বিংশ পরিচ্ছেদ
চলচ্চিত্র এটা করে, রেডিও যা করে আপনিও করেন না কেন
কয়েক বছর আগে দি ফিলাডেলফিয়া ইভনিং বুলেটিনের বিরুদ্ধে একটা অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক নিন্দার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশ ঈর্ষামূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। বিজ্ঞাপনদাতাদের বলা হচ্ছিল যে ঐ কাগজে বড় বেশি রকম বিজ্ঞাপন থাকে আর খবর খুবই কম থাকে। এ কাগজ তাই আর পাঠকদের কাছে পছন্দ নয়। দ্রুত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তাই এই গুজব বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু কীভাবে?
এটা এইভাবে করা হয়।
বুলেটিন দৈনিক কাগজ থেকে সব পড়ার বিষয়বস্তু নিয়ে একসঙ্গে করে একটা বই হিসেবে বের করে। বইটির নাম দেয়া হয় একদিন’। তাতে ছিলো ৩০৭ পাতা-এর দাম হতে পারতো প্রায় দু ডলার! তা সত্ত্বেও বুলেটিন সমস্ত খরব আর বিজ্ঞাপন একসঙ্গে যে বই বের করলো তার দাম দু ডলার না রেখে রাখা হলো দু সেন্ট।
এই বই ছাপার ফলে নাটকীয়ভাবে প্রমাণ করা গেল বুলেটিনে পাঠ্যবস্তু অনেকটাই থাকে। এতে বক্তব্য আরও পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল, বলা হয়েছিল আরও সুন্দরভাবে আর নাটকীয়ভাবে, বক্তৃতা বা সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে এমন করা যেত না।
এ যুগটাই হলো নাটকীয়তায় ভরা যুগ। কেবল সত্য প্রচার করে কাজ হয় না। সত্যকে স্পষ্ট, আগ্রহের আর নাটকীয় করতে হবে। আপনার দরকার ওস্তাদী। সিনেমায় এরকম করা হয়। রেডিও এটা করে। তাই মনোযোগ আকর্ষণ করতে গেলে আপনাকেও তাই করতে হবে।
যে সব দোকানদার কাঁচের শোকেস প্রদর্শনের কাজে দক্ষ তারা নাটকীয়তার ক্ষমতা জানেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে কোম্পানী ইঁদুর মারার বিষ তৈরি করে সেজন্য তারা তাদের শোকেসে দুটো জ্যান্ত ইঁদুর প্রদর্শন করায় এতে তাদের বিক্রি পাঁচ গুণ বেড়ে যায়।
জেমস বি. বয়ন্টন, দি আমেরিকান উইকলির জনৈক কর্তাব্যক্তি। তার একটা মার্কেট রিপোর্ট বানানো দরকার ছিল। তিনি কাজ করতে গিয়ে নানা বাধার সামনে পড়েন। শেষ অবধি তাঁর কাজের পদ্ধতি বদল করার ফলেই তিনি সফল হতে পারেন অপরকে তিনি তর্ক না করে স্বমতে আনেন।
অতএব অপরকে স্বমতে আনতে চাইলে ১১নং নিয়ম হল :
আপনার ভাবনাকে নাটকীয় করে তুলুন।