একদিন খলিফা মুতাবাক্কিল অসুস্থ বোধ করে হেকিমকে ডেকে পাঠালেন। হেকিম যুহান্না একটি চমৎকার দাওয়াই-এর ব্যবস্থাপত্র লিখে দিলো। খলিফা দিন-কয়েকের মধ্যে সেরে উঠে। হেকিমকে ডেকে তিনি নানা উপহার ইনাম দিলেন।
দেশের নানা প্রান্তির থেকে নানাজনে খলিফাকে অভিনন্দন জানিয়ে বহু বিচিত্র রকমের উপঢৌকন পাঠাতে লাগলো। আল ফাও ইবন কাঁহকন তঁকে একটি পরমা সুন্দরী কুমারী বাঁদী পাঠালো। তার সুললিত দেহবল্লরী পুরুষের বুকে তুফান তোলে। তার সুডৌল আপেল সদৃশ ডাঁসা দুটি স্তন যে কোন নারীর হিংসার বস্তু। সেই সুন্দরী শুধু তার রূপ যৌবনের পশরা নিয়েই খলিফার সামনে হাজির হলো না, সে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলো একটি মহামূল্যবান সুধাপাত্র। সুদক্ষ কারিগরের নিপুণ হাতের কাজ করা ওই সুরাপত্বখানি সত্যিই লোভনীয়। বাঁদী একটি সোনার পেয়ালায় সুধাপাত্র থেকে মদ ঢেলে খলিফার হাতে তুলে দেয়। এই পেয়ালাটার গায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পলা বসিয়ে লেখা ছিলো :
হেকিমের ছুরি, কিংবা
মোক্ষম দাওয়াই অথবা মলম
কোন কোন অসুখের হতে পারে উপশম
কিন্তু যদি আগাগোড়া দেহটাই নড়বড়ে হয়,
তখন মদের পেয়ালা ছাড়া আর কিছুতেই কিছু নয়।
এই সময় খলিফার পাশে হেকিম যুহান্না উপস্থিত ছিলো। বাঁদীর হাতের ঐ পেয়ালার বাণী পড়ে সে হো হো করে হেসে ওঠে।
নিন জাঁহাপনা, আপনার আসল দাওয়াই এসে গেছে। আমার ওষুধে যা ফল পেয়েছেন, তার অনেক বেশি ফল পাবেন এই সুন্দরী বাঁদী আর তার সুরা পাত্র পান করে। দুনিয়াতে যত রকম প্রাচীন এবং আধুনিক দাওয়াই আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে এই দুটোই সেরা।