কালানুক্রমিক সারণী
প্রাচীন ভারতের ঘটনাবলির সঠিক কালক্রম নির্ধারণের অন্যতম অসুবিধা হলো, বিভিন্ন যুগে প্রচলিত ভিন্ন ভিন্ন সংবতের তারিখ সম্পর্কে বিভিন্নতা। প্রথম যুগের বড় বড় রাজবংশগুলো নিজস্ব রীতিতে সময় গণনা করত। বিভিন্ন সংবর্তের পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এর মধ্যে প্রধান সংবতগুলো হলো— বিক্রমাব্দ (৫৮–৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), শকাব্দ (৭৮ খ্রিস্টাব্দ), ও গুপ্তাব্দ (৩১৯-২০ খ্রিস্টাব্দ)। বিভিন্ন প্রত্নলেখ ও পুঁথিপত্রের সাহায্যে এই অব্দগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গেছে। বৌদ্ধসূত্রে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর সময় থেকে বছর গোনা হয়। কিন্তু মৃত্যুর তিনটি তারিখ প্রচলিত- ৫৪৪ খ্রিস্বপূর্বাব্দ, ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ও ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। অবশ্য শেষের দুটি তারিখই বেশি প্রচলিত। তবুও তিন বছরের পার্থক্য থেকেই যায়। বিদেশি পরিব্রাজকদের বিবরণ থেকে কখনো কখনো সাহায্য পাওয়া গেছে, কেননা তাঁদের উল্লিখিত তারিখের সঙ্গে অন্যসূত্রে পাওয়া তারিখ মিলিয়ে নেওয়া গেছে। দশম শতাব্দীর পর থেকে সময়ের হিসেব রাখা আরো দুরূহ হয়ে ওঠে। কারণ এসময় প্রত্যেক আঞ্চলিক রাজ্য নিজস্ব রীতিতে কালগণনা শুরু করে দিয়েছিল। তবে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর থেকে তুর্কী শাসকরা এবং তাদের পরবর্তী রাজারা সকলেই নিয়মিতভাবে প্রচলিত ইসলামী সংবৎ (হিজরি— ৬২২ খ্রিস্টাব্দ) ব্যবহার করত।
খ্রিস্টপূর্বাব্দ ॥ প্রায় ২৫০০ – হরপ্পা সভ্যতা।
প্রায় ১৫০০ – ভারতে ‘আর্যদের’ আগমন।
প্রায় ৮০০ – লোহার ব্যবহার শুরু। আর্য-সংস্কৃতির বিস্তার।
প্রায় ৬০০ – মগধের উত্থান।
প্রায় ৫১৯ – পারস্যের অ্যাকিমিনিড সম্রাট সাইরাসের উত্তর পশ্চিম ভারতের কোনো কোনো অংশ জয়।
৪৯৩ – মগধের রাজা অজাতশত্রুর সিংহাসনারোহণ।
৪৮৬ – বুদ্ধদেবের মৃত্যু।
প্রায় ৪৬৮ – জৈনধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীরের মৃত্যু।
৩৬২-২১ নন্দ রাজবংশ।
৩২৭-৫ – ম্যাসিডনের আলেকজাণ্ডারের ভারত অভিযান।
৩২১ – মৌর্যবংশ প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসনারোহণ।
প্রায় ৩১৫ – মেগাস্থিনিসের ভারত আগমন।
২৬৮-৩১ অশোকের রাজত্বকাল।
প্রায় ২৫০ – পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধসভার অধিবেশন।
১৮৫ – মৌর্যদের পতন। মগধে শুঙ্গবংশীয় রাজার সিংহাসনারোহণ।
১৮০-৬৫ – উত্তর-পশ্চিম ভারতে ইন্দো-গ্রীক রাজা দ্বিতীয় ডিমেট্রিয়াসের রাজত্বকাল।
১৫৫-৩০ – উত্তর-পশ্চিম ভারতে ইন্দো-গ্ৰীক রাজা মিনান্দারের রাজত্বকাল।
১২৮-১০ – সাতকর্নির নেতৃত্বে সাতবাহন বংশের উত্থান।
প্রায় ৮০ – পশ্চিম-ভারতে প্রথম শকরাজ্য মোয়েস।
প্রায় ৫০ – কলিঙ্গের রাজা খারবেল।
খ্রিস্টাব্দ ॥ প্রায় ৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে
১০০ খ্রিস্টাব্দ – দক্ষিণ-ভারতে রোমক বাণিজ্য।
প্ৰায় ৫০ – ভারতে সেন্ট টমাসের আগমন।
প্রায় ৭৮ – উত্তর-পশ্চিম ভারতে কুষাণরাজা কণিষ্কের রাজ্যারোহণ।
১৫০ – পশ্চিম-ভারতে শকরাজা রুদ্রদামনের শাসন।
৮৬-১১৪ সাতবাহন রাজ্যে গৌতমীপুত্রের শাসনকাল।
১১৪-২১ সাতবাহন রাজ্যে বাশিষ্ঠীপুত্রের রাজত্বকাল।
৩১৯-২০ – প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক ও গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠা।
৩৩৫ – সমুদ্রগুপ্তের সিংহাসনারোহণ।
৩৭৫-৪১৫ – দ্বিতীয় চন্দ্ৰগুপ্ত।
৪০৫-১১ – ফা-হিয়েন-এর ভারত ভ্রমণ।
৪৭৬ – জ্যোতির্বিদ আর্যভট্টের জন্ম।
৫০৫ – জ্যোতির্বিদ বরাহমিহিরের জন্ম।
প্রায় ৫০০ – উত্র-পশ্চিম ভারতে হুণ কবলিত।
৬০৬-৪৭ কনৌজের রাজা হর্ষবর্ধন।
৬৩০-৪৪ – হিউয়েন-সাঙ্-এর ভারত ভ্রমণ।
৬০০-৩০ – প্রথম মহেন্দ্রবর্মনের নেতৃত্বে পল্লব শক্তির প্ৰতিষ্ঠা।
৬০৮-৪২ – দ্বিতীয় পুলকেশীর নেতৃত্বে চালুক্য শক্তির
প্রায় ৬২০ – দ্বিতীয় পুলকেশীর কাছে হর্ষবর্ধনের পরাজয়।
৬৪২ – পল্লবরাজা নরসিংহবর্মনের কাছে দ্বিতীয় পুলকেশীর পরাজয়।
৭১২ – আরবদের সিন্ধু অধিকার।
৭৩৬ – ধিল্লিক শহর (দিল্লি আদি শহর) প্রতিষ্ঠা।
৭৪০ – চালুক্যদের কাছে পল্লবদের পরাজয়।
প্রায় ৭৫০ – পূর্ব-ভারতে গোপাল-এর পালবংশ প্রতিষ্ঠা।
প্রায় ৭৫৭ – রাষ্ট্রকূটদের কাছে চালুক্যদের পরাজয়।
প্রায় ৮০০ – দার্শনিক শঙ্করাচার্য।
৮১৪-৮০ রাষ্ট্রকূট রাজা অমোঘবর্ষের রাজত্বকাল।
প্রায় ৮৪০ –
প্রায় ৯০৭ –
রাজা ভোজের নেতৃত্বে প্রতিহারদের উত্থান। দক্ষিণ-ভারতে প্রথম পরান্তকের নেতৃত্বে চোল কর্তৃত্বের প্রতিষ্ঠা।
৯৮৫-১০১৪ প্রথম রাজারাজের নেতৃত্বে চোলদের রাজ্যবিস্তার।
৯৯৭-১০৩০ – গজনীর মামুদের উত্তর-ভারত অভিযান।
১০২৩ – রাজেন্দ্র চোলের উত্তর-ভারত অভিযান।
১০৩০ – ভারতে আলবেরুণী।
প্রায় ১০৫০ – দার্শনিক রামানুজ।
১০৭৭ – চীনদেশে চোল বণিক প্রতিনিধিদল।
১১১০ – বিষ্ণুবর্ধন ও হোয়সল শক্তির উত্থান।
১১৯২ – তরাইন-এর যুদ্ধে মহম্মদ ঘোরীর কাছে পৃথ্বীরাজ চৌহানের পরাজয়।
১২০৬ – কুতুবুদ্দীন আইবকের নেতৃত্বে দাস রাজবংশের প্ৰতিষ্ঠা।
১২১১-২৭ – ইলতুতমিসের রাজত্বকাল।
১২৬৫ বলবনের রাজত্বকাল।
১২৮৮-১২৯৩ – দক্ষিণ-ভারতে মার্কোপোলোর আগমন।
১২৯৬-১৩১৬ – আলাউদ্দীন খিলজীর রাজত্বকাল।
১৩০২-১১ দক্ষিণ-ভারতে মালিক কাফুরের অভিযান।
১৩২৫-৫১ – মহম্মদ-বিন তুঘলকের রাজত্বকাল; ভারতে ইবন-বতুতা।
১৩৩৬ – বিজয়নগর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা।
১৩৪৫ – বাহমনী রাজ্যের প্রতিষ্ঠা।
১৩৫৭ – ফিরোজ শাহ তুঘলকের সিংহাসনারোহণ।
১৪১৫-৫০ – দিল্লিতে সৈয়দদের শাসনকাল।
১৪১১-৪১ – গুজরাটের আহমদশাহের শাসনকাল।
১৪২১-১৪৩১ – বাংলাদেশে চেঙ্-হোর আগমন।
১৪৫১ – দিল্লিতে বাহলুল লোদীর সিংহাসনারোহণ।
১৪৪০-১৫১৮ – ভক্তি আন্দোলনের নেতা কবীর।
১৪৬৯-১৫৩৯ – ভক্তি আন্দোলনের নেতা নানক।
১৪৮৫-১৫৩৩ – ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্য।
১৪৮১ – মামুদ গবনের হত্যা।
১৪৯৮ – পর্তুগীজদের ভারত আগমন।
১৫০৯ – মেবারে রাণা সঙ্গের ক্ষমতায় অধিষ্ঠান।
১৫০৯-৩০ – বিজয়নগরে কৃষ্ণদেব রায়ের রাজত্বকাল।
১৫২৬ – পাণিপথের প্রথম যুদ্ধ।
শব্দার্থ
মূল ইংরেজি গ্রন্থের Glossary-র বানান ও উচ্চারণ-সম্পর্কিত ভূমিকা এবং পরিচিত অনেক ভারতীয় শব্দ বাংলা অনুবাদে অপ্রয়োজনীয় বোধে বর্জন করা হয়েছে। শুধু বর্ণানুক্রমিক ইংরেজি অনুসারী। – অনুবাদক।
অদ্বৈত – একটি দার্শনিক মতবাদ।
অগ্রহার – ব্রাহ্মণদের দত্ত রাজকীয় ভূমি বা গ্রাম।
অগ্নিকুল – কোনো কোনো রাজপুত গোষ্ঠী নিজেদের অগ্নিবংশোদ্ভূত বলে দাবি করে।
আজীবিক – বুদ্ধদেবের সমকালীন একটি প্রচলিত ধর্মমতবিরোধী সম্প্রদায়।
আলবার – তামিল ভক্তিবাদের অনুসারী বৈষ্ণব, কীর্তনীয়া।
অমাত্য – গুপ্তযুগের অসামরিক শাসনকর্তার পদের নাম।
আরণ্যক – বৈদিক শাস্ত্র, অরণ্যবাসী সন্ন্যাসীদের দ্বারা রচিত।
আয়ুক্ত – একটি রাজপদের নাম, মৌর্যযুগে প্রায়শই উল্লিখিত।
বনজারা – ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী দল।
ভারতনাট্যম – নাট্যশাস্ত্র গ্রন্থের রচয়িতা ভারতের নামানুসারে এক প্রাচীন নৃত্য পদ্ধতি।
ভোগ্তা – যে ভোগ করে; যারা বিশেষ বিশেষ জমির ওপর রাজস্ব আদায়ের অধিকার ভোগ করত, তাদের এই আখ্যা দেওয়া হতো।
ভুক্তি – রাজ্যের একটি শাসনতান্ত্রিক অঞ্চল।
বোধিসত্ব – যিনি জগতের মঙ্গলের জন্যে কাজ করেন ও নিজের ইচ্ছানুসারে পুনর্জন্মের আবর্তন থেকে মুক্তি স্থগিত রাখেন। ইহজীবন লাভের আগে বুদ্ধের অবতাররূপ।
ব্ৰহ্মদেয় – দান করা জমি থেকে বা গ্রামবাসীর কাছে পাওয়া ব্রাহ্মণের রাজস্ব।
ব্ৰাহ্মী – পাঠোদ্ধার করা ভারতের প্রাচীনতম লিপি।
চৈত্য – পবিত্র ঘেরা জমি। শব্দটি পরে বৌদ্ধ উপাসনা-স্থল বলতে ব্যবহৃত হতো।
চার্বাক – বুদ্ধদেবের সমসাময়িক একটি প্রচলিত ধর্মমতবিরোধী সম্প্রদায়; জড়বাদী দর্শনের সমর্থক।
চৌধুরী – গ্রামপর্যায়ের রাজকর্মচারী।
চেট্টি, চেট্টিয়ার – ব্যবসায়ী।
দিগম্বর – একটি জৈন সম্প্রদায়।
দেবদান – মন্দিরে দান করা রাজস্ব।
এরিপট্টি – দক্ষিণ-ভারতে সেচের পুকুরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে বিশেষ জমির রাজস্ব।
হীনযান – দুই প্রধান বৌদ্ধগোষ্ঠীর অন্যতম।
ইমাম – মসজিদে যিনি প্রার্থনা পরিচালনা করেন।
ইকতা – কোনো জমি বা গ্রামের রাজস্বদান।
জিজিয়া – মুসলিম শাসকের অধীনস্থ অ-মুসলমান প্রজাদের দেয় কর।
জিতল – একটি মাপ।
কাহাপন – সোনা, রুপো বা তামার মুদ্রা। সাধারণত ৫৭.৮ গ্ৰেন ওজনের রৌপ্যমুদ্রা ব্যবহৃত হতো।
কাকিনী – তাম্রমুদ্রা ২.২৫ গ্ৰেন ওজন।
কালামুখ – একটি শৈব উপাসক সম্প্রদায়।
খালসা – (পবিত্র) রাজার নিজস্ব জমি।
খরোষ্ঠী – উত্তর-ভারতীয় একটি লিপি, অ্যারামাইক লিপি থেকে উদ্ভুত।
ক্ষত্রি – মধ্যযুগীয় একটি উপবৰ্ণ।
কোট্টম – একটি শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
কুমারামাত্য – একটি রাজপদ।
কুর্রম – একটি শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
মহাক্ষত্ৰপ – খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীগুলোতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের শাসকদের উপাধি।
মহাসম্মত – রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে বৌদ্ধ সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব অনুসারে নির্বাচিত শাসক।
মহাযান – বৌদ্ধধর্মের দুটি প্রধান গোষ্ঠীর একটি।
মণ্ডল – আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের যে মতবাদ অনুসারে কোনো রাজ্যের একটি প্রতিবেশী বন্ধু ও অপর প্রতিবেশী শত্রু।
মণ্ডলম – শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
মণিগ্রামম – বণিকদের সমবায় সংঘ।
মাৎস্যন্যায় – যে রাজনৈতিক তত্ত্ব অনুসারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে বলবান দুর্বলকে গ্রাস করে।
মীমাংসা – প্রাচীন ভারতীয় দর্শনের প্রধান ছয়টি বিভাগের একটি।
মোহর – সুলতানী আমলের মুদ্রা।
মুয়াজ্জিন – মসজিদে দিনে পাঁচবার প্রার্থনার জন্যে যে ব্যক্তি মুসলিমদের আহ্বান করেন।
মুন্সেফ – সুলতানী আমলের একটি সরকারি পদ।
মুকতি – রাজস্বের অংশ যিনি ভোগ করেন, বা প্রাদেশিক শাসনকর্তা।
নাডু – শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
নাগর – মধ্য ও উত্তর-ভারতের স্থাপত্য রীতির নাম।
নগরম – শহরাঞ্চলের স্থানীয় পরিষদগুলোর নাম।
নানাদেশী – একটি ক্ষমতাশালী বণিক সমবায় সংঘ।
নয়নার – তামিল ভক্তি মতবাদের শৈব কীর্তনীয়া।
নিষ্ক – প্রাচীনযুগের মুদ্রামূল্যের নাম ও পরবর্তীযুগের মুদ্রার নাম।
ন্যায় – প্রাচীন ভারতের ছয়টি দার্শনিক মতবাদের একটি।
পণ – একটি মুদ্রা। অনেক সময় ‘কার্ষাপণ’ মুদ্রাকেও বলা হতো।
পঞ্চকুল – পাঁচটি কুল বা পরিবারের প্রতিনিধিবর্গ।
পাশুপত – একটি শৈব সম্প্রদায়।
পাটোয়ারী – গ্রামপর্যায়ের কর্মচারী।
পীর – বিশেষ ধরনের ধর্মীয় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি এবং সূফী মতবাদীদের সমপর্যায়ভুক্ত।
কাজী – মুসলিম আইনজ্ঞ।
কোরান – মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।
রাজগুরু – রাজকীয় পুরোহিত।
রাজসূয় – রাজাদের বিশেষ ধরনের যজ্ঞ।
রাজুক – মৌর্যযুগের এক শ্রেণির রাজকর্মচারীর নাম।
রাণক – সামন্তপ্রভু।
রাষ্ট্র – দেশ বা শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
রত্নিন – রত্ন; বিশেষ রাজকীয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট দ্বাদশ ব্যক্তিদের একজন।
সাংখ্য – প্রাচীন ভারতের ছয়টি প্রধান দর্শনের অন্যতম।
সন্ন্যাসী – সংসার-ত্যাগী।
সতী – যে নারী মৃত স্বামীর চিতায় আত্মাহুতি দেন।
শেখ – অভিজাত শ্রেণির মুসলমান বা ধর্মীয় গুরু।
সঙ্গম – প্রাচীন তামিল সাহিত্য।
শরিয়া – ইসলামী আকরগ্রন্থ।
শতমান – এক ধরনের মুদ্রা, যার রৌপ্যমুদ্রার ওজন ১০৮ গ্ৰেন।
শিখর – মন্দিরের সর্বোচ্চ স্তম্ভ।
শ্রেণি – বণিকদের সমবায় সংঘ।
সোম – যে লতা থেকে মাদক সোমরস তৈরি হতো এবং বৈদিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো।
স্তূপ – বুদ্ধদেব বা বৌদ্ধধর্মের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের দেহাবশেষের ওপর নির্মিত বিশেষ গৃহ।
টঙ্কা – সুলতানী যুগের মুদ্রা।
তানিয়ুর – শাসনতান্ত্রিক বিভাগ।
তান্ত্রিক – একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী।
ঠাকুর – সামন্তপ্রভু।
থেরবাদ – বৌদ্ধ গোষ্ঠী।
উলেমা – মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক।
উপনিষদ – বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্গত দার্শনিক ও অতীন্দ্রিয়বাদী গ্ৰন্থ।
উর – গ্রাম পরিষদ।
বৈশ্য – হিন্দুসমাজের চারটি বর্ণের তৃতীয় বর্ণ।
বৰ্ণ – জাত।
বিহার – বৌদ্ধ মঠ।
যবন – ভারতীয় সূত্রে পশ্চিম-এশিয়ার লোকদের এই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
যোগ – প্রাচীন ভারতের ছয়টি প্রধান দর্শনের একটি।
জেনানা – বাড়ির যে অংশ মেয়েদের জন্যে নির্দিষ্ট থাকে।
সাধারণ গ্রন্থপঞ্জী
১. ভি. স্মিথ – অক্সফোর্ড হিসট্টি অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড, ১৯৫৮
২. এ. এল. ব্যাশাম— দি ওয়াণ্ডার দ্যাট ওয়াজ ইন্ডিয়া। লন্ডন, ১৯৫৪
৩. ডি. ডি. কোশাম্বী- দি কালচার অ্যান্ড সিভিলাইজেশন অফ এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া ইন হিসটোরিক্যাল আউটলাইন। লন্ডন, ১৯৬৫
৪. থ. দ্য ব্যারি সম্পাদিত- সোর্সেস অফ ইন্ডিয়ান ট্রাডিশন। নিউইয়র্ক, ১৯৫৮
৫. এ. বি. এম. হাবিবুল্লা- ফাউণ্ডেশন অফ মুসলিম রুল ইন ইন্ডিয়া। লাহোর, ১৯৪৫
৬. পি. ভি. কানে – হিট্রি অফ দি ধর্মশাস্ত্র। পুণা, ১৯৩০-৪৬
৭. কে. এম. আশরফ— লাইফ অ্যান্ড কণ্ডিশন অফ দি পিপ্ল অফ হিন্দুস্তান। দিল্লি
৮. জে. এন. ফারকুহার- আউটলাইন অফ দি রিলিজিয়াস লিটারেচার অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড, ১৯২০
৯. তারাচাঁদ— ‘ইনফ্লুয়েন্স অব ইসলাম অন ইন্ডিয়ান কালচার ১৯৫৪
১০. জে. ই. চারপেনটিয়ার- থেইসম্ ইন মেডিয়েভাল ইন্ডিয়া। ১৯১৯
১১. এ. বোস- সোসাল অ্যান্ড রুরাল ইকনমি অফ নর্দার্ন ইন্ডিয়া। কলকাতা, ১৯৬১
১২. ইউ. এন ঘোষাল – দি অ্যাগ্রেরিয়ান সিস্টেম ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া। কলকাতা, ১৯৩০
১৩. টি. মোরল্যাণ্ড— অ্যাগ্রেরিয়ান সিসটেম অফ মুসলিম ইন্ডিয়া। কেমব্রিজ, ১৯২৯
১৪. কে. এ. নীলকান্ত শাস্ত্রী— এ হিস্ট্রি অফ সাউথ ইন্ডিয়া। লন্ডন, ১৯৫৮
১৫. এ. কানিংহাম- দি এনসিয়েন্ট জিওগ্রাফী অফ ইন্ডিয়া। কলকাতা, ১৯২৪
১৬. টি. ফিলিওজা- লা ডকট্রিন ক্লাসিক দ্য লা মেডিসিন ইণ্ডিয়নে। প্যারিস, ১৯৪৯
১৭. এ. কানিংহাম- এ বুক অফ ইন্ডিয়ান এরাস। কলকাতা, ১৮৮৩
১৮. এ. কে. কুমারস্বামী- হিট্রি অফ ইন্ডিয়ান অ্যান্ড ইন্দোনেশিয়ান আর্ট। লন্ডন, ১৯২৭
১৯. বি. রোল্যাণ্ড— দি আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার অফ ইন্ডিয়া। লন্ডন, ১৯৫৩
২০. জি. টি গ্যারাট সম্পাদিত- দি লিগ্যাসি অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড, ১৯৩৭
২১. কে. এম. পানিক্কার- জিওগ্রাফিক্যাল ফ্যাক্টরস ইন ইন্ডিয়ান হিট্রি। বোম্বাই, ১৯৫৯
উৎস নির্দেশক গ্রন্থপঞ্জী
এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়ের বিভিন্ন সূত্র সংবলিত গ্রন্থগুলোর বিবরণ এখানে দেওয়া হচ্ছে। মূল উপাদানের ইংরেজি অনুবাদ যেখানে সম্ভব উল্লেখ করা হবে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকপত্রের তালিকাও এই অংশটির পরে দেওয়া হলো।
প্রথম অধ্যায়
জেমস মিল, ‘দি হিট্রি অফ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৮২৬)- এই বইটিতে সমকালীন পরিচিত ইউরোপীয় মানদণ্ডে ভারতবর্ষকে বিচার করার একটা নিদর্শন পাওয়া যাবে। স্বভাবতই ওই মানদণ্ডে ভারতবর্ষের স্থান বেশি উঁচুতে ওঠেনি। ম্যাসমূলার, ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস’ (১৯০৩),–এই বইতে ঠিক বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় আছে। অর্থাৎ ভারতীয় যে কোনো বিষয়কে সপ্রশংস সমর্থন করা হয়েছে। ভি. স্মিথ, ‘দি অক্সফোর্ড হিট্রি অফ ইন্ডিয়া’ (১ম সংস্করণ, ১৯১৯- এবং ‘আর্লি হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’ (১৯২৪)— বই দুটি শাসকের দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত। কে. পি. জয়সোয়াল, ‘হিন্দু পলিটি’ (কলিকাতা, ১৯২৪)- এই বইটিতে খুব সচেতনভাবে জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিহাসের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে। অধিকাংশ পাঠ্য-বইতেই হিন্দু-মুসলমান-বৃটিশ-এই যুগবিভাগ অনুসরণ করা হয়েছে। যেমন, স্মিথের বই বা অধিকতর ব্যবহৃত আর. সি. মজুমদার, এইচ. সি. রায়চৌধুরী ও কে. কে. দত্ত রচিত ‘অ্যান অ্যাডভান্সড হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া (লন্ডন, ১৯৬১)।
সমাজতান্ত্রিক সূত্রপ্রয়োগে ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণ লেখা হয়েছে একটি বইতে- ম্যাকস ওয়েবার, ‘দি রিলিজিয়ন অফ ইন্ডিয়া’ (গ্লেনকো, ১৯৫৮)। ওয়েবার-এর সমস্ত, বিশ্লেষণ সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য মনে না হলেও ধৰ্ম, সমাজ ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ের একটা চেষ্টা অন্তত হয়েছে। এই আলোচনা থেকে কতকগুলো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ওঠে।
বিভিন্ন সূত্রের সাহায্যে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস আবিষ্কারের চেষ্টা কিভাবে হয়েছিল তার বিবরণ পাওয়া যাবে জে কামিং-সম্পাদিত ‘রিভিলিং ইন্ডিয়াস পাস্ট’ (লন্ডন, ১৯৩৯) বইটিতে। এর অনেকটাই প্রথমদিকের প্রত্নতাত্ত্বিক বিবরণ সম্পর্কিত। সম্প্রতি কিছুকালের মধ্যে ভারতের প্রাগৈতিহাসিক যুগ সম্পর্কে কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, বি সুব্বারাও, ‘দি পার্সোনালিটি অফ ইন্ডিয়া, (বরোদা, ১৯৫৮), আর. ই. এম. হুইলার, ‘আর্লি ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ (লন্ডন, ১৯৫৮), এস. পিগট ‘প্রিহিস্টরিক ইন্ডিয়া’ (হারমণ্ডসওয়ার্থ, ১৯৬২), এবং এইচ. ডি সংকালিয়া, ‘দি প্রিহিট্রি অ্যান্ড প্রোটোহিসট্রি অফ ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ (বম্বে, ১৯৬৩)। খননকাজের ওপর সবচেয়ে আধুনিক বিবরণ পাওয়া যাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-প্রকাশিত দুটি সাময়িকপত্রের মধ্যে-এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ এবং ‘ইন্ডিয়ান আর্কিওলজি, এ রিভিউ’; এ ছাড়াও আছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত প্রবন্ধ এবং পুনার ডেকান কলেজের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রকাশিত পুস্তিকাগুলো। হরপ্পা সংস্কৃতির ওপর স্যার জন মার্শাল-রচিত ‘মহেঞ্জোদারো অ্যান্ড দি ইনডাস সিভিলাইজেশন’ (লন্ডন, ১৯৩৭) বইটিতে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আরো আধুনিক বই হলো আর. ই. এম. হুইলার- রচিত ‘দি ইনডাস সিভিলাইজেশন, (কেম্ব্রিজ, ১৯৫৩)। বি. এস গুহ-রচিত ‘অ্যান আউটলাইন অফ দি রেসিয়াল এথনোলজি অফ ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৩৭)— সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য গ্ৰন্থ।
দ্বিতীয় অধ্যায়
তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের প্রথমদিকের গবেষকদের মধ্যে ছিলেন, স্যার উইলিয়াম জোনস। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তাঁর এবং অন্যান্য গবেষকদের লেখা ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে জোনস কর্তৃক স্থাপিত এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গলের সাময়িক পত্রিকা ‘এশিয়াটিক রিসার্চেস’-এর মধ্যে পাওয়া যাবে।
বৈদিক সাহিত্য সম্পর্কিত নানাগ্রন্থের মধ্যে আর্য-সংস্কৃতির বিবরণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ঐতিহাসিক তথ্য হিসেবে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হলো, ‘দি হিস অফ দি ঋগবেদ’; অনুবাদক, আর. টি. এইচ. গ্রিফিথস (বেনারস, ১৮৯৬-৯৭), ‘ঐতরেয় ব্রাহ্মণ’; অনুবাদক, এ. বি. কীথ (এইচ. ও এস ২৫, কেম্ব্রিজ, ম্যাস, ১৯২০); ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’, অনুবাদক জে, এগেলিং (অক্সফোর্ড, ১৮৮২- ১৯০০); ‘তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ’, সম্পাদক আর. মিত্র (কলকাতা, ১৮৫৫-৭০); ‘থার্টিন প্রিন্সিপাল উপনিষস’, অনুবাদক এফ. ম্যাক্সমূলার (অক্সফোর্ড, ১৯২১); ‘দি গৃহ-সূত্রস’, অনুবাদক এইচ ওল্ডেনবার্গ (অক্সফোর্ড); ‘দি ধর্মসূত্রস’, অনুবাদক জি, বুলার (অক্সফোড )।
ইন্দো-ইউরোপীয় বাসভূমি ও আর্যসভ্যতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজাতিগুলোর পরিব্যাপ্তি সম্পর্কে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন গর্ডন চাইল্ড। এঁর দুটি বই আছে— ‘দি এরিয়ানস’ (লন্ড, ১৯২৬) এবং ‘নিউ লাইট অন দি মোস্ট এনসিয়েন্ট ইস্ট’ (লন্ডন, ১৯৫২)। এছাড়াও আছে, ‘কেম্ব্রিজ হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’, প্রথম খণ্ড। এই বইটির প্রাসঙ্গিক অধ্যায়গুলোতে আর্য-সংস্কৃতির বিবরণ পাওয়া যাবে। এই যুগের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার চেষ্টা হয়েছে, এইচ. সি. রায়চৌধুরী-রচিত ‘দি পলিটিক্যাল হিট্রি অফ এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৫৩) এবং হিট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপল’, ১ম খন্ড; ‘দি বৈদিক এজ’ (মুম্বাই, ১৯৫১) বই দুটিতে। এছাড়াও আছে, এ. এ. ম্যাকডনেল, বৈদিক মিথোলজি (স্ট্রাসবুর্গ, ১৮৯৭) এবং এ. বি. কীথ, ‘রিলিজিয়ন অ্যান্ড ফিলসফি অফ দি বেদস অ্যান্ড উপনিষস’ (কেমব্রিজ, ম্যাস’ ১৯২৫)। এই বই দুটিতে আর্যধর্ম ও পৌরাণিক কাহিনীগুলোর বিবরণ আছে। যজ্ঞের রাজনৈতিক ও সামাজিক তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা পাওয়া যাবে সি. ড্রেকমিয়ার-রচিত ‘কিংশিপ অ্যান্ড কমিউনিটি ইন আলি ইন্ডিয়া’ (স্ট্যানফোর্ড, ১৯৬২) বইটিতে। যজ্ঞের ধর্মীয় দিকটি আলোচিত হয়েছে এম. মস ও এইচ. হুবার্ট-রচিত ‘মেলাঙ্গে দ্য হিস্টোয়ার দে রিলিজিয়নস’ (প্যারিস ১৯২৯) বইটিতে। বর্ণপ্রথার ক্রমবিবর্তনের উপযোগী বিবরণ পাওয়া যাবে কে. এইচ. হাটন-রচিত ‘কাস্ট ইন ইন্ডিয়া’ (কেম্ব্রিজ, ১৯৪৬) বইটিতে। আই কার্ভে-রচিত ‘হিন্দু সোসাইটি, অ্যান ইন্টারপ্রিটেশন’ (পুনা, ১৯৬১) বইটিতে বর্ণপ্রথা সম্পর্কিত আধুনিক সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার বিবরণ পাওয়া যাবে।
তৃতীয় অধ্যায়
এই যুগের বিভিন্ন ঘটনার ঐতিহাসিক উপাদান প্রচুর। বৌদ্ধ, জৈন এবং ব্রাহ্মণ্য শাস্ত্র ও বিবরণী ছাড়াও বিভিন্ন প্রাচীন শহর খননের সাহায্যে ঐতিহাসিক উপাদান এবং গ্রীক সূত্রেও নানা তথ্য পাওয়া গেছে।
বৌদ্ধ গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে, ‘অঙ্গুত্তর নিকায়’ (লন্ডন, ১৯৩২-৩৬); ‘ধম্মপদ’, অনুবাদক ম্যাক্সমূলার (অক্সফোর্ড, ১৮৯৮); ‘দীঘনিকায়’, অনুবাদক টি. ডবলিউ রিজ ডেভিস (লন্ডন, ১৮৯৯); ‘জাতক’, সম্পাদনা ই. বি. কাওয়েল (কেমব্রিজ, ১৮৯৩-১৯১৩) এবং ‘বিনয়পিটক’, অনুবাদক এইচ. ওল্ডেনবার্গ ও টি. ডবলিউ. রিজ ডেভিস (অক্সফোর্ড, ১৮৮১-৮৫)। জৈন গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে, ‘পরিশিষ্ট-পরবন’, ‘উবসদসাও’, ‘কল্পসূত্র’ এবং ‘আচারঙ্গ’। এগুলোর প্রাসঙ্গিক অংশ অনুবাদ করেছেন এইচ. জাকোবি তাঁর ‘জৈনসূত্রম’ (অক্সফোর্ড, ১৮৮৪-৯৫) গ্রন্থে।
কয়েকটি পুরাণ প্রকৃতপক্ষে পরবর্তী যুগে লেখা হলেও সেগুলোতে এই যুগের উল্লেখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উপযোগী ‘বিষ্ণুপুরাণ’, অনুবাদক এইচ. এইচ. উইলসন (লন্ডন, ১৮৬৪-৭০), এবং ‘ভাগবতপুরাণ’, অনুবাদক ই. বোনফ (প্যারিস, ১৮৪০-৯৮)। পাণিনির ব্যাকরণ ‘অষ্টাধ্যায়ী থেকে পরোক্ষভাবে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। গ্রীক পর্যটক ও অন্যান্য রচয়িতাদের বিবরণ সংকলন ও অনুবাদ করেছেন জে. ডবলিউ ম্যাকক্রিন্ডল তাঁর কয়েকটি বইতে, যেমন, ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া অ্যাজ ডেসক্রাইবড বাই টেসিয়াস দি নিভিয়ান, (কলকাতা ১৮৮২); ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া অ্যাজ ডেসক্রাইবড ইন ক্লাসিক্যাল লিটারেচার’ (ওয়েস্টমিন্স্টার, ১৯০১) এবং ‘দি ইনভেশন অফ ইন্ডিয়া বাই আলেকজান্ডার দি গ্রেট’ (ওয়েস্টমিনস্টার, ১৮৯৬)। এছাড়া, হেরোডোটাস-এর ‘হিস্ট্রি’ (অক্সফোর্ড, ১৯১৩-১৪) বইটিতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের নানা তথ্য উল্লেখ আছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজের বিবরণের মধ্যে আছে জে. মারশাল-এর ‘ট্যাকিসলা’ (কেম্ব্রিজ, ১৯৫১); এ. ঘোষ, ‘রাজগৃহ’; জি. আর শৰ্মা, ‘কৌশাম্বী’ (এলাহাবাদ, ১৯৬০); বি. সি. লাহার ‘জিওগ্রাফি অফ আর্লি বুদ্ধিজ্জ্ম’ (লন্ডন, ১৯৩২)— এই প্রসঙ্গে উপযোগী।
বি. সি. লাহার ‘সাম ক্ষত্রিয় ট্রাইস ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯২৪) বইটিতে প্রাচীন গণরাজ্যগুলোর বিবরণ আছে। এইচ. সি. রায়চৌধুরী, ‘পলিটিক্যাল হিট্রি অফ এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৫৩) বইটিতে ঐ যুগের রাজনৈতিক ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। ওয়াই. মিশ্র, ‘অ্যান আর্লি হিস্ট্রি অফ বৈশালী, (দিল্লি, ১৯৬২) পুস্তকে একটি অঞ্চলের বিস্তারিত ইতিহাস পাওয়া যায়। টি. ডবলিউরিজ ডেভিস, ‘বুদ্ধিস্ট ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯০৩) এবং আর. ফিক ‘সোসাল অর্গানাইজেশন অফ নর্থ-ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ইন বুদ্ধস টাইম’ (কলকাতা, ১৯২০) বই দুটিতে সমকালী সমাজ ও অর্থনীতির নানা বিবরণ আছে। ডি. চানানা, ‘স্লেভারি ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (দিল্লি, ১৯৬০) এবং আর. এস. শর্মা, ‘শূদ্রস ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (দিল্লি, ১৯৫৮) বই দুটি আরো সাম্প্ৰতিক; বই দুটিতে প্রাচীন ভারতের সামাজিক ইতিহাসের বিবরণ পাওয়া যায় এবং এই যুগের উল্লেখও আছে। ই. কোনজ, ‘বুদ্ধিজ্জ্ম, ইটস এসেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বইটি বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে ধারণা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ই. জে. টমাস, ‘আৰ্লি বুদ্ধিস্ট স্ক্রিপ্চারস’ (লন্ডন, ১৯৩৫) বইটিতে বৌদ্ধসাহিত্যের কিছু কিছু অনুবাদ পাওয়া যাবে। জৈনধর্মের শিক্ষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে এস. স্টিভেনসন, ‘দি হার্ট অফ জৈনিজ্জ্ম’ (অক্সফোর্ড, ১৯৩৫) বইটিতে।
আলেকজান্ডারের অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ আছে ভি. স্মিথ, ‘আর্লি হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’ (অক্সফোর্ড, ১৯২৪) বইটিতে। আলেকজান্ডারের জীবনীগ্রন্থ হলো ডবলিউ. ডবলিউ. টার্ন-এর ‘আলেকজান্ডার দি গ্রেট’ (কেম্ব্রিজ, ১৯৫০) বইখানি।
চতুর্থ অধ্যায়
ঐতিহাসিক যুগে এসে পৌঁছানোর পর প্রথাগত ঐতিহাসিক উপাদানের সঙ্গে অন্য ধরনের ঐতিহাসিক উপাদানের সাহায্য পাওয়া যায়, যেমন প্রত্নলেখে বিধৃত তথ্য। প্রথম ধরনের তথ্য সংকলিত হয়েছে এফ. ই. পার্জিটার, ‘ডাইনাস্টিস অফ দি কলি এজ…’ (লন্ডন, ১৯১৩) বইটিতে। সম্রাট অশোকের শিলালিপিগুলোর অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন ই. হালস তাঁর ‘করপাস ইন্সক্রিপশনাম ইন্ডিকেরাম’, ১ম খণ্ড (লন্ডন, ১৯২৫) বইটিতে। সাম্প্রতিককালে আবিষ্কৃত গ্ৰীক ও ব্রাহ্মীলিপির পাঠোদ্ধার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
কৌটিল্যর ‘অর্থশাস্ত্র’ সম্পাদনা করেছেন টি. গণপতি শাস্ত্রী ও অনুবাদ করেছেন আর শ্যামশাস্ত্রী (মহীশূর, ১৯৫৮)। বিশাখদত্তর নাটক ‘মুদ্রারাক্ষস’ সম্পাদনা করেছেন কে. এইচ. ধ্রুব (পুনা, ১৯২৩)।
মৌর্যযুগ সম্পর্কে বৌদ্ধ ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় এই বইগুলোতে- ‘দীপবংশ’, সম্পাদনা : ওল্ডেনবার্গ (লন্ডন, ১৮৭৯); ‘মহাবংশ’, সম্পাদনা; গেইগার (লন্ডন, ১৯০৮); ‘দিব্যাবদান’; সম্পাদনা : কাওয়েল ও নীল (কেম্ব্রিজ, ১৮৮৬) এবং জে. প্রিলুস্কি রচিত ‘লা লিজেন্ড দ্য লেম্পারিও অশোক’ (প্যারিস, ১৯২৩)। এই বইটিতে চীনা ও উত্তরাঞ্চলের বৌদ্ধদের মধ্যে অশোকের সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনীগুলো সংকলিত হয়েছে।
মেগাস্থিসিনের ‘ইন্ডিকা’ অনুবাদ করেছেন জে. ডবলিউ ম্যাকক্রিন্ডল তাঁর ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া অ্যাজ ডেসক্রাইবড বাই মেগাস্থিনিস অ্যান্ড অ্যালিয়ান’ (কলকাতা, ১৮৭৭) বইটির মধ্যে।
খনন কাজের ফলে মৌর্যযুগ স্তরের যে ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে, তার বিবরণ পাওয়া যায় ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ বইটিতে। এর মধ্যে হস্তিনাপুর ও শিশুপাল গড় সম্পর্কে তথ্য আছে। মৌর্যদের সম্পর্কে বিশেষ গ্রন্থ হলো, ভি. স্মিথ, ‘অশোক (অক্সফোর্ড, ১৯০৩), কে. এ. নীলকান্ত শাস্ত্রী, ‘দি এজ অফ দি নন্দস অ্যান্ড মৌর্যস’ (বেনারস, ১৯৫২); আর. থাপার, ‘অশোক অ্যান্ড দি ডিক্লাইন অফ দি মৌর্যস’ (অক্সফোর্ড, ১৯৬১); ‘হিসট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপল’ ২য় খণ্ড, ‘দি এজ অফ ইমপিরিয়াল ইউনিটি’ (মুম্বাই, ১৯৫১)।
পঞ্চম অধ্যায়
শুঙ্গ রাজাদের সম্পর্কে জানতে হলে ‘ডাইনাস্টিস অফ দি কলি এজ’ বইটিতে পারজিটার পৌরাণিক রাজাদের যে তালিকা দিয়েছেন, তার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও আছে কালিদাসের নাটক ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’। এটির সংক্ষিপ্তসার পাওয়া যাবে রায়চৌধুরী রচিত ‘পলিটিক্যাল হিট্রি অফ এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৫৩) বইটিতে। খারবেল-এর হাতিগুম্ফা লিপি প্রকাশিত হয়েছে আর. মিত্র রচিত ‘অ্যান্টিকুইটিস অফ ওড়িষ্যা’, ২য় খণ্ড (১৮৮০) বইটিতে।
ইন্দো-গ্রীক রাজাদের ইতিহাস রচিত হয়েছে প্রধানত প্রত্নলেখ মুদ্রার সাহায্যে। মুদ্রা বিষয়ে জানা যায় বেশ কয়েকটি বইতে। এ. কানিংহাম, ‘কয়েন্স অফ আলেকজাণ্ডারস সাসেসরস ইন দি ইস্ট…’; আর. বি. হোয়াইটহেড, ‘ক্যাটালগ অফ কয়েন্স ইন দি পাঞ্জাব মিউজিয়াম’, লোহার, ১ম খণ্ড (অক্সফোর্ড, ১৯১৪); ভি. স্মিথ, ‘ক্যাটালগ অফ কয়েস ইন দি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ক্যালকাটা’ ১ম খণ্ড (অক্সফোর্ড, ১৯০৬); জে. অ্যালান, ‘ক্যাটালগ অফ কয়েন্স ই দি ব্রিটিশ মিউজিয়াম’, এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া, (লন্ডন, ১৯৩৬)। পি. গার্ডনার, ‘ক্যাটালগ অফ কয়েন্স ইন দি ব্রিটিশ মিউজিয়াম, গ্রীক অ্যান্ড সিথিক কিংস’, (লন্ডন, ১৮৮৬)। এ বিষয়ে সবচেয়ে আধুনিক বই হলো, এ. কে. নারায়ণ রচিত ‘দি ইন্দো-গ্রীকস’ (লন্ডন, ১৯৫৭)। এ ছাড়াও আরেকটি পুরনো বই হলো, ডবলিউ. ডবলিউ. টার্ন, ‘দি গ্রীকস ইন ব্যাকট্রিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ (কেম্ব্রিজ, ১৯৫১)।
এই যুগের লিপি সম্পর্কিত বিবরণ আছে এই বইগুলোতে— এস. কনো, ‘করপাস ইন্সক্রিপশনাম ইন্ডিকেরাম’, ২য় খণ্ড (অক্সফোর্ড, ১৯২৯)। ‘মিলিন্দপন্হো’র অনুবাদ পাওয়া যাবে ‘দি কোয়েশ্চন্স অফ কিং মিলিন্দ (অক্সফোর্ড, ১৮৯০-৯৪) বইতে। সিথিয়ানদের সম্পর্কে জানা যায়, জে. ই. ভ্যান লুইজেন দ্য লিউ-এর ‘দি সিথিয়ান পিরিয়ড’ (লীডেন, ১৯৪৯) বইটিতে। আর. গিরশম্যান রচিত ‘বেগ্রাম’ (কায়রো, ১৯৪৬) বইটিতে কুষাণদের সম্পর্কে নানা তথ্য আছে।
সাতবাহন যুগের বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নলেখগুলো পাওয়া যায় ‘এপিগ্রাফিয়া ইন্ডিকা’য়, বিশেষত সপ্তম ও অষ্টম খণ্ডে। এইসব শিলালিপি ও আরো অন্যান্য শিলালিপিগুলোর তালিকা পাওয়া যায় ‘এপিগ্রাফিয়া ইন্ডিকা’র ১০ম খণ্ডে। ই. জে. র্যাপসন মুদ্রাসংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন ‘ক্যাটালগ অফ কয়েন্স ইন দি ব্রিটিশ মিউজিয়াম’, ‘অধ্নস অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন ক্ষত্রপস’ (লন্ডন, ১৯০৮) বইটিতে। আধুনিককালে সাতবাহনদের ইতিহাস ও কালক্রম সম্পর্কে নানা তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জি. ইয়াজদানী সম্পাদিত ‘দি আর্লি হিস্ট্রি অফ দি ডেকান’-এ সাতবাহনদের সম্পর্কে লিখিত অধ্যারে এবং ডি. ব্যারেট রচিত ‘স্কালপচার ফ্রম অমরাবতী ইন দি ব্রিটিশ মিউজিয়াম’ (লন্ডন, ১৯৫৪) বই দুটিতে।
তামিল ‘সঙ্গম’ সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ পাওয়া যাবে জে. ভি. চেলিয়া রচিত ‘টেন তামিল আইডিলস’ (কলম্বো, ১৯৪৭) বইটিতে। এই যুগের দাক্ষিণাত্য সম্পর্কে গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে আছে, পি. টি. এস. আয়েঙ্গার রচিত ‘হিস্ট্রি অফ দি তামিলস টু ৬০০ এ. ডি.’ (মাদ্রাজ, ১৯২৯) এবং কে. এন. শিবরাজ পিল্লাই-এর ‘ক্রোনোলজি অফ দি আর্লি তামিলস’ (মাদ্রাজ, ১৯৩২)।
এই যুগের বিভিন্ন পথ সম্পর্কে বিবরণ পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের আকরগ্রন্থ থেকে — ‘জাতক’, প্লিনীর ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ এবং টলেমীর ‘জিওগ্রাফি’। এ সম্পর্কে আলোচনা আছে ডবলিউ. ডবলিউ. টার্ন রচিত ‘হেলেনিস্টিক সিভিলাইজেশন’ (লন্ডন, ১৯৩০) বইতে। মধ্য এশিয়া ও চীনের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের কথা আলোচিত হয়েছে এই বইগুলোতে— পি. সি. বাগচী ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড চায়না’ (কলকাতা, ১৯৪৪); এন. পি. চক্রবর্তী, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া’ (কলকাতা, ১৯২৭) এবং অরেল স্টাইন-এর ‘এনসিয়েন্ট খোটান’ (অক্সফোর্ড, ১৯০৭) ও ‘সেরিডিয়া’ (অক্সফোর্ড, ১৯২১)।
ষষ্ঠ অধ্যায়
এই যুগের সমবায় সংঘগুলো সম্পর্কে নানা সূত্রে খবর পাওয়া যায়। বৌদ্ধ ও জৈন সূত্রে সংঘগুলোর উল্লেখ ও বিবরণ আছে। তাছাড়া, নাসিকে সাতবাহন শিলালিপিতে সংঘগুলোর বিবরণ পাওয়া যাবে। ‘ধর্মশাস্ত্র’ বা আইন সংক্রান্ত গ্রন্থের মধ্যেও সংঘের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ হলো ‘মনুস্মৃতি’। অনুবাদ করেছেন জি. বুলার তাঁর ‘দি লজ্ অফ মনু’ (অক্সফোর্ড, ১৮৮৬) বইতে। আরেকটি অনুবাদগ্রন্থ হলো, জে. জলি রচিত ‘দি ইনটিটিউটস অফ বিষ্ণু’ (অক্সফোর্ড, ১৮৮০)।
আরিকামেদু-তে যে খনন কাজ হয়েছিল, তার বিবরণ লিখেছেন হুইলার, কৃষ্ণদেব ও ঘোষ এবং এটি প্রকাশিত হয়েছে ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’য় ২; ১৯৪৬। কাবেরী-পত্তিনমেও খনন কাজ হয়েছে, কিন্তু কোনো বিবরণ প্রকাশিত হয়নি। রোমান বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা পাওয়া যাবে আর. ই. এম, হুইলার রচিত ‘রোম বিঅন্ড দি ইম্পিরিয়াল ফ্রন্টিয়ার’ এবং ই. এইচ. ওয়ারমিংটন রচিত ‘কমার্স’ বিটুইন রোমান এম্পায়ার অ্যান্ড ইন্ডিয়া (কেম্ব্রিজ, ১৯২৮) বই দুটিতে। জে. ডবলিউ. ম্যাকক্রিন্ডল টলেমীর গ্রন্থগুলোর কোনো কোনো অংশ অনুবাদ করেছেন তাঁর ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া অ্যাজ ডেস্ক্রাইড বাই টলেমী’ (কলকাতা; ১৯২৭) বইটিতে। এছাড়া ডবলিউ. এইচ. স্কফ অনুবাদ করেছেন ‘পেরিপ্লাস অফ দি ইরিথ্রিয়ান সী’ (লন্ডন, ১৯১২)। এই বিষয়ের ওপর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বই হলো আর. কে. মুখার্জীর ‘হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ান শিপিং’ (লন্ডন, ১৯১২)। কিন্তু বইটিতে অনেক ত্রুটি আছে।
জে. মার্শাল রচিত ‘গান্ধার আর্ট’ বইটি গান্ধার শিল্প সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিবরণে পূর্ণ। বৌদ্ধ স্থাপত্যকলার বিকাশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে পি. ব্ৰাউন রচিত ‘ইন্ডিয়ান আরকিটেকচার’, (বুদ্ধিস্ট অ্যান্ড হিন্দু) (মুম্বাই, ১৯৪৯) বইতে। মহাযান বৌদ্ধরচনার নির্বাচিত অংশের অনুবাদ পাওয়া যাবে ‘বুদ্ধিস্ট মহাযান সূত্রস’ (অক্সফোর্ড, ১৮৯৪) বইতে। বৌদ্ধধর্মের ওপর বই ছাড়াও আছে, টি. ডবলিউ রিস ডেভিস রচিত ‘বুদ্ধিজ্জ্ম, ইটস্ হিট্রি অ্যান্ড লিটারেচার’ (লন্ডন, ১৯২৩) বইটি। জৈনধর্ম সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য পাওয়া যায়, ‘কেম্ব্রিজ হিট্রি অফ ইন্ডিয়া’, ১ম খণ্ডে, বইটির জৈনধর্ম সম্পর্কিত অধ্যায়ে। বৈষ্ণব ধর্মের নানা পরিবর্তনের বিবরণ পাওয়া যাবে এই বইগুলোতে— এইচ. সি. রায়চৌধুরী, আলি হিস্ট্রি অফ দি বৈষ্ণব সেক্ট’ (কলকাতা, ১৯২৬) এবং এস. রাধাকৃষ্ণান অনূদিত ‘ভাগবদ্গীতা’ (লন্ডন)। ভারতে টমাসের আগমন বিষয়ে বই হলো, এ. ই. মেডলিকট রচিত ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দি অ্যাপোল টমাস’ (লন্ডন, ১৯০৫)।
সপ্তম অধ্যায়
গুপ্তযুগের প্রত্নলেখগুলো সম্পাদনা ও অনুবাদ করেছেন জে. ফ্লিট তাঁর ‘করপাস ইনক্রিপশনাম ইনিডকেরাম’, ৩য় খণ্ড (কলকাতা, ১৮৮৮) বইটিতে। মুদ্রা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে এই দুটি বইতে : জে. অ্যালান, ‘ক্যাটালগ অফ দি কয়েন্স অফ দি গুপ্ত ডাইনাস্টি ইন দি ব্রিটিশ মিউজিয়াম’ (লন্ডন, ১৯১৪) এবং এ. এস. আলটেকার, ‘ক্যাটালগ অফ দি গুপ্ত গোল্ড কয়েন্স ইন দি বায়ানা হোর্ড’ (মুম্বাই, ১৯৫৪)। ফা-হিয়েনের ভারত ভ্রমণের বিবরণ অনুবাদ করেছেন এইচ. এ. গাইলস, ‘দি ট্রাভেল্স অফ ফা-হিয়েন’ (কেমব্রিজ, ১৯২৩)। ঐ যুগের সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে বিশাখদত্তের ‘দেবীচন্দ্রগুপ্তম্’। কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান- শকুন্তলম’ অনুবাদ করেছেন ডবলিউ. জোনস (লন্ডন, ১৭৯০)। ‘কুমারসম্ভব’ অনুবাদ করেছেন আর. টি. এইচ. গ্রীফিথস (লন্ডন, ১৭৮৯)। ‘মেঘদূতম্’ অনুবাদ করেছেন সি. কিং (লন্ডন, ১৯৩০)। এছাড়া, অন্যান্য সংস্কৃত গ্ৰন্থ নিয়ে আলোচনা পাওয়া যাবে এ. বি. কীথ রচিত ‘হিস্ট্রি অফ স্যান্সক্রিট লিটারেচার’ (অক্সফোর্ড, ১৯২০) বইতে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বই হলো, বাৎসায়নের ‘কামসূত্র’। এটি অনুবাদ করেছেন বি. এন. বসু (কলকাতা, ১৯৪৪)। এছাড়াও আছে ‘কামন্দক নীতিসার’, সম্পাদনা করেছেন টি. গণপতি শাস্ত্রী (ত্রিবান্দ্ৰাম, ১৯১২); আর আছে ‘বিষ্ণুপুরাণ’, অনুবাদক এইচ. এইচ উইলসন (লন্ডন, ১৮৬৪-৭০)। ‘ধর্মশাস্ত্র’ বা আইন গ্রন্থগুলোর অনুবাদ পাওয়া যাবে এই বই দুটিতে- জি. বুলার অনূদিত ‘সেক্রেড লজ অফ দি আর্যস’ (অক্সফোর্ড, ১৮৭৯-৮২) এবং জি. জলি অনূদিত ‘দি মাইনর ল বুকস’ (অক্সফোর্ড, ১৮৮৯)।
হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের ইতিহাস পাওয়া যায় বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত’ (লন্ডন, ১৮৯৭) বইটিতে। এছাড়া, হিউয়েন-সাঙ-এর ভারতভ্রমণের বিবরণ আছে— ওয়াটারস সম্পাদিত ‘অন হিউয়েন সাঙ্গু ট্রাভেলস ইন ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯০৪- ৫) বইটিতে। অন্যান্য তথ্যগ্রন্থ হলো, এস. বিল, ‘লাইফ অফ হিউয়েন সাঙ বাই দি শমন হুই লি’ (লন্ডন, ১৯১১) এবং এস. বিল, ‘সি. ইউ. কি. বুদ্ধিস্ট রেকর্ডস অফ দি ওয়েস্টার্ন ওয়ার্লড’। আর. কে. মুখার্জী রচিত ‘হর্ষ’ (লন্ডন, ১৯২৬) পুরনো হয়ে গেলেও এখনো এ বিষয়ে একমাত্র পুস্তিকা।
গুপ্ত-পরবর্তী রাজবংশগুলোর রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার জন্যে বিভিন্ন মুদ্রা ও শিলালিপির সাহায্য নেওয়া হয়। এছাড়া, উপরিউক্ত সাহিত্য গ্রন্থগুলোর তথ্যও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুদ্রা ও শিলালিপিগুলো এখনো কোনো একটি গ্রন্থের মধ্যে সংকলিত হয়নি। যেসব গ্রন্থের মধ্যে এসব তথ্যের নির্দেশ পাওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো, ‘হিসট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্স’, ৩য় খণ্ড, ‘দি ক্লাসিক্যাল এজ’ (মুম্বাই, ১৯৫৪) পৃ. ৬৭৮-৮৪; আর. সি. মজুমদার, ‘দি গুপ্ত বাকাটক এজ’ (লাহোর, ১৯৪৬); বি. পি. সিনহা, ‘দি ডিক্লাইন অফ দি কিংডম অফ মগধ’ (পাটনা, ১৯৫৪)। এছাড়া, এক তিব্বতী সন্ন্যাসী তারানাথ রচিত ভারতবর্ষে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন, এফ. এ. ফন শীফার তাঁর ‘গেশিসসটে ডাস বুদ্ধিসমাস ইন ইন্ডিয়েন’ (সেন্ট পিটার্সবার্গ, ১৮৬৯) বইতে। গুপ্তযুগের খনন কাজ সম্পর্কে বিবরণ পাওয়া যাবে ‘এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ পত্রিকায়।
শাসনব্যবস্থা ও কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় প্রত্নলেখ ও আইনগ্রন্থের মধ্যে। ইউ. এন. ঘোষাল রচিত ‘দি অ্যাগ্রেরিয়ান সিস্টেম ইন এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৩০) বইটিতে এ সম্পর্কিত তথ্যের সমাবেশ করা হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তাভাবনার উপযোগী বিবরণ দিয়েছেন জে. স্পেলম্যান তাঁর ‘পলিটিক্যাল থিওরি অফ এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া’ (অক্সফোর্ড, ১৯৬৪) বইটিতে। পি. ব্রাউন রচিত ‘ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার- হিন্দু অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট’ (মুম্বাই, ১৯৪৪) বইটিতে মন্দির স্থাপত্যের বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়। এই যুগের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে তথ্যের জন্য নিম্নলিখিত বইগুলো প্রয়োজনীয়- আর. জি. ভাণ্ডারকর, বৈষ্ণবিজম, শৈবিজম অ্যান্ড দি মাইনর রিলিজিয়াস সেক্টস’ (স্ট্রাসবুর্গ, ১৯১৩); এ. অ্যাভালন, ‘শক্তি অ্যান্ড শাক্ত’ (মাদ্রাজ, ১৯২৯); এইচ. এম. এলিয়ট, ‘হিন্দুইজ্জ্ম অ্যান্ড বুদ্ধিজ্জ্ম’ (লন্ডন, ১৯২২) এবং টি. ডি. সুজুকী অনূদিত ‘লঙ্কাবতার সূত্র’ (লন্ডন, ১৯৩২)। ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় গ্রন্থ হলো, এস. রাধাকৃষ্ণান, ‘ইন্ডিয়ান ফিলজফি’ (লন্ডন, ১৯২৩-২৭) এবং এস. এন. দাশগুপ্ত, ‘হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ান ফিলজফি’ (কেম্ব্রিজ ১৯২৩-৪৯)। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসার সম্পর্কিত গ্রন্থগুলো হলো- আর. লি. মে, ‘দি কালচার অফ সাউথ ঈস্ট এশিয়া’ (লন্ডন, ১৯৫৪); সি. সেডেস, ‘লে’তাত হিন্দুইজ দ্য’ ইন্দোচীনে দ্য’ ইন্দোনেসি’ (প্যারিস, ১৯৪৮); আর. সি. মজুমদার, ‘হিন্দু কলোনিজ ইন দি ফার ঈস্ট’ (ঢাকা, ১৯২৭) এবং এইচ. জি. কোয়ারিচ ওয়েলস, ‘দি মেকিং অফ গ্রেটার ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯৫১)। ঐ যুগের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ইতিহাস আছে জি. থিবো রচিত ‘ইন্ডিশ্চে অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড ম্যাথেমেটিক’ (স্ট্রাসবুর্গ, ১৮৯৯) বইটিতে।
অষ্টম অধ্যায়
এই যুগের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের জন্যে প্রভূত প্রত্নলেখের সাহায্য পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ লিপিগুলো সম্পাদনা করা হয়েছে ‘সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্সক্রিপশন্স’-এর বিভিন্ন খণ্ডে এবং সেগুলোর উল্লেখ আছে ‘অ্যানুয়াল রিপোর্ট অফ ইন্ডিয়ান এপিগ্রাফি’-তে। প্রথম প্রকাশনাটির প্রয়োজনীয় সংস্করণগুলোর গ্রন্থকার হলেন কে. ভি. এস. আয়ার (মাদ্রাজ, ১৯২৮, ১৯৩৩); ই. হালটজ্ (মাদ্রাজ, ১৮৯০-১৯২৯), এইচ. কে. শাস্ত্রী (মাদ্রাজ, ১৯২৪-২৬); ভি. ভি. আয়ার (মাদ্রাজ; ১৯৪৩)। এছাড়া, আর. সিউয়েল এবং এস. কে. আয়েঙ্গার সম্পাদনা করেছেন ‘হিস্টরিক্যাল ইন্সক্রিপশন্স অফ সাউথ ইন্ডিয়া’ (মাদ্রাজ, ১৯৩২)।
জি. ইয়াজদানী সম্পাদিত ‘দি আলি হিট্রি অফ দি ডেকান’ (লন্ডন, ১৯৬০) এবং ডি. সি. সরকার রচিত ‘সাকসেসরস অফ দি সাতবাহনস’ (কলকাতা, ১৯৩৯) বই দুটিতে সাতবাহন-পরবর্তী যুগের বিবরণ পাওয়া যাবে। এছাড়া, দক্ষিণ-ভারতের একটি অপেক্ষাকৃত গৌণ রাজবংশের বিবরণ রয়েছে জি. এম. মোরেস রচিত ‘দি কদম্বকুল’ (মুম্বাই, ১৯৩১) বইটিতে।
পল্লবদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্যে এই কয়েকটি বই প্রয়োজনীয়- আর. গোপালন, ‘হিস্ট্রি অফ দি পল্লবস অফ কাঞ্চী (মাদ্রাজ, ১৯২৮); এ. জুভো ডুবরিউল, ‘দি পল্লবস’ (পণ্ডিচেরী, ১৯১৭); ‘পল্লব অ্যান্টিকুইটিস, (লন্ডন, ১৯১৬); সি. মীনাক্ষী, ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড সোসাল লাইফ আন্ডার দি পল্লবস’ (মাদ্রাজ, ১৯৩৮)।
তামিল সন্ন্যাসীদের রচিত স্তবগুলো অনূদিত হয়েছে এফ. কিংসবেরি এবং জি. ই. ফিলিপ্স রচিত ‘হিমস অফ দি তামিল শৈবাইট সেন্টস’ (কলকাতা, ১৯২১) এবং জে. এস. এম. হুপার-এর ‘হিমস অফ দি আলোয়ারস’ (কলকাতা, ১৯২৯) বই দুটিতে। ‘সঙ্গম’ কাব্য সংকলনগুলোর পরবর্তী এবং ক্লাসিক্যাল তামিলসাহিত্যের পূর্ববর্তী যুগের সাহিত্যকর্ম অনুবাদ করেছেন জি. ইউ. পোপ তাঁর ‘নালাদিয়ার’ (অক্সফোর্ড, ১৮৯৩) এবং ‘দি সেক্রেড কুরাল’ (লন্ডন, ১৮৮৮) বই দুটিতে।
দুটি ধ্রুপদী সাহিত্যকর্মের অনুবাদ হলো- ‘মনিমেগালাই’, অনুবাদ কে. এ. আয়েঙ্গার (লন্ডন, ১৯২৮); ‘শিলাপ্পাদিগরম’, অনুবাদ ভি. আর. আর. দীক্ষিতার, ‘দি লে অফ দি অ্যাঙ্কলেট’ (অক্সফোর্ড, ১৯৩৯); দণ্ডীর ‘দশকুমারচরিত’, অনুবাদ এ. ডবলিউ. রাইডার (শিকাগো, ১৯২৭)।
জি. ইয়াজদানীর ‘অজন্তা’ (লন্ডন, ১৯৩০, ১৯৩৩; ১৯৪৬) হলো অজন্তার গুহাচিত্রগুলোর সচিত্র আলোচনা। এ. এইচ. লংহার্স্ট রচিত ‘পল্লব আর্কিটেকচার’ (মেময়ারস্ অফ দি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, নং ১৭, ৩৩, ১৯২৩; ১৯৮২) বইটিতে পল্লবদের স্থাপত্যের বিবরণ আছে। এ সম্পর্কিত আরো দুটি বই হলো— পি. ব্রাউন, ‘ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার’ এবং জে. ফার্গুসন, ‘হিট্রি অফ ইন্ডিয়ান অ্যান্ড ঈস্টার্ন আর্কিটেকচার’ (লন্ডন, ১৯১০)।
নবম অধ্যায়
এই যুগের প্রত্নলেখগুলো বিভিন্ন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। চোলযুগের লিপিগুলোর মোটামুটি তালিকা আছে এই বইগুলোতে- ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্ল’, ৪র্থ খণ্ড ‘দি এজ অফ ইম্পিরিয়াল কনৌজ’, পৃ: ৪৮৬ ও পরবর্তী এবং ৫ম খণ্ডে, ‘দি স্ট্রাগল ফর এম্পায়ার’, ৮১৯ ও পরবর্তী (মুম্বাই, ১৯৫৫, ১৯৫৭)। এছাড়া, ‘সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্সক্রিপশন্স’, ‘এপিগ্রাফিকা কর্নাটিকা এবং ‘এপিগ্রাফিকা ইন্ডিকা’ প্রভৃতিও দেখা যেতে পারে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় তথ্য নির্বাচিত হয়েছে নিম্নলিখিত প্রকাশনায়- আর. এস. পঞ্চমুখী, ‘কর্নাটক ইন্সক্রিপশন্স’ (ধারওয়ার, ১৯৪১, ১৯৫১); এল. রাইস, ‘মাইসোর অ্যান্ড কুর্গ ফ্রম দি ইন্সক্রিপশন্স’ (লন্ডন, ১৯০৯), ভি. রঙ্গাচার্য, ‘ইন্সক্রিপশন্স অফ দি ম্যাড্রাস প্রেসিডেন্সি’ (মাদ্রাজ, ১৯১৯)। রাষ্ট্রকূটদের প্রত্নলেখগুলোর বিবরণ আছে এই বইটিতে, ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্ল’, ৪র্থ খণ্ড, ‘দি এজ অফ ইমপিরিয়াল কনৌজ’, পৃ. ৪৭০।
দাক্ষিণাত্যের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর বিবরণ আছে ডবলিউ. এলিয়ট রচিত ‘কয়েস অফ সাউথ ইন্ডিয়া’ (স্ট্রাসবুর্গ, ১৮৯৭) বইটিতে।
এইযুগ সম্পর্কিত আধুনিক গ্রন্থ হলো, এ. এস. আলতেকার, ‘দি রাষ্ট্রকূটস অ্যান্ড দেয়ার টাইমস’ (পুনা, ১৯৩৪); ডি. ডেরেট, ‘দি হোয়সলস’ (অক্সফোর্ড, ১৯৫৭); টি. ভি. মহালিঙ্গম, ‘সাউথ ইন্ডিয়ান পলিটি’ (মাদ্রাজ, ১৯৫৫); কে. এ. নীলকান্ত শাস্ত্রী রচিত বিশদগ্রন্থ ‘দি চোলস’ (মাদ্রাজ, ১৯৫৫), ‘দি পান্ডিয়ান কিংডম’ (লন্ডন, ১৯২৮), এবং ‘এ হিস্ট্রি অফ সাউথ ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯৫৮)। অন্যান্য দক্ষিণ-ভারতীয় ভাষাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে তামিলভাষার উন্নতির বিবরণ আছে এই বই দুটিতে- এস. এস. পূর্ণলিঙ্গম পিল্লাই, ‘তামিল লিটারেচার’ (তিনেভেলী, ১৯২৯) এবং ভি. আর. দীক্ষিতার’
‘স্টাডিজ ইন তামিল লিটারেচার অ্যান্ড হিস্ট্রি’ (লন্ডন, ১৯৩০)। ধর্মীয় আন্দোলন সম্পর্কিত বইগুলো হলো এস. কে. আয়েঙ্গার, ‘সাম কনট্রিবিউশনস অফ সাউথ ইন্ডিয়া টু ইন্ডিয়ান কালচার’ (কলকাতা, ১৯৪২); সি. ভি. এন. আয়ার, ‘অরিজিন অ্যান্ড আলি হিস্ট্রি অফ শৈবিজম ইন সাউথ ইন্ডিয়া’ (মাদ্রাজ, ১৯৩৬) এবং কে. আর. সুব্রামনিয়াম, ‘অরিজিন অফ শৈবিজম অ্যান্ড ইট্স হিট্রি ইন দি তামিল ল্যান্ড’ (মাদ্রাজ, ১৯৪১)। এছাড়া, ‘দি ট্রাভেলস অফ মার্কোপোলো’, সম্পাদনা ও অনুবাদ ই. ল্যাথাম (হার্মন্ডসওয়ার্থ, ১৯৫৮) বইটিও এইযুগের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
দশম ও একাদশ অধ্যায়
এই যুগের প্রত্নলেখের বিবরণও বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। পালুগের ইতিহাস সম্পর্কিত লিপিগুলোর উল্লেখ আছে এন. জি. মজুমদার, ‘ইনক্রিপশন্স অফ বেঙ্গল’ ১-৩ খণ্ড এবং ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্ল, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৭৩। উড়িষ্যা সম্পর্কিত লিপিগুলো শেষোক্ত বইটির ৪৭৬ পৃষ্ঠায় এবং প্রতিহারদের লিপিগুলো ৪৭২ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে। কাশ্মীর সম্পর্কে প্রধান তথ্যগ্রন্থ হলো, কলহন রচিত ‘রাজতরঙ্গিণী’, অনুবাদ এম. স্টাইন (লন্ডন, ১৯০০)। কনৌজের রাজা যশোবর্মনের জীবনী রচনা করেন বাকপতি। এটির নাম ‘গৌড়বধ’, সম্পাদনা করেছেন এম. পি. পণ্ডিত (মুম্বাই, ১৮৮৭)। এই যুগের অন্যান্য সাহিত্যসূত্র হলো, সোমদেব রচিত ‘কথাসরিৎসাগর’, অনুবাদক সি. এইচ. টনি (কলকাতা, ১৮৮০-৮৭); সোমদেব সুরি, নীতিব্যাকমৃতম্, সম্পাদনা আর. সোনি (বম্বে, ১৯২৯); মেধাতিথি, ‘মনুভাষ্য’ অনুবাদক জি. ঝা (কলকাতা, ১৯২২-২৯)। বিলহন, ‘বিক্রমাঙ্কদেবচরিত’, সম্পাদনা জি. বুলার (বম্বে, ১৮৭৫); রাজশেখর, ‘কর্পূরমঞ্জরী’, অনুবাদক সি. আর. ল্যানম্যান (কেম্ব্রিজ, ম্যাস, ১৯০১); মেরুতুঙ্গ, ‘প্রবন্ধচিন্তামণি’, অনুবাদক সি. এইচ. টনি (কলকাতা, ১৯০১) এবং চাঁদবরদাই, ‘পৃথ্বীরাজরসো’, সম্পাদনা এস এস দাস (বেনারস, ১৯০৪)। রাজস্থানের প্রাচীন কাহিনী সম্পর্কে কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায় জে. টড রচিত ‘অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিস অফ রাজস্থান’, (লন্ডন, ১৯৬০) বইটিতে। ‘দি কয়েনস অফ মেডিয়েভাল ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৮৯৪) বইটি লিখেছেন এ. কানিংহাম।
এই যুগেই ভারতবর্ষ সম্পর্কে আরবি ও ফারসিভাষায় নানা গ্রন্থ রচিত হতে শুরু করে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, আলবেরুনির ‘তাহকিক-ই- হিন্দ’। এটির ইংরেজি অনুবাদ হলো ই. সি. সাচাউ-এর ‘আলবেরুনিস ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯১৪)। আরবদের সিন্ধুবিজয় এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত থেকে আক্রমণের কাহিনী আছে এইচ. এম. এলিয়ট ও জে. ডাউসন, ‘দি হিট্রি অফ ইন্ডিয়া অ্যাজ টোল্ড বাই ইট্স ওন হিস্টোরিয়ানস’, ১ম খণ্ডে। সমসাময়িক আরবি ও ফারসি রচনায় ভারতবর্ষ সম্পর্কে যা লিপিবদ্ধ হয়েছিল, তাও এই গ্রন্থে পাওয়া যাবে। গজনীর মামুদ সম্পর্কিত বইগুলো হলো— এম. হাবিব, ‘সুলতান মামুদ অফ গজনি’ (বম্বে, ১৯২৭) এবং এম. নাজিম, ‘লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ সুলতান মামুদ অফ গজনি’। জি. এফ. হুরানি রচিত ‘আরব সীফেয়ারিং ইন দি ইন্ডিয়ান ওসান ইন এনসিয়েন্ট অ্যান্ড আর্লি মেডিয়েভাল টাইমস’ (প্রিন্স্টন ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৫১) বইটিতে ঐ যুগের আরবদের ভারতের সঙ্গে নৌবাণিজ্যের বিবরণ তৎকালীন আরব জগতের প্রেক্ষাপটে আলোচিত হয়েছে।
এইযুগ সম্পর্কিত আধুনিক বইগুলোর মধ্যে আছে ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্প্ল’, ৪র্থ ও ৫ম খণ্ড— ‘দি এজ অফ ইমপিরিয়াল কনৌজ’ এবং ‘দ স্ট্রাগল ফর এম্পায়ার’ (মুম্বাই, ১৯৫৪, ১৯৫৫)। আরো বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থগুলো হলো- আর. এস. ত্রিপাঠি, ‘হিস্ট্রি অফ কনৌজ’ (বেনারস, ১৯৩৭); এইচ. সি. রায়, ‘ডাইনাস্টিক হিস্ট্রি অফ নর্দার্ন ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৩১); আর. সি. মজুমদার, ‘হিস্ট্রি অফ বেঙ্গল (ঢাকা, ১৯৪৩), ই, পায়ারস, ‘দি মৌখরিস’ (মাদ্রাজ; ১৯৩৪); সি. ভি. বৈদ্য, ‘হিস্ট্রি অফ মেডিয়েভাল হিন্দু ইন্ডিয়া’ (পুণা, ১৯২১-২৬); আর. ডি. ব্যানার্জী, ‘হিস্ট্রি অফ ওড়িষ্যা’ (কলকাতা, ১৯৩১); এ. সি. ব্যানার্জী, ‘রাজপুত স্টাডিজ’ (কলকাতা, ১৯৪৪); ডি. শৰ্মা, ‘আলি চৌহান ডাইনাস্টিস’ (দিল্লি, ১৯৫৯); ডি. সি. গাঙ্গুলী, ‘হিট্রি অফ দি পারমার ডাইনাস্টি’ (ঢাকা, ১৯৪৩); এ. কে. মজুমদার, ‘দি চালুক্যজ অফ গুজরাট’ (বম্বে, ১৯৫৬); এস. কে. মিত্র, ‘দি আর্লি রুলারস অফ খাজুরাহো’ (কলকাতা, ১৯৫৮); বি. পি. মজুমদার, ‘সোসিও-ইকনমিক হিস্ট্রি অফ নর্দার্ন ইন্ডিয়া’ (কলকাতা, ১৯৬০)। ঐযুগের ভূমিব্যবস্থার একটি নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন আর. এস. শর্মা, ‘ইন্ডিয়ান ফিউডালিজম, পায় ৩০০-১২০০০ খ্রিস্টাব্দ’, (কলকাতা, ১৯৬৫)। আরেকটি আধুনিক গ্রন্থ হলো- এল. গোপাল, ‘দি ইকনমিক লাইফ অফ নর্দার্ন ইন্ডিয়া’ (বারানসী, ১৯৬৫)।
দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ অধ্যায়
এই যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদানগুলো নির্বাচন, অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন, এইচ. এম. এলিয়ট ও জে. ডাউসন, তাঁদের ‘দি হিট্রি অফ ইন্ডিয়া অ্যাজ টোল্ড বাই ইটস ওন হিস্টোরিয়ান্স’, বইটির ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খণ্ডগুলোতে (কেম্ব্রিজ, ১৯৩১)। বইটির মধ্যে ঐ যুগের প্রধান বিবরণীগুলোর অংশ এবং ঐযুগ সম্পর্কে পরবর্তীকালের লেখকদের রচনা সংকলিত হয়েছে।) (ঐ লেখকদের মূল বইগুলোও পৃথকভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে।) কোনো কোনো আরব ভূগোলবিদ্ তাঁদের রচনার মধ্যে ভারতবর্ষ সম্পর্কে যে আলোচনা করেছেন তারও বিবরণ এর মধ্যে পাওয়া যাবে। ইবন বতুতার ‘রহলা’-র কিছু কিছু অংশ অনুবাদ করেছেন, এম. হোসেন (জি. ও এস. ১২২, ১৯৫৩)। ‘ইসলামিক কালচার’ পত্রিকার ১৫শ খণ্ডে ফিরোজ শাহর রাজত্বকাল সম্পর্কে ‘ফুতুহত-ই-ফিরোজ শাহী’, বইটির অনুবাদ পাওয়া যাবে। ফিরিস্তার ইতিহাস গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন জে. ব্রিস (কলকাতা, ১৯০৮)। মিনহাজ্ব-উ-সিরাজ রচিত ‘তাবাকত- ই-নাসিরি’ গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন এইচ. জি. রাডারটি (১৮৮১)। আল কালকাসান্দির গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন ও. স্পাইজ তাঁর ‘অ্যান আরব অ্যাকাউন্ট অফ ইন্ডিয়া ইন দি ফোরটিনথ সেনচুরি’ (স্টুটগার্ট, ১৯৩৬) বইটিতে। ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে এক অজ্ঞাত গ্রন্থকারের রচিত ভূগোলগ্রন্থ ‘হাদুদ-উল-আলম’ গ্রন্থটির অনুবাদক হলেন ভি.মিনোরস্কি (লন্ডন, ১৯৩৭)। মুঘল সম্রাট বাবরের আত্মজীবনী ‘বাবর-নামা’ অনুবাদ করেছেন, এ. এস. বিভারিজ (লন্ডন, ১৯২২)। ঐ যুগের রাজপুত রাজ্যগুলোর উত্থানের কাহিনী বর্ণনা করেছেন জে. টড তাঁর ‘দি অ্যানাল্স অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিস অফ রাজস্থান’ (লন্ডন, ১৯৬০) বইতে। মেরুতুঙ্গ রচিত ‘প্রবন্ধচিন্তামণি’ অনুবাদ করেছেন সি. এইচ. টনি (কলকাতা, ১৯০১)। রাজশেখরের ‘প্রবন্ধকোষ’ সম্পাদনা করেছেন জে. মুনি (শান্তিনিকেতন, ১৯৩৫)। উপরিউক্ত গ্রন্থ দুটির মধ্যে ঐযুগের সাহিত্যগত ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায়। সুলতানী যুগে উত্তর-ভারতের অন্যান্য ছোট ছোট রাজ্যগুলো সম্পর্কে সাহিত্যের মধ্যে যে উপাদান যায় তা সংকলিত হয়েছে এই বইটিতে, ‘দি হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপ্ল’, ৬ষ্ঠ খণ্ড— ‘দি দিল্লি সুলতানেট’, পৃ. ৭৬৩-৭৬। এযুগের মুদ্রা সম্পর্কে গবেষণার বিবরণ আছে এই বইগুলোতে : সি. জে. রজার্স, ‘ক্যাটালগ অফ কয়েনস ইন দি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম’, ১ম ভাগ (কলকাতা, ১৮৯৪) এবং এস. লেন-পুল, ‘দি কয়েনস অফ দি সুলতানস অফ দিল্লি’ (লন্ডন, ১৮৮৪)। আরেকটি মুদ্রা সংক্রান্ত গ্রন্থ হলো, এইচ. এম. রাইট. ‘দি সুলতানস অফ দিল্লি, দেয়ার কয়েনেজ অ্যান্ড মেট্রোলজি’ (দিল্লি, ১৯৩৬)।
চীনাভাষায় ভারতবর্ষ সম্পর্কে যা ঐতিহাসিক উপাদান পাওয়া যায়, তা আছে ‘তুঙ, পাও’-এ, ১৬ খণ্ড, ১৯১৫, অনুবাদক ডবলিউ. ডবলিউ. রকহিল। এ ছাড়াও আছে, ‘বিশ্বভারতী অ্যানালস’, ১ম খণ্ড, ১১৭-২৭, অনুবাদক : পি. সি, বাগচী; জে. দ্যুভেদনাক, ‘মা-হুয়ান রি-একজামিন্ড’ (আমস্টার্ডাম, ১৯৩৩)।
সূফী রচনাগুলোর অনুবাদ সম্পাদনা করেছেন জে. আরবেরি তাঁর ‘ডকট্রিন অফ দি সুফিস’ (কেম্ব্রিজ, ১৯৩৫) বইতে। কবীরের পদগুলো পাওয়া যাবে তিনটি সংকলন গ্রন্থে— ‘বীজক’, ‘বানিস’ ও ‘শক্তি’। এগুলোর কয়েকটি অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্পাদিত ‘ওয়ান হানড্রেড পোয়েমস অফ কবীর’ (লন্ডন, ১৯১৪) গ্রন্থে। নানকের বাণী সংকলন করেছিলেন গুরু অর্জুন তাঁর ‘আদিগ্রন্থ’ নামক বইয়ে।
এই যুগের স্থাপত্য সম্পর্কে জানবার জন্যে পি. ব্রাউন রচিত ‘ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার- ইসলামিক’ বইটি ভালো। জে. এইচ. মার্শাল রচিত ‘কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’র ৩য় খণ্ডে ‘মনুমেন্টস অফ মুসলিম ইন্ডিয়া’ অধ্যায়টিও ভালো।
এই যুগ সম্পর্কে অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আছে, এ. বি. এম. হবিবুল্লা, ‘ফাউন্ডেশন অফ মুসলিম রুল ইন ইন্ডিয়া’ (লাহোর, ১৯৪৫); এ. এস. ত্রিপাঠি, ‘সাম আসপেক্টস অফ মুসলিম রুল ইন ইন্ডিয়া’ (এলাহাবাদ, ১৯৫৬); কে. এস. লাল-রচিত হিসট্রি অব দি খিলজিস’ (এলাহাবাদ, ১৯৫০) ও একই লেখকের ‘দি টোয়াইলাইট অফ দি সুলতানেট’ (১৯৬৩); এম. হোসেন, ‘লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ মহম্মদ বিন তুঘলক’ (লন্ডন, ১৯৩৮); টি. মোরল্যান্ড, ‘অ্যাগ্রারিয়ান সিসটেম অফ মুসলিম ইন্ডিয়া’ (কেম্ব্রিজ, ১৯২৯); আই. এইচ. কুরেশী, ‘দি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ দি সুলতানেট অফ দিল্লি’ (লাহোর, ১৯৪৫); কে. এম. আশরফ, ‘লাইফ অ্যান্ড কন্ডিশন অফ দি পিপ্ল অফ হিন্দুস্তান (দিল্লি); এম. হাসান, ‘কাশ্মীর আন্ডার দি সুলতানেট’ (কলকাতা, ১৯৫৯); কে. এ. নিজামী, ‘সাম আসপেক্টস অফ রিলিজিয়ন অ্যান্ড পলিটিক্স ইন ইন্ডিয়া ডিউরিং দি থার্টিথ সেনচুরি’ (আলিগড়, ১৯৬১); এম. হাবিব, ‘হজরত আমীর খসরু অফ দিল্লি’ (মুম্বাই, ১৯২৭); তারাচাঁদ, ‘ইনফ্লুয়েন্স অফ ইসলাম অন ইন্ডিয়ান কালচার’ (১৯৫৪); ওয়াই হোসেন, ‘গিম্পসেস অফ মেডিয়েভাল ইন্ডিয়ান কালচার’ (মুম্বাই, ১৯৫৭); কে. এম. সেন, ‘মেডিয়েভাল মিস্টিসিজম ইন ইন্ডিয়া’ (লন্ডন, ১৯৩৬); জে. ই. চারপেন্টিয়ার, ‘গ্লেইজ্জ্ম ইন মেডিয়েভাল ইন্ডিয়া’ (১৯১৯); জি. এইচ. ওয়েস্টকট, ‘কবীর অ্যান্ড দি কবীরপন্থ’ (কলকাতা, ১৯৫৩); এম. এ. মেকলিফ, ‘দি শিখ রিলিজিয়ন’ (অক্সফোর্ড, ১৯০৯) এবং খুশবন্ত সিং, ‘এ হিস্ট্রি অফ দি শিখস’, ১ম খণ্ড (প্রিন্সটন, ১৯৬৩)
চতুর্দশ অধ্যায়
বাহমনী ও বিজয়নগর রাজ্যের ইতিহাসের প্রধান উপাদান হলো প্রত্নলেখ ও বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ। বিজয়নগরের ইতিহাস সম্পর্কে লিপিগুলো পাওয়া যাবে ‘এপিগ্রাফিয়া কর্নাটিকা’র ৩য় থেকে ১২শ খণ্ডের মধ্যে এবং ‘সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্সক্রিপশন্স’-এর ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ১২শ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগের মধ্যে। আর সিউয়েল রচিত ‘এ ফরগট এম্পায়ার’ (লন্ডন, ১৯০০) বইটির মধ্যে ডোমিঙ্গ পায়েজ ও ফার্নান্ড নিজ বিজয়নগর সম্পর্কে যা লিখেছেন, সেই বিবরণ এবং নিকলো কন্টি-র বিবরণের কিছু কিছু অংশ পাওয়া যায়। এইচ. ইউল ও এইচ কর্ডিয়ার রচিত ‘ক্যাথে অ্যান্ড দি ওয়ে দিদার’ (লন্ডন, ১৯১৫-১৬) গ্রন্থে নানা বিবরণ আছে। রুশ পর্যটক অ্যাথানাসিয়াস নিকিতিনের ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিবরণ আছে আর. এইচ. মেজর রচিত ‘ইন্ডিয়া ইন দি ফিফটিন্থ সেনচুরি’ বইটির মধ্যে। ডুয়ার্তে বারবোসার বিবরণ অনুবাদ করেছেন এম. এল. ডেস তাঁর ‘দি বুক ডুয়ার্তে বারবোসা’ (লন্ডন, ১৯১৮, ১৯২১) বইটিতে। আরেকটি বই হলো, মার্কোপোলো, ‘দি ট্রাভেলস’, অনুবাদক : আর. ই. ল্যাথাম (পেঙ্গুইন বুকস ১৯৫৮)। এস. কৃষ্ণস্বামী আয়েঙ্গার রচিত ‘সোর্সেস অফ বিজয়নগর হিস্ট্রি’ (মাদ্রাজ ১৯৪৬) বইটিতে অনেক তথ্যের সমাবেশ হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে কৃষ্ণদেব রায়ের ‘অমুক্তমাল্যদা’ বইটির ভালো অনুবাদ এখনো হয়নি। টি. ভি. মহালিঙ্গম রচিত ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড সোসাল লাইফ আন্ডার বিজয়নগর এবং ‘ইকনমিক লাইফ ইন দি বিজয়নগর এম্পায়ার’ (মাদ্রাজ, ১৯৫১) বই দুটিতে পূর্বোক্ত তথ্যের পর্যাপ্ত ব্যবহার হয়েছে। বি. এ. স্যালেটোর রচিত ‘সোসাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল লাইফ ইন দি বিজয়নগর এম্পায়ার’ (মাদ্রাজ, ১৯৩৫) বইটিও উল্লেখযোগ্য। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় এই বই দুটিতে— কে. ভি. কৃষ্ণ আয়ার, ‘দি হামোরিনস অফ কালিকট’ (কলকাতা, ১৯৩৮) এবং কে. এম. পনিক্কর, ‘মালাবার অ্যান্ড দি পোর্তুগীজ’ (বম্বে, ১৯২৯)।
বাহমনী রাজ্যের ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যাবে ফেরিস্তা, নিজামুদ্দীন ও রফি-উদ-দীন শিরাজীর রচনার মধ্যে। রাজদূত আবদুর রজ্জাক-এর বিবরণ পাওয়া যায় এইচ. এম. এলিয়ট ও জে. ডাউসন রচিত ‘হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া অ্যাজ টোড্ড বাই ইটস ওন হিস্টোরিয়ান্স’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডে। আগে যেসব ইউরোপীয় পর্যটকের উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের লেখাতেও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ পাওয়া যায়। এইচ কে. শেরোয়ানী বাহমনী রাজ্যের ওপর যেসব গবেষণা প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে আছে, ‘দি গ্রেট বাহমনী ওয়াজির মামুদ গাওয়ান’ (মুম্বাই, ১৯৪২) এবং ‘দি বাহমনী কিংডম’ (মুম্বাই, ১৯৪৭)। সুলতানী রাজনীতি ও দাক্ষিণাত্য আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করেছেন এস. কে. আয়েঙ্গার তাঁর সাউথ ইন্ডিয়া অ্যান্ড হার মহামেডান ইনভেডারস’ (মাদ্রাজ ১৯২১), বইটিতে।
পত্র-পত্রিকা
অ্যানালস অফ দি ভাণ্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট
অ্যাকটা ওরিয়েন্টালিয়া
এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়া
ইন্ডিয়ান আর্কিওলজি, এ রিভিউ
বুলেটিন অফ দি স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ
সিলোন হিস্টোরিক্যাল কোয়ার্টারলি
ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট
ইন্ডিয়ান অ্যান্টিকোয়ারী
ইন্ডিয়ান কালচার
ইন্ডিয়ান ইকনমিক অ্যান্ড সোসাল হিস্ট্রি রিভিউ
ইন্ডিয়ান হিস্টোরিক্যাল কোয়ার্টারলি
ইসলামিক কালচার
জার্নাল এশিয়াটিক
জাল অফ দি এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল।
জার্নাল অফ এশিয়ান স্টাডিজ
জার্নল অফ দি আমেরিকান ওরিয়েন্টাল সোসাইটি
জার্নাল অফ দি ইকনমিক অ্যান্ড সোসাল হিস্ট্রি অফ দি ওরিয়েন্ট
জার্নাল অফ দি নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া
জার্নাল অফ দি রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি
জার্নাল অফ দি বম্বে ব্রাঞ্চ অফ দি রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি
জার্নাল অফ দি বিহার রিসার্চ সোসাইটি
ম্যান ইন ইন্ডিয়া