বৃষ্টি থামেনি, সমানে পড়ছে। রাস্তাঘাট সব থই থই। মনে হচ্ছে আজ রাত্রেই কলকাতা প্লাবনে ডুবে যাবে। কাল সকালেও বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে কি না সন্দেহ। আজকের রাত্তিরটা গল্প জমাবার পক্ষে চমৎকার। কফির কাপ হাতে নিয়ে আমরা কিছুক্ষণ জানলা দিয়ে বাইরে বৃষ্টির দৃশ্য দেখলাম।
কফি শেষ হওয়ার পর কর্নেল সেন চুরুট ধরালেন। আমি আর রঞ্জনও সিগারেট জ্বেলে নিলাম। মাধবীর আর তর সইছিল না, ব্যথভাবে বলল, এইবার বলুন, তারপর কী হল?
কর্নেল সেন বললেন, ওই অবস্থায় ওইরকম পরিবেশে খাটের তলায় হঠাৎ একটা ডেডবডি দেখতে পেলে অন্যদের পক্ষে খুব ভয় পাওয়ার কথা। আমিও দু-এক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম বটে, কিন্তু ওটা দেখার পর আমার বরং ভয়টা একেবারেই কেটে গেল। আগে যে, অলৌকিক কিছু-বা ভূত-টুত সম্পর্কে মনের মধ্যে একটু ছমছমে ভাব হয়েছিল, সেটা আর রইল না। আমি ডাক্তার মানুষ, আমার কাছে ডেডবডি একটা রিয়ালিটি। অর্থাৎ একটা মানুষের মৃতদেহ দেখলেই মনে হয় যে, তার মৃত্যুর একটা কারণ আছে। সে কিছুক্ষণ আগে বেঁচে ছিল। একটা মৃতদেহ হঠাৎ দেওয়াল ভেদ করে আসে না বা হঠাৎ উবে যায় না।
তখন গুণ্ডা বদমাইশদের চিন্তাই আমার মধ্যে প্রবল হয়ে উঠল। মৃতদেহটার দিকে আর মনোযোগ না দিয়ে আমি খাটটা টেনে এনে দরজার সঙ্গে লাগিয়ে দিলাম। রিভলবারটা হাতে তৈরি রেখে দেখতে লাগলাম, আর কোনোদিক থেকে কেউ ঢুকতে পারবে কি না। একটা জানলা আছে, কিন্তু সেই জানলাটা ভেঙে ফেলা অসম্ভব নয়। আর জানলাটা একটু উঁচুতে বলে, সেটার সামনে অন্য কিছু রাখারও উপায় নেই। আমি তখন জানলার পাশে গিয়েই দাঁড়ালাম। জানলা ভেঙে যদি কেউ ঢোকার চেষ্টা করে, তাহলে প্রথমেই আমি গুলি করব। ওদের লোকসংখ্যা যদি খুব বেশি না হয়, তাহলে সারারাত আমি লড়ে যেতে পারব।
বেশ কিছুক্ষণ আর কোনো সাড়াশব্দ নেই। মাঝরাত্তিরে এক জায়গায় একটুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই ক্লান্ত লাগে। কিন্তু আমাকে ক্লান্ত হলে চলবে না, সারারাতই এইরকম দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। বেশ বুঝতে পারলাম, এই নির্জন বাংলোয় একটা হত্যাকান্ড হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত কাল রাত্রে। দিনের বেলা ওরা ডেডবডিটা সরাবার সুযোগ পায়নি—এখন সেটা সরাতে এসেছে। অর্থাৎ একটা বিশ্রী খুনের ঘটনা, এরমধ্যে একটি মেয়েরও ভূমিকা আছে। যারা একরাত্রে কারুকে খুন করে পরের রাত্তিরে ডেডবডি সরাতে আসে, তারা সাংঘাতিক লোক। মাঝখান থেকে হঠাৎ আমি এসে এরমধ্যে জড়িয়ে পড়েছি। জড়িয়ে তো পড়েছি, এখন এরমধ্যে থেকে বেরোবো কী করে, সেটাই হচ্ছে সমস্যা।
ওদিক থেকে আর কোনো শব্দ-টব্দ না পেয়ে আমি মৃতদেহটা পরীক্ষা করে দেখতে লাগলাম। ডাক্তার মানুষ তো, এটা আমাদের অভ্যেস হয়ে গেছে। চোখের সামনে এ-রকম একটা ডেডবডি পড়ে থাকলে পরীক্ষা না করে দেখা পর্যন্ত শান্ত হতে পারি না। সব দেখেশুনে মোটামুটি নিশ্চিন্ত হলাম।
মাধবী জিজ্ঞেস করল, মামাবাবু, সত্যি কথা বলুন তো, তখন আপনার ভয় করছিল না? ঘরের মধ্যে একটা মড়া–
কর্নেল সেন বললেন, না, মড়া দেখে ভয় পেলে আমাদের চলে না। তবে ঘরের বাইরে জ্যান্ত লোকগুলো সম্পর্কেই ভয় পাচ্ছিলাম।
সেই মেয়েটার কী হল? তার আর কোনো পাত্তা পেলেন না?
কর্নেল সেন বললেন হ্যাঁ পেলাম। একটু বাদে জানলায় একটা শব্দ হতেই আমি চট করে উঠে এসে দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালাম। মনে হল কেউ যেন জানলার খড়খড়ি তোলার চেষ্টা করছে। আমি গম্ভীরভাবে বললাম, আমার কাছে রিভলবার আছে, জানলা খোলার চেষ্টা করলেই আমি গুলি করব!
তখন সেই মেয়েটির গলা শুনতে পেলাম। সে বলল, শুনুন!
এখন আর তাকে আমি পেতনি-টেতনি ভাবতে পারছি না। সুতরাং ভয় না পেয়ে বললাম, বলুন।
দরজাটা একটু খুলবেন?
না। আপনারা কে?
ঘরের মধ্যে যে-দেহটা আছে, আমি সেটা নিয়ে যেতে এসেছি।
আপনার সঙ্গে আর কে আছে?
কেউ নেই। আমি একা—
আপনি একা তো এই ডেডবডি নিয়ে যেতে পারবেন না।
আপনি একটু সাহায্য করবেন। সঙ্গে আমার জিপ আছে।
এটা বুঝতে আমার একটুও অসুবিধে হল না যে, মেয়েটির সঙ্গে অন্য লোক আছে। একজন বা তারও বেশি। তাদের নড়াচড়ার শব্দও আমি শুনতে পেয়েছি। কিন্তু ওরা মেয়েটিকে প্রথমে এগিয়ে দিচ্ছে বিশেষ কারণে। চৌকিদারের কাছ থেকেই হোক বা আমার গাড়িটা থেকেই হোক-ওরা বুঝতে পেরেছিল যে আমি মিলিটারির নোক। সুতরাং আমার কাছে বন্দুক, রিভলবার থাকবেই। ওরা এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারেনি যে, আমি একজন ডাক্তার। যাইহোক, ওরা ভেবেছে, মিলিটারির লোক সাধারণত মাথাগরম হয়। ওদের মধ্যে কোনো পুরুষকে সামনে দেখতে পেলে প্রথমেই হয়তো আমি গুলি করতে পারি। একটি মেয়েকে দেখলে আর যাইহোক, প্রথমেই কোনো পুরুষমানুষ গুলি ছুড়তে পারে না।
যেকোনো উপায়েই হোক, আমার ঘরের দরজা খুলে ওরা মেয়েটিকে ভেতরে পাঠিয়েছিল। মেয়েটি একলাই বোধ হয় ডেডবডিটা টেনে নিয়ে যেত, তার আগে সে দেখে গিয়েছিল, আমি জেগে আছি কি না। সেই সময় তার চুল এসে লেগেছিল আমার মুখে।
যাইহোক, আমি জেগে ওঠবার পর, মেয়েটি যদি খুব কান্নাকাটি করে কোনো একটা মিথ্যে গল্প বানিয়ে বলত, আমি হয়তো বিশ্বাসও করে ফেলতাম। আমার তখন যা বয়েস, সেই বয়সের ছেলেরা যুবতী মেয়েদের কথা সহজেই বিশ্বাস করতে চায়। বিশেষত মেয়েদের চোখের জল দেখলে তো কথাই নেই। কী, ঠিক বলছি না?
মেয়েটা যদি কান্নাকাটি করে একটা রোমহর্ষক গল্প বানিয়ে বলতে পারত তাহলে ওকে হয়তো আমি সাহায্যও করতে পারতাম। একা কোনো মেয়ে বিপদে পড়লে, লোকে কিছুটা অন্যায়ের ঝুঁকি নিয়েও তাদের সাহায্য করতে চায়। কিন্তু মেয়েটি তার পার্ট ভালো করে প্লে করতে পারেনি। ঘরের মধ্যে ওকে যখন আমি দেখলাম, তখন ও দেওয়াল ঘেঁষে হাতজোড় করে বলেছিল, শুনুন–। তারপর কথা শেষ করতে পারেনি, দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখনই আমি সাবধান হয়ে গেলাম।
এখনও, জানলার ওপাশে দাঁড়িয়ে মেয়েটি ভালো করে অভিনয় করতে পারছে না। কথা বলতে গিয়ে থেমে যাচ্ছে। কেউ যেন পাশে থেকে তাকে শিখিয়ে দিচ্ছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কে?
য়েটি বলল, সে-কথা আপনার জেনে দরকার নেই। আমার স্বামী হঠাৎ আত্মহত্যা করেছেন। আমি তাঁর ডেডবডিটা নিয়ে যেতে এসেছি।
আত্মহত্যা করলেও পুলিশে খবর দিতে হয়। খবর দিয়েছেন?
আপনি এরমধ্যে জড়াবেন না। আপনি দরজাটা খুলে দিন! আমি ওকে নিয়ে যাই। তারপর আপনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
আমি তখন বললাম, ঠিক আছে, বাইরে সারারাত অপেক্ষা করুন। সকাল বেলা দেখা যাবে কী করা যায়।
মেয়েটি আবার বলল, আপনি শুধু শুধু ব্যাপারটা জটিল করছেন। আমি ডেডবডিটা নিয়ে গেলে আপনার কথা কেউ জানতেও পারবে না।
কর্নেল সেন একটু থামলেন। তারপর আমাদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, তোমরাই বলো তো, তখন আমার কী করা উচিত ছিল? আমার কি দরজা খোলাই উচিত ছিল?
রঞ্জন বলল, নিশ্চয়ই না। ওইরকম অবস্থায় দরজা খোলা তো পাগলামি। খুনের ব্যাপারে আপনি একজন সাক্ষী হয়ে গেলেন। ওরা আপনাকেও শেষ করার চেষ্টা করত। মেয়েটাকে আড়াল করে লোকগুলো ঢুকত, ওদের কাছেও রিভলবার বা বন্দুক নিশ্চয়ই ছিল। কারণ খুনটা হয়েছিল গুলি করে। এমনকী মেয়েটাও আপনাকে গুলি করতে পারত। মেয়েদের বেশি ভালো ভাবার তো কোনো কারণ নেই!
মাধবী বলল, কিন্তু মামাবাবু, আপনাকেও তো ওরা জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করতে পারত। ওরা যদি তখন পালিয়ে গিয়ে গোপনে পুলিশে খবর দিত—তা হলে পুলিশ এসে দেখত ঘরের মধ্যে আপনি একা আর একটা ডেডবডি—
কর্নেল সেন বললেন, মাধবী, তুমি এক বিষয়ে ঠিকই বলেছ। যেকোনো সাধারণ লোক ওই অবস্থায় পড়লে ওইরকম ভাবতে পারত। কিন্তু তুমি ভুলে যাচ্ছ, আমি একজন ডাক্তার। এইসব ক্ষেত্রে ডাক্তারদের চিন্তাভঙ্গি একটু অন্যরকম হয়। মৃতদেহটি পরীক্ষা করেই আমি বুঝেছিলাম, লোকটিকে খুন করা হয়েছে অন্তত ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা আগে। পোস্টমর্টেমে সেটা ধরা পড়বেই—তখন মৃত্যুর সময়টা আরও নির্ভুলভাবে বলা যায়। ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা আগে আমি ছিলাম ওই ডাকবাংলো থেকে অনেক দূরে। সেটা প্রমাণ করতে কোনো অসুবিধে হবে না। সুতরাং খুনের ব্যাপারে জড়িয়ে পড়ার ভয় আমার ছিল না। আমার ভয় ছিল আমি নিজেই-না, খুন হয়ে যাই।
আমি মেয়েটিকে বললাম, আমি দরজা এখন কিছুতেই খুলব না। সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, তারপর দেখা যাবে।
মেয়েটি আর কোনো উত্তর দিল না। আমি শুনতে পেলাম সে ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বেশ কিছুক্ষণ কান্নার পর সে ধরা গলায় বলল, আপনার কাছে আমি ভিক্ষে চাইছি। আপনি আমাকে এইটুকু সাহায্য করবেন না? আমার স্বামীর দেহটা আমাকে নিয়ে যেতে দিন।
আমি এখন আর মেয়েটির অভিনয়ে ভুললাম না। রুক্ষ গলায় বললাম, আপনার স্বামীর দেহ কী কার দেহ, সেসব আমি কিছু জানি না। সকাল বেলা বোঝা যাবে। এখন আমি দরজা খুলব না।
এতক্ষণ বাদে একজন পুরুষের কথা শুনতে পাওয়া গেল। আমাকে ভয় দেখিয়ে বললে, আপনি যদি না খোলেন, আমরা দরজা ভেঙে ঢুকব।
তখন আমার ভয় পাওয়ার কোনো মানে হয় না। আমিও ভয় দেখিয়ে ধমক দিয়ে বললাম, প্রথম যে ঢুকবে, তার নির্ঘাত মরণ আছে আমার হাতে। সে চেষ্টা না করাই ভালো!
পুরুষটি আবার বলল, আপনি কেন এরমধ্যে মাথা গলাচ্ছেন? দরজা খুলে দিন, আমাদের জিনিস আমরা নিয়ে চলে যাই। আপনি চুপচাপ ঘুমোবেন, আপনার কেউ কোনো ক্ষতি করবে না।
আমি বললাম, কাল সকালের আগে কিছু হবে না। সকালের আগে আমি দরজা খুলব।
পুরুষটি যদিও বাংলায় কথা বলছিল, কিন্তু টান শুনলেই বোঝা যায় সে বাঙালি নয়। মেয়েটি কিন্তু খাঁটি বাঙালি। মৃতদেহটা যার, সেও বাঙালিই। ব্যাপারটা আমার কাছে ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছিল। যাইহোক, আমার কথা শুনে লোকটি আর কিছু বলল না।
তারপর আবার চুপ! মনে হল, একটু বাদে কেউ যেন, নেমে গেল বারান্দা দিয়ে। আবার কেউ যেন ফিরে এল। আবার চুপচাপ। আমি উৎকণ্ঠ হয়ে রইলাম, সামান্য শব্দও যেন আমার কান না-এড়ায়। কিন্তু মনে হল, জানলা বা দরজা ভাঙার চেষ্টা আপাতত ওরা ত্যাগ করেছে। ওরা অপেক্ষা করছে আমার কোনো দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নেওয়ার জন্য। এমনিভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল।
শেষপর্যন্ত আমি কী করলাম জাননা? শুনলে বোধ হয় তোমরা বিশ্বাসই করবে না। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম!
মাধবী আঁতকে উঠে বলল, অ্যাঁ? ঘুমিয়ে পড়লেন? ওই অবস্থায়?
কর্নেল সেন বললেন, কী করব। ঘুমের ওপর কী কারুর হাত আছে? ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমি একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। আমার শরীরটাও সে-দিন বিশেষ ভালো ছিল না। ঘুমে চোখ টেনে আসছিল। দাঁড়িয়ে থাকতে আর না পেরে, আমি দেওয়াল ঘেঁষে বসে পড়েছিলাম। তারপর কখন যে একফাঁকে ঘুমিয়ে পড়েছি, খেয়াল নেই। ঘরের মধ্যে একটা মড়া, বাইরে কতকগুলো গুণ্ডা বদমাইশ। তার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
রঞ্জন বলল, ব্যাস এই পর্যন্ত। এবার চলো, আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। মাধবী রেগে গিয়ে বলল, তুমি চুপ করো তো! তোমার যদি ঘুম পেয়ে থাকে তো তুমি যাও। আমরা শুনব। তারপর কী হল মামাবাবু?
রঞ্জন বলল, আমার একটুও ঘুম পায়নি। কিন্তু গল্প খুব জমে উঠলে আমার মনে হয়, শেষ হলেই তো ফুরিয়ে যাবে। ভালো বই যে-কারণে আমি তারিয়ে তারিয়ে পড়ি। আজ এই পর্যন্ত শোনা হল, আবার কাল সকালে বাকিটা শুনব। নাহলে কাল সকালে কী করব? যা বৃষ্টি কাল সকালে তো বেরোনো যাবে না।
মাধবী বললে, কাল সকালে সুনীলদা গল্প বলবে। আজ রাত্তিরে আমরা এটা শেষ পর্যন্ত -শুনে শুতে যাব না।
কর্নেল সেন মুচকি হেসে বললেন, এটা শেষ হতে হতে কিন্তু সারারাত কেটে যেতে পারে।
তা হোক। একটুও ঘুম পাচ্ছে না।
আমি রঞ্জনকে বললাম, ভাই, আমারও নেশা লেগে গেছে। এখন এই পর্যন্ত শুনে আর থাকা যায় না। ডিটেকটিভ বই পড়তে পড়তে আমি অনেক রাত কাবার করে দিই!
কর্নেল সেন বললেন, ডিটেকটিভ বইয়ের মতন এ-গল্পে সেরকম কোনো জটিল প্লট অবশ্যই নেই! পরে যখন কেস উঠল—
রঞ্জন তার মামাবাবুকে বাধা দিয়ে বলল, শেষের কথা এখন বলবেন না। আপনি পর পর বলুন। ঘুমিয়ে পড়লেন, তারপর কী হল?
বই টা সতি্য চমৎকার।বইটির জন্য ধন্যবাদ ই বাংলা লাইব্রেরি টিম।