১২. সংশয়ের উজ্জ্বলতা

সংশয়ের উজ্জ্বলতা

সারা পৃথিবীতে বেশ কিছু মহাকাব্য রচিত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দের ব্যাবিলনীয় মহাকাব্য গিলগামেশ থেকে যদি খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের ভার্জিলের কাব্য পর্যন্ত ধরি তা হলে এগুলি সংখ্যাতেও কম নয়। কালের ব্যাপ্তিতেও বিপুল। সাধারণত মহাকাব্যকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়: প্রাথমিক পর্বের, গিলগামেশ, হোমার, ব্যাস, বাল্মীকি; আর দ্বিতীয় পর্যায়ের, ওভিদ, ভার্জিল, প্রভৃতি। ভারতবর্ষের দুটি মহাকাব্যই প্রাথমিক। এই ধরনের মহাকাব্যের কতকগুলি স্বতন্ত্র লক্ষণ থাকে। এগুলির রচয়িতা সম্বন্ধে আমরা প্রায় কিছুই জানি না। গিলগামেশ-এর রচয়িতার নামই জানা যায় না; হোমার বা ব্যাস বাল্মীকি সম্বন্ধে যা জানি তার প্রামাণ্যতা সংশয়িত, কেননা তা অনেক পরবর্তী যুগের, বা সম্ভবত তাঁদেরই রচনার প্রক্ষিপ্ত অংশের থেকে সংকলিত। কাজেই রচয়িতার অনামিক কিংবা কিংবদন্তী-নির্ভর হওয়াটা একটা লক্ষণীয় ব্যাপার। এর একটা সম্ভাব্য কারণ হল, প্রাথমিক মহাকাব্যকাররা নিজেদের যথাসম্ভব নেপথ্যে রেখে কাব্যে তাঁদের দেশের ও কালের এমন একটা পর্বের কথা বলেন যখন তাঁদের জাতীয় জীবনের কোনও ঘটনা বা ঘটনাবলি কবির লেখনীর সাহায্যে অমরতা দাবি করে। এই কবিরা যেন সমস্ত জাতির হয়ে ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থেকে মহাকাব্যগুলি রচনা করেন।

কেন? কী তাঁদের প্রেরণা দেয়? শুধু কি কোনও কাহিনিকে অবলম্বন করে কাব্য রচনাই এঁদের উদ্বুদ্ধ করে? তেমন বহু কাহিনি তো লোকমুখে ভ্রাম্যমাণ থাকে দীর্ঘকাল, দূরদূরান্তরে গাথাসাহিত্যের আকারে। মহাকবি কাহিনিগুলিকে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন মাত্র নিজস্ব সংযোজন দিয়ে। তা হলে কাহিনি ও গাথার অতিরিক্ত কিছুই তাঁদের উপজীব্য, যাকে মহাকাব্যের মধ্যে দিয়ে সাধারণ্যে নিবেদন করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। এই অতিরিক্তটুকু কী? জাতীয় জীবনের কোনও ঘটনা-সম্পাত বিশেষ মুহূর্তে মহাকবির চিত্তে এমন এক আলোড়ন সৃষ্টি করে যাতে তাঁর আবাল্য-অভ্যস্ত সমাজ-স্বীকৃত সব মূল্যবোধের শিকড়ে টান পড়ে; এতে আবার সব কিছু নিয়ে নতুন করে বোঝাপড়া করতে হয় নিজের সঙ্গে— সমকালীন সমস্ত স্বদেশবাসীর প্রতিভূ হয়ে; এই বোঝাপড়ার শেষ নির্যাসটুকু তুলে দিতে হয় দেশবাসীকে; সেই সময়, এই কারণ এবং প্রক্রিয়াতেই, জন্ম নেয় মহাকাব্য। কাজেই মহাকাব্যে কবি গৌণ, দেশবাসীরাও ব্যক্তি হিসেবে গৌণ। যে সকল ঘটনার অভিঘাতে কবি অনুপ্রাণিত হয়েছেন, মহাকাব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা হিসেবে সেগুলিও গৌণ। এ সকলের সমাবেশে জনজীবনে যে সংঘাতের সুচনা হয়েছে, যার সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ অস্ফুট ভাবে সচেতন, কবি সেই সংঘাতকে আত্মস্থ করে তাকে অর্থবহ রূপ দেন মহাকাব্যে। তখন পাঠক বা শ্রোতা মহাকাব্যের মধ্যে খুঁজে পান মূল্যবোধের সংক্ষোভে বিচলিত তাঁর আপন চিত্তের প্রতিরূপ, তাঁর কিছু সংশয়ের সমাধান, কিছু বা নতুন প্রশ্ন যা তাঁকে ভাবাবে এবং উন্নততর জীবনবোধের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

এ কথা সত্য যে, মানুষ স্বেচ্ছায় মূল্যবোধের বিরোধে সংক্ষুব্ধ হতে চায় না। পারলে সে অভ্যস্ত পরিবেশের অভ্যস্ত মূল্যবোধের আবহে শান্তিতে, নির্দ্বন্দ্বে জীবন অতিবাহিত করতে চায়। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাই করেও থাকে। কিন্তু মূল্যবোধের সংকট কারও কারও জীবনে আসে। যেমন দশরথের সামনে দুটি শ্রেয়োনীতির বিকল্প ছিল: কৈকেয়ীকে বরদানের প্রতিশ্রুতি এবং জ্যেষ্ঠপুত্রের সিংহাসন অধিকার সমর্থন করা। লক্ষ্মণ, কৌশল্যা, এঁদের কথায় এটি স্পষ্ট বোঝা যায়। জরাগ্রস্ত, বিকলচিত্ত দশরথ ওই দ্বন্দ্বের সামনে এসে এত বিহ্বল হয়ে পড়েন যে, তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে সিন্ধুমুনির অভিশাপের উপাখ্যান উদ্ভাবন করতে হয়েছে, যার ফলে দশরথের নৈতিক সিদ্ধান্তের গুরুত্ব আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে অতিলৌকিকের দ্বারা। কিন্তু আসলে দুর্বলচিত্ত রাজা কৈকেয়ীর অন্যায় দাবি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না— একদা তাঁর প্রতি অত্যধিক আসক্তি ছিল বলে, এবং এই আপৎকালে তার অনর্থ করবার প্রচণ্ড শক্তি জানতেন বলে। তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের বাসরে রাষ্ট্রের মঙ্গলের যুক্তি ও জ্যেষ্ঠের অগ্রাধিকার যে সমগ্র প্রজাকুলের কাছে রাজার অকথিত অঙ্গীকার— এ কথা বলবার নৈতিক সাহস দশরথ খুঁজে পেলেন না। তেমনই স্নেহময় পিতা যখন রামকে ডেকে পাঠিয়ে অভিষেকের পরিবর্তে চতুর্দশ বৎসরের জন্যে বনে নির্বাসনের সংবাদ দেন তখন দেখা দেয় অনাশঙ্কিত সংঘাত: রাম জ্যেষ্ঠ পুত্র হিসাবে রাজ্যাধিকার দাবি করবেন, না পিতার নির্দেশ মেনে নেবেন? পরে আবার সবার অলক্ষ্যে নির্বাসনভূমিতে যখন ভাই ভরত এসে রাজ্য প্রত্যর্পণ করবার জন্যে মিনতি করেন তখন পুনর্বার সে সংকটের মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে।

এ কোন সংকট? শুধু শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্ব নয়, দুটি ন্যায়সংগত বিকল্পের মধ্যেই বিরোধ। ভরতের অনুরোধে রাজ্য গ্রহণ করলে রাম পিতৃ-সত্য রক্ষা না করার অপরাধে অপরাধী হন না। কারণ, পিতার নির্দেশে বনে যাওয়াতেই তো পিতৃ-সত্য রক্ষা করা হয়েছে। বিমাতা যাঁকে রাজা করতে চান তিনি স্বয়ং যদি জ্যেষ্ঠকে রাজ্য দিতে চানই তাতে তো পিতৃ-আজ্ঞা লঙ্ঘন করা হয় না। এখানে দুটি মূল্যবোধের সংঘর্ষ। এমন ঘটনা মানুষের জীবনে মাঝে মাঝেই ঘটে। রাবণের অন্তঃপুরে সীতা হনুমানের দেখা পাবেন এবং রাম তাঁকে উদ্ধার করবেন এমন আশ্বাসের নিশ্চয়তা দূরে থাক, সম্ভাবনাই ছিল না। সে অবস্থায় দু’ মাস পরে তাঁকে মেরে ফেলা হবে জেনেও রাবণের প্রস্তাবে যখন তিনি সম্মত হননি, তখন রামের প্রতি প্রেম ও আনুগত্য লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রতিষ্ঠিত হল। এর পরে বাল্মীকি স্বয়ং যখন রামের যজ্ঞক্ষেত্রে এসে বলেন যে, সীতা যদি কায়মনোবাক্যে রামেরই প্রতি অনুরক্তা না হয়ে থাকেন, তা হলে তাঁর বহু সহস্র বৎসরের তপস্যা ও কৃচ্ছ্রসাধনের কোনও ফলই যেন তিনি না পান। তখন রামের সম্মুখে দুটি শ্রেয়ের বিরোধ দেখা দেয়: প্রজারঞ্জন ও মহর্ষি বাল্মীকির বাক্যে আস্থা স্থাপন করে প্রকাশ্যে সীতার শুচিতা ঘোষণা করে তাঁকে গ্রহণ করার বিকল্প। দুটিই ধর্মসংগত। কাজেই মূল্যবোধের সংঘাতে যে নৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন, তা শেষ পর্যন্ত ধর্মসংকটের রূপেই দেখা দেয়। শুধু শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্ব হলে ধর্ম ও অধর্মের বিরোধেই তা পর্যবসিত হত, ধর্মসংকট হত না। নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে বিকল্পগুলির গ্রহণ-বর্জন অনেক বেশি সহজ ও সরলরৈখিক।

