3 of 3

১৫ অক্টোবর, শুক্রবার ১৯৭১

১৫ অক্টোবর, শুক্রবার ১৯৭১

গতকাল নিউ মার্কেটের ওষুধের দোকান থেকে যেসব ওষুধ কিনেছি, সেগুলো আজ প্যাকেট করতে বসেছি বেডরুমের দরজা বন্ধ করে। জামী তার দাদার কাছে বসে আছে। মা-লালু একটু বাইরে গেছেন। এখন বিভিন্ন বর্ডারে যুদ্ধ খুব জোরেশোরে হচ্ছে। ওষুধের খুব দরকার। ওষুধ কিনে ছোট ছোট প্যাকেট করে রাখি। সুযোগমত বিভিন্নজনের হাতে পাঠাই। শুধু ওষুধই নয়, টাকা, সিগারেট এসবও।

বেশির ভাগ কাটা-হেঁড়ার ওষুধ কিনি–পেনিসিলিন অয়েন্টমেন্ট, টেরামাইসিন অয়েন্টমেন্ট, সালফানিলামাইড পাউডার, জামবাক, ডেটল, টিংচার আয়োডিন, টিংচার বেনজিন, তুলো, গজ। তাছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক –টেরামাইসিন, পেনব্রিটন, ক্লোরোমাইসেটিন। কারো কারো টাইফয়েড়ও হয়ে যেতে পারে।

আমাশয়ের ওষুধেরও খুব চাহিদা। সেগুলোও কিনি–ফ্ল্যাজিল, নিভেম্বিন, অ্যাম্বিকুইন, এন্টারোয়োফর্ম, নিয়োভায়াসেপ্ট।

জ্বর-মাথা ধরার জন্য নোভালজিন, ডিস্পিন। সর্দি-কাশিতে আরামের জন্য ভিকস, ইউক্যালিপটাস তেল। মচকানো ব্যথার জন্য আয়োডেক্স। এছাড়া ছোট কাঁচি ও ব্লেড একটা করে দিয়ে দিই প্রতি প্যাকেটে। এমার্জেন্সির সময় নিজেরাই যেন ব্যান্ডেজ করে নিতে পারে।