১৪. তুমি কী সুন্দর

রাণুর সম্প্রতি এক বিশেষ জ্বালা হয়েছে।

সবাই তাকে দেখলেই বলে, তুমি কী সুন্দর, তুমি কী সুন্দর! সমবয়সী থেকে বুড়োরা পর্যন্ত।

রাণু বুঝতেই পারে না, সে কীসের সুন্দর। তার দিদিরা আরও বেশি। সুন্দর। সবাই তো সুন্দর। যে যার মতন।

আর সুন্দর হলেই বা কী, তা সর্বক্ষণ বলতে হবে কেন? এক একটা গাছ, কত ফুল, কত প্রজাপতি সুন্দর। ফাল্গুন মাসের বাতাস সুন্দর, নদীর ওপর বৃষ্টি পড়া সুন্দর, মাটিতে লুটোনো জ্যোৎস্না সুন্দর, পৃথিবীতে কত কিছু সুন্দর আছে, তা বলে কি লোকেরা সব সময় সে সব দেখে সুন্দর সুন্দর বলে লাফাচ্ছে?

কাশীর রাস্তায় আজকাল মাঝে মাঝেই এক একটা ছেলে তার হাতে একটা চিঠি গুঁজে দিয়ে পালিয়ে যায়। সে চিঠির প্রথম লাইন, বাংলা বা হিন্দিতে হবেই, তুমি কী সুন্দর! বাকিটা আর পড়ে না রাণু, ছিঁড়ে ফেলে দেয়।

শান্তিনিকেতনেও অনেক বয়স্ক ব্যক্তির রাণুকে একলা দেখলেই গলার আওয়াজ বদলে যায়। কেমন যেন গদো গদো ভাব। রাণুর ভাল লাগে না।

এই তো সেদিন তপনদাদা সন্ধেবেলা একটা ছাতিম গাছের নীচে দাঁড়িয়েছিলেন, রাণুকে দেখে হাতছানি দিয়ে ডাকলেন। প্রথমে কিছুই বললেন না, রাণুর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। ছাতিম গাছে অনেক ফুল এসেছে। সেই ফুলে কেমন যেন মশলা মশলা গন্ধ, সেই গন্ধে মাদকতা আসে।

রাণুর অস্থিরতা দেখে একটু পরে জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ রাণু?

এই কথাটা অনেক রকম ভাবে বলা যায়, এক এক রকম উচ্চারণে বদলে যায় অর্থ। আগে থেকে উত্তর জেনেও এরকম প্রশ্ন কেন করে মানুষ?

কাছেই কবির নতুন মাটির বাড়ি। জানলায় জ্বলছে আলো, রাণু আঙুল দিয়ে সেই দিকে দেখাল।।

তপনদাদা বললেন, কী সুন্দর হয়েছ তুমি। তোমাকে দেখে কালিদাসের সঞ্চারিণী পল্লবিনী লতেব’র কথা মনে হচ্ছে।

রাণু বলল, ওসব বলবেন না তপনদাদা।

তপনদাদা বললেন, কেন, কেন, কেন? মহান কবির কাব্যে যেমন লেখা হয়েছে, তা যদি চোখের সামনে দেখতে পাই, তখন যে বিস্ময়ের চমক লাগে।

কালিদাস বুঝি আমাকে দেখে লিখেছেন?

কবিদের সুদুর দৃষ্টি থাকে। তিনি এক সময় কল্পনায় যে রূপ দেখেছিলেন, তা তোমার মধ্যে জীবন্ত হয়েছে!

আমি এখন যাই?

আর একটুক্ষণ দাঁড়িয়ে যাও না। রোজই ভাবি, তোমাকে একটা কথা বলব।

বলুন না।

অমন করে কি ঝট করে বলা যায়? এ তো কাজের কথা নয়, মনের কথা। তুমি এত সুন্দর রাণু, তোমাকে দেখতে দেখতেই–

তা হলে আমি এখন আর দাঁড়াতে পারছি না।

সঙ্গে সঙ্গে রাণু ছুট লাগাল।

তার বলতে ইচ্ছে হল, সুন্দর হয়েছি তো বেশ করেছি, তাতে আপনার কী?

একমাত্র তার ভানুদাদা কখনও তাকে তুমি কি সুন্দর, তুমি কি সুন্দর বলেন না। ভানুদাদা তো তার বন্ধু। বন্ধুর সঙ্গে কখনও খুব ভাব, কখনও আড়িও হয়। কখনও অভিমানে কথা বন্ধ হয়ে যায়, আবার এক ঘণ্টার মধ্যে গলা জড়িয়ে কত কথা। কখনও হাসি, কখনও কান্না। রাণু তত কাঁদেই, সে যেদিন কাশীতে ফিরে যায়, সেদিন ভানুদাদার চোখও চিকচিক করতে দেখেছে।

ভানুদাদার ঘরে বেশি মানুষজনের ভিড় দেখলে রাগ হয় রাণুর। সে তো আর সর্বক্ষণ এখানে থাকে না, ছুটি পেলেই চলে আসে। সেই কটা দিন সে ভানুদাদাকে আপন করে পেতে চায়।

যদিও সে মনে মনে জানে, তা সম্ভব নয়। তোকজন তো আসবেই। ভানুদাদা যে বিরাট মানুষ, তিনি কত রকম কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এত রকম কাজ করতে ভালও বাসেন, আবার কাজ থেকে যখন তখন ছুটি নিতেও ওঁর মন আনচান করে। বেড়াতে ভালবাসেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘুরছেন, যে কোনও জায়গা থেকে আমন্ত্রণ এলেই রাজি হয়ে যান, অথচ নিজের ঘরের নিভৃত কোণটিই যেন তাঁর বেশি প্রিয়।

লোকের সামনে ভানুদাদা এক এক সময় মজা করে বলেন, এই রাণু যখন তখন এসে আমার কাজে বিঘ্ন ঘটায়, লেখা থামিয়ে দেয়।

অথচ রাণু যদি একবেলা ওঁর সঙ্গে দেখা না করে, অমনি তিনি অস্থির হয়ে বনমালীকে দিয়ে তাকে ডেকে পাঠান। বকুনির সুরে বলেন, এতক্ষণ কোথায় ছিলে?

আবার শিগগিরই তিনি কোন দূর বিদেশে চলে যাবেন।

কবি কিছু লেখায় মগ্ন হয়ে টেবিলের ওপর ঝুঁকে আছেন। রাণু দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলে উঠল : ভানু সিংহ, তুমি বুঝি একা! তাই দেখিয়াছি, কাঙাল যে-জন তাহারো কাঙাল তুমি! যে তোমার সব নিতে পারে, তারে তুমি খুঁজিতেছ যেন…

কবি পেছন ফিরে তাকালেন। লেখা থেকে মন ফিরিয়ে এনে বললেন, আয় সখী, চিরদিন চলে যাই দুই জনে মিলে সংসারের পথ দিয়ে…..তারপর কী যেন?

রাণু হাসতে হাসতে নুয়ে পড়ে বলল, তোমার নিজের লেখা মনে থাকে না?

কবি বললেন, এত মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব? কত রাশি রাশি পৃষ্ঠা ভরিয়েছি। নিজের নাটকের পার্ট ভুলে যাই। কত গানের বাণী মনে করতে পারি না।

একটু থেমে বললেন, রাণু, তুমি যেই নাটকের সংলাপ বললে, শুনতে শুনতেই মনে হল, আর একটা নতুন নাটক লিখতে হবে, তাতে তুমি অভিনয় করবে। মাঝখানে মুক্তধারা হয়ে গেল, তখন তো তোমাকে পাওয়া গেল না। অবশ্য মুক্তধারায় ঠিক তোমার মানানসই কোনও ভূমিকাই ছিল না। অবশ্য ফুলওয়ালি সাজতে পারতে, ছোট পার্ট। নতুন নাটকে তুমিই হবে প্রধান। একটা চরিত্রও মনে এসে গেল।

রাণু কাছে এসে বলল, কী রকম, কী রকম, বলো না!

কবি বললেন, আর একটু দানা বাঁধুক মাথার মধ্যে। আগেই মুখে বলে দিলে অনেকটা আবেগ ক্ষয়ে যায়।

রাণু বলল, ভানুদাদা, তুমি লিখছিলে লেখো। আমি কি তোমার এখানে চুপটি করে বসে থাকতে পারি?

কবি বললেন, তুমি শুধু বসে থাকবে না, তুমি আমার সঙ্গে গল্প করবে। তোমার কথা না শুনলে যে আমার লেখায় ভাব আসে না।

রাণু বলল, এখন তো আর আমি ছোট্টটি নই। এখন মাঝে মাঝে—

কবি সন্ত্রস্ত হয়ে বললেন, খবর্দার, খবুদার, তুমি বেশি বড় হয়ে যেও না।

রাণু বলল, শোনো না, এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি যখন এসে তোমার লেখা থামিয়ে দিই, কত লোক তোমার লেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকে—

কবি বললেন, আমি খুবই ব্যস্ত, কেজো মানুষ। আবার আমি নিঃসঙ্গ, অকর্মার ধাড়ি। আমাকে এই দু’ভাবেই তোমাকে দেখতে হবে। রাণু, যেখানে আমি সকল লোকের, সেখানে আমি সংসারের কাজ করবার ক্ষেত্রে, যেখানে আমাকে যদি না চিনতে পারো, তা হলে আমার কাছে এসেও আমার আসল কাছে আসা হবে না। আবার আমি খুব ছোটও বটে, … তুমি আমাকে দেখবে শুনবে খাওয়াবে পরাবে সাজাবে, আমার সে বয়েসও আছে। তাই সন্ধ্যাবেলায় মোড়ায় বসে তুমি যখন আমার কাছে নানা বিষয়ে গল্প বলে যাও, সে আমার খুব মিষ্টি লাগে—সন্ধ্যা আকাশের তারা ঈশ্বরের খুব বড় সৃষ্টি, কিন্তু সন্ধ্যায় তোমার মুখের কথাগুলি তার চেয়ে কম বড় নয়—ওই তারার আলো যেমন কোটি কোটি যোজন দূরের থেকে আসছে—তেমনই তোমার হাসি গল্প শুনতে শুনতে মনে হয় যেন কত জন্ম-জন্মান্তর থেকে তার ধারা সুধা স্রোতের মতন বয়ে এসে আমার হৃদয়ের মধ্যে এসে জমছে।।

রাণু আচ্ছন্নের মতন হয়ে গিয়ে বলল, ভানুদাদা, আমি এসব ঠিক বুঝতে পারি না।

কবি বললেন, তোমাকে সব বুঝতেও হবে না। তুমি তো তুমিই ওগো, সেই তব ঋণ–।

তারপর তিনি হঠাৎ হেসে উঠে বললেন, সকাল থেকে তোমার আঁচলের আভাসটুকুও দেখা যায়নি। তাই তো আমার চুলেও চিরুনির ছোঁওয়া লাগেনি, তা তোমার নজরেও পড়ছে না?

রাণু ত্ৰস্তে বলল, ওমা, তাই তো। এক্ষুনি আঁচড়ে দিচ্ছি।

সে দেরাজ থেকে চিরুনি বার করে কবির কোলে বসে গলা জড়িয়ে ধরল।

কবি বললেন, এ জায়গাটা বড় বেশি শূন্য ছিল, এখন পূর্ণ হল। এবার তোমার গল্প বলো। সকালে কোথায় গিয়েছিলে?

এল্‌মহার্স্ট সাহেবের সঙ্গে সুরুলের কাজ দেখতে গিয়েছিলাম।

এল্‌মহার্স্টের সঙ্গে বুঝি তোমার বেশ ভাব হয়েছে?

হ্যাঁ, আমি ওঁর কাছে ইংরিজি শিখছি।

শুধু ইংরিজি শিখছো? মানুষটাকে ভাল লাগে না?

তাও লাগে। মানুষটা ভারী মজার। সুরুলে যে ইনস্টিটিউট ফর রুরাল রিকস্ট্রাকশান হয়েছে—এটার ইংরিজি নাম কেন? শান্তিনিকেতনের মতন একটা সুন্দর নাম দাওনি কেন?

দেব। ভাবছি। এখন ওই নামেই কাজ চলুক। তোমার গল্পটা বলো।

হ্যাঁ, ওখানে এল্‌মহার্স্ট সাহেব সব কিছু গড়ে তোলার জন্য তো অসুরের মতন খাটছে, আবার তার মধ্যেই ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে পেটাপেটি করে, ক্রিকেট খেলে, গান গায়। এই সাহেবটা তোমার ওই অ্যান্ড্রুজ সাহেবের মতন গোমড়া মুখো নয়।।

অ্যান্ড্রুজ যে বয়েস কমাবার মন্ত্র জানে না। এমহাস্টের মস্ত সুবিধে, তার বয়েস কমাবার চেষ্টাও করতে হয় না। সে তোমার ভানুদাদার চেয়েও তরুণ।

আহা, আমার ভানুদাদার সঙ্গে বুঝি কারুর তুলনা চলে! তারপর শোনো না, সুরুলে কী সব মজার কাণ্ড হয়েছে।

শুনি শুনি, তোমার মুখ থেকেই রিপোর্ট শোনা যাক।

তোমার মেজ বউদিদির সঙ্গে এল্‌মহার্স্টের তর্ক হয়েছে। কী যেন তোমার মেজ বউদিদির নাম?

জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।

এল্‌মহার্স্ট তো ওই নামটা উচ্চারণ করতেই পারে না। বলে গ্যান্‌ডানান্ডিন!

কিন্তু আমি তো এল্‌মহার্স্টকে তর্ক করতে বারণ করেছিলাম। আমার মেজো বৌঠানের কথার ওপর পৃথিবীর আর কারুর কথা চলে না। কী তর্ক হল এমহাস্টের সঙ্গে?

ওঁর নাতি সুবীর তো ওখানে হাতের কাজ শিখছে। এল্‌মহার্স্ট নিয়ম করেছে, ওখানে মেথর রাখা হবে না, চাকর রাখা হবে না, সব ছেলেদেরই বাথরুম পরিষ্কার করতে হবে। ঘর ঝাঁট দিতে হবে। নিজের হাতে সব কাজ শিখতে হবে। রাত্তিরে ওখানেই শুতে হবে সকলের সঙ্গে।

সে তো জানিই।

সুবীর বোধহয় মজা করে তার ঠাকুমাকে বলেছিল যে, একদিন তার হালুয়ায় মাছি পড়েছিল আর সারাদিন সে রোদুরে মধ্যে মাথায় করে তক্তা বয়েছে। তাই শুনে ঠাকুমা চটে আগুন। তিনি সুরুলে নিজে গিয়ে দেখে শুনে এল্‌মহার্স্টকে বললেন, আমার নাতি কি কুলির কাজ আর মেথরের কাজ করবে? তোমরা ভেবেছটা কী? তাতে এল্‌মহার্স্ট বললে, সুবীর স্বাবলম্বী হতে শিখছে, তা ওর ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক কাজে লাগবে! সুবীরের ঠাকুমা তা মানতে চাইলেন না।

কবি গম্ভীর হয়ে রইলেন।

তিনি জানেন, মেজবউঠান এই শান্তিনিকেতনের কোনও কিছুই পছন্দ করেন না, তাঁর মতে, এ সবই অকাজের কাজ। কিন্তু সুবীরকে তো জোর করে আনা হয়নি। সুরেন সব সময় তার রবিকাকার সব কাজের সঙ্গে সঙ্গে থাকে, সে-ই তার ছেলেকে এখানে পাঠিয়েছে।

রাণু বলল, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সুবীরকে জোর করে সন্ধেবেলা নিয়ে এসেছেন। সে সুরুলে কাজ করলেও শান্তিনিকেতনে এসে রাত্রে ঘুমোবে। তার দেখাদেখি আরও দু তিনটি ছেলে শান্তিনিকেতনে বাবা-মায়ের কাছে চলে আসছে।

কবি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, যে-সব ছাত্র শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, ঠাকুর বাড়ির হোক বা যে বাড়িরই হোক, তাদের বিদেয় করে দিতে হবে।

তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, যাক ও কথা। এলমহার্স্টের সঙ্গে তোমার আর কী কী গল্প হল বলো।

রাণু বলল, আমি সাহেবের কাছে ইংরিজি ঝালিয়ে নিচ্ছি, সেও আমার কাছে টুকটাক বাংলা কথা শিখে নিচ্ছে। তোমার গানও শিখতে চায়। আমাকে বলল, শেখাও। আমি কি আর গান গাইতে পারি। তাই ওকে এস্রাজ বাজিয়ে শোনালাম, তোমারই গান, ওই যে সেই গানটা, ‘ওদের সাথে মেলাও যারা চরায় তোমার ধেনু…’।

কবি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় বসে শোনালে?

রাণু বলল, হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম খোয়াইয়ের ধারে। সেখানে বেশ নিরিবিলি।

কবি বললেন, বাঃ। তা হলে এল্‌মহার্স্টের সঙ্গে তোমার বেশ ভাব জমেছে বলো!

রাণু মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে বলল, হ্যাঁ, হয়েছেই তো। তুমি যদি এরপর আবার অ্যান্ড্রুজ সাহেবের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গম্ভীর গম্ভীর কথা বলল, আমার দিকে না তাকাও, তা হলে আমি এহাস্টের কাছে চলে যাব।

কবি ছদ্মাত্রাসে বললেন, তা হলে তো আমার পক্ষে খুব বিপদের কথা। অ্যাজকে সংযত করতেই হবে, এল্‌মহার্স্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামলে কি আমি পারব? শোনো রাণু, তুমি আমার সঙ্গে শিলং পাহাড়ে যাবে?

রাণু বলল, শিলং পাহাড়? সে তো খুব সুন্দর জায়গা। বাবা কি আমাকে যেতে দেবেন?

কবি বললেন, আমি তোমার বাবাকে লিখব। ওঁরাও সকলে মিলে যেতে পারেন। এখান থেকে বড় দল যাবে, কোনও অসুবিধে হবে না।

রাণু জোর দিয়ে বলল, যাবো, যাবো, আমি যাবো। আমাকে নিতেই হবে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *