চতুঃষষ্টিতম অধ্যায় – কামেশ্বরীতন্ত্র
ঈশ্বর বলিলেন;–হে ভৈরব! এক্ষণে কামেশ্বরী দেবীর মূর্তি বর্ণন করিতেছি, শ্রবণ কর। যে মূর্তির চিন্তামাত্রেই সাধক আপনার অভিলষিত লাভ করে।
হে বেতাল ও ভৈরব। প্রথমে তাহার মন্ত্র, তাহার পর ধ্যান এবং তাহার পর পূজাক্রম বলিব। ২
অগ্রে প্রজাপতি (ক), তাহার পর বহ্নি (র), তাহার চতুর্থ স্বর (ঈ) এবং চন্দ্রবিন্দু যুক্ত (ঁ) ইন্দ্ৰবীজ, ইহাই কামাখ্যার মন্ত্র, সকল কাম এবং, অর্থের সাধক। ৩
স্থানাভ্যুক্ষণ যন্ত্রাদি-নিৰ্মাণ পাত্র স্থাপন-আদি এবং ভূতাপসরণাদি উত্তর তন্ত্রে বৈষ্ণবীতন্ত্র-প্রসঙ্গে যেরূপ কথিত হইয়াছে, সাধক স্বয়ং সেইরূপে তাহাদের গ্রহণ করিবে। ৪
অনন্তর প্রাণায়াম, দহন এবং প্লবন পূর্ববৎই করিবে। হে বেতাল ও ভৈরব! এক্ষণে কামাখ্যাদেবীর মণ্ডলের বিশেষ বলিতেছি, শ্রবণ কর। ৫
ষটকোণ মণ্ডল অঙ্কিত করিয়া উহাকে রক্তবর্ণরূপে চিন্তা করিবে। ৬
বুদ্ধিমান বিচক্ষণ সাধক, ত্রিপুরাতন্ত্রের মত শক্তিদ্বারা শম্ভুর ভেদ করিয়া ক্রমেতে শম্ভু দ্বারা শক্তির ভেদ করিবে। ৭
দক্ষিণে ঈশানকোণ নৈর্ঋতকোণ, অবধি রেখা করিয়া পশ্চিম হইতে পূর্ব গামিনী এবং পূর্ব হইতে উত্তরগামিনী রেখা করিবে। ৮
অনন্তর উত্তর হইতে পশ্চিমগামিনী রেখা অঙ্কিত করিয়া ঐ সকল রেখায় যোগ করিবে। উত্তর ও পশ্চিমে ঐ মণ্ডলের দ্বার হইবে, উহা দক্ষিণে ত্রিকোণ এবং পূর্বে ষট্কোণ হইবে। অনন্তর উত্তর-পশ্চিমে জালন্ধর পীঠ অঙ্কিত করিবে, দক্ষিণে ওড্র পীঠ এবং পূর্বে কামরূপ অঙ্কিত করিবে। ৯-১১।
দেবীর দ্বাদশ কর দ্বারা যে দ্বাদশ গুহ্য সম্পাদিত হইয়াছিল; তাহাদিগকে মণ্ডলের কোণে এক একদিকে তিনটি করিয়া অঙ্কিত করিবে। ১২
ছয় ছয়টি রেখা দ্বারা মণ্ডলের ক্ৰম কৰ্ত্তব্য। এতদ্ভিন্ন হে বেতাল ও ভৈরব। বৈষ্ণবীতন্ত্রে যেরূপ মণ্ডলের উপক্রম উক্ত হইয়াছে, এস্থলে সেইরূপ জানিবে। ১৩-১৪
প্রথমে মণ্ডলকে যোগপীঠস্বরূপ ধ্যান করিয়া ও ক্লীং মণ্ডলতত্ত্বায় নমঃ এই মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক উহার পূজা করিবে। ১৫
যোনিমণ্ডলে পীঠশিলায় একটি ত্রিকোণ মণ্ডল লিখিবে, পশ্চাৎ উহা পদ্ম দ্বারা বেষ্টিত করিবে। ১৬।
অনন্তর কামেশ্বরীর মনোহর রূপ ধ্যান করিয়া চিন্তা করিবে। ১৭।
ঐরূপ–দলিত-অঞ্জন-সদৃশ, কেশকলাপ-কৃষ্ণবর্ণ এবং স্নিগ্ধ, ছয়টি মুখ, দ্বাদশটি হস্ত, অষ্টাদশটি শোচন, ছয় মস্তকের প্রতিমস্তকেই অর্ধচন্দ্রাকৃতি শেখর, কণ্ঠ ও বক্ষঃস্থল মণি মাণিক্য ও মুক্তাদি দ্বারা বিরচিত মালায় অলঙ্কৃত, তাহার অন্যান্য অবয়বও সকল প্রকার অলঙ্কারে ভূষিত। ১৮-১৯
দক্ষিণদিকের ছয় হস্তে পুস্তক, সিদ্ধসূত্র, পঞ্চবাণ, খড়্গ, শক্তি এবং শূল বিধারিত। ২০
বামহস্তসমূহে অক্ষমালা, মহাপদ্ম, কোদণ্ড, অভয়, চর্ম এবং পিনাক শোভিত। ২১
হে মহাভাগগণ। ঈশানকোণ পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর এবং মধ্যস্থিত মস্তক যথাক্রমে শুক্র, রক্ত, পীত, হরিত, কৃষ্ণ এবং বিচিত্র এইরূপ নানাবর্ণ বিশিষ্ট। ২২-২৩
শুক্লবক্ত্র মাহেশ্বরী, রক্ত কামাখ্যা, পীতবর্ণা ত্রিপুরা, হরিদ্বর্ণা সারদা, কৃষ্ণবক্ত্র কামেশ্বরী, এবং চণ্ডা চিত্রবক্ত্র; প্রতিমস্তকেই কেশপাশ সংযত। ২৪-২৫
সিংহোপরি শ্বেতবর্ণের একটি প্রেত, তদুপরি লোহিত বর্ণের পদ্ম, তাহার উপর কামেশ্বরী দেবী–ঈষৎ হাস্যমুখে উপবিষ্টা। ২৬
তাহার শরীর বিচিত্র অংশুকে সংবীত ও পরিধানে ব্যাঘ্রচর্ম; ধর্ম কাম এবং অর্থের সিদ্ধির নিমিত্ত কামেশ্বরীর এই মূর্তির ধ্যান করিবে। ২৭
পীঠ বা অন্যত্র দেবীপূজার ক্রম এই যে, পীঠে বিশেষক্রমে পূজা করিবে, অন্যত্র সামান্যক্রমে অঙ্গুষ্ঠাদিক্রমে দু’টী দুটী করিয়া অঙ্গুলী সংযুক্ত করিবে। ২৮
মূলমন্ত্রের আদ্যাক্ষরে ক্রমে ছয়টি দীর্ঘস্বর যুক্ত করিয়া যে ছয়টি মন্ত্র হইবে, তাহা দ্বারা অঙ্গুলীক্রমে ন্যাস করিবে। ২৯
ঐরূপ দক্ষিণ হস্তদ্বারা হৃদয়, মস্তক, শিখা, কবচ এবং নেত্রেও ঐ ছয়টী মন্ত্র দ্বারা ন্যাস করিবে। ৩০
আস্য, বাহুযুগ, কুক্ষি, অপানদেশ, জানুদ্বয় ও পাদদ্বয়েও ক্রমে ঐ ছয় মন্ত্র দ্বারা ন্যাস করিবে। ৩১
অনন্তর অর্ঘ্যপাত্রস্থিত জলে আটবার মূলমন্ত্রের জপ করিয়া ঐ জল দ্বারা স্বদেহ এবং উপকরণের অভ্যুক্ষণ করিয়া পূজা আরম্ভ করিবে। ৩২
দেবীকে কখন দেশীয় কখন বা বিদেশীয় লোকে পূজা করে, কাহারই করস্পর্শে দেবী উদ্বিগ্ন হন না। ৩৩
কোন ভিন্ন দেশীয় লোক দেশান্তরস্থিত পীঠস্থানে যাইয়া সেই দেশীয়দিগের উপদেশ অনুসারে পূজা করিবে। ৩৪
যদি কামরূপ ভিন্ন অন্য দেশ হইতে মনুষ্য আগমন করে, তাহা হইলে তদ্দেশীয় উপদেশ অনুসারে পূজা করিয়া ফল প্রাপ্ত হয়। ৩৫
ওড্র এবং পাঞ্চাল প্রভৃতি যে দেশে যে প্রকার পূজার বিধি উক্ত হইয়াছে সেই দেশের পীঠদেবতাকে তদনুসারে পূজা করিবে। ৩৬
হে ভৈরব! যদি মহাবিভব সম্পত্তি দ্বারা অন্যরূপ পূজা করে, তাহা হইলে সে ব্যক্তি সম্যক ফল লাভ করিতে সমর্থ হয় না। ৩৭
এই বৈষ্ণবীতন্ত্রে যে ক্রম অনুক্ত হইয়াছে, তাহা যদি উত্তর তন্ত্রে উক্ত হইয়া থাকে, তবে সাধক তাহাও গ্রহণ করিবে। ৩৮
প্রথমে পূর্বদ্বারে কামতত্ত্বের পূজা করিবে, দক্ষিণে প্রীতিতত্ত্ব ও পশ্চিমে রতিতত্ত্বের পূজা করিবে। ৩৯
উত্তরে মোহনতত্ত্বের পূজা করিবে; ইহাদিগের পূজা যথাক্রমে করিবে। ঈশানকোণে দ্বারপাল গণেশের পূজা করিবে। ৪০
অগ্নিকোণে অগ্নিবেল, নৈর্ঋতকোণে কাল, এবং বায়ুকোণে বায়ুর পূজা করিবে; ইহাদিগের পূজাও ক্রমশঃ করিবে। ৪১
চতুষ্ক, পঞ্চক, ষটক, চতুষ্ক, পঞ্চক এবং চতুঃষটপ্রকার যে জানিতে সমর্থ, সেই ব্যক্তিই পীঠপূজা করিতে সমর্থ। ৪২
প্রথম পীঠের নাম ওড্র, দ্বিতীয় জালশৈল, তৃতীয় পূর্ণ এবং চতুর্থ কামরূপ। ৪৩
ওড্র-পীঠ পশ্চিমে অবস্থিত, সেই স্থানে ওড্রেশ্বরী কাত্যায়নী এবং ওড্রেশ্বর জগন্নাথের পূজা করিবে। ৪৪
উত্তরে জামশৈল নামক প্রশস্ত পীঠ, সেই স্থানে জালেশ্বর মহাদেব, জলেশ্বরী চণ্ডী, দীৰ্ষিকা এবং উগ্রচণ্ডার পূজা করিবে। ৪৫
দক্ষিণে পূর্ণ শৈল এবং তত্রস্থিত পূর্ণেশ্বরী শিবা, পূর্ণনাথ, মহানাথ, সরোজা এবং চণ্ডিকার পূজা করিবে। ৪৬
ঐ স্থলে দমনী দেবী, শান্তা এবং অম্বিকারও পূজা করিবে। হে ভৈরব ও বেতাল। কামরূপ পীঠ ও তত্ৰস্থিত কামেশ্বরী শিবা, পর্বতশ্রেষ্ঠ নীল এবং কামেশ্বরনাথ ইহাদিগকে ক্রমশঃ-পূৰ্বাদিদ্বারে পূজা করিবে। ৪৭-৪৮
ওড্রাদি পীঠের অন্যান্য ক্ষেত্রপাল এবং অন্যান্য দ্বারপালদিগের স্ব স্ব স্থানে পূজা করিবে। ৪৯
কামেশ্বরী পূজা প্রসঙ্গে কামরূপের কতকগুলি বিশেষ দেবতা আছেন; হে বেতাল ও ভৈরব। নীলপৰ্বতস্থিত তাহাদিগের নাম শ্রবণ কর। ৫০
কামেশ্বরনাথ মহাদেব, মহাদেবী কামেশ্বরী, করাল ক্ষেত্রপাল, তিন্তিড়ীবৃক্ষ। ৫১
ত্রিকুট নীল শৈল, মনোভবা গুহা, কম্বলনামক বটুক, অপরাজিতা বল্লী, পাণ্ডুনাথ নামক ভৈরব, হেরুক নামক শ্মশান, মহোৎসাহা যোগিনী, চন্দ্রাবতী পুরী, লৌহিত্যনামক নদরাজ, প্রান্তা দিক্করবাসিনী, বায়ুকোণস্থিত জল্পীশ এবং বহিঃস্থিত কেদার। ইহাদিগকে দেবীর মণ্ডলে পূর্বদ্বারে পূজা করিবে। ৫২-৫৪
পীঠশ্রেষ্ঠ কামরূপে যেরূপ দ্বারপাল, যোগিনী এবং বটুক আছে, ওড্রাদি পীঠেও তাহাদিগকে সেইরূপ জানিবে। ৫৫
মণ্ডলের মধ্যে মনোভবের দ্রাবণ, শোষণ, বন্ধন, মোহন এবং কর্ষণনামক এই পঞ্চ বাণের পূজা করিবে। ৫৬
সুধী সাধক উত্তরাদি দিকে ষট্কোণের অগ্রভাগে ত্রিপুরা তন্ত্রমন্ত্রোক্ত ভগাদি ষটকের ক্রমশঃ পূজা করিবে। ৫৭
সেইরূপ গণক্রীড়াদি, বিদ্যাকলাদি এবং সিদ্ধাদি কুমারীদিগেরও পূজা করিবে। ইহাদের চারি চারিটীতে এক একটি গণ হয় বলিয়া, ইহারা চতুষ্ক নামে বিখ্যাত। ৫৯
কাম, রতি, প্রীতি এবং অনঙ্গমেখলাদিরও পূজা করিবে। ৬০
ত্রিপুরঘ্ন-আদি সপ্ত, অসিতাঙ্গাদি নব এবং মাহেশ্বরী-আদি পঞ্চাশৎ দেবী।
কামফলপ্রদ কামরূপপীঠে ইহরা দ্বিতীয় পঞ্চক নামে বিখ্যাত। তন্ত্রে নিত্য আধারশক্তি আদি প্রতিষ্ঠিত। ৬২
ধর্ম-আদি আট-সত্ত্বাদিগুণ এবং গ্রহ ও দিকপালগণ ইহরা দ্বিতীয় চতুষ্ক নামে বিখ্যাত। ৬৩।
হে বেতাল ও ভৈরব! পূর্বোক্ত দেশ-মন্ত্ৰদ্বারা দেবীর নায়িকা উগ্রচণ্ডা আদির ভক্তিপূর্বক পূজা করিবে। ৬৪
আবাহন, ষোড়শোপচার দান, জপ, বলিদান, অঙ্গ ও অস্ত্রাদির পূজন এবং মুদ্ৰাপ্রদর্শনপূর্বক বিসর্জন, ইহারা ষটক বলিয়া কীৰ্তিত হইয়াছে। যে সুধী পূজক এই সপ্ত প্রকার জ্ঞাত হয়, সেই ব্যক্তিই ওড্রাদিপীঠের পূজা করিতে সমর্থ হয়। ৬৫-৬৬
যে ব্যক্তি সম্যক প্রকারে না জানিয়া, এই পীঠপূজা করে, সে সম্যক প্রকার ফল লাভ করিতে সমর্থ হয় না এবং অল্পায়ুও হইয়া পড়ে। ৬৭
হে ভৈরব! ত্রিপুরা তন্ত্রমন্ত্রোক্ত স্থানে ইহাদিগকে প্রথমে পূজা করিয়া অনন্তর পরমেশ্বরীর চিন্তা করিবে। ৬৮
চিন্তা করিয়া কামেশ্বরীকে হৃদয়ে মনে মনে মনঃকল্পিত কুন্দ পুষ্পাদি দ্বারা পূজা করিয়া দক্ষিণ নাসাদ্বারা বায়ু নিঃসারণপূর্বক সেই পুষ্পমণ্ডলমধ্যে স্থাপিত করিয়া সৰ্ব্বকামেশ্বরেশ্বরী মহাদেবীর আবাহন করিবে। ৬১-৭০
হে কামেশ্বরি। এই স্থানে আগমন করুন, আমার সমীপে সম্মুখীন হউন। আমরা কামেশ্বরী দেবীকে জ্ঞাত আছি, কামাখ্যা দেবীর ধ্যান করিতেছি। অতএব মহামায়া কুব্জী আমাদের ধিশক্তি বর্ধন করুন। ৭১-৭২
হে লোকানুগ্রহকারিণি মাতঃ ভগবতি! আগমন করুন। হে কামেশে কামরূপে কামকান্তে! আমার উপর প্রসন্ন হউন। ৭৩
অনন্তর পূজক প্রথমে স্নানজল দান করিয়া পরে মূলমন্ত্র দ্বারা ষোড়শ উপচার প্রদান করিবে। ৭৪
হে ভৈরব! তদনন্তর সিদ্ধেশ্বরাদি সমুদয় পীঠ দেবতার মণ্ডলের মধ্যে পূজা করিবে। তৎপশ্চাৎ মণ্ডলের মধ্যভাগে চতুঃষষ্টি যোগিনী দেবীর ও সকল প্রকার অস্ত্রের পূজা করিবে; তদনন্তর ষড়ঙ্গেরও পূজা করিবে। অঙ্গন্যাস প্রসঙ্গে যে সকল মন্ত্র উক্ত হইয়াছে, সেই সকল মন্ত্র দ্বারাই দেবীর অঙ্গসমূহের পূজা করিবে। ৭৫-৭৬
কামনাসমূহের সিদ্ধির নিমিত্ত পূৰ্বাদি অষ্ট দলে যথাক্রমে বক্ষ্যমাণ কামদায়নী যোগিনীগণের পূজা করিবে। ৭৭
গুপ্তকামা, শ্রীকামা, বিন্ধ্যবাসিনী, কোটীশ্বরী, বনস্থা, পাদচণ্ডিকা, দীর্ঘেশ্বরী এবং প্রকট ভুবনেশ্বরী এই অষ্ট যোগিনীর ক্রমশঃ পূজা করিবে। ৭৮
বৈষ্ণবীতন্ত্রমন্ত্রের যে আটটি অক্ষর আছে, তাহাদিগের এক একের উপর এক একটি বিন্দু যোগ করিলে ইহাদিগের মূলমন্ত্র হয়। ৭৯
হে ভৈরব! ঈশানাদিক্রমে ষটকোণের মধ্যে মধ্যে বক্ষ্যমাণ ছয় দেবীর পূজা করিবে। ৮০
কামাখ্যা, ত্রিপুরা, সারদা, মহোৎসাহ, প্ৰকটা ভুবনেশ্বরী এবং সিদ্ধকামেশ্বরী; ইহারা দেবীরই মূর্তিভেদ মাত্র। ৮১
পুনৰ্বার অষ্ট প্রকার পুষ্পদ্বারা আট বার দেবীর পূজা করিয়া, জপ, স্তব, বলিপ্রদান ও মুদ্রা প্রদর্শন করিবে। ৮২
সিদ্ধচণ্ডীকে দেবীর নির্মাল্য সমর্পণ এবং মণ্ডল হইতে দেবীকে বিসর্জন করিয়া যোনিমণ্ডলে স্থাপন করিবে। ৮৩
হে পুত্র বেতাল ও ভৈরব। এই কামেশ্বরী তন্ত্ৰ তোমাদিগের নিকট বলা হইল, এক্ষণে সমন্ত্র শারদার মহামন্ত্র শ্রবণ কর। ৮৪
চতুঃষষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত। ৬৪
If I worship goddess kameswari then will I get goddess kameswari as my wife?