লেখক ও প্রকাশক
কোনো বইয়ের পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক শুধু লেখকের, বইটির প্রকাশক ও মুদ্রক থাকেন আড়ালে। কিন্তু বস্তুতপক্ষে কোনো বইয়ের লেখকের সঙ্গে প্রকাশকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি ভালো বই পাঠকের হাতে স্যুচারুরূপে পৌঁছে দিতে মুদ্রক ও প্রকাশকের অবদান যে কত বড়, তা খুব কম পাঠকই বইটি পড়ার সময় বিবেচনা করে থাকেন। কোনো লেখকের প্রকাশক-ভাগ্য ভালো হওয়াটাও নিয়তির কথা। খুব বড় লেখকও প্রথম জীবনে যোগ্য প্রকাশকের থেকে অবহেলা পান। সেটা দুঃখজনক কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। প্রকাশককে আর্থিক ঝুঁকি নিতে হয়। যেখানে অর্থনৈতিক ঝুঁকির প্রশ্ন, সেখানে সতর্কতা অবলম্বন না করে উপায় নেই।
আমার নিজের প্রকাশক-ভাগ্য মন্দ নয়। আমার জার্মানির জার্নাল বইটির প্রথম সংস্করণ আমি নিজের টাকায় করেছিলাম। প্রচ্ছদ করেছিলেন সৈয়দ লুফুল হক। ছাপা-বাঁধাই বিশেষ ভালো হয়নি। বইটি কিঞ্চিৎ জনপ্রিয় হওয়ায়, প্রথম সংস্করণের বারো শর মতো কপি কয়েক মাসে শেষ হয়ে যাওয়ায়, দ্বিতীয় সংস্করণ– সামান্য পরিবর্ধিত সংস্করণ–কন্টিনেন্টাল পাবলিশার্স নামক এক নতুন প্রকাশক বের করেন। দ্বিতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদ করেন কাইয়ুম চৌধুরী। প্রচ্ছদটি ছিল ভিন্ন ধরনের চমৎকার কাজ। এ সংস্করণ আরও তাড়াতাড়ি শেষ হয়। তখন কয়েকজন বিশিষ্ট প্রকাশক ভ্রমণকাহিনিটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের আগ্রহ দেখান। মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ এক চিঠি দিয়ে বইটি তাকে দিতে অনুরোধ জানান। তাঁকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করতাম। তাঁর দাবি উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না। তৃতীয় সংস্করণের পর থেকে যত মুদ্রণ হয়েছে, সবই মুক্তধারা থেকে বেরিয়েছে কাইয়ুম চৌধুরীর প্রচ্ছদসহ। আমার প্রথম প্রবন্ধের সংকলন যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা-ও মুক্তধারা প্রকাশ করে চিত্তরঞ্জন সাহার আগ্রহে। আমার রবীন্দ্ররাজনীতি নামে একটি বইয়েরও প্রকাশক মুক্তধারা। প্রতিটি নতুন বই বেরোলে বা নতুন সংস্করণ হলে চিত্তদা সৌজন্য কপির সঙ্গে আমার জন্য মিষ্টি ও ফলমূল পাঠাতেন।
আমি খুবই বিরলপ্রজ কবি, তিন মাসে ছয় লাইন লিখি। আমার রাশি রাশি গদ্য লেখার ভিড়ে সেই পদ্য খুব কম পাঠকের চোখেই পড়ে। তবে আমার বিরল সৌভাগ্য যে বাংলাদেশের সেরা কবিরা আমার কবিসত্তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, শহীদ কাদরী, বেলাল চৌধুরী, রফিক আজাদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ প্রমুখ তাঁদের সম্পাদিত সাময়িকীতে খুব গুরুত্ব দিয়ে একসময় আমার কবিতা প্রকাশ করেছেন। শামসুর রাহমান ও মান্নান সৈয়দের আগ্রহে প্রকাশিত হয়। আমার প্রথম কবিতার বই বিকেলবেলা। নামটি তাঁদের দুজনেরই খুব পছন্দ হয়। বিকেলবেলা বিষয়টির সঙ্গে অর্থবহ অসামান্য প্রচ্ছদ করেন কাইয়ুম চৌধুরী। তখন কম্পিউটার আসেনি, সুতরাং হাতে আঁকা শিল্পকর্ম। তখন নিউমার্কেটের বিখ্যাত বইয়ের দোকান ছিল ‘নলেজ হোম’। তার মালিক এ এম খান মজলিশ ছিলেন খুবই সজ্জন-ভদ্রলোক। সেখানে প্রতিদিনই রাত নয়টা পর্যন্ত কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডা হতো। নলেজ হোম বের করেছিল বিকেলবেলা। ছয় শ পঞ্চাশ কপি ছেপেছিল। তা বিক্রি হতে তিন-চার বছর লেগেছে। প্রকাশকের জন্য আমার কষ্ট হয়। তারপরও খান মজলিশ সাহেব একদিন আমাকে একটি খামে পুরে চার শ টাকা দিলেন। আমার প্রয়োজন ছিল বলে টাকাটা আমি নিই, তবে না নেওয়াই উচিত ছিল। আমার বই প্রকাশিত হওয়ায় আমি নাম করেছিলাম; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন প্রকাশক। আমার দ্বিতীয় কবিতার বই দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা প্রকাশিত হয় স্টুডেন্ট ওয়েজ থেকে। প্রকাশক মোহাম্মদ লিয়াকতউল্লাহ। তিনিও খুবই ভালো মানুষ। অত্যন্ত ভদ্র-নম্র। এই বইয়েরও একরঙা প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী।
উনিশ শতকের কবি গোবিন্দচন্দ্র দাসের ওপর আমার দুটি বই : গোবিন্দচন্দ্র দাসের ঘর-গেরস্থালি এবং গোবিন্দচন্দ্র দাস। প্রথমটির প্রকাশক ছিলেন নতুন, দ্বিতীয়টির প্রকাশক বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি রয়্যালিটির টাকাটা একবারেই দিয়ে দেয়। আমার মওলানা ভাসানীর প্রামাণ্য জীবনী মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রকাশকও বাংলা একাডেমি। প্রায় হাজার পৃষ্ঠার ওই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করে হাক্কানী পাবলিশার্স। হাক্কানীর স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা বের করেন আমার আরও বই। তার মধ্যে প্রবন্ধ সংকলন বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারও রয়েছে। হাক্কানীর অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর তৃতীয় সংস্করণ বের করেন ওসমান গনি তাঁর আগামী প্রকাশনী থেকে। আগামী আমার আরও বই প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে ভাসানী কাহিনী এবং সৈয়দ আবুল মকসুদের কবিতা। আমার আরও কয়েকটি বই তাঁর প্রকাশনী থেকে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। দেরি হচ্ছে আমার কারণেই।
একজন প্রকাশকের কথা আমার মনে পড়ে। তিনি নওরোজ কিতাবিস্তানের আবদুল কাদির খান। তিনি প্রকাশ করেছিলেন আমার গবেষণাগ্রন্থ হরিশ্চন্দ্র মিত্র-ঢাকার সাহিত্য ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ। এটির অর্থবহ প্রচ্ছদ করেছিলেন খ্যাতিমান শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। বইটি দুই বাংলায়ই প্রশংসিত হয়েছিল একটি অনুসন্ধানী কাজ হিসেবে। গবেষক অধ্যাপক অরবিন্দ পোদ্দার, ইতিহাসবিদ অমলেন্দু দে, প্রাবন্ধিক শিবনারায়ণ রায় প্রমুখ তারিফ করে লিখেছিলেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ঢাকার অন্যতম প্রধান প্রকাশনা-প্রতিষ্ঠান ছিল নওরোজ কিতাবিস্তান। শিশু-কিশোর সাহিত্যের লেখক মোহাম্মদ নাসির আলী ছিলেন তার অন্যতম মালিক। দুটি শাখা ছিল, একটি বাংলাবাজারে, অন্যটি নিউমার্কেটে। কাদির খান দুই জায়গাই বসতেন। রয়্যালিটির টাকা পরিশোধে তাঁর কার্পণ্য ছিল না।
একসময় আহমদ পাবলিশিং হাউস ছিল বড় প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকেও আমার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে রয়েছে ভ্রমণকাহিনি পারস্যের পত্রাবলি এবং প্রবন্ধসংকলন চিন্তা ও চেতনা। সত্তরের দশক থেকে মেছবাহউদ্দীন আহমদ তাঁর বাবার কাজ দেখাশোনা করতেন। লেখকদের সঙ্গে তাঁদেরও সম্পর্ক ছিল বিশেষ আন্তরিকতাপূর্ণ। জিন্দাবাহার ছিল আহমদ পাবলিশিংয়ের প্রধান কার্যালয়।
স্বাধীনতার পরে নতুন প্রজন্মের প্রকাশক হিসেবে যারা আত্মপ্রকাশ করেন, তাঁদের মধ্যে সাহিত্য প্রকাশের কর্ণধার মফিদুল হক অন্যতম। তিনি নিজেও লেখক। তিনি বের করেন আমার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ দার্শনিক এবং পথিকৃৎ নারীবাদী খয়রন্নেসা খাতুন। মফিদুল হকের পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল প্রকাশনা। গ্রন্থ প্রকাশই তাঁর একমাত্র কাজ নয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্যর একাধিক সংস্করণ একাধিক প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে। সর্বশেষ সংস্করণের প্রকাশক বাংলাবাজারের মনন প্রকাশ-এর শাহ আল মামুন। মনন থেকে আমার আরও বই বেরিয়েছে। তার মধ্যে আমার কিছু কলামের সংগ্রহ সহজিয়া কড়চাও রয়েছে।
আমার ভারতের প্রকাশক কলকাতার নয়া উদ্যোগ-এর পার্থশঙ্কর বসু। তিনি নোয়াখালীর গান্ধী মিশন ডায়েরি প্রকাশ করেছেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস সমগ্রও নয়া উদ্যোগ থেকে বেরিয়েছে, যার দীর্ঘ ভূমিকা লিখেছি আমি। পার্থবাবুর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব।
গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের প্রকাশনা জগৎ বিকশিত হয়েছে। এই সময় নতুন নতুন প্রকাশনা সংস্থার আবির্ভাব ঘটেছে। তাদের অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক, একুশ শতকের মানসম্পন্ন বই প্রকাশের আগ্রহ তাদের। নতুন লেখকদের অপরিণত রচনা যেমন কিছু তাঁরা প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে উন্নতমানের গুরুত্বপূর্ণ বহু বইও তারা বের করছেন। বছর সাতেক আগে যাত্রা শুরু করে প্রথমা প্রকাশন। তাদের অঙ্গীকার মানসম্মত বই রুচিশীলভাবে প্রকাশ করা। বিষয়বস্তু নির্বাচনেও তারা সতর্ক। সৃষ্টিশীল ও মননশীল দুই ধরনের বইই তাঁরা বের করেছেন। প্রথমার কর্ণধার মতিউর রহমান ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি থেকে প্রকাশনায় যাননি, যদিও মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে তিনি ব্যবসাসফলও বটে। আমার নির্বাচিত সহজিয়া কড়চা, অরণ্য বেতার, ঢাকার বুদ্ধদেব বসু, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন এবং স্মৃতিতে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বের হয়েছে প্রথমা থেকে। এই ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা। ছাপা, অঙ্গসজ্জা, বাঁধাই প্রভৃতি ব্যাপারে যত্নের পরিচয় সর্বত্র। লেখক হিসেবে সেটা আমার তৃপ্তির বিষয়। প্রথমা থেকে বেরিয়েছে আমার স্যার ফিলিপ হার্টগ এবং কাগমারী সম্মেলন।
ষাটের দশকের শুরুতে একটি রুচিশীল প্রকাশনা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে মওলা ব্রাদার্স। তার প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আতিকুল মওলা ছিলেন বিশিষ্ট ভদ্রলোক। আমার সঙ্গেও তাঁর খুব আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। অপেক্ষাকৃত কম বয়সেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর আহমেদ মাহমুদুল হক প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করেন। আমার পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ মওলা ব্রাদার্স প্রকাশ করেছে। চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন। কাইয়ুম চৌধুরী।
প্রকাশনাজগৎ বড় হচ্ছে আকারে, গুণগত মানও বাড়ছে, কিন্তু আমাদের প্রকাশকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব। লেখকের সঙ্গে চুক্তি করেন না। রয়্যালটির টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে গড়িমসি করেন। অনেক ক্ষেত্রে লেখক প্রতারিত হন। কত কপি ছাপাচ্ছেন তা পরিষ্কার করে বলেন না। স্বচ্ছতার অভাব। সকলে নয়া অধিকাংশেরই এই প্রবণতা। এককালে কলকাতার বইতে প্রিন্টার্স লাইনে লেখা থাকত মোট কত কপি ছাড়া হলো। যেমন প্রথম সংস্কারণে ২২৫০ কপি বা ১১৫০ কপি। দ্বিতীয় মুদ্রণ ১২৫০ কপি। নওরোজের নাসির আলী করতেন এবং বর্তমানে প্রথমা প্রকাশনা থেকে মতিউর রহমান নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লেখকের সঙ্গে বই প্রকাশের আগে চুক্তি করেন। রয়্যালটির টাকা চাইতে হয় না, ৩০ চৈত্রের মধ্যে লেখককে পৌঁছে দেওয়া হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে অসচ্ছতা ও অসাধুতা খুব বড় অপরাধী।
বাংলাদেশে আজ সারা বছর ছোট-বড় গ্রন্থমেলা হয় ঢাকায় ও অন্যান্য মফস্বল শহরে। পৃথিবীর দীর্ঘস্থায়ী গ্রন্থমেলা ‘অমর একুশের গ্রন্থমেলা’ মাসব্যাপী হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে। এ এক প্রকাণ্ড সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ ও জাতির বৃহত্তম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বইমেলা লেখক ও প্রকাশকদের ব্যাপার। লেখক ও প্রকাশকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া প্রকাশনাশিল্প ও গ্রন্থজগৎ বিকশিত হতে পারে না। লেখকের কাছে তাঁর বইয়ের প্রকাশক শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, প্রকাশক তাঁর বন্ধু ও সহযোগী। লেখক-প্রকাশকের সমন্বিত সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে, সাহিত্যের জগৎ তত সমৃদ্ধ হবে।
একুশের বইমেলায় শুধু লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক নয়, লেখক, প্রকাশক, প্রচ্ছদশিল্পী এবং পাঠকের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ ঘটে। মতবিনিময় হয়। সাহিত্যজগতের জন্য এর প্রভাব ইতিবাচক। আমাদের পেশাদার ও অপেশাদার প্রকাশকদের অনেকের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠায় গ্রন্থজগৎ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। তবে এ শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে লেখক, প্রকাশক ও সরকারকে একত্রে বসে আলোচনা করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে। বাংলা ভাষা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০টি ভাষার একটি। একজন লেখক হিসেবে চাইব একদিন বাংলা সাহিত্যও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০টি সাহিত্যের মধ্যে গণ্য হবে।