ছেলেধরা
আমরা ভূমিষ্ঠ হয়েই শুলেম, সহরে ছেলেধরার বড় প্রাদুর্ভাব! কাবুলি মেওয়াওয়ালারা ঘুরে ঘুরে ছেলে ধরে কাবুলে নিয়ে যায়। সেথায় নানাবিধ মেওয়া ফলের বিস্তর বাগান আছে, ছেলেটাকে তারি একটা বাগানের ভিতর ছেড়ে দেয়, সে অনবরত পেটপুরে মেওয়া খেয়ে খেয়ে যখন একেবারে ফুলে উঠে রং দুধে আলতার মত হয়, এমন কি টুস্কি মাল্লে রক্ত বেরোয়, তখন এক কড়া ঘি চড়িয়ে ছেলেটাকে ঐ কড়ার উপর, উপরপানে পা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়; ক্রমে কড়ার ঘি টগবগিয়ে ফুটে উঠলে ছেলের মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে আরম্ভ হয় ও সেই রক্ত টোসা টোসা ঘিয়ের কড়ার উপর পড়ে; ক্রমে ছেলের সমুদায় রক্ত বেরিয়ে এলে নানাবিধ মেওয়া ও মিছরির ফোড়ন দিয়ে কড়াখানি নাবান হয়। নবাব ও বড় বড় মোসলমানরা তাই খান। আমরা এই ভয়ানক কথা শুনে অবধি একলা বাড়ার বাহিরে প্রাণান্তেও যেতাম না, ও সেই অবধি কাবুলীদিগের উপর বিজাতীয় ঘৃণা জন্মে গেল।