১৩. ‘সেনাপতি’ ব্র্যাডম্যান
ব্যাটিংয়ে যেমন, অধিনায়কত্বেও ডন ততখানিই বিরাট হয়ে ওঠে। সেনাপতিরা যুদ্ধের জন্য যেভাবে তৈরি হয়, পরিকল্পনা ছকে ডনও ম্যাচের আগে তাই করত। যেভাবে সেনাধ্যক্ষরা তাদের বাহিনী সমাবেশের পরিকল্পনা করে, ডনও সেইভাবে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের স্ট্রোকের ছক ও তালিকা পর্যালোচনা করে তার ফিল্ড সাজাবার ছকটি তৈরি করে নিত। সেনাপতিদের মতোই আলাদা আলাদা যুদ্ধের ফলের থেকে চূড়ান্ত জয়ের দিকেই তার নজর থাকত। নির্দিষ্ট কোনো টেস্ট জয়ের থেকে তার চিন্তা নিবদ্ধ থাকত রাবার জয়ের দিকে। তার চিন্তাপদ্ধতি যে ফলপ্রসূ হয়েছিল সেটা তার অধিনায়কত্বের পাঁচটি টেস্ট সিরিজের ফল থেকেই বোঝা যায়। চারটিতে অস্ট্রেলিয়া জয়ী, একটি অমীমাংসিত। চারটি জয়ের তিনটি ইংল্যাণ্ডের ও একটি ভারতের বিরুদ্ধে, অমীমাংসিত সিরিজটি ইংল্যাণ্ডের সঙ্গে। ডন কখনো রাবার হারেনি। তার অবসর নেওয়ার পাঁচ বছর পর ইংল্যাণ্ড প্রথম রাবার জেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
তার অধিনায়কত্ব সম্পর্কে সমালোচনা যে একেবারেই হয়নি, তা নয়। প্রায়শই তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি শোনা যেত সেটি হল— বড়ো বেশি শক্তভাবে সেক্রিকেট খেলে, প্রতিপক্ষকে একটুও ছাড় দেয় না, নির্দয় কৌশল অবলম্বন করে।
ডন স্বীকার করে নির্দয়ভাবেই সেখেলে এবং খেলে শুধুমাত্র জয়ের জন্য। খেলা যদি জয়ের জন্য না হয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে আর কিছু থাকে না। যে-পন্থায় সেখেলে সেটা যদি কারুর পছন্দ না হয় তাহলে প্রতিকারের একমাত্র উপায় আইন বদল করা। কেননা সেসবসময় আইন অনুযায়ীই খেলে।
ক্রিকেট আইন ডন ভালোই জানে। ১৯৩৩-এ সেআম্পায়ারিং পরীক্ষা পাস করে। এটা সেকরে এইজন্য যে, তার ধারণা প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই উচিত নিজের খেলার সবরকম বিষয় সম্পর্কে যতটা সম্ভব শিখে রাখা। এই একই যুক্তিতে সেক্রিকেটের ইতিহাস পড়েছে এবং ক্রিকেটের শুরুর আমলের বহু গল্প ও ঘটনায় নিজের পুঁজিকে সমৃদ্ধ করেছে।
ক্রিকেটে অজস্র মজার ঠাট্টা আছে। তার একটি হল, অধিনায়কের প্রথম কর্তব্য টসে জেতা। ডন এই কর্তব্যটি কিন্তু খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। যত-না সেটসে জিতেছে হেরেছে তার বেশি। ১৯৩৮ সিরিজে তো সব ক-টি টেস্টেই টসে হারে। তবে যে-টেস্টে সেটস জিতেছে সেই টেস্ট হারেনি। এই ব্যাপার যেন ইঙ্গিতে জানায়, তার সিদ্ধান্তগুলি গভীর বিচারবোধপ্রসূত। আর ক্রিকেটে কত যে সিদ্ধান্ত অধিনায়ককে নিতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। অধিনায়কের পরিপ্রেক্ষিত থেকে যে-অসুবিধাটিসবথেকে বড়ো সেটি হল—তার সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়ে যাওয়ার পর এবং প্রযুক্ত হওয়ার পর খেলায় সেগুলি সাফল্যের বা অসাফল্যের আলোকে সংবাদপত্র ও জনসাধারণ সেগুলির বিচার ও সমালোচনা করে। সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যা ঘটবে সেগুলি জানার আগেই অধিনায়ককে কিন্তু তার সিদ্ধান্ত স্থির করে ফেলতে হয়।
ডনকে আর একটি জিনিস আবিষ্কার করতে হয়েছে—একই সঙ্গে দর্শকদের তুষ্টিসাধন ও ম্যাচ জেতা। দর্শকরা চায় ঘটনা, ব্যাটসম্যান বল পেটাচ্ছে এবং আউট হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রয়োজনে বহুক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে শিকড় গাড়তে হয়। তখনই শুরু হয় অসন্তুষ্টির বিক্ষোভধ্বনি। ডন কিন্তু বরাবরই চেয়েছে দর্শকদের খুশি করতে। সেমনে করে লোকে খেলা দেখার জন্য যখন পয়সা খরচ করে মাঠে আসছে তখন অর্থদাতা এই পৃষ্ঠপোষকদের উত্তেজক কিছু-একটা অবশ্যই প্রাপ্য যাতে তাদের পয়সা উশুল হয়—এবং তার বেশিরভাগ ইনিংস থেকেই তারা তা পেয়েছে। মন্থর গতিতে সেজীবনে খেলেনি, যদি-না খেলতে বাধ্য হয়েছে। আবার খেলায় যে-পন্থা প্রয়োগের জন্য মস্তিষ্কের নির্দেশ পেত তা অমান্য করে দর্শকের মনোরঞ্জনে কখনোই মেতে ওঠেনি। তার কাছে প্রথম কথা—ম্যাচ জিততে হবে।
ঠিক কোন সময়ে বোলার বদল করতে হবে, দর্শকরা যাকে চায় সেই সেরা বোলারটিকে দিয়ে বল করিয়েই যাবে কি না অথবা পরে কোনো সময়ে ব্যবহার করানোর জন্য এখন তাকে বোলিং থেকে সরিয়ে রাখবে কি না এইসব সিদ্ধান্ত সবসময় নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। উইকেট পেলেও দীর্ঘসময় তাকে দিয়ে বল করালে হয়তো সফরের বাকিটুকুর জন্য সেঅকেজো হয়ে পড়তে পারে। মোটকথা অধিনায়ক যে-সিদ্ধান্তই নিক দেখা যাবে তার থেকেও বেশি বিজ্ঞ স্ট্যাণ্ডের দর্শকরা এবং খবরের কাগজের কিছু পন্ডিত সমালোচক।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংক্রম সাজাবার ব্যাপারে ডনকে মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ব্যাটিংক্রম বদল করার জন্য মাঝে মাঝে তাকে এই বলে সমালোচনা করা হয় যে, যাতে ভিজে উইকেটে তাকে ব্যাট করতে না হয় তাই সেব্যাটিংক্রম বদলাত। কথাটা মিথ্যা নয়। উইকেট শুকিয়ে উঠে রান তোলার অবস্থায় না আসা পর্যন্ত ডন নিজেকে সরিয়ে রাখত। ডন জানত এজন্য তাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু নিজের ব্যাটিং গড় বৃদ্ধি করতে কি নিজেকে জাহির করতে সেতা করেনি।
দলের দরকার রান। নি:সন্দেহে ডন দলের সেরা ব্যাটসম্যান। এবং রান পাওয়ার সম্ভাবনা তারই বেশি। সুতরাং নিজেকে সেসর্বোত্তম সুযোগ অবশ্যই দেবে। এই যুক্তিগুলি সেছেঁকে বার করে নেয় ঠাণ্ডা মাথায়, আবেগের বশবর্তী না হয়ে এবং ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা সরিয়ে রেখে। তার কাছে সব কিছুর আগে অস্ট্রেলিয়া। যে-সিদ্ধান্ত তার কাছে সঠিক মনে হবে, তাতে পৌঁছে গেলেই ডন তা আর কোনোক্রমেই বদলায় না। সেটা নিজের কোলে ঝোল টানার মতো দেখায় যদি দেখাক, তবু সেঅটল থাকবে।
ফিল্ডারদের মাঠে সঠিক জায়গায় রাখার জন্য অনেক সময় ব্যয় করত। যেখানে সেচায় ঠিক সেই জায়গাটিতে, এক ইঞ্চি এধার-ওধার নয়। তাদের দাঁড় করাতে খুঁতখুঁতানির অন্ত ছিল না। তার একটিই কথা, ‘দশ ফুটের জন্য বল ফসকানো যতটা খারাপ, তিন ইঞ্চির জন্য ফসকানো ততটাই খারাপ।’ বোলারদের সঙ্গে সেএত বার শলাপরামর্শ করত যে একে ‘ব্র্যাডম্যানের লিগ অফ নেশনস বৈঠক’ বলা হত। কিন্তু তা থেকে সেফল পেত।
মাঠের বাইরে ও ভিতরে, নির্বাচক ও অধিনায়করূপে ডন সৃজন-গঠন ও প্রশিক্ষণ দ্বারা যা করেছে তারই চূড়ান্ত রূপ ১৯৪৮-এর অস্ট্রেলীয় দল। সর্বকালের অন্যতম সেরা দল।
ক্রিকেট খেলা এবং ক্রিকেট সমস্যার সমাধান, অধিনায়কের কাজের একটা অংশ মাত্র। মাঠের বাইরে আছে ডিনার, সংবর্ধনা, করমর্দন এবং বক্তৃতা। ডনের পক্ষে কঠিন বোধ হয়েছিল বক্তৃতা করা ব্যাপারটা। সেযে গ্রামের সাধারণ ঘরের ছেলে, গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছে যৎসামান্য, এটা সবসময়ই তার মনে থাকত। তাকে অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছে তার ক্রিকেটদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার জন্য, ডিনার সভায় সরল বক্তৃতা বা লোকের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য নয়। ডনের কাছে এসব ব্যাপার অস্বস্তিকর বোধ হত, মাঝে মাঝে সেফেটে পড়ত।
অথচ এসব ক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া হত, ডন ডিনার সভার বক্তৃতায় সমানে পাল্লা দেবে অন্যান্য সহ-বক্তাদের সঙ্গে। অন্যান্যরা বলতে পেশাদার বক্তা— সাধারণত কোনো ক্রিকেটরসিক বিচারপতি, কুইনস কাউন্সিলের কেউ, মন্ত্রীসভার বা পার্লামেন্টের কোনো সদস্য, এরাই। এমন পরিস্থিতি প্রায়ই দেখা দিত, বিশেষত ইংল্যাণ্ড সফরকালে। সেখানে খেলার জন্য ডনকে যতটা সময় খরচ করতে হত, খেলার কাজ বাদে অন্যান্য ব্যাপারেও ততটা বা তার থেকে বেশিই সময় তাকে দিতে হত। এসব ব্যাপার শুরু হয়ে যেত ইংল্যাণ্ড পৌঁছানো মাত্র জাহাজঘাটায় খবরের কাগজের এবং নিউজরিল ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো থেকে।
তারপর অস্ট্রেলিয়া হাউসে সংবর্ধনা। সেখানে হাইকমিশনারের সঙ্গে ডনকে নানাবিধ আলাপ করতে হবেই এবং অন্তত শ-দুয়েক অভ্যাগতের সঙ্গে করমর্দন, কখনো ডনের মনে হত এইসব হস্তচূর্ণকারী সংবর্ধনার পর আর বোধ হয় কখনো সেব্যাট ধরতে পারবে না।
তারপর আরও ফোটোগ্রাফার ও রিপোর্টারদের সঙ্গে মোলাকাত। কসরত করে মুখের হাসি জিইয়ে রাখা, ভদ্র ও বিনীত থাকা, বুদ্ধিদীপ্ত এবং যুক্তিপূর্ণ বা উদ্ধত কি নির্বোধ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাওয়া।
তারপর নাগাড়ে লাঞ্চ আর ডিনার। লাঞ্চ ব্রিটিশ স্পোর্টসমেনস ক্লাবে; ডিনার হাউস অফ কমন্সে (প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ); লাঞ্চ ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাবে (এবং যেন মনে থাকে, যে-লোকটি কাগজে চুটিয়ে আক্রমণ করেছিল তার সঙ্গে দারুণ হেসে কথা বলতে হবে); ডিনার স্টক এক্সচেঞ্জে (শেয়ার বাজারের লোকদের ব্যাপার তাই ডনের ভালোই লাগত)। লাঞ্চ ইনস্টিটিউট অফ জার্নালিস্টদের সঙ্গে (আরও সাংবাদিক); ডিনার ম্যানসন হাউসে লর্ড মেয়র অফ লণ্ডনের আমন্ত্রণে; লাঞ্চ রয়াল এম্পায়ার সোসাইটিতে…
কাউন্টি ম্যাচ খেলার জন্য সফরকালে এই একই ছকে ব্যাপারগুলির পুনরাবৃত্তি ঘটত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে সবাই ধরে নিত ডন ঝকমকে দুর্দান্ত বক্তৃতা করবে। বহু সময় তাকে প্রিন্স ফিলিপ বা লর্ড অ্যাটলি বা লর্ড বার্কেটের আগে বা পরে বক্তৃতা করতে হয়েছে। কিন্তু আগে যতটা তার বুক টিপটিপ করত পরবর্তীকালে ডনকে আর উদবিগ্ন হতে হয়নি কেননা বক্তৃতা সেচমৎকারভাবেই করতে পারত। বক্তৃতাশেষে তার উদ্দেশ্যে যে প্রবল অভিনন্দন ধ্বনিত হত, ডনের প্রায়ই সন্দেহ হত এটা বোধ হয় নিছকই সৌজন্যমূলক। আসলে কিন্তু তা খাঁটি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনই।
বক্তৃতার মধ্যে গল্প ঢুকিয়ে বা নিজের সম্পর্কে ছোটোখাটো তথ্য সরবরাহ করে ডন আসরকে হাসাতে পারত। ১৯৩৮-এ এমসিসি সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলি বল্ডুইন ভোজসভায় জানান, শৈশবে তাঁর স্বপ্ন ছিল কামার হওয়ার। ডন বলল, ‘আমার স্বপ্ন ছিল বাড়ি রং করার মিস্ত্রি হওয়ার, আমরা দুজনেই তাতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে মনে হয় না নিজেদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এখন কেউ আবার রাজি হব।’
সান্ধ্য সম্মিলনে যোগ না দেওয়ার বা তাড়াতাড়ি সম্মিলন থেকে চলে যাওয়ার জন্য লোকেরা যখন ডনের অসামাজিকতা বিষয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তখন সেহোটেলে নিজের ঘরে একা বসে পরবর্তী বক্তৃতা কী বিষয়ে বলবে, আগের বক্তৃতা বা সাক্ষাৎকারে বলা হয়নি এমন কিছু জিনিস আর আছে কি না ইত্যাদি নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। ভেবেচিন্তে কিছু-একটা ঠিক করার পর আছে চিঠির উত্তর দেওয়া। রাত দুটোতিনটে বেজে যেত উত্তর লিখতে। ছোটো ছেলেমেয়েদের চিঠিগুলোতার জন্য আলাদা করে রাখা হত। ডন ব্যক্তিগতভাবে সেগুলির উত্তর দিত। ইংল্যাণ্ড সফরে ডন দিনে গড়ে একশোটি ব্যক্তিগত চিঠি পেত। চিঠিগুলিতে তার স্বাক্ষর চাওয়া থেকে শুরু করে এই রকমের অদ্ভুত অনুরোধও থাকত : ‘২৫ বছর আগে আমার ভাই অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে। তার কোনো খবর আমায় দিতে পারেন কি? তার নাম ডন স্মিথ, বেশ লম্বা, গোঁফও আছে। আপনি নিশ্চয়ই তাকে চেনেন।’ ডন একবার একটি চিঠি পায় যার খামে ঠিকানার বদলে আঁটা ছিল তার মাথা থেকে নাক পর্যন্ত মুখের ছবি ও লেখা ছিল, ‘ইংল্যাণ্ডে কোথাও খেলছেন?’ চিঠিটি লর্ডসে ডনের হাতে পৌঁছেছিল।
ডনের সই সবাই চায়। ডন কিন্তু একটি সই সযত্নে রেখে দিয়েছে— ডব্লি জি গ্রেসের এক ভক্ত এটি তাকে উপহার দিয়েছে। গ্রেসের নামে একটি চেক, পিছনে গ্রেসের স্বাক্ষর। চেকটি ১৯০৭ সালের অর্থাৎ ডনের জন্মের আগের বছরের।
তবে ডন সবথেকে খুশি হত বিদেশি ছেলেদের চিঠি পেয়ে। ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিংহল, এমনকী আমেরিকা, হল্যাণ্ড, ডেনমার্ক থেকেও ছেলেরা তাকে লিখত।
সন্ধ্যাটা এইভাবে কাটিয়ে ক্লান্ত ডন বিছানায় প্রায় লুটিয়েই পড়ত। ঘুমোবার আগে তার শুধু মনে পড়ত, আবার কাল সকালে রিপোর্টাররা ছেঁকে ধরবে, ফোটোগ্রাফাররা ঘেরাও করবে, আরও চিঠির উত্তর দিতে হবে, আরও বক্তৃতা; আর নিতে হবে দল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত, আর খেলতে হবে ক্রিকেট—আরও ক্রিকেট।