হযরত আইয়ুব (আ)-এর ঘটনা
ইব্ন ইসহাক (র) বলেন, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন রোমের বাসিন্দা। তাঁর বংশপঞ্জি নিম্নরূপ : আইয়ুব ইব্ন মুস, ইব্ন যারাহ ইবনুল ঈসা ইব্ন ইসহাক ইব্ন ইবরাহীম আল-খলীল (আ)। কেউ কেউ বলেছেন, তাঁর বংশ তালিকা এভাবে : আইয়ুব ইব্ন মূস ইব্ন রাবীল ইবনুল ঈসা ইব্ন ইসহাক ইব্ন ইয়াকুব (আ)। কোন কোন ঐতিহাসিক অন্যরূপ লিখেছেন। ইব্ন আসাকির (র) লিখেছেন, আইয়ুব নবীর মা ছিলেন। হযরত লুত (আ)-এর কন্যা। কেউ কেউ বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ)-এর পিতা সেই ঈমানদারদের একজন যারা হযরত ইবরাহীম (আ)-কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপের দিন ঈমান এনেছিলেন। কিন্তু প্ৰথম মতটাই অধিক প্ৰসিদ্ধ। কেননা, তিনি ছিলেন ইবরাহীম (আ)-এর অধঃস্তন বংশধর। এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত
আয়াতের তাফসীরে বিস্তারিত লিখেছি। যথা :
আর তার (ইবরাহীমের) বংশধরদের মধ্যে রয়েছে দাউদ, সুলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, भूना ७ शझन। (७ ६ b’8)
সঠিক মত এই যে ২-এ, ৩১ বলতে ইবরাহীম (আ)-এর বংশধরদের বোঝানো হয়েছে; নূহ (আ)-এর বংশধর নয়। হযরত আইয়ুব (আ) সেসব নবীর অন্যতম যাদের নিকট ওহী পাঠানো হয়েছে বলে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন :
‘তোমার কাছে ওহী’ প্রেরণ করেছি। যেমন নূহ ও তার পরবর্তী নবীগণের কাছে প্রেরণ করেছিলাম। ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ, ‘ঈসা, আইয়ুব, হারূন এবং সুলায়মানের কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম। (৪ : ১৬৩)
অতএব, বিশুদ্ধ মত এই যে, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন ‘ঈসা ইব্ন ইসহাক (আ)-এর বংশধর। তার স্ত্রীর নামের ব্যাপারেও বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। কারও মতে, লায়্যা বিনত ইয়াকুব। কারও মতে, রুহমাহ বা রাহিমাহ বিনত আফরাইম। কারও মতে, মানশা বিনত ইউসুফ ইব্ন ইয়াকুব। শেষোক্ত মতই বেশি প্রসিদ্ধ। এই কারণে আমরা এখানে এই মতেরই উল্লেখ করেছি। হযরত আইয়ুব (আ)-এর ঘটনা বলার পর আমরা বনী ইসরাঈলের অন্যান্য
8እov€)
নবী সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। আল্লাহর বাণী :
এবং স্মরণ কর, আইয়ুবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। তার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সঙ্গে তাদের মত আরো দিয়েছিলাম। আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরূপ। (২১ : ৮৩-৮৪)
সূরা সাদে আল্লাহ বলেন :
স্মরণ কর, আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, শয়তান তো আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর, এই তো গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয়। আমি তাকে দিলাম। তার পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও আমার অনুগ্রহশ্বস্বরূপ ও বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ। আমি তাকে আদেশ করলাম, এক মুঠো। তৃণ লও ও তা দিয়ে আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম বান্দা সে! সে ছিল আমার অভিমুখী। (৩৮ : ৪১-৪৪)
ইব্ন আসাকির (র) কালবী (র) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, সর্বপ্রথম প্রেরিত নবী হযরত ইদরীস (আ)। তারপরে নূহ, তারপর ইবরাহীম (আ)। তারপর ইসমাঈল, তারপর ইসহাক, তারপর ইয়াকুব, তারপর ইউসুফ (আ)। তারপর লুত, তারপর হ্রদ, তারপর সালিহ, তারপর শু’আয়ব, তারপর মূসা ও হারূন, তারপর ইলয়াস, তারপর আল-য়াসা, তারপর উরাফী ইব্ন সুওয়ায় লিখা ইব্ন আফরাইম ইব্ন ইউসুফ ইব্ন ইয়াকুব (আ)। তারপর ইউনুস (আ) ইব্ন মাত্ত— ইয়াকুবের বংশধর। তারপর আইয়ুব ইব্ন যারাহ ইব্ন আমূস ইব্ন লায়ফারাম ইবনুল ‘ঈসা ইব্ন ইসহাক ইব্ন ইবরাহীম (আ)। উক্ত ক্রমধারায় কোন কোন নামের ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। কেননা হ্রদ ও সালিহ (আ) সম্পর্কে প্রসিদ্ধ মত এই যে, তাদের আগমন নূহ (আ)-এর পরে ও ইবরাহীম (আ)-এর পূর্বে হয়েছিল।
ঐতিহাসিক ও তাফসীরকারগণ বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন সে কালের একজন বড় ধনাঢ্য ব্যক্তি। সকল প্রকার সম্পদের অধিকারী ছিলেন তিনি। যথা চতুষ্পদ ও গৃহ-পালিত
8እ8
পশু। দাস-দাসী এবং হাওরান অঞ্চলের বুছায়না এলাকার বিশাল জমির মালিকানা ছিল তার হস্তগত।
ইব্ন আসাকির (র) বর্ণনা করেন, হযরত আইয়ুব (আ)-এর ঐ সব সম্পদ ছাড়াও আরও ছিল প্রচুর সন্তান ও পরিবার-পরিজন। পরে এ সব কিছু তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রকার দৈহিক ব্যাধি দ্বারা তাকে পরীক্ষায় ফেলা হয়। শরীরের সর্ব অংগে রোগ ছিল এত ব্যাপক যে, জিহবা ও হৃৎপিণ্ড ব্যতীত কোন একটি স্থানও অক্ষত ছিল না। এ দুই অংগ দ্বারা তিনি আল্লাহর যিকির করতেন। এতসব মুসীবত সত্ত্বেও তিনি ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা দেখান। রাত-দিন সকাল-সন্ধ্যা সর্বক্ষণ আল্লাহর যিকিরে রত থাকেন। রোগ দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ায় বন্ধু-বান্ধব, আপনজন তার কাছ থেকে সরে যেতে থাকে। অবশেষে তাকে শহরের বাইরে এক আবর্জনাময় স্থানে ফেলে রাখা হয়। একে একে সবাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একমাত্র স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ তার খোঁজ-খবর রাখত না। স্বামীর অধিকার, তার পূর্বের ভালবাসা ও অনুগ্রহের কথা মনে রেখে স্ত্রী তার সেবায় নিয়োজিত থাকেন। স্ত্রী তার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। পেশাব-পায়খানায় সাহায্য করতেন এবং অন্যান্য খিদমতে আঞ্জাম দিতেন। স্ত্রীও ক্রমশ দুর্বল হতে থাকেন। অর্থের দৈন্য দেখা দেয়। ফলে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সেই পারিশ্রমিক দ্বারা স্বামীর আহার্য ও ঔষধপত্রের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন। তবুও তিনি অসীম ধৈর্যের পরিচয় দেন। সম্পদ ও সন্তানাদি হারান। স্বামীর করুণ অবস্থা, অর্থের অভাব ও মানুষের সাহায্য-সহানুভূতির অনুপস্থিতি— এ সব প্রতিকূল অবস্থাকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে মুকাবিলা করেন। অথচ সম্পদ-ঐশ্বর্য, বন্ধু-বান্ধব ইতিপূর্বে সবই তাদের করায়ত্ত ছিল। সহীহ হাদীসে আছে— রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : اشد الناس
সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হয় নবীগণের। তারপর সত্যপন্থী লোকদের, এরপর দীনদাদীর স্তর ভেদে পর্যায়ক্রমে এ পরীক্ষা চলে। যদি সে দৃঢ়তার সঙ্গে দীনের আনুগত্য করতে থাকে। তবে তার পরীক্ষাও কঠোরতর হয়।’ উল্লেখিত বিপদ-আপদ হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর ক্ষেত্রে যতই বৃদ্ধি পেয়েছে ততই তার ধৈর্য, সহনশীলতা, আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি তার ধৈর্য ও মুসীবত পরবর্তীকালে প্রবাদে পরিণত হয়ে যায়। ওহাব ইব্ন মুনাব্বিহ ও অন্য অনেকে ইসরাঈলী উলামাদের বরাতে হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর সম্পদ ও সন্তানাদি নিঃশেষিত হওয়া ও দেহের রোগ সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা দান করেছেন। আল্লাহ। এগুলোর বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
মুজাহিদ (র) বলেছেন, পৃথিবীতে হযরত আইয়ুব (আ)-এরই সর্বপ্রথম বসন্ত রোগ হয়। ঐতিহাসিকগণ হযরত আইয়ুব (আ)-এর পরীক্ষাকালের স্থায়িত্ব সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। ওহাবের মতে, তার পরীক্ষাকাল ছিল তিন বছর- এর কমও নয়, বেশিও নয়। আনাস (রা) বলেন, সাত বছর কয়েক মাস পর্যন্ত তার পরীক্ষা চলে। এই সময়ে তাকে বনী ইসরাঈলের একটি আবর্জনাময় স্থানে ফেলে রাখা হয়। বিভিন্ন রকম কীট তার দেহের উপর
8እዕ‛
দিয়ে চলাচল করত। অতঃপর আল্লাহ তাকে এ মুসীবত থেকে উদ্ধার করেন। বিপুলভাবে তাকে পুরস্কৃত করেন এবং তার প্রশংসাও করেন।
হুমায়াদ (র) বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ) আঠার বছর যাবত মুসীবতে আবদ্ধ ছিলেন। সুদী (র) বলেছেন, আইয়ুব (আ)-এর দেহ থেকে মাংস খসে পড়ে এমনকি তার হাড় ও শিরা ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। তাঁর স্ত্রী তাঁর দেহের নিচে ছাই বিছিয়ে দিতেন। এ অবস্থা যখন দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে, তখন একদা স্ত্রী বললেন, হে আইয়ুব! আপনি যদি আপনার প্রতিপালকের কাছে দু’আ করতেন তাহলে তিনি এ বিপদ থেকে আপনাকে উদ্ধার করতেন। তদুত্তরে আইয়ুব (আ) বললেন, আমি সত্তর বছর সুস্থ দেহে জীবন যাপন করেছি, এখন তার জন্যে সত্তর বছর সবর করলেও তা নগণ্যই হবে। স্বামীর মুখে এ কথা শুনে স্ত্রী ঘাবড়ে যান। তখন থেকে তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মানুষের কাজকর্ম করে আইয়ুব (আ)-এর আহার্যের द6ननांवरठ कत0ठन |
কিছুদিন পর লোকজন যখন জানল যে, এই মহিলাটি আইয়ুব (আ)-এর স্ত্রী। তখন আর তারা তাঁকে কাজে নিতো না। তাদের ভয় হল যে, এরূপ মেলামেশার দ্বারা আইয়ুবের রোগ হয়ত তাদের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। একদা স্ত্রী কোথাও কাজ খুঁজে না পেয়ে অবশেষে জনৈক সম্রান্ত ব্যক্তির কন্যার কাছে খুব উন্নতমানের খাদ্যের বিনিময়ে নিজের চুলের দুইটি বেনীর একটি বিক্রি করে দেন। উক্ত খাদ্য নিয়ে তিনি আইয়ুব (আঃ)-এর কাছে উপস্থিত হন। আইয়ুব (আ) এমন খাদ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ খাদ্য কোথায় পেয়েছি? স্ত্রী জানালেন, অন্যের কাজ করে এ খাদ্য সংগ্রহ করেছি। পরের দিনও স্ত্রী কোথাও কাজ না পেয়ে অবশিষ্ট বেনীটিও খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। উক্ত খাদ্য আইয়ুব (আ)-এর কাছে নিয়ে আসলে এবারও তিনি অসন্তুষ্ট হন এবং কসম করেন যে, কোথা থেকে কিভাবে এ খাদ্য তিনি পেলেন, না বলা পর্যন্ত তিনি তা খাবেন না। তখন স্ত্রী নিজ মাথা থেকে ওড়না তুলে দেখান। আইয়ুব (আ) স্ত্রীর মাথা মুণ্ডিত দেখে আল্লাহর কাছে দু’আ করেন :
اتى مشنى الصُتُمْ وَأَنْتُ أرْحَمْ ترجمين . হে আমার প্রতিপালক! আমি দুঃখে-কষ্টে পতিত হয়েছি, আর আপনি তো সকল
দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া : ৮৩)
ইব্ন আবী হাতিম (র) আবদুল্লাহ ইব্ন উবায়দ ইব্ন উমােয়র (রা) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আইয়ুব (আ)-এর দুই ভাই ছিল। একদা তারা তাদের ভাইকে দেখতে আসে। কিন্তু আইয়ুব (আঃ)-এর দেহের দুর্গন্ধের কারণে তারা তার কাছে যেতে সক্ষম হলো না। দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। তখন একজন অপর জনকে বলল : আইয়ুবের মধ্যে কোন কল্যাণ আছে বলে যদি আল্লাহ জানতেন, তাহলে তিনি এভাবে তাকে এরূপ কঠিন পরীক্ষায় ফেলতেন না। তাদের এ কথায় তিনি এতই মর্মাহত হন যে, এমনটি আর কখনও হননি। অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি যদি জানেন যে, এমন একটি রাতও যায়নি, যে রাত্রে আমি পেট ভরে খানা খেয়েছি অথচ আমার জানা মতে, কোন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকেছে, তা হলে আমার সত্যতা প্ৰকাশ করুন।’ তখন আকাশ থেকে তার কথার সত্যতা ঘোষণা করা হয়।
85Ն ऊठाब्ल-विाच। ७षान् निशा
এবং ঐ দুই ভাই তা শ্রবণও করে। অতঃপর তিনি পুনরায় বললেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি যদি জানেন যে, বস্ত্ৰহীন লোকের খবর পাওয়ায় আমি কখনও দুটি জামা গ্ৰহণ করিনি তাহলে আমার সত্যতা প্রকাশ করুন।’ তখন আকাশ থেকে তাঁর সত্যতা ঘোষণা করা হয়— যা ঐ দুই ভাই শ্ৰবণ করেছিল। অতঃপর তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনার ইযযতের কসম, এরপর সিজদায় পড়ে যান এবং বলেন, হে আল্লাহ! আপনার ইযযতের কসম, আমার মুসীবত দূর না করা পর্যন্ত আমি মাথা উঠাব না।’ সত্যই বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠাননি।
ইব্ন আবী হাতিম (র) ও ইব্ন জারীর (র) উভয়ে আনাস ইব্ন মালিক (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহর নবী আইয়ুব (আঃ)-এর রোগ আঠার বছর যাবত স্থায়ী ছিল। কাছের ও দূরের সকল লোক তাঁকে পরিত্যাগ করে যায়। কিন্তু দুই ব্যক্তি পরিত্যাগ করেনি। তারা ছিল তার দুই ভাই। এ দুই ভাই ছিল তাঁর খুবই আদরের পাত্ৰ। সকালে ও বিকেলে তারা আইয়ুব (আ)-এর কাছে আসত। একদিন এক ভাই অপরজনকে বলে, দেখ— আল্লাহ জানেন যে, আইয়ুব এমন কোন পাপ করেছে যা অন্য কোন লোক কখনও করেনি। অপরজন বলল, কি সে পাপ? সে বলল, আজ আঠারটি বছর সে রোগে ভুগছে। আল্লাহ তাকে রহমত করেননি। রোগ থেকে মুক্তি দেননি। বিকেলে যখন তারা আসল, তখন দ্বিতীয় ভাইটি আর ধৈর্য ধরতে পারল না। আইয়ুব (আ)-এর কাছে তা বলে দিল। হযরত আইয়ুব (আ) বললেন, তুমি কি বলছি, তা আমি বুঝি না। তবে আল্লাহ জানেন, একদা আমি দুই ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম— যারা পরস্পর ঝগড়া করছিল এবং আল্লাহর যিকির করছিল। আমি বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তারা যে অনুপযুক্ত পরিবেশে আল্লাহর যিকির করেছে সে জন্যে তাদের পক্ষ থেকে আমি কাফফারা আদায় করি
হযরত আইয়ুব (আ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যেতেন। প্রয়োজন শেষ হলে স্ত্রী তাঁর হাত ধরে আনতেন ও স্ব-স্থানে রাখতেন। একদা স্বামীর কাছে আসতে স্ত্রীর দেরি হয়। এ
সময়ে আল্লাহ আইয়ুব (আ)-এর কাছে ওহী পাঠালেন :
- ή ν κ Λ м Z A Z ۹۹।( ۹।(IN هم!SIRH۹ *) آژگض پر جللی هذا مغتشل بار و شرایبو.
মাটিতে আঘাত কর। এই তাে গোসলের ও পান করার ঠাণ্ড পানি) বেশ কিছু সময় দেরি করে স্ত্রী আজ আইয়ুব (আ)-এর কাছে আসলেন ও তাঁকে দেখতে লাগলেন। হযরত আইয়ুব (আ) পূর্বের চেয়েও অধিক সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যবান হয়েছেন। তিনি এ অবস্থায় স্ত্রীর সম্মুখে আসলেন। স্ত্রী তাকে চিনতে না পেরে বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকতময় করুন। এখানে আল্লাহর নবী রোগগ্ৰস্ত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন তাঁকে কি তুমি দেখেছ? আল্লাহর কসম, ঐ নবী রোগে পড়ার পূর্বে যখন সুস্থ ছিলেন, তখন তাঁর যে চেহারা ছিল সে চেহারার সাথে তোমার চেহারার ন্যায় অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ চেহারার লোক আমি আর কাউকে দেখিনি। হযরত আইয়ুব (আ) বললেন, আমিই সেই লোক। হযরত আইয়ুব (আ)-এর বাড়িতে দু’টি উঠান ছিল। একটি গম মাড়ানোর এবং আরেকটি যবের। আল্লাহ দুই খণ্ড মেঘ পাঠিয়ে দেন। একটি খণ্ড গমের উঠানের উপর এসে স্বর্ণ বর্ষণ করে। পর্যাপ্ত বর্ষণের ফলে তা পরিপূর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে। অপর খণ্ডটি যবের উঠানের উপর রৌপ্য বর্ষণ করে—যা পরিপূর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে। উপরোক্ত সকল বর্ণনা ইব্ন জারীর (র)-এর। ইব্ন হিব্বান (র) ও তার সহীহ গ্রন্থে উপরোক্ত
85Գ
সমুদয় ঘটনা ইব্ন ওহাব সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের মারফু বৰ্ণনা একান্তই গরীব’ পর্যায়ের। এটা মওকুফ হওয়াই সঠিক। ইব্ন আবী হাতিম (র) ইব্ন আব্বাস (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আ)-কে জান্নাতের পোশাক পরিধান করান। আইয়ুব (আ) জান্নাতী পোশাক পরে একটু দূরে গিয়ে পথের পাশে বসে থাকেন। তারপর তার স্ত্রী যখন সেখানে আসেন, তখন তিনি তাকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর বান্দা! এখানে রোগগ্ৰস্ত যে লোকটি ছিল তাকে সম্ভবত কুকুরে বা বাঘে নিয়ে গেছে। এভাবে লোকটির সাথে কিছু সময় ধরে স্ত্রী কথা বলতে থাকেন। লোকটি বলল, সম্ভবত আমিই সেই আইয়ুব। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন? তখন তিনি বলে উঠলেন, আল্লাহ তোমাকে রহম করুন। আমিই তো আইয়ুব। আল্লাহ আমার সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন।
ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আঃ)-কে পূর্বের সম্পদ ও সন্তান অবিকল ফিরিয়ে দেন এবং সেই সাথে সমপরিমাণ অতিরিক্ত দান করেন। ওহাব ইব্ন মুনাবিবাহ (র) বলেন, আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে জানান : আমি তোমার সন্তানাদি ও ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দিয়েছি, এবং আরও সমপরিমাণ দান করেছি, এখন এই পানি দ্বারা তুমি গোসল কর। কারণ এর দ্বারা তুমি আরোগ্য লাভ করবে। তোমার আপনজন ও আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকে কুরবানী দাও এবং তাদের জন্যে ক্ষমা চাও। কেননা, তোমার ব্যাপারে তারা আমার অবাধ্যতা করেছে। ইব্ন আবী হাতিম (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইব্ন আবী হাতিম (র) আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে আরো বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) বলেছেন : আল্লাহ আইয়ুব (আ)-কে রোগ থেকে মুক্তি দেয়ার পর তাঁর প্রতি স্বর্ণ বর্ষণ করেন। আইয়ুব (আ) তা অঞ্জলি ভরে উঠিয়ে কাপড় ভর্তি করতে থাকেন। তখন অদৃশ্যলোক থেকে তাঁকে বলা হল, হে আইয়ুব! তুমি কি তৃপ্ত হওনি? আইয়ুব (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! কে এমন আছে, যে আপনার রহমতে তৃপ্ত হয়ে কে তা চাওয়া বন্ধ করতে পারে? অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) সূত্রে, আবদুস সামাদ (র) কাতাদা (র) থেকে এবং ইব্ন হিব্বান (র) আবদুস সামাদ (র) থেকে। এ হাদীস সহীহ-এর শর্তে উত্তীর্ণ। অবশ্য, ‘সিহাহ সিত্তার কোন গ্রন্থে এটা বর্ণিত হয়নি। আল্লাহই সর্বজ্ঞ। ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক লোকের মাধ্যমে আইয়ুব (আ)-এর কাছে কতগুলো স্বৰ্ণ-পাত্ৰ পাঠান হয়। তিনি সেগুলো নিজের কাপড়ে ভরে রাখতে থাকেন। তখন আওয়াজ হল, হে। আইয়ুব! যা তোমাকে দেয়া হয়েছে তা কি তোমার জন্যে যথেষ্ট নয়? আইয়ুব বললেন, হে আমার পালনকর্তা! আপনার অনুগ্রহ থেকে কে হাত গুটািতে পারে? হাদীসটি উক্ত সূত্রে মওকুফ। তবে অন্য সূত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে এটা মারফু রূপেও বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : একদা আইয়ুব (আ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করছিলেন। এমন সময় তার সামনে এক ঝাক স্বর্ণের পঙ্গপাল পতিত হল। তিনি সেগুলো হাতে ধরে কাপড়ে রাখতে লাগলেন। তখন তার প্রতিপালক তাকে ডেকে বললেন, হে আইয়ুব! তুমি যা দেখতে পাচ্ছে তা থেকে আমি কি তোমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেইনি? তিনি উত্তর দিলেন, অবশ্যই আমার প্রতিপালক কিন্তু আমি
(১ম খণ্ড) ৬৩–
আপনার বরকতের অমুখাপেক্ষী নই। বুখারী (র) আবদুর রাযযাক (র) সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। –
আল্লাহর বাণী : 4) & 0 & %1-(তুমি তােমার পা দ্বারা আঘাত কর।) আইয়ুব (আ) নির্দেশ মোতাবেক আপনি পা দ্বারা মাটিতে আঘাত করলেন। আল্লাহ সেখান থেকে একটি ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেন। যার পানি ছিল সুশীতল। আল্লাহ তাকে এই পানি দ্বারা গোসল করতে ও তা পান করতে হুকুম দেন। আইয়ুব (আ) তাই করলেন। ফলে তাঁর সমস্ত ব্যথা বেদনা ও তাঁর দেহের প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল রোগ-শোক ও ক্ষত দূর হয়ে গেল। আল্লাহ তাকে সু-স্বাস্থ্য দান করেন, ‘তার চেহারাকে সুদৰ্শন চেহারায় পরিবর্তন করে দেন। এ ছাড়া তাকে প্রচুর ধন-সম্পদও দান করেন। এমনকি স্বর্ণের পঙ্গপালও বর্ষণ করেন। তাকে আল্লাহ সন্তান-সন্ততিও প্রদান করেন। আল্লাহ বলেন : 4.4%, .14%.%%1,9 %1*K»1% (তাকে তার পরিবারবর্গ ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সমপরিমাণও দিলাম)। কারও কারও মতে, আল্লাহ আইয়ুব (আ)-এর পূর্বের সন্তানদেরকে জীবিত করে দেন। আর কারও মতে, পূর্বের সন্তানদের বিনিময়ে আল্লাহ আইয়ুব (আ)-কে সওয়াব দান করেন এবং তাদের স্থলে সমসংখ্যক সন্তান দুনিয়ায় দান করেন। আর এ সকলকে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার সাথে একত্র করবেন। ‘এA & 2/4_%2% (আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ () অর্থাৎ আমি তাঁর যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম। 2, 3, 4, … …….<% (এবং তার উপর যে মুসীবত চেপে ছিল তা থেকে তাকে মুক্ত কঁরলাম।) অর্থাৎ এটা ছিল তাঁর প্রতি আমার রহমত, কৃপা ও অনুগ্রহ। ১৯১১ (1 << ১ % (এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরূপ) অর্থাৎ এটা ঐ ব্যক্তির জন্যে উপর্দেশস্বরূপ যে তার দেহ, সম্পদ কিংবা সন্তানের ব্যাপারে পরীক্ষায় পতিত হবে। তার জন্যে আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ) আদর্শ হয়ে থাকবেন। কেননা, আল্লাহ আইয়ুব (আ)-কে তার চাইতেও অনেক বড় পরীক্ষায় ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করেন এবং বিনিময়ে পুরস্কার আশা করেন। ফলে আল্লাহ তাঁকে মুক্তি দেন। উপরোক্ত আয়াত f_%2%) (ৰ্ণ, থেকে যারা এ অর্থ নিয়েছেন যে, এটা তার স্ত্রীর নাম (44.4%)- তাদের এরূপ দলীল গ্ৰহণ সম্পূর্ণ বাতিল ও ভ্রান্তিপূর্ণ। যাহাহাক (র) ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ আইয়ুব (আ)-এর স্ত্রীকে যৌবন ফিরিয়ে দেন এবং স্ত্রীকে পূর্বাপেক্ষা অধিক সুশ্ৰী করে দেন; এমনকি আরও ছাব্বিশজন পুত্ৰ সন্তানও তার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে। রোগ থেকে মুক্তি লাভের পর আইয়ুব (আ) সত্তর বছর জীবিত ছিলেন। তিনি রোম দেশে বসবাস করতেন এবং দীনে হানীফ তথা সত্য ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। এরপর পরবর্তী লোকজন ইবরাহীম (আ)-এর দীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটায়। আল্লাহর বাণী :
হে। আইয়ুব! তুমি স্ব-হস্তে তৃণশলা ধারণ কর এবং তা দ্বারা স্ত্রীকে প্রহার করা। তবুও কসম ভঙ্গ করো না। আমরা আইয়ুবকে ধৈর্যশীল পেয়েছি। কতই না উত্তম বান্দা সে! নিঃসন্দেহ সে ছিল আমার অভিমুখী। (সূরা সাদ : ৪৪)
, 8እsእs
অর্থাৎ এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আইয়ুব (আ)-এর প্রতি বিশেষ রেয়াত। তিনি স্ত্রীকে একশ’ কোড়া মারার শপথ করেছিলেন। এর কারণ হিসেবে কেউ বলেছেন, স্ত্রী চুল বিক্রি করায় তিনি এই শপথটি করেছিলেন। কেউ বলেছেন যে, একদা শয়তান নবীর স্ত্রীর কাছে চিকিৎসকের বেশ ধরে গিয়ে আইয়ুব (আ)-এর ব্যাধির নির্দিষ্ট ঔষধের বর্ণনা দিয়েছিল। স্ত্রী তার কাছে এসে উক্ত ঔষধের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটা শয়তানের কাজ। তখন তিনি কসম করেন যে, স্ত্রীকে একশ’ কোড়া মারবেন। রোগ মুক্তির পর আল্লাহ তাকে জানালেন যে, শস্যের গোছার মত এক গোছা তৃণ একত্রে বেঁধে একবার স্ত্রীকে মার। এতে একশ’ কোড়া মারা হয়েছে বলে গণ্য হবে। এতেই কসমের কাফফারা হয়ে যাবে। কসম ভাঙ্গার গুনাহ হবে না। এটা হল মুক্তির সহজ ব্যবস্থা এবং এমন ব্যক্তির কসম থেকে নিকৃতি লাভের উপায়, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে ও তার আনুগত্য করে। বিশেষ করে একজন ধৈর্যশীল সতী-সাধবী, সত্যপন্থী নেককার স্ত্রী লোকের ক্ষেত্রে। এজন্যে আল্লাহ। এই সুযোগ را تا و ج۵ نگاه ضایزابث الع : f&{{{{l8 |IC° 8 863 ۹۹۹C&s ۹۹{8}} এ%%11%), (আমি তাকে সবরকারীরূপে পেয়েছি। কত ভাল বান্দা সে! নিশ্চয়ই সে আল্লাহর ইবাদতকারী)। বহু সংখ্যক ফিকাহবিদ এই রেয়াতকে আয়মান ও নুযুর (শপথ ও মানত) অধ্যায়ে দলীলরুপে প্রয়োগ করেছেন। কিছু সংখ্যক ফকীহ এর ব্যাপ্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে শপথ থেকে বীচার উপায় ও বাহানা অধ্যায় সংযোজন করেছেন – J___। এL’, <) (৩L ১১। ৩- ১০-১__। তাঁরা দলীল হিসেবে এ আয়াতকেই পেশ করেছেন এবং রকমারি মাসআলা বের করেছেন। আমরা তার কিছু অংশ ‘কিতাবুল আহকামো’ যখন পৌছব ইনশাল্লাহ
তখন আলোচনা করব।
ইব্ন জারীর (র) প্রমুখ ইতিহাসবেত্তা লিখেছেন যে, হযরত আইয়ুব (আ) তিরানব্বই বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। কারও মতে, তিনি এর চেয়ে বেশিদিন জীবিত ছিলেন। মুজাহিদ (র) সূত্রে লায়ছ বৰ্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ দলীল হিসেবে ধনীদের বিরুদ্ধে সুলায়মান (আ)-কে, দাস-দাসীদের বিরুদ্ধে ইউসুফ (আঃ)-কে এবং মুসীবত ও বিপদগ্ৰস্তাদের মুকাবিলায় আইয়ুব (আ)-কে পেশ করবেন। ইব্ন আসাকির (র) ও সমঅৰ্থবোধক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুকালে হযরত আইয়ুব (আ) তাঁর পুত্র হাওমালকে ওসীয়ত করে যান। তার পরে বিশর ইব্ন আইয়ুব তার স্থলাভিষিক্ত হন। অনেকের ধারণা মতে, এই বিশরই কুরআনে বর্ণিত যুল-কিফুল। এদের ধারণা হিসেবে তিনি নবী এবং পচাত্তর বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন। কিছু লোক যখন আইয়ুব (আ)-এর পুত্র বিশারকে যুল-কিফুল বলেছেন, তখন আমরা যুল-কিফুল-এর কাহিনীই এখন আলোচনা করব।
Ma’shallha ”
Jajakallhau koyran
আল্লাহ তায়ালা আপনার নেক মকসুদ পূর্ণ নতুন ও নেক হায়াৎ দেন করুন .
মা শা আল্লাহ
হযরত আয়য়্যুব আ:এর স্ত্রী কয়জন ছিল এবং তাদের নাম কি কেউ বলতে পারবেন?