রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে
১৯৪৭-৪৮ সালের পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে শিক্ষিত বাঙালির মধ্যে নানা রকম বিভ্রান্তি ছিল। তখন পূর্ব বাংলায় শিক্ষিত সমাজের পরিধি ছিল খুবই ছোট। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, কলেজ পর্যায়ে পড়ালেখা করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা ছিল অল্প। গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা খুবই কম। সারা প্রদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মাত্র একটি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ : আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সরকারি ও বেসরকারি কলেজ মাত্র কয়েকটি। প্রাতিষ্ঠানিক বুদ্ধিচর্চার পরিধি ছিল খুবই সংকীর্ণ। যারা চিন্তাশীল মানুষ, তাঁরা ছিলেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, একেবারেই সংঘবদ্ধ নন, বিভিন্ন মতাদর্শে বিভক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। অনেকে কলকাতায় কোনো রকমে বেঁচেবর্তে ছিলেন, ঢাকায় এসে বেকায়দায় পড়েন। সরকারের শুভদৃষ্টিতে থাকায় কারও কারও কপাল খুলে যায়। তারা এমন কোনো বিতর্কিত বিষয়ে জড়িয়ে পড়া পছন্দ করতেন না, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার নাখোশ হবে এবং তাদের ভাগ্যবিপর্যয় ঘটাবে।
ওই সময়ের পত্রপত্রিকা ঘেঁটে দেখা যায়, অনেকেই পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা-ই নিয়েই ভাবিত ছিলেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা ছিল না। এবং তারা চাইতেন পূর্ব বাংলার সরকারি ভাষা বাংলাই হোক। মুসলিম লীগের প্রায় সব নেতাই এই শ্রেণিতে পড়েন। বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে যারা আর কিছু অগ্রসর তারা চাইতেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দু। শুধু বাংলা পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ মানবে না এবং সে দাবিও অন্যায্য; অন্যদিকে পূর্ব বাংলার বাঙালিরা একমাত্র উর্দুকে মানতেই পারে না। অতি ক্ষুদ্র একটি গোত্র ছিল, বাঙালিদের মধ্যেও যারা চাইত পাকিস্তান মুসলমানদের দেশ, সেই দেশের রাষ্ট্রভাষা যদি শুধু উর্দু হয় তো হোক। নিতান্ত নির্বোধ কেউ কেউ ছিলেন, যারা মনে করতেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি হলেই-বা ক্ষতি কী? একটি জাতির মধ্যে সংহতি না থাকায় এমনটি হতে পারে। আরেকটি কারণ শিক্ষিত মানুষের মধ্যে যুক্তিশীলতা ও বিচার-বিবেচনার অভাব। এবং বেশি অভাব আত্মপরিচয় ও স্বাজাত্যবোধের।
মুসলিম লীগের বাঙালি নেতারাও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ছিলেন না, যদিও তাঁদের নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ চেয়েছিলেন একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তাঁরা প্রকাশ্যে নেতার বিরোধিতা করেননি, যদিও তাঁদেরও দাবি ছিল বাংলাই হবে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা। কারণ, তাঁদের প্রায় কেউই উর্দু লিখতে বা পড়তে পারতেন না– দু-চারটে কথা বলতে পারতেন সেকালের অনেকেই।
জিন্নাহও তাঁর ভাষণে প্রথম বাক্যের পরে দ্বিতীয় বাক্যে বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা কী হবে, তা প্রদেশবাসীই ঠিক করবেন– তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এবং উর্দু অন্য কোনো ভাষা নয়। কি কলকাতা, কি দিল্লি, কি করাচি, কি ঢাকা সব জায়গায়ই বাঙালি নেতারা জিন্নাহর সঙ্গে কথা বলেছেন উর্দুতে –বাংলায় তো নয়ই, ইংরেজিতেও নয়।
১৯৪৭ সালের ১২ নভেম্বর, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে, মুসলিম জাতীয়তাবাদী সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র-যুবকদের এক সভা
অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক, বুলবুল সম্পাদক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবীবুল্লাহ বাহার। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন কবি জসীমউদ্দীন, মুহাম্মদ এনামুল হক, যৌনবিজ্ঞান বইয়ের লেখক আবুল হাসনাৎ, প্রাদেশিক কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ আফজাল। সভার উদ্বোধন করেন প্রাদেশিক বেসামরিক সরবরাহমন্ত্রী নূরুল আমিন, পরে যার মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত প্রমুখ শহীদ হন। ওই সভায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, লীলা রায়সহ বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের বহু অধ্যাপক ও কবি-লেখক উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী ভাষণে নূরুল আমিনের বক্তব্য মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর দৈনিক আজাদ-এর প্রতিবেদনে ছিল এ রকম :
‘যদি রাষ্ট্রের জনসাধারণের মাতৃভাষার মধ্যস্থতায় রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করা না হয়, তবে নাগরিকদের সহিত সে রাষ্ট্রের সম্পর্ক অতি শীঘ্র বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীদের উপর বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা চাপানো যুক্তিযুক্ত নহে। বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষারূপে ঘোষণা করার কোনও প্রতিবন্ধক নাই বলিয়াই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
নূরুল আমিন আরও বলেন :
‘এসলাম ধর্মের সহিত উর্দু ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলিয়া আলেমগণ যে দাবী উত্থাপন করেন তাহা যুক্তিসঙ্গত নহে। সত্য কথা বলিতে কি এসলাম ধর্মের সহিত উর্দু ভাষার অধিক সম্পর্ক নাই। এসলাম ধর্মের সহিত ভারতের অন্যান্য ভাষার যতটা সম্পর্ক উর্দুর সহিতও ঠিক ততটা সম্পর্কই আছে।’
ওই সভায় নূরুল আমিন আরও কিছু কথা বলেছিলেন বাংলা ভাষা সম্পর্কে। তিনি বলেছিলেন বাংলা ব্যাকরণ ও বানান সহজ করা প্রয়োজন। সে ব্যাপারে বাঙালি সাহিত্যিক ও পণ্ডিতদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। নূরুল আমিনের বক্তব্যে পূর্ব বাংলার অধিকাংশ লীগ নেতার মতামতের প্রতিফলন ঘটে।
ওই সভায় কবি জসীমউদ্দীন তাঁর বক্তৃতায় দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। তাঁর দাবির পক্ষে তিনি বাঙালি কবির নোবেল পুরস্কার পাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি এমনও বলেন, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা হবে না– এটা কোনো বিতর্কের বিষয়ই হতে পারে না। এরপর ১৯৫০ সালেও শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের সরকারি বাসভবনে কবি সাহিত্যিকদের এক বৈঠকে মন্ত্রী উর্দুর প্রতি সমর্থন দেওয়ায় সেখানে জসীমউদ্দীন রূঢ়ভাবে প্রতিবাদ করেন। এবং যারা মন্ত্রীকে মৃদু সমর্থন করে স্তাবকতা করছিলেন, তাঁদের ওপর শারীরিকভাবে চড়াও হতে উদ্যত হন। সৈয়দ আলী আহসান মন্ত্রীর পক্ষে ছিলেন।
যা হোক, বাঙালি কবি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও বিচার-বিবেচনা থাকলে ভাষা আন্দোলন অল্প দিনেই শেষ হতে পারত। এবং বাহান্নতে এতগুলো তরুণের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হতো না। বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রান্তি ও সুবিধাবাদিতার কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সাহস পায়। নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংহত করার বহু উপায় ছিল। জনগণ সুসংগঠিতই ছিল। কিন্তু সবকিছু বাদ দিয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে মাথা ঘামাতে থাকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। এবং তাদের সেই অপকর্মে তারা সহযোগী হিসেবে পায় পূর্ব বাংলার একশ্রেণির কবি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদকে। একটি কথা শুনতে স্বাধীন বাংলাদেশের অনেকেরই ভালো লাগবে না, তা হলো উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার কথা জিন্নাহ মাত্র দুবার –রেসকোর্সে ও কার্জন হলে উচ্চারণ করেছিলেন। তারপর তিনি এক বছর জীবিত ছিলেন, আর কখনো রাষ্ট্রভাষা নিয়ে কোনো কথা বলেননি; তাঁর কথার প্রতিধ্বনি করেছেন বাংলার উর্দুভাষী রাজনীতিবিদ– খাজা নাজিমুদ্দীন। রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকেই নানা রকম উন্মত্ততা দেখা দেয় একশ্রেণির শিক্ষিত বাঙালির মধ্যে। কেউ তোলেন আরবিকে রাষ্ট্রভাষার দাবি, কেউ প্রস্তাব করেন আরবি হরফে বাংলা লেখার। আরবি অক্ষরে বাংলা লেখার প্রস্তাব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক আগেই একবার করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আকরম খাঁ সম্পাদিত আল-এসলাম-এর এক নিবন্ধে ১৯১৬ সালে বলা হয়েছিল :
‘উর্দুর ন্যায় আমাদের ভাষা আরবী অক্ষরে কায়দা মতে লেখা হইলে আরব ও পারস্যের লোক অতি সহজে আমাদের ভাষা পড়িতে ও লিখিতে পারিবে এবং আমরাও তাহাদের ভাষা পড়িতে ও লিখিতে পারি। আমাদের মাতৃভাষা আরবী অক্ষরে লিখিতে হইলে নিশ্চয়ই তাহার প্রতি সাধারণের ভক্তি অতি বেশি হইবে… মুসলমানদের উচিত এই বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করা। কারণ এই বর্ণ-পরিচয় দ্বারা তাহারা তাহাদের সমস্ত দেশের ভাষা সকল পড়িতে পারিবেন এবং এশিয়াবাসীগণের মধ্যে প্রণয় ও ঘনিষ্ঠতা বাড়িবে।’
[‘বাঙালীর মাতৃভাষা’, আল-এসলাম, ১ম বর্ষ, ৮ম সংখ্যা, অগ্রহায়ণ, ১৩২২]
কী সাংঘাতিক প্রস্তাব ও যুক্তি! ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, সেই ধরনের মানুষ ছাড়া এমন প্রস্তাব কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। যা হোক, ও কথায় কেউ কান দেয়নি। কিন্তু বিষয়টি শেষ হয়েও যায়নি। আরবি হরফে বাংলা লেখার স্কিম আবার সামনে আসে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর। ১৯৪৯ সালে পূর্ব বাংলা সরকার গঠন করে ভাষা কমিটি। সেই কমিটিতে ভাষাবিজ্ঞানী ও বড় সাহিত্যিকদের চেয়ে বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধী মোল্লা-মৌলভির প্রাধান্য ছিল। তখন প্রকাশিত একটি পুস্তিকায় বলা হয়েছিল :
‘…. ভুলিলে চলিবে না যে বাংলা ভাষায় আরবী হরফ এস্তেমালের ধারণাটি কোন বিদেশীর চিন্তাপ্রসূত নয়….বা পার্টিশান [১৯৪৭] পরবর্তীকালের কোন ভূঁইফোড় প্ল্যান নয়। বহু বৎসর পূর্বেও এ খেয়ালটি দানা বাঁধিয়াছিল পূর্ব বাংলারই একজন মহৎ এবং মোত্তাকী সন্তানের মনে। চাটগাঁয়ের মওলানা জুলফিকার আলী সাহেবই ইহার অগ্রদূত। তিনি একজন খোদাভক্ত ও বিজ্ঞ লোক এবং সায়েমুদ্দাহার (নিষিদ্ধ দিনগুলি ছাড়া তিনি সারা বৎসর রোজা রাখেন)। দারিদ্র সত্ত্বেও তিনি প্রায় বিশ বৎসর যাবত আরবী হরফে একখানা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা চালাইয়া আসিতেছেন। এই রূপ দৃঢ় অধ্যবসায় ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা কেবল ইসলামের প্রাথমিক যুগের কথা মনে করাইয়া দেয় এবং আজকাল আমাদের মধ্যে অতি অল্পই দেখা যায়। অতঃপর তাঁর এই স্কিমের প্রতি মাশ্ৰেকী পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তান] ওলামায়ে ইসলামের নজর পড়ে। তাঁরা সৰ্বান্তঃকরণে ইহার সমর্থন এবং সার পারাস্তি [পৃষ্ঠপোষকতা] করিয়াছেন। কাজে কাজেই স্কিমটি খাঁটি দেশী, বিদেশীয় কল্পনাপ্রসূত নহে।’
[‘দূরদর্শী রচিত হরফ সমস্যা পুস্তিকা’]
সমাজে যখন ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকে, তখন কেউ তাঁর মর্জিমতো কোনো ‘স্কিম’ দিতেই পারেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টাও চালাতে পারেন। আরবি কেন, কেউ যদি বলেন এশিয়ার মানুষ হিসেবে বাংলা ভাষা চীনা হরফে লিখলেই জাতির উপকার হবে, তাতে বিরাট দেশ চীনের সঙ্গে বাঙালিদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে, তাতেই-বা বিচলিত হওয়ার কী আছে? কিন্তু সেই কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষা সংস্কার কমিটির সদস্য করা কোনো দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় নয়। তা হলে বুঝতে হবে সরকারেরও কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে। মুসলিম লীগ সরকারের সেই দুরভিসন্ধি ছিল না –এমন কথা বলা যায় না। উর্দু বা পাঞ্জাবি ভাষা সংস্কারের চেয়ে উন্নত বাংলা ভাষা সংস্কারের জন্য পাকিস্তানি সরকারের মাথাব্যথা ছিল বেশি।
কেন বাংলা ভাষা নিয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসকশ্রেণির এত মাথাব্যথা। জনবহুল পূর্ব বাংলার বহু সমস্যা ছিল। সেগুলো সমাধানের ব্যাপারে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ না নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা না করে বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকলাঙ্গ করার অপচেষ্টার মধ্যে সুদূর দুরভিসন্ধি ছিল।