১৬. মীর্জা কামরান লাহোর যাত্রা করবেন

মীর্জা কামরান লাহোর যাত্রা করবেন। জ্যোতিষী শুভক্ষণ ঠিক করে দিয়েছে। ফজরের নামাজের পরপরই যাত্রা শুরু করতে হবে। পরের শুভক্ষণ মধ্যনিশা। মীর্জা কামরান প্রথম শুভক্ষণ বেছেছেন।

কান্দাহারের রাজমহিষীরা সবাই যাবেন। কান্দাহারে থাকবেন। আসকারি মীর্জা।

যাত্রা শুরুর আগে মীর্জা কামরান তার মা গুলারুখ বেগমের কাছে গেলেন দোয়া নেওয়ার জন্যে। গুলারুখ বেগম লাহোর যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মীর্জা কামরান মা’র কাছ থেকে বিদায় নিলেন। গুলারুখ বেগম বললেন, আমি মা হিসেবে তোমার মঙ্গল কামনা করছি। যাত্রা শুভ হোক। আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

বলুন কী প্রশ্ন?

তুমি নাকি তোমার বড়ভাই হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰ হাতে নেবে? তাকে ধরিয়ে দেবে শের শাহ’র হাতে?

কোথায় শুনলেন এমন কথা?

গুলারুখ বেগম বললেন, দরবারের সব কথাই অন্তঃপুরে আসে। অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে। এখন আমার প্রশ্নের জবাব দাও।

মীর্জা কামরান বললেন, আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। তার আগে আমার চারটি প্রশ্ন আছে। আপনাকে দীর্ঘ জবাব দিতে হবে না। দীর্ঘ জবাব শোনার মতো সময় আমার হাতে নেই। শুধু ‘হ্যা’ কিংবা ‘না’ বলবেন। প্রথম প্রশ্ন, রাজ্যহারা হুমায়ূন কি এখন বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?

হ্যাঁ।

তার সঙ্গীসাথীরা একে একে সরে পড়ছে। সৈন্যবাহিনীর প্রায় সবাই তাঁকে ত্যাগ করেছে। হ্যাঁ নাকি না?

হ্যাঁ।

তৃতীয় প্রশ্ন, রাজ্যহারা হুমায়ূনের কি এখন কোনো ভবিষ্যৎ আছে?

গুলারুখ বেগম জবাব দিলেন না। মীর্জা কামরান বললেন, আপনি জবাব দেন নি, কাজেই ধরে নিলাম। এই প্রশ্নের উত্তরও হ্যাঁ।

চতুর্থ এবং শেষ প্রশ্ন, আপনি কি চান আপনার মহান স্বামী যে মোঘল রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা টিকে থাকুক?

হ্যাঁ।

তাহলে আমি যা করছি তার বিকল্প নেই। আমি লাহোরে শক্তি সংগ্রহ করব।

তুমি তোমার বড়ভাইয়ের পাশে দাঁড়াবে না?

মীর্যা কামরান বললেন, অন্যের দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আমি নিজেকে জড়াব না।

এই ভাই তোমার প্রতি যে মমতা দেখিয়েছে তা তুমি বিস্মরণ হয়েছ?

মমতা দুর্বলের অস্ত্ৰ। আমি দুর্বল না।

গুলারুখ বেগম দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, এর অর্থ কি এই যে তুমি তোমার ভাইকে শক্রর হাতে তুলে দেবে?

মীর্জা কামরান চুপ করে রইলেন। গুলারুখ বেগম কঠিন গলায় বললেন, মা হিসেবে তোমার কাছে আমার একটাই অনুরোধ-ভাইকে শের শাহ’র হাতে তুলে দেওয়ার আগে তুমি নিজ হাতে তাকে হত্যা করবে। তোমার প্রতি সে যে মমতা এবং ভালোবাসা দেখিয়েছে এটা হবে তার পুরস্কার।

মেয়েলি কথাবার্তা শোনার সময় আমার নেই মা।

তোমার ভাই কিন্তু শুনতো।

শুনে শুনেই তো আজ তাঁর এই অবস্থা। শিয়ালের মতো সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে তাড়া করছে শিকারি কুকুর।

তার মতো শিয়াল হতে পারা মহা সৌভাগ্যের ব্যাপার। আচ্ছা তুমি রওনা হও। তোমাকে দেরি করিয়ে দিলাম।

 

হুমায়ূন আছেন সিন্ধুর নাদান দুর্গে। এই দুর্গের প্রধান উছি বেগ দুর্গ হুমায়ূনের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে দুর্গের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন। উছি বেগের উদ্দেশ্য পরিষ্কার না। এটা কি কৌশলে হুমায়ূনকে বন্দির চেষ্টা? হুমায়ূন দুর্গে বন্দি থাকবেন। শের শাহ’র কাছে খবর যাবে। বিশাল পুরস্কারের বিনিময়ে উছি বেগ হুমায়ূনকে তুলে দেবেন শের শাহ’র হাতে?

হামিদা বানু দুর্গের একটি কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই বিশ্রাম তার জন্যে প্রয়োজন ছিল। এই মুহুর্তে তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর শরীর খুবই খারাপ করেছে। গায়ে প্রবল জ্বর। সেবা করার কেউ নেই।

বৈরাম খাঁ’র হাতে এখন সৈন্যসংখ্যা মাত্র নয় শ’। তবে এরা সবাই সুশিক্ষিত। এক শ’ তীরন্দাজ আছে, যাদের নিশানা অব্যৰ্থ। বৈরাম খাঁ দুর্গপ্রাচীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় তাদের বসিয়ে দিয়েছেন। ঘোড়সওয়ার বাহিনী দুর্গের মূল ফটকের কাছে রাখা হয়েছে। পাথরের তৈরি দুর্গ হালকা কামান দেগেও কিছু করা যাবে না।

উছি বেগের সঙ্গে বৈরাম খাঁ বৈঠকে বসেছেন। উছি বেগের উদ্দেশ্য যদি ধরা যায়। উছি বেগ বারবারই বলছেন-আমি একজন বিপদগ্ৰস্ত রাজ্যহারা মানুষকে সাহায্য করছি, এর বেশি কিছু না।

বৈরাম খাঁ বললেন, বিপদগ্ৰস্ত মানুষকে সাহায্য করতে দেখা যায় কিন্তু রাজ্যহারা মানুষকে কেউ সাহায্য করে না।

উছি বেগ বললেন, কেউ করে না তা ঠিক না, আমি তো করছি।

আপনি কি পুরস্কারের আশায় এই কাজ করছেন?

না। ভালো কাজ পুরস্কারের লোভে কেউ করে না।

বৈরাম খাঁ বললেন, আপনার মহানুভবতায় আমি মুগ্ধ। কোনো এক শুভক্ষণে সম্রাট হুমায়ূন নিশ্চয়ই আপনাকে পুরস্কৃত করবেন।

আপনারা যত দিন ইচ্ছা এই দুর্গে থাকবেন। দুর্গে রসদ নেই, পানি নেই। আমি ব্যবস্থা করছি। হাম্মামখানায় কিছু পানি আছে, তাতে আজকের রাতটা চলবে। ভোর হোক, সব ব্যবস্থা হবে।

আল্লাহপাক আপনার মঙ্গল করুন।

হাম্মামখানায় পানি পাওয়া গেল না। হাম্মামখানার কল খোলা, সব পানি বের হয়ে গেছে। দুর্গের রসদঘর শূন্য। একদানা চাল বা গম পাওয়া গেল না। বৈরাম খাঁ প্ৰমাদ গুনলেন। তিনি নিশ্চিত উছি বেগের উদ্দেশ্য ভাল না।

ভোরবেলা রসদ বা পানি কোনোটাই এল না। পানিশূন্য অবস্থায় সারা দিন কাটল। জওহর আবিতাবিচির সংগ্রহে দুই মশক পানি আছে। হুমায়ূনের প্রয়োজন মিটবে, কিন্তু অন্যদের কী হবে? বৈরাম খাঁ উছি বেগের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করলেন। উছি বেগ দুর্গের ভেতর আসতে রাজি হলেন না। বৈঠক হবে উছি বেগের তাঁবুতে। বৈরাম খাঁ তাতেই রাজি। নিরস্ত্র অবস্থায় তিনি উছি বেগের তাঁবুতে ঢুকলেন। তাদের কথোপকথন

বৈরাম খাঁ : সম্রাট-পত্নী হামিদা বানু সন্তানসম্ভবা। তিনি অসুস্থ। প্রবল জ্বরে কাতর।

উছি বেগ : শুনে দুঃখিত হলাম। আমার সঙ্গে কোনো চিকিৎসক নেই। থাকলে পাঠিয়ে দিতাম।

বৈরাম খাঁ : দুর্গে পানি নেই। খাবার নেই।

উছি বেগ ; আমি এই বিষয়ে কিছু করতে পারছি না। চেষ্টা করেও সংগ্ৰহ করতে পারি নাই। আমাদেরও খাদ্য-পানির সংকট।

বৈরাম খাঁ : বাদশাহ হুমায়ূন আপনার কাছে একটা প্রস্তাব উপস্থিত করতে আমাকে বলেছেন। তিনি নিজ পত্নীর অবস্থা দেখেই এমন একটা প্রস্তাব করছেন।

উছি বেগ : বলুন কী প্রস্তাব।

বৈরাম খী : উনার সঙ্গে একটি বহু মূল্যবান রত্ন আছে। রত্নটি আপনি উপহার হিসেবে পাবেন।

উছি বেগ : রত্নটির নাম কি কোহিনূর?

বৈরাম খাঁ : হ্যাঁ, কোহিনূর। আপনি খোঁজখবর ভালোই রাখেন। দুর্গপ্রধান না হয়ে আপনার রাজ্যপ্রধান হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক, সম্রাটের একটি শর্ত আছে।

উছি বেগ : শর্ত দেওয়ার মতো অবস্থায় আপনার সম্রাট নেই, তার পরেও শুনি।

বৈরাম খাঁ : আপনি আমাদের সিন্ধুনদ পার হওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। পানি এবং রসদ সরবরাহ করবেন।

উছি বেগ : কোহিনূর কখন পাব?

বৈরাম খাঁ : পানি এবং রসদ নিয়ে আপনার লোকজন ঢুকবে। তাদের সঙ্গে আপনিও দুর্গে ঢুকবেন। তখনই আপনার হাতে কোহিনূর দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি কি রত্ন চেনেন?

উছি বেগ : না।

বৈরাম খাঁ : তাহলে কী করে বুঝবেন এটিই মহামূল্যবান কোহিনূর?

উছি বেগ : আমার এখানে একজন রত্নব্যবসায়ী আছে। সে চিনবে।

বৈরাম খাঁ : আপনি তাহলে আগে থেকেই প্রস্তুত। কোহিনূরের জন্যে এই কাণ্ড করছেন?

উছি বেগ : আপনার অনুমান সঠিক। কোহিনূর আগে আমার হাতে পৌঁছতে হবে। পানি এবং রসদ, পাথর হাতে পাওয়ার পর সরবরাহ করা হবে।

বৈরাম খাঁ : পাথর আপনি নিজে নেবেন? নাকি আমাকে নিয়ে আসতে হবে?

উছি বেগ : আপনি নিয়ে আসবেন। রত্নব্যবসায়ী আপনার সঙ্গে যাবে। সে রত্ব ঠিক আছে কি না দেখে নেবে।

বৈরাম খাঁ : রত্নব্যবসায়ীকে আমার সঙ্গে দিন। আমি পাথর নিয়ে ফিরছি। আমাকে কিছু সময় দিতে হবে। কোহিনূর বিশেষ জায়গায় লুকানো। খুঁজে বের করতে সময় নেবে। এর মধ্যে আপনি পানি এবং রসদের ব্যবস্থা করুন।

উছি বেগ : বিলম্ব হলে সমস্যা নেই।

 

রত্নবণিকের নাম মহাবীর। সে জাতিতে জৈন, পরম অহিংস। মুখেনাকে পাতলা কাপড় পরে রাখে, যেন মশা-মাছি নাকে-মুখে ঢুকে মারা না যায়। মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটে যেন পায়ের নিচে পড়ে পিঁপড়া মারা না যায়।

রত্নবণিককে দুর্গে ঢুকিয়েই দুর্গের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো। বৈরাম খাঁ বললেন, আমরা যে মহাবিপদে পড়েছি তা কি বুঝতে পারছেন?

মহাবীর বলল, আমি ব্যবসায়ী মানুষ এইসব কিছু বুঝি না। কোহিনূর আমাকে দেখাবেন। আমি বলব আসল জিনিস কিংবা নকল। আমার কাজ শেষ।

বৈরাম খাঁ বললেন, আপনি মন দিয়ে আমার কথা শুনুন। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী হলো আহত ব্যাঘ। আমি আহত ব্যাঘ।

খাঁ সাহেব, গেট খুলে দেন। আমি অহিংস মানুষ। পিঁপড়া পর্যন্ত মারি না।

আপনাকে পিঁপড়া মারতে হবে না। খামাখা পিঁপড়া কেন মারবেন? আপনি দেখবেন আমরা কী করে মানুষ মারি।

খাঁ সাহেব, গেট খুলে দেন।

এক্ষুনি গেট খুলে দেব। আমরা দুজন গেট দিয়ে বের হব। আমার হাতে থাকবে রেশমি রুমালের ভেতর সাধারণ একখণ্ড পাথর। আমি রুমাল উঁচু করে উছি বেগের তাঁবুর দিকে এগুতে থাকব। উছি বেগ তাঁবু থেকে ছুটে আসবে। আর তখনই আমার তীরন্দাজরা তাকে মারবে। উছি বেগের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আমার ঘোড়সওয়ার বাহিনী বের হবে। কিছুক্ষণ যুদ্ধ হবে। আপনি মানুষের মৃত্যু দেখবেন।

হতভম্ব মহাবীর বলল, আপনার লোক যখন তীর ছুঁড়বে সেই তীর তো আমার গায়েও লাগতে পারে।

সম্ভাবনা আছে, তবে আমার তীরন্দাজদের হাতের নিশানা ভালো। তাদের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

পরের অংশ সংক্ষিপ্ত। উছি বেগ প্রথম তীরের আঘাতেই ধরাশায়ী হলেন। তার দলের লোকদের হতভম্ব ভোব কাটার আগেই বৈরাম খাঁ’র বাহিনী বের হয়ে এল। ভারতবর্ষে সেনাপতির মৃত্যু মানেই যুদ্ধে পরাজয়। উছি বেগের লোকজন পালাতে শুরু করেছে। বৈরাম খাঁ’র জন্যে একটি ঘোড়া এবং তরবারি নিয়ে আসা হয়েছে। বৈরাম খাঁ লাফ দিয়ে ঘোড়ায় উঠতেই যুদ্ধ শেষ।

হুমায়ূন তাঁর বাহিনী নিয়ে নির্বিঘ্নে সিন্ধুনদ পার হলেন। উছি বেগের সৈন্যদের কাছ থেকে পাওয়া রসদ এবং পানির এখন আর অভাব নেই।

হামিদা বানুকে নৌকায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। তিনি একবার বললেন, আমরা কোথায়?

হুমায়ূন বললেন, সিন্ধুনদ পার হচ্ছি।

পানি খাব।

হুমায়ূন বললেন, যত ইচ্ছা পানি খাও। পানির অভাব নেই।

মহাবীর তীরবিদ্ধ হয় নি। সে বৈরাম খাঁ’র সঙ্গে আলাদা নৌকায় উঠেছে। মহাবীর বৈরাম খাঁ’র দিকে তাকিয়ে বলল, আমার নাম মহাবীর কিন্তু আপনি সত্যি মহাবীর এবং অতি বিচক্ষণ।

বৈরাম খাঁ হাই তুলতে-তুলতে বললেন, মানুষ মারা দেখে মজা পেয়েছে?

মহাবীর বলল, এইসব কী বলেন? আমরা অহিংস জাতি। পিঁপড়া পর্যন্ত মারি না।

বৈরাম খাঁ বললেন, আপনি আমাদের সঙ্গে জুটেছেন কী জন্যে?

কোহিনূর হীরা এক নজর দেখে জীবন সার্থক করার ইচ্ছা। সুযোগ কি পাব?

অবশ্যই পাবেন। তবে আগে কয়েকটা পিঁপড়া মারতে হবে। পারবেন?

মহাবীর অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, একটা পিঁপড়া মারতে রাজি আছি। এর বেশি পারব না।

বৈরাম খাঁ বললেন, পিঁপড়া মারতে হবে না। পিঁপড়া মারা ছাড়াই আপনাকে কোহিনূর দেখাব। তবে কোহিনূর সামান্য পাথর ছাড়া কিছু না। জীবন্ত সঠিক মানুষ হলো আসল কোহিনূর। পেছনের নৌকার দিকে তাকান। রাজ্যহারা সম্রাট হুমায়ূন স্ত্রীর হাত ধরে বসে আছেন। উনিই আসল কোহিনূর। দেখেছেন?

হুঁ। আপনারা যাচ্ছেন কোথায়?

শুধুমাত্র নদী জানে সে কোনদিকে যাচ্ছে। তার যাত্রা সমুদ্রের দিকে। মানুষ নদী না বলেই সে কোনদিকে যাচ্ছে তা জানে না।

মহাবীর বলল, আপনার সাহস এবং বীরত্ব দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই। আমি অর্থের যোগান দেব, আপনি সৈন্য সংগ্ৰহ করবেন। সৈন্য হচ্ছে তীর্থের কাক। ভাত ছিটালেই আসে।

বৈরাম খাঁ বললেন, অর্থের বিনিময়ে আপনাকে কোহিনূর দিতে হবে?

হুঁ।

বৈরাম খাঁ বললেন, শুনুন মহাবীর। কোহিনূর বিক্রি হয় না। এটা উপহার হিসেবে পাওয়া যায় কিংবা তলোয়ারের সাহায্যে কেড়ে নিতে হয়। আর কথা না বলে নদীর শোভা দেখুন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *