অনেকেই এসে জড়ো হয়েছে আনিসের ঘরে। বড়োচাচা, হোসেন সাহেব, আনিসের মা, ইলা-নীলার বাবা, আনিসকে যে-ডাক্তারটি চিকিৎসা করেন তিনি, এবং পরী। সবাই চুপ করে আছে। ব্যথায় আনিসের ঠোঁট নীল হয়ে উঠেছে, তার চোখ টকটকে লাল। সে একসময় বিকৃত স্বরে বলল, দুলাভাই, আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। পেথিডিন দেন।
হোসেন সাহেব আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। বড়োচাচা বললেন, হোসেন তুমি পেথিড্রিন দাও।
হোসেন সাহেব সিরিজ পরিষ্কার করতে লাগলেন; আনিসের মা থর থর করে কাঁপছিলেন। এক ফাঁকে হোসেন সাহেব তাঁকে বললেন, আপনি ভয় পাবেন না, এক্ষুণি ঘুমিয়ে যাবে।
আনিসের মা বিড়বিড় করে কী বললেন, ভালো শোনা গেল না। ইনজেকশনের পরপরই আনিস পানি খেতে চাইল। রাত কত হয়েছে জানতে চাইল। হোসেন সাহেব বললেন, ঘুম পাচ্ছে আনিস?
হ্যাঁ।
আনিসের মা বললেন, এখন আরাম লাগছে বাবা?
লাগছে।
আনিসের মা দোওয়া পড়ে ফুঁ দিলেন ছেলের মাথায়! আনিস জড়িয়ে জড়িয়ে বলল, বাতি নিভিয়ে দাও, চোখে লাগে।
বাতি নিভিয়ে তারা সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে এল।