গীতিসংগ্রহ – অনুরাগ
৫৫৩
নাগর কালিয়া ও ধীরে ধীরে তুমি যাইও
বন্ধুরে উপরে মেঘের ছটা সঙ্গে শোভে পীত ধড়া রে।
দারুন মেঘের ডাক পাড়া পড়শি জাগেরে
কেমনে যাইবায় গোয়াল পাড়া।
বন্ধুরে নুপুর না দিও পায় দৌড় না দিও তায়
চরণে ফুটিবায় চাইও কাটা।
নুপুরের ধ্বনি শুনি জাগিবে কালননদী
চোরা বলিয়া দিবে খোটা।
সারি শুকে গান গায় আমার কলঙ্ক তায়
পুবেতে উদয় হইল। ভানু।
শ্রীরাধারমণে গায় বিদায় হইল কৃষ্ণরায়
রাই কাছে বিদায় মাগে কানু।।
খা/১
৫৫৪
বন্ধু শ্যামরায় মাথে দিয়া হাত বল শুনি
বন্ধুরে জন্মে জন্মে দাসী করি রাকবায়নি আমারে।।
কপালের তিলক তুমি রে বন্ধু নয়নের অঞ্জন
পরানের পরান তুমি ভুবন মোহন বন্ধুরে।
অগতির গতি তুমি রে বন্ধু চাঁদ মুখে শুনি
অগতি করিল মোরে নীলকান্ত মণি বন্ধুরে।।
আমার বলতে আর কেহ নাইরে বন্ধু গৌরচালেদ বলে
দয়াময়, শ্ৰীরাধারমণরে রাইখ ও চরণতলে।
সুখ / ৩৭
৫৫৫
হায়রে বন্ধু নিদারুণ কানাই–
তোমার লাগিয়া আমি যমুনাতে যাই।।ধু।।
দুক্ষের উপরে দুক্ষ দুক্ষের সীমা নাই
কার ঠাই কহিতাম দুক্ষ কাইবার জাগা নাই।।
ধন দিলাম মান দিলাম আর তো কিছু নাই–
কি ধন আছে কি ধন দিমু কলঙ্কিনী রাই।,
আমি তোমার তুমি আমার আর কিছু না চাই—
জনমের মতো যেন দাঁড়াইবার জাগা পাই।।
ভাবিয়া রাধারমণ বলে বন্ধু এইটি চাই–
জিতে না হইলে দেখা মইলে যেন চরণ পাই।।
গো (২৩৩)