ব্ৰহ্মব…সস্য পরিগৃহীত ॥১০।
[সায়ণাচার্য বলেন-দশম একবিংশতিরাত্রোইভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই দশম অনুবাকে একবিংশতিরাত্র যাগের সম্পর্কে বলা হয়েছে]
মর্মার্থ– স্বর্গে দৃশ্যমান এই আদিত্য পুরাকালে ভুলোকে অবস্থিত ছিলেন। সেই আদিত্যকে দেবতাগণ পৃষ্ঠাখ্য ছয় দিনের যুগানুষ্ঠানের দ্বারা স্বর্গে আনয়ন করেন (প্রাপিতবন্তঃ); এবং আদিত্য যাতে স্বর্গের নিম্নে গমন করতে না পারেন, সেই মতো বিভাগ করে দিয়েছিলেন (যথাহধস্তান্নাহগচ্ছতি তথা ব্যবধানং কৃতবম্ভঃ)। অন্যেও এইভাবে পৃষ্ঠাখ্য যাগের অনুষ্ঠান করে গমন করবে এবং দিনে কীর্তনীয় সামের দ্বারা আদিতের ন্যায় সেই স্বর্গে প্রতিষ্ঠাপিত হবে। (অতঃপর দিনসংখ্যার প্রশংসা, দিবা-কীর্তনীয় অনুষ্ঠানের প্রশংসা, অবরোহরূপ পৃষ্ঠ্যষড়হের বিধি, স্বর্গপ্রাপ্তির নিমিত্ত ক্রতুবিশেষ ইত্যাদি কথিত হয়েছে) ॥১০৷৷
.
একাদশ অনুবাক
মন্ত্র- অৰ্ব্বাঙঃ সংক্রামত্বমুম্মাদধি মামভি। ঋষীণাং যঃ পুরোহিতঃ। নীৰ্দেবং নিৰ্ব্বীরং কৃত্বা বিষ্কন্ধং তস্মিন্ হীয়তাং যোহপ্যান্বেষ্টি। শরীরং যজ্ঞশমলং কুসীদং তস্মাৎসীতু যোহমান্বেষ্টি। যজ্ঞ যজ্ঞস্য যত্তেজনে সং ক্রামমামভি। ব্রাহ্মণাবৃত্বিজো দেবান্যজ্ঞস্য তপসা তে সবাহমা হুবো ইষ্টেন পকৃমুপ তে হুবে সবাহ। সং তে বৃঞ্জে সুকৃতং সং প্রজাং পশূন। ৎৈসামিধেনীরামারাবাজ্যভাগাবাশ্রুতং প্রত্যাশ্রুতমা শৃণামি তে। প্রজানুযাজাৎষ্টিকৃতমিড়ামাশিষ আ বৃঞ্জে সুবঃ।। অগ্নিনেণে সোমেন সরস্বতা বিষ্ণুনা দেবতাভিঃ। যাজ্যানুবাক্যাভ্যামুপ তে হুবে সবাহং যজ্ঞমা দদে তে বষ্টকৃত। স্তুতং শস্ত্র প্রতিগরং গ্রহমিড়ামাশিষঃ আ বৃঞ্জে সুবঃ। পত্নীসংযাজানুপ তে হুবে সবাহং সমিষ্টযজুরা দদে তব। পশুৎসুতং পুরোশানৃৎসবনানন্যাত যজ্ঞ। দেবাৎসেন্ট্রোনুপ তে হুবে সবাহমগ্নিমূখাৎসোমতো যে চ বিশ্বে ৷৷১১।
[সায়ণাচার্য বলেন–অথবশিষ্টেস্বনুবাকেম্বনুবাকেশমেধগতা মন্ত্র উচ্যন্তে। অর্থাৎ–অবশিষ্ট দশটি অনুবাকে অশ্বমেধযজ্ঞগত মন্ত্ৰসমূহ কথিত হয়েছে]
মর্মার্থ- এখানে অশ্বমেধযজ্ঞ সম্পর্কিত আপ্ত্যাখ্যানামক আটটি আহুতি-মন্ত্র উল্লেখিত হয়েছে) ॥১১।
.
দ্বাদশ অনুবাক
মন্ত্র- ভূতং ভব্যং ভবিষ্যদ্বষম্যহা নম ঋম যজুৰ্ব্বষ্টৎ স্বাহা নমো গায়ত্রী ত্রিষ্টুপ জগতী বষম্যহা নমং পৃথিব্যন্তরিক্ষং দ্যৌষটস্রাহা নমোহগ্নিায়ুঃ সূৰ্য্যো বষৎস্বাহা নমঃ প্রাণো ব্যানোপানো বষটস্বাহা নমোহন্নং কৃষিষ্টিয়ৎ স্বাহা। নমঃ পিতা পুত্রঃ পৌত্রো বষটস্বাহা নমো ভূর্ভুবঃ সুৰ্বটত্যাহা নমঃ ॥১২।
[সায়ণাচার্য বলেন–অথ দ্বাদশে পর্যাপ্ত্যাখ্যা মন্ত্র উচ্যন্তে। অর্থাৎ–এই দ্বাদশ অনুবাকে পর্যাপ্ত্যা মন্ত্র কথিত হয়েছে]
মর্মার্থ- (পূর্ববর্তী অনুবাকের মন্ত্রগুলির সাথে এই আহুতি মন্ত্রগুলির দ্বারাও হোম কর্তব্য) ১২।
.
ত্রয়োদশ অনুবাক
মন্ত্র- আ মে গৃহা ভবা প্রজা ম আ মা যজ্ঞো বিশতু বীৰ্য্যাবা। আপো দেবীর্যজ্ঞিয়া মাহবিশন্তু সহস্য মা ভূমা মা প্র হাসীৎ। আ মা গ্রাহো ভবত্বা পুরোরুক তশস্ত্রে মাহবিশতং সমীচি। আদিত্যা রুদ্ৰা বসবো মে সদস্যাঃ সহস্ৰস্য মা ভূমা মা প্র হাসীৎ। আ মাহগ্নিষ্টোমো বিশতুকথ্যশ্যাতিরাত্রো মাহবিশত্বাপিশৰ্বরঃ। তিরোঅহ্নিয়া মা সুহুতা আ বিশ সহস্ৰস্য মা ভূমা মা প্র হাসীৎ ॥১৩৷৷
[সায়ণাচার্য বলেন–অথাহভূনামকা হোমমন্ত্র…। অর্থাৎ–এই ত্রয়োদশ অনুবাকে আভূনামক হোমমন্ত্র কথিত হয়েছে।]
মর্মার্থ- (এই মন্ত্রগুলিও হোমমন্ত্র) ॥১৩৷৷
.
চতুর্দশ অনুবাক
মন্ত্র- অগ্নিনা তপোহভবঘাচা ব্ৰহ্ম, মণিনা রূপানীণে দেবাম্বাতেন প্রাণাসুর্যেণ দ্যাং চন্দ্রমসা নক্ষত্রাণি যমেন পিতৃন্ রাজ্ঞা মনুষ্যা কলেন নাদেয়ানজাগরেণ। সর্লান ব্যাঘ্ৰেণাহরণ্যান পশুনেন পতত্রিনো বৃষ্ণাহখানুষভেণ গা বস্তেজা বৃষ্ণিনাহবীব্রীহিণাহমানি যবনৌষধীনগ্রোধেন বনস্পতীনুদুম্বরেপোর্ক্সং : গায়ত্রিয়া ছন্দাংসি ত্রিবৃতা স্তোমান ব্রাহ্মণেন বাচম্ ॥১৪৷৷
[সায়ণাচার্য বলেন–অর্থানুভূনামকা…। অর্থাৎ–এই চতুর্দশ অনুবাকে আনুভূনামক হোমমন্ত্র কথিত হয়েছে।]
মর্মার্থ- (এইগুলিও হোমমন্ত্র বিশেষ) । ১৪
.
