একোনপঞ্চাশ অধ্যায় – ঋষি-দর্শন
ঔর্ব বলিলেন, অনন্তর কিয়ৎকাল অতীত হইলে ককুৎস্থ-তনয়া, একদা ঋতুস্নানের নিমিত্ত স্ত্রীগণসহ, শীতল মনোহর জলরাশি-পূরিত, প্রমৃষ্ট-অঞ্জন-সদৃশ শোভাসম্পন্না বিবিধ পাপরাশি-বিনাশিনী দৃষদ্বতী নামে নদীতে গমন করিলেন। ১-২
তৎপরে স্নানাদি সম্পাদন করিলে কাপোত নাম কোন এক ঋষি, অর্ধোর্তীর্ণ অৰ্দ্ধজলমগ্নাবস্থায় সেই স্বর্ণ-গৌরাঙ্গী সতী ককুৎস্থাত্মজাকে দর্শন করিলেন। ৩
তিনি প্রাণি-বধের আশঙ্কায় পূৰ্বে কপোত শরীর ধারণ করত বিচরণ করিতেন, এইজন্য মুনির কাপোত নাম হইয়াছিল। ৪
কাপোত ঋষি, দেবীরূপা এবং শারদীয় চন্দ্রিকার ন্যায় মনোহারিণী তারাবতীকে দর্শন করিবামাত্র, কামাৰ্দিত হইয়া তাহার সম্ভোগাভিলাষ করিলেন। ৫
কামপীড়িত ঋষি, কল্যাণী ককুৎস্থ-তনয়ার নিকটে গমন করত এই কথা বলিলেন। ৬
হে সুন্দরি। তুমি কে? কাহার স্ত্রী? এবং কাহারই বা কন্যা? কি জন্যই বা এই নির্জন তটিনীজলে আগমন করিয়াছ? ৭
তোমার রূপ মনোহর এবং আহ্লাদজনক, মুখ পূর্ণ-নিশাকরসদৃশ মনোহর তোমার তিলপুষ্পসদৃশ নাসিকা। ৮
বাতকম্পিত নীল পদ্মযুগলসদৃশ নয়নদ্বয়; বাহুযুগল মনোহর এবং সুগোল ও মৃণালতুল্য মৃদুল অথচ আয়ত, ঊরু করি-কর-সদৃশ, মধ্যদেশ বেদিবৎ কৃশ। ৯
এইরূপ মনোহর রূপ দর্শনে তোমাকে দেবী কি দানবী কিংবা অপ্সরা বলিয়া বোধ হইতেছে। ১০
অথবা তুমি ভোগ্য বস্তুর ভোগে স্বয়ং লক্ষ্মীই স্ত্রীরূপে ধরাতলে অবতীর্ণা হইয়াছ; অয়ি মনোহারিণী! তুমি অপর্ণা কি শচী? তাহাই প্রকাশ্য রূপে বর্ণন কর। ১১
ঔর্ব বলিলেন,–তারাবতী মুনির এইরূপ বাক্য শ্রবণ করত জল হইতে উত্তীর্ণ হইলেন এবং মুনিকে প্রণাম করত বলিলেন। ১২
মুনে! আমার নাম তারাবতী, আমি ককুৎস্থ-রাজার তনয়া, চন্দ্রশেখর রাজার পত্নী। ১৩
আমাকে দেবী দানবী যক্ষী কি রাক্ষসী বলিয়া সন্দেহ করিবেন না, আমি মানুষী নৃপাত্মজা, চারিত্রব্ৰত পরিপালন আমার কাৰ্য। ১৪
কাপোত বলিলেন,–সুন্দরি। তোমাকে দর্শন করিয়া অবধি তোমার সম্ভোগের নিমিত্ত কাম আমাতে সংযত হইয়া আমাকে নিরন্তর পীড়া দিতেছে তাহার উপশমে তুমিই সক্ষমা। ১৫
হে মৃদুভাষিণি। নিরাকুল কাম-সাগর-কল্লোলে পতিত হইয়াছি, অতএব তোমার ঊরুরূপ তরণী দ্বারা শীঘ্র আমাকে পরিত্রাণ কর। ১৬
