ষোড়শ পরিচ্ছেদ
সহযোগিতা পাওয়ার উপায়
আপনি নিজে যা আবিষ্কার করেন তার উপর আপনার বেশি বিশ্বাস আছে না অন্যে যা আপনাকে জানায় তার উপর? তাই যদি হয় তাহলে অন্যের উপরে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া কেন? স্পষ্ট না বলে অন্যকে আভাস দেওয়াই ভালো-তাতে অন্যকে সিদ্ধান্তটা নিজেকেই আবিষ্কার দেওয়া হয়।
যেমন উদাহরণ দিচ্ছি : ফিলাডেলফিয়ার মি. অ্যাডলফ সেলঞ্জ, যিনি আমার পাঠগ্রহণ করেন। আচমকা তার মোটর গাড়ি অদ্যুৎসাহী সেলসম্যানদের মধ্যে একটু উৎসাহ জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তিনি সেলসের একটা সভা ডেকে তাদের কাছ থেকে জানতে চান তারা তার কাছে কি চান। তাঁরা কথা বলতে আরম্ভ করতেই তিনি তাঁদের বক্তব্য ব্ল্যাকবোর্ডে লিখতে থাকেন। তিনি তারপর বললেন : ‘আপনারা আমার কাছে যেসব গুণ চান তাই পাবেন। এবার আমাকে বলতে দিন আমি আপনাদের কাছে। কি আশা করি।‘ উত্তর বেশ দ্রুতই এল : বশ্যতা, সততা, কর্মচেষ্টার সাধুতা, দলগত কাজ, সারাদিন আট ঘন্টা কাজ। একজন নিজে থেকেই চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করার প্রস্তাব দেয়। সভা এবার নতুন উদ্যম, নতুন আশা নিয়ে এলো আর মি. সেলঞ্জ আমাদের জানান বিক্রি এরপর দারুণ বেড়ে যায়।
মিঃ সেলঞ্জ জানান তার কর্মীরা তার সঙ্গে একটা নৈতিক দেয়া নেয়ার ব্যবস্থা করে। তারা যতদিন তার মতে চলেছে তাতে কাজ হয়নি। পরে তাদের মতামত নিতেই সব বদলে যায়। তাদের ইচ্ছেটা। মেনে নিতেই ব্যবস্থা বদলে যায়।
কোন মানুষই ভাবতে চায় না তাকে কিছু বিক্রি করা হয়েছে বা তাকে কিছু করতে বলা হয়েছে। আমরা ভাবতে ভালোবাসি আমরা নিজেরাই কিনতে চাই বা আমাদের নিজের মতলবেই কাজ করতে চাই। আমরা নিজেদের ইচ্ছা বা চাহিদা সম্বন্ধে নিজেরাই আলোচনা করতে চাই।
যেমন ধরুন ইউনিয়ন ওয়েসনের ব্যাপারটা ধরুন। এই সত্যটা আবিষ্কার করার আগে তিনি লক্ষ লক্ষ ডলার লোকসান দেন। মিঃ ওয়েসন কাপড় তৈরির প্রতিষ্ঠানের নকশার জন্যে ছবি আঁকতেন। মি. ওয়েসন তিন বছর ধরে প্রতি সপ্তাহেই ওই প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেছেন কিন্তু তিনি কিছুই কেনেননি। তিনি বারবার মিঃ ওয়েসনের ছবি দেখে জানান, না, ওতে কাজ হবে না।
দেড়শ বারের মত ব্যর্থ হবার পর ওয়েসন বুঝতে পারলেন তাঁর নিজের মাথাতেই বোধ হয় গলদ রয়ে গেছে। এরপর একদিন সন্ধ্যায় তিনি মানবিক ব্যবহার নিয়ে ভাবতে বসলেন যাতে নতুন কোন ভাবনার ফল হয়।
এবার তিনি একটা নতুন পথে এগুবেন ঠিক করলেন। তিনি শিল্পীদের আঁকা অসমাপ্ত কিছু নকশা নিয়ে ক্রেতার অফিসে হাজির হলেন। সেখানে গিয়ে তিনি বললেন : ‘আমাকে একটু সাহায্য করবেন আশা করি। এখানে কতকগুলো অসমাপ্ত নকশা আছে : এগুলো কিভাবে শেষ করলে আপনাদের পছন্দ হবে একটু বলবেন?
ক্রেতা বেশ কিছুক্ষণ ছবিগুলো লক্ষ্য করে বললেন : ‘এগুলো কদিনের জন্য আমার কাছে রেখে যান ওয়েসন। পরে দেখা করবেন।‘
ওয়েসন তিনদিন পরে দেখা করতেই সেগুলো পরামর্শসহ ফেরত পেলেন। তারপর ক্রেতার ধারণা অনুযায়ী সব শেষ করলেন। ফল কি হলো? সব কটিই গৃহীত হল।
এ হলো ন’মাস আগেকার কথা। এরপর থেকে ক্রেতা শ’য়ে শ’য়ে নকশার বায়না দেন, সবই তার প্রয়োজন আর ধারণা অনুযায়ী করানীট ফল হলো ওয়েসন কমিশন হিসাবে পান সোল শ’র বেশি ডলার। ওয়েসন বলেন : এখন বুঝতে পারছি বারবার কেন ব্যর্থ হই। আমি তাকে আমার মতাটাই দিতে চেয়েছিলাম। এখন ঠিক বিপরীতটাই করি। তাকে তার মতটাই এবার দিতে দিয়েছি। ফলে তাঁর এখন ধারণা হলো নকশাটা তাঁরই করা। আর সত্যিই তাই। তাঁকে কিছু আর বিক্রি করতে হয় নাই। তিনি এখন কেনেন।
থিয়োডোর রুজভেল্ট যখন নিউইয়র্কের গভর্ণর ছিলেন তখন তিনি একটা অদ্ভুত কাজ করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক কর্তাদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন অথচ তাঁরা তাঁর দারুণ বিরোধিতা করতেন। এবার শুনুন কিভাবে তিনি তা করতেন। যখনই কোন উঁচু পদ পূরণ করার দরকার হতো তিনি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বান করতেন। প্রথমে তারা হয়তো কারও নাম প্রস্তাব করতেন। রুজভেল্ট বলেছেন, আমি তাদের বলতাম এই ব্যক্তিকে নিয়োগ করলে রাজনীতি ভালো হবে না। জনসাধারণ এটা ভালো বলে মেনে নেবে না।
এরপর তাঁরা হয়তো আর কোন নাম প্রস্তাব করতেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কিছু না থাকলেও প্রেসিডেন্ট তাদের জানাতেন তিনিও তেমন জনগণের পক্ষে গ্রহণীয় হবেন না, তাই আর কারো নাম বসালে ভালো হতে পারে।
তাঁদের তৃতীয় প্রস্তাবের পর চতুর্থবারেই তাদের প্রস্তাবিত নামটিই গ্রহণ করতাম। এমন লোককে আমিও গ্রহণ করতাম। তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবদা দিয়ে লোকটিই চাকরি দিতাম আর আমি তাদেরই এর জন্য কৃতিত্বটুকু গ্রহণ করতে দিতাম … ‘আমি তাদের বলতাম তাদের খুশী করার জন্যই এটা করেছি আর এবার তাদের উচিত আমায় খুশি করা।‘
তাঁরা তা করেছেন। তারা এটা করেন প্রেসিডেন্টকে তার সিভিল সার্ভিস বিল আর কর সম্বন্ধীয় বিল পাশ করতে।
মনে রাখবেন রুজভেল্ট অন্যের সঙ্গে বহু পরামর্শ করতেন আর তাদের পরামর্শকে সম্মান দিতেন। রুজভেল্ট যখন কোন জরুরী চাকরি দেবার কাজ করতেন তখন বিরোধীদের ভাবতে দিতেন তাঁরাই আসলে চাকরিটা দিয়েছেন।
.
লঙ আইল্যান্ডের একজন গাড়ির দালাল একজন স্কচ দম্পতির কাছে একটা ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করতে একই কৌশল কাজে লাগান। এই দালাল গাড়ির পর গাড়ি ভদ্রলোককে দেখান। কিন্তু প্রতিটিতেই তিনি ক্রটি ধরতে লাগলেন। এটার এই দোষ আছে, ওটার ওই, কখনও বা দাম বড় বেশি। এই সময় তিনি আমার কাছে আসেন সাহায্য চেয়ে।
আমরা তাকে উপদেশ দিলাম গাড়িটা লোকটির কাছে বিক্রি করার চেষ্টা না করে তাকে ‘কিনতে’ দিন। তিনি কি করবেন না বলে ‘লোকটিকে’ বলতে দিন আপনারা কি করবেন। তাকে বুঝতে দিতে হবে তার কথাই থাকছে। এটা শুনতে ভালোই। অতএব এর পরের বার দালাল ভদ্রলোক আর একটা গাড়ি কিনতে এলে এই কৌশল কাজে লাগাতে চাইলেন। দালাল তাই ফোন করে ‘স্যাণ্ডি’ নামের সেই লোককে জানালেন তিনি যদি এসে তাঁকে একটু উপদেশ দেন বড় উপকার হয়।
‘স্যাণ্ডি’ এসে পৌঁছতেই দালাল বললেন, ‘স্যাণ্ডি’ আপনি অত্যন্ত ধুরন্ধর ক্রেতা। গাড়ির দাম সম্বন্ধে আপনার ধারণা দারুণ। এই গাড়িটা একটু দেখে বলবেন এটা বিক্রি করতে গেলে কত দাম হওয়া উচিত?
‘স্যাণ্ডির’ মুখে একগাল হাসি জাগলো। শেষ পর্যন্ত তার ক্ষমতা সম্বন্ধে আগ্রহ জাগছে আর দাম দেওয়া হচ্ছে। তিনি গাড়িটা চালিয়ে কুইন কুলেভার্ড থেকে ঘুরে এলেন। তারপর বললেন, গাড়িটা তিনশয় বিক্রি করলে যথেষ্ট লাভ হয়েছে ভাবতে পারেন।’
‘এ দামে দিলে আপনি গাড়িটা কিনবেন?’ দালাল জানতে চাইলেন। তিনশ! নিশ্চয়ই। এটাই তো তিনি চান। অতএব বিক্রির কাজ সমাধা হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গেই।
ঠিক সেই একই মানসিকতা ব্যবহার করেছিলেন এক রঞ্জন-রশ্মি প্রস্তুতকারক তার জিনিস ব্রুকলীনের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে বিক্রি করার জন্য। এই হাসপাতালটি আমেরিকায় সবচেয়ে ভালো রঞ্জন-রশ্মি বিভাগ করতে চেয়েছিল। ডঃ এল–যিনি রঞ্জন-রশি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি সেলসম্যানদের অত্যাচারে পাগল হতে চলেছিলেন। তারা সবাই নিজেদের জিনিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল।
একজন প্রস্তুতকারক ছিল বেশ কৌশলী। সে মানব চরিত্র সম্বন্ধে বেশ ভালো রকম ওয়াকিবহাল ছিল। সে এই রকম একটা চিঠি লিখেছিল :
‘আমাদের কারখানা সম্প্রতি এক নতুন ধরনের এক্স-রে যন্ত্র বানিয়েছে। এই মেশিনের প্রথম চালান সবে মাত্র আমাদের অফিসে এসে পৌঁচেছে। সেগুলি সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়। আমরা সেটা জানি বলেই যন্ত্রগুলোর উন্নতি সাধন করতে চাই। আমরা অত্যন্ত বাধিত হব যদি আপনারা সময় করে এগুলো একটু পরীক্ষা করে আপনদের মতামত জানান যাতে আমরা আরও বেশি করে আপনাদের সেবা করতে পারি। আপনারা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকেন জেনেই সময় জানালে আমাদের গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি।‘
‘ওই চিঠিটা পেয়ে একটু আশ্চর্য হয়ে যাই,’ ডঃ এল–ঘটনার কথা আমার ক্লাসে বর্ণনা করার সময় বলেন। আমি আশ্চর্য আর নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। কোন রঞ্জন-রশ্মি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আগে কখনও আমার মতামত চায়নি। এত নিজেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছিল। ওই সপ্তাহের প্রতিটি রাতে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও একটা ডিনার বাতিল করে দিলাম ওই যন্ত্রটা দেখার জন্য। যতই সেটা দেখলাম ততই আবিষ্কার করলাম যন্ত্রটা আমার দারুণ ভালো লেগেছে।
কেউ ওটা আমায় বিক্রির চেষ্টা করেনি। দেখলাম হাসপাতালের জন্য যন্ত্রটা কেনা সম্পূর্ণ আমারই মর্জি। যন্ত্রটার চমৎকার গুণাগুণের জন্যই আমি ওটার অর্ডার দিয়ে বসানোর ব্যবস্থা করলাম।
উড্রো উইলসন যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে আসীন তখন কর্ণেল এডোয়ার্ড এম. হাউস জাতীয় আর আন্তর্জাতিক ব্যাপারে প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। উইলসন কর্ণেল হাউসের উপর গোপন পরামর্শের জন্য দারুণ নির্ভর করতেন যা তিনি তাঁর ক্যাবিনেটের অন্যান্য সদস্যদের উপর করতেন না।
কর্ণেল প্রেসিডেন্টের উপর প্রভাব ফেলার জন্য কি পথ ধরেছিলেন? সৌভাগ্যবশতঃ আমি সেটা জানতে পেরেছি। যেহেতু হাউস নিজেই সেকথা আর্থার ডি. হাউডেন স্মিথকে বলেন আর স্মিথ সেটা হাউসের নাম করে দি স্যাটারডে ইভনিং পোস্টে একটা প্রবন্ধ লেখেন।
হাউস যা বলেছিলেন তা এই রকম।
.
‘আমি প্রেসিডেন্টকে ভালো করে জানার পর বুঝলাম তাকে নিজের মতে আনার সবার সেরা উপায় হলো তার মনে কোন একটা ধারণা বদ্ধমূল করে দেয়া আর সেটা কথায় কথায় হালকা ভাবেই দিতে হবে। এমনভাবে তা করতে হবে যাতে তার মনে সেটা ভাববার সুযোগ থাকে। প্রথমবার একটা দুর্ঘটনার মধ্য দিয়েই সেটা ঘটে গেল। আমি হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে একটা পরামর্শ দিতে সেটা তিনি বাতিল করে দিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে ডিনার টেবিলে আশ্চর্য হয়ে দেখলাম তিনি সেটা বেমালুম নিজের বলে চালিয়ে দিলেন।
হাউস কি বাধা দিয়ে বলেছিলেন, কখনও না, এটা আপনার কথা নয়, এটা আমার? ওহ্ না। হাউস সে রকম করার মানুষ নন। তিনি ঢের বেশি কৌশলী। তিনি প্রশংসার জন্য লালায়িত ছিলেন না, তিনি চাইতেন ফল। তাই তিনি উইলসনকে ভাবতে দিলেন মতলবটা তাঁরই। অবশ্য হাউস আরও বেশি কিছু করলেন। তিনি সকলের সামনে উইলসনকে ধারণাটার জন্য দারুণ প্রশংসা করলেন।
মনে রাখি আসুন যে আগামীকালই যার সঙ্গে কাজ করতে যাবো সেও ঠিক উড্রো উইলসনের মতই মানুষ। অতএব আসুন কর্ণেল হাউসের মতই কৌশলকে কাজে লাগাই।
নিউ ব্রানসউইকের একজন লোক ক’বছর আগে এই কৌশলটা আমার উপর কাজে লাগায় আর আমার সমর্থনও লাভ করে। আমি তখন নিউ ব্রানসউইকে মাছ ধরতে আর নৌকাবিহার করার মতলব করছিলাম। তাই ট্যুরিষ্ট ব্যুরোর খবর চেয়ে পাঠালাম। আমার নাম ঠিকানা ওদের তালিকায় ওঠার ফলে প্রায় কদিনের মধ্যে শ’য়ে শ’য়ে কাগজ চিঠি এবং নানা রকম শিবিরে থাকার ব্যবস্থার খবর আসতে লাগল। আমি বিহ্বল হয়ে পড়লাম, কোন্টা পছন্দ করব বুঝতে পারলাম না। এবার এক শিবিরের মালিক ভারি বুদ্ধির একটা কাজ করল। সে আমায় একটা চিঠি দিয়ে নিউ ইয়র্কের কিছু লোকের নাম, ঠিকানা আর টেলিফোন নম্বর পাঠিয়ে বলল তাদের সে সেবা করেছে। সেটা কেমন আমিই জেনে নিতে পারি।
আমি অবাক হয়ে দেখলাম ওই তালিকার একজন আমার পরিচিত। আমি তাঁকে টেলিফোন করলাম আর তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে শিবিরে ফোন করে আমার খাওয়ার দিন জানিয়ে দিলাম।
অন্যেরা তাদের জিনিস আমাকে বিক্রির চেষ্টা করছিল, কিন্তু একজন আমাকে নিজেকেই বিক্রি করতেই দিল। জয় হল তারই।
পঁচিশ শতাব্দী আগে একজন চেনা জ্ঞানী ব্যক্তি লাওৎসে যা বলেছিলেন তা এই বইয়ের পাঠকদের জানা থাকলে খারাপ হবে না :
নদী আর সাগর শত শত পাহাড়ী নদীর উৎসর্গ লাভ করে যেহেতু তারা সমুদ্রের নিচেই অবস্থান করে। আর সেই কারণেই তারা পাহাড়ী নদীর উপর কর্তৃত্ব করতে পারে। তাই জ্ঞানী মহান মানুষেরা সাধারণ মানুষের উপরে থাকার জন্যই তাদের পিছনেই থাকেন। তাই তারা সাধারণের উপর কর্তৃত্ব করলেও তারা তাদের ভার বুঝতে পারে না। তাই তাদের স্থান আগে হলেও কেউ আঘাত পায় না।’
অতএব অপরকে যদি নিজের মতে আনতে চান, তাহলে ৭ নম্বর নিয়ম হল :
অপর ব্যক্তিকে ভাবতে দিন মতলবটা তারই।