ইদানীং রানুর ইনসমনিয়ার মত হচ্ছে।
গত রাত্রে তিনটা পর্যন্ত জেগে ছিল। আজও ঘুম আসছে না। মাথার দু পাশে দীপ দপ করছে। একটু আগেই এক গ্লাস পানি খেয়েছে কিন্তু এখন আবার তৃষ্ণা হচ্ছে। রানু মশারির ভেতর থেকে বেরিয়ে এল।
অপলা পড়ছে। এত পড়ার কোনো মানে হয়? তার পড়ার ধরনও অদ্ভুত। কোলের কাছে বই নিয়ে হেঁটে হেঁটে পড়া। এরকম না করলে তার নাকি কিছু মনে থাকে না। রানু বারান্দায় যাবার জন্যে দরজা খুলতেই অপলা চেঁচিয়ে উঠল, কে কে? রানু জবাব দিল না। বারান্দায় এসে দাঁড়াল। চারদিক অন্ধকার। কোনো সারাশব্দ নেই। যাদের ঘুমিয়ে পড়ার তারা ঘুমিয়ে পড়েছে।
রানু আপা?
হুঁ।
আজ ঘুম আসছে না?
না।
ঠাণ্ডা পানিতে মাথা ধুয়ে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে শুয়ে থাক। চিৎ হয়ে শুবে এবং বড় বড় নিঃশ্বাস নেবে, যাতে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণটা বেশি থাকে।
রানু জবাব দিল না। অপলা কী আজকাল বেশি কথা বলছে? বোধ হয় বলছে। এত কথা আগে বলত না।
আপা।
বল।
আনব দুধ গরম করে? তুমি খেলে আমিও খাব। আমারও ঘুমের ট্রাবল হচ্ছে। অবশ্যি আমার ঘুম হচ্ছে না পরীক্ষার টেনশনে।
অপলা বারান্দায় চলে এল। তার হাতে ডিকশনারি সাইজের একটা বই। অপলা হাসতে হাসতে বলল, আজকাল যেসব স্বপ্ন দেখছি সেগুলিও পরীক্ষা সংক্রান্ত। যেমন গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম আমাদের এনাটমির কোশ্চেন আউট হয়ে গেছে। সবাই সে কোশ্চেন পেয়েছে। বহু ছোটাছুটি করে আমিও কোশ্চেন জোগাড় করলাম। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখি এনাটমির বদলে সেদিন হচ্ছে বাংলা পরীক্ষা। কঠিন সব ব্যাকরণের প্রশ্ন হল, উপপদ তৎপুরুষ সমাস কাহাকে বলে? বলতে বলতে আপলা হাসতে শুরু করল। রানু লক্ষ্য করল, হাসির দমকে ডিকশনারির মত মোটা বইটি মেঝেতে ছিটকে পড়েছে। অপলার সেদিকে লক্ষ্য ও নেই।
অপলা!
বল।
রাত দুপুরে এরকম চেঁচিয়ে হাসা ঠিক না। সরি আপা।
দুধ আনিব তোমার জন্যে?
তুই বোস। তোর সঙ্গে কথা আছে।
অপলা বারান্দার মেঝেতেই শিশুদের মত পা ছড়িয়ে বসল অথচ রানুর পাশেই একটা খালি চেয়ার আছে। রানু দেখল অপলা শাড়ির আঁচল মুখে গুজে হাসির বেগ সামলাবার চেষ্টা করছে।
অপলা, গত কয়েক দিন ধরে একটা মজার জিনিস লক্ষ্য করছি। অকারণেই তুই খুব হাসছিস। বেশ কথা বলছিস।
পরীক্ষার টেনশনে এরকম হচ্ছে আপা। মেডিক্যাল টার্মে একে বলে…
মেডিক্যাল টার্মে যাই বলুক, আমার মনে হয় আমি কারণটা জানি। ভালই জানি।
জানলে বল। অবশ্যি যদি বলতে চাও।
তোর মত বয়েসী মেয়েরা যখন নিষিদ্ধ কিছু করে, তখন এরকম আচরণ করে। হঠাৎ খুব প্রগলভ হয়ে যায়। নিজেকে আড়াল করে রাখবার জন্যে কৃত্রিম কিছু আচরণ করে। যেমন তুই করছিস।
অপলা গম্ভীর হয়ে বলল, নিষিদ্ধ কাজটা কী করলাম সেটাও বল শুনি। পরীক্ষা হয়ে যাক তুমি কত বড় ডিটেকটিভ।
সেটা আমি জানি না। তবে অনুমান করতে পারি। আমার ধারণা তুই তোর দুলাভাইকে খুব একটা আবেগের চিঠি লিখেছিস। চিঠিটা পোস্ট ক্লাববার পর তোর মনে হয়েছে কাজটা ঠিক হয। নি, খুব অন্যায় হয়েছে। অপলা তীক্ষা গলায় বলল, তুমি কী আমার চিঠি পড়েছে?
না পড়িনি। লুকিয়ে অন্যের চিঠি পড়বার অভ্যেস আমার নেই।
না পড়লে চিঠির কথা তুমি জানতে পারতে না। এত বড় ডিটেকটিভ তুমি এখনো হওনি।
অনুমান করে বলেছি। অনুমানটা ঠিক হয়েছে। সব অনুমান তো সব সময। ঠিক হয় না। অনেকবার ভুলও করেছি।
সারা জীবনই তুমি ভুল করেছ। কেউ কেউ ভুল করবার জন্যে জন্মায়।
অপলা হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। রানু কিছু বলবার আগেই ছুটে চলে গেলে ভেতরে। রানু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভাবল, কী লেখা ছিল সেই চিঠিতে? প্রেমের চিঠি না তো?
অনেক দূরে কোথাও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বর্ষা এসে গেল বোধ হয়। রানু, ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেলল। শীত শীত করছে। বেশ বাতাস বারান্দায়। ভেতর থেকে একটা চাদর নিয়ে আসবে নাকি? আলসী লাগছে। একবার ভেতরে গেলে আর বারান্দায় আসা হবে না।
অপলা আবার বারান্দায় এসে দাঁড়াল। কেঁদে-টেদে এসেছে বোধ হয়। কিংবা এক্ষুণি হয়ত কাঁদবে। রানু তাকিয়ে রইল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে। রাত কত হয়েছে কে জানে। নিশ্চয়ই অনেক রাত।
রানু আপা।
বল।
অপলা থেমে থেমে বলল, আমি তাকে আবেগের চিঠি লিখলেও তো তোমার কিছু যায় আসে না।
তা ঠিক কিছুই যায় আসে না।
কোনো মেয়ে তাকে কী লিখছে, না লিখছে তাতে তোমার কী?
বললাম তো একবার আমার কিছুই না।
এটা তুমি মুখে বলছি, কিন্তু মনে তো স্বীকার কর না। যদি স্বীকার করতে তা হলে আমার সামান্য চিঠি লেখা নিয়ে এতগুলি কথা বলতে না।
রানু হেসে ফেলল। কেমন পাগলের মত কথা বলছে অপলা। হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলা। যেন ক্লাসে বক্তৃতা দিচ্ছে। রানু শান্ত স্বরে বলল, আমি তোকে তেমন কিছুই বলিনি। তোর যদি ইচ্ছে হয় রোজ তাকে দুটো করে চিঠি লিখিস।
হ্যাঁ আমি লিখব।
বেশ তা লিখবি। ঢাকায় এলে হাত ধরাধরি করে বলধা গার্ডেনে যাবি। আমি কিছুই বলব না।
অপলা কাঁদতে শুরু করল। ব্যাপারটা ঘটল হঠাৎ। অপলা যে কেঁদে ফেলতে পারে এটা সে ভাবেনি। রানু এগিয়ে এসে তার হাত রাখল অপলার পিঠে। শান্ত গলায় বলল, আবেগ খুব মূল্যবান জিনিস এই কথাটা খেয়াল রাখবি। তোর দুলাভাইয়ের মধ্যে অন্য কিছু আছে কিনা আমি জানি না। কিন্তু আবেগ যে নেই এটা আমি বলতে পারি। দীর্ঘদিন তার পাশে থেকে আমাকে শিখতে হয়েছে। চল ভেতরে চল। ঠাণ্ডা লাগছে।
তুমি যাও।
দরজা দিয়ে শুযে পড়ব। আয়। আর শোন, কাঁদছিস কেন?
আমি কাঁদলে তোমার কী অসুবিধা?
আমার কোনোই অসুবিধা নেই। যত ইচ্ছা কাদ। তবে কথায্য কথায্য কান্না একমাত্র শরৎচন্দ্রের নায়িকাদেরই মানায়, তোকে মানায না।
তারা ঘুমুতে গোল রাত দুটোর দিকে। বানু দেখল, টগাব তব খাটে নেই। এক ফাকে উঠে চলে গেছে অপলার ঘরে। টগর কী তাকে পছন্দ করে না? কেন কবে না? টগবেব পরিস্থিতি অন্য কোনো ছেলেব হলে সে তার মাকেই আঁকড়ে ধরত। সেটাই স্বাভাবিক। রানু অপলার ঘরে উঁকি দিল। টগর অপলার গলা দুহাতে জড়িয়ে ধরে আছে। দৃশ্যটি সুন্দব। কিন্তু মন খারাপ করে দেবার মত।
অপলা, টগর কী জেগে আছে?
হুঁ আছে।
টগর! টগর।
কী?
আমার সঙ্গে ঘুমাবে না?
ঘুমাব।
তাহলে এসো।
আসছি।
কিন্তু টগর উঠে এল না। যেন মাকে সান্তুনা দেবার জন্যেই বলা। বানু ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে মৃদুস্বরে বলল, অপলা, তুই চিঠিতে কী লিখেছিস?
তেমন কিছু না। আপা। আসতে লিখেছি। এর বেশি কিছু না।
খুব ইনিয়ে-বিনিয়ে লেখা তাই না?
হ্যাঁ।
আচ্ছা ঘুমো।
টগরকে নেবে না?
না। ও তোর সঙ্গেই থাক।
রানুর একফোটাও ঘুম এল না। হাতের কাছে টগর নেই। বিছানাটা সেই কারণেই কী বিশাল লাগছে? এক সময় তার মনে হল একটা বিশাল মাঠের মাঝখানে সে শুয়ে আছে। তার ভয় ভয় করতে লাগল। ওসমান সব সময় বলত, জীবজগতে মানুষ হচ্ছে একমাত্র প্রাণী, যে একা একা থাকতে পারে। অন্য কোনো প্ৰাণী পারে না। তাদের সঙ্গি বা সঙ্গিনী প্রয়োজনে, তবে মানুষ অসাধারণ কল্পনা শক্তির অধিকারী বলেই সে নিঃসঙ্গ সময়টায় সঙ্গি কল্পনা করে নেয় এবং এক সময় একা থাকাটা তার অভ্যাস হয়ে যায়।
টগরের বাবার নিশ্চয়ই একা থাকাটা এতদিনের অভ্যাস হয়ে গেছে? রানু এপাশি-ওপাশ করতে লাগল। পাশের ঘরে বাতি জ্বলছে। অপলা বাথরুম করাচ্ছে বাবুকে। খুব সহজ ও স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথা বলছে দুজনে।কী এত কথা ওদের? গুজণ্ডজ ফুসফুস। কান পাতলে হয়ত শোনা যাবে, কিন্তু কান পাততে ইচ্ছে করছে না। টগর হাসছে। তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে হাসছে অপলা। ওদের দুজনের একটি গোপন জগৎ আছে। রানুর সে জগতে প্রবেশের অধিকার নেই। জোর করে সে অধিকার আদায় করা কী সম্ভব? রানু কী এখন ডাকতে পারে টগরকে? শান্ত শীতল গলায় বলতে পারে,
তোরা কী নিয়ে হাসছিস টগর? আমাকেও দলে নিয়ে নে। আমারও হাসতে ইচ্ছে করছে। আমিও হাসব।
কিন্তু কেউ তাকে দলে নিবে না। আমি ছিলাম। সারাজীবন দল ছুটি। ক্লাস নাইনে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে চারজন করে গ্রুপিং হবে। একচল্লিশজন ছাত্রী ক্লাসে। দশটি গ্রুপ। সে বাদ পড়ল। তাকে নিয়ে ছাত্রীরা কেউ গ্রুপ করেনি। বদিউজ্জামান স্যার বিরক্ত হয়ে বললেন, কোন এক গ্রুপের সঙ্গে চুকে যা। হা করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কিন্তু ঢুকবে কার সঙ্গে? যাদের কাছেই গেছে তারাই বলেছে, তুমি ভাই অন্য গ্রুপে যাও। সে সময় তার বয়স কম ছিল। আবেগ ছিল প্রচুর। সেও শরৎচন্দ্রের নায়িকাদের মতই কাঁদতে শুরু করল। চোেখ মুছতে মুছতে বদিউজ্জামান স্যারকে বলল, স্যার আমি সায়েন্স পড়ব না। স্যার অবাক হয়ে বললেন, কেউ তোকে গ্রুপে নিচ্ছে না। এই জন্যে সায়েন্স পড়া ছেড়ে দিবি? রানু ফোপাতে ফোপাতে বলল, সে জন্যে না স্যার। সায়েন্স পড়তে আমার ভাল লাগে না।
সায়েন্স কী পড়েছিস যে বুঝে ফেললি সায়েন্স পড়তে ভাল লাগে না? আর ফিচ, ফিচ করে কাঁদছিস কেন?
মাথাব্যথা করছে স্যার। এ জন্যে কাঁদছি।
আবার মিথ্যা কথা? মাথা মুড়িয়ে দেব, বুঝলি?
বদিউজ্জামান স্যার কথায় কথায় বলতেন মাথা মুড়িয়ে দেব। কেউ অঙ্ক পারল না। স্যার হুংকার দিয়ে বললেন, কাল একটা ক্ষুর নিয়ে আসবি তোর মাথা মুড়িয়ে দেব। কেউ ক্লাসে লুকিয়ে লুকিয়ে গল্পের বই পড়েছে–স্যারের চোখে পড়ল, স্যার বললেন, দপ্তরী কালিপদকে ডেকে নিয়ে আয়, ওকে দিয়ে একটা সেভেন ও ক্লক ব্লেড আনিয়ে তোর মাথা মুড়িয়ে দেব।
একজন মানুষ সমগ্র জীবন অল্প কয়েকজন ভাল মানুষের সাক্ষাৎ পায় যারা তার ওপর অসাধারণ প্রভাব ফেলে। বদিউজ্জামান স্যার সে রকম একজন মানুষ। ক্লাস নাইনের সেই প্রাকটিক্যাল ক্লাসে রানু লজ্জা ও অপমানে মরে যেতে বসেছিল। ইচ্ছা করছিল ছুটে গিয়ে কোনো একটা চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। হয়ত করেও বসত সেরকম কিছু। বদিউজ্জামান স্যার তাকে দুঘণ্টা তার সামনের চেয়ারে বসিয়ে রাখলেন। যতবারই সে বলছে, স্যার উঠি? ততবারই স্যার বলেছেন, আহা বোস না। এত তাড়া কিসের? সে বসেছিল মাথা নিচু করে। শুধু সামনে বসে থাকা… কোনো কথাবার্তা নেই। এক সময় তিনি বললেন, আচ্ছ যা এখন বাড়ি যা। একা তোর জন্যে একটা গ্রুপ করে দেব। ভালই হবে। কাজকর্ম ভাল শিখবি। আরেকটা কথা শোন ছোটখাটো দুঃখ-কষ্টকে আমল দিতে নাই। ক্লাসে মেয়েরা তোকে পছন্দ করছে না। তাতে কিছু যায় আসে না। আমি তো করছি। আমার তো মনে হয় তোর মত ভাল মেয়ে আমি আমার শিক্ষকতা জীবনে কম দেখেছি। ছত্ৰিশ বছর ধরে মাস্টারি করছি, কম দিন তো নয়। কি বলিস? তুই ভাল মেয়ে। খুব ভাল। এটা কখনো ভুলবি না।
এটা স্যারের একটা মিথ্যা কথা। ক্লাসের সব মেয়েকেই স্যার এই কথা কোনো না কোনো সময় বলেছেন। কিন্তু কত মধুর সেই মিথ্যাটি পৃথিবীতে মধুর মিথ্যার সংখ্যা এত কম কেন ভাবতে ভাবতে রানু চোখ মুছল।
বিয়ের পর সে গিয়েছিল স্যারের সঙ্গে দেখা করতে। তিনি চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বললেন, তুমি কোন ব্যাচের মা? কি যেন নাম তোমার? রানু মৃদু স্বরে বলেছিল, আপনি আমাকে একবার আশা ও আনন্দের কথা শুনিয়েছিলেন। সেই কথাগুলি আমি প্রায়ই ভাবি। আমার হ্যাসব্যান্ডকে আপনার কথা বলেছিলাম। তিনি আপনাকে দাওয়াত করেছেন। আপনি কী একবার আসবেন আমাদের বাসায়?
কি করেন তোমার স্বামী?
তিনি একজন লেখক। আপনি হয়ত চিনবেন।
স্যার চিনলেন এবং উচ্ছসিত হলেন।
মা তোমার পরম সৌভাগ্য তুমি এমন একজনের পাশে আজ যিনি একজন অত্যন্ত উঁচুদরের মানুষ। যিনি শোকে ও দুঃখে মানুষকে পথ দেখান, আশা ও আনন্দের কথা বলেন। এরা মানব জাতির বিবেক। এদের পাশে থাকা ভাগ্যের কথা। কিন্তু মা তার সঙ্গে দেখা করতে আমি যাব না। তার সঙ্গে দেখা করার যোগ্যতা আমার নাই। আমি সামান্য মানুষ।
ভোর হচ্ছে।
একতলায় মোরগ, ডাকছে। রানু উঠে পড়ল। উঁকি দিল পাশের ঘরে। টগরের মাথা বালিশ থেকে সরে গেছে। কিন্তু দুহাতে সে অপলাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
কত চমৎকার সব দৃশ্য চারদিকে। তবু কত অর্থহীন এই বেঁচে থাকা।