২৩
পুরান ঢাকা
বর্তমান সময়, বেলা প্রায় ৫টা
দুজনেই এতটা চমকে গেছে। অফিসার চিৎকার করে ওঠার পরও দুজনেই হাত না তুলে বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইল।
“বললাম না হাত ওপরে,” অফিসার আবারও চিৎকার করে উঠল। হাসান লোকটাকে চিনতে পারল। এই অফিসারই বসুন্ধরা সিটিতে ওদরেকে ধরতে আসা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। দুজনেই ধীরে ধীরে হাত ওপরে তুলল। ওদের দিক থেকে দৃষ্টি না সরিয়েই অফিসার কাউকে উদ্দেশ করে কিছু একটা বলল।
“অফিসার, আমরা নির্দোষ,” হাসান চিৎকার করে বলল।
“হুমমম সবাই তাই বলে। তোমরা যে কাণ্ড করেছ এরপর নির্দোষ বলাটা একটু সিনেমা টাইপ হয়ে গেল না। হাত ওপরে তুলে রাখো দুজন পুলিশ তোমাদের হাতে হাতকড়া পরাবে। কোনোরকম বাধা দিও না তাহলে আরও বিপদে পড়বে। এমনিতেই তোমরা অনেক ঝামেলায় আছ। ট্রাস্ট মি, আমি তোমাদের বিপদ যাতে আর না বাড়ে সেটা দেখব।”
“অফিসার আমরা শুধুমাত্র একটা ধাঁধার সমাধান করছি,” এবার অরণি বলল।
“ইয়াং লেডি, তোমার কোনো ধারণাই নেই তুমি কোন ঝামেলায় জড়িয়েছ। আমি পুরো ব্যাপারটা জানতে চাই। প্লিজ কো-অপারেট।”
পুলিশ দুজন ওদের দিকে এগিয়ে আসছে হাতকড়া হাতে। অরণি অসহায়ভাবে হাসানের দিকে তাকাল। হাসানও বুঝে উঠতে পারছে না কী করবে। একজন পুলিশ কাছে এসে হাসানের একটা হাত ধরে পেছনে নিয়ে গেল।
হঠাৎ টাশশশ করে উঠল। কিছু একটা ঘটেছে। আবারও টাশশশ শব্দ, হাসানকে ধরে থাকা পুলিশ উফফফফ করে উঠল। তার থেকে হাতকড়াটা মাটিতে ছিটকে পড়েছে। সমানে টাশ টাশশ শব্দ হতে লাগল। হাসান অরণিকে এক হাতে ধরে মাটিতে শুয়ে পড়ল।
কেউ একজন সমানে গুলি করছে। ওদেরকে লক্ষ করে অথবা পুলিশকে লক্ষ করে। ও আড়চোখে দেখল গুলি আসছে রাস্তার ডান দিক থেকে। পুলিশ অফিসার জিপের আড়ালে চলে গেছে। রাস্তার লোকজন প্রথমে বুঝতে পারেনি কী ঘটছে। কয়েকটা গুলির শব্দ হওয়ার সাথে সাথে বুঝে গেল। মুহূর্তেই চারপাশে শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
ওদের আর পুলিশের গাড়ির মাঝখানে খটখট করে উড়ে এসে পড়ল কিছু একটা। গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে ওটা থেকে। কেউ একজন চিৎকার করে উঠল, “দৌড়াও।”
হাসান অরণির হাত ধরে একটানে উঠিয়ে ফেলল। চারপাশে লোকজনের কোলাহল, চিৎকার-চেঁচামেচি। তার সাথে যোগ হয়েছে ধোঁয়া আর গুলির শব্দ। সব মিলিয়ে এলাহি কাণ্ড। এর ভেতর দিয়ে হাসান অরণির হাত ধরে দৌড় দিল উলটোদিকে।
যদিও এই গন্ডগোলের ভেতরে খেই হারিয়ে ফেলেছিল সে। নজর সরে গিয়েছিল ছেলেমেয়েটার ওপর থেকে ওদেরকে দৌড়াতে দেখার সাথে সাথে আতিকুর রহমান উঠে দাঁড়াল। সে একজন কনস্টেবলকে নিয়ে ওদের পিছু নিল।
হাসান অরণির একটা হাত ধরে দৌড়াচ্ছে। সামনে কী আসছে না আসছে কিছুই খেয়াল করছে না। অনেকটা অন্ধের মতো এগিয়ে চলেছে। সামনের দিকে। একটু এগিয়ে পেছন ফিরে দেখে পুলিশ অফিসার দৌড়ে আসছে ওদের দিকে। প্রায় কিছুই চিন্তা না করে সে মোড় নিল ডান দিকে। একটা মার্কেটের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগল ওপরে।
অরণি চিবার করে বলল, “ওপরে উঠলে তো আটকে যাব।”
“এখন চিন্তার সময়ে নেই,” ওরা ওপরে উঠে করিডর ধরে দৌড় দিল। ওদের ধাক্কায় পড়ে গেল এক লোক। পেছনে না তাকালেও বোঝা যাচ্ছে কেউ একজন আসছে পেছন পেছন। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ধুপধাপ।
হাসান অরণিকে নিয়ে চলে এলো মার্কেটের একদম কোণার দিকে। এখানে এসে পেছনের একটা সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলো নিচে। ওরা একটা উঠানের মতো জায়গায় এসে বেরিয়েছে। চারপাশে বাউন্ডারি ঘেরা। অনেকটা বাড়ির পেছনের উঠানের মতো জায়গাটাতে বিভিন্ন ধরনের পুরানো জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এদিক-সেদিক।
“এখন কী করবে?” অরণি হাঁপাতে হাঁপাতে বলল। “এগুলোর আড়ালে লুকানো যাবে?” স্তূপ করা জিনিসগুলো দেখিয়ে বলল সে।
“মেয়েদের মাথায় আসলে কিছু নেই, আসো আমার সাথে,” হাসান আবার ওর হাত ধরে টান দিল।
অন্য সময় হলে অরণি ঝগড়া লাগিয়ে দিত। এখন এতকিছু ভাবার সময় নেই। হাসান ওকে নিয়ে দৌড়ে চলে এলো দেয়ালের কাছে। নিচু হয়ে বসে নিজের হাত পেতে দিয়ে বলল, “আমার হাতের ওপর দাঁড়িয়ে দেয়ালটা ধরে উঠে যাও।”
এক মুহূর্ত দ্বিধা করে অরণি ওর হাতের ওপর পা রাখল। পা রাখতেই হাসান ওকে ঠেলে দিল ওপরের দিকে। অরণি দেয়ালের ওপর বসে একটা হাত বাড়িয়ে দিল ওর দিকে। হাসান হাত ধরতেই টেনে তুলতে যাবে টাশশশ করে তীব্র একটা শব্দ হলো। অভ্যাস বসে হাসান মাথা নিচু করে ফেলল।
পুলিশ অফিসার আর কনস্টেবল নেমে এসেছে উঠানে। অফিসারের পিস্তলটা ওপরের দিকে ওঠানো। মানে ওয়ার্নিং শট দিয়েছে সে। হাসান এক লাফে দেয়ালের ওপর উঠে এলো। পেছন থেকে চিৎকার ভেসে এলো, “থামো।”
সময় নেই দেখার মতো দুজেনই প্রায় একসাথে লাফ দিল নিচের দিকে। দেয়ালটা বেশি উঁচু না ছয় ফিটের মতো হবে। হাসান সহজেই নেমে এলো। অরণি নামতে গিয়ে পড়ে গেল নিচে। ওকে ধরে উঠিয়ে দিল হাসান। দুজনে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে পুলিশ অফিসারের মাথা দেখা গেল দেয়ালের ওপর। সেও ওদের মতো উঠে আসছে।
অরণি প্রায় কোনো ভাবনাচিন্তা না করেই একটা দুঃসাহসিক কাজ করে বসল। অফিসার তখনও দেয়ালের ওপর উঠে শরীরের ব্যালেন্স ঠিক করতে পারেনি। অরণি ছুটে গিয়ে এক ধাক্কা মারল। মৃদু আর্তনাদ করে সে পড়ে গেল ওপাশে।
হাসান অরণির দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। অরণি ওর কাছে এসে বলল, “মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে কম না,” হাসানের হাঁ করা মুখের সামনে আঙুল নেড়ে কথাটা বলে সে হাসানের হাত ধরে টান দিল।
দুজনে মিলে দৌড়ে একের পর এক গলি পার হয়ে এলো। পুলিশ অফিসার যাতে আর ওদের পিছু নিতে না পারে সেজন্য একের পর এক গলি দৌড়ে পার হয়ে এলো। যতক্ষণ দম থাকল দুজনের কেউই থামল না।
কিছুক্ষণ পর অরণি হাসানের হাত ছেড়ে দিয়ে একটা দেয়ালের পাশে বসে পড়ল। “আ আ আমি আর পারছি না।”
দম হারিয়ে হাসানও বসে পড়ল ওর পাশে। “আমিও না। একটু না থামলে আর দৌড়ানো সম্ভব না।”
দুজনেই বসে কিছুক্ষণ চুপচাপ হাঁপাল। বারবার গলির দুই পাশে চোখ বুলাচ্ছে। যদি পুলিশের কাউকে দেখা যায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে থাকা লোকজন অবাক হয়ে ওদেরকে দেখছে। দুটো ছেলেমেয়ে এভাবে রাস্তার পাশে বসে আছে। অবাক হওয়ার মতোই দৃশ্য। “চলো,” এখানে আর বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবে না।”
হাসান উঠে দাঁড়িয়ে কাপড়চোপড় ঝাড়তে ঝাড়তে বলল, “হ্যাঁ চলো, “ বলে অরণিও উঠে দাঁড়ানোর জন্য হাসানের দিকে হাত বাড়াল। হাসান ওর হাত ধরে টেনে তুলল।
অরণি উঠে দাঁড়িয়ে কাপড় ঝাড়তে লাগল। হাসানের মোবাইল বাজছে পকেটে। ও ফোনটা বের করতে করতে কল কেটে গেল। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে ফাইভ মিসড্ কল। এতক্ষণ ঝামেলা আর উত্তেজনার চোটে খেয়াল করেনি।
চাচার মিসড্ কল। হাসান ফোন ব্যাক করল। “হ্যালো চাচা। হ্যাঁ আমরা ঠিক আছি। …
আপনি কোথায় আছেন?… আচ্ছা আমরা…এটা আচ্ছা আপনি এক কাজ করেন। তাঁতি বাজরের মোড়ে আসেন। আমরা ওখানেই আসছি। আপনার কতক্ষণ লাগবে? ঠিক আছে আমরা পাঁচ মিনিটের ভেতরেই পৌঁছে যাব।”
লাইনটা কেটে দিয়ে অরণির দিকে ফিরে বলল, “চলো।”
.
তার কাজটা সে সফলভাবে করতে পারলেও গুবলেট একটা ব্যাপার ঘটে গেছে। যখন দেখল হাসান আর অরণি ধরা পড়তে যাচ্ছে সে তাৎক্ষণিক পিস্তল বের করে গুলি করতে থাকে। প্রথম গুলিটা ওপরের দিকে করে। পরের গুলিটা করে হাসানকে হাতকড়া পরাতে যাওয়া পুলিশের হাতে। তবে লোকটার কপাল ভালো, গুলিটা হাতকড়াতেই লেগে ওটা ছিটকে পড়ে। এরপর সে একের পর এক গুলি করতে থাকে, তবে বেশিরভাগই ওপরের দিকে। গুলি করতে করতেই তার সাথে থাকা স্মোক বম্ব দুটোর একটা ছুড়ে দেয় পুলিশের জিপ আর ওদের মাঝখানে। নতুন এই বম্ব দুটো সে গাড়ি থেকে নামার সময় সাথে নিয়েছিল। সে নিজেও আড়াল নিতে নিতে চিৎকার করে ওদেরকে পালাতে বলে। এরপর কী ঘটেছে ধোঁয়ার ভেতরে পুরোপুরি বোঝা না গেলেও আবছাভাবে তার মনে হলো ওরা দৌড়াতে শুরু করার পর পুলিশ অফিসার ওদের পিছু নেয়। সে ইচ্ছে করলেও ওদিকে যেতে পারেনি, ব্যাপারটা আত্মঘাতী হয়ে যেত। কারণ তখনও দুজন পুলিশ তার দিকে গুলি ছুড়ছিল। ওদের পিছু নেওয়ার পরিবর্তে সে বরং ওখান থেকে আলগোছে সটকে পড়ে। তবে এখন সবচেয় খারাপ দিক হলো সে আবারও ওদেরকে হারিয়ে ফেলেছে এবং কীভাবে খুঁজে পাবে সেটা জানে না।
.
হাতে একটা জ্বলন্ত বেনসন অ্যান্ড হেজেস নিয়ে অতিকুর রহমান জিপের পেছনে বসে আছে। পুলিশের একজন মেডিক তাকে চেক করছে। আতিকুর রহমানকে দেখে মনে হচ্ছে সে সিগারেটটা টানছে না বরং ওটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। হেড অফিসে রিপোর্ট ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে সে। কেউ তাকে কিছুই বলছে না। সে-ও কাউকে কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। পুলিশ হিসেবে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এরকম ঘটনা কখনো ঘটেনি। বাঘা বাঘা ক্রিমিনাল তার সামনে পাত্তা পায়নি আর একটা সাধারণ ছেলে আর মেয়ে তাকে এভাবে ফাঁকি দিয়ে…কথাটা ভুল হলো রীতিমতো ধাক্কা মেরে চলে যাবে এটা সে ভাবতেই পারছে না। মেডিক চেক করার পর সে উঠে দাঁড়াল। নিজের শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে সে একজন কনস্টেবলকে ডেকে তাকে কিছু নির্দেশনা দিল।
একটু পরে গাড়িতে উঠতে উঠতে সে ওয়্যারলেসে তার থানার ওসিকে নির্দেশনা দিতে দিতে বলল, এই কেসের সমস্ত ফাইল আমার ডেস্কে পাঠিয়ে দিন। মার্ডারটা থেকে শুরু করে সবকিছু। প্রতিটা মানুষের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ যা যা আছে সব।”
অন্ধের মতো হাতড়ানোর ফল সে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে। সে ভেবেছিল দুটো ছেলেমেয়ে এদেরকে ধরতে তার কয়েক মিনিটের বেশি লাগবে না। এমনকি বসুন্ধরা সিটির ঘটনার পরেও সে সাবধান হয়নি। এবার সময় হয়েছে, পুরো চিত্রটা তাকে বুঝতে হবে। ওপরওয়ালারা কী বলবে এই মুহূর্তে সে এটা নিয়ে ভাবছে না। তার কাজ সে করে যাবে। আগে তাকে বিস্তারিত সব বুঝতে হবে।
.
হাসান অরণিকে নিয়ে তাঁতি বাজার মোড়ের কাছে এসে দেখে চাচা ইতোমধ্যেই চলে এসেছেন। তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কানে একটা হেডফোন। হাসান মনে মনে ভাবল বাহ চাচারাও আজকাল হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শোনে।
“কী ব্যাপার, কউ দেখি, তুমরা তো পুরা আগুন লাগায়া দিতাছো,” চাচা ওদরেকে দেখে বেশ খুশি হয়েছে বলে মনে হলো।
“চাচা, আর বইলেন না। এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা একদম ঠিক হবে না। আগে গাড়ি ছাড়েন তারপর কথা হবে,” হাসান অরণিকে নিয়ে গাড়িতে উঠতে উঠতে বলেল।
“ব্যাপার কী? কেউ পিছে লাগছে নাকি?” চাচা গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে জানতে চাইলেন।
“না চাচা কিন্তু পুলিশের সাথে আরও ঝামেলা হয়েছে। আমাদের মাথার ওপরে বিপদ আরও বেড়েছে,” বলে অরণি একটু বিরতি দিল। “চাচা আমাদের সাথে থাকলে কিন্তু আপনার বিপদও বাড়বে।”
“আরে মামণি এবার কিন্তু আমি সত্যি সত্যি রাগ করমু,” তুমি কি এখনও আমারে আপন ভাবতে পারো নাই। আমার নিজের মেয়ে যদি আজ এরকম ঝামেলায় পড়ত তাইলে কি আমি একলা ছাইড়া দিতে পারতাম কউ!” আমারে নিয়া তোমাগো চিন্তা করতে হইবো না। বরং আরও কোনো সাহাইয্য লাগলে কইতে পারো। আমি চেষ্টা কইরা দেখতে পারি.” চাচা হাসিমুখেই বলল। “আর একটা সত্যি কথা কই যৌবনকালে আমি খুব বেয়াড়া কিসিমের আছিলাম। বহু বছর কোনো বেয়াড়াপনা করি নাই। সেই বয়সও নাই। তয় তোমাগো লগে এইটা-ওইটা কইরা খুব মজা পাইতেছি। হাহা,” তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে সত্যিই দারুণ মজা পাচ্ছে। “আচ্ছা, এখন তোমরা কোন দিকে যাবা? ঠিক করছো?” চাচা জানতে চাইল।
অরণি হাসানের দিকে তাকাল, “আমরা কি এখন ওয়ারির দিকে যাব?”
হাসান বড় করে একবার নিঃশ্বাস নিল। “চাচা, আপনি বুড়িগঙ্গার পাড়ে কোথাও একটু নির্জন জায়গা দেখে দাঁড় করাতে পারবেন?” চাচা মাথা নেড়ে রওনা দিল। “অরণি, তোমার সাথে আমার কিছু আলাপ আছে। খন্দকার আহমদ বশিরের ব্যাপারে আমাদের কথা বলতে হবে।”