রামায়ণে এ ধরনের সংকট বেশি নেই বলেই রামায়ণের জনপ্রিয়তা সহজে এসেছে এবং বেশি ব্যাপক ও স্থায়ী হয়েছে। পারিবারিক সম্পর্ক, দাম্পত্য, সৌভ্রাত্র্য, বন্ধুকৃত্য, পরিবারের মর্যাদারক্ষা, শত্রুনিপাত ও তার বাইরে প্রজারঞ্জনের একটা অস্পষ্ট মহনীয়তা— এই সবই রামায়ণের মূল্যাবোধে সংকট এনেছে এবং এগুলির অধিকাংশেরই নিষ্পত্তি হয়েছে শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্ব হিসেবেই।

মহাকাব্যে শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্বও থাকে, কিন্তু তাতে মহাকাব্যের যথার্থ চরিত্র নিরূপিত হয় না। ধৃতরাষ্ট্র যখন অপত্যস্নেহ ও রাজকৃত্যের মধ্যে অন্ধ পিতৃস্নেহকে প্রাধান্য দেন তখন আপামর সাধারণ তাঁর রাজকর্তব্যে ঔদাসীন্য বা অবহেলাকে নিন্দা করেন, কারণ শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্বে তিনি নৈতিক ভাবে পরাজিত। ওই একই দ্বন্দ্বে গান্ধারী পরাজয় স্বীকার করেননি। যে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে শৈশবে স্নেহে লালন করেছেন, যুদ্ধযাত্রার প্রাক্কালে আশীর্বাদপ্রার্থী সেই পুত্রের জয়কামনা করতে পারেননি।[১] না পারার জন্যে তাঁর মাতৃহৃদয় বেদনাদীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু এই অপেক্ষাকৃত সরল দ্বন্দ্বে তাঁর একটি পক্ষ বেছে নেওয়া তত কঠিন ছিল না, কারণ, এ দ্বন্দ্ব দুই মেরুর মধ্যে সাদা-কালোর মতোই স্পষ্ট। কিন্তু দ্যুতসভায় যখন নীরবে কৌরব মহারথীরা দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ দেখেন তখন তাঁদের সামনে দুটি বিরুদ্ধ মূল্যবোধের সংঘর্ষ ছিল। দুটিরই সপক্ষে যুক্তি ছিল। তাঁরা কৌরবের অন্নে প্রতিপালিত, কৌরবদের দ্বারা সংরক্ষিত, অতএব কৌরব-পক্ষ সমর্থন করার পক্ষে তাঁদের নৈতিক দায়বদ্ধতা ছিল। অপরপক্ষে এরও ওপরে ধর্মবোধ, যা নিঃসহায় রমণীর প্রকাশ্য, চূড়ান্ত অপমানের প্রতিকার করার স্পষ্ট পুরুষোচিত ও ক্ষত্রিয়োচিত কর্তব্যের দায়, জনমানসে সেটিরও নৈতিক সমর্থন ছিল। তেমনই যুধিষ্ঠিরের ক্ষত্রিয় কর্তব্য ও মানবিক কর্তব্যের মধ্যে যখন বিরোধ দেখা দিল, তখন তিনি যে শ্রেয়স্তর নীতিকে অবলম্বন করে আপাত ভাবে ক্ষত্রিয়ধর্মচ্যুত হতে সাহস করেছিলেন এখানেই তাঁর ধর্মসংকটে বিজয়ের প্রমাণ থেকে গেছে। এইখানে, এবং শুধুই এইখানে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত কৌরবপক্ষের ঊর্ধ্বে ধর্মবিজয়ীর গৌরব পেলেন পাণ্ডবরা এবং পাণ্ডবপক্ষ হয়ে উঠল ন্যায়পক্ষ, ধর্মপক্ষ। পরবর্তী পর্যায়ে কৃষ্ণ মহিমা সংকীর্তনের জন্য আদিপর্বে যে সংযোজন, ‘যেখানে কৃষ্ণ সেখানে ধর্ম, যেখানে কৃষ্ণ সেখানে বিজয়’, এই দাবি অসার ও অশ্রদ্ধেয় হয়ে ওঠে, কারণ ধর্মসংকট কৃষ্ণের সামনে আসেনি, এসেছিল পাণ্ডবদের সামনে, বারংবার, এবং নিষ্ঠুর বিকল্পের রূপ ধরে। সেইখানে পাণ্ডবরা বিজয়ী, যুদ্ধের শেষ পরিণতির অনেক আগে থেকেই। বকরূপী ধর্ম যখন যুধিষ্ঠিরকে বলেন, তিনি একটি মাত্র ভাইকে সঞ্জীবিত করতে পারেন, তখন যুধিষ্ঠির সকলের অগোচরে একটি সংকটের সম্মুখীন হন এবং অনায়াসে মহত্তর মূল্যবোধে প্রণোদিত হয়ে সহোদর ভাইয়ের পরিবর্তে বৈমাত্রেয় ভাইয়ের নাম বলেন।[২] অর্জুন, যাঁর অস্ত্রবিদ্যা রণকৌশল সর্বজনবিদিত, তিনি যুদ্ধের পূর্বে ভ্রাতৃহত্যা, স্বজনহত্যার শঙ্কায় যখন বিচলিত হয়ে অস্ত্রত্যাগ করতে উদ্যত হন, তখন তিনি ধর্মসংকটের সম্মুখীন হয়ে উন্নততর বিকল্পকে আশ্রয় করতে চেয়েছিলেন। ধনঞ্জয়, সব্যসাচী, রণকুশল অর্জুনের চেয়ে এই অর্জুনের চরিত্র উজ্জ্বলতর। তাঁর এই হৃদয়দৌর্বল্য ক্ষুদ্র নয়, মহৎ। এই ইতস্তত করার মুহূর্তে তিনি পাণ্ডবপক্ষকে ধর্মসংকটের পরিপ্রেক্ষিতে মহত্তর মহিমায় মণ্ডিত করলেন। বিজয়ী যুধিষ্ঠির যে দিন সাশ্রুকণ্ঠে সিংহাসন প্রত্যাখ্যান করতে উদ্যত হলেন, সে দিন তাঁর নৈতিক জয় এমন এক মাত্রা লাভ করল যা আয়ত্ত করা লুব্ধ দুর্যোধনের পক্ষে বা দাম্ভিক কর্ণের পক্ষে সম্ভব ছিল না। বিজয়ের পর, রাজমাতা কুন্তি যখন পরাজিত পক্ষের সঙ্গে বনগমন করেন, তখন তাঁরও সামনে দুটি ন্যায়সংগত বিকল্প ছিল: তাঁর দুঃখী পুত্ররা বহুকষ্টে যে বিজয় লাভ করেছেন তার জন্যে তাঁদেরকে অভিনন্দিত করে তাঁদের সঙ্গে রাজমাতা হয়ে থাকা, যা ছিল প্রত্যাশিত এবং সম্পূর্ণ নীতিসঙ্গত, এবং বনাগমন। কিন্তু ওই ভিতরে-বাইরে সর্বস্বান্ত প্রাক্তন রাজদম্পতি বার্ধক্যের প্রান্তে এসে উক্ত-অনুক্ত লাঞ্ছনা ভোগ করবেন তাঁদেরই পূর্বতন গৌরবের শ্মশান হস্তিনাপুরের রাজপ্রাসাদে, বা গভীর নির্বেদে, আত্মগ্লানিতে বনে যাবেন এ তিনি কেমন করে সহ্য করবেন? এঁদের চেয়ে অনেক কম বয়সে তিনি নিজে বনবাসের ক্লেশ ভোগ করেছেন, তাই আর কিছু দিতে না পারলেও সাহচর্যটুকু দিতে উদ্যত হলেন। কুন্তির ধর্মসংকটের দুটি মেরুই বৈধ; কিন্তু দুঃখময়, বিকল্প বেছে নিতে পেরে তিনি ধর্মের নতুন এক ঔজ্জ্বল্যকে স্পর্শ করলেন।

***

১. স্ত্রীপর্ব; (১৭:৫-৬)

২. আরণ্যক; (২৯৭:৬৬)

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *