২. বলশেভিক ও স্তালিনের মানুষ মারার গল্পটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য?

জনসাধারণের আছে সীমাহীন সৃজনী শক্তি
তারা নিজেদের সংগঠিত করতে পারেন,
যেখানে নিজদের শক্তির স্ফুরণ করা সম্ভব সেসব স্থানে
ও বিভাগে এগিয়ে যেতে পারেন,
উৎপাদনের গভীরে ও ব্যাপ্তিতে এগিয়ে যেতে পারেন
এবং নিজেদের জন্য দিনে দিনে অধিকতর
কল্যাণময় সম্পদ সৃষ্টি করতে পারেন।

— মাও সে তুঙ

.

২. বলশেভিক ও স্তালিনের মানুষ মারার গল্পটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য?

কমিউনিজমের শত্রুরা সর্বদাই একটা কথা প্রচার করে এসেছে যে, বলশেভিক ও স্তালিন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। অদ্যাবধি তারা তার কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারেনি বরং অন্ধকারের ঢিল ছোঁড়ার মতো নানা সময় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কমিউনিজমের বদনাম করে আসছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্রের প্রয়োগ কালে কিছু লোক মারা গিয়েছিল এটা সত্য, তাবে বিরোধীরা যেভাবে প্রকাশ করে তা মোটেই সত্য নয়। সামাজিক বিপ্লবের নানা স্তরে কিছু ভুল ত্রুটি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এটা খুবই জটিল প্রশ্ন যে, কতগুলো মৃত্যু এড়ানো যেত আর কতগুলো অনিবার্য ছিল? কিংবা আদৌ ‘অনিবার্য ছিল কি-না? এটা ও সত্যি যে সেই সময়ে বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন আকালের কারণে। আর এই আকাল বলশেভিকরা নেতৃত্বে আসার অনেক আগে থেকেই চলছিল। সেই অনিবার্য মৃত্যু নিশ্চয়ই পরিকল্পিত ছিল না, বরং বলশেভিকদের পরিকল্পনা ছিল মানুষের আয়ু বাড়ানোর জন্য, মানুষ নিধন করা নয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষের আয়ুষ্কাল দ্বিগুণ হয়েছিল । শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গিয়েছিল। লেখা পড়ার হার দাঁড়িয়েছিল শত ভাগে। নারী ও মেহেনতি মানুষ লাভ করেছিল রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার এবং তাদের পূর্ণ মর্যাদা। বুর্জোয়া গণমাধ্যম যেভাবে স্তালিনের শাসন আমলকে চিত্রায়িত করে তা একেবারেই তাদের মতো শঠতা এবং ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ। বরং সেখানে সুদৃঢ় সামাজিক সংগঠন, শৃঙ্খলা এবং আদর্শগত ঐক্য গড়ে ওঠার ফলে তারা প্রবল পরাক্রমশালী নাজি বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পেরেছিল। সেই নাজিদের উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত জনগণকে নিধন করা অথবা যারা বেঁচে থাকবে তাদেরকে দাসে পরিণত করা। স্তালিনের নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদীদের সেই স্বপ্নসাধ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। সামগ্রিক বিবেচনায়, সোভিয়েত জনগণ পুঁজিবাদী শাসনের তুলনায় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক উন্নত জীবন যাপন করতে পেরেছিল।

এ পর্যন্ত সমাজতন্ত্রের তুলনায় পুঁজিবাদীরা দুনিয়ার বুকে কী পরিমাণ মানুষ খুন করেছে, তারা পুঁজিবাদের সূচনাই করেছে আমেরিকার মানুষকে গণহত্যা ও তাদের সকল সম্পদ লুণ্ঠন করে। একটি বিশাল মহাদেশের মানুষকে নিধন করে ফেলেছে। আফ্রিকার মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে হত্যা অথবা দাসে পরিণত করেছে। এমনকি আজো পুঁজিবাদ প্রতিবছর তৃতীয় বিশ্বের মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা বাহানায় দুনিয়াজুড়ে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। পুঁজিবাদ আজ বিশ্বের মানুষকে একটি মহা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা মানব জাতির বিনাশ ডেকে আনতে পারে।

.

কুৎসা রটনা আর বিদ্বেষ ছড়ায় বাংলাদেশের সংবাদপত্র

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে বলে মস্তিষ্কের রোগের কারণে বদমেজাজি ছিলেন স্তালিন। তাদের রিপোর্ট- ‘নির্দয়’, ‘অবিবেচক’, বদমেজাজি’, ক্রূর’ সমালোচকদের অনেকেই এ ধরনের বিশ্লেষণ প্রয়োগ করেছেন রুশ একনায়ক জোসেফ স্তালিনের নামের সঙ্গে। অতিমাত্রায় মাথা গরমের কারণে অধস্তন সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকতেন। তার নিষ্ঠুর ও বদমেজাজি কর্মকাণ্ডের কারণ কী ছিল, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জবাব পাওয়া গেছে খোদ স্তালিনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক আলেকজান্দর মিয়াসনিকোভের ডায়েরিতে। সেখানে মিয়াসনিকোভ বলেছেন, স্বভাবগত কারণে নয়, স্তালিন মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করেন। শেষ দিকে রোগ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তিনি ভালোমন্দ, শত্রু-মিত্রের তফাত বোঝার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫৩ সালে স্তালিন যখন মারা যান, তখন তার শয্যাপাশে ছিলেন আলেকজান্দর মিয়াসনিকোভ। মিয়াসনিকোভ বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্তালিন অ্যাথেরোসক্লেরোসিস রোগে ভুগছিলেন। এই রোগে মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালি ও শিরা-উপশিরার ভেতর চর্বিযুক্ত পদার্থ বেড়ে উঠতে থাকে। এতে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রোগীর মেজাজ তিরিক্ষি হতে থাকে।

মিয়াসনিকোভ বলেছেন, মৃত্যুর কিছুদিন আগে স্তালিন ভালোমন্দ, স্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর, নৈতিক-অনৈতিক, শত্রু-মিত্র এসবের ভেদজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এতে তার মধ্যে অহেতুক সন্দেহ ও শত্রুর ভয় বেড়ে গিয়েছিল। (ডেইলি মেইল অনলাইন।)

‘প্রথম আলো’ কৌশলে খবরটি ছেপেছে। তারা যে ডেইলি মেইল’-এর রেফারেন্স দিয়েছেন সেটা কত তারিখের তার কোনো বর্ণনা নেই, এমনকি ইউআরএল ঠিকানাও নেই! এটা বোঝার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী হতে হয় না যে প্রায় সকল মানুষই মৃত্যু শয্যায় অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়েন। তাদের সেই সময়কার অপ্রকৃতস্থতা নিয়ে যদি কেউ তার সামগ্রিক জীবনের এবং আচরণের উপসংহার টানেন তাহলে এই উপসংহার টানা লোকটি বা গোষ্ঠীটির দুরভিসন্ধী বুঝতে কষ্ট হয় না। স্তালিনের রোগশয্যার বিষয়ে আমরা পরের দিকে আরও বিস্তারিত আলোচনা দেখব।

.

স্তালিনের বিরুদ্ধে গরলের উদগীরণ!

এইসব রূপকথার গল্পের প্রধান উপজীব্য ছিল গুজব, পরনিন্দাচর্চা এবং অসমর্থিত জনশ্রুতি। একটা বিপুল সমর্থিত জনশ্রুতি আছে ইতিহাস নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সঠিক ইতিহাস লেখা যায় না যতক্ষণ ইতিহাসবিদ কোনো না কোনোভাবে যার বিষয়ে বা যাকে নিয়ে লিখছেন তার সাথে মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। আর নির্মম সত্য হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ এই পরামর্শটি অবজ্ঞা করেন!

Robert Conquest এবং তার মতো ‘পেইড এক্সপার্টরা স্তালিনের বিরুদ্ধে হাজার হাজার পৃষ্ঠা কুৎসা লিখেছেন। তার কোন ভাষায় কীভাবে কতটা আক্রমণাত্মক এবং বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে সেটি যথাযথ বোঝার জন্য সামান্য কয়েকটি মন্তব্য ইংরেজিতেই রাখা হয়েছে।

1. ‘Estimates of those who perished under Stalin’s rule-based principally on speculations by writers who never reveal how they arrive at such figures-vary widely.
Parenti, Michael. Blackshirts and Reds, San Francisco: City Light Books, 1997, p. 77
In some western newspapers after Stalin’s death as well as in the Russian emigre press of the 20s there were various speculations on the subject of Stalin and women. One author, hiding under the pseudonym Essad-Bey, claimed that Stalin, like an Oriental sheik, kept his beautiful wife locked up at his Kremlin apartment or at his dacha and forbade her to show herself to other men, so that even his Kremlin colleagues never saw her face. Others assert Stalin married secretly after Alliluyeva’s death or that he held orgies at his dachas or in his Kremlin apartment. All this is the product of unfounded rumor or deliberate fabrication. Medvedev, Roy. Let History Judge. New York: Columbia University Press, 1989, p. 55 1.

2. To this very day allegations occasionally appear in the foreign press that Lenin did not die a natural death but was killed by Stalin. For example, in 1976 the journal Veremya I my ran such an article by Lydia Shatunovskaya entitled ‘The Secret of One Arrest,’ in which she repeats a story supposedly told to her by Ivan Gronsky, a former editor of Izvestia and Novy mir, to the effect that Stalin murdered Lenin. As the story goes, Stalin was visiting at Gronsky’s apartment, drank so much that he lost all self-control, and had to stay overnight; during this drinking bout Stalin told his host about the murder. This is all pure fantasy, though probably Gronsky’s rather than Shatunovskaya’s. It is true that Gronsky was a well known figure in the literary world in the early 30s. He was the editor in chief of Novy mir and took part in preparations for the First Congress of Soviet Writers, but he was not elected even as a delegate. Stalin knew Gronsky, but to say that he was ‘Stalin’s most trusted man on literary questions’ or that he “can go and see Stalin any time without a report to give’-these assertions were made up by Gronsky. In 1937 Gronsky was arrested and 16 years later returned from prison with a highly tarnished reputation. In order to win people’s confidence again, or at least to attract their attention, he was capable of making up the most unlikely stories about his life before and after his arrest.
Medvedev, Roy. Let History Judge. New York: Columbia University Press, 1989, p. 77

3. To this day, in works published outside the Soviet Union, one can still occasionally encounter the allegation that Lenin did not die a natural death but was actually killed by Stalin. For example, in 1976 Time and We published an article by Lydia Shatunovskaya, entitled ‘The Secret of One Arrest.’ Claiming that Stalin murdered Lenin, she repeats a story said to have been told by Ivan Gronsky, the former editor of Izvestia and Novy Mir. According to this story, Stalin once visited Gronsky in his apartment in the mid 1930s, got drunk beyond all self-control, and talked about the murder to his host. All this is pure fantasy, invented either by Shatunovskaya or by Gronsky himself.
Medvedev, Roy. On Stalin and Stalinism. New York: Oxford University Press, 1979, p. 32

4. Trotsky, too, spread similar stories in the last years of his life. His version was so unbelievable that Life magazine, which had contracted with Trotsky for an article on Lenin, refused to print it. Several other American magazines rejected the article, and it did not appear until August 10, 1940, in the Hearst publication Liberty. Trotsky’s arguments in support of his version were highly unconvincing. He recalled that at the end of February 1923 Lenin asked for some strong poison he could take if he felt another stroke coming on. Trotsky remembers that the Politburo refused to give Lenin any poison, but in Trotsky’s opinion Stalin might have done so. Medvedev, Roy. Let History Judge. New York: Columbia University Press, 1989, p. 78

5. On Dec. 22, he [Lenin) requested Fotieva to provide him with cyanide in the event he lost the capacity to speak. He had made a similar request of Stalin as early as May, a fact in which Maria Ulianova saw proof of Lenin’s special confidence in Stalin.

[Footnote]: In 1939, shortly before he was murdered, Trotsky recalled an incident at the Politburo meeting in February 1923, at which Stalin, with a sinister leer, reported that Lenin had asked him for poison to end his hopeless condition. Trotsky to the end of his life believed it likely that Lenin died from toxin supplied by the General Secretary: There was something disingenuous about Trotsky’s claim, because he was in possession of a cable from Dzerzhinsky, dated February 1, 1924, that advise him that the autopsy had revealed no traces of poison in Lenin’s blood: according to Fotieva, Stalin never supplied Lenin with poison.
Pipes, Richard. Russia Under the Bolshevik Regime. New York: A.A. Knopf, 1993, p. 469

এ পর্যন্ত রয় মেদবেদেভ এবং তার মতানুসারীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন। এবার দেখা যাবে রবার্ট কনকোয়েস্ট এর যুক্তিতর্কগুলো কীভাবে সমর্থনহীন এবং অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়ে।

১। ট্রটস্কি দৃঢ়তার সাথে পার্টি অভ্যন্তরে বিরুদ্ধমতকারীদেরকে ধ্বংস করেছিলেন।

২। স্তালিন ‘কঠোর হাতে ভিন্নমতকারীদের দমন করার আগেই এই ধারা অনুসরণ করেছিলেন ট্রটস্কি। তিনি ছিলেন পুরনো বলশেভিকদের নেতৃদানকারী নেতা যিনি লেনিনের সিদ্ধান্তের (বিশেষ করে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকারের ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্তগুলো) বিরোধিতা করতেন। এই ট্রটস্কি এবং তার অনুসারী গং স্তালিনের অনেক আগে থেকেই রূঢ় শাসক হিসেবে দুর্নাম কিনেছিলেন।

৩। ট্রটস্কি কখনো যৌথ মালিকানার কৃষি ব্যবস্থার স্বপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।

৪। এমনকি ১৯৩০ সালে ট্রটস্কি যখন নির্বাসনে তখনও স্বৈরশাসন বিরোধী কোনো বিপ্লবাত্মক ভূমিকা নেননি।

৫। ট্রটস্কি কখনোই স্তালিনের মতাদর্শের বিরোধিতা করেননি। এমনকি বিপ্লবের কবর রচনা হতে পারে এমন কোনো কাজেরও সরাসরি অংশ নেননি, কিন্তু সাভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যুদয় নিয়ে নিয়মিত কটু ঝগড়া করতেন স্তালিনের সঙ্গে।

৬। ট্রটস্কি কখনোই স্ক্যালিবাদী ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য তার বিরুদ্ধে দাঁড়াননি, বরং সব সময় চেয়েছেন একটি বিকল্প শক্তি দিয়ে স্তালিনের কাছ থেকে ক্ষমতা ‘টেকওভার’ করতে।

৭। ট্রটস্কির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, মতাদর্শ ছিল অবিশ্বাস্যরকম অনুপযোগী।

৮। ৩০ এর দশকে ওই সময় সোভিয়েত ব্যবস্থায় ট্রটস্কির প্রভাব কার্যত শূন্য ছিল।

৯। এই সকল পয়েন্টগুলো একত্রিত করে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে ট্রটস্কি ক্ষমতায় বসতে পারলে অনেক বেশি রূঢ় শাসন ফিরিয়ে আনতেন। যে স্তালিনের শাসনকে রূঢ় বলা হয় তার চেয়ে বহুগুণ রূঢ়তা এবং নৃশংসতা ট্রটস্কির কাছ থেকে আসত।

বাস্তবতা হলো কনকোয়েস্ট কখনো চিন্তাও করেননি একজন সাংবাদিকের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে একটি বিপ্লবের এবং বিপ্লবপরবর্তী সমাজের বিশ্লষণ করা যায় না। যদিওবা করা যায় তাহলে তা সেই সমাজের পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না।

আরও একজন সাংবাদিকের তথ্য পাওয়া যায় ১৯৫০ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে। ওই বইটি লেখেন ফরাসি সাংবাদিক দেলবারদ। তার বর্ণনায় Boris. Bazhanov বলছেন : আমি কখনোই দেলবারদকে চিনতাম না, কিন্তু এটা মনে করতে পারি যে তিনি Bessedovsky’র কোলাবরেটর ছিলেন! আমি ওই বইটি পড়তে আগ্রহী হয়ে বইটি পড়েছিলাম। সেটি ছিল মিথ্যায় পরিপূর্ণ এবং মিথ্যা প্রচারে অভিনব! সেটি ছিল কার্যত Bessedovsky দেরই কাজ। আমি আরও মনে করতে পারি আমি স্তালিনকে এই বিষয়ে আগেই সতর্ক থাকতে বলেছিলাম । অন্য পার্টি কর্মীরা যেন এই সম্পূর্ণ মিথ্যাচারে পূর্ণ বইটি সাবধানে ব্যবহার করেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *