এসকর্ট কলকাতা
এসকর্ট সার্ভিস, এসকর্ট গার্ল। বছর কয়েক আগে বিশেষ করে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের সময় ভিশন মিডিয়ায় আর খবরের কাগজে, একাধিক নামী দামি ব্যক্তিত্বের মুখে বারবার উঠে এসেছিল শব্দগুলো। বেশ কিছু প্রতিবেদনও লেখা হয়েছিল বিষয়টা নিয়ে। এই এসকর্ট সার্ভিস ব্যাপারটা আসলে কী? পাঠকরা জেনেছিলেন এসকর্ট সার্ভিস মানে হাই প্রোফাইল প্রসটিটিউশন। সমাজের উঁচুস্তরে নারীমাংসের কারবার। এদের মধ্যে কেউই নিষিদ্ধপল্লীর দরজায় অথবা রাস্তার ওপর রংচঙ মেখে দাঁড়িয়ে থাকেন না। খোলা চোখে এদের দেখা পাওয়াটা অসম্ভব। সম্পূর্ণভাবে দালাল থুড়ি এজেন্ট নির্ভর। ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত মহিলারা সকলেই কমবেশি শিক্ষিত, বিশেষ করে ইংরেজি সহ আরও দুয়েকটি ভাষায় কথোপকথনে সবিশেষ দক্ষ। পড়তে পড়তে মনটা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল বছর পঁচিশেক আগে। তখন এসকর্ট সার্ভিস কথাটা শোনেনি কেউ। সমাজের উঁচুতলায় এ ধরনের মহিলারা পরিচিত ছিলেন ‘কলগার্ল’ নামে। ঘটনাচক্রে এরকম কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ ঘটেছিল বিভিন্ন সময় এবং পরিস্থিতিতে। সেই অভিজ্ঞতারই কিছুটা শোনাব এখানে।
উনিশশো একানব্বই কি বিরানব্বই সাল। টুলুদার সঙ্গে বসেছিলাম অলিপাবে। দুটো জাম্বো সাইজের বিফস্টেক আর তিনটে লার্জ পেগের পর টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আমার কাঁধে থাপ্পড় লাগাল টুলুদা— “চল, আজ একবার লিলির ফ্ল্যাটে যাব।’ টুলুদা। বেহালা অঞ্চলে বিশাল বনেদি পরিবারের সন্তান। ওই এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি। পেশায় একটি বহুজাতিক চা-কোম্পানির টি-টেস্টার। যখনকার কথা বলছি তখনও ইএমআই স্কিমের দৌলতে মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে গাড়ি ঢুকে পড়েনি। গাড়ি চড়াটা তখনও বেশ রহিসি ব্যাপারই ছিল। ইন্ডিয়া হবি সেন্টারের সামনে পার্কিং লটে দাঁড় করানো টুলুদার হিলম্যান গাড়িটা। “আব্দুল, থিয়েটার রোড চলো।” গাড়িতে বসে গম্ভীর গলায় ড্রাইভারকে নির্দেশ দিল টুলুদা।
থিয়েটার রোডের মোড় থেকে বাঁদিক ঘুরে গলির মধ্যে পুরনো সায়েবি কেতার বাড়ি। দোতলা। কাঠের সিঁড়ি। ওঠার সময় ধমধম আওয়াজ হচ্ছিল। দোতলায় বিশাল মজবুত কাঠের দরজা। বেল টিপতেই ভেতর থেকে অল্পবয়েসি বামাকণ্ঠের আওয়াজ— “কে?” “টুলুদা, খোল।” শোনামাত্র “ও, আপনি…।” খুলে গেল দরজা, সামনে দাঁড়ানো একটি মেয়ে। বছর বিশ-বাইশেক। পরনে পরিষ্কার কাচা শাড়ি। “আপনারা বসুন, দিদি চানে ঢুকেছে। বেরোবে এক্ষুনি।” চলে গেল মেয়েটা। “বোস।” দৃশ্যতই হতভম্ব এবং অপ্রস্তুত আমার দিকে তাকিয়ে বলল টুলুদা। তারপর নিজেই ধপ করে বসে পড়ল সামনে সোফাটায়। ইতস্তত করে বসে পড়লাম আমিও। সাজানো গোছানো ছিমছাম ফার্নিশড ফ্ল্যাট। হালকা এসি চলছে। সুদৃশ্য ছোট একটা ট্রে-তে করে দু’গ্লাস জল নিয়ে ঢুকল মেয়েটা। “কী খাবেন? চা না কফি।”
“এখন না, লিলি আসুক আগে, তারপর…।” বলল টুলুদা।
মিনিট পাঁচেক বাদে ড্রইংরুমে যিনি ঢুকলেন ওরকম ধারালো চেহারার সুন্দরী অদ্যাবধি খুব কমই দেখেছি জীবনে। বয়স ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ যা কিছু একটা হতে পারে। হাইট কমপক্ষে পাঁচ ফুট সাত কি আট। পালিশ করা তামাটে গায়ের রং। কোমরে দড়ি বাঁধা কিমানো টাইপের একটা নাইট গাউন পরনে। মুখে ঝকঝকে হাসি— “আরে টুলুদা! হোয়াট আ প্লেজান্ট সারপ্রাইজ… অনেকদিন বাদে…।”
“এই ফিরলে?” মুচকি হেসে প্রশ্ন করল টুলুদা।
“আর বোলো না, একটা শর্ট এ্যাসাইনমেন্ট ছিল…।” একটা নামী পাঁচতারা হোটেলের নাম করলেন মহিলা। “তারপর কী নেবে বলো, হার্ড না সফট্?”
“তুমি তো জানো… সন্ধের পর আই ডোন্ট গো ফর সফট্…..।”
“মালতী…।” টুলুদার কথা শেষ হবার আগেই হেঁকে উঠলেন ভদ্রমহিলা। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ট্রে-তে বোতল-গেলাস-স্ন্যাক্স, সবকিছু সাজিয়ে এনে সামনে সেন্টার টেবিলে নামিয়ে রাখল মেয়েটা।
“ওহো, এর সঙ্গে তো আলাপই করিয়ে দেয়া হয়নি। এ…।” আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল টুলুদা। মনে আছে জীবনে ওই প্রথমবার স্কচ খাওয়ার অভিজ্ঞতা… প্রায় ঘণ্টা-তিনেক তুমুল আড্ডার পর প্রায় বারোটা নাগাদ রাস্তায় নামলাম আমরা। “কিরে, কিছু জিজ্ঞেসটিজ্ঞেস করলি না?” গাড়িতে আমাকে প্রশ্ন করল টুলুদা।
“কী জিজ্ঞেস করব?” ঘুরে তাকিয়ে পালটা প্রশ্ন করলাম।
“যা ব্বাওয়া! অ্যাতোক্ষণ থাকলি। ভরপুর আড্ডা হল। একবারও তো জানতে চাইলি না লিলি কে?” টুলুদার ঢুলুঢুলু চোখে হালকা বিস্ময়।
“জানবার কী আছে? উনি তোমার পরিচিত। খুবই ক্লোজ… সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।”
“তা তো বটেই।” আমার কথায় মুচকি হাসল টুলুদা “বাট দ্যাট’স ওনলি আ পার্ট অফ দ্য হোল স্টোরি।” অতঃপর টুলুদার কাছেই জেনেছিলাম লিলিদি (আড্ডার মাঝখানেই কখন যেন সম্পর্কটা তৈরি হয়ে গেছিল) আসলে এই শহরের একজন অভিজাত নগরনটী। টুলুদার ভাষায়— “ওয়ান অফ দ্য মোস্ট সফিস্টিকেটেড অ্যান্ড হাই প্রোফাইল কলগার্ল ইন দ্য সিটি। এক সে এক রহিস ক্লায়েন্ট। বড় বড় হোটেল আর পার্টিতে হরবখত আনাগোনা। পার নাইট চার্জ…” টাকার অঙ্কটা শুনে চোখ কপালে উঠে গেছিল। এসি গাড়ির মধ্যেও ঘেমে উঠেছিলাম দরদর করে। টুলুদার কাছে আরও জেনেছিলাম খদ্দেরকে কাস্টমার নয়, ক্লায়েন্ট বলে ডাকা হয় এই লাইনে। কারও সঙ্গে ঘণ্টা দুয়েক অথবা পুরো একটা রাত কাটানোর সাংকেতিক নাম ‘শর্ট’ অথবা ‘লং অ্যাসাইনমেন্ট’। পুরো ব্যাপারটাই এজেন্ট নির্ভর। কোথায়, কবে, কার সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট— সব দায়িত্ব এজেন্টের ওপর। অ্যাসাইনমেন্টের কাজে প্রায়ই অন্য রাজ্যে এমনকী বিদেশেও যেতে হয়। এত কিছু জানার পরেও জিজ্ঞেস করিনি টুলুদার সঙ্গে ওই ভদ্রমহিলা মানে লিলিদির সম্পর্কটা কী? ইচ্ছেও করেনি কারণ সেটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি আমার কাছে। পরবর্তীতে একাধিকবার গেছি লিলিদির ফ্ল্যাটে। টুলুদার সঙ্গে। ওখানেই আলাপ হয়েছিল শুভ্রা আর ভেরোনিকার সঙ্গে। দু’জনেই লিলিদির থেকে বয়সে বেশ খানিকটা ছোট। লিলিদির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী দু’জনেই এবং একই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে প্রথমজন শুভ্রা। পার্ক সার্কাস ট্রামডিপোর কাছে অভিজাত এলাকার একটা ফ্ল্যাটে থাকত। সিঙ্গল মল্ট হুইস্কির ভক্ত। চেইন স্মোকার। ঝড়ের মতো ইংরেজি বলত। দুর্ধর্ষ রন্ধনপটীয়সী। গীতা দত্ত, ন্যাট কিংকোল আর টিনা চার্লসের উন্মত্ত ফ্যান। বাড়িতে থাকলে কানে ওয়াকম্যান লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে এক সে এক রান্না করা ছাড়া সর্বক্ষণের সঙ্গী বলতে দুটো পিকিনিজ কুকুর। নিজে প্রচণ্ড বেপরোয়া। অ্যাসাইনমেন্ট না থাকলে নিজের লেফট হ্যান্ড ড্রাইভ উইলিস জিপটা নিয়ে একশো, একশো কুড়ির স্পিডে বেরিয়ে পড়ত লং ড্রাইভে— দীঘা, পুরী বা মুকুটমণিপুর। সঙ্গে দু’-চার ক্রেট বিয়ার আর প্রিয় দুই সারমেয়। তত্কালীন কলকাতার দুটি বিখ্যাত সিনেমা হলের এক মালিক (বাংলা সিনেমার এক নামী অভিনেত্রীর স্বামীও বটে) আর স্যানিটারি গুডস ব্যাবসার এক নামজাদা ব্যবসায়ী— দু’জনের মধ্যে নিয়মিত প্রতিযোগিতা চলত কে শুভ্রার মনোযোগ বেশি করে আদায় করবে। অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে চলত শুভ্রা। পালা করে বছরে দু’বার বিদেশ ভ্রমণে যেত দু’জনের সঙ্গেই। ফেরার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসত দুর্দান্ত সব ওয়াইন আর বিদেশি চকলেট। জুয়ার নেশা ছিল প্রচণ্ড। কলকাতার বেশ কিছু অভিজাত ক্লাবের জুয়ার আড্ডায় দেখা যেত প্রায়ই। সিনেমা প্রযোজনাতেও হাত লাগিয়েছিল একবার। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ছবির কাজ। সিনেমার উঠতি এক পরিচালককে বিয়েও করেছিল। মাস তিনেকের বেশি টেকেনি। ফিরে এসেছিল পুরনো পেশায়। পরিণতিটা ছিল মর্মান্তিক। একরাত্তিরে নিজের ফ্ল্যাটে মদের নেশায় চুর হয়ে সিনেমা হল মালিকের লাইসেন্সন্ড কোল্ট রিভলবারটা টেনে নিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে পরপর দুটো বুলেট ঠুকে দেয় প্রেমিকের কপালে। তারপর নিজের মাথায় গুলি চালায়। মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যে, দু’জনেরই। প্রিয় পোষ্যদুটিকে নিয়ে গেছিল পশুপ্রেমী এক সংস্থা। সেসময় সংবাদপত্রগুলোয় এ নিয়ে লেখালেখিও হয়েছিল কয়েকদিন।
দ্বিতীয় জন ভেরোনিকা। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মেয়ে। বাড়ি ছিল রয়েড স্ট্রিট অঞ্চলে। প্রচণ্ড হুল্লোড়বাজ, প্রাণোচ্ছল আর হাসিখুশি সবসময়। দুর্দান্ত পসার ছিল। পরবর্তীতে নিজেরই সম্প্রদায়ের একটি ছেলেকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে পাড়ি জমায় অস্ট্রেলিয়ায়। ফলে খবর পাওয়া বা যোগাযোগের সুযোগ হয়নি স্বাভাবিকভাবেই।
শুভ্রার মতোই করুণ পরিণতি হয়েছিল লিলিদিরও। বেশি বয়সে অল্প বয়সি হ্যান্ডসাম এবং প্রতারক এক প্রেমিকের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে রাস্তায় নামেন। পরবর্তীতে অনেকদিন দেখেছি নোংরা, ছেঁড়া আলুথালু পোশাকে, উদ্ভ্রান্তের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শীর্ণকায় চেহারা। কোটরে বসে যাওয়া সম্পূর্ণ অপ্রকৃতিস্থ দুটো চোখ। ফাঁকা বোধশূন্য দৃষ্টি। মুখে সস্তা চোলাই মদের গন্ধ। চিনতে পারছেন না কাউকে। এরকম চলেছিল বছর খানেক। অতঃপর এক শীতের ভোরে রাস্তা ঝাঁট দিতে আসা ঝাড়ুদাররা ক্যামাক স্ট্রিটের ফুটপাতে লিলিদির মৃতদেহটা দেখতে পায়। থিয়েটার রোডের মোড়ে রেখা বারের (এখন নেই) স্টুয়ার্ট কৃষ্ণান ভাই দিন তিনেক বাদে আমায় খবরটা দেন।
অনেকদিন আগের ঘটনা। তবু এই তিনজনের কথা আমি ভুলিনি আরও একটা কারণে। নব্বই দশকের শেষের দিকে দিল্লির একটি নামী সোশ্যাল রিসার্চ সংস্থার থেকে কলগার্লদের ওপর কাজ করার কনসাইনমেন্ট পাই। একাজে লিলিদি, শুভ্রা আর ভেরোনিকা যেভাবে আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিল সেটা কখনওই ভোলার নয়। ওদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা না পেলে কাজটা আদৌ করা সম্ভব হত না আমার পক্ষে। ওদের রেফারেন্সেই পৌঁছে যেতে পেরেছিলাম আরও একজনের কাছে যে এই পেশায় তুলনামূলকভাবে নবাগতা। বালিগঞ্জ এলাকায় একটা ফ্ল্যাটে মা’র সঙ্গে থাকত। নাম ঠিকানা কখনওই উল্লেখ করা যাবে না— এই শর্তে রাজি হয়েছিল কথা বলতে। আগে একটা নামজাদা বহুজাতিক কোম্পানিতে রিসেপশনিস্টের চাকরি করত। ছেড়েছুড়ে এই পেশায়। “কেন?” প্রশ্ন করায় “কারণ এটাও আর দশটা কাজের মতো আরেকটা কাজ অ্যান্ড এন্ড অফ দ্য ডে ইট মিনস্ মোর মানি”—
উত্তর দিয়েছিল নির্লিপ্ত মুখে। আদ্যোপান্ত পেশাদার। লিলিদিদের মতো প্রেমে পড়ে কেরিয়ার খারাপ করার কোনও বাসনাই নেই। নেই ফালতু আড্ডা বা বেকার হইহুল্লোড়ে সময় নষ্ট করার বাতিক। ভয়ংকর রকম ফিগার কনশাস। নিয়মিত একটি পাঁচতারা হোটেলের জিমে ওয়ার্কআউট করত। চর্বি বা তেল মশলাদার জাতীয় খাবার। নৈব নৈব চ। মদ্যপানে তেমন একটা আসক্তি নেই। ক্লায়েন্ট ভিজিটের সময় মেরেকেটে বড়জোর দু-এক গ্লাস দামি ওয়াইন। তিন-চারজন অত্যন্ত দক্ষ, শিক্ষিত এবং পেশাদার এজেন্ট রয়েছে। পুরো কারবারটাই চলে ইন্টারনেটে, আজকালকার ভাষায় ‘অনলাইনে’। পেশার প্রয়োজনে মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু যেতে হয় হরবখত। এ ছাড়াও মাসে একবার দুবাই যাওয়া বাঁধা। দু-তিন দিনের ট্রিপ। পার্মানেন্ট ক্লায়েন্ট। মাসিক লাখ দেড়েকের প্যাকেজ (প্রিয় পাঠক সাতানব্বই-আটানব্বই সালে টাকার অঙ্কটা চিন্তা করুন একবার)। উত্তরদাত্রীর কাছেই শুনেছিলাম এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের ‘কলগার্ল’ নামে আর ডাকা হয় না এখন। লিলিদি, শুভ্রা, ভেরোনিকাদের মতো পুরনো, আমুদে, হুল্লোড়বাজ, সুখ-দুঃখ মেশানো কলগার্লরা চলে গেছে বেবাক বাতিলের খাতায়। তার বদলে শহরের উঁচুতলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসকর্ট সার্ভিস। ‘এন্ড অফ দ্য ডে ইট মিনস্ মোর মানি’টাই একমাত্র বেদবাক্য যেখানে।
* প্রতিবেদনটিতে সব চরিত্রের নামই পরিবর্তিত।