সাহিত্যজগতের আদিখ্যেতা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমদ ও আমি কলকাতায় বেড়াতে গিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচিহ্নগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে। আমরা কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রায় সব বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা কিনতাম। বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে দৈনিক পত্রিকা খুব সস্তা। একদিন সকালবেলা পত্রিকার পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে ভেতরের পাতায় পাত্রী-পাত্র চাই প্রভৃতি বিজ্ঞাপনের পাশে ছোট্ট একটি খবর দেখে চকিত হই। আমার পিতৃপ্রতিম কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মৃত্যুসংবাদ। তাকে গুরুতর অসুস্থ দেখে গিয়েছিলাম। বাঁচার আশা ছিল না। ঢাকা থেকে পাঠানো আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদদাতার সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি ছিল এ রকম :
‘বাংলাদেশের কবি ও লেখক শওকত ওসমান গতকাল মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন কারণ তাঁর বাবার মৃত্যুতেও তিনি শোক প্রকাশ করেছিলেন।’
আমি বুঝতে পারলাম আনন্দবাজার-এর প্রতিনিধি এতটুকু রিপোর্ট নিশ্চয়ই পাঠাননি, সম্ভবত দেরিতে গেছে বলে কাটছাঁট করে এইটুকু ছেপেছেন, পরদিন বিস্তারিত থাকবে। কলকাতার আরেকটি গৌণ কাগজেও শওকত ওসমানের মৃত্যুসংবাদ একটুখানি বেরিয়েছিল। পরদিন আগ্রহ নিয়ে সব পত্রিকা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। শওকত ওসমানের নামগন্ধ নেই। ভাবলাম, রোববারের সাহিত্য সাময়িকী বিভাগে থাকবে তাঁর সম্পর্কে লেখা। না, কোথাও কিছু নেই। আনন্দবাজারসহ কয়েকটি বড় কাগজের সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার জানাশোনা ছিল। কেউ কেউ অনেক দিনের বন্ধু। কোথাও কোনো লেখা না থাকা সম্পর্কে একজনকে বললাম, তিনি বললেন, ‘হতে পারেন “শৈকত সাহেব” বাংলাদেশের কবি, এখানে তাঁর মৃত্যুসংবাদ দিয়ে কী হবে?
শওকত ওসমানের জন্ম হুগলী জেলার এক গ্রামে। উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চল্লিশের দশকেই তিনি কলকাতায় লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন প্রগতি লেখক সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবিচল অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় ছিলেন এবং লেখালেখি করেছেন। পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের বিয়োগাত্ম ঘটনার পর ভারতে চলে যান এবং প্রায় এক দশক ভারতেই ছিলেন।
তাঁর মাতৃভূমি পশ্চিমবঙ্গে সত্তর ও আশির দশকে তাঁর অবস্থান সুখকর ছিল না। হুমায়ুন কবির ও আতোয়ার রহমান প্রতিষ্ঠিত চতুরঙ্গ পত্রিকার অফিসে থাকতেন এবং অতি কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। স্টোভে কোনো রকমে নিজে রান্না করে খেতেন। তাঁর দিনলিপি লেখার অভ্যাস ছিল। সেই দিনগুলোর কথা তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখে গেছেন। মুখেও তিনি অনেক সময় আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। একদিন দেশ পত্রিকা অফিসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও পূর্ণেন্দু পত্রীর রুমে যান। তাঁরা তাঁকে চিনতেন। গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। কেউ বসতে বললেন না। পূর্ণেন্দু পত্রী শুধু বললেন, ‘কেমন আছেন ওসমান সাহেব?’ সেই যে তিনি ওখান থেকে চলে আসেন, আর কোনো দিন ও-মুখো হননি।
শওকত ওসমানই একমাত্র বাঙালি মুসলমান লেখক, যার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব খ্যাতিমান লেখকের ব্যক্তিগতভাবে জানাশোনা ছিল। তাঁর মৃত্যুতে সেখানকার কেউ তাঁর সম্পর্কে কয়েক পঙক্তি লেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। শুধু তিনি নন, বাংলাদেশের কারও সম্পর্কেই নন।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন লেখক মারা গেছেন। তাঁদের সবারই কলকাতায় বা দিল্লিতে রাজনৈতিক বন্ধুবান্ধব ছিলেন। যেমন জীবদ্দশায় তেমনি মৃত্যুর পরে কেউ তাদের স্মরণ করে দুই লাইন লেখেননি।
রশীদ করীম কোনো সামান্য কথাশিল্পী নন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায়। তিনি ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। তাঁর শিক্ষাজীবনও কলকাতায় এবং লেখকজীবনের শুরুও কলকাতায়। ‘৪৭-এর বেশ পরে শওকত ওসমানের মতো তিনিও স্বদেশ ছেড়ে ঢাকায় আসেন। তাঁর উপন্যাস উত্তম পুরুষ, প্রসন্ন পাষাণ, আমার যত গ্লানি প্রভৃতি সুখপাঠ্য এবং আধুনিক ফিকশন। তাঁর বাড়িতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রভৃতি এসে খানাপিনা করেছেন এবং আড্ডা দিয়েছেন। একবার তেমন আয়োজনে শামসুর রাহমানের সঙ্গে আমিও ছিলাম। রশীদ করীম ছিলেন সুশিক্ষিত ও সংস্কৃতিমান এবং মার্জিত স্বভাবের মানুষ। মতামত প্রকাশে স্পষ্টভাষী। কাউকে তোয়াজ করে কথা বলতেন না। সুনীলবাবুর সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক বিষয়ে অনেক ব্যাপারে মতপার্থক্য ছিল। সে যা-ই হোক, পশ্চিমবঙ্গের পাঠকেরা যে রশীদ করীমকে চেনেন, সে ভরসা কম। কিন্তু সেখানকার লেখকদের তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত, কারণ তিনি বাংলাদেশের একজন প্রধান ঔপন্যাসিক। তাঁর মৃত্যুসংবাদটাও ওখানে কোনো পত্রিকা ছাপেনি দুই লাইনে।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বিশিষ্ট যারা গত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কবি সুফিয়া কামাল, আহমদ শরীফ, আলাউদ্দিন আল আজাদ, কবীর চৌধুরী, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, শামসুর রাহমান, ফজল শাহাবুদ্দিন প্রমুখ রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের কবি-সাহিত্যিক ও তাদের পত্রপত্রিকা তাদের স্মরণ করে ছোটখাটো প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা স্মৃতিচারণামূলক রচনা লেখার প্রয়োজন বোধ করেনি। শামসুর রাহমানের বহু গুণগ্রাহী কলকাতায় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কিঞ্চিৎ লিখেছিলেন দু-একজন, তবে তাঁর মতো কবির যা প্রাপ্য, তার পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগও নয়। তিরিশের কবিদের পরে শামসুর রাহমানের চেয়ে বড় কবি বাংলা ভাষায় আর কে আছেন, আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের সাহিত্যসমাজ পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যসমাজকে সহোদর ও সহযোগী মনে করে। ওখানকার অত্যন্ত গৌণ কবি-সাহিত্যিকেরাও ঢাকায় এলে তাঁদের অতি সমাদর করা হয়। ইদানীং রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশেরও অনেকে কলকাতায় গেলে কল্কে পান। জীবদ্দশায় তা যে তারা পাচ্ছেন, তাতেই তারা খুবই প্রীত ও গর্বিত। তা-ও ভালো, কারণ মৃত্যুর পরে কেউ তাদের মনে করবে না।
বাংলাদেশের সাহিত্যসমাজ ও মিডিয়ার মাত্রাজ্ঞান নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন তোলেন, তাকে দোষ দেওয়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের অতি গৌণ কেউ চোখটা বুজতে না বুজতেই বাংলাদেশে তাদের নিয়ে হাহাকার শুরু হয়। চব্বিশ ঘণ্টা না যেতেই অনেক কাগজ ফেঁদে বসে প্রকাণ্ড প্রবন্ধ। গত কয়েক মাসে এমন কেউ কেউ গত হয়েছেন, বাংলাদেশের পাঠকের কাছে তাঁদের অনেকের নামটাও পরিচিত নয়, কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে হপ্তা না পেরোতেই এমন সব সন্দর্ভ রচিত হয়েছে, যেন তাদের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের এক স্তম্ভ ধসে পড়ল। এসব আদিখ্যেতায় সাহিত্যের কোনো উপকার হয় না। বরং ক্ষতিই হয় –দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি। মনে হয়, কলকাতার লেখকেরা বাংলাদেশে নিয়োগ দিয়েছেন তাঁদের অবৈতনিক পিআরও বা জনসংযোগ কর্মকর্তা।
বিরল ব্যতিক্রম বাদে, যে রাষ্ট্রের নাগরিকই হোক না কেন, কপটতা ও ছলছলামি বাংলাভাষীদের মধ্যে খুব বেশি। বাংলাদেশের বইয়ের বাজারটা ধরে রাখতে ভারতের অন্য কোনো ভাষার লেখকেরা নন, কলকাতার কিছু লেখক ঢাকায় এসে এখানকার বঙ্গসন্তানদের লেখালেখির খুব সতর্কভাবে উচ্চ প্রশংসামূলক কিছু কথাবার্তা বলেন। তাতে এখানকার সস্তা খ্যাতিলোভী অনেকের খুশির সীমা থাকে না। পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নানা রকম দোষ আছে, কিন্তু ফোপরদালালিতে বাংলাভাষীদের জুড়ি নেই। যে সম্পর্কে যার কোনো ধারণা নেই, সে সম্পর্কেও অযাচিতভাবে কথা বলা তার চাই।
হাজারো উদাহরণ দেওয়া যায়, সর্বশেষটি দিতে পারি। গত ১০ অক্টোবর কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের এক বইয়ের দোকানে ‘বাংলা সাহিত্য উৎসব’ নামক এক অনুষ্ঠান হয়েছে। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং সেখানে কলকাতা ও বাংলাদেশের লেখকদের সঙ্গে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কলকাতার কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্যের ভাষায় বেশ আঞ্চলিকতার ব্যবহার হয়। আরবি শব্দ প্রয়োগ করা হয়।
মজুমদার মহাশয়ের এই পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তব্যের অর্থ যেমন অস্পষ্ট নয়, তেমনি আমার কাছে তা বোধগম্যও হয়নি। তিনি বাংলা সাহিত্য বলেননি, বলেছেন ‘বাংলাদেশের সাহিত্য’। বাংলা সাহিত্য বলতে তিনি সম্ভবত তাঁদের প্রদেশের লেখকদের সাহিত্যকেই বোঝান। সেই বাংলাদেশে সাহিত্যের ভাষায় ‘আঞ্চলিকতার ব্যবহার’ জিনিসটি কী? তাঁদের দেশের সাহিত্যে কি আন্তর্জাতিকতার ব্যবহার বেশ হয় নাকি?
তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য ও তাঁর ভাষা নিয়ে আরও কিছু মন্তব্য করেন, তাতে যে কারও মনে হতে পারে তিনি সুনীতি চাটুজ্জ্যের চেয়ে কম ভাষাতাত্ত্বিক নন। ওই অনুষ্ঠানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “তিনি [মজুমদার] একপর্যায়ে “জামাই” শব্দটির ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশের লেখক-সাহিত্যিকদের খোঁচা দেন। তিনি বলেন, “জামাই” শব্দটি তো মেয়ের জামাই বলেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝবেন। কিন্তু বাংলাদেশে জামাই মানে “বর”।
মজুমদার জামাই শব্দটি নিয়ে বাংলাদেশের লেখক-সাহিত্যিকদের ‘খোঁচা’ দিতে গিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন, দুই বাংলার ভাষায় ব্যবধান নিয়ে কী তত্ত্ব খাড়া করতে চেয়েছেন, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশের বা যেকোনো স্থানের বাংলা ভাষার কেউ যদি বলেন : ‘বিয়ের দিন জামাইয়ের সঙ্গে তার বন্ধুরাও খেতে বসেছিল।’ এই বাক্যে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের ভাষাগত পার্থক্যটা কী? খোঁচা যদি কেউ কাউকে দিতে চায় এবং সেই খোঁচায় আঘাত পেয়েও যদি কেউ দাঁত কেলিয়ে হাসতে চায়, তা তাদের ব্যাপার। ভাষা নামক বেচারার তাতে কিছুই যায়-আসে না।
আমরা বাংলাভাষীরা অসাম্প্রদায়িকতার ভাণ করে মানুষকে ধোকা দিয়ে খুবই মজা পাই। মজুমদারও মজা পান। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি ‘মজা’ শব্দটি নিয়েও ভাষাতাত্ত্বিক পাণ্ডিত্যের প্রকাশ ঘটান। বাংলাদেশের কেউ যখন বলে, এই খাবারটি খুব মজা’, তখন পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা অবাক হয়ে ভাবে, লোকটা বলে কী, খাওয়ার জিনিস আবার মজা হয় কী করে, মজা মানে তো আনন্দ-ফুর্তি।
বাংলাদেশের লেখকেরা আরবি শব্দ খুব বেশি ব্যবহার করেন –এ এক অতি অসত্য কথা। বাংলাদেশ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে অনেক অমুসলমানের অনুমানপ্রসূত ধারণা যে তারা অবধারিতভাবে আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করবেই। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের কোনো কোনো কবি-সাহিত্যিক তা করেছেন, কিন্তু দেশের মানুষ তা পছন্দ করেনি। বাংলাদেশের কোনো লেখকই খুঁজে খুঁজে আরবি শব্দ তাঁর লেখায় ব্যবহার করেন না। ধারণা করি, মজুমদার বাংলাদেশের কোনো লেখকের লেখাই, তিনি যাদের আতিথ্য গ্রহণ করেন, তাঁদের লেখাও পাঠ করেননি। পাঠ করলে দেখতে পেতেন, বাংলাদেশের লেখকদের ভাষা অন্য যেকোনো অঞ্চলের বাংলাভাষী লেখকদের চেয়ে শুধু সাবলীল নয়, প্রাঞ্জলও।
ঢাকায় যতই বেড়াতে বা জনসংযোগে আসুন, মজুমদার মহাশয়ের ধারণা নেই, কি বিষয়বস্তুর দিক থেকে, কি ভাবের দিক থেকে, কি রচনাশৈলীর দিক থেকে, বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের কেউ কেউ যথেষ্ট ভালো লিখছেন। তাঁদের কোনো দিক থেকে আনুকূল্য নেই, প্রচার নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই। তবে বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে একদিন তাঁদের কেউ নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠা পাবেন।
বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা, ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা এবং যে। এক শতাংশের মাতৃভাষা নয়, তারাও বাংলা বলতে পারেন। বাংলা ভারতের একটি প্রাদেশিক ভাষা। ভারতের প্রাদেশিক ভাষা তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম প্রভৃতি। কিন্তু ওইসব ভাষাভাষী মানুষ যতটা জাতীয়তাবাদী পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষীরা তা নন। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা হিন্দিতে কথাবার্তা বলতে অস্বচ্ছন্দবোধ করে না। কিন্তু তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ, রাজস্থানে নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা ব্যবহার হয় না। বাংলাদেশের লেখকদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের উপদেশমূলক মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।