১০. পরিশিষ্ট – অক্কামের ক্ষুর এবং বাহুল্যময় ঈশ্বর

পরিশিষ্ট – অক্কামের ক্ষুর এবং বাহুল্যময় ঈশ্বর

অক্কামের ক্ষুরকে দর্শনশাস্ত্রে অনেক সময় মিতব্যয়িতার নীতি’ (Principle of Parsimony/Economy) কিংবা ‘সরলতার নীতি’ (Principle of Simplicity) হিসেবে অভিহিত করা হয়। সংক্ষেপে এর মূলনীতিটি হলো–

Pluralitas non est ponenda sine neccesitate (Plurality should not be posited without necessity).

বাংলা করলে দাঁড়ায়– ‘অনাবশ্যক বাহুল্য সর্বদাই বর্জনীয়।

এই নীতি প্রয়োগ কিন্তু বিজ্ঞানে, ধর্মে, দর্শনে খুবই ব্যাপক। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ‘অক্কামের ক্ষুরের প্রয়োগ হরহামেশাই লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞানীরা অষ্কামের যে মূলনীতিটি অনুসরণ করেন তা হলো ‘যদি দুটি বৈজ্ঞানিক মডেল একই রকম ভবিষ্যদ্বাণী কিংবা ফলাফল প্রদান করে থাকে, তবে অপেক্ষাকৃত সহজ মডেলটি সমাধান হিসেবে গ্রহণ করো’ একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। একটা সময় গ্রহদের অনিয়ত-গতিপ্রকৃতি জ্যোতির্বিদদের কাছে বড় ধরনের তাত্ত্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। কেপলার এই সমস্যা সমাধান করতে আমাদের সামনে হাজির করেছিলেন তিনটি সূত্র। আর পরবর্তীকালে একই সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে কেপলারের এই তিনটি নিয়মের বদলে নিউটন আমাদের দিলেন একটি মাত্র সূত্র ‘মহাকর্ষীয় ব্যস্তবর্গীয় নিয়ম (Inverse Law of Gravity) যা দিয়ে গ্রহ উপগ্রহের চলাচলজনিত সমস্যাগুলোর একটা সহজ সমাধান পাওয়া যায়। দেখা গেল, এই একটি নিয়ম থেকেই কেপলারের পূর্বেকার নিয়মগুলো স্বতঃসিদ্ধভাবে বেরিয়ে আসে। কাজেই যখন থেকে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটিকে ‘বৈজ্ঞানিক মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হলো, কেপলারের সূত্রগুলো ‘অনর্থক বাহুল্য হিসেবে পরিত্যক্ত হলো সংগত কারণেই। এটি অক্কামের সূত্রের একটি খুবই সার্থক প্রয়োগ।

অক্কামের ক্ষুরের আরেকটি সার্থক প্রয়োগ দেখা যায় ইথারের ক্ষেত্রে। ঊনবিংশ শতাব্দীর পদার্থ বিজ্ঞানীরা আলো চলাচলের জন্য মাধ্যম হিসেবে ইথার’ নামক একটি অদৃশ্য, ঘর্ষণহীন, রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং ‘সর্বভূতে বিরাজমান’ এক রহস্যময় পদার্থ কল্পনা করেছিলেন। তাদের ধারণা ছিল শব্দ চলাচলের জন্য যেমন মাধ্যমের প্রয়োজন, তেমনই আলো চলাচলের জন্যও একটি মাধ্যম থাকতেই হবে। তারা ধরে নিয়েছিলেন এই পুরো মহাবিশ্বটাই ডুবে রয়েছে ইথার নামক এক অদৃশ্য পদার্থের অথৈ মহাসমুদ্রে। আর এই ইথার নামক মাধ্যমের সাহায্যেই আলো অনেকটা শব্দের মতোই তরঙ্গাকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ১৮৮০ সালে মাইকেলসন-মর্লির বিখ্যাত পরীক্ষা এবং তারও পরে ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ব’ তাত্ত্বিকভাবে ইথারের অস্তিত্বকে নস্যাৎ করে দিল। গন্ধহীন, স্পর্শহীন রহস্যময় ‘ইথার’ ‘অহেতুক বাহুল্য হিসেবে পরিত্যক্ত হলো।

অক্কামের ক্ষুরের ব্যাপকতর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় দর্শনেই। নাস্তিক্যবাদী দার্শনিকরা, অক্কামের ফুরের প্রযোগে যুক্তি দেখিয়ে থাকেন, ঈশ্বরের অনুমান নিতান্তই একটি অপ্রয়োজনীয় অনুকল্প। কীভাবে? নিম্নোক্ত দুটি হাইপোথিসিস বা অনুকল্প বিবেচনায় আনা যাক—

১) আমাদের সামনে এক জটিল মহাবিশ্বের অস্তিত্ব রয়েছে, যেটি প্রাকৃতিক নিয়মে (Natural Process) উদ্ভূত হয়েছে। অর্থাৎ,

০ মহাবিশ্বের অস্তিত্ব > প্রাকৃতিক নিয়ম

২) আমাদের সামনে এক জটিল মহাবিশ্বের অস্তিত্ব রয়েছে, এবং একজন ঈশ্বর’ও রয়েছেন যিনি এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন। এখানে ‘ঈশ্বর স্বভাবতই একটি পৃথক সত্ত্বা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ,

০ মহাবিশ্বের অস্তিত্ব > নিয়ম + ঈশ্বর

যদি এই দুইটি পথের মধ্যে একটিকে পছন্দ করতে হয়, তবে ‘অক্কামের সূত্র এদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সহজটিকে সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে বলবে অর্থাৎ প্রথম সমাধানটি এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

কেউ কেউ অবশ্য তৃতীয় একটি সমাধানকে অপেক্ষাকৃত সহজ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন–

আমাদের সামনে কোনো জটিল। মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নেই আসলে সবই মাযা আমাদের কল্পনা!

তবে এই তৃতীয় সমাধানটি আমাদের সলিপসিজমের (Solipsism) পথে নিয়ে যায় যা অধিকাংশ যুক্তিবাদীর কাছে অগ্রহণযোগ্য।

জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অক্কামের সূরের চমৎকার একটি প্রয়োগ আমরা পাই যখন চার্লস ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটা বিবর্তন তত্ত্ব উইলিয়াম প্যালের ‘ডিজাইন আর্গুমেন্ট’ বা সৃষ্টির পরিকল্পিত যুক্তিকে বাতিল করে দিয়েছিল। উইলিয়াম প্যালে (১৭৪৩ ১৮০৫) ‘র বিখ্যাত বই ‘Natural Theology, or Evidence of Existence and Attributes of the Deity, collected from the Appearences of Nature’–প্রকাশিত হয় ১৮০২ সালে। ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বই ছিল সেসময়। জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়েও প্যালে ভেবেছিলেন বিস্তর, কিন্তু নিজেই শেষ পর্যন্ত বলেছিলেন ‘বুদ্ধিদীপ্ত স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞান উপযুক্ত মাধ্যম নয়’; এ ক্ষেত্রে প্যালের ‘উপযুক্ত মাধ্যম মনে হয়েছিল বরং জীববিজ্ঞানকে। আর পূর্ববর্তী অন্যান্য ন্যাচারাল থিওলজিয়ানদের মতোই প্যালেও জীবজগতকে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে জীবের অভিযোজনের ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। প্যালে লক্ষ্য করেছিলেন যে, প্রতিটি জীবদেহে নির্দিষ্ট কাজ করবার জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে, যা জীবটিকে নির্দিষ্ট কোনো পরিবেশে টিকে থাকতে সহায়তা করে। তিনি জটিল জীবদেহকে ঘড়ির কাঠামোর সাথে তুলনীয় মনে করেছিলেন, এবং তার মধ্যেই দেখেছিলেন স্রষ্টার সুমহান পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য আর নিপুণ তুলির আঁচর। আর চোখকে প্যালে অনেকটা জৈব-টেলিস্কোপ হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, ঘড়ি কিংবা টেলিস্কোপ তৈরি করার জন্য যেহেতু একজন কারিগর দরকার, চোখ ‘সৃষ্টি করার জন্যও প্রয়োজন একজন অনুরূপ কোনো কারিগরের। সেই কারিগর যে একজন ব্যক্তি ঈশ্বর’ (Personal God) ই হতে হবে তা প্যালে খুব পরিষ্কার করেই বলেছিলেন তার গ্রন্থে।

প্যালের এই ‘ঘড়ির কারিগরের যুক্তি’ দর্শনশাস্ত্রে পরিচিত ‘পরিকল্পিত যুক্তি’ বা ‘আমেন্ট অব ডিজাইন নামে। এই যুক্তি ঈশ্বর নামক একটি সত্ত্বার অস্তিত্বের পেছনে অত্যন্ত জোরালো যুক্তি হিসেবে বিশ্বাসীরা ব্যবহার করতেন। ডারউইনের বিবর্তন তত্বই প্রথমবারের মতো এই ডিজাইন আর্গুমেন্টকে শক্তিশালীভাবে চ্যালেঞ্জ করে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছিল। ডারউইন প্রস্তাব করলেন জীবদেহকে কেবল ঘড়ির সদৃশ যন্ত্রের মতো কিছু ভেবে বসে থাকলে চলবে না। জীবজগৎ যন্ত্র নয়; কাজেই যন্ত্র হিসেবে চিন্তা করা বাদ দিতে পারলে এর পেছনে আর কোনো ডিজাইন বা পরিকল্পনার মতো ‘উদ্দেশ্য খোঁজার দরকার নেই। জীবজগতে চোখ বা এধরনের জটিল। প্রত্যঙ্গের উদ্ভব ও বিবর্তনের পেছনে ডারউইন প্রস্তাব করলেন এক ‘অন্ধ কারিগরের’, নাম প্রাকৃতিক নির্বাচন যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ বছর ধরে ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা পরিবর্তনের ফলে চোখের মতো অত্যন্ত জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠা সম্ভব। এ প্রক্রিয়াটির নাম ক্রমবর্ধমান নির্বাচন (Cumulative selection। একাধিক ধাপের এই ক্রমবর্ধমান নির্বাচনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে যে জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ভূত হতে পারে তা ইতোমধ্যেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ছবি। পেজ ৪৫৯

চিত্র : ডারউইন দেখিয়েছেন যে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটা বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ বছর ধরে ধাপে ধাপে গড়ে। ওঠা পরিবর্তনের ফলে কাঠঠোকরার ঠোঁটের মতো অত্যন্ত জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠা সম্ভব।

শুধু তাই নয়, এ পদ্ধতিতে আংশিকভাবে চোখের উৎপত্তি ও বিকাশ যে সম্ভব এবং তা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে যে একটি জীবের টিকে থাকার সম্ভাবনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলতে পারে তারও অজস্র উদাহরণ রয়েছে আমাদের চারপাশে। বিবর্তন তত্ত্ব ডিজাইন আর্গুমেন্টকে। বাতিল করে দেয় বলেই আমরা আজ প্রজাতির ‘উৎপত্তির কথা বলি, ‘সৃষ্টি’র নয়। বিবর্তন তত্বই প্রথমবারের মতো আমাদের দেখিয়ে দিল যে, মানুষসহ অন্যান্য জীবের উদ্ভবের পেছনে কোনো স্বর্গীয় কারণ খোঁজার দরকার নেই; অন্যান্য পশুপাখি, গাছপালা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ পৃথিবীতে এসেছে, মানুষ নামের দ্বিপদী প্রাণীটিও ঠিক একই বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এ পৃথিবীতে এসেছে, কোনো ধরনের ‘সৃষ্টি’ (কিংবা সৃষ্টিকর্তার হস্তক্ষেপ) ছাড়াই। বিবর্তন তত্ব কীভাবে সৃষ্টির পরিকল্প যুক্তি বা ডিজাইন আর্গুমেন্টকে সরাসরি বাতিল করে দেয়, সেটার তেরো পর্বের একটা flaps (written by Dylan Evans & Howard Selina) রাখা আছে মুক্তমনা সাইটে[৩৫০]। এর দার্শনিক অভিব্যক্তি এতই বিশাল ছিল যে, অধ্যাপক ডকিন্স বলতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, ডেভিড হিউম কিংবা বার্ট্রান্ড রাসেলেরা ঈশ্বরের অস্তিত্বের যুক্তিগুলো বহুভাবে খণ্ডন করলেও ডারউইনের বিবর্তন তত্বই তাকে intellectually fulfilled atheist’-এ রূপান্তরিত করতে পেরেছে অত্যন্ত সার্থকতার সাথে। দার্শনিক ড্যানিয়েল ডেনেট সেজন্যই তার একটি বইয়ে বিবর্তন তত্বকে রাজাম্ল বা ইউনিভার্সাল এসিড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

যা হোক, লেখার এই পর্যায়ে এসে অক্কামের ক্ষুরের ইতিহাসটি পাঠকদের সামনে একটু ছোট করে বান করতে চাচ্ছি। অক্কামের ক্ষুর’ নামক এই অদ্ভুতুড়ে পরিভাষাটি আসলে এসেছে ইংরেজ দার্শনিক উইলিয়াম অকহামের (William Ockham, ১২৪৫-১৩৪৯) নাম থেকে। অকহাম নিজে যদিও এই সূত্রটির উদ্ভাবক ছিলেন না, তবে এই সূত্রটি তিনি প্রায়শই বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতেন বলে শোনা যায়। আর সেজন্যই তার নাম এই সূত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আমরা অবশ্য জানি না যে, নাপিতের ‘দাঁড়ি কামানোর ক্ষুরের মতো ভয়ংকর একটা কিছুর আদলে তার নাম নিয়ে এই উদ্ভট পরিভাষা সৃষ্টির সাথে তিনি একমত হতেন কিনা, তবে তিনি চান বা না চান তার নামটি কিন্তু বিখ্যাত এই সূত্রের সাথে আজ ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে রয়েছে। ‘অক্কামের ক্ষুর’ মধ্যযুগীয় দর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

রসিকজনেরা কিন্তু এই সূত্রটি নিয়ে নানা ধরনের রসিকতা করতেও ছাড়েন নি। যেমন কেউ কেউ এই সূত্রটিকে অভিহিত করেন ‘Kiss’ সূত্র (Keep it simple, stupid) হিসেবে। কেউবা এই সূত্রটির নির্যাসকে তুলে ধরেন এভাবে–

যখন কোথাও ঘোড়ার ডাক শোনো, তখন ঘোড়ার কথাই মাথায় রেখো, জেব্রা বা জিরাফের নয়।

বিখ্যাত চিত্রকর ও বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি (১৪৫২-১৫১৯) ছিলেন অকহামের সমসাময়িক ব্যক্তিত্ব। তিনিও তার মতো করে একটি ‘অক্কামের সূর’ তৈরি করেছিলেন। তার রচিত ‘অষ্কামের ক্ষুরটি ছিল এ রকম–

Simplicity is the ultimate sophistication

ইতিহাসে অক্কামের ফুরের একটি সার্থক প্রযোগের উল্লেখ পাওয়া যায় বিজ্ঞানী লাপ্লাস এবং নেপোলিয়নের একটি মজার ঘটনায়। মুক্তমনার প্রথম বই ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী,[৩৫১] শেষ হয়েছিল এ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটির উল্লেখে। তবে, ঘটনাটি বানানো কিছু নয়। ঘটনাটি আমাদের নজর কাড়ে বিখ্যাত জ্যোতির্পদার্থবিদ মেঘনাদ সাহার ‘হিন্দু ধর্ম-বেদ-বিজ্ঞান সম্পর্কিত একটি চিত্তাকর্ষক বাদানুবাদ থেকে (আধুনিক বিজ্ঞান ও হিন্দুধর্মঃ অনিলবরণ রাযের সমালোচনার উত্তর, মেঘনাদ সাহা, মেঘনাদ রচনা সংকলন, শান্তিময় চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত, ওরিয়েন্ট লংম্যান, কলিকাতা, ১৯০৮, পৃষ্ঠা ১২৭-১৬৯ দ্র.)। বর্ণিত ঘটনাটি এরকম–

বিখ্যাত গণিতজ্ঞ লাপ্লাস তার সুবিখ্যাত ‘Mechanique Celeste’ গ্রন্থে গ্রহসমূহের এবং চন্দ্রের গতির খুব সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি প্রমাণ করেন যে, গতিবিদ্যা ও মাধ্যাকর্ষণ দিয়ে পর্যবেক্ষিত সকল গ্রহগতির সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দান সম্ভব। তিনি যখন গ্রন্থটি নেপোলিয়নকে উৎসর্গ করার জন্য অনুমতি চাইতে গেলেন, তখন নেপোলিয়ন রহস্য করে বলেন,

মসিঁয়ে লাপ্লাস, আপনি আপনার বইয়ে বেশ ভালোভাবেই মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের চালচলন ব্যাখ্যা করেছেন; কিন্তু আমি দেখলাম আপনি কোথাও ঈশ্বরের নাম উল্লেখ করেন নি। আপনার মডেলে ঈশ্বরের স্থান কোথায়?

লাগ্লাস উত্তরে বললেন, স্যার, এই বাড়তি অনুকল্পের কোনো প্রয়োজন নেই।

.

ঈশ্বরই কি সৃষ্টির আদি বা প্রথম কারণ?

বার্ট্রান্ড রাসেল তার বিখ্যাত ‘Why I am not a Christian প্রবন্ধে প্রথম কারণ সম্বন্ধে বলেন–

আমাদের আগেই বুঝে রাখা দরকার যে জগতের যা কিছু আমরা দেখতে পাই, সবকিছুর একটি কারণ আছে। এই কারণকে প্রশ্ন করতে করতে আপনি পেছনের দিকে এগিয়ে গিয়ে অবশ্যই প্রথম কারণের (First Cause) সম্মুখীন হবেন, এবং এই প্রথম কারণকেই স্বতঃসিদ্ধভাবে ‘ঈশ্বর হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।… আমিও বহুদিন ধরেই এটিকে স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছিলাম কিন্তু একদিন, যখন আমার বয়স আঠারো, আমি জন স্টুয়ার্ট মিলের আত্মজীবনী পড়ছিলাম, আর পড়তে গিযেই সেখানে এই বাক্যটি পেলাম: ‘আমার বাবা আমাকে প্রশ্ন করলেন। ‘কে আমাকে তৈরি করেছে?” আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নি। কিন্তু এই প্রশ্নটি আমাকে আরও একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের দিকে ঠেলে দিল। যেটি হলো ঈশ্বরই যদি আমাকে তৈরি করে থাকেন, তবে ঈশ্বরকে তৈরি করেছে কে? আমি এখনও মনে করি ঈশ্বরকে তৈরি করেছে কে? এই সহজ সরল বাক্যটি প্রথম কারণ সম্পর্কিত যুক্তির দোষটি। সেই প্রথম আমাকে দেখালো। যদি প্রতিটি জিনিসের একটি কারণ থাকে, তবে ঈশ্বরেরও কারণ থাকতে হবে। আবার যদি কারণ ছাড়াই কোনোকিছু থাকতে পারে (যেমন ঈশ্বর), তবে এই যুক্তি ঈশ্বরের জগতের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।

‘বিগব্যাং তত্বটি বৈজ্ঞানিক সমাজে গৃহীত হওয়ার পর পরই বিশ্বাসীদের মধ্যে নতুন করে প্রথম কারণটিকে প্রতিষ্ঠিত করার নব উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেল। ১৯৫১ সালে Pope Pius XII পন্টিফিকাল অ্যাকাডেমির সভায় বলেই বসলেন–

যদি সৃষ্টির শুরু থাকে, তবে অবশ্যই এই সৃষ্টির একজন স্রষ্টাও রয়েছে, আর সেই স্রষ্টাই হলেন ঈশ্বর।

জ্যোর্তিবিজ্ঞানী এবং ধর্মযাজক জর্জ হেনরি লেমিত্রি (যিনি ‘বিগব্যাং’ প্রতিভাসের একজন অন্যতম প্রবক্তা) পোপকে সেসময় বিনয়ের সঙ্গে এধরনের যুক্তিকে ‘অভ্রান্ত’ হিসেবে প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ইদানীংকালে ‘কালাম কসমোলজিক্যাল আর্গুমেন্ট (Kalam Cosmological Argument) নামে একটি দার্শনিক যুক্তিমালা সাধারণ বিশ্বাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত সুদর্শন দার্শনিক এবং পেশাদার বিতার্কিক উইলিয়াম লেন ক্রেইগ (William Lane Craig) ১৯৭৯ সালে লেখা The Kalam Cosmological Argument বইয়ের মাধ্যমে যুক্তির এই ধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন। ধারাটিকে নিচের চারটি ধাপের সাহায্যে বর্ণনা করা যায়–

১। যার শুরু (উৎপত্তি) আছে, তার পেছনে একটি কারণ রয়েছে।

২। আমাদের আজকের এই মহাবিশ্বের একটি উৎপত্তি আছে।

 ৩। সুতরাং এই মহাবিশ্বের পেছনে একটি কারণ আছে।

 ৪। সেই কারণটিই হলো ‘ঈশ্বর।

দার্শনিকেরা কালামের যুক্তিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন বিভিন্ন সময়েই[৩৫২]। এ বইয়েও কয়েকটি প্রবন্ধে ‘আদি কারণের’ যুক্তিগুলোর খণ্ডন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখানে ‘বাহুল্য বিধায় সেগুলোর পুনরুল্লেখ করা হলো

। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার উল্লেখ না করলেই নয়। সবকিছুর পেছনেই কারণ আছে বলে পেছাতে পেছাতে বিশ্বাসীরা ঈশ্বরের কাছে গিয়ে হঠাৎ করেই থেমে যান। এ সময় আর তারা যেন কোনো কারণ খুঁজে পান না। মহাবিশ্বের জটিলতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য যদি ঈশ্বর নামক একটি সার আমদানি করতেই হয়, তবে সেই ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করার জন্য একই যুক্তিতে আরেকটি ‘ঈশ্বর’কে কারণ হিসেবে আমদানি করা উচিত। তারপর সেই ঈশ্বরের ঈশ্বর’-এর অস্তিত্ব ব্যাখ্যার জন্য লাগবে আরেকজন ঈশ্বর। এভাবে আমদানির খেলা চলতেই থাকবে একের পর এক, যা আমাদেরকে অসীমের দিকে ঠেলে দেবে। এই ব্যাপারটি স্বাভাবিকভাবেই সকল বিশ্বাসীদের কাছে আপত্তিকর। তাই ধর্মবাদীরা নিজেরাই ‘সবকিছুর পেছনেই কারণ আছে এই স্বতঃসিদ্ধের ব্যতিক্রম হিসেবে ঈশ্বরকে কল্পনা করে থাকেন আর সোচ্চারে ঘোষণা করেন ঈশ্বরের অস্তিত্বের পেছনে কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। সমস্যা হলো যে, এই ব্যতিক্রমটি কেন শুধু ঈশ্বরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে কেন নয় এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা তারা দিতে পারেন না।

দর্শন ছেড়ে এবার বিজ্ঞানের দিকে চোখ ফেরানো যাক। ‘যার শুরু আছে তার পেছনে কারণ থাকতেই হবে’-কালামের যুক্তিমালার প্রাথমিক ধাপটিকে বিজ্ঞানের জগতে অনেক আগেই খণ্ডন করা হয়েছে কারণবিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের উদাহরণ হাজির করে।

আণবিক পরিবৃত্তি, আণবিক নিউক্লিয়াসের তেজস্ক্রিয় অবক্ষয়ের মতো কোয়ান্টাম ঘটনাসমূহ ‘কারণবিহীন ঘটনা হিসেবে ইতোমধ্যেই বৈজ্ঞানিক সমাজে স্বীকৃত। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব অনুযায়ী সামান্য সময়ের জন্য শক্তি উৎপন্ন ও বিনাশ ঘটতে পারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনো কারণ ছাড়াই। এগুলো সবগুলোই পরীক্ষিত সত্য। কাজেই উপরের উদাহরণগুলোই কালামের যুক্তিকে খণ্ডন করার জন্য যথেষ্ট।

সম্প্রতি বিজ্ঞানী লরেন্স ক্রাউস তার লেখা A Universe from Nothing[৩৫৩] বইটিতে তথাকথিত শূন্য থেকে কীভাবে জড় কণিকা উদ্ভূত হয় তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। বহু বিজ্ঞানীই আজ মনে করেন এক কারণবিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Fluctuation) মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি হতে পারে, যা পরবর্তীকালে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরও পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে[৩৫৪]। এগুলো কোনো কল্পকাহিনি নয়। মহাবিশ্ব যে শূন্য থেকে উৎপন্ন হতে পারে প্রথম এ ধারণাটি ব্যক্ত করেছিলেন এডওয়ার্ড ট্রিয়ন ১৯৭৩ সালে ‘নেচার’ নামক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নালে[৩৫৫]। এরপর আশির দশকে স্ফীতি তত্ত্বের আবির্ভাবের পর থেকেই বহু বিজ্ঞানী প্রাথমিক কোয়ান্টাম ফ্লাকচুযেশনের ধারণাকে স্ফীতি তত্বের সাথে জুড়ে দিয়ে মডেল বা প্রতিরূপ নির্মাণ করেছেন। শুন্য থেকে এই মহাবিশ্ব উৎপত্তির ধারণা যদি অবৈজ্ঞানিক এবং ভ্রান্তই হতো, তবে সেগুলো প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক সাময়িকী (Scientific Journal) গুলোতে কখনোই প্রকাশিত হতো না। মূলত স্ফীতি তত্বকে সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে, এবং প্রায় সবগুলোতেই এই তত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়েছে[৩৫৬]। স্ফীতি তত্ব গ্যালাক্সির ক্লাস্টারিং, এক্স রশ্মি এবং অবলোহিত তেজস্ক্রিয়তার বিন্যাস, মহাবিশ্বের প্রসারণের হার এবং এর ব্যস, মহাবিশ্ব গঠনে এর উপাদানগুলোর প্রাচুর্য সবকিছুই ব্যাখ্যা করতে পেরেছে নিখুঁত সৌন্দর্যে। এর কারিগরি দিকগুলো এখানে আলোচনা করছি না, এগুলো নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয়েছে অভিজিৎ রায় এবং মীজান রহমানের ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব বইয়ে[৩৫৭]।

আসলে ইনফ্লেশন বা স্ফীতি নিয়ে আঁদ্রে লিন্ডে আর তার দলবলের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে সত্যিকার অর্থেই সেই উত্তপ্ত বিগব্যাং যার মাধ্যমে পনেরো শ’ কোটি বছর আগে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে এ মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তাকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বিগব্যাং দিয়ে মহাবিশ্বের শুরু নয়, বরং মহাবিশ্বের শুরু হয়েছে ইনফ্লেশন দিয়ে। অর্থাৎ, বিগব্যাং-এর পরে ইনফ্লেশনের মাধ্যমে মহাবিশ্ব তৈরি (যা কিছুদিন আগেও সত্যি বলে ভাবা হতো) হয় নি, বরং ইনফ্লেশনের ফলশ্রুতিতেই কিন্তু বিগব্যাং হয়েছে, তারপর সৃষ্ট হয়েছে আমাদের মহাবিশ্ব। তার কথায়[৩৫৮]–

Inflation is not a part of big-bang theory as we thought 15 years ago. On the contrary, the big-bang is the part of inflationary model.

আরও মজার ব্যাপার হলো, ওই ইনফ্লেশনের ফলে শুধু যে একবারই বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ ঘটেছে তা কিন্তু নয়, এরকম বিগব্যাং কিন্তু হাজার হাজার কোটি কোটি এমনকি অসীমসংখ্যকবার ঘটতে পারে; তৈরি হতে পারে অসংখ্য ‘পকেট মহাবিশ্ব। আমরা সম্ভবত এমনই একটি পকেট-মহাবিশ্বে অবস্থান করছি বাকিগুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে জ্ঞাত না হয়ে (এ ব্যাপারটিকে বলা হয় ‘মাল্টিভার্স বা অনন্ত মহাবিশ্বের ধারণা[৩৫৯])। এই ধারণা অনুযায়ী আমাদের মহাবিশ্ব যাকে এতদিন প্রকৃতির পুরো অংশ বলে ভেবে নেওয়া হতো, আসলে হয়ত এটি এক বিশাল কোনো অমনিভার্স (Omniverse)-এর খুব ক্ষুদ্র অংশবিশেষ ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের অবস্থাটা এতদিন ছিল সেই বহুল প্রচলিত ‘অন্ধের হস্তি দর্শন গল্পের অন্ধ লোকটির মতো হাতির কান ছুঁযেই যে ভেবে নিয়েছিল ওইটাই বুঝি হাতির পুরো দেহটা! যাহোক, নিচের ছবিটি দেখলে লিন্ডের সাম্প্রতিক স্ফীতি তত্বটি (যেটির নামকরণ করা হয়েছে Chaotic inflation) কী বলতে চাইছে এ সম্বন্ধে হয়ত কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে।

ছবি। পেজ ৪৬৯

SELF-REPRODUCING COSMOS appears as an extended branching of bubbles. Changes in color represent ‘mutations” in the laws of plıysic ent universes. The properties of space in each bubble do not depend when the bubble formed. In this sense, the universe as a whole may be even though the interior of each bubble is described by the big bang ti

চিত্র : লিন্ডের সাম্প্রতিক তত্ব বলছে কেওটিক ইনফ্লেশনের ফলে উৎপত্তি হয়েছে অসংখ্য সম্প্রসারিত বুদ্বুদ এবং প্রতিটি সম্প্রসারিত বদ্বুদই আবার জন্ম দিয়েছে এক একটি ‘বিগব্যাং-এর। আর সেই এক একটি বিগব্যাং পরিশেষে জন্ম দিয়েছে এক একটি পকেট মহাবিশ্বের। আমরা এধরনেরই একটি পকেট মহাবিশ্বে বাস করছি (ছবির উৎস-সায়েন্টিফিক আমেরিকান)।

দেখা যাচ্ছে, এ তত্ত্ব অনুযায়ী কেওটিক ইনফ্লেশনের ফলে উৎপত্তি হয়েছে অসংখ্য সম্প্রসারিত বুদ্বুদ (Expanding Bubbles) এবং প্রতিটি সম্প্রসারিত বদ্বুদই আবার জন্ম দিয়েছে এক একটি ‘বিগব্যাং-এর। আর সেই এক একটি বিগব্যাং পরিশেষে জন্ম দিয়েছে এক একটি পকেট মহাবিশ্বের। আমরা এধরনেরই একটি পকেট মহাবিশ্বে বাস করছি। এ তত্ব আজ অনেকের মাঝেই তৈরি করেছে ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা’ এক সর্বজনীন দার্শনিক আবেদনের এ মহাবিশ্ব যদি কোনো দিন ধ্বংস হয়ে যায়ও, জীবনের মূল সত্ত্বা হয়ত টিকে থাকবে অন্য কোনো মহাবিশ্বে, হয়ত অন্য কোনোভাবে, অন্য কোনো পরিসরে

লিন্ডের মতে এ তত্বের সমাধানটি এতটাই সরল যে, এর আগে এটি বিজ্ঞানীদের মাথায় কেন আসে নি তা ভেবে লিন্ডে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। অ্যালেন গুথ, যাকে ইনফ্লেশন তত্ত্বের জনক হিসেবে অভিহিত করা। হয়, তিনি তার ‘দ্য ইনফ্লেশনারি ইউনিভার্স বইয়ে মহাবিশ্বের উদ্ভবকে একটি ‘আল্টিমেট ফ্রি লাঞ্চ হিসেবে অভিহিত করে বলেন–

Most important of all, the Question of the Origin of the matter in the Universe is no longer thought to be beyond of science. … If inflation is correct, then the inflationary mechanism is responsible for creation of essentially all the matter and energy in the Universe. … After two thousand years of scientific research, it now seems likely that Lucretius (who said ‘Nothing can be created from nothing’) was wrong. Conceivably, everything can be created from nothing. And ‘everything’ might include a lot more than what we can see. In the context of inflationary cosmology, it is fair to say that Universe is the ultimate free lunch!

অনেক বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকেরাই মনে করেন, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ধারণার সাথে সমন্বিত করা ইনফ্লেশন বা স্ফীতি তত্ব যখন একেবারে শূন্য থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তির একটি প্রাকৃতিক এবং যৌক্তিক সমাধান দিতে পারছে, তখন ঈশ্বর সম্ভবত একটি বাড়তি হাইপোথিসিস’ ছাড়া আর কিছু নয়।

ইনফ্লেশন বা স্ফীতি তত্ব ছাড়াও আরেকটি তত্ব মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পল স্টাইনহার্ট এবং নেইল টুরকের প্রস্তাবিত এই চক্রাকার মহাবিশ্ব বা ‘সাইক্লিক মডেলে’ তারা দেখিয়েছেন আমাদের মহাবিশ্বের কোনো শুরু নেই, শেষ নেই। এ এক চলমান অনন্ত, অফুরন্ত মহাবিশ্ব (endless universe)। তাদের আঁকা এ ছবিতে ‘বিগব্যাং দিয়ে স্থান কালের (space-time) শুরু নয়, বিগব্যাং–কে তারা দেখিয়েছেন কেবল একটি ঘটনা হিসেবে যার উদ্ভব হয় স্ট্রিং তাত্বিকদের কথিত দুটো ব্রেনের সংঘর্ষের (collision of branes) ফলে। এবং কেবল একবারই এই মহাবিস্ফোরণ ঘটবে বা ঘটেছে তাও নয়, বরং এ মহাবিশ্ব প্রাকৃতিক বিবর্তনের চক্রে চির চলমান। তারা গাণিতিকভাবে দেখিয়েছেন, মহাবিশ্বের যাত্রাপথের প্রতিটি চক্রে বিগব্যাং উদ্ভব ঘটায় উত্তপ্ত পদার্থ এবং শক্তির। কালের পরিক্রমায় ক্রমশ শীতল হয়ে এর থেকে তৈরি হয় গ্যালাক্সি আর তারকারাজি, যা আমরা আজ চোখ মেললেই দেখতে পাই। আজ থেকে ট্রিলিয়ন বছর পরে আবারও বিগব্যাং ঘটবে এবং তৈরি করবে নতুন চক্রের। পল স্টেইনহার্ট এবং নেইল টুরক তাদের প্রস্তাবিত মডেলকে সাধারণ পাঠকদের কাছে নিয়ে এসেছেন সম্প্রতি ‘Endless Universe’ বইয়ের মাধ্যমে[৩৬০]। নতুন এ তত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের যেহেতু কোনো শুরু’ নেই, এর পেছনে কোনো স্রষ্টা বসানোর চেষ্টা অর্থহীন। বিশ্বাসীদের অতি-প্রিয় কালামের যুক্তিমালা এ মডেলের জন্য একেবারেই প্রায়োগিক নয়।

ছবি। পেজ ৪৭২

চিত্র : পল স্টেইনহার্ট এবং নেইল টুরক তাদের প্রস্তাবিত এই চক্রাকার মহাবিশ্ব বা ‘সাইক্লিক মডেলে’ দেখিয়েছেন আমাদের মহাবিশ্বের কোনো শুরু নেই, শেষ নেই, এবং পদার্থ এবং শক্তির উদ্ভব হয় দুটো ব্রেনের সংঘর্ষের ফলশ্রুতিতে, এবং এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে অনন্তকাল।

মহাবিশ্বের সত্যিকার প্রকৃতি বোঝার জন্য হয়ত আমাদের ভবিষ্যতের কারিগরি জ্ঞানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, তবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ইনফ্লেশনারি কিংবা সাইক্লিক যে মহাবিশ্বই ভবিষ্যতে সঠিক প্রমাণিত হোক না কেন, এ দুটি তত্বের কোনো তই তাদের তত্ত্বকে সার্থকতা দেওয়ার জন্য কোনো অলৌকিক সত্বর উপর নির্ভর করছে না, মডেলগুলো নির্মাণ করা হয়েছে আমাদের জানা শোনা পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতি অনুসরণ করেই।

আরেকটি কথা বলা প্রাসঙ্গিক হবে এ ব্যাপারে। বিজ্ঞান কিন্তু কোনো বিষয় সম্পর্কে পরম বা নিখুঁত জ্ঞান দিতে পারে না। আজকে আণবিক স্থানান্তর, নিউক্লিয়াসের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মতো ঘটনার কারণ পাওয়া যাচ্ছে না, ভবিষ্যতে পাওয়া যেতেই পারে। কেউই সে সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছে না। ভবিষ্যতে পাওয়া যেতে পারে মহাবিশ্বের অস্তিত্বের পেছনের ‘আদি’ কারণও। কিন্তু সেই কারণটি যে ঈশ্বরের মতো মহাপরাক্রমশালী ‘সত্ত্বা’ই হতে হবে, এটি ভেবে নেওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই, বরং কারণটি হতে পারে সম্পূর্ণভাবেই ‘প্রাকৃতিক। ওযেস মরিসন তার ‘Must the Beginning of the Universe Have a Personal Cause? A Critical Examination of the Kalam’s Cosmological Argument’-এ বলেন–

সৃষ্টির সবকিছুর পেছনেই কারণ আছে এ ব্যাপারটি ধ্রুব সত্য নয়। আর যদিও বা ইতিহাসের পরিক্রমায় কখনও বের হয়ে আসে যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে একটি ‘আদি’ কারণ রয়েছেই, তবুও একথা ভেবে নেওয়ার কারণ নেই। যে, সেই আদি কারণটি ঈশ্বরের মতো একটি ব্যক্তি সম্বাই হতে হবে।

পদার্থবিদ ড. ভিক্টর স্টেঙ্গরও একই ধরনের মত ব্যক্ত করে বলেন–

ধরে নিলাম কালামের কথা অনুযায়ী মহাবিশ্বের একটি কারণ রয়েছেই, তো সেই একটা কারণ কেন স্রেফ প্রাকৃতিক কারণ হতে পারবে না? কাজেই দেখা যাচ্ছে কালামের যুক্তিমালা প্রায়োগিক এবং তাত্বিক দুদিক থেকেই ব্যর্থ হচ্ছে।

.

নাস্তিকতাও একটি ধর্ম (বিশ্বাস) হলে…

আমরা দেখেছি অনেকেই বুঝে হোক, না বুঝে হোক, এই ব্যাপারটি মাঝে মধ্যে এভাবেই আউড়ে দেন যে, আস্তিক্যবাদের মতো নাস্তিক্যবাদও এক ধরনের বিশ্বাস। আস্তিকরা যেমন ঈশ্বর আছে এই মতবাদে বিশ্বাস করে, তেমন নাস্তিকরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর নেই’-এই মতবাদে। দুটোই নাকি বিশ্বাস। যেমন, একবার মুক্তমনা ব্লগে এক ভদ্রলোক তর্ক করতে গিয়ে বলে বসলেন–

নাস্তিক মানেই বিশ্বাসী। তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর নেই। কিন্তু ঈশ্বর নেই’ এটি প্রমাণিত সত্য নয়। শুধু যুক্তি দিয়েই বোঝানো সম্ভব ঈশ্বর নেই’ বিবৃতিটি আসলে ফাঁকিবাজি।

নাস্তিক মানেই বিশ্বাসী, কিংবা নাস্তিকতাবাদও একটি বিশ্বাস এগুলো ঢালাওভাবে আউড়ে দিয়ে নাস্তিকতাবাদকেও এক ধরনের ‘ধর্ম হিসেবে হাজির করার চেষ্টাটি আমরা বহু মহলেই দেখেছি। নাস্তিকদের এভাবে সংজ্ঞায়ন সঠিক কি ভুল, তা বুঝবার আগে ‘নাস্তিক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থটি আমাদের জানা প্রয়োজন। নাস্তিক’ শব্দটি ভাঙলে দাঁড়ায়, নাস্তি + কন বা নাস্তিক। নাস্তি’ শব্দের অর্থ হলো নাই, অবিদ্যমান। ‘নাস্তি’ শব্দটি মূল সংস্কৃত হতে বাংলায় এসে ‘ক’ বা ‘কন’ প্রত্যয় যোগে নাস্তিক হয়েছে যা তৎসম শব্দ হিসেবে গৃহীত। ন আস্তিক = নাস্তিক যা নঞ তৎপুরুষ সমাসে সিদ্ধ এবং আস্তিকের বিপরীত শব্দ। আরও সহজ বাংলায় বললে বলা যায়, না + আস্তিক = নাস্তিক। খুবই পরিষ্কার যে, সঙ্গত কারণেই আস্তিকের আগে ‘না’ প্রত্যয় যোগ করে নাস্তিক শব্দটি তৈরি করা হয়েছে। আস্তিকরা যে ঈশ্বর/আল্লাহ/খোদা ইত্যাদি পরম সত্ত্বায় বিশ্বাস করে এ তো সবারই জানা। কাজেই নাস্তিক হচ্ছে তারাই, যারা এই ধরনের বিশ্বাস হতে মুক্ত। তাই সংজ্ঞানু্যায়ী নাস্তিকতা কোনো বিশ্বাস নয়, বরং বিশ্বাস হতে মুক্তি বা বিশ্বাসহীনতা। ইংরেজিতে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হচ্ছে। ‘Atheist?l সেখানেও আমরা দেখছি theist শব্দটির আগে ‘a প্রিফিক্সটি জুড়ে দিয়ে Atheist শব্দটি তৈরি করা হয়েছে। নাস্তিকতা এবং মুক্তচিন্তার উপর বহুল প্রচারিত গবেষণাধর্মী একটি ওযেবসাইটে শব্দটির সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে এভাবে–

Atheism is characterized by an absence of belief in the existence of gods. This absence of belief generally comes about either through deliberate choice, or from an inherent inability to believe religious teachings which seem literally incredible. It is not a lack of belief born out of simple ignorance of religious teachings.

সহজেই অনুমেয় যে, ‘absence of belief’ শব্দমালা চয়ন করা হয়েছে ‘বিশ্বাসহীনতা’কে তুলে ধরতেই, উল্টোটি বোঝাতে নয়। Gordon Stein তার বিখ্যাত ‘An Anthology of Atheism and Rationalism’ বইয়ে নাস্তিকতার (Atheism) সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে বলেন–

When we examine the components of the word ‘atheism,’ we can see this distinction more clearly. The word is made up of ‘a-’ and—theism.’ Theism, we will all agree, is a belief in a God or gods. The prefix ‘a-’ can mean ‘not’ (or ‘no’) or ‘without. If it means ‘not,’ then we have as an atheist someone who is not a theist (i.e., someone who does not have a belief in a God or gods). If it means ‘without,’ then an atheist is someone without theism, or without a belief in God. (Atheism and Rationalism, p. 3. Prometheus, 1980)

আমরা যদি atheist শব্দটির আরও গভীরে যাই তবে দেখব যে, এটি আসলে উদ্ভূত হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘a’ এবং ‘theos’ হতে। গ্রিক ভাষায় ‘theos’ বলতে বোঝায় ঈশ্বরকে, আর ‘a’ বলতে বোঝায় অবিশ্বাস বা বিশ্বাসহীনতাকে। সেজন্যই Michael Martin তার ‘Atheism : A Philosophical Justification বইয়ে বলেন–

According to its Greek roots, then, atheism is a negative view, characterized by the absence of belief in God. (Atheism : A Philosophical Justification’, p. 463.,Temple University Press, 1990)

আসলে নাস্তিকদের বিশ্বাসী দলভুক্ত করার ব্যাপারটি খুবই অবিবেচনাপ্রসূত। ব্যাপারটাকে আরেকটু পরিষ্কার করা যাক। ধরা যাক, এক মুক্তমনা যুক্তিবাদী ব্যক্তি ভূতে বিশ্বাস করেন না। তবে কি সেজন্য তিনি ‘না-ভূতে বিশ্বাসী হয়ে গেলেন? উনাদের যুক্তি অনুযায়ী তাই হওয়ার কথা। এভাবে দেখলে, প্রতিটি অপ-বিশ্বাস বিরোধিতাই তাহলে উল্টোভাবে ‘বিশ্বাস বলে চালিয়ে দেওয়া যায়, তা সে ভূতই হোক, পঙ্খিরাজ ঘোড়াই হোক, অথবা ঘোড়ার ডিমই হোক। যিনি পঙ্খিরাজ ঘোড়া বা চাঁদের চরকা-বুড়ির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না, তিনি আসলে তার সংশয় এবং অবিশ্বাস থেকেই তা করেন না, তার ‘না-বিশ্বাসে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে নয়। যদি ওই ব্যক্তিটিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন ওগুলোতে তিনি বিশ্বাস করেন না, তিনি হয়ত জবাবে বলবেন, ওগুলোতে বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি বলে। কিংবা হয়ত বলতে পারেন, এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওগুলো সত্ত্বার বাস্তব অস্তিত্ব কেউ প্রমাণ। করতে পারেন নি, তাই ওসবে বিশ্বাস করার প্রশ্ন ওঠে না। এটি পরিষ্কার যে, এই বক্তব্য থেকে তার মনের সংশয় আর অবিশ্বাসের ছবিটিই আমাদের সামনে মূর্ত হয়ে ওঠে, বিশ্বাসপ্রবণতাটি নয়। ঈশ্বরে অবিশ্বাসের ব্যাপারটিও কিন্তু তেমনই। নাস্তিকেরা তাদের সংশয় আর অবিশ্বাস থেকেই নাস্তিক হন, ‘না-ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে নয়। সে জন্যই মুক্তমনা Dan Barker তার বিখ্যাত ‘Losing Faith in Faith: From Preacher to Atheist’ গ্রন্থে পরিষ্কার করেই বলেছেন ‘Basic atheism is not a belief. It is the lack of belief.’ (পৃ. ৯৯)। আসলে সত্যি বলতে কী, ‘বিশ্বাস ব্যাপারটিই দাঁড়িয়ে আছে একটি ‘অপ-বিশ্বাসমূলক প্রক্রিয়ার উপর। ড. হুমায়ুন আজাদের একটি উক্তিও এখানে খুব প্রাসঙ্গিক। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,

যে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই, যার কোনো অস্তিত্ব নেই যা প্রমাণ করা যায় না, তাতে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়। মানুষ ভূতে বিশ্বাস করে, পরীতে বিশ্বাস করে বা ভগবানে, ঈশ্বরে বা আল্লায় বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস সত্য নয়, এগুলোর কোনো বাস্তবরূপ নেই। মানুষ বলে না, আমি গ্লাসে বিশ্বাস করি বা পানিতে বিশ্বাস করি, মেঘে বিশ্বাস করি। যেগুলো নেই সেগুলোই মানুষ বিশ্বাস করে। বিশ্বাস একটি অপবিশ্বাসমূলক ক্রিয়া। যা সত্য, তাতে বিশ্বাস করতে হয় না; যা মিথ্যে তাতে বিশ্বাস করতে হয়। তাই মানুষের সব বিশ্বাস ভুল বা ভ্রান্ত, তা অপবিশ্বাস।

নাস্তিকেরা সঙ্গত কারণেই এই সমস্ত প্রথাগত অপবিশ্বাসের বাইরে। ঈশ্বর নেই’ বিবৃতিটি যদি ‘পলিটিকালি কারেক্ট সংশ্যবাদীদের কাছে ‘ফাঁকিবাজি’ হয়, তবে অশ্বত্থামা, ট্যাঁশ গরু, বকচ্ছপ, থর জিউস, জলপরী, ফ্লাইং স্পেগেটি মনস্টার এগুলো নেই বলাও এক ধরনের ফাঁকিবাজি’।

ধর্মকারী নামে একটি সাইট আছে আন্তর্জালে। সাইটটির উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা হয়েছে-’যুক্তিমনস্কদের নির্মল বিনোদনের ব্লগ। এই ব্লগে ধর্মের যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করা হবে, ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে, অপদস্থ করা হবে, ব্যঙ্গ করা হবে। যেমন করা হয়ে থাকে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা বা অন্যান্য যাবতীয় বিষয়কে। সেখানকার একটি পোস্ট থেকে কিছু অমৃতবচন উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। নাস্তিক্যবাদকে ধর্মের সঙ্গে যারা তুলনা করে থাকে, তাদের বলতে ইচ্ছে করে–

১. নাস্তিক্যবাদ ধর্ম হলে ‘অফ বাটনকে টিভি চ্যানেল বলতে হয়।

২. নাস্তিক্যবাদ ধর্ম হলে টাককে বলতে হয়। চুলের রঙ।

৩. নাস্তিক্যবাদ ধর্ম হলে স্ট্যাম্প না জমানোকে হবি বলতে হ্যাঁ।

৪. নাস্তিক্যবাদ ধর্ম হলে বাগান না করাও একটি শখ, ক্রিকেট না খেলাও একটি ক্রীড়া, কোকেইন সেবন না করাও একটি নেশা।

এই চমৎকার উপমাগুলোর পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগে অনুরূপ কয়েকটি বাক্য উল্লেখ করে তালিকার শ্রীবৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছিলাম, সেগুলো হয়ত পাঠকদের চিন্তার খোরাক যোগাবে–

‘নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস হলে বোবা লোককে ‘ভাষাবিদ হিসেবে ডাকতে হয়।

 নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস হলে দন্তহীন ব্যক্তিকে ‘দাঁতাল’ আখ্যা দিতে হয়।

নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস হলে উপোস থাকাকেও এক ধরনের ‘খাদ্যগ্রহণ’ বলতে হয়।

 নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস কিংবা ধর্ম হলে চাকরি না করাটাও একটি পেশা।

 নাস্তিকতা একটি ধর্ম হলে বই না পড়াকেও বলতে হয় পাঠাভ্যাস।

 নাস্তিকতা বিশ্বাস হলে পোশাক খুলে ফেলাটাও এক ধরনের পোশাক পরিধান।

নাস্তিকতা ধর্ম হলে চশমা না পরাটাও এক ধরনের সানগ্লাসের ফ্যাশন।

নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস হলে চিরকৌমার্যও বিবেচিত হওয়া উচিত এক ধরনের ‘বিবাহ’ হিসেবে।

 নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস হলে নির্লোভ থাকার চেষ্টাকেও এক ধরনের ‘লোভ’ বলতে হয়।

 নাস্তিকতা একটি ধর্ম হলে নিরোগ স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়াটাও তাহলে এক ধরনের রোগ!

————

১ বইয়ের জগৎ, নবম সংকলন, মে ২০১২।

২ মুক্তমনা, এপ্রিল ৪, ২০১২ মুক্তমনা ইবুক

৩ মীজান রহমান এবং অভিজিৎ রায়,শূন্য থেকে মহাবিশ্ব,শুদ্ধস্বর,২০১৫ (প্রকাশিতব্য)

৪ অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস, জাগৃতি, ২০১৪

৫ Stephen Hawking & Leonard Mlodinow, The Grand Design, Bantam; 1st Edition edition (September 7, 2010)

৬ Richard Dawkins, The God Delusion, Houghton Mifflin Harcourt, 2006

৭ Richard Dawkins, Viruses of the Mind, available online : http ://cscs.umich.edu/~crshalizi/Dawkins/viruses-of-the-mind.html

৮ Daniel C. Dennett, Breaking the Spell : Religion as a Natural Phenomenon, Penguin, 2007

৯ Darrel W. Ray, The God Virus : How religion infects our lives and culture, IPC Press, 2009

১০ Richard Brodie, Virus of the Mind : The New Science of the Meme, Hay

১১ House; Reprint edition, 2009 11 Richard Dawkins, The Selfish Gene, Oxford University Press, 1976

১২ Shaoni Bhattacharya, Parasites brainwash grasshoppers into death dive, New Scientists, August 2005

১৩ এই বইয়ের অষ্টম অধ্যায় দ্রষ্টব্য; এ ছাড়া পড়ুন, অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস, জাগৃতি, ২০১৪।

Bruce Lincoln, Holy Terrors : Thinking about Religion after September 11, University Of Chicago Press; 1 edition, 2003

১৫ বাইবেলে তো আছেই (জেনেসিস ২:২১-২৫), সেই সাথে কোরআন শরিফের ৪:১, ৭:১৮৯, ৩০:২০-২১, ৩৯:৬ প্রভৃতি আয়াত দ্রষ্টব্য। আর হাদিসে আছে সরাসরি:

‘নারীদের প্রতি বন্ধুত্বমূলক আচরণ করো, কারণ তাদেরকে বুকের। হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছে, বুকের বাঁকা হাড়, যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও তবে তা ভেঙে যাবে; আর যদি তুমি কিছুই না করো, তবে সে বাঁকাই থেকে যাবে।’ (বুখারি এবং মুসলিম)

১৬ Sam Harris, The End of Faith : Religion, Terror, and the Future of Reason, W. W. Norton, 2004

১৭. ব্লগার, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, http://www.cadetcollegeblog.com/arnob

১৮. অভিজিৎ রায়, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৫ (পুনর্মুদ্রণ ২০০৬)

১৯. Stephen Hawking and, Leonard Mlodinow, The Grand Design, Bantam, 2010

২০. Victor J. Stenger, ‘The New Atheism’. Colorado University. http://www.colorado.edu/philosophy/vstenger/battle.html.

২১. Richard Dawkins, The God Delusion, Mariner Books; 1 edition, 2008

২২. ফরিদ আহমেদ, প্রার্থণা কি কোন কাজে আসে?, মুক্তমনা

২৩. Richard Dawkins, The God Delusion, Mariner Books; 1 edition, 2008 থেকে উদ্ধৃত।

২৪ Ted Honderich, The Oxford Companion to Philosophy, Oxford University Press, USA, 1995 25

২৫ অনুবাদটি মুক্তান্বেষা পত্রিকায় (১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা) কেন আমি সংশয়বাদী? শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে৷

২৬ অপার্থিব, স্বাধীন ইচ্ছা, মন্দ ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব, মুক্তমনা (স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, নির্বাচিত প্রবন্ধাবলী, সম্পাদক–সাদ কামালী ও অভিজিৎ রায়, অঙ্কুর প্রকাশনী)।

২৭ Victor J. Stenger, God : The Failed Hypothesis–How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books, 2008

২৮ Michael Martin Michael Martin and Ricki Monnier, The Impossibility of God, Prometheus Books, 2003

২৯ David Marshall, The Truth behind the New Atheism, Eugene, Or : Harvest House, 2007

৩০ উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারেন, Richard Dawkins, Umweaving the Rainbow, Boston: Houghton Mifflin, 1998

৩১ অপার্থিব জামান, বিজ্ঞান, শিল্প ও নন্দনতত্ব, মুক্তান্বেষা, প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা।

৩২ David Berlinski, The Devil’s Delusion, New York : Crown Forum, 2008, পৃষ্ঠা নং ৬।

৩৩ David Berlinski, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা নং ৪

৩৪ Dinesh D’Souza, What’s So Great about Christianity?, Washington, DC : Regnery, 2007, পৃষ্ঠা নং ১৫৭

৩৫ Barry Palevitz, Science vs. Religion’ in Science and Religion : Are They Compatible? ed. Paul Kurtz, Amherst, NY : Prometheus Books, 2003, পৃষ্ঠা নং ১৭৫

৩৬ National Academy of Sciences, Teaching about Evolution and the Nature of Science (Washington, DC : National Academy of Science, 19 নং ৫৮। অনলাইন সংস্করণ : http ://www.nap.edu/catalog/5787.html

৩৭ Edward J. Larson, Leading scientists still reject God, Nature, Vol. 394, No. 6691, p. 313 (1998), Macmillan Publishers Ltd.

৩৮ Stephen Jay Gould, Rocks of Ages : Science and Religion in the Fullness of Life, Library of Contemporary Thought (New York : Ballantine, 1999

৩৯ (Richard Dawkins), ‘When Religion Steps on Science’s Turf The Alleged Separation Between the Two Is Not So Tidy’, Council for Secular Humanism. Brief paraphrase of: ‘There is something dishonestly self-serving in the tactic of claiming that all religious beliefs are outside the domain of science. On the one hand, miracle stories and the promise of life after death are used to impress simple people, win converts, and swell congregations. It is precisely their scientific power that gives these stories their popular appeal. But at the same time it is considered below the belt to subject the same stories to the ordinary rigors of scientific criticism : these are religious matters and therefore outside the domain of science. But you cannot have it both ways. At least, religious theorists and apologists should not be allowed to get away with having it both ways. Unfortunately all too many of us, including nonreligious people, are unaccountably ready to let them.’

৪০ অভিজিৎ রায়, নৈতিকতা ও ধর্ম, স্বতন্ত্র ভাবনা, অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৮

৪১ H. Benson, J.A. Dusek, J.B. Sherwood, P.Lam, C.F. Bethea. ‘Study of the Therapeutic Effects of Intercessory Prayer (STEP) in Cardiac Bypass Patient, ‘American Heart Journal 151, no. 4:934-42

৪২ প্রার্থনা তো কোন কাজে আসেই না, হার্ভার্ড এবং মায়ো ক্লিনিকের তত্বাবধানে পরিচালিত স্টেপ স্টাডি থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে প্রার্থনা বরং মানসিক উদ্বেগ বড়িয়ে তোলে। সে পরীক্ষায় যাদের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে, দেখা গিয়েছিলো পরবর্তীতে তাদের অনেকেরই শারীরিক অবস্থার অবনমন ঘটেছে। এটা কেন হল গবেষকেরা হলফ করে বলতে পারেননি, তবে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসেবে তারা বলেছেন, যে সমস্ত রোগী জানতে পেরেছে যে তাদের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে, তারা ভেবে নিয়েছে তাদের অবস্থা এতোটাই গুরুতর যে সঘবদ্ধ প্রার্থনার দরকার পড়ছে। ফলে তাদের মধ্যে উদ্বেগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর সেই সাথে ঘটেছে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি’। তবে ‘নেগেটিভ’ ফলাফলের ব্যাপারটা যদি আমরা বাদও দেই এটা নিশ্চিত, প্রার্থনার কোন সুপ্রভাব নেই, অন্তত নিরপেক্ষ গবেষণায় তা পাওয়া যায়নি।

৪৩ রায়হান আবীর, মানুষিকতা, শুদ্ধস্বর, ২০১৩

৪৪ Paul Davies, ‘Taking Science on Faith, ‘New York Times, November 24, 2007

৪৫ John F. Haught, God and the New Atheism, Westminster John Knox Press, 2007 পৃষ্ঠা নং ৪৬।

৪৬ অভিজিৎ রায়, নৈতিকতা ও ধর্ম, স্বতন্ত্র ভাবনা, অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৮ দ্রষ্টব্য

৪৭ ইরতিশাদ আহমদ, বিজ্ঞানমনস্ক ধারা ধর্মাচ্ছন্ন স্রোতে, বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়? মুক্তমনা ই-বুক।

৪৮ Jhon William Draper, History of the Conflict between Religion and Science, London : Watts & Co., 1873

৪৯ Andrew Dickson White, A History of the Warfare of Science with Theology in Christendom, New York : D. Appleton & CO.,1896

৫০ Paul Kurtz, ed., Science and Religion : Are the Compatible?, Prometheus Books, 2003

৫১ Edward J. Larson, Leading scientists still reject God, Nature, Vol. 394, No. 6691, p. 313 (1998), Macmillan Publishers Ltd.; online : http://www.stephenjaygould.org/ctrl/news/file002.html

৫২ Francis S. Collins, The Language of God : A Scientist Presents Evidence of Belief, New York : Free Press, 2006

৫৩ Fallacy of Fine-Tuning: Why the Universe Is Not Designed for Us, Prometheus Books, 2011

৫৪ The Cold Big-Bang Cosmology as a Counter-example to Several Anthropic Arguments.

৫৫ John Allen Paulos, Irreligion : A Mathematician Explains why the Arguments for God Just Don’t Add Up, Hill and Wang, 2009। পৃষ্ঠা ৯০।

৫৬ John Allen Paulos, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা নং ১১

৫৭ ডারউইন দিবসে রিচার্ড ডকিন্স পরিচিতি, অভিজিৎ রায়, মুক্তমনা।

৫৮ Natural Theology, or Evidence of Existence and Attributes of the Deity, collected from the Appearances of Nature, London: Halliwell, 1802

৫৯ Keith Stewart Thomson, Before Darwin : Reconciling God and Nature, New Haven and London: Yale University Press, 2005, পৃষ্ঠা নং ২০

৬০ ইরতিশাদ আহমদ, বিবর্তনের সাক্ষ্যপ্রমাণ-১ (জেরি কোসেন-এর ‘বিবর্তন কেন বাস্তব’ অবলম্বনে), মুক্তমনা।

৬১ Charles Darwin, The Origin of Species by Means of Natural Selection,London: John Murray, 18591

৬২ Michael Shermer,Why People Believe Weird Things : Pseudoscience, Superstition, and Other Confusions of Our Time, W.H. Freeman & Company, 1998, তৃতীয় অধ্যায়, পৃষ্ঠা নং ১৪০]

৬৩ Victor J. Stenger, God: The Failed Hypothesis : How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books, 2007, পৃষ্ঠানং ৪৯

৬৪ এক বিবর্তনবিরোধীর প্রত্যুত্তরে, অভিজিৎ রায়, মুক্তমনা।

৬৫  ভ্রান্ত ধারণা, বিবর্তন কখনো বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এই দাবির উত্তর, মুক্তমনা বিবর্তন আর্কাইভ, http ://www.mukto-mona.com/evolution

৬৬ Victor J. Stenger, God : The Failed Hypothesis : How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books, 2007, পৃষ্ঠা নং ৫১

৬৭ Richard Dawkins, The Blind Watchmaker : Why the Evidence of Evolution reveals a Universe Without Design, London, New York, : Norton, 1987 পৃষ্ঠা নং ৯৩

৬৮ Kenneth R. Miller, Lifes Grand Design, পৃষ্ঠা নং ২৪-৩২

৬৯ Richard Dawkins, Climbing Mount Improbable, W. W. Norton & Company,1997, The Fortyfold Path to Enlightenment’ অধ্যায়।

৭০ R. D. Fernald, ‘Evolution of Eyes, Current Opinion in Neurobiolog নং ৪৪৪-৫০

৭১  জাকির নায়েকের মিথ্যাচার : প্রসঙ্গ বিবর্তন। খান মুহাম্মদ (শিক্ষানবিস), মুক্তমনা।

৭২ বন্যা আহমেদ, বিবর্তনের পথ ধরে (অবসর প্রকাশনী, ঢাকা)। অধ্যায় ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন : সৃষ্টিতত্বের বিবর্তন।

৭৩ বন্যা আহমেদ, বিবর্তনের পথ ধরে, পূর্বোক্ত।

৭৪ H. J. Muller, ‘Recersibility in Evolution Considered from the Standpoint of Genetics Biological Review 14 (1939) : 261- ৪০. সৃষ্টিবাদীরা একটি কথা প্রায়ই বলে থাকেন, আজ অবধি কোনো বিবর্তন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার লাভ করেন নি, যা মিথ্যা।

৭৫ Sean D. Hooper and Otto G. Berg, On the Nature of Gene Innovation : Duplication Patterns in Microbial Genomes, Mol. Biol. Evol. 20(6):945 954. 2003

৭৬  Lynch M, Conery JS., The evolutionary fate and consequences of duplicate genes, Science 290, 1151-1155.

৭৭ Doriit, review of Darwin’s Black Box; Miller, Finding Darwin’s God; Perakh, Unintelligent Design; Davis Ussery, ‘Darwin’s Transparent Box : The Biochemical Evidence for Evolution.’ in Young and Edis, Why Intelligent Design Fails, চতুর্থ অধ্যায়।

৭৮ Stephen J. Gould, The Pandas Thumb (New York: Norton, 1980), ১৯ ৩৪ পৃষ্ঠা

৭৯ Matt Young, Grand Designs and Facile Analogies : Exposing Behe’s Mousetrap and Dembski’s Arrow’, Why Intelligent Design Fails : A Scientific Critique of the New Creationism, Rutgers University Press (June 25, 2004)

৮০ Dembski, ‘The Design Inference’, ‘Intelligent Design’, ‘The Design Inference.’

৮১ পূর্বোক্ত

৮২ ৬ পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ১২৮-৩১

৮৩ এই বিষয়ে নতুন লেখার জন্য পড়ে দেখা যেতে পারে, Why Intelligent Design Fails Gishlack, Shanks 18 Karsai; Hurd, Shallit এবং Elsberry; Perakh in Young এবং Edis এর লিখিত অধ্যায়গুলো।

৮৪ Jerry A. Coyne, Why Evolution is True?, Viking Adult, 20 ৮৬।

৮৫ পূর্বোক্ত বই, একই পৃষ্ঠা।

৮৬ সায়েন্টিফিক এমেরিকান, মার্চ ২০০১ সংখ্যা

৮৭ অভিজিৎ রায়, মানব মস্তিষ্কের আনইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন, মুক্তমনা, মে ২১, ২০১২

৮৮ A. Skybreak, The Science of Evolution and The Myth of Creationism, Insight Press, Illinois, USA

৮৯ অনন্ত বিজয় দাশ, মহাপ্লাবনের বাস্তবতা: পৌরাণিক অতিকথন বনাম বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, মুক্তমনা

৯০ Michael Shermer,Why People Believe Weird Things : Pseudoscience, Superstition, and Other Confusions of Our Time, W.H. Freeman & Company, 1998, পৃষ্ঠা নং ১৩০

৯১ একই বই, একই পৃষ্ঠা।

৯২ ডিসকভারি ইন্সটিটিউট এর ওয়েবসাইট।

৯৩ Phillip Ball, The Self- Made Tapestry: Pattern Formation in Nature, New York, Oxford : Oxford University Press, 2001

৯৪  Jhon Gribbon, Deep Simplicity : Bringing Order to Chaos and Complexity, New York : Random House, 2004

৯৫ Ball, The Self-Made Tapestry, Oxford University Press, 1999, TOT 9951 ১০৫- ১০৭

৯৬ S. Douady and Y. Couder, ‘Phyllotaxis as a Physical Self- Organized Growth Process’, Physical Review Letters 68 (1992): 2098

৯৭  Victor J. Stenger, God: The Failed Hypothesis : How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books

৯৮ Stuart Kauffman, At Home in The Universe : The Search for the Laws of Self- Organization and Complexity, New York and Oxford: Oxford University Press, 1995

৯৯  J. Craig Venter, Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome, Science DOI: 10.1126/science.1190719

১০০ অভিজিৎ রায়, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অঙ্কুর, ২০০৬ দ্র.

১০১ Huxley T.H. the animals which are most nearly intermediate between birds and reptiles. Geol. Mag. 5, 357–65; Annals & Magazine of Nat Hist 2, 66– 75; Scientific Memoirs 3,3-13, 1968.

১০২ পরে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে স্থানান্তরিত; লন্ডন স্পেসিমেন হিসেবে গণ্য।

১০৩ বার্লিন স্পেসিমেন হিসেবে গণ্য

১০৪ ম্যাক্সবার্গ স্পেসিমেন হিসেবে গণ্য

১০৫ Charig, A.J.; Greenaway, F.; Milner, A.N.; Walker, C.A.; and Whybrow, P.J., ‘Archaeopteryx is not a forgery’. Science 232 (4750): 622–626, 1986

১০৬ Wellnhofer P., A New Speciment of Archaeopteryx, Science 240, 1790, 1988.

১০৭ Tim Berra, Evolution and the Myth of Creationism : A Basic Guide to the Facts in the Evolution Debate, Stanford University Press, 1990, p41.

১০৮ Elliot Meyerowitz of Caltech quoted by Gail Vines, New Scientist 2 Dec 2000 p36-39.

১০৯ Hoyle Fred, The Intelligent Universe. New York : Holt, Rinehart and Winston, 1983, pp. 18-19

১১০ Fred Hoyle and Chandra Wickramasinghe, Lifecloud : The Origin of Life in the Universe, 1978, p.15-16 1

১১১ Fred Hoyle and Chandra Wickramasinghe, Our Place in the Cosmos, 1993, p.14

১১২ Derek Gatherer, The Open Biology Journal, 2008, 1, 9–20, Finite Universe of Discourse : The Systems Biology of Walter Elsasser (1904–1991)

১১৩ Why Evolution Isn’t Chance

http ://www.ebonmusings.org/evolution/evonotchance.html

১১৪ বন্যা আহমেদ, বিবর্তনের পথ ধরে, অবসর প্রকাশনী, ২০০৭

১১৫ Nilsson, D.-E., and S. Pelger. 1994. A pessimistic estimate of the time required for an eye to evolve. Proc. Roy. Soc. Lond. B 256:53-58.

১১৬ অভিজিৎ রায় এবং ফরিদ আহমেদ, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, অবসর, ২০০৭

১১৭ Haiti earthquake survivor Evan Muncie trapped under rubble for 27 days, Times Online, February 10, 2010,

http ://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/us_and_americas/article702116 8.ece

১১৮ Richard Dawkins, The Blind Watchmaker : Why the Evidence of Evolution Reveals a Universe without Design, W. W. Norton & Company, 1996, page 49.

১১৯ অভিজিৎ রায়, বিবর্তনের সহজ পাঠ,যুক্তি, সংখ্যা ৩, জানুয়ারি ২০১০; এছাড়া অনলাইনে পড়ুন, এক বিবর্তনবিরোধীর প্রত্যুত্তরে

: http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=936

১২০ http://www.youtube.com/watch?v=OvE1110c0lw,

http://www.youtube.com/watch?v=AXxCsHGIxww  

১২১ John Rennie, Scientific American, July 2002, ‘15 Answers to Creationist Nonsense’, page 81

১২২ ডকিন্সের বায়োমর্ফ সম্বন্ধে জানতে হলে এই ভিডিওটি দেখা যেতে পারে

httpv ://www.youtube.com/watch?v=4ThaHhIkYAC

১২৩ উদাহরণ হিসেবে দেখা যেতে পারে, http ://www.viewingspace.com/genetics_culture/pages_ genetics_culture/gc_w05/somm_mign_webarchive/lifespaciesII/LifeAni m.gif ইত্যাদি

১২৪ War of Weasels : An Evolutionary Algorithm Beats Intelligent Design, Skeptical Inquirer, Vol 34, No. 3.

১২৫ Ian Musgrave, Lies, Damned Lies, Statistics, and Probability of Abiogenesis Calculations, TalkOrigins Archive.

১২৬ Oparin, A. I., Origin of Life. New York : Dover, 1952

১২৭  Haldane JBS, The Origins of Life, New Biology, 16, 12–27 (1954).

১২৮ Miller, Stanley L., ‘Production of Amino Acids Under Possible Primitive Earth Conditions Science 117 (3046):528, 1953

১২৯ Miller, Stanley L.; Harold C. Urey, ‘Organic Compound Synthesis on the Primitive Earth’. Science 130 (3370): 245, 1959

১৩০  Fox, S. W. How did life begin? Science 132 : 200-208, 1960.

১৩১ Fox, S. W. and K. Dose. Molecular Evolution and the Origin of Life, Revised ed. New York : Marcel Dekker, 1977.

১৩২  Cairn-Smith, A. G. Seven Clues to the Origin of Life, Cambridge University Press, 1985.

১৩৩ de Duve, Christian, The beginnings of life on earth. American Scientist 83 :428-437, 1995

১৩৪ Russell, M. J. and A. J. Hall, The emergence of life from iron monosulphide bubbles at a submarine hydrothermal redox and pH front. Journal of the Geological Society of London 154 : 377-402, 1997.

১৩৫ Wächtershäuser, Günter, Life as we don’t know it. Science 289 : 1307 1308, 2000.

১৩৬  Smith, J. V., F. P. Arnold Jr., I. Parsons, and M. R. Lee. 1999. Biochemical evolution III : Polymerization on organophilic silica-rich surfaces, crystal chemical modeling, formation of first cells, and geological clues. Proceedings of the National Academy of Science USA 96(7): 3479-3485. 137।

১৩৭ Huber, Claudia, Wolfgang Eisenreich, Stefan Hecht and Günter Wächtershäuser. 2003. A possible primordial peptide cycle. Science 301 : 938-940

১৩৮ Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome’. science magazine., Published Online May 20, 2010, Science DOI : 10.1126/science.1190719

১৩৯ Stuart Kauffman, At Home in The Universe : The Search for the Laws of Self- Organization and Complexity, New York and Oxford : Oxford University Press, 1995

 Phillip Ball, The Self- Made Tapestry : Pattern Formation in Nature, New York, Oxford: Oxford University Press, 2001

১৪০ John Maynard Smith, The Problems of Biology, p.49. (1986), ISBN 0-19 289198-7, ‘What is wrong with it? Essentially, it is that no biologist imagines that complex structures arise in a single step.

১৪১ George Johnson, Bright Scientists, Dim Notions NY Times, October 28, 2007

১৪২ Richard Dawkins, The God Delusion, Houghton Mifflin Harcourt; 2006, page 114

১৪৩ অভিজিৎ রায়, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অঙ্কুর প্রকাশনী (২০০৫, পুনর্মুদ্রণ, ২০০৬)

১৪৪ John Allen Paulos, Irreligion : A Mathematician Explains why the Arguments for God Just Don’t Add Up, Hill and Wang, 2009, পৃষ্ঠা ৫

১৪৫ Richard Swinburne, The Existence of God, Oxford: Clarendon Press, 1979, পৃষ্ঠা নং ২২৯।

১৪৬ Conservation of energy was not immediately recognized but was already implicit in Newton’s laws of mechanics, Victor J. Stenger, God: The Failed Hypothesis : How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books, 2007, পৃষ্ঠা ১১২]

১৪৭ সাধারণভাবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, শুধু নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমেই স্থিতি শক্তি থেকে গতি শক্তি বা গতি শক্তি থেকে স্থিতি শক্তিতে রূপান্তরের ঘটনা ঘটা সম্ভব। কিন্তু একই সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়াতেও এমনটা ঘটে। তবে ব্যাপার হলো, রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের ভর খুব নগণ্য থাকে বিধায় বোঝা মুশকিল হয়।

১৪৮ Stephen W. Hawking, A Brief History of Time : From the Big Bang to Black Holes, New York: Bantam, 1988, পৃষ্ঠা নং ১২৯

১৪৯ ইনফ্লেশন বা স্ফীতিতত্বের আবির্ভাবের পর আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান খুব পরিষ্কারভাবেই আমাদের দেখিযেছে মহাবিশ্বে মোট শক্তির পরিমাণ শূন্য; মহাবিশ্বের মোট গতিশক্তি এবং মাধ্যাকর্ষণের ঋণাত্মক শক্তি পরস্পরকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর মানে হচ্ছে মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য বাইরে থেকে আলাদা কোনো শক্তির প্রয়োজন হয় নি। সহজ কথায়, ইনফ্লেশন ঘটাতে যদি শক্তির নিট ব্যয় যদি শূন্য হয়, তবে বাইরে থেকে কোনো শক্তি আমদানি করার প্রয়োজন পড়ে না। অ্যালান গুথ এবং স্টেইনহার্ট। নিউ ফিজিক্স জার্নালে (১৯৪৯) দেখিয়েছেন, ইনফ্লেশনের জন্য কোনো তাপগতীয় কাজের দরকার পড়ে না। স্টিফেন হকিং তাঁর অতি সাম্প্রতিক গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বইয়ে সুস্পষ্টভাবে মত প্রকাশ করেছেন যে, এই মহাবিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই শূন্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে, কোনো অলৌকিক কিংবা অপার্থিব সম্বার হস্তক্ষেপ ছাড়াই।

১৫০ V.Faraoni 95 F. I. Cooperstock, ‘On the Total Energy of Open Friedmann- Robertson-Walker Universes’, Astrophysical Journal 587 (2003): 483-86  

১৫১ মীজান রহমান এবং অভিজিৎ রায়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব, শুদ্ধস্বর, ২০১৫ (প্রকাশিতব্য)

১৫২ Alan Guth, The Inflationary Universe, New York: Addison-Wesley, 1997;

আরো দেখুন– Anthony Aguirre, How did Our Universe Come to be?, Astronomy’s 60 Greatest Mysteries, Sky and Telescope, 2013

১৫৩ চিত্রটির গাণিতিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, Victor J. Stenger এর Has Science Found God? The Latest Results in the Search for Purpose in the Universe, Amherst, NY: Prometheus Books, 2003 বইয়ের appendix C, পৃষ্ঠা নং ৩৫৬-৫৭ তে।

১৫৪ Victor J. Stenger 95 Has Science Found God? The Latest Results in the Search for Purpose in the Universe, Amherst, NY: Prometheus Books, 2003, পৃষ্ঠা নং ৩৫১-৫৩।

১৫৫ এই লাইনটি আবারো একটু বিশদভাবে ব্যাখ্যার দাবি রাখে। সাধারণত পদার্থবিজ্ঞানের বইগুলোতে (যেমন শন ক্যারলের ‘From Eternity to Here: The Quest for the Ultimate Theory of Time’ বইটি দ্রষ্টব্য) বলা হয়ে থাকে মহাবিশ্ব শুরু হয়েছে খুব নিম্ন এনট্রপির অবস্থা থেকে। মনে হতে পারে যে উপরিউক্ত লাইনটি সেই বাস্তবতার পরিপন্থী। হ্যাঁ, নিম্ন এন্ট্রপি থেকে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরুর ব্যাপারটা যেভাবে সাধারণ বইগুলোতে বলা হয় সেটা ভুল নয়, কিন্তু একই সাথে মহাবিশ্ব যাত্রা শুরু করতে পারে সর্বোচ্চ এনট্রপি অর্থাৎ কোয়ান্টাম স্কেলের চরম বিশৃঙ্খলা থেকেও, যাকে ‘কেওস’ নামে অভিহিত করা হয়। আর তারপর যখন থেকে মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে শুরু করল, সর্বোচ্চ এনট্রপি বাড়তে থাকল প্রকৃত এন্ট্রপি থেকে দ্রুত হারে (প্রদত্ত গ্রাফ দ্রষ্টব্য)। সেজন্যই অধ্যাপক ভিক্টর স্টেঙ্গর তার ‘ডিফেন্ডিং দ্য ফ্যালাসি অব ফাইনটিউনিং শিরোনামের পেপারে বলেন, ‘A volume of space can have maximal entropy and still contain very low entropy as compared to the visible universe. Assume our universe starts out at the Planck time as a sphere of Planck dimensions. Its entropy will be as low as it can be. However, at the same time, a Planck sphere is akin to a black hole whose entropy is maximal for an object of the same radius. It is not logically inconsistent to be both low and maximum at the same time. In short, the universe could have started out in complete disorder and still produced organized structures. The reason is, as the universe expands its maximum allowed entropy grows with it so that order can form without violating the second law of thermodynamics.’

১৫৬ Stephen W. Hawking and Roger Penrose, ‘The Singularities of Gravitational Collapse and Cosmology,’ Proceedings of the Royal Society of London, series A, 314 (1970) : পৃষ্ঠা নং ৫২৯-৪৮

১৫৭ Dines D’Souza, What’s So Great About Christianity?,Washington, DC: Regnery, 2007, পৃষ্ঠা নং ১১৬

১৫৮ Dines D’ Souza, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ১২৩

১৫৯ অনন্ত বিজয় দাশ, হারুন ইয়াহিয়া : চকচক করলেই সোনা হয় না, যুক্তি, সংখ্যা ৪, জুলাই ২০১৩

১৬০ যেমন, জাকির নায়েক তার একটি লেকচারে বলেছেন,

As far as Qur’an and modern Science is concerned, in the field of ‘Astronomy’, the Scientists, the Astronomers, a few decades earlier, they described, how the universe came into existence— They call it the ‘Big Bang’. And they said… ‘Initially there was one primary nebula, which later on it separated with a Big Bang, which gave rise to Galaxies, Stars, Sun and the Earth, we live in.’ This information is given in a nutshell in the Glorious Qur’an, in Surah Ambiya, Ch. 21, Verse No. 30, which says, ‘Do not the unbelievers see that the heavens and the earth were joined together, and we clove them asunder?’ Imagine this information which we came to know recently, the Qur’an mentions 14 hundred years ago.

১৬১ এ প্রসঙ্গে পড়ুন, এই বইটির ‘বিজ্ঞানময় কিতাব’ শিরোনামের অধ্যায়টি।

১৬২ Stephen W. Hawking, A Brief History of Time : From the Big Bang to Black Holes, New York: Bantam, 1988, পৃষ্ঠা ৫০

১৬৩ D’Souza, What’s So Great About Christianity?, Washington, DC: Regnery, 2007, পৃষ্ঠা ১২১

১৬৪ Stephen W. Hawking, A Brief History of Time: From the Big Bang to Black Holes, New York: Bantam, 1988, পৃষ্ঠা ৫০।

১৬৫ Stephen W. Hawking, পূর্বোক্ত।

১৬৬ Ravi K. Zacharias, The End of Reason : A Response to the New Atheist, Grand Rapids, MI: Zondervan, 2008, পৃষ্ঠা নং ৩১]

১৬৭ Andrei Linde, The Self-Reproducing Inflationary Universe, Scientific American, November, 1994

১৬৮ Victor J. Stenger, God and the Atom, Prometheus Books, 2013 169

১৬৯ E.P. Tryon, ‘Is the Universe a Vacuum Fluctuation?”, Nature 246 (1973): 396-97.

১৭০ আবদ্ধ মহাবিশ্বে মোট শক্তি যে শূন্য থাকে তা ট্রিয়নের সময়ই বিজ্ঞানীরা জানতেন। যেমন বিখ্যাত পদার্থবিদ এল ডি লান্ডাউ এবং ই এম লিফশিৎস ১৯৬২ সালে লেখা ‘The Classical Theory of Fields’ পাঠ্য বইয়ে এটি ব্যাখ্যা করেছিলেন। কিন্তু ট্রিয়ন সম্ভবত এই উৎস সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না।

১৭১ Alexander Vilenkin, ‘Creation of Universe from Nothing” Physics letters 117B (1982) 25-28

১৭২ Alex Vilenkin, Many Worlds in One: The Search for Other Universes, Hill and Wang, 2006

১৭৩ James B. Hartle and Stephen W. Hawking, ‘Wave Function of the Universe,” Physical Review D28, 2960-75, 1983

১৭৪ Stephen William Hawking, The Universe in a Nutshell, Bantam, 2001

 ১৭৫ ‘দ্য গ্যান্ড ডিজাইন’— স্টিফেন হকিং [অধ্যায় ৬] (অনুবাদ তানভীরুল ইসলাম)

১৭৬ ভিকটর স্টেঙ্গরের এই বাইভার্স মডেলের সাথে পরিচিত হতে হলে তাঁর The Fallacy of Fine-Tuning: Why the Universe Is Not Designed for Us (Prometheus Books, 2011) অথবা Timeless Reality : Symmetry, Simplicity, and Multiple Universes (Prometheus Books, 2000) দ্রষ্টব্য।

১৭৭ Victor J. Stenger, The Comprehensible Cosmos : Where Do the Laws of Physics Come From?, Amherst, NY: Prometheus Books, 2006, পৃষ্ঠা নং ৩১২-১৯।

১৭৮ Victor J. Stenger, ‘A Scenario for a Natural Origin of Our Universe, ‘Philo 9, no 2 (2006): 93- 102]

১৭৯ Victor J. Stenger, The New Atheism, Amherst, NY : Prometheus Books, 2006, পৃষ্ঠা নং ১৭১

১৮০ Stephen Hawking and Leonard Mlodinow, The Grand Design, Bantam, 2010

১৮১ Lawrence M. Krauss, A Universe from Nothing: Why There Is Something Rather than Nothing, Free Press, 2012.

১৮২ এ বিষয়ে বাংলায় পড়তে চাইলে মীজান রহমান ও অভিজিৎ রায়, ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’, শুদ্ধস্বর, ২০১৫ (প্রকাশিতব্য) দ্রঃ

১৮৩ Elbert, Jerome W, Are Souls Real? 2000, Prometheus Books.

১৮৪ Kurtz, Paul, Science and Religion : Are They Compatible?, 2003, Prometheus Books

১৮৫ অভিজিৎ রায় এবং ফরিদ আহমেদ, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, অবসর, ২০০৭

১৮৬ Zimmer, Carl, Soul Made Flesh : The Discovery of the Brain-and How It Changed the World, 2004, New York : Free Press.

১৮৭ Bremmer, Jan N., The Early Greek Concept of the Soul, Princeton University Press; Reissue edition, 1987.

১৮৮ Elbert, Jerome W, Are Souls Real? 2000, Prometheus Books.

১৮৯ Gora, God and Soul, Atheism : Questions and Answers, Atheist Center, Vijayawada.

১৯০ Bremmer, Jan N., The Early Greek Concept of the Soul, Princeton University Press; Reissue edition, 1987.

১৯১ Swin, Tony, A place for Strangers : Towards a history of Australian Aboriginal Being, 1993, Cambridge University Press.

১৯২ প্রবীর ঘোষ, অলৌকিক নয়, লৌকিক (প্রথম ও পঞ্চম খণ্ড), দে’জ পাবলিশিং, ২০০৩।

১৯৩ Bremmer, Jan N., The Early Greek Concept of the Soul, Princeton University Press; Reissue edition, 1987.

১৯৪ Kurtz, Paul, Science and Religion : Are They Compatible?, 2003, Prometheus Books

১৯৫ অপরাজিত বসু, প্রাণের রহস্য সন্ধানে বিজ্ঞান, শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানী, ১৯৯৯।

১৯৬ শহিদুল ইসলাম, বিজ্ঞানের দর্শন (প্রথম খণ্ড), শিক্ষাবার্তা প্রকাশনা, ২০০৫

১৯৭ শহিদুল ইসলাম, পূর্বোক্ত

১৯৮ অভিজিৎ রায় এবং ফরিদ আহমেদ, পূর্বোক্ত

১৯৯ প্রবীর ঘোষ, অলৌকিক নয়, লৌকিক (প্রথম ও পঞ্চম খণ্ড), দে’জ পাবলিশিং, ২০০৩

২০০ Francis, Astonishing Hypothesis : The Scientific Search for the Soul, 1995, Scribner.

২০১ Rebecca Skloot, The Immortal Life of Henrietta Lacks, Crown, 2010

২০২ Clark, William R, Sex and the Origins of Death, 1998, Oxford University Press, USA.

২০৩ Steven Laureys, Eyes Open, Brain Shut; May 2007; Scientific American Magazine, May 2007.

২০৪ Stone Alex, Suspended Animation : Is Induced hibernation the key to surviving a trip to the ER? Discover, May 2007.

২০৫ Rationally speaking, Does the soul weigh 21 grams? March 08, 2007  

২০৬ Bosveld, Jane, Soul Search : Can science ever decipher the secrets of the human soul? Discover, June 2007

২০৭ Robert Todd Carroll, Near-death experience (NDE), Skeptic’s Dictionary, Last updated 12/03/07, http://skepdic.com/nde.html

২০৮ Avijit Roy, Construction of Physics-based brain atlas and its application, PHD Thesis, NUS, 2007

২০৯ Blackmore, Susan, Consciousness : A Very Short Introduction (Very Short Introductions) (Paperback), 2005, Oxford University Press.

২১০ Roger Penrose, The Emperor’s New Mind, Oxford University Press, USA; New Paperback edition, 2002.

২১১ Blackmore, Susan, Dying to Live : Near-Death Experiences, 1993, Prometheus Books.

২১২ http://www.issc-taste.org/index.shtml

২১৩ S. J. Blackmore and T. S. Troscianko., The physiology of the tunnel.

২১৪ Journal of Near-Death Studies, 8:15-28, 1989 Susan Blackmore, Near-Death Experiences : In or out of the body? Skeptical Inquirer 1991, 16, 34-45.

২১৫ Bressloff, Paul C., Jack D. Cowan, Martin Golubitsky, Peter J. Thomas, and Matthew C. Wiener. What Geometric Visual Hallucinations Tell Us About the Visual Cortex. Neural Computation. Vol. 14, No. 3, 473-491, 2002

২১৬ David Biello, Searching for God in the Brain; Scientific American Mind, October/November 2007

২১৭ V. S. Ramachandran and Sandra Blakeslee, Phantoms in the Brain : Probing the Mysteries of the Human Mind, Harper Perennial, 1999.

২১৮ দীক্ষক দ্রাবিড়, মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুকসন্ধান, মুক্তান্বেষা, প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা।

২১৯ John Horgan, The God Experiments : Five researchers take science where it’s never gone before, Discover, December, 2006

২২০ Robert Hercz, The God Helmet, Saturday Night Magazine, p 40-46, 2002

২২১ Robert Hercz, The God Helmet, Saturday Night Magazine, p 40-46, 2002

২২২ Crick, Francis, Astonishing Hypothesis : The Scientific Search for the Soul, 1995, Scribner.

২২৩ আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছেএকটি মৃতদেহের অন্তত: পঞ্চাশটি অঙ্গকে নাকি নানাভাবে অন্য মানুষের কাজে লাগানো যায়। (অভিজিৎ রায়, মরণোত্তর দেহদান– মানবতার জন্য হোক আপনার সর্বশেষ দান, মুক্তমনা, আগস্ট ২২, ২০১২)।

২২৪ আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র, পাঠক সমাবেশ।

২২৫ অভিজিৎ রায়, একজন বেলাল মোহাম্মদ এবং তাঁর মরণোত্তর দেহদান, মতামত-বিশ্লেষণ, বিডিনিউজ২৪, আগস্ট ১৯,২০১৩

২২৬ Volume 4, Book 54, Number 421 : Narrated Abu Dhar :

The Prophet asked me at sunset, ‘Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?’ I replied, ‘Allah and His Apostle know better.’ He said, ‘It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah :

And the sun Runs its fixed course For a term (decreed), that is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing.’ (36.38) Volume 6, Book 60, Number 326 : Narrated Abu Dharr : Once I was with the Prophet in the mosque at the time of sunset. The Prophet said, ‘O Abu Dharr! Do you know where the sun sets?’ I replied, ‘Allah and His Apostle know best.’ He said, ‘It goes and prostrates underneath (Allah’s) Throne; and that is Allah’s Statement : ‘And the sun runs on its fixed course for a term (decreed). And that is the decree of All-Mighty, the All-Knowing….’ (36.38) Volume 6, Book 60, Number 327 : Narrated Abu Dharr : I asked the Prophet about the Statement of Allah : ‘And the sun runs on fixed course for a term (decreed),’ (36.38) He said, ‘Its course is underneath ‘Allah’s Throne.’ (Prostration of Sun trees, stars. mentioned in Qur’an and Hadith does not mean like our prostration but it means that these objects are obedient to their Creator (Allah) and they obey for what they have been created for).

২২৭ জাকির নায়েকঃ কোন কোন ইসলামিস্ট সাম্প্রতিককালে ‘দাহাহা’ শব্দের অর্থ করার চেষ্টা করেছেন, ‘উট পাখির ডিম’ বা ‘উট পাখির ডিমের মতো আকৃতির। তারা বলেন, এই আয়াতে দাহাহা দ্বারা ‘বিস্তৃত করা বোঝানো হয় নি (যদিও পাঠক থোল করলেই দেখবেন যে, অন্য সকল স্থানে কিন্তু বিস্তৃত করাই বোঝানো হয়েছে, এবং ইউসুফ আলী কিংবা পিকথালের অনুবাদে expanding অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে)। এর দ্বারা নাকি বোঝানো হয়েছে, গোলাকার তথা উট পাখির ডিমের মতো করে তৈরি করা। কারণ হিসেবে এই ইসলামিক স্কলাররা। বলছেন, দাহাহা শব্দের মূল হলো ‘দুহিয়া’ যার অর্থ উট পাখির ডিম। এটা যে কষ্টকল্পিত আর জোড়াতালি ব্যাখ্যা তা না বললেও বোধ হয় চলবে। এখানে ‘দাহাহা’র সাথে উট পাখির ডিমের সম্পর্ক কোনোভাবেই করা যায় না। আরবি অভিধান ঘাঁটলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ডিমের আরবি হলো আল বাইজা, দুহিযা/দাহাহা নয়। তারপরও অনেকে ডিম নিয়ে পড়ে থাকতে চান, আর মানুষকে প্রতারিত করেন। যদি ডিমের ব্যাপারটি সঠিক বলে ধরেও নেই, তারপরেও তাদের যুক্তি ধোপে টেকে না। পৃথিবীর আকৃতি আসলে ডিমের মতো না। এমনকি স্কুলের ভূগোল বইয়েই পাওয়া যায় পৃথিবীর আকৃতি অনেকটা কমলালেবুর মতো- উত্তর দক্ষিণে খানিকটা চাঁপা। এধরণের আকৃতিকে বলে oblate (বিষুব বরাবর প্রসারিত)। আর অন্য দিকে ডিমের আকৃতি উত্তর দক্ষিণে ছুঁচালো, কারণ ডিম হলো prolate আকৃতির (মেরু বরাবর প্রসারিত)। এ প্রসঙ্গে আরও জানার জন্য উইকি ইসলাম থেকে দেখুন

The Flat Earth, http ://wikiislam.net/wiki/The_Flat_Earth

২২৮ এ প্রসঙ্গে আরও পড়ুন, খান মুহাম্মদ (শিক্ষানবিস), ইসলামী বিজ্ঞানের পৌরাণিক কাহিনি, মুক্তমনা।

২২৯ T.J. de Boer তার History of Philosophy in Islam (1904) বইয়ে বলেছেন যে, পৃথিবীকে গোলাকার হিসবে বিবেচনা করে হাইখাম অপবিত্র নাস্তিকের প্রতাঁকে (unhappy symbol of impious Atheism) পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন, এবং তার কাজকর্ম জ্বলন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া Bradley Steffens এর Ibn al-Haytham : First Scientist বইয়েও। হাইথামের পান্ডুলিপি পোড়ানোর উল্লেখ পাওয়া যায়।

২৩০ যদিও ফতোয়াটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে, কারণ শেখ আবদেল আজিজ ইবন বাজ পরে ফতোয়া দেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। কিন্তু এখনো অন্তত তিনটি জায়গায় ফতোয়াটির উল্লেখ পাওয়া যায়[কার্ল সাগানের ‘The Demon-Haunted World (১৯৯৬ সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৩২৫), অধ্যাপক পারভেজ হুদোভযের_Islam and Science : Religious Orthodoxy and the Battle for Rationality (TOT 8)) এবং New York Times এর 1995 সালে প্রকাশিত Yousef M. Ibrahim এর প্রবন্ধ_Muslim Edicts take on New Force (The New York Times, February 12, 1995)

২৩১ বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন[The Flat-out Truth : The idea of a spinning globe is only a conspiracy of error that Moses, Columbus, and FDR all fought… http://www.lhup.edu/~dsimanek/fe-scidi.htm

২৩২ বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন[The International Square Earth Society,

http://pw1.netcom.com/~rogermw/square_earth.html  

২৩৩ 1) Narrated Anas : Some people from the tribe of ‘Ukl came to the Prophet and embraced Islam. The climate of Medina did not suit them, so the Prophet ordered them to go to the (herd of milch) camels of charity and to drink, their milk and urine (as a medicine). Sahih Bukhari 8:82:794

2) Anas b. Malik reported that some people belonging to the tribe) of ‘Uraina came to Allah’s Messenger (may peace be upon him) at Medina, but they found its climate uncongenial. So Allah’s Messenger (may peace be upon him) said to them : If you so like, you may go to the camels of Sadaqa and drink their milk and urine. They did so and were all right. Sahih Muslim 16:4130

3) ‘A tradtionalist told me from one who had told him from Muhammad b. Talha from Uthman v. Abdul-Rahman that in the raid of Muharib and B. Thalaba the apostle had captured a slave called Yasar, and he put him in charge of his milch-camels to shepherd them in the neighborhood of al Jamma. Some men of Qays of Kubba of Bajila came to the apostle suffering from an epidemic and enlarged spleens, and the apostle told them that if they went to the milch camels and drank their milk and their urine they would recover, so off they went. From The Sirat Rasul Allah ( The Life of The Prophet of God), by Ibn Ishaq pages 677-678

২৩৪ আসলে কোরআনে কেন আকাশ ও পৃথিবী একসাথে মিশে থাকার কথা আছে তা সহজেই অনুমেয়। সেসময় প্যাগানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক গোত্রের উপকথা এবং লোককথাতেই আকাশ আর পৃথিবী মিশে থাকার আর হরেক রকমের দেব-দেবী দিয়ে পৃথক করার কথা বলা ছিল। যেমন মিশরের লোককথায় ‘গেব’ নামের এক দেবতা ছিলেন যিনি ছিলেন মৃত্তিকার দেবতা। এই গেবকে তার মা এবং বোন (আসমানের দেবী) থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফলেই আকাশ আর পৃথিবী একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আবার, সুমেরীয় উপকথা গিলগামেশের কাহিনিতেও আসমানের দেবী ‘অ্যান’কে মৃত্তিকার দেবতা ‘কী এর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার কথা বলা আছে। এ সমস্ত উপকথা থেকে প্যাগান রেফারেন্সগুলো বাদ দিলে যা থাকবে, তা কোরআনেরই কাহিনি।

২৩৫ এ প্রসঙ্গে পড়ুন, অভিজিৎ রায়, অনন্ত মহাবিশ্বের সন্ধানে, সচলায়তন

২৩৬ Self Reproducing Inflationary Universe, Andrei Linde, Scientific American, 1998

২৩৭ Aparthib Zaman, Mixing Science with Religion, Mukto-Mona

২৩৮ http://www.submission.org/quran/app1.html

২৩৯ কাজী জাহান মিয়া, আল-কোরআন দ্য চ্যালেঞ্জ (মহাকাশ পর্ব ১), প্রকাশক : নাহরীন পারভীন, রায়ের বাজার, ঢাকা, দ্বিতীয় সংস্করণ অক্টোবর, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ১৭-২৯

২৪০ ড. খন্দকার আব্দুল মান্নান, কম্পিউটার ও আল কোরআন, প্রকাশনায় : ইশায়াতে ইসলাম কুতুবখানা, মিরপুর, ঢাকা, পঞ্চম মুদ্রণ : সেপ্টেম্বর ২০০৩।

২৪১ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ, কোরআন শরীফ : সহজ সরল বাংলা অনুবাদ, আল কোরআন একাডেমী লন্ডন, প্রথম প্রকাশ মার্চ ২০০২।

২৪২ কোরআনের সাংখ্যিক মাহাত্ম্য : ভিন্নমত, রায়হান আবীর

http://www.cadetcollegeblog.com/raihanabir/1816

২৪৩ পুরো উপন্যাস পাওয়া যাবে এখানে :

http //www.spinelessbooks.com/gadsby/index.html

২৪৪ কোরআনের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ! সৈকত চৌধুরী এবং অনন্ত বিজয় দাশ, মুক্তমনা বাংলা ব্লগ পিডিএফ লিংক-

http://www.mukto mona.com/Articles/ananta/nineteen_Ananta_soikot.pdf

২৪৫ কোরআনের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ! সৈকত চৌধুরী এবং অনন্ত বিজয় দাশ, মুক্তমনা বাংলা ব্লগ

পিডিএফ লিংক। http ://www.mukto mona.com/Articles/ananta/nineteen_Ananta_soikot.pdf

২৪৬ বিস্তারিত তথ্যের জন্য পাঠকেরা পড়ুন অধ্যাপক ভিকটর স্টেঙ্গরের ‘In The Name Of The Omega Point Singularity’ (Free Inquiry 27. No.5 August/September 2007); এবং ডঃ লরেন্স ক্রাউসের ‘More dangerous than nonsense’ (New Scientist, 12 May 2007)

২৪৭ সাদ কামালী এবং অভিজিৎ রায় (সম্পাদনা), স্বতন্ত্র ভাবনা, চারদিক, ২০০৮

২৪৮ Karen Armstrong, The Battle for God, Ballantine Books, 2001; ক্যারেন আর্মস্ট্রং তাঁর ‘Battle for God’ বইয়ে বলেছেন, মানুষের চিন্তাধারা অনাদিকাল থেকেই বিকশিত হয়েছে পরিষ্কার দুটি ধারায়। এর একটি হচ্ছে ‘মিথোস’ এবং অপরটি ‘লোগোস’। মিথোস এসেছে ইংরেজি ‘মিথ’থেকে, আরও গভীরে গেলে পাওয়া যাবে ‘musteion] মিথের মূল প্রতিশব্দগুলো হলো mystery এবং mysticism, যা প্রকাশ করে রহস্যময়তা, দুজ্ঞেতা এবং অতীন্দ্রিয়তাকে। ক্যারেন আর্মস্ট্রং-এর চোথে মিথ হচ্ছে কতকগুলো রীতি-নীতি, আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কারাযেগুলোর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ কথনো পাওয়া যায় না। এগুলো মানব মনে জায়গা করে নিয়েছে স্রেফ কতকগুলো বিশ্বাসের কাঁধে ভর করে। আর আর্মস্ট্রং গ্রিক শব্দ লোগোসকে বর্ণনা করেছেন ‘যুক্তি গ্রাহ্য’, ‘প্রমাণসাপেক্ষ’, বিজ্ঞানভিত্তিক’ শব্দ ক’টির সাহায্যে। তিনি বলেন আধুনিক বিশ্বে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি, প্রগতি আর উন্নয়নের মূলে রয়েছে। ‘লোগোস–যা জ্ঞান ও যুক্তির মাপকাঠিতে প্রকৃত বাস্তবতার পরিচায়ক। বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন, লেখকের কথা, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অভিজিৎ রায়, অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৫]

২৪৯ ‘The religions of the world … have laid claim to the role of arbiters of human behavior. They insist that they have the right to tell the rest of us what is right and what is wrong because they have a special pipeline to the place where right and wrong are defined–in the mind of God.’, see ‘Do Our Values Come from God?, The Evidence Says No’, Victor stinger,

২৫০ বার্ট্রান্ড রাসেল, আমি কেন ধর্মবিশ্বাসী নই, ভাষান্তর : অরিন ভাদুড়ি, দীপায়ন, ২য় সংস্করণ, জানুয়ারি ২০০৪

২৫১ ‘Religion is an insult to human dignity. With or without it you would have good people doing good things and evil people doing evil things. But for good people to do evil things, that takes religion.’; Steven Weinberg, In a speech given in Washington, DC, on April 1999.

২৫২ নাস্তিকতার সংজ্ঞা, সুমন তুরহানা দেশ ৪ নভেম্বর, ২০০২।

২৫৩ ‘ধর্ম যেহেতু ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্মীয় পরিচিয় জানানো জরুরি নয় বলে ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদীরা মনে করে। কিন্তু সমস্যা হলো, যারা কোনো ধর্ম মানেন না তারা চাকুরি বা শিক্ষার ক্ষেত্রে কলামটা খালি রাখতে চাইলেও অতীতে আপত্তি উঠেছে নানা জায়গায়। এমনকি ফর্ম বাতিল করা হয়েছে অসম্পূর্ণ বলে। সেই সময় বহু মানুষ দ্বারস্থ হয় ভারতীয় মানবতাবাদী সমিতির এই সময় প্রথম এই সমিতি Humanists’ Association of India সক্রিয় হয় মানবতাকে ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে, সেটা ১৯৯২-৯৩ সালের দিকে। দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ও সংবাদপত্রের দপ্তরে যোগাযোগ। করে ঘটনাটি জানানো হয়। যাতে একজন মানুষ নিজের ধর্ম ‘মানবতা’ বলতে পারে তার জন্য সরকারি কোনো নিয়ামাবলী বা গাইডলাইন আছে কিনা তা স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে সবাই বলেন যে এভাবে নতুন ধর্ম তৈরি করা সম্ভব নয়। তারপর মানবতাবাদী সমিতি সরাসরি চিঠি পাঠায় জাতিসংঘের অফিসে। উত্তর আসে দেরি না করেই। ইউএনও তাদের Human rights এবং Religious rights সংক্রান্ত যাবতীয় বই ও কাগজপত্র পাঠিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয] ১৯৮১’-এর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে রাষ্ট্রসংঘ ঘোষণা করেছে প্রতিটি মানুষের যেকোনো ধর্মমত গ্রহণ ও চর্চা করার স্বাধীন অধিকার আছে। তারপরই এই আইনি লড়াইতে যৌথভাবে নেমে পড়ে ভারতের। মানবতাবাদী সমিতি ও যুক্তিবাদী সমিতি। জাতিসংঘকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে ভারত জাতিসংঘের সদস্য দেশের অন্যতম হওয়া সত্বেও প্রচলিত ধর্মের বাইরে অন্য ধর্মকে এখানে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। হিউম্যানিজম-কেও ধর্ম বলে স্বীকার করা হয় না। কিন্তু যেহেতু ইউএনও তার গাইডলাইন পাঠিয়ে দিয়েছে, আমরা ইউএনও-এর অন্তর্গত দেশ হিসেবে মনে করি মানবতা আমাদের ধর্ম হতে কোনো বাধা নেই। এবং আইনিভাবে এই ধর্মমতকে গ্রহণ করার অধিকার ভারতের নাগরিকেরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিদেশি দূতাবাসগুলোতেও। তারপর ভারতের মানবতাবাদী সমিতির সহায়তায় কোর্টে গিয়ে affidavit করে দলে দলে ছেলেমেয়ে Humanism-কে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে (১৯৯৩-এর ১০ ডিসেম্বর)। বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন : মানুষের ধর্ম মানবতা, সুমিত্রা পদ্মনাভন, দুই বাংলার

২৫৪ যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম, পুনঃ মুদ্রিত, মুক্তমনা দ্র.। 254 অলৌকিক নয়, লৌকিক, প্রথম খণ্ড, প্রবীর ঘোষ, দে’জ পাবলিশিং

২৫৫ ‘I criticized fundamentalists as well as religion in general. I don’t find any difference between Islam and Islamic fundamentalists. I believe religion is the root, and from the root fundamentalism grows as a poisonous stem. If we remove fundamentalism and keep religion, then one day or another fundamentalism will grow again. I need to say that because some liberals always defend Islam and blame fundamentalists for creating problems. But Islam itself oppresses women. Islam itself doesn’t permit democracy and it violates human rights. ‘One Brave Woman vs. Religious Fundamentalism, An Interview With Taslima Nasrin, Free Inquiry magazine, Volume 19, Number1, available online http://www.secularhumanism.org/library/fi/nasrin_19_1.html

২৫৬ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ), মাওলানা খান মুহাম্মদ ইউসুফ আবদুল্লাহ, সোলেমানিয়া বুক হাউস।

২৫৭ প্রথম আলোর অক্টোবর ১৮, ২০০৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী খোদ বাংলাদেশেই ২৯ টি কিংবা তারও বেশি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হল : জমিয়াতুল মুজাহিদিন, জাগ্রত মুসলিম জনতা, শাহাদাত-ই আল হিকমা, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি, শহীদ নসুরুল্লাহ আল আরাফাত বিগ্রেড, হিজবুত তাওহিদ, জামায়াত-ই ইয়াহিয়া, আল তুরাত, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামাতুল ফালাইয়া তাওহিদি জনতা, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, জুমাতুল আল সাদাত, শাহাদাত-ই-নবুওয়ত, আল্লাহর দল, জইশে মোস্তফা বাংলাদেশ, আল জিহাদ বাংলাদেশ, ওয়ারত ইসলামিক ফ্রন্ট, জামায়াত-আস-সাদাত, আল খিদমত, হরকত-এ ইসলাম আল জিহাদ, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, মুসলিম মিল্লাত শরিয়া কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, জইশে মুহাম্মদ, তা আমীর উদদ্বীন বাংলাদেশ, হিজবুল মাহাদী, আল ইসলাম মার্টারস বিগ্রেড ও তানজীম। এছাড়াও বাংলাদেশ। সরকার বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ করেছে চারটি আত্মস্বীকৃত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনকে; এগুলো হলো : শাহাদাত-ই-আল হিকমা (২০০৪) জমিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি, ২০০৫), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি, ২০০৫)। এবং হরকাতুল জিহাদ (২০০৫) প্রভৃতি। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে জমিয়াতুল মুজাহিদীন, জাগ্রত মুসলিম জনতা, শাহাদাত ই আল হিকমা এবং হরকাতুল জিহাদ (হুজি) কে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হিযবুত তাহরি।

২৫৮ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১০, নিউজ বাংলা।

২৫৯ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পড়ুন The Clash of Fundamentalisms : Crusades, Jihads and Modernity, by Tariq Ali, Verso; Pbk edition (April, 2003); Rogue State: A Guide to the World’s Only Superpower by William Blum, Common Courage Press (May, 2000);ইত্যাদি।

২৬০ Ibn Ishaq, The Life of Muhammad, trs. A Guillaume, Oxford University Press, Karachi, 2004 imprint, p545

২৬১ Tabari, Abu Ja’far Muhammad b. Jarir, ‘The Victory of Islam’, vol viii, pp.35-36

২৬২ K. Armstrong Muhammad : A Western Attempt to Understand Islam, Gollanz, 1991, London, p. 207.

২৬৩  আকাশ মালিক, যে সত্য বলা হয়নি, মুক্তমনা ই-বুক। এম এ থান, জিহাদ : জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার, বদ্বীপ প্রকাশন, ২০১০। Ali Sina, Understanding Muhammad: A Psychobiography of Allah’s prophet, Felibri.com, 2008. Ali Dashti, Twenty Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad, Mazda Pub; 1994 ইত্যাদি।

২৬৪ Noam Chomsky, 9-11, Open Media/Seven Stories Press; 2001

২৬৫ Fareed Zakaria, The Future of Freedom : Illiberal Democracy at Home and Abroad, W. W. Norton & Company; Revised Edition edition, 2007

২৬৬ Sam Harris, The End of Faith : Religion, Terror, and the Future of Reason, W. W. Norton, 2005

২৬৭ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত।

২৬৮ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত।

২৬৯ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত

২৭০ Terrorist and Insurgent Organizations, Air University Library Publications.

২৭১ সাদ কামালী এবং অভিজিৎ রায় (সম্পাদনা), স্বতন্ত্র ভাবনা, চারদিক, ২০০৮

২৭২ বাল্মীকি রামায়ণ, হেমচন্দ্র অনুদিত, রিফেকট পাবলিকেশন, কলিকাতা, ১৯৮৪, পৃ. ১০৬৭-৭১

২৭৩ মহাকাব্যগুলোতে মনুর প্রভাব বিষয়ে আলোচনার জন্য দেখুন : মহাকাব্য ও মৌলবাদ, জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়, এলাইড পাবলিশার্স লিমিটেড, কলিকাতা। এবং Laws of Manu, translated with extracts from seven commentaries by G. Buhler, ed. F. Max Muller, Clarendon Press, Oxford, 1886.

২৭৪ সুকুমারী ভট্টাচার্য, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা, দীপ প্রকাশন, ২০০০।

২৭৫ পবিত্র বাইবেল, পুরতন ও নূতন নিয়ম, বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, ঢাকা, ২০০০

২৭৬ The Dark Bible, Compiled by Jim Walker,

http://www.nobeliefs.com/DarkBible/DarkBibleContents.htm

২৭৭ পবিত্র বাইবেল,পূর্বোক্ত

২৭৮ পবিত্র বাইবেল, পূর্বোক্ত

২৭৯ ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইটার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হবার পর মুসলিমদের মত কিছু হিন্দু মননকেও আহত করে ফেলেছিল। এক মডারেট হিন্দু বইটার রিভিউ করতে গিয়ে একটা ব্লগ সাইটে লিখে দিলেন– সতীদাহের পুরো ব্যাপারটাই নাকি সাংস্কৃতিক, ধর্মগ্রন্থে নাকি সতীদাহের কোন অস্তিত্ব নেই। আসলে এই ‘মডারেট’ হিন্দুরা নিজের ধর্মগ্রন্থটাও ঠিকমত পড়ে দেখেন না। এরা জানেন না তাদের ধর্মগ্রন্থে স্বামী মারা গেলে বিধবাকে স্বামীর চিতায় আগুনে পুড়ে মরে সতী হওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। যেমন, ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ১৪নং সূক্তের ৭ নং ঋক (১০/১৪/৭) দ্রষ্টব্য :

इमा नारीररावधवाः सुपत्नीराजनैन सर्पिषा संविशन्तु
अनअ.अनमीवाः सुत्ना आ रोहन्तु जनयोयोनिम

: ‘Let these women, whose husbands are worthy and are living, enter the house with ghee (applied) as collyrium (to their eyes). Let these wives first step into the pyre, tearless without any affliction and well adorned.’

অথর্ববেদে রয়েছে : ‘আমরা মৃতের বধূ হবার জন্য জীবিত নারীকে নীত হতে দেখেছি। (১৪/৩/১,৩)। পরাশর সংহিতায় পাই, ‘মানুষের শরীরে সাড়ে তিন কোটি লোম থাকে, যে নারী মৃত্যুতেও তার স্বামীকে অনুগমন করে, সে স্বামীর সঙ্গে ৩৩ কোটি বৎসরই স্বর্গবাস করে (৪:২৪)। দক্ষ সংহিতার ৪:১৮-১৯নং শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘যে সতী নারী স্বামীর মৃত্যুর পর অগ্নিতে প্রবেশ করে সে স্বর্গে পূজা পায়”। এই দক্ষ সংহিতার। পরবর্তী শ্লোকে (৫:১৬০) বলা হয়েছে, ‘যে নারী স্বামীর চিতায় আত্মোৎসর্গ করে সে তার পিতৃকুল, স্বামীকুল উভয়কেই পবিত্র করে।”

২৮০ সত্যি কথা বলতে কি[আমরা নতুন দিনের নাস্তিকেরা আসলে বিন-লাদেন, মুফতি হান্নান, বাংলা ভাই, মোল্লা ওমর, খোমেনি বা মৌলানা মান্নানের মতো লোকদের তেমন একটা দোষ দেই না; অন্তত তারা কথায় আর কাজে এক। আল্লাহ কোরআনে যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবেই কোরআনের আদর্শকে সামনে রেখে তারা কাজ করে চলেছেন। আমরা আসলে দোষ দেই ‘শিক্ষিত এবং মডারেট’ তকমাধারী ধার্মিকদের যারা কোরআনের মধ্যে সহিষ্ণুতা খুঁজে পান আর চারিদিকে এত অশান্তি দেখেও ইসলাম শান্তির ধর্ম বলতে বলতে চুপ হয়ে যান। ঠিক একই ব্যাপার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের জন্যও খাটে। যারা রামের শাসনামলে শূদ্র তাপস শম্বুক কিংবা রামপত্নী সীতার কি করুণ অবস্থা হয়েছিল তা না জেনেই ‘রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন, অথবা বেদ, গীতা, উপনিষদ, মনুসংহিতায় কী আছে তা না জেনেই হিন্দু ধর্মকে সহিষ্ণুতম ধর্ম হিসেবে আখ্যা দিয়ে বসেন, আর মারামারি, হানাহানি আর সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করেন কেবল গুটিকয় আদভানী আর লালু প্রসাদকে।

২৮১ Victor J. Stenger, God : The Failed Hypothesis : How Science Shows That God Does Not Exist, Prometheus Books, 2007

২৮২ Ann Coulter, Godless : The Church of Liberalism, Three Rivers Press, 2007

২৮৩ Bill O’Reilly, Culture Warrior, Broadway, 2007

২৮৪ Kimberly Blaker, The Fundamentals of Extremism : The Christian Right in America, New Boston Books, 2003

২৮৫ প্রবীর ঘোষ, অলৌকিক নয়,লৌকিক, তৃতীয় খন্ড, দে’জ পাবলিশিং, পৃ. ৩৯।

২৮৬ The results of the Christians vs atheists in prison investigation, By Rod Swift, http://holysmoke.org/icr-pri.htm

২৮৭ Phil Zuckerman,. ‘Atheism : Contemporary Rates and Patterns’, chapter in The Cambridge Companion to Atheism, ed. by Michael Martin, Cambridge University Press : Cambridge, UK, 2005.

২৮৮ Phil Zuckerman, Society without God : What the Least Religious Nations Can Tell Us About Contentment, NYU Press, 2010

২৮৯ Something Happy in the State of Denmark, Los Angeles Times, June 19, 2006.

২৯০ Michael Shermer, The Science of Good & Evil : Why People Cheat, Gossip, Care, Share, and Follow the Golden Rule, Holt Paperbacks, 2004

২৯১ সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জীববিজ্ঞান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিবর্তনীয় উৎসের সন্ধান করে বহু বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ এবং গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়

* Robert Axelrod, The Evolution of Cooperation, Basic Books, 1985

 * Richard Alexander, The Biology of Moral Systems, Aldine Transaction, 1987

 * Robert Wright, The Moral Animal : Why We Are, the Way We Are : The New Science of Evolutionary Psychology, Vintage, 1995

* Frans B. M. de Waal, Good Natured : The Origins of Right and Wrong in Humans and Other Animals, Harvard University Press, 1997

* Larry Arnhart, Darwinian Natural Right : The Biological Ethics of Human Nature, State University of New York Press, 1998

* Leonard D. Katz, Evolutionary Origins of Morality : Cross-Disciplinary Perspectives, Imprint Academic, 2000

* Donald M. Broom, The Evolution of Morality and Religion, Cambridge University Press, 2004 ইত্যাদি

২৯২ Richard Dawkins, The Selfish Gene. Oxford: Oxford University Press. 1976

২৯৩ অভিজিৎ রায়, বিবর্তনের দৃষ্টিতে নৈতিকতার উদ্ভব (১ম এবং ২য় পর্ব), অক্টোবর ২১, ২০১০, মুক্তমনা

২৯৪ নাফিসের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ অভিজিৎ রায়ের বিশ্বাসের ভাইরাস (জাগৃতি, ২০১৪) বইয়ে।

২৯৫ 9-11, Noam Chomsky, Open Media/Seven Stories Press, 1 edition, October 2001

২৯৬ Bruce Lincoln, Holy Terrors : Thinking About Religion After September 11, University Of Chicago Press; 2 edition, 2006

২৯৭ Last words of a terrorist, Guardian UK,

http://www.guardian.co.uk/world/2001/sep/30/terrorism.september113

২৯৮ Is Religion Killing Us? : Violence in the Bible and the Quran, Jack Nelson Pallmeyer, Trinity Press International, 2003

২৯৯ The End of Faith : Religion, Terror, and the Future of Reason, Sam Harris, W. W. Norton, 2005

৩০০ Islamabad Tells of Plot by Lashkar, Islamabad : Wall Street Journal, Retrieved 2009-07-28.

৩০১ অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪১৫ (২৮ নভেম্বর, ২০০৪), মুক্তমনা

৩০২ Richard Dawkins, What Use is Religion?, Free Inquiry magazine, Volume 24, Number 5. বাংলা- ধর্মের উপযোগিতা, মুক্তমনা

৩০৩ Breaking the Spell : Religion as a Natural Phenomenon, Daniel C. Dennett, Viking Adult, 2006

৩০৪ Shaoni Bhattacharya, Parasites brainwash grasshoppers into death dive, New Scientists, August 2005

 ৩০৫ Darrel W. Ray, The God Virus : How religion infects our lives and culture, IPC Press; First edition, December 5, 2009

৩০৬ Bruce Lincoln, Holy Terrors : Thinking about Religion after September 11, University Of Chicago Press; 1 edition, 2003

৩০৭ Richard Dawkins, Design for a Faith-Based Missile, Volume 22, Number 1.

৩০৮ অভিজিৎ রায়, সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান, শুদ্ধস্বর, ২০১০, পৃ ১৭২-১৯৮

৩০৯ The Selfish Gene, Richard Dawkins, Oxford University Press, 1976

৩১০ বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়? ২০০৪, মুক্তমনা ই বুক,

http://www.mukto-mona.com/project/Biggan_dhormo2008/

৩১১ ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয’ বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়

৩১২ Richard Brodie, Virus of the Mind: The New Science of the Meme, Hay House, 2009; Craig A. James, The Religion Virus: Why We Believe in God: An Evolutionist Explains Religion’s Incredible Hold on Humanity, O Books, John Hunt, 2010

৩১৩ Nigel Davies, Human Sacrifice–In History and Today, William Morrow & Co; 1981

৩১৪ বেশকিছু উদাহরণ নেওয়া হয়েছে Holy Horrors : An Illustrated History of Religious Murder and Madness, James A. Haught, Prometheus Books, 1990 থেকে, সাম্প্রতিক কিছু উদাহরণ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং মুক্তমনা সাইট থেকে।

৩১৫ Alan S. Miller & Satoshi Kanazawa, Why Beautiful People Have More Daughters : From Dating, Shopping, and Praying to Going to War and Becoming a Billionaire– Two Evolutionary Psychologists Explain Why We Do What We Do, Perigee Trade, 2008

৩১৬ বিশ্বাসের ভাইরাস এবং আনুষঙ্গিক, দিগন্ত সরকার, মুক্তমনা,

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=325

৩১৭ In the Name of History Examples from Hindutva-inspired school textbooks in India, Online : http://www.sacw.net/HateEducation/Teesta.html

৩১৮ Satoshi Kanazawa, Why Liberals And Atheists Are More Intelligent.

৩১৯ Satoshi Kanazawa, Why Liberals Are More Intelligent Than Conservatives, Psychology Today, March 21, 2010

৩২০ Satoshi Kanazawa, Why Atheists Are More Intelligent than the Religious, Psychology Today, April 11, 2010

৩২১ Jaime E. Settle, Christopher T. Dawes, Nicholas A. Christakis, James H. Fowler. Friendships Moderate an Association between a Dopamine Gene Variant and Political Ideology. The Journal of Politics, 2010; 72 (04): 1189

৩২২ Religiosity Highest in World’s Poorest Nations, Gallup’s global reports, August 31, 2010

৩২৩ Charles M. Blow, Religious Outlier, The Newyork Times, Published : September 3, 2010

৩২৪ World Publics Welcome Global Trade— But Not Immigration, Summary of Findings, http://pewglobal.org/2007/10/04/world-publics-welcome global-trade-but-not-immigration/

৩২৫ মুম্বাই এ ফিদাইন হানা- একটি বিশ্লেষণ, বিপ্লব পাল, মুক্তমনা

online : http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=288

৩২৬ অভিজিৎ রায়, বিশ্বাসের ভাইরাস, জাগৃতি, ২০১৪

৩২৭ Darrel W. Ray, The God Virus : How religion infects our lives and culture, IPC Press; First edition, December 5, 2009

৩২৮ পবিত্র বাইবেলে আছে,

‘আর জগৎও অটলতা বিচলিত হবে না’ (ক্রনিকলস ১৬/৩০)।

 ‘জগৎ ও সুস্থির, তা নড়াচড়া করবে না।’ (সাম ৯৩/১)

 ‘তিনি পৃথিবীকে অনড় এবং অচল করেছেন’ (সাম ৯৬/১০)

 ‘তিনি পৃথিবীকে এর ভিত্তিমূলের ওপর স্থাপন করেছেন, তা কখনো। বিচলিত হবে না’ (সাম ১০৪/৫) ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে আরও দেখুন বইয়ের ষষ্ঠ (বিজ্ঞানময় কিতাব) অধ্যায়টি।

৩২৯ অভিজিৎ রায়, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৬

৩৩০ এ প্রসঙ্গে দেখুন, নুরুজ্জামান মানিক, ইসলামের চিন্তার ইতিহাসে যারা সত্যের শহীদ, ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম- সংঘাত নাকি সমন্বয়?”, মুক্তমনা ই-বুক।

৩৩১ রিচার্ড ডকিন্স তাঁর গড ডিলুশন’ বইয়ে কার্গো কাল্টদের নিয়ে আলাদা ভাবে লিখেছেন Richard Dawkins, God Delusion, Houghton Mifflin Harcourt; 1st Am. ed. Edition, 2006 PP. 202-207.

৩৩২ মূল প্রতিবেদনের স্ক্যানড কপি রাখা আছে,

http://www.somewhereinblog.net/blog/omipialblog/28734445

৩৩৩ Adolf Hitler, Mein Kampf, Houghton Mifflin, New York : Hutchinson Publ. Ltd., London, 1969, p 60.

৩৩৪ Adolf Hitler, in a speech on 12 April 1922 (From Norman H. Baynes, ed. The Speeches of Adolf Hitler, April 1922-August 1939, Vol. 1 of 2, pp. 19 20, Oxford University Press, 1942)

৩৩৫ www.nobeliefs.com/hitler.htm–এই সাইটে হিটলারের খ্রিস্টিয় বিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে বেশ কিছু ভাল আলোচনা রয়েছে।

৩৩৬ যেমন, আইওয়া স্টেট রিলিজিয়াস স্টাডিজ-এর অধ্যাপক হেকটর এভালজ তাঁর  Fighting Words : The Origins Of Religious Violence US গ্রন্থে খুব পরিষ্কারভাবেই দেখাতে সমর্থ হয়েছেন যে, কোথাওই নাস্তিকতার জন্য স্ট্যালিন গণহত্যা করেন নি, করেছেন তার কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসপ্রসূত রাজনীতির (collectivization) কারণে।

৩৩৭ Edvard Radzinsky, Stalin : The First In-depth Biography Based on Explosive New Documents from Russia’s Secret Archives, Anchor, 1997

৩৩৮ এ প্রসঙ্গে পড়ুন–এই বইয়ের পরিশিষ্টে অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধ নাস্তিকতাও একটি ধর্ম (বিশ্বাস) হলে…

৩৩৯ আমেরিকার ফাউন্ডিং ফাদারদের প্রধান ছিলেন যারা তাদের অনেকেই আসলে ধর্মহীন নাস্তিক ছিলেন বলে অনেকে দাবি করেন। ক্রিস্টোফার হিচেন্স তাঁর ‘Thomas Jefferson : Author of America’ বইয়ে দাবি করেছেন যে, জেফারসন সম্ভবত নাস্তিকই ছিলেন, এমনকি তার সময়েও এবং প্রবলভাবেই। রিচার্ড ডকিন্সও তাঁর God Delusion বইয়ে এমন ইঙ্গিত করেছেন। তবে নাস্তিক হোন বা না হোন আমেরিকার ফাউন্ডিং ফাদারেরা যে সেকুলার ছিলেন, এটা তাদের বিভিন্ন লেখালেখি থেকে স্পষ্ট। পরবর্তীকালে ফাউন্ডিং ফাদারদের আদর্শ থেকে আমেরিকার বিচ্যুতি প্রবলভাবে লক্ষণীয়। আমেরিকার ডলারে লিখিত ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’ এমন একটি উদাহরণ।

৩৪০ বইয়ের সপ্তম অধ্যায় দ্রষ্টব্য।

৩৪১ Keith Ward, In Defence of The Soul, Oneworld Publications, May 25, 1998

৩৪২ John Caputo, On Religion (Thinking in Action), Routledge, 2001

৩৪৩ বইয়ের সপ্তম অধ্যায় দ্রষ্টব্য।

৩৪৪ Eric Kaufmann, ‘Sacralization by Stealth : Religion Returns to Europe’, Riley Institute Public Lecture, Furman University, Greenville, SC.

৩৪৫ জাহানারা ইমাম স্মারক সভায় ড. অজয় রায়ের বক্তৃতা

http://www.mukto mona.com/award/award_ajoy_unic.htm

৩৪৬ http://www.mukto-mona.com/human-rights/report.htm

৩৪৭ অজয় রায়, আমার বন্ধু নির্মল সেন : স্বস্তিতে নেই (সাহায্যের আবেদনপে প্যাল আপডেট)– নির্মল সেনের সাহায্যের এই আবেদনটি মুক্তমনায় প্রচারিত হওয়ার পরে অনেক সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ফলে আমরা খুব কম সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ১০০০ ডলার তোলার লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছিলাম।

৩৪৮ ‘আদিল মাহমুদ, একটি মানবিক আবেদন[একজন মা’–আমরা মুক্তমনার পক্ষ থেকে প্রায় বারো দিন ব্যাপী ফান্ড রেইজিং শেষে আরিফের মায়ের চিকিৎসার জন্য ১৭২৫.০৩ $ USD সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছিলাম।

৩৪৯ The American Religious Identification Survey gave Non-Religious groups the largest gain in terms of absolute numbers- 14,300,000 (8.4% of the population) to 29,400,000 (14.1% of the population) for the period 1990 to 2001 in the USA.

 Also, in Australia, census data from the Australian Bureau of Statistics gives ‘no religion’ the largest gains in absolute numbers over the 15 years from 1991 to 2006, from 2,948,888 (18.2% of the population that answered the question) to 3,706,555 (21.0% of the population that answered the question).

৩৫০ Darwin’s Dangerous Idea : Conflict Between God & Theory of Evolution, MM Collection, ://www.mukto mona.com/Special_Event_/Darwin_day/god_darwin/index.htm

৩৫১ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, অভিজিৎ রায়, অঙ্কুর প্রকাশনী (২০০৫, পুনঃমুদ্রণ ২০০৬)।

৩৫২ www.mukto-mona.com এবং www.infidels.org ওয়েবসাইট দুটি দেখতে পারেন।

৩৫৩ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী (অঙ্কুর প্রকাশনী, ২০০৫)

৩৫৪ মূল বইয়ের সপ্তম অধ্যায় দেখুন।

৩৫৫ E.P. Tryon, ‘Is the Universe a Vacuum Fluctuation?’, Nature 246 (1973): 396-97.

৩৫৬ বিস্তারিত তথ্যের জন্য The Inflationary Universe : The Quest for a New Theory of Cosmic Origins, Alan H. Guth, Perseus Books Group (March 1, 1998) দেখুন।

 ৩৫৭ মীজান রহমান এবং অভিজিৎ রায়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব, শুদ্ধস্বর, ২০১৫ (প্রকাশিতব্য)।

৩৫৮ Self Reproducing Inflationary Universe, Andrei Linde, Scientific American, 1998

৩৫৯ অনন্ত মহাবিশ্বের সন্ধানে, অভিজিৎ রায়, দৈনিক সমকাল, ১৫ জুলাই ২০০৬

৩৬০ Endless Universe : Beyond the Big Bang– Rewriting Cosmic History by Paul J. Steinhardt and Neil, Broadway; Reprint edition (June 3, 2008)

.

যাদের কাছে ঋণী

প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে ব্যবহৃত মনীষীদের বেশ কয়েকটি উদ্ধৃতি সংগ্রহ এবং অনুবাদ করেছেন ধর্মকারী ওযেবসাইটের (www.dhormockery.com) সঞ্চালক। বিজ্ঞান লেখক বন্যা আহমেদ এ বইয়ের বিবর্তন অংশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পাঠ করে মতামত দিয়েছেন। পদার্থবিজ্ঞান অংশে কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী তানভীরুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আকণ্ঠ ঋণী করেছে আমাদের। বইয়ের অংশবিশেষ মুক্তমনা এবং ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের সময় বহু পাঠক তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়েছিলেন। সেই মতামত এবং পরামর্শগুলো গ্রন্থের মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ঋণী আমরা তাদের কাছেও। ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র মন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলা ব্লগগুলোর মুক্তমনা লেখকরা, যারা ধর্ম এবং ঈশ্বর-সংক্রান্ত প্রান্তিক প্রশ্নগুলো নিয়ে সাহসী লেখা লিখে চলছেন নিয়মিত, কখনো সেসব করতে গিয়ে হয়েছেন মৌলবাদীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু কিংবা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার, তাদের প্রতিও রইলো কৃতজ্ঞতা। চমৎকার এবং চিন্তা-জাগানিয়া একটি প্রচ্ছদ করে আমাদের অভিভূত করে দিয়েছেন সামিয়া হোসেন।

শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল বইটির প্রথম দুটো সংস্করণ প্রকাশ করে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। কিন্তু পাশাপাশি পাঠক মহলে বিশাল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বইটিকে দীর্ঘদিন ‘আউট অফ প্রিন্ট’ হিসেবে রেখে দেওয়ায় আমাদেরকে বেদনার্তও করেছেন। পুরোমাত্রায়। এই ক্রান্তি লগ্নে বইটির গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করে জাগৃতি প্রকাশনীর তরুণ প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন বইটির সমস্ত ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বইটি অতি দ্রুত প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন। এ কৃতিত্বটুকু তরুণ, উদ্যমী এবং সাহসী এ প্রকাশকের অবশ্যই প্রাপ্য। আমাদের যুক্তিবাদী আন্দোলনের পরিচিত মুখ এবং যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক অনন্ত বিজয় দাশ সময় নিয়ে বইটির প্রথম সংস্করণের প্রুফ রিডিং করেছিলেন। স্বল্প সময়ের মাঝে প্রথম সংস্করণের কাজ শেষ করায় বইটিতে থেকে গিযেছিল বেশ কিছু অনিচ্ছাকত ত্রুটি। সে সময় বেশ কিছু বানানপ্রমাদ চিহ্নিত করেছিলেন শাহরিয়ার মামুন রনি। তবে একটি পরিমার্জিত এবং সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণ সে সময় এসেছিল তরুণ লেখক এবং গবেষক অঞ্জন আচার্যের বদান্যতায়। আর, বইটির শেষ সংস্করণ প্রকাশের পর বইটি নিয়ে ব্লগে এবং ম্যাগাজিনে দুটো চমৎকার গ্রন্থ পর্যালোচনা করেছেন ব্লগার শফিউল জয় এবং ড. প্রদীপ দেব। পাশাপাশি কিছু ত্রুটি বিচ্যুতিরও উল্লেখ করেছিলেন তারা। অজানা অচেনা অনেক পাঠকদের কাছ থেকেও টুকিটাকি কিছু সংশোধনী এসেছে। আমরা আনন্দিত যে, সে সব ভুল ত্রুটি সংশোধন করে তৃতীয় সংস্করণ অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। বইটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা জড়িত ছিলেন সবার প্রতি রইলো আমাদের কৃতজ্ঞতা।

2 Comments
Collapse Comments
Md. Moklasur Rahman October 26, 2023 at 6:48 am

I am very interested to read about this type of free publicity about religion, philosophy and science. Help me as much as you can

You can find books and blogs of Avijit Roy and other writers like him on Muktomona.com. I think you knew it before, if not then you will find Muktomona as a great place for arguing-debating-sharing-learning. A place that changed my life forever.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *