পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ
কেউই হুকুম পছন্দ করে না
সম্প্রতি আমি আমেরিকার মানুষের জীবনী লেখিকাঁদের ডীন মিস ইডা টারবেলের সঙ্গে ডিনারে অংশ নিয়েছিলাম। আমি তাঁকে যখন বললাম আমি এই বইটা লিখছি, তখন মানুষের সঙ্গে চলার বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়। আমায় জানালেন তিনি যখন ওয়েন ডি. ইয়ংয়ের জীবনী রচনা করেছিলেন তখন ইয়ংয়ের সঙ্গে তিন বছর একই অফিসে বসেছেন, এমন একজন মানুষের তিন ঘন্টা ধরে সাক্ষাৎকারও নিয়েছিলেন। লোকটি জানিয়েছিল সারা জীবনে তিনি কখনও দেখেননি ইয়ং কাউকে সরাসরি কোন হুকুম করেন। তিনি সব সময়ই উপদেশ দান করতেন। উদাহরণ হিসেবে ওয়েন ডি ইয়ং কখনই বলেন নি, ‘এটা কর, ওটা কর’ বা ‘এটা কোরো না, ওটা কোরো না। বরং প্রায়ই তিনি বলতেন, এটা ভেবে দেখতে পারেন বা আপনার কি মনে হয় এতে কাজ হবে? কোন চিঠি লিখতে দিয়ে শেষ হলে তিনি বলতেন, ‘এটা তোমার কি রকম মনে হয়?’ বা চিঠির ভাষার একটু বদলে দিলে কেমন হয়? তিনি প্রায় সব সময়েই লোককে কাজ করার সুযোগ দিতেন। তিনি তাদের কাজের মধ্য দিয়েই ভুল সংশোধন করতে দিতেন।
এরকম কৌশলের ফলে ভুল সংশোধনের সুবিধাই করে দিতেন তিনি। এইরকম কৌশলে মানুষের অহঙ্কারবোধ বজায় থাকে আর নিজের গুরুত্ববোধও থাকে। তাকে বিদ্রোহ না করে সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
অতএব অপরকে ক্রুদ্ধ বা অসন্তুষ্ট না করে বদলাতে হলে ৪ নম্বর নিয়ম হল :
‘সরাসরি হুকুম না করে প্রশ্ন রাখুন।‘