২১. শুক্লযজুর্বেদ সংহিতা – উত্তরার্ধ – একবিংশ অধ্যায়

শুক্লযজুর্বেদ সংহিতা উত্তরার্ধ

একবিংশ অধ্যায়

মন্ত্রঃ– ইমং মে বরুণ শ্রুধী হবদ্যা চ মৃডয়৷ স্বামবস্যুরা চকে৷৷৷৷ তত্ত্বা যামি ব্ৰহ্মণা বন্দমানস্তদা শাস্তে যজমানো হবিভিঃ। অহেডমানো বরুণেহ বোধরুশংস মান আয়ুঃ প্রমোষীঃ ৷৷২। ত্বং নো অগ্নে বরুণস্য বিদ্বান্ দেবস্য হেড্ডা অব যাসিসীষ্ঠাঃ। যজিষ্ঠো বহ্নিতম শোচানো বিশ্বা দ্বেষাংসি প্র মুমুক্ষ্যস্মৎ৷৷৩৷ স ত্বং নো অগ্নেহবমো ভবোতী নেদিষ্ঠো অস্যা উষসসা ব্যুষ্টো। অব যক্ষ নো বরুণং ররাণো বীহি মৃভীকং সুহবোন এধি৷৷৷৷ মহীমূ ষু মাতরং সুব্রতানামৃতস্য পত্নীমবসে হুবেম। তুবিক্ষত্রা মজরীমুরূচীং সুশৰ্মাণমদিতিং সুপ্রণীতি৷৷৷৷ সুত্রামাণং পৃথিবীং দ্যামনেহসং সুশর্মাণমদিতিংসুপ্রণীতি। দৈবীংনাবং স্বরিত্রামনাগসমস্রবন্তীমা রুমেহাস্বস্তয়ে৷৬৷৷ সুনামা রুহেয়মবন্তীমনাগসম। শতারিত্ৰাং স্বস্তয়ে৷৭৷ আ নো মিত্রবরুণা ঘৃতৈব্যুতিমুক্ষত। মধ্বা রজাংসি সুক্ৰ৷৷৷৷ প্র বাহবা সিসৃতং জীবসে ন আ নো গদ্যুতিমুক্ষতং ঘৃতেন। আ মা জনে শ্ৰবয়তং যুবানা তং মে মিত্রাবরুণা হবেমা৷৷৷৷ শং নো ভবন্তু বাজিনোনা হবে দেবতাতা মিতদ্রবঃ স্বাঃ। জম্ভয়ন্তোহহিংবৃকংরক্ষাংসি সনেম্যম্মদ্যুষবন্নমীবাঃ।১০। ব্যাজ বাজেহবত বাজিনো নো ধনেষু বি অমৃতা ঋতজ্ঞাঃ। অস্য মধ্বঃ পিবত মাদয়ধ্বং তৃপ্তা যাত পথিভির্দেবনৈঃ॥১১৷ সমিন্ধো অগ্নিঃ সমিধা সুসমিন্ধো বারণ্যঃ। গায়ত্রী ছ ইন্দ্রিয়ং বির্গেীর্বয়ো দধুঃ ॥১২৷৷ তনপাণ্ডুচিতস্তপাশ্চ সরস্বতী। উষ্ণিহা ছন্দ ইন্দ্রিয়ং দিত্যবড় গৌর্বয়ো দুধঃ৷৷১৩ ইডাভিরগ্নিরীড্যঃ সোমো দেবদ অমর্ত্যঃ। অনুষ্ঠুচ্ছদ ইন্দ্রিয়ং পঞ্চাবিগোঁয়ো দধুঃ ১৪৷ সুবৰ্হিরগ্নি পূষধান্ স্তীর্ণবহিরমঃ। বৃহতী ছন্দ ইন্দ্রিয়ং ত্রিবৎসসা গৌর্বয়ো দধুঃ ॥১৫৷৷ দুরো দেবীর্দিা মহীব্রহ্মা দেবো বৃহস্পতি। পঙক্তি চ্ছ ইহেন্দ্ৰিয়ং তুর্যবান্ গৌর্বয়ো দধুঃ ॥১৬। উষে যহী সুপেশসা বিশ্বে দেবা অমর্ত্যাঃ। ত্রিষ্টুপছন্দ ইহেন্দ্ৰিয়ং পষ্ঠবাড় গৌর্বয়ো দধুঃ ॥১৭। দৈব্যা হোতারা ভিষজেন্দ্রেণ সমুজা যুজা। জগতী ছন্দ ইন্দ্রিয়মনভৃন্ গৌর্বয়ো দধুঃ ॥১৮ ॥ তিস্র ইডা সরস্বতী ভারতী মরুতে বিশঃ। বিরাটু ছন্দ ইহেন্দ্রিয়ং ধেনুগৌর্ন বহয়ো দুধঃ ॥১৯। ত্বষ্টা তুরীপো অদ্ভুত ইন্দ্রাগ্নী পূষ্টিবর্ধনা। দ্বিপদা ছন্দ ইন্দ্রিয়মুক্ষা গৌর্ন বয়য়া দধুঃ ॥২০৷ শমিতা নো বনস্পতিঃ সবিতা প্রসু ভগ। ককুল্ড ইহেন্দ্ৰিয়ং বশা বেদদ্বয়ে। দধুঃ ॥২১৷ স্বাহা যজ্ঞং বরুণঃ সুক্ষত্রো ভেষজং করৎ। অতিচ্ছন্দা ইন্দ্রিয়ং । বৃহদৃষভো গৌর্বয়ো দখুঃ২২। বসন্তেন ঋতুনা দেবা বসবস্ত্রিবৃতা স্তুঃ। রথস্তরেণ। তেজষা হবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ ॥২৩৷৷ গ্রীষ্মেণ ঋতুনা দেবা রুদ্রাঃ পঞ্চদশে স্তুঃ। বৃহতা যশসা বলং হবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ২৪। বর্ষাভিঋতুনাহহদিত্যা স্তোমে সপ্তদশ স্তুতঃ। বৈরূপেণ বিশৌজসা হবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ২৫৷৷ শারদেন ঋতুনা দেবা একবিংশ ঋভবঃ স্তুঃ। বৈরাজেন শ্রিয়া শিয়ং হবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ ৷৷২৬৷ হেমন্তেন ঋতুনা দেবাস্ক্রিণবে মরুত স্তুঃ। বলেন শরীঃ সহহ হবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ৷৷২৭৷৷ শৈশিরেণ ঋতুনা দেবাস্ত্রয়স্ত্রিংশেহমৃতাঃ স্তুতাঃ। সত্যেন রেবতীঃক্ষত্ৰংহবিরিন্দ্রে বয়ো দধুঃ৷৷২৮৷৷ হোতা যক্ষৎসমিধাহগ্নিমিডম্পদেহশ্বিনেন্দ্রং সরস্বতীমজো ধূম্রো ন গোধূমৈঃ কুলৈভেষজং মধু শস্পৈর্ন তেজ ইন্দ্রিয়ং পয়ঃ সোমঃ পরিসুতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ৷৷২৯৷৷ হোতা যত্তনপাৎসরস্বতীমবির্মেযোন ভেষজং পথা। মধুমতা ভরশ্বিনেন্দ্রায় বীর্যং বরদৈরূপবাকাভির্ভেষজং তোক্সভিঃ পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যাজ্যস্য হোতজ৷৷৩০। হোতা যক্ষন্নরাশংসং ন নগ্নহুং পুতিং সুরয়া ভেষজং মেযঃ সরস্বতী ভিষগ্ৰথোন চশ্বিনোপা ইন্দ্রস্য বীর্যং বদরৈরূপবাকাভির্ভেষজং তোক্সভিঃ পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ৷৩১৷ হোতা যক্ষদিডেড়িত আজুনঃ সরস্বতীমিং বলেন বর্ধয়ন্বষণে। গবেন্দ্ৰিয়মশ্বিনেন্দ্রায় ভেষজংযবৈঃকর্কন্ধুভিমধু লাজৈর্ন মাসরং পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ৷৷৩২৷৷ হোতা যক্ষদ্বৰ্হিরূৰ্ণর্জদা ভিষাসত্যা। ভিষজাহখিনাহশ্ব শিশুমতী ভিন্ধেনুঃ সরস্বতী ভিষহ ইন্দ্রায় ভেষজং পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ।৩৩৷ হোতা যক্ষদ্বা দিশঃ কবষ্যো ন ব্যচস্বতীরশ্বিভ্যাং ন দুররা দিশ ইন্দ্রো ন রোদসী দুঘে দুহে ধেনুঃ সরস্বত্যশ্বিনেন্দ্রায় ভেষজং শুক্রং ন জ্যোতিরিন্দ্ৰিয়ং পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতর্যজ৷৷৩৪৷৷ হোতা যক্ষৎসুপেশসোষে নক্তং দিবাশ্বিনা সমঞ্জাতে সরস্বত্যা ত্বিষিমিন্দ্রে ন ভেষজং শ্যেনো ন রচসা হৃদা শ্রিয়া ন মাসরং পয়ঃ সোমঃ পরিশ্রুতা ঘৃতং মধু ব্যাজ্যস্য হোতজ৷৷৩৫৷৷ হোতা যক্ষদৈব্যা হোতারা ভিষজাহশ্বিনেন্দ্ৰংন জাগ্‌ব দিবা নক্তং ন ভেষজৈঃ শূষং সরস্বতী ভিষ সীসেন দুহ ইন্দ্রিয়ং পয়ঃ সোম পরিতা ঘৃতং মধু ব্যাজ্যস্য হোতজ।৩৬৷ হোতা যক্ষত্তিম্রো দেবীর্ন ভেষজং ত্রয়স্ত্রিধাতবোহপস্যে রূপমিন্দ্রে হিরণ্যয়মশ্বিনেডা ন ভারতী বাঁচা সরস্বতী মহ ইন্দ্রায় দুহইন্দ্রিয়ং পয়ঃ সোমঃ পরিসুতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ৷৷৩৭৷ হোতা যক্ষৎ সুরেতসমৃষভং নর্যাপসং ত্বষ্টারমিন্দ্রমশ্বিনা ভিষজং ন সরস্বতীমোজো ন জুতিরিন্দ্রিয়ং বৃক্যে নরভস্যে ভিষ যশঃ সুরয়া ভেষজংশিয়ান মাসরং পয়ঃ সোমঃ পরিতা ঘৃতং মধু ব্যজ্যস্য হোতজ।।৩৮। হোতা যক্ষদ্বনস্পতিং শমিতারং শতক্রতুৎ ভীমং ন মনুংরাজানং ব্যাঘ্রং নমসাংশ্বিনা ভামং সরস্বতী ভিষগিন্দ্রায় দুহ ইন্দ্রিয়ং পয়ঃ সোমং পরিশ্রুতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতর্জ।৩৯৷৷ হোতা যজ্ঞদগ্নিং স্বাহাইজ্যস্য স্তোকানাং স্বাহা মেদসাং পৃথক্ স্বাহা ছাগমশ্বিভ্যাং স্বাহা মেষং সরস্বত্যৈ স্বাহা ঋষভমিন্দ্রায় সিংহায় সহস ইন্দ্রিয়ং স্বাহাইগ্নিংন ভেষজং স্বাহা সোমমিন্দ্রিয়ংস্বাহেন্দ্রং সুত্ৰামাণং সবিতারং বরুণং ভিষজাং পতিং স্বাহা বনস্পতিং প্রিয়ং পাথো নভেষজং স্বাহা দেবা আজ্যপা জুষাণো অগ্নিভেষজং পয়ঃ সোমঃ পরিসুতা ঘৃতং মধু ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতজ।৪০৷৷ হোতা যক্ষশ্বিনৌ ছাগস্য বোয়া মেসো জুষেং হবিৰ্তেতর্জ হোতা যক্ষৎসরস্বতীং মেষস্য বোয়া মেদসো জুতাং হবিহোতজ। হোতা যদিন্দ্ৰমৃষভস্য বোয়া মেদসো জুতাং হবিহোতজ।৪১। হোতা যক্ষদখিনৌ সরস্বতীমিং সুত্রামাণমিমে সোমঃ সুরামাণস্থাগৈর্ন মেষৈঋষভৈঃ সুতাঃ শম্পৈর্ন তোক্সভিলাজৈর্মস্বন্তো মদা মাসরেণ পরিস্কৃতাঃ শুক্রাঃ পয়স্বন্তোহমৃতাঃপ্রস্থিতা বো মধুশ্রুতস্তানশ্বিনা সরস্বতীন্দ্ৰঃ সুত্রামা বৃত্ৰহা জুষাং সোম্যং মধু পিবন্তু মন্তু ব্যত্ত হোতজ৷৪২। হোতা যক্ষদশ্বিনৌ ছাগস্য হবিষ আত্তামদ্য মধ্যতো মেদ উদ্ভূতং পুরা দ্বেষোভ্যঃ পুরা পৌরুষেষ্যা গৃভো ঘস্তাং নূনং ঘাসে অজ্রাণাং যবসপ্রমানাঃ সুমৎক্ষরাণাং শতরুদ্রিয়াণামগ্নিদাত্তানাং পীবোপবসনানাং পাশ্বতঃ শ্রোণিতঃ শিতামত উৎসাদতোহঙ্গাদঙ্গাদবানাং করত এবাশ্বিনা জুষেং হবিহোত্যজ৷৷৪৩৷ হোতা যক্ষৎ সরস্বতীং মেষস্য হবিষ আবয়দদ্য মেধ্যতো মেদ উদ্ভূতং পুরা দ্বেষোভ্যঃ পুরা পৌরুষেষ্যা গৃভো ঘসমূনং ঘাসে অজ্রাণাং যবসপ্রথমানাং সুমৎক্ষরাণাং শতরুদ্রিয়াণামগ্নিবাত্তানাং পীবোপবসনানাং পার্শ্বতঃ শ্রোণিতঃ শিতামত উৎসাদতোহঙ্গাদঙ্গাদবানাং করদেবং সরস্বতী জুষতাং হবিহোতৰ্যজ৷৷৪৪৷ হোতা যদিন্দ্ৰমৃর্ভস্য হবিষ আবয়দদ্য মধ্যতো মেদ উদ্ভূতং পুরা দ্বেষোভ্যঃ পুরা পৌরুষেয্যা গৃভো ঘসনং ঘাসে অজ্বাণাং যবসপ্রথমানাং সুমৎক্ষরাণাং শতরুদ্রিয়াণা মগ্নিদ্বাত্তানাং পীবোবসনানং পার্শ্বতঃ শ্রোণিতঃ শিতমত উৎসাদতোহঙ্গাদঙ্গাদবানাং করদেবমিন্দ্রো জুতাং হবিহোতজ৷৷৪৫৷ হোতা যক্ষদ্বনস্পতিমভি হি পিষ্টতময়া রভিয়া রশনয়াধিত। যত্রাশ্বিনোঙ্গস্য হবিষঃ প্রিয়া ধামানি যত্র সরস্বত্যা মেষস্য হবিষ প্রিয়া ধামানি যত্রেস্যে ঋষভস্য হবিষঃ প্রিয়া ধামানি যত্রান্নেঃ প্রিয়া ধামানি যত্র সোমস্য প্রিয়া ধামানি যত্ৰেন্দ্ৰস্য সুত্রাশ্যঃ প্রিয়া মানি যত্র সবিতুঃ প্রিয়া ধামানি যত্র বরুণস্য প্রিয়া ধামানি যত্র বনম্পতেঃ প্রিয়া পাথাংসি যত্র দেবানামাজ্যপানাং প্রিয়া ধামানি যত্রাগ্নেহোতুঃ প্রিয়া ধামানি তত্রৈতা প্রস্তুত্যেবোপস্তুত্যেবোপক্ষদ্রীয়স ইর কৃত্বী করদেবং দেবো বনস্পতিজুতাং হবিহোতজ।৪৬৷ হোতা যক্ষদগ্নিং স্বিষ্টকৃতময়াডগ্নিরশ্বিনোঙ্গস্য হবিষঃ প্রিয়া ধামান্যয়াট সরস্বত্যা মেযস্য হবিষঃ প্রিয়া ধামান্যয়াডিন্দ্রস্য ঋষভস্য হবিষঃ প্রিয়া ধামান্যয়াডগ্নেঃ প্রিয়া ধামান্যয়াট সোমস্য প্রিয়া ধামান্যয়াডিন্দ্রস্য সুত্রাঃ প্রিয়া ধামান্য সবিতুঃ প্রিয়া ধামান্যয়াড় বরুণস্য প্রিয়া ধামান্যয়াড় বনম্পতেঃ প্রিয়া পাথাংস্যয়াড় দেবানামাজ্যপানাং প্রিয়া ধামানি যক্ষদগ্নেহোতুঃ প্রিয়া ধামানি যক্ষৎ স্বং মহিমানমাযজমেজ্যা ইষঃ কৃপণতু সো অধ্বরা জাতবেদা জুষতাংহবিহোতজ।৪৭৷৷ দেবাং বহিঃ সরস্বতী সুদেবমিন্দ্রে অশ্বিনা। তেজো ন চক্ষুরক্ষ্যোবহিষা দধুরিন্দ্রিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৷৪৮৷৷ দেবীদ্বাররা অশ্বিনা ভিষজেন্দ্রে সরস্বতী। প্রাণং ন বীর্যং নসি দ্বাররা দধুরিন্দ্ৰিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৪৯। দেবী উষাসাবশ্বিনা সুত্ৰামেন্দ্রে সরস্বতী। বলং ন বামাস্য উষাভ্যাং দধুরিন্দ্ৰিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যস্তু যজ৷৫০৷ দেবী জোন্ত্রী সরস্তুত্যশ্বিনেন্দ্রমবর্ধয় শ্রোত্ৰং ন কর্ণয়োর্যশশা জোন্ত্রীভ্যাং দধুরিয়িং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যক্ত যজ।৫১। দেবী উর্জাহুতী দুঘে সুদুঘেন্দ্রে সরস্বত্যশিনা ভিষজাহবতঃ। শুক্রং ন জ্যোতিশুনয়োরাহুতী ধত্ত ইন্দ্রিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু। যজ৷৫২৷ দেবা দেবানাং ভিষজা হোতারাবিন্দ্রমশ্বিনা।বষারৈঃ সরস্বতী বৃষিংন হৃদয়ে মতিং হোতৃভ্যাং দধুরিন্দ্ৰিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ।৫৩৷৷ দেবীস্তি স্তিম্রো দেবীরশ্বিনেডা সরস্বতী। শূষং ন মধ্যে নাভ্যামিন্দ্রায় দধুরিন্দ্ৰিয়ং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৷৫৪৷৷ দেব ইন্দ্রো নরাশংসবিরুথঃ সরস্বত্যশিভ্যামীয়তে রথঃ। রেতো ন রূপমমৃতং জনিত্ৰমিন্দ্রায় ত্বষ্টা দুধদিন্দ্রিয়াণি বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যক্ত যজ৷৷৫৫৷ দেবো দেবৈ বনস্পতিৰ্হিরণ্যপর্ণো অশ্বিভ্যাং সরস্বত্যা সুপিপ্পল ইন্দ্রায় পচ্যতে মধু। ওজো ন জুতিঋষভো ন ভামং বনস্পতিনটা দধদিন্দ্রিয়াণি বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৫৬৷৷ দেবং বহির্বারিতীনামধরে স্তীর্ণমখিভ্যামূর্ণদাঃ সরস্বত্যা স্যোনমিন্দ্র তে সদঃ। ঈশায়ৈ মং রাজানং বহিষাদধুরিন্দ্রিয়ংবসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৫৭৷৷ দেবো অগ্নিঃ স্বিষ্টকৃনেযক্ষদ্যথাযথং হোতারাবিন্দ্রমখিনা বাঁচা বাচং সরস্বতীমগ্নিং সোমং স্বিকৃৎ স্পিষ্ট ইন্দ্ৰঃ সুত্ৰামা সবিতা বরুণো ভিষগিষ্টো দেবো বনস্পতিঃ স্বিষ্টা দেবা আজ্যপাঃ স্বিপ্পো অগ্নিরপ্পিনা হোত হোত্রে স্বিষ্টকৃদ্যশোন দধদিন্দ্রিয়মূৰ্জমপচিতিং স্বধাং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ৷৷৫৮। অগ্নিমদ্য হোরমবৃণীতায়ং যজমানঃ পচ পঞ্জীঃ পচ পুরোশান্ বশিভ্যাং, ছাগং সরস্বত্যৈ মেঘমিত্রায় ঋষভং সুম্বশ্বিভ্যাং সরস্বত্যা ইন্দ্রায় সুত্রাণে সুরাসোমান৷৫৯৷ সূপস্থা অদ্য দেবো বনস্পতিরভবশ্বিভ্যাং ছগেন সরস্বত্যৈ মেষেণেন্দ্রায় ঋষভেণান্ত মেদঃ প্রতি পচতাগৃভীষতা বীবৃধন্ত পুরোডাশৈরপুরশ্বিনা সরস্বতীঃ সুত্রামা সুরাসোমা।৬০। ত্বামদ্য ঋষ আর্ষেয় ঋষীণাংনপাদবৃণীতায়ং যজমানো বহুভ্য আ সঙ্গতেভ্য এষ মে দেবেষ্ণু বসু বার্যাযক্ষত ইতি তা যা দেবা দেব দানান্যদুস্তান্যম্মা আ চ শাস্বা চ গুরুস্বেষিতশ্চ হোতরসি ভদ্ৰবাচ্যায প্রেষিত মানুষঃ সূক্তবাকায় সূক্তাহি।।৬১।

[ কণ্ডিকা-৬১, মন্ত্র-৬২]

.

মন্ত্ৰার্থঃ—১। হে বরুণ! আজ তুমি আমার এই আহ্বান শ্রবণ করো। আমাদের প্রসন্ন করো। রক্ষা কামনায় আমি তোমাকেই আহ্বান করতে থাকছি৷

২। আমি তোমাকে বেদমন্ত্রের দ্বারা বন্দনা পূর্বক আহ্বান করতে থাকছি। সেই হেন তোমার আগমনকে যজমান স্বয়ংই হবিসমূহের দ্বারা কামনা করছেন। হে বরুণ! ক্রোধ না করে তুমি আমাদের এই যজ্ঞস্থানে জ্ঞাত হও। হে অত্যন্ত প্রশংসিত! আমাদের আয়ুকে নষ্ট করো না।

৩। হে অগ্নি! তুমি পরম বিদ্বান। তুমিই বরুণদেবের ক্রোধকে দূর করো। অত্যন্ত যজন-কুশল, হবির বাহকতম (শ্রেষ্ঠ বাহক) এবং অত্যন্ত প্রজ্বাল্যমান হে অগ্নি! তুমিই আমাদের সমস্ত দ্বেষ্য পাপসমূহকে মুক্ত করো (ছাড়াও) বা দূর করো৷

৪। হে অগ্নি! আজ এই উষার উদয়-মুহূর্ত (ব্যষ্টিকালে) আপন রক্ষার সাথে তুমিই আমাদের রক্ষক এবং নিকটস্থতম হও। হে অগ্নি! প্রভূত পরিমিত ঘৃতকে আহুত করে বরুণকে যাজিত (যজন) করো। সেই সুখয়িতা বরুণকে জঠর পূর্ণ করে খাদ্য প্রদান করো (ভক্ষণ করাও)। সুষ্ঠু আহ্বানীয় তুমি নিজেও সমিধ ইত্যাদির দ্বারা অভিবৃদ্ধি প্রাপ্ত হও।

৫। মহতী, শুভ কর্মসমূহের জনয়িত্রী, যজ্ঞের পালিকা, প্রভূত রক্ষণশালিনী, জরাহীন, প্রভূতগমনা, শুভ আশ্রয়স্বরূপা বা সুখশালিনী এবং শুভ-নীতিসম্পন্না বা সেবনীয়া অদিতিকে আজ আমি আপন রক্ষার নিমিত্ত আহ্বান করছি৷৷

৬। সুষ্ঠু ত্রাণশীলা, বিস্তারবতী, প্রভাযুক্তা, নিষ্পপা, সুষ্ঠু আশ্রয়বতী, অদিতিরূপা, শুভ নীতিশালিনী, শুভ অরিত্র অর্থাৎ হালস্বরূপা, পাপরহিতা, ছিদ্ররহিতা দেব সম্বন্ধিনী এই যজ্ঞরূপা তরণীতে আপন কল্যাণের নিমিত্ত আমরা আশ্রয়ণ করছি (আরোহণ করছি)৷

৭। অছিদ্রা, অপাপা এবং শত দাঁড় (অরিত্র) শালিনী এই যজ্ঞরূপা সুনৌকার উপরে আপন কল্যাণের নিমিত্ত আরূঢ় হচ্ছি।

৮। হে মিত্র ও বরুণ! তোমরা আমার পথকে ঘৃত ও দুগ্ধে সিক্ত করে দাও। হে শুভ কর্ম! আমার সকল ভুবন মধুতে সিক্ত করো।

৯। হে মিত্র ও বরুণ! আমাদের জীবনের নিমিত্ত আপন দীর্ঘ দীর্ঘ বাহুগুলি প্রসারিত করো এবং আমাদের ক্ষেত্র ইত্যাদিকে ঘৃতস্বরূপ বর্ষাজলে আসিঞ্চিত করো। হে মিত্র ও বরুণ! তোমরা দুজন আমার আহ্বান শ্রবণ করো।

১০। দেবরক্ষক যজ্ঞে অপরিমিতগমন, স্বর্গীয়, সর্প-বৃক-রাক্ষসগণকে চর্বণকারী তথা ব্যাধিসমূহকে সমূলে আমাদের নিকট হতে দূরীকৃতকারী অশ্বগণ আমাদের নিমিত্ত সুখকারী হোক।

১১। হে অশ্বগণ! অন্ন ও অন্নের প্রাপ্তির যুদ্ধে আমাদের রক্ষা করো। ধনের নিমিত্ত যুদ্ধেও আমাদের রক্ষা করো। তোমরা বুদ্ধিমান্, অজয়-অমর এবং সত্যকে জ্ঞাতশীল। তোমরা এই মধুর অংশকে পান করো, এবং পান করে মদমত্ত হও। শেষে পরিতৃপ্ত হয়ে দেব্যান পথে স্বর্গে গমন ৬ করো।

১২। অগ্নি প্রদীপ্ত হেয়েছে; বরণীয় সেই সমিধসমূহে পূর্ণভাবে প্রদীপ্ত হয়েছে। গায়ত্রী ছন্দ ও ত্র্যবি (অর্থাৎ দেড় বৎসরের) গাভী ইন্দ্ৰে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

১৩। পবিত্রকর্ম তন্নপাৎ (জলের পৌত্র) অগ্নি, শরীরকে পবিত্ৰকারিণী সরস্বতী, উষ্ণি ছন্দ এবং দিব্য হবিঃকে বহনকারিণী গাভী–ইন্দ্ৰে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

১৪। প্রযাজদেববৃন্দের সাথে স্তুত অগ্নি, অমরণধর্মা ও দ্যোতমান সোম, অনুষ্টুপ ছন্দ এবং আড়াই বৎসর (পঞ্চাবি অর্থাৎ সার্ধদ্বিবর্ষ) বয়স্কা গাভী ইন্দ্রে বল ও আয়ুধারিত (স্থাপিত) করেছে৷

১৫। পূষার সাথে শুভ দৰ্ভাসন প্রাপ্ত অগ্নি, মর্ত্যভিন্ন স্তীর্ণবহি (প্রজাজদেবতা), বৃহতী ছন্দ এবং ত্রিবৎস্য (ত্রিবর্ষিকা অর্থাৎ তিন বৎসর) বয়স্কা গাভী ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

১৬। দ্যোতমান দ্বার, মহতী দিসমূহ, ব্রহ্মা, বৃহস্পতি দেবতা, পংক্তি ছন্দ এবং তুর্যবান্ (চারি বৎসর বয়স্ক) বলদ ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷

১৭ নম্বর মন্ত্রের অর্থ মিসিং

১৮। দিব্য হোতা, বৈদ্য, ইন্দ্রে সংযুক্ত ও পরস্পরেও সংযুক্ত অগ্নি ও বায়ু, জগতী ছন্দ এবং পূর্ণবয়স্ক (শকটবাহী) বলদ–ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷৷

১৯। ইড়া, সরস্বতী ও ভারতী নাম্নী তিন দেবী, ইন্দ্রের প্রজাবর্গ মরুৎ-গণ, বিরাট ছন্দ এবং দুগ্ধবতী ধেনু-ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

২০। ক্ষিপ্ৰব্যাপী ও অদ্ভুত ত্বষ্টা, পুষ্টিকে বর্ধনশীল ইন্দ্র ও অগ্নি, দ্বিপদা ছন্দ ও সেচনসমর্থ বৃষ (উক্ষা)–ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷৷

২১। সুখ দানশীল বনস্পতি (প্রযাজদেবতা), ধন উৎপাদনশীল সবিতা, ককু ছন্দ, বন্ধ্যা গো ও গর্ভপাতিনী গাভী–ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

২২। সুষ্ঠু রক্ষক বরুণ ইন্দ্রে নির্মিত যজ্ঞকর্মের যোগ্য ভেষজ প্রদান করেছে। স্বাহা আকৃতির প্রজদেবতা, অতিছন্দা ছন্দ ও বৃহৎ ঋষভ-ইন্দ্রে বল ও আয়ু ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

২৩। বসন্ত বায়ু, ত্রিবৃৎ স্তোন ও রথম্ভরপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত বসুদেবগণ তেজের সাথে ইন্দ্রের নিমিত্ত বপারূপ হবিঃ, শক্তি ও আয়ুকে ধারিত করেছে৷৷

২৪। গ্রীষ্ম ঋতুর সাথে পঞ্চদশস্তোম ও বৃহৎপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত রুদ্রদেবগণ যজ্ঞের সাথে হবিঃ, বল ও আয়ু ইন্দ্রে ধারিত (স্থাপিত) করেছে।

২৫। বর্ষা ঋতু, সপ্তদশস্তোম এবং বৈরূপপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত আদিত্যদেবগণ ওজের সাথে হবিঃ বল ও আয়ু ইন্দ্রে ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷৷

২৬। শরৎ-ঋতু, একবিংশস্তোম, শ্রী ও বৈরাজপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত ঋভুদেবগণ শ্ৰীয়ের সাথে হবিঃ শক্তি এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷৷

২৭। হেমন্ত-ঋতু, ত্রিণ (অর্থাৎ সপ্তবিংশ) স্তোম এবং শাক্করপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত হয়ে মরুৎবর্গ ইন্দ্রে বলের সাথে হবিঃ, ইন্দ্রিয়সামর্থ্য এবং আয়ুকে ধারিত (স্থাপিত) করেছে৷৷

২৮। শিশির ঋতু ত্রয়স্ত্রিংশস্তোম তথা রৈবতপৃষ্ঠ (সামের) দ্বারা সংস্তুত অমরাধর্মা দেবগণ ইন্দ্রে সত্যের সাথে ক্ষত্র, হবিঃ, শক্তি ও আয়ু স্থাপিত করেছে।

২৯। গাভীর পদে বা পদচিহ্নে আহবনীয়াগ্নিতে দৈবী হোতা অগ্নি; অশ্বিনদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্রের উদ্দেশ্যে সমিধসমূহের দ্বারা যজন করুক। সেই যজ্ঞে অজ, ধূম্র (অর্থাৎ কৃষ্ণলোহিত বর্ণযুক্ত) মেষ, মধু, গোধূম (গম) কুল ও যবাঙ্কুর–এই সকল ভেষজ প্রস্তুত হয়। তেজঃ, বল, দুগ্ধ, সোমরস, সুরা ও মধু ইন্দ্র ইত্যাদি দেবগণের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৩০। দৈবী হোতা তন্নপাৎ (প্রজাজদেব) অগ্নি; অশ্বিনদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্রের যজন করুক। সেই মধুময় যজ্ঞপথে ভেড়ী, মেষ, কুল, যব ও যবাঙ্কুর, ইত্যাদির দ্বারা প্রস্তুত হয়। দুগ্ধ, সোম, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্র ইত্যাদি দেবগণে ব্যাপ্ত হোক। হে মানব হোতা! তুমি ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩১। দৈবী হোতা নরাশংস (অর্থাৎ ঋত্বিকগণের দ্বারা শস্ত্র মন্ত্রে স্তুত) প্রজদেব; সরস্বতী, অশ্বিনদ্বয় ও ইন্দ্রের যজন করুক। সুরাক (সুরার সাথে পশুসম্বন্ধিনী বপা বা মেদ), মেষ, অশ্বিনদ্বয়ের চান্দ্ররথ, বপা, কুল, ব্রীহি-যবাঙ্কুর দ্বারা ভেষজ প্রস্তুত হয়। দুগ্ধ সোমরস, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের বলবীর্য বর্ধন করে। হে মানব হোত! তুমি ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩২। ঋত্বিগণের দ্বারা প্রশংসিত দৈবী হোতা ইড়া প্রভৃতিকে আহ্বান পূর্বক প্রজদেব ইড়া; সরস্বতী, অশ্বিদ্বয় ও ইন্দ্র ইত্যাদিকে গাভী ও বলীবদেব দ্বারা প্রবর্ধন পূর্বক যাগ করুক। যব, কুল, মধু, ইন্দ্রের বল বর্ধন করুক। হে মানব হোত! তুমিও ঘৃতের দ্বারা হোম করো।

৩৩। দৈবী হোতা পশমের ন্যায় কোমল বৰ্হি; বৈদ্য নাসত্য নামধারী অশ্বিদ্বয় এবং সরস্বতীর যজন করুক। বালোপেতা (শাবকযুক্তা) অশ্বা ও সদ্যপ্রসূতা গাভী ইন্দ্রের নিমিত্ত ভেষজ দোহন (প্রস্তুত) করে। দুগ্ধ, সোমরস, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মানব হোতা! তুমিও ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩৪। দৈবী হোতা দিকসমূহের ন্যায় অবকাশসম্পন্ন ও শব্দবান দ্বারসমূদায়; অশ্বিনদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্রের যজন করুক। দ্যাবাপৃথিবীর সাথে সরস্বতী গাভী রূপে ইন্দ্রের নিমিত্ত শুদ্ধ জ্যোতিস্বরূপ ভেষজ দোহন (প্রস্তুত) করছে। দুগ্ধ; সোম, সুরা ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। সেগুলি তাকে বলবান করুক। হে মানব হোতা! তুমিও ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩৫৷ দৈবী হোতা সুরূপা উষা ও রাত্রি যাজদেবীদ্বয়; অশ্বিনদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্রকে যজন করে। সেই অশ্বিদ্বয় দিবা-রাত্র জ্যোতি, চিত্ত ও শ্রীর সাথে মাসর (মণ্ড) রূপ ওষধি, দীপ্তি ও কান্তিকে ইন্দ্রে সংলগ্ন করছে। দুগ্ধ, সোম, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রে ব্যাপ্ত হোক। হে মানব হোতা! তুমিও ঘৃতের দ্বারা হোম করো।

৩৬। দৈবী হোতা দিব্য হোতা অগ্নি ও বায়ু; বৈদ্য অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতীর যজন করুক। দিবা-রাত্রি ভিষকরূপে জাগরণশীলা সরস্বতী ইন্দ্রের নিমিত্ত শক্তিরূপ ভেষজ দোহন (প্রস্তুত) করে সেই ভেষজের দ্বারা ইন্দ্রের বল ও বীর্য পূর্ণ করুক। দুগ্ধ, সোম, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও ঘৃতে যজন করো।

৩৭। দৈবী হোতা ইড়া, ভারতী ও সরস্বতীনাক্ষী দেবিগণ; ইন্দ্র ও অশ্বিনদ্বয়কে যজন করে। সরস্বতী বেদবাণীর দ্বারা ইন্দ্রের নিমিত্ত ত্রিধাতুর দ্বারা (অর্থাৎ ধূম্র, মেষ ও ঋষভের দ্বারা) ভেষজ, দ্যৈাতমান রূপ, তেজ ও বলকে দোহন (প্রস্তুত করে থাকে। দুগ্ধ, সোম, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোতা! তুমি ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩৮। দৈবী হোতা সুবীর্যবান্-সকলের হিতকরী ত্বষ্টা (প্রযাজদেব); ইন্দ্র, অশ্বিদ্বয় ও বৈদ্য। সরস্বতীর যজন সোদ্যম বৈদ্যভূত বৃক, সুরা ও মাসরের দ্বারা করে থাকে। এই প্রকার যজ্ঞের দ্বারা ইন্দ্রের মধ্যে ওজ, বেগ, বীর্য, শ্রী ও যশ হোক। দুগ্ধ, সোম ইত্যাদি ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৩৯। দৈবী হোতা পশুগণের সংস্কর্তা যুপ (প্রজাযদেব বনস্পতি); ভয়ঙ্কর ক্রোধী ব্যাঘ্রের ন্যায় রাজা শতপ্রজ্ঞ ইন্দ্র, অশ্বিনদ্বয় এবং সরস্বতীর যজন অন্নের দ্বারা করে থাকে। বৈদ্যা সরস্বতী ইন্দ্রের নিমিত্ত ক্রোধ ও বীর্যকে দোহন (প্রদান করে। দুগ্ধ, সোম, সুরা, ঘৃত ও মধু ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও ঘৃতের দ্বারা যজন করো।

৪০। দৈবী হোতা আহবনীয় অগ্নির যজন করুক। যজমান ঘৃত-বিন্দুসমূহকে স্বাহা বলেন। বিভিন্ন মেদ (অর্থাৎ চর্বিসমূহকে) পৃথক পৃথক ভাবে স্বাহা কহেন। অশ্বিদ্বয়ের নিমিত্ত ছাগকে স্বাহা বলেন। সরস্বতীর নিমিত্ত মেষকে স্বাহা বলেন। সিংহ অপেক্ষা বলশালী ইন্দ্রের নিমিত্ত বলদকে স্বাহা বলেন। ভেষজকে স্বাহা বলেন। সোম হলো শক্তি, তাকেও স্বাহা বলেন। সুত্রাতা ইন্দ্র, সবিতা ও বৈদ্যগণের পালক বরুণকে স্বাহা বলেন। যুপের প্রিয় ভেষজ পশুকে স্বাহা বলেন। ঘৃত পানকারী দেবতাগণকে স্বাহা বলেন। ভেষজ সেবনশালী অগ্নিকে স্বাহা বলেন। দুগ্ধ ইত্যাদি ইন্দ্রের প্রাপ্ত হোক। হে মনুষ্য হোত! তুমি ঘৃতের দ্বারা স্বাহা মন্ত্রে যজন করো।

৪১। দেবী হোতা অশ্বিনদ্বয়ের যজন করুক। অশ্বিনদ্বয় ছাগের বপার মেদকে (অর্থাৎ স্নেহপ্রকৃতির অংশকে) হবিঃ রূপে গ্রহণ করুক। হে হোতা! তুমিও হবির হোম করো। দৈবী হোতা সরস্বতীর যজন করুক। সেই সরস্বতী মেষের বপার মেদকে (অর্থাৎ স্নেহপ্রকৃতির অংশকে) আস্বাদিত করুক। হে হোত! তুমিও হবিঃ-র যজন করো। দৈবী হোতা ইন্দ্রের যজন করুক। সেই ইন্দ্র ঋষভের স্নেহপ্রকৃতির অংশকে আস্বাদন করুক। হে হোতা! তুমিও হবিঃ-র হোম করো।

৪২। দৈবী হোতা অশ্বিনদ্বয়; সরস্বতী ও সুত্রাতা ইন্দ্রের যজন করুক। হে অধ্বর্যুগণ! এই তোমাদের সোম তো বড় রমণীয়। এটি ছাগ, মেষ ও বলদের সাথে অভিযুত হয়েছে। শম্প, যবাঙ্কুর ও খইয়ের দ্বারা এটি (অর্থাৎ সোম) খুবই তেজ প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে। মাসরের দ্বারা শোধিত এটি অত্যন্ত মদকারী। শুদ্ধ এই সোম দুগ্ধমিশ্রিত হয়ে তো অমৃতপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে। হে দেবগণ! এক্ষণে এই হোম প্রান্তভাগে উপনীত হয়েছে। অশ্বিদ্বয়, সরস্বতী, সুত্রাতা ও বৃত্রঘাতী ইন্দ্র তাকে (অর্থাৎ হোমসম্পন্ন সোমকে) পান করুক। তারা সকল দেবতা সোমময় মধুর রসকে পান করে মদমত্ত হোক। তারা হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৪৩। দৈবী হোতা অশ্বিন্দ্বয়ের যজন করুক। আজ তারা (সেই অশ্বিদ্বয়) ছাগের মাংস ভক্ষণ করুক। মধ্যভাগে হতে এই মেদ বহিষ্কৃত হয়ে গিয়েছে রাক্ষস ইত্যাদি শত্রুগণের ভক্ষণের পূর্বেই এবং মাংসাহারী মনুষ্যগণ কর্তৃক অপহৃত হওয়ার পূর্বেই–অশ্বিনদ্বয় একে অবশ্যই ভক্ষণ করুক …। হে হোতা! তুমি বাপাহবির হোম করো।

৪৪। দৈবী হোতা সরস্বতীর যজন করুক। সরস্বতী মেয়ের মাংসকে ভক্ষণ। করুক এবং তৃপ্ত হোক। মেষের মধ্যভাগ হতে এই মেদ বহিষ্কৃত হয়েছে রাক্ষস ইত্যাদি শত্রুগণের ভক্ষণের পূর্বেই এবং মাংসাহারী মনুষ্যগণ কর্তৃক অপহৃত হওয়ার (বা কেড়ে নেওয়ার পূর্বেই সরস্বতী একে অবশ্যই ভক্ষণ করুক….। হে হোতা! তুমিও বপাহবির হোম করো ৷৷

৪৫। দৈবী হোতা ইন্দ্রের যজন করুক। সেই ইন্দ্র ঋষভের মাংস ভক্ষণ করুক। এই ঋষভের মধ্যভাগ হতে এই মেদ বহিষ্কৃত হয়ে গিয়েছে রাক্ষস ইত্যাদি শত্রুগণের ভক্ষণের পূর্বেই এবং মাংসাহারী মনুষ্যগণের জোর পূর্বক অপহরণ করার পূর্বেই ইন্দ্র এই ঋষভকে অবশ্যই ভক্ষণ করুক এবং তৃপ্ত হোক।….। হে মনুষ্য হোত! তুমিও বপাহবির হোম করো।

৪৬। দৈবী হোতা যুপের (বা বনস্পতির) যজন করুক। এই ঘূপ অত্যন্ত সুন্দর ও মজবুত রঞ্জুর দ্বারা পশুগণকে আপনাতে বন্ধন করে দেবগণের উপকার করণশীল। যে ঘূপ অশ্বিদ্বয়ের ছাগরূপ হবির প্রিয় লভ্যস্থান। যে স্থান সরস্বতীর মেষরূপ হবিকে প্রাপ্তির প্রিয় স্থল এবং যে স্থান ইন্দ্রের ঋষভরূপ হবিঃ-প্রাপ্তির প্রিয় স্থান। যে স্থান সোমের প্রিয় স্থান; যে স্থান সুত্রাতা ইন্দ্রের প্রিয় স্থান; যেস্থান সবিতাদেবের প্রিয় স্থান; যেস্থান বরুণের প্রিয় স্থান; যেস্থানে শূপের প্রিয় অন্ন আছে। যেস্থান ঘৃতপায়ী দেবগণের প্রিয় স্থান; যেস্থান হোতা অগ্নির প্রিয় স্থান। সেই স্থানে এই পশুগণকে অত্যন্ত বিশুদ্ধ করে, স্তুতি-উপস্তুতি করে বনস্পতি যুপদেব এদের সেই সেই স্থানে স্থাপিত করুক। বনস্পতিদেব এইরকমই করুক। সে হবিঃ সেবন করুক। হে মনুষ্য হোতা! যজন করো।

৪৭। দৈবী হোতা কল্যাণকারী অগ্নির যজন করুক; যে অগ্নি অশ্বিন্দ্বয়ের ছাগরূপ হরি মাংসে প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; সরস্বতীর মেষরূপ হবির মাংসে প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; ইন্দ্রের ঋষভরূপ হবির মাংসে প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; অগ্নির প্রিয় স্থানে যজন করেছিল, সোমের প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; সুত্রাতা ইন্দ্রের প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; সবিতার প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; বনস্পতি যুপের প্রিয় অন্নের যজন করেছিল; ঘৃতপায়ী দেবগণের প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; হোতা অগ্নির প্রিয় স্থানে যজন করেছিল; স্বয়ং আপন মহিমাকে যজন করেছিল। প্রজাগণ যজনকারী হোক। এই অগ্নি যজ্ঞের সেবন করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও হবির হোম করো৷

৪৮। সুদেবতাগণে যুক্ত যে দৰ্ভরূপ বৰ্হিদেব আছে, সেই দর্ভের দ্বারা অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী ইন্দ্রের চক্ষুসমূহে তেজ ও চক্ষু (দৃষ্টি) ধারিত করেছিল। ধন লাভ ও শরীরে শক্তি ভরণের নিমিত্ত অশ্বিদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্র হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! যজন করো৷

৪৯। যজ্ঞশালায় যে দ্বারদেবীগণ আছে, সেই দ্বারদেবীগণের সাথে বৈদ্য অশ্বিনদ্বয় এবং সরস্বতী ইন্দ্রে বল ধারিত করেছিল। ইন্দ্রের নাসিকায় তারা ঘ্রাণেন্দ্রিয় ও প্রাণকে নিহিত করেছিল। তারা ধনলাভের নিমিত্ত এবং ধন রক্ষার নিমিত্ত তাতে (অর্থাৎ ইন্দ্রে) শক্তি ধারিত করেছিল। তারা (ইন্দ্র ইত্যাদি) হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৫০। উষা ও রাত্রি দুই অনুযাজ-দেবী। সেই উষা ও রাত্রির সাথে অশ্বীদ্বয় ও সুরক্ষিকা সরস্বতী ইন্দ্রে বল স্থাপিত করেছিল। তাদের সাথেই অশ্বীদ্বয় ও সরস্বতী ইন্দ্রের মুখে বাগিন্দ্রিয়কে নিহিত করেছিল। তারাই ধনলাভ ও ধনরক্ষার নিমিত্ত ইন্দ্রে বল নিহিত করেছিল। তারা (অর্থাৎ ইন্দ্র ইত্যাদি) হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৫১। প্রেরিকা দ্যাবাপৃথিবী দুই অনুযাজদেবী দিবা ও রাত্রির অভিমানী দেবতা। সেই দ্যাবাপৃথিবীর সাথে অশ্বিনদ্বয় ও সরস্বতী ইন্দ্রকে অভিবর্ধিত করেছিল। তার সাথে তারা ইন্দ্রের কর্ণে শ্রোত্রেন্দ্রিয় ও যশকে ধারিত করছিল। তারা (অর্থাৎ ইন্দ্র ইত্যাদি সকলে) হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৫২। শক্তি ও আহুতি দুই অনুযাজ-দেবী। সেই দুজন দুঘা (কামপূরণকারিণী) ও সুদুঘা (সুদোহনা)। তাদের সাথে অশ্বিনদ্বয় ও সরস্বতী ইন্দ্রকে রক্ষা করে থাকে। তারা সকলে ইন্দ্রে তেজ ও তার হৃদয়ে (বা বক্ষে) বীর্য ও বল ধারিত করে থাকে। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার উদ্দেশ্য হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৫৩। দেবতাগণের দুই দৈবী হোতা হলেন অগ্নি ও বায়ু। বৈদ্য অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী সেই দৈবী হোতাদ্বয় এবং বষট্‌কারের সাথে ইন্দ্রে কান্তি ও তার হৃদয়ে (বা মস্তিষ্কে) মতিকে (বুদ্ধীন্দ্রিয়কে) ধারিত করেছিল। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার নিমিত্ত হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৫৪। ইড়া, ভারতী ও সরস্বতী হলেন তিন দেবী। সেই তিন দেবীর সাথে অশ্বিনদ্বয় ইন্দ্রে বল এবং তার নাভিতে অগ্নিকে স্থাপিত করেছিল। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার নিমিত্ত হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৫৫। ঋত্বিকগণের দ্বারা প্রশংসনীয় এবং সদ-হবিধান-আগ্নীব্র সংজ্ঞক তিন ঘরের সাথে যুক্ত যজ্ঞ আছে। তার রথ অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতীর দ্বারা আকর্ষিত হয়ে থাকে। এই যজ্ঞ ইন্দ্ৰে বীর্য, সৌন্দর্য, অমৃত, উত্তম জন্ম এবং ইন্দ্রিয়শক্তিসমূহকে ধারিত করুক। এই যজ্ঞ ত্বষ্টা বা জগতের স্রষ্টাও বটে। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার নিমিত্ত হবিঃ ভক্ষণ করুক। হেমনুষ্য হোতা!তুমিও যাগ করো।

৫৬৷ দেবতাগণের দ্বারা স্বর্ণময় পত্রশালী (অর্থাৎ দেবগণই যার স্বর্ণপত্রস্বরূপ); অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতীর দ্বারা সুন্দর ফলশালী (অর্থাৎ অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী যার সুন্দর ফলস্বরূপ) এবং পূজ্য বনস্পতি যুপদেব ইন্দ্রের নিমিত্ত মধুর সোম ইত্যাদি হবিঃ স্বরূপ যে ফল দান করে, তা আমাদের ওজ, বেগ, ক্রোধ এবং সামর্থ্য দান করুক। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার নিমিত্ত হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৫৭। ওষধিসমূহের সম্বন্ধী, পশমের ন্যায় কোমল, সুখকারী এবং অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতীর দ্বারা বিছানো দৰ্ভ; হে ইন্দ্র! যজ্ঞে তোমার নিমিত্ত সুখকারী হোক। অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী সেই বৰ্হির দ্বারা ইন্দ্রে ঐশ্বর্যের নিমিত্ত, দীপ্যমান মনু (ক্রোধ) ও শক্তিকে ধারিত করেছিল। ধনলাভ ও রক্ষার উদ্দেশ্য তারা সকলে হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৫৮। শুভ যাগকুশল অগ্নি দৈবী হোতা অগ্নি ও বায়ুকে, ইন্দ্রকে, অশ্বিনদ্বয়কে, সরস্বতীকে ও সোমকে যথাক্রমে যজন করেছিল। সে বাণীকে বাণীর দ্বারা পূজা করেছিল। সুত্ৰাতা ইন্দ্র সম্যক্ পূজিত হয়েছিল। ঘৃতপায়ী দেবতা সম্যক্ পূজিত হয়েছিল। দৈবী অগ্নি ভৈৗতিক অগ্নির দ্বারা সম্যক পূজিত হয়েছিল। সুপূজক দৈবী হোতা মানব হোতাকে যশ, শক্তি, ঊর্জ (উদ্যম), পূজা এবং পিতৃগণের নিমিত্ত অন্ন প্রদান করুক। তারা সকলে ধনলাভ ও রক্ষার নিমিত্ত হবিঃ ভক্ষণ করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৫৯। পনযোগ্য (অর্থাৎ রন্ধনযোগ্য) হবিঃ সমূহকে পর্কিত করে, পশুর পুরোডাশকে প্রস্তুত, অশ্বিন্দ্বয়ের নিমিত্ত ছাগকে শূপে বদ্ধ করে, সরস্বতীর নিমিত্ত মেষ, ইন্দ্রের নিমিত্ত ঋষভ এবং অশ্বিদ্বয়, সরস্বতী ও সুত্রাতা ইন্দ্রের নিমিত্ত সুরা ও সোমকে অভিযুত করে আজ এই যজমান বাস্তবিকপক্ষে অগ্নিকে বরণ করে নিয়েছেন৷৷

৬০। অশ্বিন্দ্বয়ের নিমিত্ত ছাগ, সরস্বতীর নিমিত্ত মেষ এবং ইন্দ্রের নিমিত্ত ঋষভ নিবেদনের দ্বারা আজ সত্যই বনস্পতি দেব যজ্ঞশালায় উপস্থিত হয়ে রয়েছে। অশ্বিনদ্বয় প্রভৃতি সকলে পশুগুলির মেদে প্রারম্ভ করে শেষ অঙ্গ পর্যন্ত ভক্ষণ করেছে। রন্ধনকৃত পশু-শরীরাঙ্গকেও তারা স্বীকার করেছে। সেই ইন্দ্র ইত্যাদি সকলে পুরোডাশ ভক্ষণ পূর্বক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। অশ্বিনদ্বয়, সরস্বতী এবং সুত্রাতা ইন্দ্র সুরা ও সোম পান করেছে।

৬১। হে মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিগণের পৌত্র ঋত্বি ঋষি! কি অতি উত্তম কথা– আজ এই যজমান অনেক শ্রেষ্ঠ-সঙ্গত ঋত্বিগণের মধ্যে হতে তোমাকেই বরণ করেছেন? এই নিমিত্ত যে–এই দেবগণের মধ্যে আমাকে (যজমানকে) বরণীয় ধনের নিমিত্ত দেবতাগণের দ্বারা গ্রহণীয় হবিঃসমূহকেই গ্রহণ করবে। (দৈবী হোতা অগ্নি হবিঃসমূহ গ্রহণ করে দেবতাগণের নিকট উপস্থিত হবে। সেই দেবতাগণ হবিঃ প্রাপ্ত হয়ে যজমানকে ধন প্রদান করবে–এই নিমিত্ত যজমান এই দৈবী হোতা অগ্নিকে আপন হোতরূপে বরণ করেছেন)। হে দ্যোতমান অগ্নি! সেই দেবতাগণ যে দানসমূহ প্রদান করেছে, সেগুলি তুমি এই যজমানের নিমিত্ত অনুজ্ঞাত করো এঁকে প্রদানে অনুকূল প্রযত্ন করো। হে হোত! তুমি এই যজমানের দ্বারা ভদ্রবচন কহনের (বলার) উদ্দেশ্যে প্রেষিত হয়েছ। সেই সাথেই সূক্ত বচনসমূহের নিমিত্ত মানব হোতাও প্রেরিত হয়েছে। হে মনুষ্য হোত! তুমি সূক্ত বচনসমূহ বলো।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *