১০. ডাকে মাদ্রাজ থেকে নাজমার চিঠি

ডাকে মাদ্রাজ থেকে নাজমার চিঠি এসেছে। সংক্ষিপ্ত চিঠি। নাজমা লিখেছে—

প্রিয় অন্তুর বাবা,

সুসংবাদ দিয়ে শুরু করছি। এখানকার ডাক্তাররা অন্তুর অসুখ প্রায় সারিয়ে ফেলেছেন এটা বলা যায়। তার পায়ের ফোলা, মুখের ফোলা কমেছে। একটা কিডনি ফিফটি পারসেন্ট কাজ করতে শুরু করেছে। গতকাল তাকে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্যে ঘুরতে বের হয়েছিলাম–সে ভূতের ভিডিও ক্যাসেট কিনবে এবং তোমাকে নিয়ে দেখবে। দোকানদারকে সে বেশ গুছানো ইংরেজিতে বলেছে— ভূতের ছবি দিন। তবে সেই ছবিতে মাকড়সা থাকলে চলবে না। আমার বাবা আবার মাকড়সা খুব বেশি ভয় পায়।

শুধু-যে ভূতের সিডি কেনা হয়েছে তা না, সে যাই দেখছে বলছে–বাবার জন্যে কিনব। তার যন্ত্রণায় এ পর্যন্ত তোমার জন্যে যেসব জিনিস কেনা হয়েছে তা হল–

একজোড়া স্পঞ্জের গাবদা স্যান্ডেল।
একটা লিটল মারমেইডের ছবি আঁকা তোয়ালে।
নীল রঙের নাইলনের ফিতা। এই ফিতাটা নাকি তোমার খুব কাজে লাগবে।

আচ্ছা শোন, কিছু কিছু মানুষকে তুমি কী জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ কর বল তো। তোমার কাছ থেকে আমাকে কৌশলটা শিখতে হবে। আমি পুত্র-কন্যা-স্বামী কাউকেই মুগ্ধ করতে পারিনি।

তোমার মায়ানগরের কাজ আশা করি খুব ভালো হচ্ছে। ঠিক সময়ে শেষ হবে? দিন তো ঘনিয়ে এল।

অন্তু তোমার একটা ছবি এঁকেছে। ছবিটা পাঠালাম–ওর এখন প্রধান কাজ হচ্ছে বাবার ছবি আঁকা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *