ত্রয়স্ত্রিংশ অধ্যায় – মনু-মীন সংবাদ
মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–অনন্তর মনু স্থূলকায় মৎস্যকে দেখিয়া স্বয়ং হস্তে গ্রহণ করিয়া প্রস্ফুটকমল-সরোবরে গমন করিলেন। ১
সাতিশয় দয়াশীল মনু পবিত্র নারায়ণশ্রমে একযোজন বিস্তৃত সাৰ্দ্ধযোজন সুদীর্ঘ বহুল মৎস্যসঙ্কুল শীতল স্বচ্ছ-সলিল-রাশিপূর্ণ সেই সরোবরে আগমন পূর্বক মৎস্যকে রাখিয়া পুত্রের ন্যায় পালন করিতে লাগিলেন, মৎস্যও অচিরকাল মধ্যেই স্থূলকায় হইল। হে দ্বিজগণ! মৎস্য। এরূপ বাড়িয়া উঠিল যে, সেই সরোবরের আর স্থান কুলাইল না। ২-৩
একদা উন্নতকায় মহামৎস্য সরোবরের পূর্ব ও পশ্চিমতীরে মস্তক ও পুচ্ছ স্থাপনপূর্বক উত্থিত হইয়া মহাত্মা মনুর উদ্দেশ্যে “আমাকে রক্ষা কর” এইরূপ চিৎকার করিল। ৫-৬
তখন মনু, মীনশ্রেষ্ঠ এইরূপ চীৎকার করিতেছে জানিয়া আগমনপূর্বক তাহাকে হস্তে গ্রহণ করিতে যাইলেন। ৭
“কি আশ্চর্য! আমি মৎস্যকে তুলিতে পারিতেছি না” এইরূপে ক্ষণিক চিন্তা করত তাহাকে স্বহস্তে গ্রহণ করিলেন। ৮
মৎস্যরূপী বিশ্বময় ভগবান্ বিষ্ণুও মনুর হস্তে আসিয়া লঘু হইলেন। ৯
অনন্তর মনু, দুই হস্তে তাহাকে উত্তোলনপূর্বক স্কন্ধে করিয়া সমুদ্রে গমন পূর্বক তদীয় তোয়-রাশিতে রাখিলেন। ১০
“এইস্থানে ইচ্ছানুসারে বাড়িতে থাক, কেহই তোমাকে মারিবে না, শীঘ্রই পূর্ণাবয়ব প্রাপ্ত হও।” ১১
সৌভাগ্যশালী প্রাণিশ্রেষ্ঠ মনু, এই বলিয়া তাহার লঘুতা চিন্তা করত অতিশয় বিস্মিত হইলেন। ১২
সেই মৎস্য অতিশীঘ্র পূর্ণাবয়ব হইল তদীয় দেহে সমুদয় সমুদ্র ব্যাপ্ত হইল। ১৩
তখন প্রতিভাশালী স্বায়ম্ভুব মনু, শল্ক-পরিবৃত পূর্ণাবয়ব মৎস্যকে শিলাবৃত মানস শৈলের ন্যায় জল অতিক্রম করিয়া ঊর্ধ্বে উঠিতে ও দেহবিস্তারে সমস্ত সাগরকে নিশ্চলরূপে রোধ করিতে দেখিয়া, আর তাহাকে মৎস্য বোধ করেন নাই। ১৪-১৫
অনন্তর সেই স্বায়ম্ভুব মনু, তৎকালীন তাহার অদ্ভুত মূর্তি সন্দর্শন করত পূর্ব লঘুতা স্মরণ করিয়া বিনীতভাবে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন;–হে সাধুশ্রেষ্ঠ! ভবদীয় মহত্ব ও লঘুতা সন্দর্শন করিয়া আপনাকে আমার আর মৎস্য বলিয়া বিবেচনা নাই, আপনি কে আমাকে বলুন। আপনি মীনরূপধারী ব্ৰহ্মা বিষ্ণু অথবা মহেশ্বর? হে মহাভাগ! যদি ইহা গোপনীয় না হয়, তবে আমাকে বলিতে পারেন। ১৬-১৮
মৎস্য বলিলেন, তুমি যাহাকে প্রতিদিন আরাধনা করিয়া থাক, আমি সেই সনাতন বিষ্ণু; হে প্রজাপতি, তুমি যাহা আমার নিকট প্রার্থনা করিতেছ, তাহা আমি মূর্তিমান হইয়া সম্পাদন করিব, পূৰ্বে এইরূপ অঙ্গীকৃত ছিলাম, তাই তোমার মনোরথ সিদ্ধির জন্য অদ্য অবতীর্ণ হইয়াছি, মনু! আমার এই মূর্তিকে সেই সিদ্ধিদায়িনী জানিও। ১৯
মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–মনু অমিততেজা বিষ্ণুর এইরূপ বাক্য শুনিয়া ও স্বয়ং বিষ্ণুকে প্রত্যক্ষ জানিয়া স্তব করিলেন, হে বহ্নি-সূর্য-চন্দ্ৰনেত্রধারী সনাতন! হে স্থূলসূক্ষ্ম কার্যকারণেশ্বর হরি! আপনাকে প্রণাম করি। ২০-২১
হে পরমারাধ্য হরি! আপনি জগতের সমস্ত কারণ অবগত আছেন, আপনি জগতের আশ্রয়। ২৩
আপনি কার্যকারণ-স্বরূপ আত্মা এবং পবিত্রতাকারিগণের পবিত্রতার কারণ। ২৪
হে ত্রিবিক্রম। ষড়ৈশ্বৰ্যসম্পন্ন হরে! আপনি স্বয়ং স্ব স্ব স্বরূপ ধারণপূর্বক ধরারূপ ধরিয়া সমস্ত লোককে ধারণ করিতেছেন। হে সৰ্ব্বদেবময়। হে পরম ধ্যানধারিন! হে সুরগণের পরমারাধ্য সুরেশ্বর নারায়ণ! আপনার নিজের জন্ম নাই, তথাপি আপনি জগতের উৎপত্তিকারণ, আপনি স্বয়ং চরণশূন্য হইলেও সর্বদা গতিশীল। আপনি তেজঃস্বরূপ, সুতরাং ইন্দ্রিয় সকলের অগোচরতা নিবন্ধন স্পর্শজ্ঞানের অগোচর এবং আপনিই সকলের ঈশ্বর; আপনার কেহ ঈশ্বর নাই। ২৫-২৬
আপনি স্বয়ং অনাদি হইলেও সকলের আদি, নিত্য আনন্দই আপনার উৎপত্তিস্থান। ত্রিভুবনের বীজস্বরূপ যে স্বর্ণময় অণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ড বলিয়া বিখ্যাত, সে বীজও আপনার তেজ এবং আপনি তাহাকেই তোয়রাশিতে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। আপনি সকলের আশ্রয়, আপনার কোন আশ্রয় নাই, আপনি সকলের কারণ, আপনার কেহই কারণ নহে। ২৭-২৮
হে সৰ্ব্বলোক প্ৰভব! প্রভো! জগদীশ্বর! আপনাকে নমস্কার। আপনি ব্ৰহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বররূপে সৃষ্টি-স্থিতি প্রলয়ের কারণ। ২৯
যে আপনার দশ প্রকার মূর্তি কাম-ক্রোধাদি-ষড়রিপুবর্জিত, হে তেজো রাশি-পতে ভূতভাবন! সেই সকল মূর্তিস্বরূপ আপনাকে বারংবার প্রণাম করি। ৩০
হে পরেশ! স্থূল হইতে স্থূলতর ও সূক্ষ্ম হইতে সূক্ষ্মতর ভবদীয় স্বভাব বর্ণনা করিতে কে পারে? যিনি অজ্ঞান-তমসের অতি দূরবর্তী, সূৰ্য্য-সম-তেজস্বী, সেই আপনাকে আমার সৰ্ব্বদা নমস্কার। ৩১
যিনি পৃথিবীব্যাপী সহস্র মস্তক, সহস্র চরণ ও সহস্রনেত্র হইয়াও দশাঙ্গুল পরিমিত স্থানে স্থিতি করিয়াছিলেন, সেই বীর্যবান্ বিষ্ণু এই স্থানে আগমন পূর্বক আমার প্রতি প্রসন্ন হউন। ৩২
হে মীন-মুর্তি-ধারিন্! আপনাকে নমস্কার, হে ভগবন হরে। আপনাকে নমস্কার। হে জগদানন্দময়! আপনাকে নমস্কার, হে ভক্তবৎসল! আপনাকে বারংবার নমস্কার করি। ৩৩
তখন মৎস্যরূপী বাসুদেব স্বায়ম্ভুব মনুর স্তোত্রে পূজিত হইয়া মেঘ-গম্ভীর-স্বরে বলিলেন,–হে সুব্রত! তপস্যা, ভক্তি ও এইরূপ পূজা বিধি দ্বারা বারংবার পূজিত হইয়া আমি তোমার প্রতি সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছি, এক্ষণে বর প্রার্থনা কর। ৩৪-৩৫
মনোরথ সিদ্ধির জন্য তোমাকে সমস্তই প্রদান করিব, প্রদান বিষয়ে আমার বিচার নাই; যাহা ত্রিভুবনের হিতকারী এরূপ অভিলষিত বর প্রার্থনা কর। ৩৬
মনু বলিলেন;–হে বিষ্ণো! সৰ্ব্বলোক হিতকর বর যদি আমাকে প্রদান করেন, তবে আমি তাহার বিষয় এক্ষণেই বলিব শ্রবণ করিয়া সেই বর প্রার্থনা করুন। ৩৭
পূৰ্বে কপিলদেব আমার জন্য ত্রিভুবনের প্রতি “তোমার সকলই বিনষ্ট ও বিধ্বস্ত ও লয় প্রাপ্ত হউক। ৩৮
যিনি এই পৃথিবীকে উদ্ধার করিয়াছেন, যিনি ইহাকে পালন করিতেছেন এবং পরে যিনি ইহাকে সংহার করিবেন, তাহারা সকলেই এক্ষণে ইহাকে জলপ্লাবিত করুন”। ৩৯
এইরূপ শাপ প্রদান করেন, তাই আমি কাতর হৃদয়ে আপনার শরণাপন্ন হইয়াছি। ৪০
যেন এই ত্রিভুবন জলপ্লাবিত ও বিনষ্ট বিধ্বস্ত না হয়, সেইরূপ আমাকে বর প্রদান করুন। ৪১
ভগবান্ বলিলেন;–কপিল আমা হইতে ভিন্ন নহে, আমিও কপিল হইতে ভিন্ন নহে। ৪২
হে মনো! সেই মুনি যাহা বলিয়াছেন তাহা বাক্যানুসারে বিজিত হইয়াছে। ৪৩।
অতএব তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্য, অন্যথা হইবার নহে। হে মনো! আমি সে বিষয়ে তোমার সাহায্য করিব, তাহা শ্রবণ কর, হে মনু। বিনষ্ট লয়প্রাপ্ত ত্রিজগৎ জলরাশি-মগ্ন হইলে আমি অতি শীঘ্রই সেই জলরাশি শুষ্ক করিব। ৪৪
হে মনু! যে পর্যন্ত জলপ্লাবন থাকিবে, সেই সময়ে তোমার যাহা কর্তব্য। আমি তদ্বিষয়ে হিতবাক্য বলিতেছি এক্ষণে অবহিত হইয়া শ্রবণ কর। ৪৫
মনো! যাজ্ঞিক কাষ্ঠসমূহ দ্বারা প্রস্থে দশযোজন এবং দৈর্ঘ্যে ত্রিংশৎ যোজন-পরিমিত এবং জগৎ-সৃষ্টির মূলীভূত কারণ সকলের ধারণে সমর্থ যজ্ঞীয় কাষ্ঠসমূহ দ্বারা এক নৌকা নিৰ্মাণ কর; ঐ নৌকা আমি স্বশক্তি দ্বারা দৃঢ় করিয়া রাখিব। প্রলয়কালীন জলের প্রচণ্ড বেগেও তাহার বিঘ্ন হইবে না এবং নয় যোজন পরিমাণে দীর্ঘ এবং প্রস্থে বাহুমূল হইতে অঙ্গুরীর অগ্র ভাগের পরিমাণ অপেক্ষা তিনগুণ বিস্তৃত যজ্ঞ সম্বন্ধীয় বৃক্ষসমূহের বল্কল এবং সূত্রদ্বারা স্বয়ংই বৃহৎ এক রজ্জু নির্মাণ কর। ৪৬-৪৮
যাহার মায়ায় লোক মুগ্ধ হইয়া মায়াজালে বদ্ধ হইতেছে, সেই জগজ্জননী উক্ত রজ্জুর বিঘ্ন নিবারণ করত রক্ষা করিবেন। ৪৯
যে কালে প্রলয়পয়োনিধির সলিল-তরঙ্গে এবং প্রচণ্ড পবনের ঝঞ্ঝাবাতে ভূতল রসাতল গমনোদ্যত হইবে, তুমি সেই কালে ভাবী সৃষ্টির বীজসকল সপ্তর্ষিমণ্ডল এবং বেদ সকলকে গ্রহণ করিয়া দক্ষের সহিত সেই নৌকায় আরোহণ করত একচিত্তে আমাকে স্মরণ করিবে। স্মরণ করিবামাত্রই আমি তোমার নিকটে আগমন করিয়া দর্শন দিব। ৫০-৫২
তুমিও কৃষ্ণবর্ণ শৃঙ্গ দর্শন করিয়া আমাকে জানিতে পারিবে। যেকাল পর্যন্ত এই প্রকার ভয়ঙ্কর কাৰ্য্যে জগৎ দোদুল্যমান হইবে, আমি তদবধি সেই নৌকা পৃষ্ঠে ধারণ করত রক্ষা করিব। ৫৩
অনন্তর প্রলয়কালীন ক্ষোভ শান্ত হইলে, তুমি পূর্বোক্ত রজ্জুদ্বারা আমার শৃঙ্গের সহিত ঐ নৌকাকে দৃঢ়তর বন্ধন করিবে। ৫৪
দৈব-পরিমাণে সহস্র বৎসরকাল ঐ জল শুষ্ক হইলে হিমালয়গিরির উন্নত– শিখরে নৌকা বন্ধন করিয়া আমার দর্শন প্রতীক্ষায় সেই স্থানে থাকিবে এবং আমাকে চিন্তা করিবামাত্র আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হইব। ৫৫-৫৭
পৃথিবীতে কিঞ্চিৎ পরিমাণে জল অবশিষ্ট থাকিলে তোমায় দর্শন দিব। তুমিও কৃষ্ণবর্ণ শৃঙ্গ দর্শনে আমাকে জানিতে পারিবে। ৫৮
মহাত্মন্! আমার অনুগ্রহে পুনর্বার জগৎ সৃষ্টি করিয়া লোক-দুর্লভা পূর্বের লক্ষী লাভ করিবে। ৫৯
মনো! তুমি যে মন্ত্র জপ করিয়া আমার আরাধনা করিয়াছ, যে ব্যক্তি এই মন্ত্রের জপাদি করিয়া আমার পূজা করিবে তাহারও মনোরথ সফল হইবে। ৬০
লোকানুগৃহীতা ভগবান্ এই প্রকারে স্বায়ম্ভুব মনুকে বর প্রদান করিয়া অন্তর্হিত হইলেন। ৬১
স্বায়ম্ভুব মনুও–ভগবান এই প্রকার বাক্য প্রয়োগ করিয়া অন্তর্হিত হইলে তাঁহার আদেশমত যজ্ঞীয় কাষ্ঠ আহরণ করত পূর্বোক্ত পরিমাণে এক নৌকা নিৰ্মাণ করিলেন এবং বৃক্ষের বল্কল এবং সূত্রদ্বারা রজ্জুও নিৰ্মাণ করিলেন। ৬২-৬৩
তদনন্তর বহুকালের পর মহাদেব যজ্ঞ-বরাহ-রূপধারী বিষ্ণুর সহিত মৃগ রূপ ধারণ করিয়া তুমুল সংগ্রাম আরম্ভ করিলেন। ৬৪
অনন্তর প্রলয় হেতু ত্রিভুবন ছিন্নভিন্ন হইলে স্বায়ম্ভুব মনু, সেই রজ্জু দ্বারা নৌকাকে বন্ধন করিয়া সৃষ্টির বীজ সপ্তর্ষিমণ্ডল এবং বেদ-সকলকে গ্রহণ করত নৌকায় আরোহণ করিলেন এবং বিষ্ণুর আদেশমতে মৎস্য রূপধারী ভগবানকে চিন্তা করিতে আরম্ভ করিলেন। ৬৫-৮৭
তদনন্তর শৃঙ্গবিরাজিত গিরিবরের ন্যায় শোভাশালী মৎস্যরূপী ভগবান এক শৃঙ্গ ধারণ করিয়া স্বায়ম্ভুব মনুর নিকট উপস্থিত হইলেন। ৬৮
এবং যেকাল পর্যন্ত সেই জল মহাবেগে সৃষ্টিনাশে প্রবৃত্ত হইল, ভগবান তদবধি নৌকা পৃষ্ঠে ধারণ করিলেন। ৬৯
প্রলয় শান্ত হইলে ভগবান, রজ্জু দ্বারা শৃঙ্গে দৃঢ়তর বদ্ধ নৌকা ধারণ করিয়া দৈবপরিমাণে সহস্র বৎসরে সুমেরু-শিখরের সমীপে উপস্থিত হইলেন। যোগমায়া জগদ্ধাত্রী, সেই নৌকার বিঘ্নবিনাশ করিয়াছিলেন। ৭০-৭১
ক্রমশঃ জল শুষ্ক হইতে লাগিল, দুই সহস্র যোজন পরিমাণে উন্নত, পশ্চিম দিগ্ব্যাপী হিমালয় পর্বতের প্রধান শৃঙ্গ, জল হইতে কিঞ্চিৎ উত্থিত হইলে, ভগবান্ তাহাতেই নৌকাবন্ধন করত মৎস্যরূপ ধারণ করিয়া বেদ সকল রক্ষা করিলেন। ৭২-৭৪
মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–হে মুনিসত্তম! মহাত্মা কপিলমুনির শাপে অকালে যে প্রলয় হইল, সেই বিষয় সবিস্তারে তোমাদের নিকট বর্ণনা করিলাম। ৭৫
ত্রয়স্ত্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। ৩৩