১০. মিনিবাস থেকে নেমে ইন্দ্রাণী

মিনিবাস থেকে নেমে ইন্দ্রাণী রাস্তা পার হয়ে এল সিনেমাহলের সামনে। ভাস্কর আগে। থেকেই দাঁড়িয়েছিল, ভিড়ের থেকে একটু দূরে।

ইন্দ্রাণী জিজ্ঞেস করল, আর কেউ আসেনি?

আর কে আসবে?

তুমি যে বলেছিলে রুমা, শম্পা, অরুণদেরও টিকিট কাটবে।

শেষপর্যন্ত আর ওদের খবর দেওয়া হয়নি।

তুমি বড্ড কিপটে হয়ে যাচ্ছ কিন্তু।

ওদের আর একদিন দেখাবো।

ফিলম শুরু হয়ে গেছে, ওরা অন্ধকারের মধ্যে গিয়ে বসল। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভাস্কর ইন্দ্রাণীর একটা হাত তুলে নিল নিজের হাতে। সারাক্ষণ সেই হাতটা নিয়ে খেলা করতে লাগল।

ছবি শেষ হওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে এসে ভাস্কর জিজ্ঞেস করল, ছোটোমাসিকে বলে এসেছিস তো?

ইন্দ্রাণী বলল, বাঃ, বলব না?

যাক তাহলে ছোটোমাসি চিন্তা করবেন না। এক্ষুনি বাড়ি ফেরার দরকার নেই। গঙ্গার ধারের রেস্টুরেন্টটায় খেতে যাবি?

একঘেয়ে হয়ে গেছে জায়গাটা।

কলকাতা শহরে বেশি জায়গা তো নেই। আর এক কাজ করা যায়। আমাদের বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ গল্প করা যেতে পারে। বাড়ি ফাঁকা।

কেন ফাঁকা কেন?

মা-বাবা তো পরশু পুরী গেলেন। ইন্দ্রাণী একটু চিন্তা করে বলল, না, ঘরের মধ্যে বসে থাকার চেয়ে ফাঁকায় বেড়ানোই ভালো। গঙ্গার ধারে চলো।

ভাস্কর আজ মোটরবাইক আনেনি। ইন্দ্রাণীকে নিয়ে মোটরবাইকে বেড়ানো তার অনেক দিনের শখ। শেষমুহূর্তে গাড়িটা গড়বড় করল। এখন ট্যাক্সিই ভরসা।

কিন্তু ট্যাক্সি পাওয়া যায় না। ভাস্কর এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করছিল, এমন সময় বৃষ্টি এসে গেল। এমন প্রবল বৃষ্টি যে, আওয়াজে কান ধাঁধিয়ে যায়। গাড়ি বারান্দার নীচে দাঁড়ালেও ছাঁট এসে ভিজিয়ে দেয়। আধ ঘণ্টা এইরকম বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে বেড়াবার মেজাজই নষ্ট হয়ে গেল।

তারপর সামনে একটা বাস এসে দাঁড়াতেই ভাস্কর ইন্দ্রাণীর হাত ধরে টেনে বলল, উঠে পড় উঠে পড়।

হাজরার মোড়ে এসে ভাস্কর ইন্দ্রাণীকে নিয়ে নেমে পড়ল। বৃষ্টি একেবারে থামেনি, তবে তেজ কমে গেছে।

ভাস্করদের বাড়ির গলির মোড়ে এসে ভাস্কর বলল, ইন্দ্রাণী, তুই এখানে একটু দাঁড়া, আমি আগে চলে যাই—তুই বরং একটু বাদে, এই মিনিট দু-এক পরে আসবি।

ইন্দ্রাণী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কেন?

একতলায় বাড়িওয়ালারা থাকে তো! ওরা সব কিন্তু প্যাট প্যাট করে দেখে, কে আসছে, কে যাচ্ছে।

দেখলে কী হয়েছে?

ওরা তো বুঝতে পারবে না তুই আমার বোন। ওরা ভাববে রাত নটার সময় আমার সঙ্গে কোনো মেয়ে আসছে।

কোনো মেয়ে যদি তোমার কাছে আসেই, তাতেই বা কী হয়েছে?

আমার কাছে কোনো মেয়ে কখনো আসে না।

বাজে বোকো না, চলো–

সিঁড়িটা অন্ধকার। ভাস্কর তালা খুলতে পারছে না। পকেট থেকে দেশলাই বার করে ইন্দ্রাণীকে দিয়ে বলল, তুই একটা কাঠি জ্বালিয়ে ধর তো!

সেই অল্প আলোয় দেখা গেল ভাস্করের হাত কাঁপছে। সে ঠিক উত্তেজিত নয়, বরং যেন ভয় পেয়েছে খানিকটা।

ইন্দ্রাণী বলল, ঠাকুর-চাকরও কেউ নেই?

সবাইকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।

তোমায় কে রান্না করে দেয়?

নিজেই রান্না করছি। একদম পুরোপুরি একা থাকতে বেশ লাগে কিন্তু। মায়ের তীর্থযাত্রার বাতিক হয়েছে বলে, আজকাল আমি প্রায়ই একা থাকি।

ভেতরে এসে আলো জ্বালাবার পর ইন্দ্রাণী বলল, তোমার রাত্রির রান্না হয়ে গেছে? না, এখন রাঁধতে হবে?

ওবেলার খিচুড়ি আছে। দুটো ডিম ভেজে নেব। তুই খাবি একটু খিচুড়ি?

নাঃ তুমি কি শুধু খিচুড়িই খাচ্ছ নাকি?

হ্যাঁ, ওটাই সোজা। রান্নার জন্য বেশি সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।

ইন্দ্রাণী বসবার ঘরে না ঢুকে চলে এল ডান দিকের কোণের ঘরটায়। এটা ভাস্করের নিজস্ব ঘর। ঠিক আগেরই মতন নোংরা আর অগোছালো আছে।

ইন্দ্রাণী অনেকদিন বাদে এল এবাড়িতে। মাঝখানে ভাস্করের বাবার অসুখের সময় একবার এসেছিল। বছর চারেক আগে এই ঘরে মণীশ এসে প্রায়ই থাকত।

খাটের পাশে অনেকগুলো ফ্রেম না-করা ছবি জমা করা। যে কাপগুলোতে ভাস্কর রং গুলত—সেগুলোতে ধুলোর সর পড়ে আছে। ভাস্কর নিজের ঘরের দেওয়ালে কোনো ছবি টাঙায় না। একটা ক্যালেণ্ডারও না।

তুমি নতুন কোনো ছবি আঁকছ না?

কী হবে?

ইন্দ্রাণী হঠাৎ রাগের সঙ্গে বলে উঠল, কী হবে মানে কী! শুধু চাকরি করে আর ক্লাবে তাস খেলেই বা কী হবে?

অন্য লোকেরা তো এইসবই করে।

তোমার আলাদা কিছু হওয়ার কথা ছিল।

আমি হেরে গেছি।

কার কাছে?

কী জানি!

 এ-রকম কথা আমার শুনতে ভালো লাগে না। ধোঁয়াটে ধোঁয়াটে কথা।

এবার বল তো তুই কী করছিস? এম. এ. পাশ করে বাড়িতে বসে আছিস, কবে বিয়ে হবে সেই অপেক্ষায়! মেয়েদের বুঝি কিছু করার থাকে না?

আমার তো সেরকম কোনো গুণ নেই।

তুই গান শিখতে শিখতে ছেড়ে দিলি কেন?

ইন্দ্রাণী চুপ করে রইল। তারপর আস্তে আস্তে বলল, মাঝখানে অনেকদিন যাইনি তো, তারপর আবার যেতে কীরকম লজ্জা করল। আচ্ছা বুগুনদা, মানুষ কীজন্য বাঁচে? শুধু বেঁচে থাকার জন্য?

আনন্দ পাওয়ার জন্য।

কীসে আনন্দ পাওয়া যায়।

এক-একজন এক-একটাতে। কেউ টাকা রোজগার করে, কেউ ছবি এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ অন্যকে ঠকিয়ে…মণীশ তোকে চিঠি লেখে?

না।

মণীশ অসমে থাকে এখন, তুই জানিস নিশ্চয়ই।

জানি। যাই বল, তোমার ছবি আঁকা ছেড়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

মণীশকে আমি কিছুই বলিনি।

তোমার আগেকার ছবিগুলো এমন অযত্নে ফেলে রেখেছ কেন?

তুই ওই দেওয়ালটার পাশে গিয়ে বোস, তোর ছবি আঁকি।

আমার, তুমি তো রিয়েলিস্টিক ছবি আঁক না।

তা বলে কী আঁকতে পারি না? গতবছর কিছু এঁকেছিলাম।

দেখাও—

খাটের তলা থেকে ভাস্কর কিছু ছবি টেনে বার করল। সব ক-টাই আদিম অরণ্য আর আদিম মানুষদের গাঢ়রঙের ছবি। রুশোর প্রভাব স্পষ্ট।

এক-একখানা করে ছবি ইন্দ্রাণী খুব মন দিয়ে দেখতে লাগল। প্রত্যেকটা ছবির মধ্যেই একটা শান্তির ভাব আছে। প্রায় নগ্ন নারী পুরুষগুলির প্রত্যেকের মুখই হাস্যময়।

ইন্দ্রাণী বলল, তোমার এ-রকম ছবি তো কখনো দেখিনি। আগেকার ছবি দেখে মানেই বুঝতে পারতাম না। হঠাৎ এগুলো আঁকলে কেন?

এমনিই ইচ্ছে হল এইসব মানুষদের আঁকতে—যাদের কোনো সমাজ ছিল না।

ইন্দ্রাণী গম্ভীর হয়ে গেল।

ভাস্কর বলল, আমার এখন আর শহরের জীবন ভালো লাগে না। সব কিছু ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে যদি কোনো নির্জন জায়গায় থাকতে পারতাম। হয়তো মণীশই ভালো করেছে।

আমি এবার বাড়ি যাব না?

আর একটু বোস। খিদে পেয়েছে! আমি ডিমভাজা আর চা করে দিতে পারি।

না, কিছু দরকার নেই।

জানলায় ছিটকিনি লাগানো নেই; বাতাসে একটা পাল্লা খুলে যাচ্ছে আর ঢাকাস চকাস শব্দ করে বন্ধ হচ্ছে। জল-মেশানো হাওয়ায় একটা স্নেহময় ভাব। ভাস্কর উঠে গিয়ে জানলার দুটো পাল্লাই খুলে দিল। তারপর বলল, বৃষ্টি বেশ জোরে এসেছে আবার। রাস্তায় জল জমে যাবে।

এরপর আমি ফিরব কী করে?

ভাস্কর ইন্দ্রাণীর চোখের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে বলল, না ফিরলে হয় না? তুই আজ রাতটা এখানেই থেকে যা, আমি নীচতলা থেকে ছোটোমাসিকে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।

দু-জনে অপলকভাবে পরস্পরের দিকে চেয়ে রইল কয়েকটি মুহূর্ত। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ইন্দ্রাণী উঠে দাঁড়িয়ে বলল, বাড়িতে ছাতা আছে নিশ্চয়ই। চলো বেরিয়ে পড়ি।

তুই আয় জানলার কাছে। দেখ একবার, এই বৃষ্টিতে ছাতা নিয়েও কোনো লাভ নেই।

ইন্দ্রাণী জানলার সামনে ভাস্করের পাশে এসে দাঁড়াল। বাইরে বৃষ্টির মোহময় ঝমঝমে শব্দ। রাস্তায় একটিও লোক নেই, সমস্ত শহরটাই যেন নীরবে স্নান করছে। জল জমছে আস্তে আস্তে।

চলো রাস্তায় বেরিয়ে ভিজবে?

আমি কি সত্যিই তোকে এখানে রাত্তিরে থাকতে বলছিলাম নাকি? আর একটু পরে ফিরলেই হবে। তুই এখানে জানলার দিকে পাশ ফিরে একটু দাঁড়া, তোর একটা স্কেচ করি। রিয়েলিস্টিক ড্রয়িং এখনও একেবারে ভুলে যাইনি।

ভাস্করই ইন্দ্রাণীর কাঁধ ধরে পাশ ফিরিয়ে দিল। কিন্তু তক্ষুনি ছবি আঁকার বদলে সে ইন্দ্রাণীর গালে হাত রেখে মুখটাকে অনুভব করতে লাগল। যেন ঠিক ভঙ্গিটা আসছে না। ইন্দ্রাণীর কাঁধের আঁচলটা একটুখানি সরালো।

তারপর কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে বলল, আমার খুব মন খারাপ লাগছে। তুই এত সুন্দর!

দ্রুত আবার এগিয়ে এসে সে ইন্দ্রাণীর থুতনি ধরে মুখটা উঁচু করল। চোখের ওপর তীব্র চোখ রেখেও দয়াপ্রার্থীর মতন বলল, একবার।

ইন্দ্রাণী কোনো আপত্তি করল না। ভাস্কর তার চোখে, নাকে ও ঠোঁটে ঠিক এগারোটা চুম্বন দিল। তারপর তার কাঁধের ওপর মাথাটা রাখল।

ইন্দ্রাণীর চোখ দিয়ে জল পড়ছে।

ঠিক এইরকম অবস্থায় মণীশ ওদের একদিন দেখেছিল। তখন সবাই জেনে গেছে যে মণীশের সঙ্গেই ইন্দ্রাণীর বিয়ে হবে। মণীশ প্রাণপণে চাকরি খুঁজছে। প্রত্যেক দিন সে সন্ধ্যে বেলা ইন্দ্রাণীকে নিয়ে কোথাও-না-কোথাও বেরিয়ে যায়। ভাস্করকে সে বলে রেখেছে আমার জন্য একটা ফ্ল্যাট দেখে রাখিস তো! চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি সব ব্যাপারটা সেরে…। চাকরি পাওয়া না ফ্ল্যাট পাওয়া—কোনটা যে বেশি শক্ত বুঝতে পারছি না!

এইরকমই এক বৃষ্টির দিনে সন্ধ্যে বেলা ভাস্কর এসেছিল ইন্দ্রাণীর কাছে। প্রথমে ঠাট্টা ইয়ার্কি করতে করতে বলেছিল, সব তো ঠিক হয়ে গেল রে, এবার শাঁখ বাজালেই হয়। ফ্ল্যাট দেখা হয়ে গেছে, চাকরিও শিগগিরই পেয়ে যাবে মণীশ, ভালো মাইনে, দেবেন ঘোষের ফার্মে—ওর বাবাই যা একটু আপত্তি করছেন–

তারপর হঠাৎ ইন্দ্রাণীর দুই কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, তোকে আমি কী করে ছেড়ে দেব বল তো? কিছুতেই ছেড়ে দিতে পারব না! ইন্দ্রাণী, তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না!

ইন্দ্রাণী, চুপ করেছিল। কী উত্তর দেবে? ভালোবাসা ঠিক কাকে বলে? ভাস্কর আর মণীশ দু-জনে দু-রকম—এদের কারুর প্রতিই তো তার টান কম নয়। অথচ নারীকে শুধু একজন পুরুষেরই হতে হবে।

ভাস্করের বাবা-মা তার ওপরেই নির্ভরশীল, সেইজন্য সে ছবি আঁকাতেই পুরোপুরি মগ্ন হতে পারেনি, তাকে চাকরি নিতে হয়েছে। সে ইন্দ্রাণীকে পেতে পারে না।

সেদিন ভাস্কর অনেকদিন বাদে আবার ইন্দ্রাণীকে চুমোয় চুমোয় আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল। যেন শেষবার। যেহেতু ভাস্কর সঙ্গে সঙ্গে কাঁদছিল, তাই ইন্দ্রাণী বাধা দিতে পারেনি। ভাস্কর যখন বুকে মুখ রেখেছে, তখন দরজার কাছে দাঁড়াল মণীশ। দেখা দেয়নি, সঙ্গে সঙ্গে সরে গিয়েছিল। নিজের বুকেই হাত বুলোচ্ছিল বার বার। একদিন সে তার গেঞ্জিহীন বুক ইন্দ্রাণীকে দেখিয়ে বলেছিল, দেখতে পাচ্ছ, কী লিখে রেখেছি এখানে? মণীশ বার বার নিজের বুকটা চুলকে যেন তুলে ফেলতে চাইছিল সেকথা।

ভাস্করের মাথাটা আলতোভাবে উঁচু করে তুলে ইন্দ্রাণী বলল, বুগুনদা, শোনো–।

ভাস্কর অপেক্ষা করতে লাগল।

ইন্দ্রাণী থেমে গেছে হঠাৎ। এক আঙুল দিয়ে চোখের জল মুছছে।

ভাস্কর জিজ্ঞেস করল, কী?

আমরা পারব না!

কী পারব না?

কথা রাখতে। আমরা যখনই কাছাকাছি আসি—

ভাস্কর হঠাৎ উত্তেজিতভাবে বলল, এতে কোনো দোষ আছে? আমি অনেক ভেবে দেখেছি! এসব পুরোনো সামাজিক নিয়ম, কোনো মানে হয় না! আমি তোকে ছাড়তে পারব না- তোকে ছাড়া আর অন্য কোনো মেয়েকে আমার ভালো লাগে না— আমরা যদি রেজিষ্ট্রি করি–

না, বুগুনদা, তুমি তা পার না।

কেন?

ভালো করে ভেবে দেখো।

আমি অনেক ভেবে দেখেছি। কেন, মণীশের জন্য?

আমি খারাপ মেয়ে, তুমি জানো… ওসব পুরোনো কথা, ওসবের কোনো মানে হয় না। একদম মন থেকে মুছে ফেল। মুছে ফেলা যায় না। ইন্দ্রাণী মুখ নত করতেই ভাস্কর ব্যাকুলভাবে তার বাহু ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল, ইন্দ্রাণী, ইন্দ্রাণী আমার দিকে দেখ একবার।

ইন্দ্রাণী আর দেখবে না। সে কান্না সামলাতে পারছে না কিছুতেই। ভাস্কর জোর করে তার মুখটা উঁচু করে ঠোঁট দিয়ে ইন্দ্রাণীর চোখের জল চেটে নিতে লাগল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *