৪. বাঙলার জাতিসমূহের আদি নিবাসস্থল

চতুর্থ অধ্যায় – বাঙলার জাতিসমূহের আদি নিবাসস্থল

বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় সম্পর্কিত আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি আমরা বাঙলার জাতিসমূহের আদি আবাসস্থান সন্বন্ধে কিছু আলোচনা না করি। প্রথমেই আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে বাঙলায় কোনো দিন চাতুর্বর্ণ্য প্রথার প্রাদুর্ভাব ছিল না। বাঙলা ছিল কৌম-সমাজের দেশ। এই সমাজের মধ্যে ছিল বিভিন্ন বৃত্তিধারী গোষ্ঠী। সুতরাং বাঙলায় উত্তর ভারতের গোঁড়া হিন্দুসমাজের মত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র-এই চতুর্বর্ণের উপর প্রতিষ্ঠিত সমাজ ছিল না। এই সম্পর্কে আরও মনে রাখতে হবে যে বাঙলা ছিল তন্ত্রধর্মের লীলাক্ষেত্র। পরে যখন বাঙলায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রাদুর্ভাব ঘটে, তখন বৌদ্ধরাও তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন করে। এইসকল ধর্মে জাতিভেদ ছিল না।

বাঙলায় যখন ব্রাহ্মণ্যধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটে, তখন ব্রাহ্মণদের এই সামাজিক পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। তার মানে বাঙলায় ব্রাহ্মণ ও অব্রাহ্মণ মাত্র এই বিভেদ ছিল। পাল যুগের পরে যখন সেন রাজাদের অভ্যুত্থান ঘটে, তখনই দ্বিতীয় সেনরাজা বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৬ খ্রিষ্টাব্দ) একটা জাতিবিন্যাস করার চেষ্টা করেন। সেই জাতিবিন্যাসের চিত্র আমরা বৃহদ্ধর্মপুরাণে পাই। বৃহদ্ধর্মপুরাণে ব্ৰাহ্মণ ছাড়া, বাঙলার বাকি জাতিসমূহকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে—১. উত্তম সংকর, ২. মধ্যম সংকর, ও ৩. অন্ত্যজ। সেইসকল জাতির মধ্যে অনেককেই আজ আমরা বাঙলায় দেখতে পাই। (লেখকের ‘বাঙলার সামাজিক ইতিবাস’ দ্রষ্টব্য)। পরে আরও একটা শ্রেণি-বিভাগ করা হয়েছিল। সেটা হচ্ছে, ব্রাহ্মণরা কোন জাতির হাতের জল গ্রহণ করবেন। এর জন্য নয়টি জাতি বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছিল। সেজন্য তাদের বলা হয় নবশাখ। এই নয়টি জাতি হচ্ছে তিলি, তাঁতী, মালাকার, সদেগাপ, নাপিত, বারুই, কামার, কুম্ভকার, গন্ধবণিক ও ময়রা। বৃহদ্ধর্মপুরাণের উত্তম সংকরের অন্তর্ভুক্ত ছিল করণ ও অন্বষ্ঠ। এরাই পরবর্তীকালে কায়স্ত ও বৈদ্য নামে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

বাঙলার অধিকংশ জাতিরই বেশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের আঞ্চলিক প্রাধান্য। আঞ্চলিক প্রাধান্য থেকে আমরা তাদের আদি আবাসস্থল সম্বন্ধে খানিকটা অনুমান করতে পারি। তবে আজ পরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, এবং ব্যবসা-বানিজোর প্রসারতা, তাদের নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত করেছে। সেজন্য, মনে হয়, আজকের পরিবর্তে একশ বছর আগেকার পরিস্থিতিটা আমাদের অনেক পরিমাণে সাহায্য করতে পারে। সেজন্য আমরা ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারির সাহায্য নিচ্ছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মাত্র আটটি জেলার পরিস্থিতি আমাদের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করছি। এই আটটি জেলা যথাক্রমে-

জেলাআয়তন বর্গমাইলমোট জনসংখ্যা
১. মেদিনীপুর৫,০৮২২৫,৪০,৯৬৩
২. হুগলী- হাওড়া১,৪৮২১৪,৮৮,৫৫৬
৩. বর্ধমান৩,৫২৩২০,৩৪,৭৪৫
৪. বাঁকুড়া১,৩৪৬৫,২৬,৭৭২
৫. বীরভূম১,৩৪৪৬,৯৬,৯৪৩
৬. চব্বিশপরগনা২,৫৩৬২২,১০,০৪৭
৭. নদীয়া৩,৪১৪১৮,১২, ৭৯৫

এই আটটি জেলায় যেসকল জাতি বাস করত, সংখ্যা গরিমার দিক থেকে তাদের স্থান নিচে দেখান হচ্ছে—

জাতি – সংখ্যা

১. কৈবর্ত ১৩,৪৮,৫৩১

২. বাগদী ৬,৪৪,১৬৮

৩. ব্ৰাহ্মণ ৬,১৬,৬৫৯

৪. সদেগাপ ৬,১৬,৫১৬

৫. গোয়ালা ৪,৪৪,৬৯৯

৬. কায়স্থ ৩,৩৬,৩০০

৭. তিলি ২,৯৩,২১২

৮. পোদ ২,৭০,৯৩৩

৯. তাঁতী ২,৫৪,৩৪৩

১০. চামার ২,১৮,৩৪০

১১. বাউরী ১,৮৯,১০৬

১২. কেওরা ২,৪৭,৪২৯

১৩. চণ্ডাল ১,৪৩,০১২

১৪. নাপিত ১,২২,৮৪৩

১৫. ডোম ১,৩৩,২৫৪

১৬. যুগী ১,২১,৭৯৬

১৭. কুম্ভকার ১,১২,৪৯৬

১৮. হাড়ি ১,০১,৩১৫

১৯. শুঁড়ি ৯৩,৪৭০

২০. গন্ধবণিক ৭৯,১০১

২১. সুবর্ণবণিক ৭৪,৪৬৩

২২. আগুরী ৬৯,৭৯১

২৩. ময়রা ৬১,৩১৪

২৪. তাম্বুলা ৫৪,৩৪৪

২৫ বারুই ৩৪,৩৬১

২৬. বৈদ্য ২১,১৪৮

২৭. ভূঁইয়া ১৫,১৭৮

২৮.কাঁসারী ১৪,৯৭৭

২৯. মেথর ১৪,৭৬৪

৩০. শাঁখারী ৬,৩৯০

১. কৈবর্তদের ৬,৯২,১৪০ জন বাস করত মেদিনীপুর জেলায়, ও ২,৮৮,৬২১ জন হুগলি-হাওড়া জেলায়। তার মানে কৈবর্তদের মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ সংযুক্ত এই জেলাসমূহে বাস করত। সেজন্য এটাই মনে হয় তাদের আদি আবাসস্থল। এরা অতি প্রাচীন জাতি। বর্তমানে চাষি কৈবর্তরা, তার মানে উচ্চশ্রেণির কৈবর্তরা, ‘মাহিষ্য’ নামে পরিচিত। কিন্তু ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের আদম-শুমারির সময় এরা কেউই নিজেকে ‘মাহিষ্য’ বলে দাবি করেনি।

২. বাগ্‌দিদের ২,০৫,০৭৪ জন বাস করত বর্ধমান জেলায়, ১,৫২,৬১৮ জন হুগলি-হাওড়া জেলায় ও ৯৯,৮২৬ জন চব্বিশপরগনায়। তার মানে বাগ্‌দিদেব মোট জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ এই অঞ্চলসমূহে বাস করত। মনে হয় বর্ধমান ও হুগলি-হাওড়া এই সংযুক্ত অঞ্চলই তাদের আদি আবাসস্থান ছিল। এবং পরে তারা ভাগীরথী অতিক্রম করে চব্বিশপরগনায় প্রবেশ করেছিল। এখানে উল্লেখযোগ্য যে প্রাচীন গ্রিসদেশীয় লেখকদের রচনাবলী থেকে আমরা জানতে পারি যে মৌর্যদের সময় পর্যন্ত বাগ্‌দিরাই রাঢ়দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি ছিল।

৩. ব্রাহ্মণদের সবচেয়ে বেশি বাস করতেন বর্ধমান জেলায়, এবং তার পর যথাক্রমে চব্বিশপরগণা, মেদিনীপুর ও হুগলি-হাওড়া জেলায়। ব্রাহ্মণরা সাধারণতঃ যজন-যাজন করতেনও তাঁরা যজমানদের অনুসরণ করতেন। সেজন্য তাঁদের আদি বাসস্থান নির্ণয় করা কঠিন ৪. সদেগাপদের ১,৮৫,৮০৪ জন বাস করত বর্ধমান জেলায়, ১,৮৩,০৮০ জন মেদিনীপুর জেলায়, ১০৯,৬৩০ জন বীরভূম জেলায় ও ৬৩,৭৭৪ জন হুগলি-হাওড়া জেলায়। তার মানে, তাদের মোট সংখ্যার ৮৭ শতাংশ এই সংযুক্ত অঞ্চলে বাস করত। তাদের আদি বাসস্থান ছিল গোপভূমে বা বধর্মান-বীরভূম জেলায়। সেখান থেকেই তারা অন্যত্র গমন করেছে।

৫. গোয়ালাদের সংখ্যাধিক্য দেখা যায় যথাক্রমে বর্ধমান, চব্বিশপরগনা ও নদীয়া জেলায়। এই তিন জেলায় তাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ বাস করত।

৬. কায়স্থদের ১০১,৬৬৩ জন বাস করত মেদিনীপুর জেলায়, ৮২,৮০১ জন চব্বিশ-পরগনায় ও ৫৩,৩৯৮ জন বর্ধমান জেলায়। তার মানে, তাদের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এই তিন জেলায় বাস করত। সংখ্যাধিক্যের দিক থেকে মনে হয়, তারা প্রথমে বাস করত মেদিনীপুর জেলায়, এবং সেখান থেকে তারা নিজেদের অন্যত্র বিস্তার করেছিল।

৭. তিলিদের ৯৩,২০৩ জন বাস করত বর্ধমান জেলায়, ৭০,৩৩৯ জন মেদিনীপুর জেলায় ও ৪১,৩২২ জন বীরভূমে। তার মানে, এই তিন জেলায় বাস করত ৬৯ শতাংশ। তাদের আদি বাসস্থান বর্ধমান জেলায় ছিল বলেই মনে হয়।

৮. পোদেরা মূখ্যতঃ চব্বিশপরগনার লোক, কেন না এই জেলাতেই তাদের ৯২ শতাংশ বাস করত।

৯. তাঁতীরা মুখ্যতঃ মেদিনীপুর, হুগলি-হাওড়া ও বর্ধমান, এই সংযুক্ত অঞ্চলের লোক। এখানেই বাস করত তাদের ৭৫ শতাংশ লোক।

১০. বাউরিরা বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার লোক। কেননা এই দুই জেলায় বাস করত তাদের ৭৮ শতাংশ।

১১. চামাররা চব্বিশপরগনা, নদীয়া ও বর্ধমান জেলার লোক। এই তিন জেলায় তাদের ৮৩ শতাংশ বাস করত।

১২. ডোমেরা বর্ধমান ও বীরভূম, এই সংযুক্ত অঞ্চলের লোক। এই দুই জেলায় তাদের ৬৫ শতাংশ বাস করত।

১৩. কেওরাদের আদি বাসস্থান চব্বিশপরগণা ও হুগলি-হাওড়া জেলাসমূহের কোনো একটিতে ছিল বলে মনে হয়। এই জেলাসমূহে তাদের ৫৫ শতাংশ বাস করত।

১৪. যুগীরা, পোদদের মতো চব্বিশপরগনার লোক। কেননা এই জেলাতেই তাদের ৬৮ শতাংশ বাস করত।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে অন্যান্য কয়েকটি জাতির আবাসস্থল নিচে দেখান হচ্ছে—

১৫. কুম্ভকার মেদিনীপুর, হুগলি-হাওড়া, বর্ধমান ও নদীয়া (৭৭ শতাংশ)।

১৬. হাড়ি—বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চব্বিশপরগনা (৮৭ শতাংশ)।

১৭. শুঁড়ি—বর্ধমান, বীরভূম (৪৬ শতাংশ)। বাকি লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে অন্যান্য জেলাসমূহে ছড়িয়ে ছিল।

১৮. গন্ধবণিক—বর্ধমান, বীরভূম ও মেদিনীপুর (৬৬ শতাংশ)।

১৯. সুবর্ণবণিক—চব্বিশপরগনা, বর্ধমান ও মেদিনীপুর (৬৬ শাতংশ)।

২০. আগুরী—বর্ধমান (৮৫ শতাংশ)।

২১. ময়রা—বর্ধমান, বীরভূম, নদীয়া (৫৯ শতাংশ)।

২২. তাম্বুলী—বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হুগলি-হাওড়া (৮০ শতাংশ)।

২৩. বারুই–বর্ধমান, হুগলি-হাওড়া, চব্বিশপরগনা (৭৫ শতাংশ)।

২৪. বৈদ্য—সব জেলাতেই সমানভাবে বিস্তৃত ছিল, তবে বর্ধমান ও চব্বিশপরগনায় বেশি।

২৫. নাপিত—মেদিনীপুর, চব্বিশপরগনা (৬৪ শতাংশ)।

২৬. ভূঁইয়া–মেদিনীপুর।

২৭. কাঁসারী—চব্বিশপরগনা, হুগলি-হাওড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান ও নদীয়া

২৮. মেথর—চব্বিশপরগনা, মেদিনীপুর।

২৯. শাঁখারী—মেদিনীপুর, বর্ধমান, চব্বিশপরগনা।

৩০. চণ্ডাল—চব্বিশপরগনা, বর্ধমান ও নদীয়া। বর্তমানে এরা নমঃশূদ্র নামে পরিচিত।

এখন দেখা যাক, জনসংখ্যার দিক দিয়ে এই আটটি জেলার বিভিন্ন জাতির স্থান কি। প্রতি জেলায় প্রথম পাঁচটি জাতির স্থান নিচের ছকে দেখান হচ্ছে—

স্থানমেহুবাঁবী
প্ৰথম১২
দ্বিতীয়
তৃতীয়
চতুর্থ১১
পঞ্চম১১১০

টীকা—জেলা : মে = মেদিনীপুর; হু = হুগলি হাওড়া; ব = বর্ধমানঃ বাঁ = বাঁকুড়া; বী = বীরভূম; প = চব্বিশপরগনা; ন = নদীয়া।

জাতি : ১ = কৈবর্ত; ২ = সদেগাপ; ৩ = ব্রাহ্মণ; ৪ = তাঁতী; ৫ = বাগ্‌দি; ৬ = গোয়ালা; ৭ = তিলি; ৮ = ডোম; ৯ = বাউরী; ১০ = চণ্ডাল; ১১ = চামার; ১২ = পোদ।

উপরের ছক থেকে প্রকাশ পায় যে, অন্যান্য জাতির জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে কৈবর্তদের প্রথম স্থান হচ্ছে মেদিনীপুর, হুগলি-হাওড়াও নদীয়া জেলায়। চব্বিশপরগনায় তারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলায় প্রথম পাঁচের মধ্যে তাদের কোনো স্থান নেই। সদ্‌গোপরা প্রথম স্থান অধিকার করে বীরভূম জেলায়, ও দ্বিতীয় স্থান মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলায়। হুগলি-হাওড়ায় তাদের স্থান পঞ্চম। বাঁকুড়া, চব্বিশপরগনা ও নদীয়ায় প্রথম পাঁচের মধ্যে তাদের কোনো স্থান নেই। ব্রাহ্মণরা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সব জেলাতেই, কেবল বাঁকুড়ায় তাঁদের স্থান হচ্ছে দ্বিতীয়। বাগ্‌দিরা প্রথম স্থান অধিকার করে বর্ধমান জেলায়, দ্বিতীয় স্থান হুগলি-হাওড়া ও বীরভূমে। চব্বিশপরগনায় তাদের স্থান হচ্ছে চতুর্থ ও মেদিনীপুরে পঞ্চম। বাঁকুড়া ও নদীয়ায় প্রথম পাঁচের মধ্যে তাদের কোনো স্থান নেই। গোয়ালারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নদীয়ায়, চতুর্থ স্থান হুগলি-হাওড়া, বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় ও পঞ্চম স্থান চব্বিশপরগনায়। বীরভূমের প্রথম পাঁচের মধ্যে তাদের কোনো স্থান নেই। পোদরা প্রথম স্থান অধিকার করে চব্বিশপরগনায়। অন্য জেলায় প্রথম পাঁচের মধ্যে তাদের কোনো স্থান নেই। তাঁতীরা চতুর্থ স্থান অধিকার করে মেদিনীপুরে; তিলিরা তৃতীয় স্থান বাঁকুড়ায় ও পঞ্চম স্থান বধৰ্মানে; ডোমেরা চতুর্থ স্থান বীরভূমে; চামার ও চণ্ডালরা যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম নদীয়ায়; বাউরীরা প্রথম স্থান অধিকার করে বাঁকুড়ায় ও পঞ্চম স্থান বীরভূমে। প্রথম পাঁচের মধ্যে অন্যান্য জেলায় এদের আর কোনো স্থান নেই।

2 Comments
Collapse Comments

একটা মাইনর ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন বোধ করছি, অনলাইন ভিত্তিক প্রায় সকল সোর্সই সাক্ষ্য দেয় যে ডিজিটাল স্ক্রিনে সবচেয়ে সহজ পাঠ্য লেখা হচ্ছে একদম সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে একদম কালো ফন্ট (#000000). এতে কন্ট্রাস্ট বেশি পাওয়া যায় ! তাই বই পড়ার ওয়েব সাইটে লেখাগুলো সম্পূর্ণ ডার্ক হওয়া উচিত। ফন্ট ছোট বড় করার অপশন থাকলেও ভালো হয়! একটা ওয়েবসাইটের জন্য ব্রাউজার থেকে বদলে ফেলা সুবিধা জনক না। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

admin_egb (Administrator) May 28, 2023 at 12:39 pm

ধন্যবাদ। এই ব্যাপারটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি ঠিক কীরকম হলে পারফেক্ট হবে। নানারকম কালার দিয়ে টেস্টিং চালাচ্ছি, রিসার্চ করছি। হার্ভার্ডের ওয়েবসাইটে দেখলাম –
“Avoid very high contrast. Be aware also that for some people, especially people with dyslexia, a very high contrast color scheme can make reading more difficult. It’s a good idea to choose an off-white background color rather than a white background to aid on-screen reading.” [https://accessibility.huit.harvard.edu/use-sufficient-color-contrast]
আমরা আপাতত এরকম করার চেষ্টা করছি। খুব সাদাও (#FFF) না, খুব কালোও (#000) না। যাতে সব ধরনের পাঠকদের জন্য একটি কমন গ্রাউন্ড হয়। এছাড়া পাঠকদের অনুরোধে ডার্ক-মোড এড করা হয়েছে। মনে হচ্ছে আপনার এ ব্যাপারে বেশ জানাশোনা আছে। দয়া করে আরও কিছু কালার সাজেস্ট করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *