১৫. এশার নামাজ শেষ হয়েছে

এশার নামাজ শেষ হয়েছে। মীর্জা কামরান নামাজ শেষ করে নৈশকালীন মদের আসরে বসেছেন। আসরে ছয়জন আমীর উপস্থিত। তাদের হাতে রুপার পানিপাত্ৰ। মীর্জা কামরানের হাতে সোনার পানপত্র। মীর্জা কামরান ক্ষুব্ধ চোখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন। তাঁর মেজাজ। সপ্তমে। তবে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন। তার মেজাজ খারাপের প্রধান কারণ, স্বর্ণের পানিপাত্রে তাকে ছাড়াও আরেকজনকে মদ পরিবেশন করা হয়েছে। তার নাম বরকত খাঁ। বরকত খাকে কান্দাহার পাঠিয়েছেন শের শাহু-পুত্র জালাল খাঁ। বরকত খা’র মর্যাদা একজন আমীরের চেয়ে বেশি হতে পারে না। তাকে স্বৰ্ণপানপাত্রে মদ পরিবেশন করে মীর্জা কামরানকে ছোট করা হয়েছে। মীর্জা কামরান ভেবে পাচ্ছেন না, স্বৰ্ণপাত্রের এই ভুলটা কারা করেছে! খেদমতগাররা এমন বড় ভুল করবে না। নিশ্চয়ই এখানে আমীরদের ভূমিকা আছে।

বরকত খাঁ পানিপাত্রে চুমুক দিচ্ছেন না। এটিও এক ধরনের অপমান। মীর্জা কামরান বললেন, আপনার কি নেশার পানীয় বিষয়ে আসক্তি নেই?

বরকত খাঁ বললেন, জি না জনাব। আমি ধৰ্মভীরু মানুষ। ধর্মের অনুশাসন মেনে চলি। পরকালে হুররা যে মন্দিরা পরিবেশন করবেন। তার জন্যে অপেক্ষা করাটাকে উত্তম মনে করি।

মীর্জা কামরান বললেন, আপনি কি জালাল খাঁ’র কাছ থেকে কোনো পত্র এনেছেন?

জি না জনাব। জালাল খাঁ তার পিতার স্বভাব পেয়েছেন। কলমের খেলার চেয়ে অসির খেলা তার অধিক পছন্দ।

মীর্জা কামরান পানপাত্রে দীর্ঘ চুমুক দিয়ে বললেন, জালাল খাঁ আপনাকে পাঠিয়েছেন কেন?

আপনার কুশল জানার জন্যে। আপনার শরীর কেমন জনাব?

শরীর ভালো।

পেটের পীড়ার ঘনঘন আক্রমণে শিকার হন বলে শুনেছি। পেট কি ঠিক আছে?

পেট ঠিক না থাকলে আপনি কি ওষুধ দেবেন?

সেই যোগ্যতা আমার নাই জনাব। আমি সামান্য দূত। কথা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বাহনবিশেষ।

মীর্জা কামরান বললেন, জালাল খাঁ’র কাছ থেকে কী কথা এনেছেন বলুন শুনি।

আমি কথা এনেছি আপনার জন্যে। আপনার আমীরদের জন্যে না। তাদের সামনে আমি মুখ খুলব না।

ওরা সবাই আমার বিশ্বস্ত।

বরকত খাঁ হাসতে হাসতে বললেন, এদের মধ্যে অনেকেই কিছুদিন আগে হুমায়ূনের বিশ্বস্ত ছিলেন। আমীরদের বিশ্বস্ততা আর বেশ্যাপল্লীর বেশ্যাদের শারীরিক পবিত্রতা তুল্যমূল্য।

মীর্জা কামরান কঠিন ভাষায় বললেন, আপনি আমার সামনে আমার আমীরদের অপমান করছেন!

দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। মোঘলদের এখন চরম দুঃসময়।

মীর্যা কামরান বললেন, আপনার যদি কিছু বলার থাকে আমার আমীরদের সামনেই বলতে হবে।

বরকত খাঁ বললেন, আমার কিছুই বলার নাই জনাব। কুশল জানতে এসেছিলাম। কুশল জানা হয়েছে। সন্তোষ লাভ করেছি। এখন অনুমতি পেলে বিদায় হব।

বলতে-বলতে বরকত খাঁ উঠে দাঁড়ালেন। লোকটির ঔদ্ধত্য এবং দুঃসাহস দেখে মীর্জা কামরানের পিত্তি জ্বলে গেল। প্রধান আমীর বললেন, আমরা চলে যাচ্ছি। আপনারা আলোচনায় বসুন। সবার শান্তির জন্যেই আলোচনা জরুরি।

মীর্জা কামরান ইশারায় বরকত খাঁকে বসতে বললেন। আমীররা ঘর খালি করে চলে গেল। দুজন খিদমতগারকেও চলে যেতে হলো।

বরকত খাঁ বললেন, এখন মূল কথায় আসা যাক। জালাল খাঁ আপনার কাছে জানতে চাচ্ছেন, আপনি শের শাহ’র জন্যে অর্থাৎ দিল্লীর মহান সম্রাটের জন্যে কী করতে পারেন।

মীর্জা কামরান বললেন, আমাকে শান্তিতে থাকতে দিলে অনেক কিছুই করতে পারি। আপনারা আমাকে শান্তি দেবেন, আমি আপনাদের শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করব।

আপনার কি ধারণা দিল্লীর সম্রাট অশান্তিতে আছেন?

অবশ্যই। আপনারা হুমায়ূন-আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁকে তাড়া করে ফিরছেন। আপনাদের ধারণা, তিনি দ্রুত শক্তি সংগ্ৰহ করবেন। আপনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰ হাতে নেবেন। যাই হোক আমি সরাসরি বলি, আমি আমার বড়ভাইকে জীবিত বা মৃত আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারি। তার বিনিময়ে আমি কী পাব?

বরকত খাঁ বললেন, রেশমের কাজ করা মণিমুক্তা বসানো একজোড়া পাদুকা শের শাহ নিশ্চয়ই আপনাকে দেবেন।

রসিকতা করছেন?

রসিকতা কেন করব! শের শাহ পাদুকা উপহার দিতে পছন্দ করেন। তিনি যোধপুরের রাজা মালদেবকে একজোড়া পাদুকা উপহার দিয়েছেন ৷ ঘটনার সত্যতা সন্ধান করলেই জানতে পারবেন। যাই হোক, জালাল খাঁ আমাকে পাঠিয়েছেন হুমায়ূনকে বন্দি করার বিষয়ে আপনার সাহায্য কামনা করতে। বিনিময়ে আপনি লাহোর ফিরে পাবেন। শুনেছি লাহোরের জলবায়ু আপনাকে পীড়ামুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

মীর্জা কামরান বললেন, শুধু মুখের কথা! এই বিষয়ে কোনো চুক্তি হবে না?

বরকত খাঁ বললেন, যাদের মুখের কথা মূল্যহীন তারাই চুক্তির জন্যে লালায়িত হয়। জালাল খাঁ’র মুখের কথা মূল্যহীন না।

আমি কবে লাহোর যেতে পারি?

ইচ্ছা করলে এখনই রওনা দিতে পারবেন। পান বেশি করেছেন, এই অবস্থায় রওনা দেওয়া ঠিক হবে না। বলতে ভুলে গেছি, জালাল খাঁ আপনার জন্যে উপহার পাঠিয়েছেন। উপহার। আপনার পছন্দ হবে।

কী উপহার?

বাংলা মুলুক থেকে আনা দুজন হিজড়া। হিজড়ার বিষয়ে আপনার আগ্রহের কথা আমরা জানি। শারীরিক ক্রটির কারণে ওদের অন্য গুণাবলি বিকশিত হয়। (*বঙ্গদেশের হিজড়াদের মোঘল হেরেমে কদর ছিল। রাজপুরুষরা যৌন কদৰ্যতামুক্ত ছিলেন না। ভারতবর্ষের বাইরেও তাদের চাহিদা ছিল।)

আমি উপহার পেয়ে খুশি হয়েছি, ওনাকে ধন্যবাদ।

বরকত খাঁ বললেন, আপনি আমীরদের আসরে ডাকুন। আনন্দযাত্রা অব্যাহত থাকুক। জালাল খাঁ’র উপহার কেমন তাও দেখুন। আমি বিদায় নিচ্ছি।

মীর্জা কামরানের আনন্দ ফুর্তি সারা রাত স্থায়ী হলো। হিজড়াদের নৃত্যগীত মীর্জা কামরানকে বিমোহিত করল।

 

কিছুক্ষণের জন্যে আমরা আচার্য হরিশংকরের কাছে ফিরে যাই। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হুমায়ূনের সঙ্গী হন নি। তিনি এখন আছেন পুণ্যধাম কাশিতে।

তাঁর হাতে স্বর্ণমুদ্রা এবং রৌপ্যমুদ্রার সংগ্ৰহ ভালো। হুমায়ূন তাকে দুটি রুবি পাথরও দিয়েছেন। হরিশংকরের বাকি জীবন ভালোমতোই যাওয়ার কথা।

তিনি কাশিতে একটি ঘর ভাড়া করেছেন। একজন পাচক রেখেছেন, দারোয়ান রেখেছেন। তার সময় কাটে মন্দিরে মন্দিরে।

একদিনের কথা, তিনি মন্দিরে সন্ধ্যাপূজা দেখে ঘরে ফিরে দেখেন তার বিছানায় হুমায়ূন-কন্যা আকিকা বেগম। সে হাসিমুখে বসে আছে।

হরিশংকর বুঝলেন চোখের ধাক্কা। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে রাম নাম নিয়ে চোখ খুললেন, আকিকা বেগম আগের জায়গাতেই বসা। সে মিষ্টি গলায় বলল, আমার বাবা সম্রাট হুমায়ূন কোথায়?

হরিশংকর মূৰ্ছিত হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন।

 

জোছনাপ্রাবিত রজনী। রাজ্যহারা সম্রাট দলবল নিয়ে পালাচ্ছেন। তিনি যাচ্ছেন সিন্ধুর দিকে। তার সারা দিন ঘোড়ার পিঠে কেটেছে। সন্ধ্যায় মাগরেবের নামাজের কিছু বিরতি নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করেছেন।

হুমায়ূনকে অনুসরণ করছেন কুতুব খাঁ। শের শাহ’র আরেক পুত্র। তার ওপর নির্দেশ হুমায়ূনকে হিন্দুস্থান-ছাড়া করতে হবে। তাঁর ওপর সরাসরি চড়াও হওয়ার প্রয়োজন নেই।

মধ্যরাতে হামিদা বানু স্বামীকে বললেন, তার বিশ্রাম প্রয়োজন। শরীর টানছে না।

হুমায়ূন সঙ্গে সঙ্গে যাত্রাবিরতির নির্দেশ দিলেন। খোলা প্রান্তর। চাঁদে আলোর ফিনকি ফুটেছে। অচেনা ঝাঁকড়া একটা গাছের নিচে চাদর পেতে বসেছেন হামিদা বানু। গাছ থেকে অনেকটা দূরে রাতের খাবারের আয়োজন হচ্ছে। খিচুড়িজাতীয় খাদ্য তৈরি হচ্ছে। রসদ ফুরিয়ে আসছে। খাদ্য তৈরিতেও সাবধানতা।

ক্লান্ত ঘোড়ার দলকে পানি এবং গম খাওয়ানো হচ্ছে। এদেরকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।

হুমায়ূন একা একা হাঁটছিলেন, হঠাৎ হামিদা বানুর খিলখিল হাসির শব্দ শুনে এগিয়ে গেলেন। এই অবস্থায় এত সুন্দর করে কেউ হাসতে পারে না।

হামিদা বানু স্বামীকে দেখে গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে পা ছড়িয়ে বসলেন। হুমায়ূন বিস্মিত গলায় বললেন, কী হয়েছে হামিদা?

হামিদা বললেন, কিছু হয় নি তো।

তুমি হাসছিলে।

আপনার এমন কোনো নির্দেশ আছে যে হাসা যাবে না? এই অবস্থায় কেউ আনন্দে হাসছে দেখে বিস্মিত হয়েছি। হাসার মতো কোনো কারণ কি ঘটেছে?

ঘটেছে। আপনি আমার পাশে বসুন, তারপর বলছি কী ঘটেছে।

হুমায়ূন হামিদা বানুর পাশে বসলেন। হামিদা বানু গলা নামিয়ে বললেন, আপনার হাত এগিয়ে দিন। হাত ধরে বলব।

হুমায়ূন হাত এগিয়ে দিলেন। হামিদা বানু স্বামীর হাত ধরতে-ধরতে বললেন, ভাগ্য আপনাকে অতি সাধারণ একজন মানুষের কাতারে নিয়ে এসেছে। এমন সাধারণ যে আমি ইচ্ছা করলেই এখন আপনার হাত ধরতে পারি। এই আনন্দেই হাসছি।

হুমায়ূন ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললেন। স্ত্রীর কথার উত্তরে কিছু বললেন না।

হামিদা বানু বললেন, আপনি একসময় কথায় কথায় শের বলতেন। অনেকদিন আপনার মুখ থেকে শের শুনি না। জোছনা নিয়ে কোনো শের কি আপনার জানা আছে?

না।

বিয়ের রাতে আমাকে নিয়ে যে দীর্ঘ কবিতাটি লিখেছিলেন সেটি বলুন শুনি।

হামিদা! কবিতাটা আমার মনে নেই।

একটা লাইনও মনে নেই?

না।

মনে করার চেষ্টা করুন। আজ রাতে আমি আপনার কাছ থেকে কবিতা শুনবই। যদি মনে না পড়ে নতুন কবিতা লিখবেন। কলমচিকে কাগজ-কলম নিয়ে আসতে বলুন। চাঁদের আলো তীব্ৰ। এই আলোতে লিখতে আপনার অসুবিধা হবে না।

হামিদা! তোমাকে খুব অস্থির লাগছে। কী হয়েছে বলো তো?

আপনার মুখ থেকে কবিতা শুনতে ইচ্ছা করছে। এর বেশি কিছু না।

হুমায়ূন বললেন, আমি কি তোমাকে একটা অনুরোধ করতে পারি?

হামিদা বানু বললেন, সম্রাট কখনো অনুরোধ করেন না। আদেশ করেন।

তুমি ভালো করেই জানো আমি রাজ্যহারা সাধারণ একজন। আমি আমার স্ত্রীকে অবশ্যই অনুরোধ করতে পারি।

কী অনুরোধ বলুন।

তুমি কান্দাহারে ফিরে যাও। তোমার পরিচিত প্রিয়জনরা সবাই সেখানে আছেন। আমার সঙ্গে পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর কোনো অর্থ হয় না। কখন কোন বিপদ ঘটে।

হামিদা বানু কঠিন গলায় বললেন, আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাব না। আমার মন বলছে একদিন আপনি রাজত্ব ফিরে পাবেন। দিল্লীর সিংহাসনে বসবেন। তখন আপনার সামনে আমাকে যেতে হবে কুর্নিশ করতে করতে। এই যে আমরা হাত ধরাধরি করে গাছের নিচে বসে আছি। এরকম তো হবে না। এই সুযোগ আমি ছাড়ব না। আমি সারাক্ষণ থাকব আপনার পাশে।

কে যেন পেছন দিকে এসেছে। শরীর চাদরে ঢাকা বলে তাকে চেনা যাচ্ছে না।

হুমায়ূন বললেন, কে?

আমি বৈরাম খাঁ। আমাদের এক্ষুনি রওনা হতে হবে। রাতের খাবার খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না।

ঘোড়া কি প্রস্তুত?

জি জাহাঁপনা।

হুমায়ূন তার স্ত্রীকে হাত ধরে তুললেন। কোমল গলায় বললেন, ক্লান্তভাবটা একটু কি কমেছে?

হামিদা বানু বললেন, হ্যাঁ কমেছে। আমরা যাচ্ছি কোথায়?

বৈরাম খাঁ জানে। আমি জানি না।

হামিদা বানু বললেন, আমি আপনার মুখ থেকে একটা শের না শুনে ঘোড়ায় উঠব না।

হুমায়ূন বললেন,

একজন প্রেমিকের কাছে চন্দ্ৰ হলো তার
প্রেমিকার মুখ।
আর জোছনা হলো প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস।

হামিদা বানু বললেন, বাহ সুন্দর শের! আপনাকে একটা কথা বলা হয় নি। আমি সন্তানসম্ভবা। আমার বিশ্রামের দিকে আপনাকে একটু নজর দিতে হবে। দিন-রাত ঘোড়ার পিঠে থাকতে পারব না।

হতভম্ব হুমায়ূন বললেন, কী বললে? হামিদা বানু হাসতে হাসতে বললেন, একবার তো লজ্জার মাথা খেয়ে বলে ফেলেছি, আর বলতে পারব না।

হুমায়ূনের বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে। জোছনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। হুমায়ূন হামিদা বানুর পাশাপাশি যাচ্ছেন। দুজনের কারও মুখেই কোনো কথা নেই। ঘোড়া ক্লান্ত হলেও ছুটছে, তীব্ৰ গতিতে।

হামিদার গা গুলাচ্ছে। ঘোড়ার গায়ের ঘামের গন্ধ এখন আর সহ্য হচ্ছে না। তিনি কথাবার্তায় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করলেন। হুমায়ূনকে বললেন, আমাদের পরিকল্পনাটা কী? আমরা কি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালিয়ে বেড়াব?

হুমায়ূন জবাব দিলেন না। হামিদা বানু বললেন, উদ্দেশ্যহীন পালিয়ে বেড়ানো বন্ধ করে আমাদের ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করতে হবে…

হামিদা বানুর কথা শেষ হওয়ার আগেই ছোট কামানের গোলার আওয়াজ পাওয়া গেল। পরপর কয়েকবার। হুমায়ূনকে ধাওয়া করা বাহিনীর কামান নিয়ে আসার কথা না। ব্যাপারটা কী?

বৈরাম খাঁ’র নির্দেশে হুমায়ূনের বাহিনী মূল পথ ছেড়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে পড়ল। ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়া ঘোড়ার মতো একটি প্রাণীর পক্ষে যথেষ্ট জটিল। এই কাজটি ঘোড়ারা ভালোমতোই করছে। তারা বিপদ আঁচ করতে পারছে।

হামিদা বানু বললেন, চমৎকার বুনো ফুলের সুবাস পাচ্ছি। আপনি কি পাচ্ছেন?

হুমায়ূন বললেন, পাচ্ছি। হামিদা বানু বললেন, আমার কী সৌভাগ্য সুন্দর ফুলের ঘ্রাণ পেলাম! আল্লাহপাকের দরবারে হাজার শুকরিয়া।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *