১২. মতিয়ুর রহমান হাউমাউ করে কাঁদছেন

মতিয়ুর রহমান হাউমাউ করে কাঁদছেন। মনোয়ারা কাঁদছেন। তাঁদের জীবনে আজ আনন্দের একটা দিন। এই আনন্দে শব্দ করে কাঁদা যায়। কিছুক্ষণ আগে আনিকার বিয়ে হয়েছে। তিন লক্ষ টাকা কাবিন। পঞ্চাশ হাজার টাকা উসুল। আনিকা লাল রঙের বেনারসি পরেছে। তাড়াহুড়া করে শাড়ি কেনা হয়েছে, ব্লাউজ বানানো সম্ভব হয় নি। আনিকা পুরনো ব্লাউজ পরেছে। শাড়ি দিয়ে নিজেকে এমনভাবে ঢেকে রেখেছে যে ব্লাউজ দেখা যাচ্ছে না। লাল শাড়িতে এলোমেলো সাজেও আনিকাকে সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে তার বয়স অনেক কমে গেছে।

মিতুর স্বামী ক্যামেরা হাতে ঘুরছে। প্রচুর ছবি তোলা হচ্ছে। বাবা-মার মাঝখানে আনিকা। বরের সঙ্গে আনিকা। বর আনিকাকে শরবত খাওয়াচ্ছে তার ছবি। কাজি সাহেব দোয়া পড়ছেন তার ছবি। সবাইকে খেজুর দেয়া হচ্ছে তার ছবি। এক পর্যায়ে আনিকা বলল, শওকত ভাইয়ের সঙ্গে আমি একটা ছবি তুলব। দীর্ঘদিন পর শওকতকে সে শওকত না ডেকে শওকত ভাই ডাকল।

ছবি তোলা হলো। আনিকা বলল, শওকত ভাই, আমি যে সত্যি সত্যি বিয়ে করে ফেলব তা বোধহয় ভাবেন নি?

শওকত বলল, না ভাবি নি। আজ যে তোমাদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান তাও ভাবি নি।

অবাক হন নি?

হ্যাঁ হয়েছি।

আমি যখন খুব জরুরি খবর পাঠালাম, ইমনের বানানো মোমের মুক্তা নিয়ে চলে আসুন, তখনো নিশ্চয়ই কিছু বুঝতে পারেন নি?

বুঝতে পারি নি।

আনিকা বলল, আমি ভেবে রেখেছিলাম বিয়ে যখন পড়ানো হবে, তখন আমার গলায় মুক্তার মালা থাকবে। সমস্যা হলো, এই মুক্তাগুলি দিয়ে মালা গাঁথা যায় না। সুই ঢুকাতে গেলেই মুক্তা ভেঙে যায়। আপনার ছেলের কাছ থেকে জেনে নেবেন তো কী করে মালা গাঁথা যায়? সে কি দেশে আছে, না চলে। গেছে?

দেশে আছে। আগামীকাল রাত তিনটায় চলে যাবে।

তার টেলিফোন নাম্বার দিন। আমি তার সঙ্গে কথা বলব। তার সঙ্গে আমার একটা চুক্তি হয়েছিল। আমি যখন বিয়ে করব, আমি তাকে জানাব। সে যখন বিয়ে করবে, সে আমাকে জানাবে। আমরা দুজন দুজনের বিয়েতে উপস্থিত থাকব।

শওকত টেলিফোন নাম্বার দিল। আনিকা বলল, আপনি আমার বরের সঙ্গে কথা বলুন। আমি আপনার ছেলের সঙ্গে কথা বলব। আরেকটা কথা, আপনি কিন্তু না খেয়ে যাবেন না। আজকের রান্না আমি নিজে বেঁধেছি। জীবনে কখনো শুনেছেন কোনো মেয়ে তার নিজের বিয়ের রান্না নিজে বেঁধেছে?

না, শুনি নি।

এখন বুঝতে পারছেন তো আমি খুব অন্যরকম একটা মেয়ে?

বুঝতে পারছি।

সিন্দাবাদের ভূত ঘাড় থেকে নেমে গেছে। নিজেকে হালকা লাগছে না শওকত ভাই?

শওকত কিছু বলল না। আনিকা বলল, সবার সঙ্গে বসে থাকতে যদি আপনার অস্বস্তি লাগে, আপনি মিতুর ঘরে বসতে পারেন। মিতুর ঘর খালি আছে। কিংবা আপনি রাগ-চৌকিতেও বসতে পারেন। রাগ-চৌকিও খালি।

শওকত বলল, তুমি আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ো না। আমি ভালো আছি।

আনিকা বলল, ভালো থাকলেই ভালো। আজ একটা শুভদিন। আমি চাই শুভদিনে সবাই ভালো থাকুক।

ঘরোয়াভাবে বিয়ে। বরের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এসেছে। মিতু তার শ্বশুর এবং স্বামীকে নিয়ে এসেছে। বাইরের লোক বলতে শওকত।

শওকত বারান্দায় রাগ-চৌকিতে বসতে গিয়ে দেখে, মধ্যবয়স্ক এক লোক ফুটফুটে একটা মেয়ে নিয়ে রাগ-চৌকিতে বসে আছে। সেই লোক শওকতকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে বলল, স্যার ভালো আছেন?

শওকত বিস্মিত হয়ে বলল, ভালো আছি। আপনাকে কিন্তু চিনতে পারছি না।

আমার নাম আকবর। এটা আমার মেয়ে, নাম উজ্জলা। এখন কি চিনেছেন?

না।

আকবর গলা নামিয়ে বলল, আপনাকে আর আপাকে মগবাজার কাজি অফিসে নিয়ে গিয়েছিলাম। আপার সঙ্গে আপনার বিয়ের কথা ছিল।

ও আচ্ছা। আপনি সেই লোক?

আকবর বলল, আপা আমাকে খুবই স্নেহ করেন। হঠাৎ উনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। উনি আমাকে মোবাইলে খবর দিলেন। উনার কাছে আমার মোবাইল নাম্বার আছে।

ভালো তো।

আপনার কিছু লাগলে আমাকে বলবেন। ব্যবস্থা করব। আমি এই বাড়ির ঘরের মানুষের মতো। চা খাবেন?

আমি কিছু খাব না। থ্যাংক য়্যু।

আপনি বিশ্রাম করেন, আমি কাজ-কর্মের অবস্থা দেখি। আপার কোনো ভাই না থাকায় সমস্যা হয়েছে। বিয়ে-শাদির মতো অনুষ্ঠানে কাজকর্ম করতে পারে এমন পুরুষমানুষ দরকার।

আকবর তার কন্যাকে নিয়ে চলে যাবার পর পর আনিকার বর জামাল এসে পাশে বসল। শওকত বলল, একদিন আমি আপনার খামারবাড়ি দেখতে যাব।

জামাল বলল, অবশ্যই যাবেন। রাতে থাকবেন। শহর থেকে যে সব গেস্টরা যান, তাদের জন্যে রেস্টহাউসের মতো বানিয়েছি। তিনটা ঘর আছে। একটায় এসি লাগানোর ব্যবস্থা রাখা আছে। এখনো লাগানো হয় নি।

গণ্ডগ্রামে এসি দেয়া ঘর! ভালো তো।

আপনার দেখতে ভালো লাগবে। গেস্ট হাউসের সামনের ফুলের বাগান সম্পূর্ণ আমার নিজের হাতে করা। মালী অবশ্য আছে।

জামাল ছেলেটাকে শওকতের পছন্দ হলো। তার চোখে স্বপ্ন আছে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সে এগোচ্ছে। এই ধরনের ছেলেরা সহজে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় atti

শওকত ভাই, আপনার কথা আমি আমার স্ত্রীর কাছে অনেক শুনেছি। একদিন যদি গ্রামে আসেন খুব খুশি হবো।

শওকত হাসল। পনেরো মিনিট হয় নি বিয়ে হয়েছে। এখনই সে এমনভাবে বলছে আমার স্ত্রী যে শুনতে ভালো লাগছে। এত অহঙ্কার নিয়ে আমার স্ত্রী বোধহয় এর আগে কেউ বলে নি।

ছেলেটার চেহারা ভালো। গায়ের রঙও নিশ্চয়ই ফর্সা ছিল। রোদে পুড়ে সেই রঙ তামাটে হয়েছে। ইউরোপিয়ানরা এই রঙ খুব পছন্দ করে। ছেলেটা এখন কথা বেশি বলছে, তবে সে খুব বেশি কথা বলে এমন মনে হচ্ছে না। বিয়ের উত্তেজনায় জড়তা কেটে গেছে। মানসিক উত্তেজনা একেক মানুষকে একেকভাবে বদলায়।

শওকত তাকিয়ে আছে। জামাল চিটাগাং-এর হলদিয়া নদীর রুইপোনা কীভাবে ঢাকায় এনেছে তার গল্প করছে। গল্প বলার ভঙ্গি থেকে সবারই মনে হবে, এটা কোনো দুর্দান্ত ডিটেকটিভ গল্প। মাছের পোনা আনা হচ্ছে না, এনরিচড ইউরেনিয়াম আনা হচ্ছে। পদে পদে ক্লাইমেক্স!

গল্প যেখানে এন্ড ক্লাইমেক্সের দিকে যাচ্ছে সেখানে আনিকা ঢুকল। জামালের দিকে তাকিয়ে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, এই, তোমার সঙ্গে একটা মাইক্রোবাস আছে না?

জামাল বলল, আছে।

আনিকা বলল, আমি ঠিকানা দিচ্ছি, ড্রাইভারকে পাঠাও আমার বড়খালা আর ছোটখালাকে নিয়ে আসবে।

জামাল বলল, আমি সঙ্গে যাই? উনারা মুরুব্বি মানুষ। ড্রাইভার দিয়ে উনাদের আনানো ঠিক হবে না।

আনিকা বলল, তোমার যেতে হবে না। তোমার এখানে কাজ আছে। ড্রাইভারকে কিছু টাকা দিয়ে দাও, এক লিটারের ছয়টা কোক আনবে, তিনটা সেভেন আপ আনবে। ঠাণ্ডা হয় যেন।

আর কিছু?

আর কিছু লাগবে না। তুমি হাত-মুখ ধুয়ে আস। ঘামে মুখ তেলতেলা হয়ে আছে।

জামাল শওকতের দিকে তাকিয়ে বলল, ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিয়ে বাকি গল্পটা বলব। আমাকে শুধু ধরিয়ে দিতে হবে। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকে শুরু করব। কোথায় শেষ করেছি মনে আছে তো?

শওকত বলল, মনে আছে। একসময় আপনার কাছে মনে হলো পানিতে অক্সিজেন কমে আসছে। কারণ মাছের পোনাগুলি ঘনঘন পানিতে ভেসে উঠছে।

জামাল বলল, এটা সমস্যার মাত্র শুরু। সবটা না শুনলে বুঝবেন না। এক্ষুণি আসছি।

জামাল অতি ব্যস্ত ভঙ্গিতে ঘর থেকে বের হলো। শওকত বলল, তোমরা এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলছ দেখে ভালো লাগছে।

আনিকা বলল, ও একটু বোকা। এত স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথা বলাটা যে খুবই অস্বাভাবিক বোকা বলেই সে তা ধরতে পারছে না।

তুমি অতি বুদ্ধিমতী হয়েও কিন্তু স্বাভাবিক আচরণ করছ।

আনিকা বলল, মেয়ে হলো পানির মতো। বর্ণহীন। যে পাত্রে তাকে রাখা হবে সে সেই পাত্রের রঙ তার গায়ে মাখবে। বোকার সঙ্গে যে মেয়ের বিয়ে হবে, তার হাভভাব হয়ে যাবে বোকার মতো। আর সেটাই ভালো।

তোমার আনন্দিত মুখ দেখতে ভালো লাগছে।

আনিকা বলল, ভালো লাগলেই ভালো। কিছুক্ষণ আগে আপনার পুত্রের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাকে আমি আমার বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সে আসছে। তার মা গাড়ি দিয়ে তাকে পাঠাচ্ছেন।

শওকত বিস্মিত হয়ে বলল, তাই না-কি!

আনিকা বলল, আমিও খুব অবাক হয়েছি। আপনার ছেলে বলেছে তাকে দশ-পনেরো মিনিট সময় দিলেই সে মুক্তার মালা বানিয়ে দেবে। আলপিন গরম করে মুক্তোর গায়ে ফুটো করতে হবে। আপনি চা খাবেন?

শওকত বলল, না।

আমার খুব চা খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি যদি খান, আমি আপনার সঙ্গে এক কাপ চা খাব। বাকি জীবনে আর হয়তো আপনার সঙ্গে চা খাওয়া হবে না। আমি ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। পড়ে থাকব গ্রামে।

চাকরি? তোমার চাকরির কী হবে?

আনিকা বলল, চাকরি করব না। স্বামীর খামার দেখব। হাঁস-মুরগি পালব। স্বামীর সেবা করব। ভাগ্য ভালো হলে ইমনের মতো সুন্দর বুদ্ধিমান দুএকটা ছেলেমেয়ে হয়তো আমাদের হবে। তাদেরকে আদর-মমতা-ভালোবাসায় বড় করব। আপনার কি মনে হয় আমি পারব না?

শওকত বলল, অবশ্যই পারবে। তোমার চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুমি পারবে।

থ্যাংক য়্যু। আমি পারতে চাই।

 

ইমনের মুক্তার মালা তৈরি হয়েছে। সময় বেশি লেগেছে, কারণ পুরনো মুক্তা ফেলে দিয়ে মোম গলিয়ে নতুন মুক্তা বানানো হয়েছে। কাজটা ইমন একা করে নি, শওকত তাকে সাহায্য করেছে। যে গভীর মনোযোগের সঙ্গে দুজন কাজ করেছে সেই মনোযোগ দেখার মতো। শেষপর্যায়ে জামাল এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো। দেখা গেল মুক্তা বানানোর ব্যাপারে তার স্বাভাবিক দক্ষতা আছে। হাত না কাপিয়ে সে গলন্ত মোম ফেলতে পারে। একটা মুক্তা আরেকটা মুক্তার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে না।

মুক্তার মালা গলায় দিয়ে আনিকা ইমনকে কোলে নিয়ে গালে চুমু দিল। তারপর নিচু হয়ে শওকতকে পা ছুঁয়ে সালাম করল। তখনো ইমন তার কোলে।

চুমু খাওয়ায় ইমন যতটুকু লজ্জা পেয়েছিল, সালাম করায় শওকত ঠিক ততটুকুই লজ্জা পেল।

আনিকা বলল, শওকত ভাই! আমি আপনার ছেলেকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়াই। আপনি আমাদের দুজনের একটা পোট্রেট করে দিন। কাগজ আর গাদাখানিক পেন্সিল আমি আনিয়ে রেখেছি। আজ সারা দুপুর বসে বসে পেন্সিল কেটেছি। ব্লেড দিয়ে পেন্সিল কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেলেছি। এই দেখেন কাটা আঙুল।

শওকত বলল, ছবি আঁকা ভুলে গেছি আনিকা।

চেষ্টা করে দেখুন। তাকান আমাদের দিকে। আমাদের দেখতে সুন্দর লাগছে না?

শওকত তাকাল। সে অবাক হয়ে দেখল, আনিকার চোখ জলে টলমল করছে। শুধু তাই না, ইমনেরও চোখভর্তি জল। আহারে কী সুন্দর কম্পােজিশান। কী সুন্দর! কী সুন্দর! চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লেই এই কম্পােজিশান নষ্ট হয়ে যাবে। শওকতকে যা করতে হবে তা হচ্ছে এই দৃশ্যটা মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাদের দিকে আর তাকানো যাবে না। পোট্রেট করতে হবে স্মৃতি থেকে।

শওকত হাত বাড়িয়ে বলল, দেখি কাগজ দেখি।

 

অতি দ্রুত সে পেন্সিল টানছে। কোনোদিকেই তাকাচ্ছে না। অন্যদিকে তাকানোর সময় তার নেই। অনেক অনেক দিন পর তার মাথায় পুরনো ঝড় উঠেছে। কী ভয়ঙ্কর অথচ কী মধুর সেই ঝড়! ইমন এক গাদা পেন্সিল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। বাবার হাতের পেন্সিল ভেঙে যেতেই সে পেন্সিল এগিয়ে দিচ্ছে। তার খুব ইচ্ছা করছে পোট্রেটটা কেমন হচ্ছে উঁকি দিয়ে দেখতে। সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে না দেখেও ইমন বুঝতে পারছে বাবা অসাধারণ একটা পোট্রেট আঁকছেন।

নিমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই শওকতকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের চোখে কৌতুহল এবং বিস্ময়। একটু দূরে আনিকা দাঁড়িয়ে। সে ক্রমাগত কাদছে। আনিকার পাশে জামাল ব্রিত মুখে দাঁড়িয়ে। আনিকা তার দিকে তাকিয়ে বলল, এইভাবে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমি কাঁদছি দেখছ না? আমার হাত ধর। না-কি হাত ধরতে লজ্জা লাগছে?

জামাল হাত ধরল। নিচু গলায় বলল, এত কাঁদছ কেন?

আনিকা ধরা গলায় বলল, শওকত ভাইয়ের একটা অসুখ হয়েছিল। অসুখটা আমি সারিয়ে দিয়েছি। এই আনন্দে কাঁদছি।

1 Comment
Collapse Comments
হামিদুল August 18, 2021 at 12:23 am

আমার প্রথম পরা উপন্যাস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *