অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ
যা সবাই আশা করে
আপনি কি এমন মন্ত্র জানতে চান না যাতে সব রকম তর্কাতর্কি বন্ধ হয়, শত্রুতা দূর হয়ে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে; আর অপর ব্যক্তি বেশ মনোযোগ দিয়ে আপনার সব কথা শোনে?
হ্যাঁ বলছেন তো? বেশ তাহলে ঠিক আছে। এবার এইভাবে শুরু করুন : ‘আপনার এরকম মনোভাবের জন্য আপনাকে কণামাত্রও দোষারোপ করছি না! আপনার জায়গায় আমি থাকলে একই রকম ভাবতাম।’
এ ধরনের উত্তর পেলে সবচেয়ে খিটখিটে বা খুঁতখুঁতে মানুষও বশ মানবে। আপনি যদি শতকরা একশ ভাগ আন্তরিকতা নিয়ে এটা বলেন যে তার জায়গায় থাকলে আপনার মনোভাবও একই রকম হতো সেটা সম্পূর্ণ সত্যিই হতো। বুঝিয়ে বলি ব্যাপারটা। অল ক্যাপোনের কথাটাই ধরুন। অল ক্যাপোনের মতই যদি আপনার শরীর, মেজাজ আর মন হতো, আর ধরুন তারই মতো পারিপার্শ্বিকতা আর অভিজ্ঞতাও আপনি পেয়েছেন। তাহলে আপনি ঠিক তারই মত হয়ে যেতেন–তারই মত সেখানে থাকতেন কারণ এই সব জিনিসই তাকে অল ক্যাপোন করে তুলতে পারে।
আপনি যে কোন ঝুমঝুমি বা র্যাটল সাপ নন তার একমাত্র কারণ হলো আপনার বাবা মা ঝুমঝুমি সাপ নন।
আপনি যা তার জন্য খুব বেশি কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন না। আর মনে রাখবেন, যে লোক বিবেচনাহীন হয়ে আপনার কাছে আসতে পারে তার জন্যেও তার দোষ বেশি নয়। এমন কোন বেচারির জন্য দুঃখ বোধ করাই উচিত। তাকে সহৃদয়তা দেখানো দরকার। জন বি গাও রাস্তা দিয়ে কোন মাতালকে টলমলে অবস্থায় দেখলে বলতেন : ‘ওই দেখুন এক মাতাল, ইশ্বরের অসীম করুণাতেই আমি ওই রকম হইনি।‘
আগামীকালই যেসব লোকের মুখোমুখি হবেন তারা চারভাগের তিনভাগেই করুণা আর সমবেদনার প্রত্যাশী। তাদের যদি সেটা দেন তাহলে তারা আপনাকে ভালোবাসবে। আমি একবার লিটল উইমেনের লেখিকা লুইস মে অ্যালকট সম্পর্কে বেতারে একটা ভাষণ দিয়েছিলাম। স্বভাবতই আমি জানতাম তিনি ম্যাসাচুসেটসের কনকর্ডে বাস করা কালীন তার বিখ্যাত বইটি লেখেন। কিন্তু কি বলছি না ভেবেই বলে ফেলেছিলাম, আমি তার আদি বাড়ি নিউ হ্যাঁম্পশায়ারের কনকর্ডে গিয়েছিলাম। নিউ হ্যাঁম্পশায়ার কথাটা যদি একবার মাত্র বলতাম তাহলে মনে করার কারণ থাকত না। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য, আমি দুবারই সেটা বলেছিলাম। এরপরেই রাশি রাশি চিঠি আর টেলিগ্রাফ আসতে লাগলো। তার মধ্যে দারুণ জ্বালা ধরানো বাক্যবাণও ছিল। এসব পেয়ে আমার মাথা প্রায় ভন ভন করতে লাগল, যেন হাজারো মৌমাছির দংশন জ্বালা। কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ করেছে, কেউ বা অপমান।
একজন মহিলা যিনি কনকর্ডে ম্যাসাচুসেটসে জন্মেছিলেন, তখন তিনি ফিলাডেলফিয়ায় থাকতেন, আমার উপর তার মনের সব রাগ উজাড় করে দিয়েছিলেন। আমি যদি মিস অ্যালকটকে নিউ গিনির নরখাদিকা বলতাম তাহলেও বোধহয় তাঁর তত রাগ হতো না। তাঁর চিঠিটা পড়তে পড়তে তাই ভেবেছিলাম ভাগ্যিস এমন মহিলা আমার স্ত্রী নন। আমার ইচ্ছে হয়েছিল মহিলাকে লিখে জানাবো যে ভূগোলের জ্ঞান আমার না থাকতে পারে, তবে তার সাধারণ ভদ্রতাবোধটুকুও নেই। এই ভাবেই শুরু করব ভেবেছিলাম। তারপর জামার হাতা গুটিয়ে তার সম্পর্কে কি ভেবেছি সেটা লিখব স্থির করলাম। তবে সেটা করিনি, আমি নিজেকে সংযত করলাম। আমি বুঝলাম, যে কোন মাথা গরম বোকাই এমন করতে পারে–আর বেশির ভাগ বোকাই তা করবে।
আমি তাই বোকাঁদের উপরে থাকব মনস্থ করলাম। তাই মহিলার শত্রুতা বোধকে দূর করে তার সাথে বন্ধুত্ব অর্জন করব ঠিক করলাম। এটা একটা চ্যালেঞ্জের মতই, একরম খেলতে আমার খুবই ভাল লাগে। নিজেকে তাই বললাম : ‘তার জায়গায় থাকলে আমিও বোধহয় একই আচরণ করতাম। তাই তার মনোভাবের সঙ্গে একাত্ম হতে চাইলাম। এরপর যখন ফিলাডেলফিয়ার গেলাম আমি তাকে টেলিফোনে ডাকলাম। কথাবার্তাটা আমাদের মধ্যে অনেকটা এই রকম হয় :
আমি : মিসেস অমুক, আপনি আমাকে কয়েক সপ্তাহ আগে একটা চিঠি লিখেছিলেন। তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি (একটু কাটা কাটা মার্জিত কণ্ঠস্বর) : কার সঙ্গে কথা বলছি জানতে পারি কি?
আমি : আমি আপনার অপরিচিত। আমার নাম ডেল কার্নেগী। কয়েক রবিবার আগে রেডিওতে আমার অ্যালকট সম্পর্কে একটা কথিকা আপনি শুনেছেন। আমি তখন বোকার মতই বলেছিলাম তিনি নিউ হ্যাঁম্পশায়ারের কনকর্ডে বাস করতেন। এটা খুবই বোকার মত বলেছিলাম। তাই আমি ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। আপনি যে সময় করে আমায় লিখেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
তিনিঃ আমি দুঃখিত মিঃ কার্নেগী, আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়ায় আমি ওই চিঠি লিখেছিলাম; আমারই ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আমি : না! না! আমি ক্ষমা চাইবেন না, আমারই সেটা করা উচিত। যে কোন স্কুলের ছেলেও এমন ভুল করতো না আমি যা করেছি। পরের রবিবারে আমি রেডিওতে ভুলটা সংশোধন করেছি আর এখন আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই।
তিনিঃ আমি ম্যাসাচুস্টেসের কনকর্ডে জন্মেছিলাম। সেখানে আমাদের পরিবার প্রায় দুশ বছরের বাসিন্দা, আমাদের রাজ্য নিয়ে আমরা গর্বিত। মিস অ্যালকট নিউ হ্যাঁম্পশায়ারে জন্মেছিলেন বলায় আমার খুবই রাগ হয়। কিন্তু এই চিঠির জন্য অত্যন্ত লজ্জিত বোধ করছি।
আমি : আমি আপনাকে জানাতে চাই আপনি আমার দশভাগের এক ভাগও দুঃখিত নন। আমার ভুলে ম্যাসাচুস্টেসের ক্ষতি হয়নি, হয়েছে আমারই। আপনাদের মত শিক্ষিত মহিলারা কদাচিতই বেতারের কথিকা শুনে চিঠি লেখার সময় পান। আশাকরি ভবিষ্যতে এরকম বেতার কথিকায় আমার ভুল হলে সংশোধন করে দেবেন।
তিনি; আপনি যেভাবে আমার সমালোচনা গ্রহণ করেছেন তার জন্য আমি খুবই খুশি। আপনি লোক হিসেবে নিশ্চয়ই চমৎকার। আপনাকে আমি আরও ভালভাবে জানতে চাই।
অতএব তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে আর তাঁর দৃষ্টিকোণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আমি তাঁকে মার্জনা প্রার্থী আর আমার সঙ্গে একাত্ম করতে সক্ষম হই। আমি এজন্য খুশি হই যে আমি অপমানের বদলে সদাশয়তা প্রদর্শন করেছি। আমাকে তার পছন্দ মত করে তোলায় আমি অপরিসীম আনন্দ পেয়েছিলাম, আর সেটা তাকে গোল্লায় যেতে বললে পেতাম না।
হোয়াইট হাউসে যারা অধিষ্ঠান করেন তাদের অনবরত মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে সমস্যায় বিব্রত থাকতে হয়। প্রেসিডেন্ট ট্যাফটও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে লিখেছিলেন সহানুভূতির রাসায়নিক মূল্য কতটা হতে পারে, বিশেষত কড়া বিদ্রূপ মনোভাবের জ্বালা দূর করতে। ট্যাফট তাঁর লেখা ‘এথিকস ইন সার্ভিস’ বইটিতে বেশ মজাদার একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন যাতে দেখা যায় তিনি কিভাবে এক হতাশ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষী মায়ের বিরক্তি দূর করেন।
ট্যাফট লিখেছিলেন, ‘ওয়াশিংটনের এক মহিলা, যার স্বামীর কিছু রাজনৈতিক প্রভাব ছিল, আমার কাছে প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে এসে তাঁর ছেলেকে বিশেষ কোন পদে নিয়োগ করার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। মহিলাটি বেশ কিছু সেনেটর আর কংগ্রেস সদস্যর সমর্থনও ভালোমত যোগাড় করে চাপ সৃষ্টি করছিলেন। কিন্তু পদটার জন্য কিছু প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল আর তাই ওই দপ্তরের প্রধানের কথা মত আমি অন্য একজনকে ওই পদে নিয়োগ করি। এরপর ওই মায়ের কাছ থেকে একটা চিঠি পেলাম, তাতে লেখা আমি নিতান্ত অকৃতজ্ঞ। কারণ সামান্য একটু অনুরোধ রক্ষা করে আমি এক মাকে খুশি করলাম না, যা আমি পারতাম। তিনি আরো অভিযোগ কররেন তিনি আমার হয়ে ভোট সংগ্রহ করতে প্রচুর খেটেছেন আর আমি এইভাবে তার প্রতিদান দিলাম!
‘এ ধরনের কোন চিঠি পেলে প্রথমেই আপনার যা মনে হবে তা হলো ওই রকম চিঠির লেখককে বেশ কড়া ভাষায় জবাব দেওয়া, বিশেষতঃ এরকম অনধিকার চর্চার জন্য। আপনি হয়তো চিঠিটা লিখেও ফেলবেন। কিন্তু আপনি বুদ্ধিমান হলে সেটা আপাততঃ ড্রয়ারে রেখে দেবেন। তারপর দুদিন পরে যখন আবার বের করবেন তখন আর পাঠাতে চাইবেন না। ঠিক এই পথই আমিও নিয়েছিলাম। এরপর আমি মাথা ঠাণ্ডা করে এ অবস্থায় যা লেখা উচিত সেই ভাবেই ভদ্রমহিলাকে লিখে জানালাম যে পদটি পূরণে আমার ব্যক্তিগত কোন হাত ছিল না যেহেতু এর জন্য প্রযুক্তি জ্ঞান দরকার। তাই দপ্তরের প্রস্তাবই আমাকে গ্রহণ করতে হয়। আমি আরও জানালাম আমি আশা করি তার ছেলে যে কাজ করছেন তাতেই উন্নতি করবেন। এতে মহিলা কিছুটা ধাতস্থ হন আর চিঠিতে আমাকে জানান যে ওই চিঠি লেখার জন্য তিনি দুঃখিত।
‘ব্যাপারটার ওখানেই সমাপ্তি ঘটেনি। এর কিছুদিন পরে আমি আবার একটা চিঠি পেলাম এবার মহিলার স্বামীর কাছ থেকে। অবশ্য হাতের লেখাটা আগের মতই ছিল। তাতে ভদ্রলোক লিখেছেন, হতাশায় ভেঙে পড়ে স্নায়বিক রোগে তাঁর স্ত্রী শয্যাশায়ী আর সম্ভবতঃ তাঁর পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্যের কারণেই ওই চাকরিতে প্রথমজনকে বাতিল করে তার ছেলেকে দেয়া যায় কিনা? আমাকে আবার একটা চিঠি লিখতে হলো, এবার তার স্বামীকে। আমি লিখলাম যে আশাকরি রোগটা ওইরকম মারাত্মক হবে না আর তাঁর স্ত্রীর কঠিন রোগের জন্য আমি সমব্যাথী। আমি জানালাম প্রথম নামটি বাতিল করা সম্ভব নয়।
‘ওই চিঠি লেখার দুদিনের মধ্যে হোয়াইট হাউসে একটা সঙ্গীতের আসর বসানো হয় প্রথম যে দুজন মিসেস ট্যাফট আর আমাকে সম্ভাষণ জানালো তারা ওই স্বামী-স্ত্রী। যদিও স্ত্রীর নাকি সাংঘাতিক রোগ!’
এস. হুরক হলেন আমেরিকার এক নম্বর সঙ্গীত সংগঠনকারী। প্রায় বিশ বছর ধরে তিনি শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছেন–তাঁদের মধ্যে ছিলেন এইসব বিখ্যাত শিল্পীরা, যেমন চ্যালিয়াপিন, ইসাডোরা ডানকান আর পাভলোভা। মিঃ হুরক আমায় বলেন যে খেয়ালী শিল্পীদের নিয়ে চলতে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা হলো,এই সব শিল্পীদের জন্য দরকার সহানুভূতি–একমাত্র সহানুভূতি দেখিয়েই এই সব খেয়ালীদের এড়ানো যায়।
তিন বছর যাবৎ তিনি ছিলেন ফিওডোর চ্যালিয়াপিনের সঙ্গীত সংগঠক। চ্যালিয়াপিন ছিলেন খ্যাতিমান শিল্পী, তাঁর মত কেউই গান গেয়ে মাতিয়ে তুলতে পারেনি। তবু চ্যালিয়াপিন ছিলেন সব সময় একটা সমস্যা। ঠিক যেন একেবারে কোন দুষ্টু ছেলে। চ্যালিযানপিন কেমন ছিলেন সেটা মিঃ হুক নিজেই বলেন : ‘সব দিক দিয়েই সে অতি জঘন্য।’
উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। চ্যালিয়াপিন হয়তো যেদিন গাইবার কথা সেদিন দুপুরের দিকে মিঃ হুরকের কাছে ফোন করে বললেন, ‘আমার দারুণ শরীর খারাপ। আমার গলা ফুলে ঢোল। আজ রাতে গান গাওয়া অসম্ভব।’
মিঃ হুরক কি তা শুনে তর্ক জুড়ে দিতেন? মোটেই না। তিনি জানতেন এভাবে কখনও এই সব শিল্পীদের দিয়ে কাজ করানো যায় না। বরং তিনি বেশ সহানুভূতি নিয়ে হোটেলে ছুটে গিয়ে বলতেন : ‘কি দুঃখের কথা! বেচারি! অবশ্যই আপনার পক্ষে গান গাওয়া সম্ভব নয়। আমি এখনই অনুষ্ঠান বাতিল করছি। এতে অবশ্য আপনার কয়েক হাজার ডলার ক্ষতি হবে, তা যাক, আপনার খ্যাতির পক্ষে তা কিছুই না।’
চ্যালিয়াপিন তাতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন : ‘একবার বিকেলের দিকে এসো দেখা যাক কেমন থাকি।’
পাঁচটার সময় মিঃ হুরক আবার হোটেলে ছুটলেন সেই সহানুভূতি নিয়ে। আবার তিনি অনুষ্ঠান বাতিল করতে চাইলেন। আবারও চ্যালিয়াপিন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, আরও পরে একবার এসো। তখন হয়তো ভালো হয়ে যেতে পারি।
সাড়ে সাতটায় সময় চ্যালিয়াপিন গান গাইতে রাজী হলেন তবে একটা শর্তে, মিঃ হুরককে ঘোষণা করতে হবে তাঁর গলা আজ ভালো নেই। মিঃ হুরক মিথ্যে করে বলতেন তাই করবেন। কারণ তিনি জানতেন এছাড়া তাকে স্টেজে নামানো যাবে না।
ডঃ আর্থার আই. গেটস তাঁর এডুকেশনাল সাইকোলজিতে বলেছেন : সারা পৃথিবীর মানুষই সহানুভূতির কাঙাল। শিশু আগ্রহ নিয়ে তার আঘাত দেখাতে চায় বা ইচ্ছে করে কাটাকুটি করে বাবা মার সহানুভূতি আকর্ষণ করে। বয়স্করাও তাই করে … তাদের আঘাত, দুর্ঘটনা বা রোগের কথা বাড়িয়েই বলতে চায়। উদ্দেশ্য সহানুভূতি আকর্ষণ। নিজেকে করুণা করা প্রায় সব মানুষের মধ্যেই আছে।
অতএব যদি অপরকে স্বমতে আনতে চান ৯ নম্বর নিয়ম হল :
অপরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করুন।