৬
সন্ধ্যার পরে শরৎকালীবাবু ভগ্নীপতিকে নিয়ে একখানা ঘর দেখতে বেরিয়েছিলেন বাজারে, রামলালের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারখানা খুলবার জন্যে। রামলাল এখানে এসে পর্যন্ত কেবলই শরৎকালীবাবুকে এজন্যে তাগিদ দিচ্ছে। শরৎকালীবাবুর ডাক্তারখানায় সেদিন একজন রোগী এসে জানালে তার ছোট ছেলের দাঁত উঠবে, সেজন্যে পেটের অসুখে কষ্ট পাচ্চে।
শরৎকালীবাবু রামলালের দিকে তাকিয়ে বললেন—কি ওষুধ হে?
রামলাল হেসে বললে—আমাকে আর পরীক্ষা করতে হবে না। ক্যামোমিলা ত্রিশ দিয়ে দিন না?
—ত্রিশ না দুশো?
—ত্রিশ।
—কেন?
—ছোট ছেলে যে! দুশোতে ষাঁড় জব্দ হবে। ছোট ছেলের ধাতে সইবে না।
—তবে ছয় নয় কেন?
—ছয়ে কাজ হলে খুব ভালো হয়, নয়তো হবেই না। নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্যে ত্রিশ শক্তি।
—নাঃ, তোমার দেখচি ভালো জ্ঞান আছে। তোমাকে কোথায় বসিয়ে দেবো তাই ভাবচি।
—যেখানেই বসান দাদা, আপনার সঙ্গে যেন ঠোকাঠুকি না বাধে। দুজন ব্যবসায়ী এক জায়গায় বসে, এটা আমি চাইনে—
—তাতে কোনো ক্ষতি হবে না আমার। তোমাকে বসিয়ে দিতে পারলে দাদা আমি নিশ্চিন্দি হতে পারি।
তারপর শালা-ভগ্নীপতিতে মিলে বৈষয়িক পরামর্শ করলো অনেকক্ষণ। রামলাল আর বেশী দিন শালার বাড়ি থাকতে চায় না, আপন শালা নয়, খুব বেশী দাবি সেখানে নেই। বেশী দিন কেনই বা সে পরের বাড়িতে থেকে বাপে-ছেলেতে অন্নধ্বংস করবে?
বিশেষ করে এই দুমূর্লে্যর বছর। ইতিমধ্যে এখানে চালের দর বাড়তে শুরু হয়েচে হাটে বাজারে। সে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। দু’জনের আহার যোগাতে বেশ খরচ হয়ে যাবে এবং যাচ্ছে এদের। চক্ষুলজ্জা করে পরের বাড়ি বসে বসে খেতে। যা হয় একটা উপায় দেখতেই হবে। এখানে আসার মূলে প্রীতি বা ভালোবাসা ততটা নয়, যতটা হল শরৎকালীবাবুর সরল ভদ্রতা ও উদার ব্যবহার। শালাজটি যে বিশেষ সুবিধের নয়, তা রামলাল অনেকদিন থেকেই জানে। এখানে আর কিছুদিন থাকলে সে প্রকাশ্যেই হয়তো কথা শুনিয়ে দেবে।
তা ছাড়া এই দুমূর্লে্যর বৎসরে সে-ই কেন অপরের অন্নে ভাগ বসাতে আসবে? তা সে পারবে না। তার ছেলেকে যে অপরে মুখ কালো করবে, কোনো কথা বলবে, তা তার সহ্য হবে না। ওরই একটা ভবিষ্যতের সুরাহার জন্যে এখানে আসা। শ্যামলালের অত্যন্ত মায়ার শরীর। মনে আছে, ছেলেবেলায় শ্যাম একবার কোথা থেকে একবাটি গরম মুড়ি নিয়ে এসে খেতে বসলো। রামলাল স্কুলের খাতা দেখছিল নিকটেই বসে। বললে—ও খোকন, খিদে পেয়েচে, দুটো মুড়ি দিবিনে?
শ্যাম বললে—না।
—দিবিনে?
—না, আমি খাবো। বোষ্টম দিদি দিয়েচে—
—তা হোক, আমায় দে।
—তোমার খিদে পেয়েচে?
—উঃ, আমার ভয়ানক খিদে পেয়েচে। আমার কান্না পাচ্ছে খিদেতে।
—না বাবা, কাঁদিস নে। এই নে, মুড়ি খাবি? খা।
এই বলে ছোট হাতের মুঠোতে বার বার মুড়ি নিয়ে এসে ওকে খাইয়ে যেতে লাগলো। প্রথম এক মুঠো মুড়ি খেয়ে রামলাল মনে মনে বলেছিল—বাবা, আশীর্বাদ করি, ভাতের কষ্ট কখনো পেও না।
খোকা নিজে সে মুড়ি খেলেই না। সব মুড়ি নিয়ে এসে বাবাকে খাওয়াল। রামলাল বাধা দিলে না, দেখি না, খোকা কত মুড়ি ওকে খাওয়াতে পারে! বাটি শেষ করে ফেললে খোকা।
—হ্যাঁরে, তুই খেলি নে?
—এই যে তুমি বললে খিদে পেয়েচে?
অল্প বয়সে শ্যামলাল খুব ভালো ভালো কথা বলতো। তখন শ্যামলালের বয়েস হবে তিন বছর। আজ সে এত দূর দেশে এসেচে কেন? শুধু এসেচে শ্যামলালের একটা কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যে। পশ্চিমবঙ্গে আর কিছু হবে না, উদ্বাস্তু বহু এসেচে, যেখানে সেখানে গাছতলায় মাঠে শ্মশানে পড়ে মরচে। কেউ তাদের দিকে তাকায় না। ক’দিন এমন কষ্ট ভোগ করতে হবে ওদের তা কে জানে? যা নেবার নিক ওরাই বাংলাদেশ থেকে। না নিলে ওরা খাবে কি? শ্যামকে নিয়ে সে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে এসেচে, এতটুকু পশ্চিমবঙ্গে আর কুলোবে না সব বাঙ্গালীর। বাইরে বেরিয়ে পড়তে হবে বাংলার লোকের। এতদিন পৈতৃক জমির বোনা ধানের ভাত খেয়ে চলেচে, কিন্তু তাতে আর চলবে না। যে অন্নকষ্টের তাড়নায় জগতের বড় বড় জাতি বাইরে গিয়ে ছোট বড় উপনিবেশ স্থাপন করেচে, দূর দুর্গম মরুভূমিতে সোনার খনির সন্ধানে বেরিয়েচে, রকি পর্বতের শৃঙ্গে উঠেচে ডিম খুঁজতে, ডুবো জাহাজে রত্ন সন্ধান করেচে, শক্ত হাতে বর্বরদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জঙ্গল কেটে আশ্রয় নির্মাণ করেচে, বাঙ্গালীকে তাদের মতো হতে হবে। ইস্কুলে ভূগোলের গল্প কি বালক-পাঠ্য রচনার মধ্যে এই সব কাহিনী পড়তে পড়তে রামলাল কতবার ভেবেচে।
সেইজন্যেই সে এসেচে এতদূরে।
এই বয়সে তার এতদূরে আসবার মূলেই রয়েচে এই মনোভাব। অবশ্য শরৎকালীবাবুর প্রেরণাও অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে তাকে এ পথে। শ্যামলালকে একটা ভালো জায়গায় বসিয়ে দিয়ে যেতে হবেই তাকে। এটা তার মস্ত বড় কর্তব্য।
শ্যামলালের মা ছেলেকে এতদূরে পাঠিয়ে বেশী দিন থাকতে পারবে না। সে জানে, তাকেও এখানে আনবার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু নিজেরা একটু পাকা ভিৎ তৈরি করে না বসতে পারলে দেশ থেকে ওদের আনা চলবে না—তাও সে বোঝে।
শরৎকালীবাবুর উৎসাহেই ডাক্তারখানার ঘর দেখা হল বাজারের মধ্যে। শরৎবাবু নিজের স্ত্রীকে ভালো করেই চিনতেন। গত কয়েক রাত্রে তিনি ঠারে-ঠোরে স্বামীকে জিগ্যেস করেচেন, ঠাকুরজামাই তাঁর ছেলেকে নিয়ে আর কতদিন এখানে আছে? উদার স্বামীর উদারতার সুযোগ গ্রহণ করা তত কঠিন কাজ নয়, কিন্তু সংসারের লক্ষ্মী হিসাবে তাঁরও একটা কর্তব্য আছে—না নেই?…বাড়ি হোটেলখানা করে রাখার ফলেই তো আজ এ দুর্দশা। নতুবা অনেক কিছু করতে পারতেন স্বামী, যদি তাঁর মতো গোছালো হিসেবী শক্ত স্ত্রীর সুপরামর্শ মেনে চলতেন।
তা তো জীবনে হল না। পরের ভাত রাঁধতে রাঁধতেই প্রাণ গেল। যে যেখান থেকে আসুক বাঙ্গালী হলেই হল, উঠেচে এসে ডাক্তার-বাড়ি, তারপর রয়ে গেল কে জানে দশদিন, কে জানে একমাস। চেঞ্জে যদি শরীর সারতে এসে থাকে, তবে তো আরো ভালো। বিনি পয়সায় ডাক্তার, বিনি পয়সায় অন্নপথ্য। গত ত্রিশ বৎসর তিনি এরকম দেখে আসচেন, জীবনের আসল অংশটাই এভাবে কেটে গেল—এরপর আর চৈতন্য হবে কবে?
স্ত্রীর সদুপদেশ শুরু হয়ে গিয়েচে, তবে এখনো উগ্রমূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করেনি সে উপদেশের বাণী। ঠারে-ঠোরে চলচে। বাণী যেদিন রূপ পরিগ্রহ করবে, সেদিন রামলাল বা তার ছেলের পক্ষে বড় দুর্দিন, শরৎকালীবাবু তা জানতেন।
তার আগে এই গরীব পিতাপুত্রের একটা কিছু ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বিশেষ করে তিনি উৎসাহ দিয়ে যখন ওদের এখানে এনেচেন।
.
একটা খোলার ঘরে চায়ের দোকান। পাশে হনুমানজীর মন্দির। কয়েকটি সারি বাঁধা দোকান। একটা দোকান থেকে একজন মোটামতো লোক ডেকে বললে—এই যে ডাগদারবাবু, আসেন, আসেন—রাম রাম।
শরৎকালীবাবু বললেন—রাম রাম, ভাল আছ মঙ্গলী?
লোকটি হাতজোড় করে বললে—আপনাদের মেহেরবানিতে একরকম কাটচে। তারপর ইদিকে কুথায় আসা হয়েছিল? ইনি কে আছেন? আমার দোকানে পায়ের ধুলো পড়বে না?
শরৎকালীবাবু রামলালকে নিয়ে বড় গোলদারি দোকানটার মধ্যে ঢুকলেন। লোকটি তাঁদের বসবার জন্যে চেয়ার পেতে দিয়ে নিজে কোঁচার কাপড় দিয়ে ঝেড়ে দিলে।
—একটু চা হিনছা হবে না ডাগদারবাবু?
—না, আমাদের দুজনের কারো সন্দে-আহ্নিক হয়নি এখনো। চা চলবে না। এসেছিলুম যেজন্যে বলি। তোমার একটু সাহায্য চাই মঙ্গলী। ইনি আমার শালা, শালা বোঝো? স্ত্রীর ভাই। খুব ভালো হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। ওঁকে জগধারী সাউয়ের খোলার ঘরটাতে বসাচ্ছি। তোমাকে একটু দেখতে হবে এঁকে। এর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই রামলাল। এর নাম মঙ্গলী ভকৎ, এখানকার বাজারের সব চেয়ে বড় মার্চেন্ট—
মঙ্গলী ভকৎ বিনয়ে নুয়ে পড়ে হাতজোড় করে বলতে লাগলো—কুছু নেই, কুছু নেই, সে সব আপনাদের মেহেরবানি। ভালোবাসেন, তাই বোলেন। দেখান ভি। নইলে আমি কুছু:নই।
রামলাল জিজ্ঞেস করলে—আচ্ছা ভকৎ মশায়, এখানে ডাক্তারী চলবে?
—খুব চলবে। দেহাতি লোক বাজারে আসে বহুৎ, আমি বলে দেবো সবাইকে, খুব চলবে। ওদের হাতে পয়সা ভি আছে। ক’ রূপেয়া কিরায়া বোলা?
শরৎকালী বললেন—তেরো টাকা।
—তা হোবে। আগে ধুরুয়াডিহিতে ও রকম ঘর কোই পুছতা ভি নেহি। আজকাল সব চলে যাচ্ছে।
রামলাল বললে—কিন্তু আমাদের দেশে ও রকম একটা ঘরের ভাড়া ত্রিশ টাকা।
—হাঁ, কাহে না হোবে? এ আছে জংলী দেশ। একদম জঙ্গল। আগে, কুছু বেশি আগে নেই, পঁচিশ-তিস বছর আগে এই বাজারে ঝিনডুং পাহাড়সে ছের নিকালতা থা। বাঘ বেরুতো মোশাই।
—বলেন কি?
—তবে? নিজের চোখে দেখা, বাজার তো কাল হল। উঠলেন? আচ্ছা, কোনো দোষ নিবেন না ডাগদারবাবু।
—তা হলে ভকৎ মশায়, একটু দেখবেন। নমস্কার।
—কুছু বলতে হোবে না। রাম রাম বাবুজী। রাম রাম ডাগদারবাবু। চা আর একদিন এসে খেতে হোবে।
অন্ধকার পথের দুধারে বড় বড় শালগাছ। জোনাকির ঝাঁক জ্বলছে ডাল-পালার অন্ধকারে।
রামলাল বললে—তাহলে দাদা, কবে থেকে ডাক্তারখানা খোলা যাবে? একটা দিন দেখতে হবে পাঁজিতে। যা দু-দশ টাকা হয়। আর একটা কথা, আমাদের একটা বাসা ঠিক করে দেবেন।
—বাসা এখন কেন? কিছুদিন আমার এখানে চলুক না। বাসার জন্যে কোনো ভাবনা নেই। জলে পড়ে আছ নাকি?
—তা হোলেও বাসা ঠিক করে দিন।
—আচ্ছা, আচ্ছা, সে হবে। গাছে কাঁটাল, গোঁপে তেল। আগে ডাক্তারখানাই খোলো তো। কেমন আয় হয় দেখা যাক। তবে মঙ্গলী ভকৎ লোকটা যতই খারাপ হোক, আমায় খুব মানে। ও চেষ্টা করলে ডাক্তারখানা দাঁড়িয়ে যাবে।
.
শ্যামলাল বাড়িতে এসে দেখলে মামীমা তার জন্যে একটু পিণ্ডাকৃতি ড্যালা-পাকানো শক্ত মোহনভোগ হাতে নিয়ে তার দিকে আসচেন। রোজই ওই এক জিনিস জলখাবার। ভালো লাগে না রোজ রোজ। মুখে যেন আজকাল তেমন প্রসন্নতা নেই মামীমার। বড্ড ভয় করে সে চলে মামীমাকে।
সে জিজ্ঞেস করলে—বাবা কোথায় মামীমা?
—ওরা দুজনে বেড়াতে বেরিয়েচে কোনদিকে।
শ্যামলাল নিরাস হল। রামজীবনের ওখানে এতবড় চাকরির খবরটা সে সর্বাগ্রে তার বাবাকে গোপনে জানাবে। আনন্দের ভাগ সে আগে দেবে তার বাবাকে।
তার আগে কাউকে সে জানাবে না।
বাবাকে কতক্ষণ যেন দেখেনি। এই বিদেশে কেউ তার আপন নেই। বাবার মুখ দেখে সে মনের নিঃসঙ্গতা দূর করে। বাবা কোথায় গেল আবার? যেখানে সেখানে যাওয়াই বা দরকার কি? এই সব জংলী জায়গায়! তবে মামা সঙ্গে আছেন এই যা ভরসা।
মোহনভোগের রসকসহীন শুকনো ড্যালা গলাধঃকরণ করে শ্যামলাল বাইরে আসতেই বাবার গলা শুনতে পেলে। না, কেউ সঙ্গে নেই। সে ডেকে বললে—কে? বাবা?
—হ্যাঁ বাবা, আমি। তুই কখন ফিরলি?
—মামা কোথায়?
—দুধ দেখতে গেলেন গোয়ালা-বাড়িতে। এখুনি আসবেন। কেন?
—না, তাই বলচি।
এই উপযুক্ত অবসর। নির্জন তারকাক্ষেত্র কালো আকাশে ছড়িয়ে আছে মাথার ওপর। আনন্দের সংবাদ সে শুধুমাত্র বাবার কানে সর্বাগ্রে শোনাবে। আর কেউ নেই। আর সব পর। যদি এতটুকু আনন্দ দেবার ক্ষমতা ওর হয়ে থাকে অমৃত পরিবেশনের, তবে আগে অমর করবে সে তার বাবাকে।
বললে—বাবা, এদিকে এসো, শোনো একটা কথা।
রামলাল ওর চাপা গলার আগ্রহাকুল সুরে ভয় পেয়ে গেল। কাছে এসে বললে—কি রে? কি হয়েছে?
—বাবা, আজ রামজীবন পাঠকের বাড়ি বেড়াতে গিইছিলাম। সে মস্ত বড় কাঠের ব্যবসাদার। আমাকে তার খুব পছন্দ হয়েচে। আজ আমাকে চাকরি দিয়েচে সে, মাসে একশো সওয়াশো টাকা পাবো সব নিয়ে। দেড়শো পর্যন্ত পাওয়া যাবে কোনো কোনো মাসে। কাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে।
কথা শেষ করে একগাল হেসে বাবার বিস্ময়স্তব্ধ মুখমণ্ডলের দিকে চেয়ে বললে—কেমন, ভালো না বাবা? তোমার মত আছে? আমি বলে এসেচি বাবার মত জেনে কাল যা হয় করবো। বেশ হল না বাবা?
.
উপন্যাসটা কি সম্পূর্ণ আপলোড করা হয়েছে? মনে তো হয় না।
আমরা তো এ পর্যন্তই পেয়েছি।
এটি বিভূতিভূষণের শেষ ও অসমাপ্ত উপন্যাস বলে শোনা যায়।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাসটি শেষ করেছেন ।