১০. কিকিরার ডাক পড়ল

১০.

কিকিরার ডাক পড়ল আগে।

শুদ্ধানন্দর সেই ভুতুড়ে ঘরে যাবার আগে কিকিরা চোখে-চোখে ইশারা করে গেলেন জগন্নাথকে। জগন্নাথ বুঝতে পারল। কিকিরা যেমন যেমন শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন সেইভাবেই সব করতে হবে জগন্নাথকে। চেষ্টা সে করবে, কিন্তু কতটা পারবে কে জানে! ভয়ের কিছু নেই। তারাপদ, চন্দনবাবু, জোয়ারদারসাহেব–সকলেই আশেপাশে আছে। ঝামেলা দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে।

সেই একই ঘর। কিকিরার শুধু মনে হল, আগের দিনের সঙ্গে আজ একটিমাত্র তফাত যেন রয়েছে। শুদ্ধানন্দ যেখানে বসেন, তাঁর সেই তন্ত্রমন্ত্রের আসনে–সেই মঞ্চমতন জায়গার ডান পাশে, ঘরের একেবারে কোণ ঘেঁষে একটা কিছু আছে। কাঠের খোপ মতন। কী আছে বোঝা যাচ্ছে না, তবে মনে হয় পাতলা কোনও পরদা ঝোলানো আছে। অন্ধকারে এতটা দূর থেকে কেমন করেই বা আর বেশি ঠাওর করা যায়!

আগের দিনের মতনই একফোঁটা লাল আলো জ্বলছিল একপাশে। জ্বলতে জ্বলতে নিভেও গেল, আবার জ্বলল, আবার নিভল। তারপর সেই পুজোর ঘণ্টা বাজতে লাগল। লাল আলোটা জ্বলল। শেষে শুদ্ধানন্দ দেখা দিলেন। অবিকল আগের মতনই, মন্ত্র আওড়াতে আওড়াতে–তে ভূতাঃ যে ভূতাঃ ভুবি সংস্থিতাঃ থেকে শুরু করে হ্রীং ক্রোং যং রং লং হৌং হঃ সঃ.ক্লীং রিং হিং পর্যন্ত টানা মন্ত্র।

বসলেন শুদ্ধানন্দ নিজের আসনে। দু পাশের ধুনোর পাত্রে কী যেন ছুঁড়ে দিলেন, দপ করে আগুনের শিখা জ্বলে উঠল। নিভে এল সামান্য পরে। লাল বাতিও আর জ্বলছিল না, তার বদলে অনেকটা তফাতে, আড়ালে রাখা ফিকে বেগুনি আলো, যা প্রায় কালো ছায়া ছড়িয়ে রেখেছে, আশেপাশে জ্বলতে লাগল।

শুদ্ধানন্দ আরও খানিকটা পরে কথা বললেন, “বিভুপদ?”

কিকিরা হাত জোড় করে বসে, ভয়-ভক্তি মেশানো গলায় বললেন, “মহারাজ!”

শুদ্ধানন্দ সামান্য অপেক্ষা করে বললেন, “পুরোপুরি হল না, বিভূপদ। তোমায় আগেই বলেছিলাম, তোমার বাবার আত্মা যে স্তরে আছেন, সেখান থেকে তাঁকে দু’-চারদিনের চেষ্টায় টেনে আনা মুশকিল।”

“হল না?” কিকিরা চশমাটা পালটে নিলেন সাবধানে।

 “তুমি দুঃখ কোরো না।…প্রেতসিদ্ধ কখনও ব্যর্থ হয় না। একাদশ তন্ত্রসাধনায় আমার সিদ্ধি, আমি তোমায় একেবারে হতাশ করব না।”

“সিদ্ধমহারাজ আপনিই আমার একমাত্র ভরসা।”

শুদ্ধানন্দ হাসলেন। প্রায় অট্টহাসি। বললেন, “তোমার ভাইরা উইল জাল করেছে। যে জাল করেছে তার বাম দেহাংশে বড় তিল আছে, হাঁটার সময় তার শরীর একপাশে ঝুঁকে যায়, দক্ষিণ নৈঋত দিকে বাস,…তার বাম শয়ন, ক্ষুধা ভয়ঙ্কর।

কিকিরা অদ্ভুত এক শব্দ করে যেন ফুঁপিয়ে উঠলেন। মহারাজ, আমার মেজোভাই, মায়াপদ। …হাঁ মহারাজ তার অনেক তিল আছে গায়ে, সে বেঁকে-বেঁকে হাঁটে। বাঁ দিকে কাত হয়ে শোয়, রাক্ষসের মতন তার খাওয়া-দাওয়া।”

“খুবই শঠ, চতুর…”

“ঠিকই মহারাজ।”

“তার জন্যে তোমায় ভাবতে হবে না। দুষ্কর্মের প্রতিফল তাকে পেতে হবে। কিন্তু বিভুপদ, আসল উইল কোথায় লুকনো আছে সেটা জানতে হলে যে সময় লাগবে। তোমার পিতৃদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ না-হওয়া পর্যন্ত…”

“আমি রাজি মহারাজ। দু-দশদিন দেরি হোক, আমার ক্ষতি নেই। আমি আমার কাজ সেরে আবার ফিরে আসব কলকাতায়।”

“খুবই ভাল হয়। এর মধ্যে তোমার জন্যে আমি একটি কবচ করে রাখব। সেকবচের কথা কেউ জানে না, হিঙ্গুলহরিতি কবচ।”

“আপনি যা আজ্ঞা করবেন।”

“ব্যয় একটু বেশি হবে বিভুপদ, আঠারোশো থেকে দু হাজারের মতন।”

“আপনি চিন্তা করবেন না।”

“ঠিক আছে। এক পক্ষ সময় লাগবে।”

“ক্ষতি কিসের মহারাজ!…আপনার জন্য আজ আমি একটা মোস্ত্র এনেছিলাম।”

“মোহর!…আচ্ছা! তুমি যেখানে বসে আছ, তার নিচে রেখে দাও।”

“আপনি নেবেন না?”

“নেব।” শুদ্ধানন্দ একটু হাসলেন, “এখন আমি পবিত্ৰাচারে রয়েছি। সাধনাসনে বসে আছি। আমায় কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। কাছে আসাও বারণ।”

“আমি কি তবে যাব?…মোহর রেখে যাই।”

“এসো।”

দু মুহূর্ত পরে কিকিরা বললেন, “যদি অপরাধ না নেন তো একটা কথা বলি?”

“বলো।”

“একটি ছেলেকে দেখলাম। অপেক্ষা করছে।”

“হ্যাঁ, ওর আসার কথা।”

“কিন্তু মহারাজ, ছেলেটি বোধ হয় মৃগী রোগী।”

“মৃগী রোগী!”

“আমার কেমন সন্দেহ হল। ওর চোখ-মুখ কেমন যেন দেখাচ্ছিল। ঠোঁটের পাশে ফেনা-ফেনা ভাব।”

“বলো কী বিভুপদ!”

“আজ্ঞে, ও কেন এসেছে আমি জানি না, কিন্তু ওকে যেমন দেখলাম–এখানে এসে বসলে তো মূর্ছা যাবে।”

শুদ্ধানন্দ কেমন চুপ করে গেলেন।

কিকিরা বললেন, “ওকে বরং আপনি ফেরত পাঠিয়ে দিন আজ। এখানে এসে বসে একটা কিছু যদি হয় আপনি কী করবেন?”

চুপ করে থেকে শুদ্ধানন্দ বললেন, “তাই তো বিভুপদ! ফেরত পাঠালে আবার কবে আসবে …ওর আবার জরুরি দরকার।”

“আপনি যদি আজ্ঞা করেন আমি একটা কাজ করতে পারি।”

“কী?”

“আমি যদি ওকে সঙ্গে নিয়ে আসি! ওর পাশে থাকি। তাতে একটু সাহস পাবে। তা ছাড়া মৃগীদের আমি সামলাতে পারি। আমার পরিবারের ওই রোগটি আছে।”

শুদ্ধানন্দ কিছু ভাবলেন। বললেন, “বেশ, নিয়ে এসো।

কিকিরা বললেন, “আজ্ঞে, তাতে কোনো অসুবিধে যদি হয়…”

“না, অসুবিধে কিসের! সাবধানের মার নেই।”

 কিকিরা উঠলেন।

.

জগন্নাথকে সঙ্গে নিয়ে কিকিরা এসে নিজেদের জায়গায় বসার সময় দেখা গেল, শুদ্ধানন্দ মন্ত্র আওড়াচ্ছেন।

মন্ত্র আওড়ানোর পর্বটা দীর্ঘ হল না এই যা রক্ষে।

 ক’ মুহূর্ত পরে শুদ্ধানন্দ বললেন, “কে? জগন্নাথ এসেছে?”

জগন্নাথ ঘরের চেহারা আর ভুতুড়ে অন্ধকার দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সাড়া দিতে পারল না।

শুদ্ধানন্দর মাথার পেছন দিকে ত্রিশুলের মাথায় গাঁথা মরা কাকের চারপাশে সেই জোনাকির মতন আলো জ্বলল, নিভল। তারপর ওই আলোয় বিন্দুই অন্যদিকের ত্রিশুলের ওপর রাখা মাথার খুলির চোখের কোটরে জ্বলে উঠল বার কয়েক। নিভে গেল।

কিকিরা জগন্নাথের হাত ধরে চাপ দিলেন। অর্থাৎ বোঝাতে চাইলেন-”ভয়। পেয়োনা, কথা বলো।

“জগন্নাথ না? কথা বলছ না কেন?” শুদ্ধানন্দর গলা। গম্ভীর।

“আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি জগন্নাথ।“

“অতুল দত্তর ছেলে?”

“হ্যাঁ।”

“মায়ের নাম সুরমা দত্ত।”

“আজ্ঞে।”

“এতদিন আসোনি কেন?” জগন্নাথ জবাব দিল না।

“তোমার মা যে কতবার আমার ষঃ চেতনায় এসে দেখা করে গেলেন! মায়ের জন্যে তোমার কষ্ট হয় না?”

“খুব হয়।”

“তা হলে আসোনি কেন?”

জগন্নাথ কথা বলল না।

“তোমার মা এই নশ্বর জগৎ ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর কায়া-শরীর আর নেই। কিন্তু উনি তো মা জননী। আমরা মা বলি কাকে? যিনি আমাদের জন্ম দেন তিনিই শুধু মা নন, যিনি মায়া, মমতা, প্রাণ দিয়ে আমাদের লালন করেন, পালন করেন, আমাদের দুঃখে-বিপদে ঘিরে রাখেন, তিনিই মা। মায়ের বড় কেউ নেই জগন্নাথ। সংসারে মা ভিন্ন আর কেউ উপাস্য নন।” শুদ্ধানন্দ একটু থামলেন। তাঁর গলার স্বরটি ভরাট গম্ভীর শোনাচ্ছিল। ক’ মুহূর্ত পরে বললেন, “তুমি তোমার মাকে ভুলে গেছ, তিনি তো ভোলেননি।”

“মাকে আমি ভুলিনি,” জগন্নাথ বলল।

 “তা হলে তুমি আছিলে না কেন?”

“আজ্ঞে, আমার নানান দুশ্চিন্তা, তার ওপর ঠিক বুঝতে পারছিলাম না–মায়ের সঙ্গে আপনার…”

শুদ্ধানন্দ হেসে উঠলেন। জোরে। হাসিটা গা ছমছমে।

“তোমার মাকে যদি এখানে দেখতে পাও, তাঁর গলা শুনতে পাও–কেমন লাগবে জগন্নাথ?”

জগন্নাথের গলা কাঠ, দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিহ্বল। ভয়ে কাঁপছিল।

 কিকিরা জগন্নাথের হাঁটুর কাছটায় খোঁচা মারলেন। নিশ্বাসের সুরে বললেন, “বলো, হ্যাঁ দেখতে চাই।”

জগন্নাথ চুপ।

 “দেখতে চাও না? শুদ্ধানন্দ বললেন, “মায়ের সূক্ষ্ম আত্মার রূপটি তুমি দেখতে চাও না? তাঁর গলা আর শুনতে চাও না?”

জগন্নাথ যেন হঠাৎ কেঁদে ফেলল, “চাই।”

“বেশ। আমি তোমায় দেখাব। তবে আত্মা রক্তমাংসের বস্তু নয়, তার স্পষ্ট। অবয়ব নেই। ছায়ার চেয়েও সূক্ষ্ম, অ-স্পর্শ যোগ্য। তুমি শুধু মাকে দেখবে। তাঁর কথাও শুনবে। মানুষ আর আত্মালোকের মধ্যে যে যোজন ব্যবধান, তাতে আত্মার আসা-যাওয়ার বড় কষ্ট হয়। সব সময় তাঁরা আসেন না। তুমি তাঁকে ধ্যান করো–তাঁর কথা একমনে ভাবো।” বলে শুদ্ধানন্দ মন্ত্রপাঠ শুরু করে দিলেন। ফ্রি হোঃ হ, ভূত প্রেত ইমা ক্রোং যং যে,ভূতাঃ ভবি..”

শুদ্ধানন্দর মন্ত্রপাঠের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘর ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে এল। যে ফিকে বেগুনি রঙের বাতিটা তফাতে জ্বলছিল সেই বাতি নিভে গেল ধীরে ধীরে। ঘরের ধোঁয়া আরও বুঝি ঘন হল।

কিছুক্ষণ পরে শুদ্ধানন্দ নীরব। ঘরে কোনো শব্দ নেই। অদ্ভুত স্তব্ধতা। হঠাৎ দেখা গেল, সরু, খুব সরু কিছু একটা অন্ধকারের মধ্যে শুদ্ধানন্দের সামনে দিয়ে ছুটে গেল। একবার, দুবার, তিনবার। ঘড়ির কাঁটার মতন সরু লম্বা এই জিনিসটা বার-তিনেক ছুটে যাবার পর শেষে এক জায়গায় গিয়ে স্থির হল। পরে মিলিয়ে গেল। শুদ্ধানন্দর গলা শোনা গেল।

“আপনি কি এসেছেন?”

শব্দ হল খটখট।

“আপনার অনেক কষ্ট। মার্জনা করবেন।…আপনি আপনার ছেলে জগন্নাথকে কিছু বলতে চেয়েছিলেন। সে এসেছে। আপনি কি তাকে দয়া করে দেখা দেবেন একবার?”

প্রথমে কোনো শব্দ নেই। তারপর খটখট শব্দ হল।

শুদ্ধানন্দ বললেন, “জগন্নাথ, তোমার মা এসেছেন। দেখা দেবেন। মাত্র কয়েক মুহূর্তই তুমি তাঁকে দেখবে। দূর থেকে। তাঁর কথা শুনবে। তোমার মাকে ডাকো, তাঁকে প্রণাম জানাও।”

ধীরে-ধীরে কখন–কিকিরার বসার জায়গার একেবারে ডান পাশে ঘড়ির কাঁটার মতন সরু একটু আলো যেখানে গিয়ে থেমে গিয়েছিল সেখানে অতি ক্ষীণ আলো যেন দেখা গেল। ক্রমশ একটি মুখের আদল ভেসে উঠতে লাগল। অতি অস্পষ্ট। সাদাটে। পুরো শরীর নয়, বুক পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল।

কিকিরা সবই লক্ষ করছিলেন। তাঁর অনুমান মোটামুটি ঠিক। শুদ্ধানন্দর বসার উঁচু জায়গাটির হাত ছয়-সাত তফাতে বাক্স ধরনের একটা কী রয়েছে। লম্বাভাবে দাঁড় করানো। হয়ত কাঠের ওয়ার্ডরোব। বোধ হয় পেছন দিকে কিছু নেই, শুধু মাথার দিক, পায়ের দিক, দু’পাশে তক্তা আছে। সামনের দিকে কালো মিহি প্রদা। পরদার পেছনে সাদা এক মুখ। কালের আড়ালে মুখটি সাদা নয় খানিকটা সাদাটে দেখাচ্ছে।

শুদ্ধানন্দ বললেন, “জগন্নাথ, তোমার মা এসেছেন।”

 জগন্নাথ ফুঁপিয়ে উঠল।

“কথা বলো! ওঁকে যেমন দেখছ, এইভাবেই তাঁকে দেখবে। সূক্ষ্ম আত্মার পক্ষে কায়ারূপ ধারণ সম্ভব নয়। কথা বলো?”

জগন্নাথ ফোঁপাতে-ফোঁপাতে বলল, “মা!”

সঙ্গে-সঙ্গে কোনো সাড়া নেই। সামান্য পরে ভাঙা অস্পষ্ট গলায় সাড়া এল।“জগু! কেমন আছ তুমি?”

“মা, আমরা বড় কষ্টে আছি।”

“বোন ভাল আছে?”

“আছে। তোমার জন্যে আমরা…”

“দুঃখ কোরো না, বাবা! মানুষের আয়ু! কে বলতে পারে কার কখন..”

“মা?”

“আমি এখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারব না। বড় কষ্ট হচ্ছে। …শোনো, বাড়িতে একটা চাবি আছে। লোহার সেফের চাবি। আর একটা ছেঁড়া কাগজ। এই দুটো নিয়ে তুমি মথুরবাবুর সঙ্গে দেখা করবে। তোমার বাবা যা রেখে গেছেন–বোনের বিয়ে দিতে পারবে রাজকন্যের মতন। তোমারও থাকবে বাবা…”

“কোথায় আছে মা চাবি?”

“ঘরেই আছে।”

মাকে আর দেখতে পেল না জগন্নাথ। আবার সেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিছুই চোখে পড়ে না।

শুদ্ধানন্দর গলা শোনা গেল।“তোমার মা চলে গিয়েছেন জগন্নাথ!”

“আর আসবেন না?”

“না।”

“আমি কী করব?”

“চাবি আর ছেঁড়া কাগজটা খুঁজবে। খুঁজে নিয়ে ওঁর কাছে যাবে–যাঁর কথা তোমার মা বললেন?”

“তাঁকে আমি চিনি না।”

“খুঁজে নিও। পেয়ে যাবে। ..এখন যাও, পরে এসো। আমার এই শরীর আর সহ্য করতে পারছে না। ওঁদের ডেকে আনতে আমার বড় কষ্ট হয়। তোমরা যাও।“

কিকিরা ঠেলা দিলেন জগন্নাথকে।