পঞ্চদশ অনুবাক
মন্ত্র- স্বাহাইধিমাধীতায় স্বাহা স্বাহাহধীতং মনসে স্বাহা স্বাহা মনঃ প্রজাপতয়ে স্বাহা কায় স্বাহা কম্মে স্বাহা কতমস্মৈ স্বাহাহদিত্যৈ স্বাহাহদিতৈ মহ্যৈ স্বাহাহদিত্যৈ সুমৃড়ীকায়ৈ স্বাহা সরস্বত্যৈ স্বাহা সরস্বত্যৈ বৃহত্যৈ স্বাহা সরস্বতী পাবকায়ৈ স্বাহা পূষে প্রপথ্যায় স্বাহা পূষ্ণে নরন্ধিষায় স্বাহা ত্বষ্ট্রে স্বাহা তুরীপায় স্বাহা ত্বষ্ট্রে পুরুরূপায় স্বাহা বিতবে স্বাহা বিষ্ণবে নিখুৰ্য্যপায় স্বাহা বিষ্ণবে নভুয়পায় স্বাহা সৰ্বম্মৈ স্বাহা ॥১৫৷ [সায়ণাচার্য বলেন-পঞ্চদশে বৈশ্বদেবাখ্যা আহুতিমন্ত্র উচ্যন্তে। অর্থাৎ–এখানে বৈশ্বদেব নামে আখ্যাত আহুতি মন্ত্রগুলি কথিত হয়েছে।
মর্মার্থ- (এখানে প্রথম হতে সপ্তদিনগত আহুতিমন্ত্র এবং পূর্ণাহুতির মন্ত্র বলা হয়েছে। পূর্ণাহুতিতে সর্বপ্রকার পালকগণকে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করি–এই রকম বলা হয়েছে) ॥১৫৷৷
.
ষোড়শ অনুবাক
মন্ত্র- দভ্যঃ স্বাহা হনুভ্যাং স্বাহোষ্ঠাভ্যাং স্বাহা মুখায় স্বাহা নাসিকাভ্যাং স্বাহাইক্ষীভ্যাং স্বাহা কর্ণাভ্যাং স্বাহা পার ঈক্ষবোহবাৰ্য্যেভ্যঃ পঙ্কুভ্যঃ স্বাহাইবার ইক্ষবঃ পায্যেভ্যঃ পভ্যঃ স্বাহা শীষ্ণে স্বাহা ভূভ্যাং স্বাহা ললাটায় স্বাহা মূৰ্পে স্বাহা মস্তিষ্কায় স্বাহা কৈশেভ্যঃ স্বাহা বহার স্বাহা গ্রীবাভ্যঃ স্বাবা স্কন্ধেভ্যঃ স্বাহা কীকসাভ্যঃ স্বাহা পৃষ্টীভ্যঃ স্বাহা পাজস্যায় স্বাহা পার্শ্বাভ্যাং স্বাহা অংসাভ্যাং স্বাহা দেষভ্যাং স্বাহা বাহুভ্যাং স্বাহা জঘ্যাভ্যাং শ্রেণীভ্যাং স্বাহোরুভ্যাং স্বাহাহষ্ঠীবদত্যাং স্বাহা জদ্যাভ্যাং স্বাহা ভসদে স্বাহা শিখডেভ্যঃ স্বাহা বালদানায় স্বাহাইণ্ডাভ্যাং স্বাহা শেপায় স্বাহা রেতসে স্বাহা প্রজাভ্যঃ স্বাহা প্রজননায় স্বাহা পদভ্যঃ স্বাহা শফেভ্যঃ স্বাহা লোমভ্যঃ স্বাহা ত্বচে স্বাহা লোহিতায় স্বাহা মাংসায় স্বাহা সাবভ্যঃ স্বাহহিস্থভ্যঃ স্বাহা মজুভ্যঃ স্বাহাইভ্যেঃ স্বাহাত্মনে স্বাহা সৰ্ব্বস্বৈ স্বাহা ॥১৬।
[সায়ণাচার্য বলেন–যোড়শে পঙ্গহোমমন্ত্ৰা উচ্যন্তে। অর্থাৎ-এই ষোড়শ অনুবাকে পশুঅঙ্গ সমর্পণ সম্বন্ধীয় হোমমন্ত্র কথিত হয়েছে।]
মর্মার্থ- (এই মন্ত্রগুলির দ্বারা অশ্বের দন্ত, হনু, মস্তিষ্ক, গ্রীবা, স্কন্ধ, অস্থি, হৃদয়, পদ, জঙ্, শ্রোণী, পুচ্ছ, জননেন্দ্রিয়, ইত্যাদি পঞ্চাশটি অঙ্গ পঞ্চাশটি মন্ত্রে অগ্নিতে অহুতি দেওয়া হয়) । ১৬৷৷
.
সপ্তদশ অনুবাক
মন্ত্র- আঞ্জ্যোয় স্বাহাহঞ্জিসকথায় স্বাহা শিতিপদে স্বাহা শিতিককুদে স্বাহা শিতিয় স্বাহা শিতিষ্ঠায় স্বাহা শিত্যংসায় স্বাহা পুষ্পকর্ণায় স্বাহা শিত্যোষ্ঠায় স্বাহা পিতিভ্রবে স্বাহা শিতিভসদে স্বাহা শ্বেতাকাশায় স্বাহা হঞ্জয়ে স্বাহা ললামায় স্বাহাহসিতজ্ঞবে স্বাহা কৃষ্ণৈতায় স্বাহা রোহিপৈতায় স্বাহাহরুণৈতায় স্বাহেদূশায় স্বাহা কীহশায় স্বাহা তাদূশায় স্বাহা সদৃয়ায় স্বাহা বিসদৃশায় স্বাহহেসুসদৃশায় স্বাহা রুশায় স্বাহা সৰ্ব্বস্মৈ স্বাহা ॥১৭
.
অষ্টাদশ অনুবাক
মন্ত্র- কৃষ্ণায় স্বাহা শ্বেতায় স্বাহা পিঞ্জায় স্বাহা সারঙ্গায় স্বাহরুণায় স্বাহা গৌরায় স্বাহা ববে স্বাহা নকুলায় স্বাহা রোহিতায় স্বাহা শশাণায় স্বাহা শ্যাবায় স্বাহা পাকলায় স্বাহা সুরুপায় স্বাহাহনুপায় স্বাহা বিরূপায় স্বাহা সরূপায় স্বাহা প্রতিরূপায় স্বাহা শবলায় স্বাহা কমলায় স্বাহা পৃময়ে স্বাহা পূশিয়থায় স্বাহা সৰ্ব্বম্মৈ স্বাহা ॥১৮৷
মর্মার্থ- (সপ্তদশ ও অষ্টাদশ এই দুই অনুবাকের মোট ঊনপঞ্চাশটি মন্ত্র প্রায় সমার্থক) ॥১৭-১৮
.
ঊনবিংশ অনুবাক
মন্ত্র- ওষণীভ্যঃ স্বাহা মূলেভ্যঃ স্বাহা তুলেভ্যঃ স্বাহা কাণ্ডেভ্যঃ স্বাহা বলশেভ্যঃ স্বাহা পুষ্পেভ্যঃ স্বাহা ফমেভ্যঃ স্বাহা গৃহীতেভ্যঃ স্বাহাহগুত্যেভ্যঃ স্বাহাহবপন্নেভ্যঃ স্বাহা শয়ানেভ্যঃ স্বাহা সৰ্ব্বম্মৈ স্বাহা ॥১৯৷
[সায়ণাচার্য বলেন–অথৌষধিমন্ত্ৰা একোনবিংশেহভিধীয়ন্তে। অর্থাৎ—এই ঊনবিংশ অনুবাকে অশ্বমেধযজ্ঞ-সম্বন্ধি ওষধিমন্ত্ৰসমূহ কথিত হয়েছে। ]
মর্মার্থ- (এই ১২ টি মন্ত্র সহজেই অনুধাবন যোগ্য) ॥১৯।
.
বিংশ অনুবাক
মন্ত্র- বনস্পতিভ্যঃ স্বাহা মূলেভ্যঃ স্বাহা তুলেভ্যঃ স্বাহা স্কন্ধোভ্যঃ স্বাহা শাখাভ্যঃ স্বাহা পর্ণেভ্যঃ স্বাহা পুষ্পেভ্যঃ স্বাহা ফলেভ্য স্বাহা গৃহীতেভ্যঃ স্বাহাই হীতেভ্যঃ স্বাহাহবপন্নেভ্যঃ স্বাহা শয়ানেভ্যঃ স্বাহা শিষ্টায় স্বাহাইতিশিষ্টায় । স্বাহা পরিশিষ্টায় স্বাহা সংশিষ্টয় স্বাহোচ্ছিষ্টায় স্বাহা রিক্তায় স্বাহাইরিক্তা। স্বাহা প্ররিক্তায় স্বাহা সংরিক্তায় স্বাহোক্কিায় স্বাহা সৰ্বম্মে স্বাহা ॥২০৷৷
[সায়ণাচার্য বলেন–বৃক্ষমা বিংশেহভিধীয়তে। অর্থাৎ–এই বিংশ অনুবাকে বৃক্ষ-হোমমন্ত্রগুলি কথিত হয়েছে।]মর্মার্থ- (এই ২৩টি মন্ত্রে বনস্পতি-হোম হয়ে থাকে। এগুলিকে বৃক্ষাখ্য মন্ত্রও বলা হয়। ২০