মদীনা মুনাওওয়ারায় প্রথম জুমুআর নামায
ইবন ইসহাক বলেন, : বনু সালিম ইবন আওফে জুমুআর সময় হলে রাসূলুল্লাহ্ (সা) বাতনে ওয়াদী-ওয়াদীয়ে রানুনায়-জুমুআর নামায আদায় করেন। আর এটা ছিল মদীনায় রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর প্রথম জুমুআর নামায। এরপর বনু সালিমের এক দল লোকের সঙ্গে ইতবান ইবন মালিক এবং আব্বাস ইবন উবাদা ইবন নাযিলা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনি আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন, আমরা ংখ্যায় অধিক, আমাদের প্রস্তুতি অনেক এবং আমরা প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও সক্ষম।
“তোমরা উটনীটির পথ ছেড়ে দাও। কারণ, সে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদেশপ্ৰাপ্ত।” ফলে তারা উটনীটির পথ ছেড়ে দেয়। উটনী চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বনু বিয়াযার মহল্লায় পৌঁছলে যিয়াদ ইবন লাবীদ এবং ফারাওয়া ইবন আমরা একদল লোক নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদন জানান?
“ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন, আমরা জনবল এবং অস্ত্র বলে অধিক এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায় সক্ষম।” রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন, : “তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট।” তারা তার পথ ছেড়ে দেয় এবং সে চলতে থাকে। বনু সাইদার মহল্লা দিয়ে গমনকালে বনু সাইদার একদল লোকসহ সাআদ ইবন উবাদা এবং মুনযির ইবন আমার রাসূলুল্লাহ্ (সা)–এর খিদমতে হাযির হয়ে আবেদন জানান :
“হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন। সংখ্যায় আমরা অধিক এবং প্রতিরোধে আমরা সক্ষম।” রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা তার রাস্তা ছেড়ে দাও। কারণ, সো (আল্লাহর পক্ষে থেকে) আদেশপ্ৰাপ্ত আছে। উটনীটি চলতে থাকে। বনু হারিছ ইবন খাযরাজ এর মহল্লা বরাবর পৌঁছলে সাআদ ইবন রাবী’, খারিজা ইবন যায়দ এবং আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা বনু হারিছ ইবন খাযরাজ-এর একদল লোক নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করেন :
“হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে আগমন করুন। জনবল আর অস্ত্রবলে আমরা বেশী এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও আমরা সক্ষম।” রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ
“তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও, সে যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট।” তারা পথ ছেড়ে দিলে সে চলতে থাকে। বনী আব্দী ইবন নাজারের মহল্লা দিয়ে অতিক্রমকালে উন্মু আবদুল
মুত্তালিব তাদের বংশের অন্যতম নারী সালমা বিনত আমর–এরা দু’জন নিকটে আসে। এরা সালীত ইবন কায়স এবং আবু সালীত আসীরা ইবন খারিজা বনী আব্দী ইবন নাজ্জারের একদল লোক নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করেন :
“হে আল্লাহর রাসূল (সা)! আপনার মাতুলকুলে অবস্থান গ্রহণ করুন। জনসংখ্যা আর অস্ত্রবলে তারা বেশী এবং প্রতিরোধেও তারা সক্ষম।” রাসূলুল্লাহ (সা) এবারও বললেন :
“তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও। কারণ, সে তো আদিষ্ট আছে।” পথ ছেড়ে দিলে উটনীটি আপন মনে চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বনু মালিক ইবন নাজ্জারের মহল্লার দরজায় এসে, বর্তমানে যেখানে মসজিদে নববী অবস্থিত, সেখানে বসে পড়ে। এ স্থানটি ছিল বনু মালিকের দু’জন ইয়াতীম শিশু— সহল। এবং সুহায়লের খেজুর শুকাবার স্থান আর এ দু’জন ইয়াতীম শিশু মুআয ইবন আফরার প্রতিপালনাধীন ছিলেন।
আমি অর্থাৎ (গ্রন্থকার) বলি, যুহরী সূত্রে উরওয়ার উদধূতিতে ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইয়াতীমদ্বয় আসআদ ইবন যুরারার প্রতিপালনাধীন ছিলেন। আসল ব্যাপার আল্লাহই ভাল জানেন।
মুসা ইবন উকবা উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) পথে আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল-এর গৃহের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন আর সে তখন কাছেই উপস্থিত ছিল। আর রাসূলুল্লাহ্ (সা) তখন এ আশায় অপেক্ষা করেন যে, হয়তো তাকে তাঁর বাড়ীতে আহবান করবে: আর সে ছিল তখন খাযরাজের গোত্রপতি। তখন আবদুল্লাহ বলে, যারা আপনাকে ডেকেছে, তাদের নিকট গিয়ে অবস্থান করুন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) একজন আনসারীকে একথা জানালে সাআদ ইবন উবাদা। তাঁর পক্ষ থেকে ওযর পেশ করে বলেন, :
“ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আমাদের ইচ্ছা ছিল, আমরা তার মাথায় মুকুট স্থাপন করবাে এবং তাকে আমাদের রাজারূপে বরণ করবাে।” মূসা ইবন উকবা আরো বলেন :
রাসূলুল্লাহ্ (সা) বনু আমর ইবন আওফ-এর গৃহ থেকে রওনা হওয়ার আগে আনসারগণ একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সওয়ারীর আগে-পিছে চলতে থাকেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সম্মান আর মর্যাদা লাভের জন্যে কে তাঁর উটের রশি ধরবেন, এ নিয়ে কাঁড়াকড়ি হয়। কোন আনসারীর গৃহের নিকট দিয়ে গমনকালে তারা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে আহবান জানাতেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলতেন :
“তাকে ছেড়ে দাও, সে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট। আল্লাহ যেখানে আঁমাকে অবতরণ করান, সেখানেই সে অবতরণ করবে।” হযরত আবু আইউবের গৃহের কাছে গিয়ে উটনীটি তাঁর গৃহের দরজায় বসে পড়ে। রাসূলুল্লাহ্ (সা) সেখানে অবরতণ করে হযরত আবু আইউবের গৃহে প্ৰবেশ করেন এবং সেখানে মসজিদ ও বাসস্থান নির্মাণ করেন।
ইবন ইসহাক বলেন, : রাসূলুল্লাহ (সা)-কে নিয়ে (র্তার) উটনী বসে পড়লে তিনি সঙ্গে সঙ্গে উটনীর পিঠ থেকে অবতরণ করেননি; উটনীটি, আবার উঠে দাঁড়ায় এবং কিছু দূর চলে আর
রাসূলুল্লাহ্ (সা) উটনীর রশি ধারণ করে রাখেন, তাকে একেবারে ছেড়ে দেননি। এরপর উটনীটি কিছুটা পেছনে সরে আসে এবং তার বসার স্থানে এসে বসে পড়ে। এরপর সে একটু সরে যায় হন।হন শব্দ করে এবং মাটিতে মাথা রাখে এবং তাঁর পিঠ থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) নেমে আসেন। তখন আবু আইউব এবং খালিদ ইবন যায়দ (এগিয়ে এসে) উটের পালানটি বহন করে ঘরে নিয়ে রাখেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাঁর ঘরে অবতরণ করেন। পূর্বোক্ত খেজুর খলা সম্পর্কে তিনি জানতে চান যে, এটা কার? মুআয ইবন আফরা তাকে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা আমর-এর দুইপুত্র সাহল এবং সুহায়লের এবং তারা দু’জন ইয়াতীম অবস্থায় আমার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমি তাদের দু’জনকে রাষী করতে পারবো। আপনি সেখানে মসজিদ বানিয়ে নিন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) সেখানে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি আবু আইউবের গৃহেই অবস্থান করেন। মসজিদ আর বাসস্থান নির্মাণ না করা পর্যন্ত তিনি এখানেই অবস্থান করেন। মসজিদ নির্মাণের কাজে রাসূলুল্লাহ্ (সা) মুহাজির ও আনসারগণের সঙ্গে নিজেও অংশগ্রহণ করেন। মসজিদ নির্মাণের কাহিনী একটু পরে আসছে।
ইমাম বায়হাকী ‘দালাইলুন নবুওয়াত” গ্রন্থে আবু আবদুল্লাহ সূত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করে শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে আনসার
নারী-পুরুষগণ উপস্থিত হয়ে তাদের ঘরে আহবান করেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা) পূর্বের মতই জবাব দেন।
এ সময় বনু নাজ্জারের বালিকারা তাদের বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসে এবং দফা বাজাতে বাজাতে বলতে থাকে : A> لنحن جوار من بنی النجار–یاحبذا محمد من جار–আমরা নাজ্জার বংশের বালিকারা, মুহাম্মদ (সা) কতই না উত্তম প্রতিবেশী! রাসূলুল্লাহ্ (সা) গৃহ থেকে বের হয়ে তাদের উদ্দেশে বললেন, : তোমরা কি আমাকে ভালবাস? তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, আমরা অবশ্যই আপনাকে ভালবাসি তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা) একে একে তিনবার বললেনঃ
انا و الله اح بکم “আল্লাহর কসম, আমিও তোমাদেরকে ভালবাসি।” এ সূত্ৰে হাদীছটি গরীব। সুনান গ্ৰন্থকারগণের মধ্যে কেউই হাদীছটি উদধূত করেননি। অবশ্য হাকিম তাঁর ‘মুস্তাদরাকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।
ইমাম বায়হাকী আবু আবদুর রহমান সুলামী সূত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এতে বাড়তি এতটুকু আছে যে, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ
يعلم الله ان قلبى يحبكم “আল্লাহ জানেন যে, আমার অন্তর তোমাদেরকে ভালবাসে।”
ইমাম ইবন মাজা হিশাম, ইবন আম্মার সূত্রে ঈসা ইবন ইউনুস থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী মামার সূত্রে আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) দেখতে পেলেন যে, নারী আর শিশুরা এগিয়ে আসছে। রাবী বলেন যে, আমার ধারণা, আনাস (রা) বলেছেন, তারা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসছিল। তখন নবী করীম (সা) সোজা দাঁড়িয়ে বললেন, : আল্লাহ জানেন, তোমরা আমার নিকট মানব জাতির মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় { রাসূলুল্লাহ্ (সা) কথাটা তিনবার বললেন।
ইমাম আহমদ আবদুস সামাদ সূত্রে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন :
রাসূলুল্লাহ্ (সা) মদীনা অভিমুখে রওনা করেন, আর তার সঙ্গে উটে সওয়ার ছিলেন আবু বকর (রা)। আবু বকর (রা)-কে বৃদ্ধ দেখাচ্ছিল এবং তিনি পরিচিত ছিলেন আর রাসূলুল্লাহ্ (সা)-যুবক দেখাচ্ছিল, চেনা যাচ্ছিল না। হযরত আনাস (রা) বলেন, : আবু বকর (রা)-এর সঙ্গে (রাস্তায়) কারো সাক্ষাত হলে জিজ্ঞাসা করতো?
হে আবু বকর! তোমার সম্মুখে ইনি কে? হযরত আবু বকর বলতেন : ইনি আমার পথ-প্রদর্শক। প্রশ্নকর্তা মনে করতো যে, ইনি (মদীনার) রাস্তা দেখাচ্ছেন। আর হযরত আবু বকর (রা) কল্যাণ আর মঙ্গলের পথ-প্রদর্শক বলে বুঝাতেন। আবু বকর (রা)। ওদিকে তাকিয়ে দেখেন যে, একজন অশ্বারোহী তাদের নিকটে এসে গেছে। তিনি (আতংকিত হয়ে) বলে উঠলেন :
হে আল্লাহর নবী! এ আশ্বারোহী তো একেবারে আমাদের কাছে এসে গেছে! রাসূলুল্লাহ (সা) সেদিকে ফিরে বললেন :
হে আল্লাহ! তাকে নীচে নিক্ষেপ কর। ঘোড়া তাকে নীচে নিক্ষেপ করে হন।হন করতে শুরু করে। এরপর (লোকটি ঘোড়ার পিঠ থেকে পতিত হয়ে) বললো :
হে আল্লাহর নবী! আমাকে যা ইচ্ছা নির্দেশ করুন। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, : এখানেই থেমে যাও, আর কাউকে আমাদের দিকে আসতে দেবে না। বর্ণনাকারী বলেন :
লোকটি দিনের শুরুতে ছিল রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরোধী, আর দিনের শেষে হয়ে যায় তাঁর সশস্ত্র রক্ষাকারী। বর্ণনাকরী বলেন, : রাসূলুল্লাহ্ (সা) হাররার দিকে অবতরণ করেন এবং আনসারদের নিকট লোক প্রেরণ করেন তা এসে সালাম জানিয়ে বলেন, : আপনারা দু’জন শান্তিতে ও বরণীয়রূপে সওয়ার হোন! রাসূলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকর (রা) সওয়ার হলেন এবং আনসারগণ তাদেরকে সশস্ত্র অবস্থায় পরিবেষ্টন করে এগিয়ে নেয়। ওদিকে মদীনায় ংবাদ রটে যায় যে, আল্লাহর নবী (সা) আগমন করেছেন। তারা সকলে মাথা তুলে তাকে দেখে আর বলে : এসেছেন, আল্লাহর নবী এসেছেন।
বর্ণনাকারী বলেনঃ নবী করীম (সা) এগিয়ে যান এবং আবু আইউবের গৃহের নিকটে গিয়ে অবস্থান নেন। বর্ণনাকারী আনাস (রা) বলেন, : হযরত আবু আইউব তাঁর গৃহে পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন আর আবদুল্লাহ ইবন সালাম তা শুনতে পান। তখন তিনি নিজের খেজুর বাগানে পরিবারের লোকজনের জন্য খেজুর চয়ন করছিলেন। খেজুর চয়ন রেখে দিয়ে যাতে চয়ন
করছিলেন সেই পাত্রটি সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে আসেন এবং আল্লাহর কথা শুনে গৃহে ফিরে যান। আর আল্লাহর নবী বললেনঃ কার ঘর আমাদের সবচাইতে কাছে? আবু আইউব (রা) বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আমার ঘর। এ আমার গৃহ, আর এ আমার গৃহের দরজা। বললেন, : যাও, আমাদের বিশ্রামের আয়োজন কর। তিনি যান এবং আয়োজন করে ফিরে এসে বলেন, :
ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ব্যবস্থা করেছি। আপনারা দু’জন চলুন এবং বিশ্রাম নিন! আল্লাহর নবী (সা) আগমন করলে আবদুল্লাহ ইবন সালাম খিদমতে হাযির হয়ে বলেন :
اشهد انك نبى الله حقا و انك، جئت بحق –
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর সত্য নবী এবং আপনি আগমন করেছেন সত্যসহ।” আর ইয়াহুদীরা জানে যে, আমি তাদের নেতার পুত্র নেতা এবং আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী এবং সবচেয়ে বেশী জ্ঞানীর সন্তান। আপনি তাদের আহবান করুন এবং জিজ্ঞেস করুন! তারা এসে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে হাযির হলে রাসূলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে
বললেন, :
হে ইয়াহুদী সমাজ! দুঃখ তোমাদের জন্য। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। সে আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা তো ভাল করেই জান যে, আমি সত্যি সত্যিই আল্লাহর রাসূল। তোমরা এটাও জান যে, সত্য নিয়েই আমার আবির্ভাব হয়েছে। সুতরাং ইসলাম গ্রহণ করো। তারা বললো, আমরা তা জানি না (অর্থাৎ আপনি যে আল্লাহর। রাসূল। তাতো আমাদের জানা নেই)। কথাটা তারা তিনবার উচ্চারণ করে। অনুরূপভাবে ইমাম বুখারী আব্দুস সামাদের দিকে সম্পৃক্ত না করে এককভাবে মুহাম্মদ সূত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।