প্রথম জুমুআর নামায
রাসূলুল্লাহ্ (সা) যে দিন তাঁর উটনী কাসওয়ায় চড়ে কুবায় থেকে রওনা হলেন, সে দিনটি ছিল জুমুআর দিন। বনু সালিম ইবন আওফের গোত্রে পৌঁছতে দুপুর গড়িয়ে যায়। তাই সেখানেই তিনি মুসলমানদেরকে নিয়ে জুমুআর নামায আদায় করেন। আর এটা ছিল রানুওয়ানা উপত্যকায়। এটা ছিল মদীনায় মুসলমানদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রথম জুমুআর নামায অথবা এটি ছিল মুসলমানদের প্রথম জুম’আর নামায। আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ, মক্কায়
১. দু’টি মূল কপিতে এমনই উল্লেখ আছে। আর সীরাতে ইবন হিশাম গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, তারা ছিল
তিনজন (১) হুয়াই ইবন আখতাব, (২) আবু ইয়াসির ইবন আখতাব আর (৩) জুদী ইবন আখতাব।
রাসূলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সাহাবীগণের পক্ষে সকলে একত্র হয়ে জুমুআর নামায আদায় করা, তাতে খুতবা বা ভাষণ দান করা, ঘোষণা বা আযান দেয়া এবং সমাবেশে ভাষণ দেয়া সম্ভব ছিল না। কারণ, সময়টা ছিল রাসূলের প্রতি মুশরিকদের প্রচণ্ড বিরোধিতার আর নির্যাতননিপীড়নের।
রাসূলুল্লাহ (সা)-এর প্রথম জুমুআর খুতবা
ইবন জারীর (বারী) ইউনুস ইবন আবদুল আলা সূত্রে আবদুর রহমান আল জামাহীর বরাতে বর্ণনা করে যে, মদীনায় বনু সালিম আমর ইবন আওফ-এর মহল্লায় প্রথম জুমুআর
নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম যে খুতবা বা ভাষণ দান করেন, তা ছিল निम्नक्र°ig
الحمدلله احمده و استعینه و استغفره واستهدیه و او من به ولا اکفره
و اعادی مسن یکفره و اشهد ان لا اله الا الله و حد ه لا شریلک له وان مساحمد ا عبده
و رسوله ارسله بالهدى ودين الحق و النور و الموعظة على فترة من الرسل
وقلة من العلم و ضلالة من الناس ، و انقطاع من الزمان ودنو من الساعة، وقرب
من الاجلی، من یطع الله و رسوله فاقد رشد و من یعصهما فقد غوی و فرط و ضل
ضلا لا بعیدا و او مسیکم بتقوی الله فانه خیر ما او صی به المسلم المسلم ان
یحضه علی الاخرة، وان یا مره بیتقوی الله، فاحذر و اما حذر کم الله من نفسه،
و لا افضل من ذالك نصيحة ولا افضل من ذالك ذكرى، وانه تقوى لمن عمل به
على وجل ومخافة، وعون صدق على مسا تبتغون من امر الاخرة، ومن يصلح
الذى بينه وبين الله من امر السر و العلا نية لا ينوى بذالك الا وجه الله يكن
له ذکر افی عاجل امره وذخرافیما بعد الموت، حین یفتقر المراً الی ما قدم وما كان من سوى ذالك يودلو ان بينه وبينه امدا بعيدا ويحذركم اللّه نفسه والله رؤوف بالعباد والذى صدق قوله وانجز وعده لا خلف لذالك فانه يقول تعالی : ما یبدل القول لدی وما انا بظلام للعبید ، واتقوا اللَّه فی عاجل امر کم و أجد فى السر والعلانية فانه، من يتق اللّه يكفر عنه سيأته ويعظم له اجرا، و من یطع الله و رسوله فقد فاز فوزا عظیما—وان تقوی الله توقی مقته و توقی عقوبته و توقی ساخطه وان تقوی الله تبیض الوجه و ترضی الرب وترفع الدرجة خذوا بحظكم ولا تفرطوا فى جنب الله قد علمكم الله كتابه
و نهج لكم سبيله ليعلم الذين صدقوا وليعلم الكاذبين فاحسنوا كما احسن الله الیکم و عادوا اعدانه وجاهد وافی الله حق جهاده هواجتبا کم و سماکم المسلمين ليسهلك من هلك عن بينة ويحيى من حى عن بينة ولا قوة الا بالله فاکثر وا ذکر الله وا عملوا لما بعد الموت فانه من اصلح مابینه و بین الله يكفه ما بينه وبين المناسب ذالك بان اللّه يقضى على الناس ولا يقضون عليه ويملك من الناس ولا يملكون منه الله اكبر ولا قوة الا بالله العلى العظيمهكذا او ردها ابن جرير وفي السند ارسال، “সমস্ত প্ৰশংসা আল্লাহ তা’আলার। আমি তার প্রশংসা করছি, তার নিকট সাহায্য চাইছি, তার নিকট মাগফিরাত তথা ক্ষমা ভিক্ষা করছি এবং তার কাছে হিদায়াত কামনা করছি। আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, তার প্রতি কুফৱী করি না, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে আমি তার সঙ্গে দুশমনী করি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীক নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত, নূর আর সত্য দীন সহকারে উপদেশ নিয়ে রাসূলদের আগমনে বিরতির পর। আল্লাহ তাকে প্রেরণ করেছেন জ্ঞানের স্বল্পতা, মানুষের গোমরাহী, সময়ের ব্যবধােন কিয়ামতের নৈকট্য আর মৃত্যু ঘনিয়ে আসার পর। যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে সে নিশ্চিত
সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে, সেতো নিশ্চিত বিপদগামী হয়, স্থানচ্যুত হয় এবং গোমরাহীর অতল তলে নিমজ্জিত হয়।
আমি তোমাদেরকে ওসীয়্যত করছি আল্লাহকে ভয় করে চলার। কারণ, একজন মুসলমান অপর মুসলমানকে যে বিষয়ে ওসীয়্যত করতে পারে, তন্মধ্যে তাকওয়া হলো সর্বোত্তম। একজন মুসলমান অপর মুসলমানকে আখিরাতের জন্য উদ্ধৃদ্ধ করবে, আল্লাহকে ভয় করে চলার হুকুম করবে। সুতরাং আল্লাহ তোমাদেরকে নিজেদের ব্যাপারে যে সতর্ক করেছেন, তোমরা সে ব্যাপারে সতর্ক হও। এর চেয়ে উত্তম কোন নসীহত নেই, নেই এর চেয়ে উত্তম কোন উপদেশ। আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে কাজ করাই হলো তাকওয়া। পরকালের ব্যাপারে তোমরা যে সহায়তা-সহযোগিতা। তালাশ করতে পারো তা হলো এ তাকওয়া। যে ব্যক্তি তার নিজের এবং আল্লাহর মধ্যকার গোপন এবং প্রকাশ্য বিষয় সংশোধন করে নিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কার্য সম্পাদন করে এবং এ ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তোষ ছাড়া অন্য কিছু কামনা করে না, তার পরিণাম তার মৃত্যু পরবতী জীবনে হবে তার জন্য যিকর ও সঞ্চয় স্বরূপ। যখন মানুষ যা অগ্রে প্রেরণ করেছে তার মুখাপেক্ষী হবে, হবে সে জন্য কাঙ্গাল। আর যে কাজ হবে এর বিপরীত, সে জন্য সে ব্যক্তি কামনা করবে যে, যদি তার এবং সে কর্মের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান সৃষ্টি হতো। আল্লাহ
দয়ালু। আর আল্লাহ তাঁর বাণী সত্য করে দেখান, পূরণ করেন তার ওয়াদা-অঙ্গীকার। এর কোন খেলাফ তিনি করেন না, করেন না ব্যতিক্রম। কারণ, আল্লাহ তা’আলা বলেন, :
ما يبدّل القول لدى وما أنا بظلأم للعبيد “আমার কথার কোন রদ-বদল হয় না, কোন হেরফের হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি অবিচার করি না” (৫০ : ২৯)।
ইহকাল আর পরকালের সকল ক্ষেত্রে গোপনে আর প্রকাশ্যে কেবল আল্লাহকেই ভয় করে চলবে। কারণ, আল্লাহ বলেন, :
. . . که به از سه ه . . * سمہ سہ۔ ރ 8 o, 0,ށ ތ ޔ o ދް
“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলবে। আল্লাহ তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে দেবেন। মহা পুরস্কার। (৬৫ : ৫)। মহান আল্লাহ আরো বলেন :
ダ 2 * ・ ・ ・ふ・ベイ・・・・ イ। ۵ عمر در و متر يطع الله ورسوله فقد فاز فوزا عظيما
আর যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, তারা মহাসাফল্য অর্জন করবে। (७७? १S
কারণ আল্লাহর ভয় তার ক্ৰোধ থেকে রক্ষা করে, তার শাস্তি থেকে রক্ষা করে, রক্ষা করে আল্লাহর বিরাগ ভাজন হওয়া থেকে। আর আল্লাহর ভয় চেহারাকে উজ্জ্বল করে, পালনকর্তার সন্তুষ্টি আকর্ষণ করে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে। তোমরা নিজেদের অংশ গ্রহণ কর এবং আল্লাহর প্রতি কর্তব্যে শৈথিল্য করো না। কেননা, আল্লাহ তো তোমাদেরকে তার কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন, তোমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন তার পথ, যাতে করে তিনি (প্রকাশ্যে) জানতে পারেন। কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী। সুতরাং অন্যদের প্রতি তোমরা অনুগ্রহ করো, যেমনটি আল্লাহ তোমাদের প্রতি করেছেন। আল্লাহর দুশমনদের সঙ্গে তোমরাও দুশমনী করো। তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। যেমন জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং তোমাদের মুসলিম নামকরণ করেছেন। যাতে যারা ধ্বংস হওয়ার তারা যেন সত্যাসত্য স্পষ্ট হওয়ার পর ধ্বংস হয়, আর যাদের বেঁচে থাকার, তারা যেন সত্যাসত্য স্পষ্ট হওয়ার পর ধ্বংস হয়, আর যাদের বেঁচে থাকার তারা যেন সত্যাসত স্পষ্ট হওয়ার পর বেঁচে থাকে। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (কিছু করার) কোন শক্তি নেই। তোমরা আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করবে এবং মৃত্যু পরবতী জীবনের জন্য কাজ করবে। কারণ, কেউ তার এবং আল্লাহর মধ্যের সম্পর্ক সুন্দর আর সংশোধন করলে তার এবং মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট হবে। আর এটা এজন্য যে, আল্লাহ মানুষের বিচার-ফায়সালা করেন, মানুষ আল্লাহর বিচার করতে পারে না। আল্লাহ মানুষের মালিক, মানুষের কোন আধিপত্য নেই। আল্লাহু আকবার— আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহান মহান, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই। ইবন জারীর (তাবারী) বিবরণটি উল্লেখ করেছেন এবং এর সনদে ইরাসাল আছে। (অর্থাৎ এ হাদীছের সনদে সাহাবীর নাম বাদ পড়ে গেছে)।
বায়হাকী (র) ভাষ্যে মদীনায় আগমনের পর রাসূলুল্লাহ (সা)-এর প্রথম খুতবা।
হাফিযী আবু আবদুল্লাহর সূত্রে আবদুর রহমান ইবন আওফের বরাতে বায়হাকী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে দাড়িয়ে প্রথম যে খুতবা দান করেন, তাতে তিনি আল্লাহর যথাযোগ্য স্তৃতী প্রশস্তির পর বলেন?
اما بعد ایها الناس فاقد مسوا لانفسکم تعلمن و الله لیصاعقان احد کم ثم لید عن
غنمه لیسا لها راع ، ثم لیقولن له ر به ، لیسا له ترجمان و لا حاجب یحج به
دونه – الدم ياتك رسولى فبلغلك و اتيتك ما لا و افضلت عليك فما قدمت لنفسك
؟ فیناظر یمینا و شمالا فلا یری شینا نام ینظر قدامه فلا یری غیر جهنم فمن
استطاع ان یقی و جبهه من النار و لو بشق تمرة فلی فعلی و من لم یجاد فبکلمة
طيبة فان بها تجزى الحسنة عشر امثالها الى سبعمأثة ضعف والسلام على رسول الله ورحمة لله و برکاته
আম্মা বাদ (এরপর) লোক সকল! তোমরা নিজেদের জন্য (নেক আমল) অগ্রে প্রেরণ করা, তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই বেহুশ হয়ে পড়বে এবং তার বকরী পাল রাখালহীন অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে, তার জন্য এরপর তার পালনকর্তা তাকে অবশ্যই বললেন, : তখন কোন দোভাষী থাকবে না, থাকবে না কোন প্রহরী, যে উভয়ের মধ্যে অন্তরায় হবে–তোমার নিকট আমার রাসূল এসে আমার বাণী কি পৌছাননি? আমি তোমাকে ধন-সম্পদে ধন্য করেছি এবং তোমার প্রতি করুণা-বারি বর্ষণ করেছি। তুমি নিজের জন্য অগ্রে কী প্রেরণ করেছ? তখন সে ডানে-বায়ে দৃষ্টিপাত করবে। কিন্তু কিছুই দেখতে পাবে না। এরপর সম্মুখে দৃষ্টিপাত করবে। জাহান্নাম ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না। কেউ এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে যদি তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়, তবে তার তাই করা উচিত। আর কেউ তা না পেলে ভাল কথা দ্বারা তো করবে)। কারণ, এতেই নেকীর পুরস্কার দেয়া হবে দশ গুণ থেকে সাতশ” গুণ পর্যন্ত। আল্লাহর রাসূলের উপর সালাম আল্লাহর রহমত ও বরকত। অপর এক খুতবায় আল্লাহর নবী বলেন :
ان الحمد لله احمده واسنعينه نعوذ بالله من شرور انفسنا وسيأت
اعمالنا ، من يهده الله فلا مضل له، ومن يضلل فلاهادى له ، واشهد ان لا الله الا الله (وحده لاشریلک له) ان احسن الحدیث کتاب الله، قد افلاح من زینه الله فی
قلبه و ادخله فی الاسلام بعد الکفر و اختار ه علی ما سواه من احادیث الناس انه احسن الحديث وابلغه احبوا من احب الله احبوا الله من كل قلوبكم (ولا تملوا کلام الله و ذکره و لا تقسی عنه قلو بکم) فانه من یاختار الله ویصطفی
فقد سماه خیر ته من الاعمال و خیر ته من العباد و الصالح من الحدیث و من کل
ما او تى الناس من الحلال والحرام فاعبدوا الله ولا تشركوا به شيئا واتقوه حق تقاته واصدقوا الله صالح ما تقولون بافواهكم وتحابوا بروح الله بينكم ان الله یغ خصب ان ینکث عهده و السلام علیکم ورحمة الله و برکاتهসমস্ত প্রশংসা-স্তৃতির মালিক আল্লাহ তা’আলা। আমি তাঁর প্রশংসা করছি এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। আমাদের নফসের অনিষ্ট আর আমলের ত্রুটি থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ চাইছি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত করেন তাকে গোমরাহ্ করার কেউ নেই। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তার কোন শরীক নেই ] আল্লাহর কালাম নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সুন্দর কথা। আল্লাহ যার অন্তরকে সুশোভিত করেছেন এবং তাকে ইসলামে প্রবেশ করিয়েছেন কুফারীর পর সে নিঃসন্দেহে সফলকাম হয়েছে। অন্য মানুষের মধ্য থেকে আল্লাহ তাকেই বাছাই করে নিয়েছেন। আল্লাহর বাণী নিঃসন্দেহে সুন্দরতম বাণী এবং সবচেয়ে গান্তীর্যপূর্ণ ও মর্মস্পশী বাণী। আল্লাহ যাদেরকে ভােলাবাসেন, তোমরা তাদেরকে ভালবাসবে। তোমরা সর্বান্তঃকরণে আল্লাহকে ভালবাসবে। আল্লাহর বাণী আর যিকির সম্পর্কে তোমরা ক্লান্তিবোধ করো না। এ ব্যাপারে তোমাদের অন্তর যেন কঠিন ও কঠোর না হয়]]। কারণ, আল্লাহ যাকে মনোনীত করেন তার উত্তম নামকরণ করেন এবং উত্তম বান্দাদের মধ্যে তাকে স্থান দান করেন, তাকে উত্তম কথা আর হালাল-হারামের জ্ঞান দান করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করবে না। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করবে, ভয় করার মত এবং তোমরা মুখে যা বলবে, তার উত্তম বাণীতে আল্লাহকে সত্য জ্ঞান করবে। আর আল্লাহর আশিসে নিজেদের মধ্যে ভালবাসার বিনিময় করবে। আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করা আল্লাহকে ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ করে তোলে।
ওয়াস সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
এ ভাষণও মুরসাল সূত্রে বর্ণিত। তবে পূর্ববতী খুতবার এটি সমর্থক–যদিও শব্দের পার্থক্য রয়েছে।