হে মহাভাগে। আমা হইতে তোমার সৰ্ব্বলক্ষণ-সম্পন্ন মহাবলশালী পুত্রদ্বয় উৎপন্ন হইবে। ১৭
মধুরভাষিণী ককুৎস্থাত্মজা কাপোতবাক্য শ্রবণ করিয়া ভয় ও দুঃখে আকুলিতচিত্তে গদগদস্বরে বলিলেন। ১৮
তাদৃশ সাধু ব্যক্তির পত্নী হইয়া আমার এরূপ নিন্দিত কাৰ্য করা কর্তব্য নহে; অতএব আমাকে এরূপ কথা বলিবেন না; প্রসন্নতার নিমিত্ত আপনি আমার প্রণামার্হ। ১৯
হে তপোধন! আপনি মুনি; অতএব মুনিজন-বিগর্হিত তপঃক্ষয়কর এবং আমার পাতিব্ৰত্য-নাশক এই অসদাচরণ আপনার অযোগ্য। ২০
কাপোত বলিলেন,–হে শুভে! আমার তপঃক্ষয় হউক অথবা দোষকর কাৰ্যই হউক, তথাপি তোমাকে সুরতক্রীড়াতে পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা হইতেছে না; অতএব অবশ্য আমাকে কামপীড়া হইতে পরিত্রাণ কর তোমার কৰ্ত্তব্য। ২১
হে মনোহরে! তোমাকে পরিত্যাগ করিলে নিশ্চয় আমি কামানলে দগ্ধপ্রায় হইব এবং তোমাকে সবান্ধবে শাপ দ্বারা দগ্ধ করিব। ২২
তাহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া সাধ্বী তারাবতী ঋষির শাপে ভীত হইয়া কোন উত্তর প্রদান করিলেন না এবং বলিলেন, হে মহামুনে। আপনি কিঞ্চিৎ অবস্থান করুন, আমি সখীদিগকে বলি। ২৩
দেবী তারাবতী এই কথা বলিয়া দাসীদের মধ্যে গমন করত চিত্রাঙ্গদাকে এই কথা বলিলেন। ২৪
চিত্রাঙ্গদে! এই মুনি আমার সহিত অত্যন্ত সম্ভোগাভিলাষ করিতেছে, তাহাতে কি করি এবং কি উপায়ে বা সতীত্ব হইতে ভ্ৰষ্টা না হই। ২৫।
কপোত, পতি ও বন্ধুবর্গকে নিশ্চয় শাপানলে দগ্ধ করিবে; আমি মুনিসহ সম্ভোগে ইচ্ছা করি না। ইহাতে খুব সংশয়ে পতিত হইয়াছি। ২৬
তাহার পর চিত্রাঙ্গদা বলিল, হে সত্যবাদিনি। তোমার কোন ভয় নাই, সে বিষয়ে আমি এক উপায় উদ্ভাবন করিতেছি, তাই অবলম্বন করিলে সেই পতিব্ৰত্য-নাশ অথবা মুনিশাপ হইতে মুক্তি লাভ করিতে পারিবে। ২৭।
মুনি যদি তোমাকে পরিত্যাগ না করে, তুমি এক মনোহারিণী দাসীকে বিবিধভূষণে সজ্জিত করিয়া মুনিসমীপে প্রেরণ কর। ২৮
মুনি, কামবশে মোহিত হইয়া জ্ঞানশূন্য-চিত্তে বিবিধ-ভূষণ দ্বারা প্রচ্ছন্ন ভাববিশিষ্ট দাসীকে চন্দ্রস্থিত জ্যোৎস্নার দ্বারা আচ্ছাদিতা মৃগীর ন্যায়, কিছুতেই জানিতে সক্ষম হইবেন না। ২৯
হে সুভগে! তুমি এইরূপ কর, চিন্তা করিও না; মুনি,–তুমিই যে সেই সতী, তাহা নিশ্চয় জানিতে পারিবে না। ৩০
তাহার পর, তারাবতী, রূপগুণ-শালিনী নম্রা মিষ্টভাষিনী ভূপাত্মজা চিত্রাঙ্গদাকে পুনৰ্বার বলিলেন, ভগিনি। আমার বস্ত্রালঙ্কারাদি দ্বারা সজ্জিত হইয়া তুমি কপোত, মুনির নিকট গমন কর। ৩১-৩২
হে সুন্দরি। অন্য কাহাকে প্রেরণ করিলে মুনি জানিতে পারিলে ক্রোধানলে আমাকে বন্ধুবর্গসহ ভস্মীভূত করিবে, তবে তুমিই গমন কর। ৩৩
তুমি রূপ ও গুণে আমার সমান; অতএব আমার ভূষণাদিদ্বারা ভূষিত হইয়া মুনিসহ সম্ভোগ করত বন্ধুবর্গসহ আমাকে মুনিশাপ হইতে পরিত্রাণ কর। ৩৪
তৎপরে তারাবতীর বাক্য শ্রবণ করত চিত্রাঙ্গদা বিনয় ও কাতরতার সহিত কিঞ্চিৎকাল মৌনভাবে অবস্থান করিতে লাগিলেন এবং কিছু বিমর্ষভাবে নৃপাত্মজা তারাবতীকে বলিলেন, আমার জন্য পিতাকে এবং ভূপতি চন্দ্রশেখরকে আশ্বাস প্রদান করিবে; আমার আত্মীয় সখীগণকেও আশ্বাসবাক্য বলিও। ৩৫-৩৭
চিত্রাঙ্গদা এই কথা বলিয়া তারাবতীর ভূষণাদি অঙ্গে পরিধান করত কামোৎসবের নিমিত্ত শীঘ্র মুনিসমীপে গমন করিলেন। ৩৮
তারাবতী বস্ত্রালঙ্কারাদি-বিযোজিতা হইয়া, দাসীগণের মধ্যে চিত্রাঙ্গদার অনুগমন করিলেন। ৩৯
চিত্রাঙ্গদা আসিতেছে দেখিয়া কপোত, কাম মুগ্ধচিত্তে মুনিদিগের পরস্ত্রী সম্ভোগ স্মরণ করিতে লাগিলেন। ৪০
পূর্বে উতথ্যপুত্ৰ গোতম প্রম্লোচার সম্ভোগাভিলাষ করিয়াছিলেন এবং ধীসম্পন্ন ভরদ্বাজ মুনি পদ্মকে সম্ভোগের নিমিত্ত কামনা করিয়াছিলেন। ৪১
সেইরূপ আমিও আগত এই বরবৰ্ণিনী-সহ সম্ভোগক্রীড়া সম্পাদন করিব, তাহার পর তপোবলে সঞ্জাত পাপ হইতে মুক্তিলাভ করিব। ৪২
চিত্রাঙ্গদা এইরূপ চিন্তামগ্ন ঋষিসমীপে গমন করিয়া কিছু লজ্জিতা হইলেন। ৪৩
মহাভাগ মুনিসত্তম কপোত, তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া শৃঙ্গারোচিত বেশ ভাবাদির জন্য মদনকে স্মরণ করিলেন। ৪৪
স্মরণমাত্র মদন স্বয়ং মুনিসমীপে উপস্থিত হইলে বিপ্র কপোত, গন্ধ মাল্য ও উৎকৃষ্ট বসনাদিদ্বারা ভূষিত হইয়া মনোহর রূপ ধারণ করত স্মিতযুক্ত হইলেন। ৪৫
বিপুল তেজঃপুঞ্জের প্রখরতাবশতঃ মুনি দ্বিতীয় প্রভাকরের সদৃশ দীপ্তি পাইতে লাগিলেন। ৪৬
ঋষিবরের সেই মদনসদৃশ রূপরাশি দর্শন করিয়া তারাবতী ভিন্ন সমস্ত স্ত্রীগণের সুরতাভিলাষ হইল। ৪৭
তারাবতী, মুনিকে মদনতুল্য মনোহর দর্শন করিয়া বিস্ময়ের সহিত মুনিকে কাম বলিয়াই বিবেচনা করিলেন। ৪৮
অনন্তর মুনি চিত্রাঙ্গদাকে দর্শন করিয়া কামব্যাকুলচিত্তে তাহার সঙ্গমসুখে রত হইলেন এবং ক্ষণকাল মধ্যেই অত্যন্ত প্রীতি লাভ করিলেন। ৪৯
সঙ্গমাবসানে সদ্যপ্রসূত পুত্রদ্বয় উৎপন্ন হইল; তাহারা দেবতুল্য এবং প্রদীপ্তপাবক ও ভাস্কর সদৃশ প্রভাশালী। ৫০
পুত্রদ্বয় উৎপন্ন হইলে মুনি, চিত্রাঙ্গদাকে হস্তদ্বারা স্পর্শ করিয়া পূৰ্বভাব অবলম্বন করিলেন এবং বলিলেন, প্রিয়ে। আমার আশ্রয়ে ক্ষণকাল অবস্থান কর, তাহার পর আমার ইচ্ছানুসারে গমন করিবে; তুমি রাজাকে কোন ভয় করিও না। ৫১-৫২
সতী চিত্রাঙ্গদা, মুনিশাপে ভীতা হইয়া বলিলেন, তাহাই হইবে। তাহার পর মুনি অন্য স্ত্রীগণকে প্রস্থান করিতে অনুমতি করিলেন। ৫৩
মুনির আদেশক্রমে তারাবতী দাসীগণসহ ভগিনীর বিষয় শোকচিত্তে পৰ্যালোচনা করিতে করিতে নিজ ভবনে গমন করিলেন। ৫৪
স্বভবনে উপস্থিত হইয়া ককুৎস্থ-তনয়া কপোত-চরিত সমস্ত অদ্ভুত বৃত্তান্ত ব্ৰহ্মাবর্তাধিপতি চন্দ্রশেখরকে বলিলেন। ৫৫
নৃপশ্রেষ্ঠ বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া ক্ষণকাল চিন্তা করত কাপোতের অনুমতিক্রমে চিত্রাঙ্গদার সাহায্য করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ৫৬
কপোতও সেই নবজাত সুতদ্বয়ের যথোক্ত বিধি অনুসারে সংস্কার করিলেন। ৫৭
সগর বলিলেন, হে দ্বিজোত্তম! চিত্রাঙ্গদা ককুংস্থ-রাজের তনয়া হইলেন কিরূপে? তাহা শ্রবণ করিতে ইচ্ছা করি, আপনি বিশদরূপে বর্ণন করুন। ৫৮
ঔৰ্ব বলিলেন, একদা ককুৎস্থ, হিমালয়ে ভ্রমণের নিমিত্ত গমন করিয়া বহুতর মৃগ নিপাত করত বিশ্রামার্থ একস্থানে উপবেশন করিলেন। ৫৯
এমন সময়ে স্বৰ্বেশ্যা উৰ্বশীকে সুরলোক হইতে ভূমিতে অবতরণ করিতে দেখিতে লাগিলেন। ৬০
উৰ্বশী অবতরণ করিলে ককুৎস্থ-রাজা তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া কামবাণ পীড়িতান্তঃকরণে সেই গিরিসানুতে পুনঃপুনঃ সঙ্গমপ্রার্থনা করিলেন। ৬১
উৰ্বশী, নৃপশ্রেষ্ঠ ককুৎস্থকে শক্রসদৃশ জানিয়া তাহার সহিত গিরিকুঞ্জে ঈপ্সিতরূপ সুরত ক্রীড়া সম্পাদন করিলেন। ৬২
হে নৃপশ্রেষ্ঠ! তৎপরে ককুৎস্থ রাজা উৰ্ব্বশীর গর্ভে মনোহররূপ সম্পন্ন এক তনয়া জন্মগ্রহণ করিল। ৬৩
অনন্তর উৰ্বশী রাজাকে কাম-ব্যাপারে সন্তোষ করত রাজাকে গমনের অভিমতস্থান বলিয়া গমন করিতে ইচ্ছা করিলেন। ৬৪
রাজা তাহাকে বলিলেন, হে শুভে! তনয়াকে পরিত্যাগ করিয়া যাইতেছ কেন? আমার এই তনয়া তুমিই প্রতিপালন কর। ৬৫।
স্বৰ্বেশ্যা রাজাকে বলিল,-হে নৃপোত্তম! আমার গর্ভে কাহার তনয় ও তনয়া জন্মগ্রহণ না করে। ৬৬
পুত্ৰাদি জন্মগ্রহণ করিলে আমার শরীরে কোন বিকৃতভাব হয় না এবং বেশ্যা ভাববশতঃ প্রসূত পুত্র-কন্যাকেও প্রতিপালন করি না, এই আমাদের স্বভাব। ৬৭
যদি আপনার কন্যার প্রতি দয়া থাকে, তাহা হইলে ইহাকে লইয়া আপনি প্রতিপালন করুন, আমি আপনাকে সত্য বলিলাম–আমাকে গমন করিতে অনুমতি করুন। ৬৮
হে নৃপ! এই কথা বলিয়া উৰ্বশী অভিলষিত স্থানে গমন করিল; রাজা তনয়াকে গ্রহণ করত নিজ ভবনে গমন করিলেন। ৬৯
তাহার পর রাজা স্বয়ং তনয়ার নাম রাখিলেন চিত্রাঙ্গদা এবং স্বীয় ভাৰ্য্যা মনোন্মথিনীকে সেই তনয়া প্রদান করিয়া নৃপসত্তম এই কথা বলিলেন। ৭০
দেবি! এই সদ্গুণসম্পন্না আমার কন্যা, ইহাকে তুমি প্রতিপালন কর, ইহার পর্বতে জন্ম হইয়াছে, ইহার প্রতি অবজ্ঞা করিও না। ৭১
এই কথা বলিলে রাজমহিষী পতির আজ্ঞা শিরোধার্য্য করিয়া প্রতিপালন করিতে স্বীকৃত হইলেন এবং অন্য প্রত্যুত্তর করিলেন না। ৭২
চিত্রাঙ্গদা একদিন বাল্যভাববশতঃ মহামুনি অষ্টাবক্রকে কুটিল গতিতে গমন করিতে দেখিয়া হাস্যপূর্বক উপহাস করিলেন। ৭৩
সেই মুনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া তাহাকে ভীষণ শাপ দিলেন। ৭৪
চপলে! ককুৎস্থনন্দিনি। তুমি দাসীর ঈশ্বরী হইয়া অনূঢ়াবস্থায় পুত্রদ্বয় প্রসব করিবে। তাহার পর দাসীত্ব হইতে মুক্ত হইয়া মঙ্গললাভ করিতে পারিবে। ৭৫
হে নৃপ! এইরূপে ককুৎস্থাত্মজা চিত্রাঙ্গদার জন্ম হয় এবং পিতা তাহাকে তারাবতীর দাসীর ঈশ্বরী করিয়া দিলেন। ৭৬
অনূঢ়াবস্থায় মুনিবর হইতে পুত্রদ্বয় লাভ করিল। ৭৭
সেই পুত্রদ্বয় মহাভাগ্যশালী হইয়া মহৎকাৰ্যানুষ্ঠান করিবে। ৭৮
হে রাজন! যেরূপে ককুৎস্থাত্মজা সাধ্বী চিত্রাঙ্গদার জন্ম হইয়াছে। আপনাকে সমস্তই বলিলাম, সম্প্রতি প্রকৃত বিষয় শ্রবণ করুন। ৭৯
উনপঞ্চাশ অধ্যায় সমাপ্ত। ৪৯