৫
পরদিন বিকেলবেলার দিকে শ্যামলাল গিয়ে হাজির হল রামজীবন পাঠকের বৈঠকখানায়। ঢুকতেই সেই সেকেলে বনেদী আবহাওয়া ও পুরনো মরচে-পড়া গন্ধটা ও সর্ব-অঙ্গ দিয়ে অনুভব করলে। সেই জাজিম আর সাদা চাদর পাতা তক্তপোশে বড় একটা তাকিয়া হেলান দিয়ে বসে আছে রামজীবন পাঠক। ওকে দেখে তাড়াতাড়ি সোজা হয়ে বসে বললে—আইয়ে আইয়ে বাবুজী। আপনার জোন্যেই বোসে আছি মসা—নমস্তে—
—নমস্কার।
—চা করতে বলি? আর কুছু জলখাই?
—বলুন।
এই ‘বলুন’ কথাটা সে অন্য জায়গায় বলতে পারতো না, কিন্তু এখানে একদিনের মধ্যেই তার যেন কেমন ঘনিষ্ঠতা হয়ে গিয়েচে। এক ধরনের কেতাদুরস্ত লোক আছে যাদের সামনে অনেক ভেবেচিন্তে কথা বলতে হয়, পাছে কোন খুঁত ধরে ফেলে কথার মধ্যে। এই সরল সদানন্দ বৃদ্ধের সঙ্গে কোনোরকম ব্যবহারেই যেন কোনো সঙ্কোচ মনের মধ্যে জাগে না শ্যামলালের।
একটু পরে চা ও খাবার নিয়ে এল এক বালকভৃত্য। বৃদ্ধ তাকে বললে—এই ভাদুয়া, হামারা ভাং লেতে আও—
—আবি ভাং পিয়োগে?
—কাহে নেই? লেতে আও—বাবুজী, ভাং খাবেন? চলবে?
—না, আমি খাইনে।
—ঠিক আছে। আরে এ ভাদুয়া, এ ক্যা জলখাই লায়া রে? থোড়া মিঠা-উঠা তো মাঙ্গাও—
শ্যামলাল বললে—আজ্ঞে না। নিমকি-গজা আছে, পাঁপর আছে, এতেই ভেসে যাবে। মিষ্টির দরকার নেই।
রামজীবন হেসে বললে—আরে কুছ নেই ভাসে গা! ভাসে গা কোন চিজ? এই ভাদুয়া, লাড্ডু তো লে আও সাত-আঠটো—
তারপর চা খেতে খেতে নানা হাসিগল্প আরম্ভ করলে শ্যামলালের সঙ্গে।
—শুনুন বাবুজী। আপনাদের বাংলাবোলির অন্দরমে বহুৎ মজাদার বাত হ্যায়—আঁখ আনেসে আপনারা বোলেন আঁখ উঠেচে—
—সেটা কি বুঝলাম না।
—আঁখ উঠা—চোখকে বেমারি—আঁখ আনা—
—ও চোখ ওঠা—
—হাঁ হাঁ, চোখ ওঠা! চোখ উঠলো কাঁহা সে?
—আঁখ আনা আপনারা বলেন। আঁখ তো যেখানে আছে, সেইখানেই আছে। আসবে কোথা থেকে?
রামজীবন পাঠক হো হো করে হেসে উঠলো। আপনমনে ঘাড় দোলাতে দোলাতে বললে—ঠিক আছে, সে কথা আপনি ঠিক বলিয়েসেন—
এই সময় একটা পেতলের কটোরাতে এক কটোরা ভর্তি বড় বড় লাড্ডু নিয়ে এল বালকভৃত্য ভাদুয়া। রামজীবন পাঠক হেসে বললে—আরে এই দেখুন বাবুজি। আপকো ওয়াস্তে ভেজিন হামারা ওয়াস্তে নেহি। হামি অত মিঠা খাই না—
—আমি তো রাক্ষস নই?
—রাক্ষস কি বাৎ কুছ নেই হোতা—খানে হোগা আপকো—
অগত্যা অনেকগুলি বিশালকায় লাড্ডু নিঃশব্দে গলাধঃকরণ করতে হল শ্যামলালকে। চা-পানের পর্ব শেষ হলে বৃদ্ধ নিজের জীবনের ইতিহাস ফেঁদে বসলো। সে আর শেষ হতে চায় না। আজ থেকে ষাট বছর আগে মাত্র দশটি টাকা আর মোটা চটের বিছানার দড়ির সঙ্গে পেতলের লোটা বেঁধে এদেশে তার প্রথম আবির্ভাব।
—এদেশে মানে?
—মানে সনুয়ায়।
—সে কোথায়?
—চক্রধরপুরের কাছে।
এইবার ভাদুয়া দুটো শ্বেতপাথরের গ্লাসে সিদ্ধি নিয়ে এল। বৃদ্ধ এক গ্লাস শ্যামলালের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললে—লিজিয়ে—
—আজ্ঞে না, আমি খাবো না।
—নেহি পিজিয়েগা?
—আজ্ঞে না।
—তব রহনে দিজিয়ে।
তারপর পুনরায় গল্প চললো। ষাট বছর পূর্বে এ অঞ্চল কেমন জঙ্গলময় ছিল, সে শ্যামলাল খানিকটা কল্পনা করবার চেষ্টা করলে। এখনই সন্ধ্যার পর ধুরুয়াডিহি গ্রামের বাইরে কোথাও থাকা চলে না, বাঘ ও হাতীর ভয়ে, এই বিংশ শতাব্দীর আলোকোজ্জ্বল দ্বিপ্রহরেও!
সন্ধ্যা নেমেচে।
রামজীবন বলে চললো : সারা সিংভূম জেলা আর বামিয়াবুরু অঞ্চল তখন ঘন জঙ্গলে ঘেরা। একটি শালগাছ কেউ কাটতো না। দিনমানে বাঘ-ভালুক বেড়াতো সড়কের ওপর। নরবলি দিত এদেশের কোল রাজা অভিরাম টুং-এর বোঙ্গাপূজার মন্দিরে। থানা ছিল চাঁইবাসায়, আর কোথাও পুলিসের বন্দোবস্ত ছিল না। এ অঞ্চলের বনের কাঠ বিক্রী হত না—কারণ কাঠ কেটে আনবার উপায় ছিল না ঘন অরণ্যানীর মর্মস্থল থেকে। সবে তখন রেল হয়েচে—অল্প কিছুদিন হ’ল। কেরোসিন তেল আনতে হত চক্রধরপুর থেকে। পিটহেড সাহেব তখন বনবিভাগের বড় কর্তা। সস্তায় বড় বড় বন নীলাম হচ্ছিল, কিন্তু নীলাম ডাকার লোক কোথায়?
মনোহরপুর ডাকবাংলোয় পিটহেড সাহেব এসেচে বনের কাঠের নীলামের বন্দোবস্ত করতে। রামজীবন পাঠক আর তার বন্ধু হরবংশ তেওয়ারি গিয়ে দেখা করলে সাহেবের সঙ্গে। দুজনে পরামর্শ করে গিয়েছিল কাঠের ব্যবসা করবে বলে। সাহেব ওদের বললে—বন তোমরা নেবে?
—নেবো হুজুর।
—কত টাকা দিতে পারবে?
—কতটা জমি হুজুর?
—দেড় হাজার একার।
—হাজার টাকা।
—টাকা নগদ দেবে?
—না হুজুর, কাঠ বিক্রী করে দেবো।
—নিয়ে যাও। মঞ্জুর।
এইভাবে ওরা জঙ্গল তো বন্দোবস্ত পেলে। কিন্তু দেড় হাজার একার জঙ্গলের কাঠ কাটিয়ে বারে বারে আনা বড় সোজা ব্যাপার নয়। অনেক বেশী মূলধন যার আছে, ষাট বছর আগেকার সেই যানবাহনহীন যুগে তার পক্ষেও এ কাজ অতীব কঠিন ছিল। রামজীবন ও তার বন্ধু অনেক পরামর্শ করে কলকাতা চলে গেল এবং নিমতলার এক বাঙালী মহাজনের গোলায় এসে উঠে সেই মহাজনকে পটিয়ে-সটিয়ে তার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে এল।
শ্যামলাল বললে—বাঙালী মহাজনের কি নাম ছিল?
—উ নাম কভি নেহি ভুল হোগা বাবুজী, মেরে অনদাতা পিতা। নাম থা উনকা পরসাদ দাস কুণ্ডু। বড়া ভারী মহাজন।
—বেঁচে আছেন?
—ক্যায়সে? উসি বখত উনকা উমর থা কোই ছেষট-সাতষট!
—টাকা নিয়ে এসে কি করলেন?
—কাম শুরু কর দিয়া। একলাক রূপেয়া নাফা হুয়া কাম মে, দো সাল বাদ।
—আপনি কত পেলেন?
সে এক ভারি মজার কথা। হরবংশ ও রামজীবন দুই বন্ধুতে মিলে পরামর্শ করলে এই টাকাটা পাওয়ার মূলে আসলে দুজন লোক।
পিটহেড সাহেব আর প্রসাদদাস কুণ্ডু।
ওদের এ টাকা ভাগ করে কিছু কিছু দিতে হবে।
—হরবংশ বহুত বাধা দিয়া। ও বোলা, হামলোক রূপেয়া কামাই কিয়া, মেহনৎ কিয়া, মহাজনসে কোন কাম? সাহেবসে কোন কাম? হামনে ঠিক কিয়া, কোই অধর্ম হামসে নেহি হো সকেগা। পরসাদ দাস বাবুকো আদা নাফা দেনেহি হোগা।
—তারপর?
—বসে বসে শোনেন। মজা কি বাৎ হ্যায়। আউর এক পিয়ালা চা তো পিজিয়ে!
বৃদ্ধ হাঁক দিলে—এ ভাদুয়া, দো পেয়ালা চা লাও—
—আমি কিন্তু এক পেয়ালার বেশি খাবো না।
—হাঁ হাঁ, ঠিক হ্যায়, ক্যা হামকো এক পিয়ালা মনজুর নেহি করেঙ্গে?
এ হিন্দীর ভালো অর্থ বুঝতে না পেরে শ্যামলাল অর্থহীন হাসি হাসলে। বুড়ো ভালো লোক, এ আগে থেকেই সে বুঝেচে। সাধু ও সৎকাজের গল্প ওর ভালো লাগে, যে করে তাকে তো ভালো লাগবেই। বুড়ো মহাজন রামজীবন যদি চতুর ও শঠতার হাসি হেসে ওর দিকে চোখ ঠেরে বলতো—‘আরে ও টাকা আর কি কাউকে দিই? কে জানচে আমরা কি লাভ করলাম না করলাম? বুড়ো প্রসাদ কুণ্ডু কি দেখতে আসচে এই বনের মধ্যে? তবে কবি শ্যামলালের আদর্শবাদী মন রামজীবন পাঠকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতো। ওর এখানে আর কখনো শ্যামলাল চা খেতেও আসতো না।
সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েচে। জানালার বাইরে বড় বড় শালগাছগুলোর ডালে জোনাকি জ্বলচে। বড় বড় পাহাড়গুলো জমাট-বাঁধা অন্ধকারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। নিস্তব্ধ হয়ে এসেচে ছোট্ট গ্রাম ধুরুয়াডিহি এরই মধ্যে। শেয়াল ডাকচে বনে-ঝোপে। একটা মহিষের গাড়ি ক্যাঁচ ক্যাঁচ করতে করতে গির্জার দিকে বেরিয়ে গেল। ওদের চা নিয়ে এল ভাদুয়া।
রামজীবন চায়ের পেয়ালাটি এক নিঃশ্বাসে চুমুক দিয়ে শেষ করে আরামের নিঃশ্বাস ফেলে বললে—আ—আ—
—বলুন গল্প।
—হাঁ শোনেন। হরবংশ আর হামি সলা করকে রূপেয়া লে গিয়া পরসাদ দাস বাবুর গদিমে। তব হিসাব কিয়া, পঞ্চাশ হাজার আউর ওর সুদ হোনে সেকতা সাত টাকা হিসাব সে সাড়ে তিন হাজার। মহাজনকে হামি দিয়া পঞ্চাশ হাজার আউর পঞ্চাশ হাজার একলাখকা হুণ্ডি। মহাজন বোলা, এতো টাকা কিসের? বললাম, আপনার। এক লাখ নাফা হুয়া হ্যায়—পিটহেড সাহেবকে দশ হাজার, আপনার পঞ্চাশ হাজার দিয়ে যো কুছ থাকবে, হরবংশ আউর হামি ভাগ করিয়ে লেবে। পরসাদ দাস বাবু স্বরগ মে চলা গিয়া, দেখতে আসচে না, বলতে ভি আসচে না। বহুৎ আচ্ছা আদমি থা। ওকালের লোক, সাচ্চা আদমি, বোলা, এ রূপেয়া তুমি নিয়ে যাও, হামি লেবে না। দো দিন মহাজনকো পাস রহ গিয়া হাম দো আদমি। কুছুতেই লেবে না। শেষমেষ মহাজনের বড়া লেড়কা বলাইবাবুকো বলে খোশামোদ করকে রাজী কিয়া।
—ওরা কত টাকা নিলেন?
—তিস হাজার। আর কুচ্ছুতেই নিলেন না। খুব খাওয়ালেন:; পুরী, তরকারি, মিঠাই রাবড়ি। বললেন, আমরা বহুৎ সাচ্চা। রূপেয়ার দরকার হোনেসে হিঁয়াসে যেতনা হোয় লিয়ে যাবে। সারান্ডা ফরেস্ট যেবার কনট্রাক্ট ডাকি, ও’ সাল একলাখ রূপেয়া দিহিন। সত্তর হাজার রূপেয়া মুনাফা হামি মহাজনকো দে দিয়া।
—মোট লাভ সত্তর হাজার?
—নেহি। আধা। বাকি সত্তর হাজার দো ভাগ করকে হামি পঁয়ত্রিস হাজার আউর হরবংশ পঁয়ত্রিশ হাজার লে লিয়া। উসি সে বন লিয়া হামলোক।
রামজীবন পাঠক গল্প শেষ করে হাসলে। বললে, বাঙালী মহাজনের জন্যেই তার এই উন্নতি। এইজন্যে সে বাঙালী লোক বড় পছন্দ করে। সেকালে বাঙালী মহাজনের মধ্যে যে সাধুতা, যে আদর্শবাদ দেখেছে সে, অন্য কোনো দেশের মহাজনের মধ্যে তা সে অন্ততঃ লক্ষ করেনি।
তারপর দুঃখের সুরে বললে—মগর ও বখৎ বীত গিয়া। আজকাল সব এক হো গিয়া বাবুজী। ব্ল্যাকমার্কেট ভি, পাইল ভেজাল ভি, জাল হিসাব কি বহি ভি, সব কুছ। আউর এক পিয়ালা চা?
—না, না, আমি কি চায়ের রাক্ষস? আবার চা কিসের?
—কুছু মিঠাই-উঠাই?
—কিছু না।
শালফুলের সুবাস! বাতাসে কিসের গন্ধ? কি সুন্দর রাত্রি! এই আরণ্য দেশের প্রশান্ত মহিমা ওর মনে তার স্পর্শ এনেচে। তার কবিমন ধীরে ধীরে জেগে উঠচে যেন। জীবনের নৃত্যছন্দ ক্লান্তিভরে থেমে গিয়েছিল যেন সাংসারিক দুর্ভাবনার চাপে। বাবার চাকরি গেল, সে বেকার—এই ভীষণ দুর্দিনে সংসার চলবে কি করে? আজ সে কথা হঠাৎ ভুলে গেল সে এই অপূর্ব নেশা, এই জনবিরল আরণ্য গ্রামের রহস্য মনে মনে অনুভব করে। কি চমৎকার বুড়ো রামজীবনের এই সততার কাহিনীটি?
তাই তো বেশী স্পর্শ করে মনকে, যা চোখে দেখা যায় না। কিন্তু স্থূল মনকে নয়। শ্যামলালের মতো সূক্ষ্ম, ভাববাদী মনকে। ওরা নামে এই নিঃসীম অন্ধকার আকাশের তারা-ভরা সৌন্দর্যরাজ্য থেকে, এই বনকুসুমের সুগন্ধ থেকে। জগৎজোড়া মহারহস্যের বাণী থেকে।
বাবার কথা মনে পড়লো শ্যামলালের। বাবাকে অনেকক্ষণ দেখেনি। এই বিদেশে বাবা তার একমাত্র আপনজন। কেউ নয় শরৎকালী মামা, কেউ নয় মামীমা। বরং এই সরল বৃদ্ধ কাঠের মহাজন রামজীবনকে তার খানিকটা ভালোই লাগলো।
ও বললে—আজ তাহলে উঠি রামজীবনবাবু—
—আরে সে তো উঠুবেন। কাজের কথা তো কুছু হোলো না। আপনি হামার এখানে কাজ লিবেন কাল সে?
—কি কাজ?
—আংরেজি চিটঠি পঢ়া, মুসাবিদা করনা, বাংলা চিটঠি লিখাপড়া, কভি চাঁইবাসা যানা, কভি কলকাত্তা যানা, কভি নাগপুর যানা! কিরানীকা কাম। মাহিনা হাম দেঙ্গে সত্তর রূপেয়া। ইসকো সিবায় চা, জলপানি, খোরাকি। ট্র্যাভেলিং এ্যালাউন্স, হল্টিং এ্যালাউন্স। নব্বই সে শও রূপেয়া গিরেগা আপকো মাহিনামে। আপনি রাজী আছেন? আপনাকে দেখে আমার খুব পসন্দ হইয়েসে। হামি মানুষ চেনে। ইদেশের কেরানী বহুৎ মিলে। মগর বাঙালী কেরানী রাখবার হিনছা বহুৎ দিনসে।
বলে কি! শ্যামলাল উঠতে গিয়ে বসে পড়ল।
সত্তর থেকে একশো টাকা মাইনের চাকরি ওর! মেঘ না চাইতে এমন ভাবে জল, অপ্রত্যাশিতভাবে চা খেতে এসে?
ওর মুখ দিয়ে প্রথমটা কথা বার হল না।
রামজীবন বললে—কি বলেন আপনি?
—আমি ভাবচি—
—কুছু ভাবতে হোবে না, এইজন্যে আপনাকে আজ চা খেতে বলিয়েসে হামি। কালসে কামমে ঘুসুন।
—বেশ। তবে বাবা আছেন এখানে, একবার তাঁকে না জিজ্ঞাসা করে—
—বহুৎ আচ্ছা। জিংগাসা করিয়ে আসুন। বহুৎ আচ্ছা বাৎ।