১৩. এইডস এবং একটি মহাদেশের অপমৃত্যু

১৩. এইডস এবং একটি মহাদেশের অপমৃত্যু

1981 সালে এইডস রোগটিকে চিহ্নিত করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই রোগটিতে আড়াই কোটি মানুষ মারা গেছে (25 million)। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন এটাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মহামারীগুলোর একটি বলে বিবেচনা করা হয়। যে ভাইরাসের কারণে এই রোগটি হয় তার নাম এইচ.আই.ভি (HIV)-2007 সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন কোটি। যার অর্থ বর্তমান পৃথিবীতে প্রতি দুশো মানুষের মাঝে একজন তার রক্তে এইচ.আই.ভি, বহন করে যাচ্ছে। আমাদের চোখের সামনে পৃথিবীতে এত বড় একটা বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে ব্যাপারটা জেনে-শুনেও আমাদের বিশ্বাস হতে চায় না।

ভাইরাস এমনিতে অনেকটা প্রাণহীন জড় পদার্থের মতো। জীবিত প্রাণীর ভেতর আশ্রয় নিলে এটি জীবন্ত হয়ে ওঠে। ভাইরাস আকারে খুবই ছোট, সাধারণ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এদের দেখা যায় না। এইচ.আই.ভি ভাইরাস তুলনামূলকভাবে একটু বড় হলেও রক্তের যে লোহিত কণিকার মাত্র ষাট ভাগের এক ভাগ। ভাইরাসদের বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নেয়ার কোনো উপায় নেই–যদি থাকত তাহলে এইচ. আই. ভি. ভাইরাস নিশ্চয়ই থাকত সবার উপরে। জীবজগতের হিসেবে যে প্রাণী যত বেশি দিন যত বেশি জায়গায় টিকে থাকতে পারবে সে তত সফল, সেই হিসেবে এইচ.আই.ভি, অত্যন্ত সফল কারণ সে একেবারে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে। একটা ভাইরাস যদি তার বাহনকে খুব দ্রুত শেষ করে ফেলে তাহলে তাকে ব্যবহার করে খুব বেশি দূর যেতে পারে না–যেমনটি হয়েছে এবোলা ভাইরাসের বেলায়। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভাইরাস হচ্ছে এবোলা ভাইরাস, এটা দিয়ে আক্রান্ত রোগী আক্ষরিক অর্থে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, শরীরের প্রতিটি বিন্দু দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে অত্যন্ত দ্রুত মারা যায়। এ কারণে এবোলা ভাইরাস বেশি দূর যেতে পারে না। সেই হিসেবে এইচ,আই,ভি, অত্যন্ত “বুদ্ধিমান”, একজন মানুষকে সংক্রমণ করার পর সে প্রায় দশ বছর সময় নেয় মানুষটি শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে। এই দশ বছর মানুষটি প্রায় সুস্থ-সবল মানুষের মতো থাকে, নিজের শরীরে ভাইরাসটি বহন করে এবং সে অন্যদের শরীরে সেটা ছড়িয়ে দেবার সুযোগ পায় । ভাইরাসটি কীভাবে ছড়াবে সে ব্যাপারেও এইচ, আই, ভি, অত্যন্ত সুবিবেচক-সর্দি-কাশির মতো বাতাসের ভেতর দিয়ে কিংবা এবোলা ভাইরাসের মতো স্পর্শের ভেতর দিয়ে ছড়ায় না। এইচ.আই.ভি, ভাইরাস ছড়ানো রীতিমতো কঠিন। একজন সুস্থ মানুষ যদি এইচ.আই.ভি. আক্রান্ত মানুষের থেকে ভাইরাসটি নিতে চায় তাকে তার জন্যে রীতিমতো পরিশ্রম করতে হবে, হয় তার সাথে দৈহিক মিলন করতে হবে কিংবা রক্ত নিতে হবে। এর মাঝে প্রকৃতি একটু নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে ফেলেছে–কারণ একজন শিশু সন্তান এইচ.আই.ভি আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়েও সেটা পেয়ে যেতে পারে। যেহেতু এইচ.আই.ভি.-এর কোনো ভ্যাক্সিন নেই কিংবা এইডসের কোনো চিকিৎসা নেই তাই এই কৌশলী ভাইরাসকে পরাস্ত করার একটাই উপায়, তার সংক্রমণকে বন্ধ করা। কাজটা সহজ নয় কারণ পৃথিবীতে অসচেতন বা অবিবেচক মানুষের অভাব নেই। তারা অনেক সময় জেনেশুনে এবং অনেক সময় না জেনেই এই কৌশলী ভাইরাসটিকে অন্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আমি যে এই ভাইরাসটিকে কৌশলী ভাইরাস বলছি তার একটা কারণ আছে, এটা কীভাবে কাজ করে শুনলে হতভম্ব হয়ে যেতে হয়। মোটামুটি গোলাকার এই ভাইরাসটি আমাদের শরীরে ঢুকে সোজাসুজি রোগ প্রতিরোধ করার যে কাষ আছে (T cell) সেগুলোকে আক্রমণ করে। সাধারণভাবে মনে হতে পারে ভাইরাসটা এই কোষগুলোকে আক্রমণ করে তাদের ধ্বংস করার জন্যে, আসলে সেটি সত্যি নয়। ভাইরাসগুলো অত্যন্ত কৌশলে কোষগুলোর দেওয়ালে মিলে গিয়ে ভেতরে তার দুটি আর.এন.এ.-এর টুকরো ঢুকিয়ে দেয়। (আমাদের জীবনের নীল নকশা থাকে ক্রোমোজমের ডি.এন.এ.-এর ভেতরে, ডি.এন.এ.তে দুটো সারি থাকে, তার একটা সারির একটা অংশকে বলে আর.এন.এ.) শুধু যে আর.এন.এ.কে ঢুকিয়ে দিয়েই সে কাজ শেষ করে তা নয়, সেই দুটি আর.এন.এ.কে প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় মালমশলা ঢুকিয়ে দেয়। কোষের ভেতরে ঢুকেই তারা তাদের কাজ শুরু করে দেয় সেই আর.এন.এ.কে ব্যবহার করে তারা তার দুটি অবিকল কপি তৈরি করে। সেই অবিকল কপি দুটো একত্র হয়ে ডি. এন. এ. তৈরি করে। এরপর তারা যে কাজটি করে তার কোনো তুলনা নেই, তারা নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজমে গিয়ে তার আসল ডি.এন.এ. কেটে দুই ভাগ করে সেখানে নিজেকে জুড়ে দেয়। এইচ.আই.ভি, তখন সেই মানুষটার রোগ প্রতিরোধ কোষের একটা অংশ হয়ে যায়। সেই কোষ তখন তার অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকর্মের সাথে সাথে এইচ.আই.ভি ভাইরাসের আর.এন.এ. তৈরি করতে থাকবে। সেই আর.এন.এ. কোষের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে পূর্ণাঙ্গ এইচ.আই.ভি, ভাইরাস তৈরি করে মুক্ত হয়ে বের হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধকারী সেই কোষ শেষ পর্যন্ত মারা পড়ে–তাই আমরা দেখতে পাই এইচ.আই.ভি, আক্রান্ত মানুষের রোগ প্রতিরোধকারী কোষ (T cell)-এর সংখ্যা কমে আসছে। এইচ,আই,ভি আক্রান্ত মানুষের শরীরের অবস্থা বোঝার জন্যে ডাক্তাররা প্রথমেই এই কোষগুলোর সংখ্যা গুনে দেখেন। রক্তে এর সংখ্যা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ থেকে কমে এলেই মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে আসে। তখন এইডসের সূত্রপাত হয়।

এইডস AIDS হচ্ছে ইংরেজি Acquired Immune Dificiency Syndrome শব্দগুলোর প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা একটা শব্দ–নামটা শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই রোগে মানুষ তার প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শরীরে এইচ.আই.ভি, থাকলে বছর দশেক পর তার শরীরের টি-সেলের সংখ্যা যখন খুব কমে আসে তখন এইডস দেখা দেয়। এইডস দেখা দেবার পর মানুষ খুব বেশি সময় বাঁচে না, নয় মাস থেকে এক বছরের ভেতর সে মারা যায়। যেহেতু তার রোগ প্রতিরোধের কোনো ক্ষমতা নেই তখন রাজ্যের যত রোগ-শোক আছে তাকে আক্রমণ করে। শরীরের ভেতরেই যে সব রোগ ঘাপটি মেরে ছিল, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্যে বেশি সুবিধে করতে পারছিল না, হঠাৎ করে সেই রোগগুলোই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেখতে দেখতে মানুষটি যক্ষ্মা, নিমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, ডায়রিয়া বা এরকম কোনো একটা রোগে মারা যায়।

এইডস রোগটি কোথা থেকে এসেছে, তার ভাইরাস এইচ.আই.ভি. কেমন করে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে সেটা নিয়ে বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের কৌতূহলের শেষ নেই। এটা নিয়ে নানা ধরনের ধারণা প্রচলিত আছে। বলাই বাহুল্য অনেকগুলো ধারণার মাঝে একটি হচ্ছে পাপীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যে খোদার দেয়া একটি গজব! তবে বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে যে ধারণাটি সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে ভাবছেন সেটি হচ্ছে এটি শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের কাছে এসেছে। শিম্পাঞ্জির শরীরে যখন এই ভাইরাসটি ছিল তখন কিন্তু এটি মোটামুটি একটা নিরীহ ভাইরাস হিসেবেই ছিল। ধারণা করা হয় আফ্রিকার ক্যামেরুনে কোনো একজন শিকারি শিম্পাঞ্জিকে শিকার করার সময় তার শরীরে কোনো একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়ে সেখানে শিম্পাঞ্জির শরীরে থাকা ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়। মানুষের শরীরে এসে ভাইরাসটি নিজেকে খানিকটা পরিবর্তন করে নিয়ে যে রূপটি গ্রহণ করে সেটাই হচ্ছে ভয়ঙ্কর এইচ.আই.ভি. । ধারণা করা হয়, 1955-60-এর মাঝে এইডস আক্রান্ত প্রথম মানুষটি ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়, যদিও রোগটি কী সেটা ডাক্তারেরা তখনো অনুমান করতে পারেন নি। বহু দেশ এবং বহু মানুষ ঘুরে এটা শেষ পর্যন্ত যখন উন্নত মানুষের দেশে এসে হানা দেয় তখন সবার টনক নড়তে শুরু করে–1981 সালে এটাকে মহামারি বিবেচনা করে ঘোষণা দেয়া হয়। ফরাসি এবং আমেরিকান বিজ্ঞানীরা 1983 এবং 1984 সালে প্রথমবার এই ভাইরাসটিকে শনাক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেন। বিজ্ঞানীদের কোন্দল মেটানোর জন্যে 1986 সালে আন্তর্জাতিকভাবে এটার নূতন নাম দেয়া হয় Human Immunodeficiency Virus সংক্ষেপে এইচ.আই.ভি. (HIV)–যে ফরাসি বিজ্ঞানীরা এইচ.আই.ভি. আবিষ্কার করেছেন 2008 সালে তাদের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

এইচ.আই.ভি. একটা ভাইরাস এবং এইডস একটি রোগ কিন্তু এর পিছনে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শোকগাথাটি লুকিয়ে আছে । উন্নত বিশ্ব তাদের দেশে এইডসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। এটি রক্ত দেয়ার মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারে তাই সেসব দেশে সব রক্তই প্রথমে এইচ.আই.ভি.-এর জন্যে পরীক্ষা করে নেয়া হয়। এটা দৈহিক মিলনের ভেতর দিয়েও ছড়াতে পারে তাই সেখানেও ঝুঁকি নেয়া হয় না। মায়ের দুধ খেয়ে সন্তানের শরীরে এইচ.আই.ভি. যেতে পারে তাই মা’দের সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। যে সমস্ত মানুষ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে, ড্রাগ নেবার সময় একে-অন্যের সিরিঞ্জ ব্যবহার করে তারাই এখন অবিবেচক হিসেবে এই ভাইরাসটি সীমিত আকারে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু আফ্রিকা মহাদেশে এটি সম্পূর্ণ অন্য একটি ব্যাপার। সারা পৃথিবীতে এখন তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষের শরীরে এইচ.আই.ভি. ভাইরাস–তার মাঝে দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ হচ্ছে আফ্রিকার। সারা পৃথিবীর এইচ.আই.ভি. বহনকারী মানুষের 65 শতাংশই হচ্ছে আফ্রিকার। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে প্রতি তিনটি মানুষের মাঝে একজন এইচ.আই.ভি. বহন করে। যদিও এইচ.আই.ভি সংক্রমণের প্রায় দশ বছর পর পূর্ণাঙ্গ এইডস দেখা দেয় তারপরেও সেই সব দেশে মৃত্যু এসে হানা দিয়েছে। অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাছে, হাসপাতালে, বাড়িতে ধুকে ধুকে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছে। এখানে মৃত্যু এসে হানা দেয় একজন মানুষের পূর্ণ জীবনের ঠিক মাঝখানে তাই সেখানে লক্ষ লক্ষ অনাথ শিশু–তাদের দেখার কেউ নেই। সেই অনাথ শিশুদের একটা বড় অংশ নিজেরাই এইচ.আই.ভি. বহন করছে, কারো কারো এইডস হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ শিশু এর মাঝে এইডসে মারা গিয়েছে। কর্মক্ষম মানুষ কমে আসায় দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে, পুরো সমস্যাটা এখন চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মহাদেশটির কী হবে কেউ জানে না।

এতক্ষণ আফ্রিকার এইডস নিয়ে যে কথাগুলো বলা হলো সেগুলো আসলে ভূমিকা মাত্র সত্য কথাটা এখনো বলা হয় নি। সত্য কথাটি আরো অনেক ভয়ঙ্কর–সেটি হচ্ছে আফ্রিকার এই দেশগুলো এখনো এই সমস্যাটিকে স্বীকার করে নিতে প্রস্তুত নয়। রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক কর্মী, সুশীল সমাজ সবাই ভান করে যাচ্ছেন যে এটা ঘটে নি। সাউথ আফ্রিকার মতো একটা উন্নত দেশও এটাকে অস্বীকার করে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সেই দেশে এইডস কথাটি কেউ মুখে উচ্চারণ করে না, কারো ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে “এইডস” শব্দটি লেখা হয় না। এইডস হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত মারা যায় যক্ষ্মা, নিমোনিয়া, গণরিয়া এরকম পরিচিত রোগে, কাজেই সেটাকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা হয়। এইচ.আই.ভি. সংক্রমণ বা এইডস এর যেহেতু সত্যিকার চিকিৎসা বা ভেক্সিন নেই তাই এটাকে থামানোর একটাই উপয়, সেটা হচ্ছে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা। আফ্রিকাতে সেই নিয়ম-কানুনগুলোর কথা কেউ স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করে না, কেউ তার চেষ্টাও করে না, কাজেই সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো সচেতনতা নেই। নিজের অজান্তেই তারা তাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন দিয়ে একে-অন্যকে এই ভয়াবহ ভাইরাসটি দিয়ে যাচ্ছেন। 2004 সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আফ্রিকার প্রথম মহিলা ওয়াংগারি মাথাই পুরস্কার পাওয়ার পরের দিনই বলেছিলেন, এইচ.আই.ভি, বানর থেকে এসেছে তিনি সেটা বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন এইচ.আই.ভি. পশ্চিমা শক্তি যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে তৈরি করেছে এবং এর কারণে এখন আফ্রিকার কালো মানুষ অসহায়ভাবে মারা যাচ্ছে।

ওয়াংগারি মাথাইয়ের কথা বিজ্ঞানী মহল হয়তো মেনে নেবে না–কিন্তু এটি কেউ অস্বীকার করবে না যে উন্নত বিশ্ব যেভাবে আফ্রিকা নামের মহাদেশটিকে সবার চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করতে দিচ্ছে সেটি যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে হত্যা করার থেকে কোনো অংশেই কম অপরাধ নয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *