2 of 3

১০।২ দশম কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক

দ্বিতীয় অনুবাক
প্রথম
সূক্ত : সপত্নক্ষয়ণো বরণমণিঃ
[ঋষি :অথর্বা দেবতা : বরণমণি, বনস্পতি ছন্দ : অনুষ্টুপ, ত্রিষ্টুপ, পংক্তি, জগতী ]

অয়ং মে বরো মণিঃ সপত্নক্ষয়ণণা বৃষা। তেনা রভস্ব ত্বং শত্রু প্র মৃণীহি দূরস্যতঃ ॥১॥ প্রৈণাণীহি প্ৰ মৃণা রভম্ব মণিস্তে অস্তু পুরত্র পুরস্তাৎ। অবারয়ন্ত বরণেন দেবা অভ্যাচারমসুরাণাং শ্বঃশ্বঃ ॥ ২॥ অয়ং মণির্বরণে বিশ্বভেষজঃ সহস্রাক্ষো হরিততা হিরণ্যয়ঃ।। স তে শত্রুনধরা পায়াতি পূর্বস্তা দহি যে ত্বা দ্বিষন্তি ৷ ৩৷ অয়ং তে কৃত্যাং বিততাং পৌরুষেয়াদয়ং ভয়াৎ। অয়ং ত্বা সম্মাৎ পাপাদ বরণে বারয়িষ্যতে ॥৪॥ বরণে বারয়াতা অয়ং দেবো বনস্পতিঃ। যক্ষেমা যো অম্মিন্নাবিষ্টস্তমু দেবা অবীবর ॥৫॥ স্বপ্নং সুপ্তা যদি পশ্যাসি পাপং মৃগঃ সৃতিং যতি ধাবাদজুষ্টা। পরিক্ষবাচ্ছকুনেঃ পাপবাদাদয়ং মণির্বরণে বারয়িষ্যতে ॥৬॥ অরাত্যাস্তা নিঋত্যা অভিচারাদঘো ভয়াৎ। মৃত্যোরোজীয়সসা বধাদ, বরগণা বারয়িষ্যতে ॥৭॥ যন্মে মাতা যন্মে পিতা ভ্রাতরা যচ্চ মে স্বা যদেনশ্চমা বয়। ততো নো বারয়িষ্যতেয়ং দেবো বনস্পতিঃ ॥৮বরণেন প্ৰব্যথিতা ভ্রাতৃব্যা মে সবন্ধবঃ। অসূর্নং রজো অপ্যগুস্তে যধমং তমঃ ॥৯॥ অরিষ্টোহহমরিষ্টগুরায়ুম্মাৎসর্বপূরুষঃ। তং মায়ং বরলো মণিঃ পরি পাতু দিশোদিশঃ ॥১০৷৷ অয়ং মে বরণ উরসি রাজা দেবো বনস্পতিঃ। স মে শন্ বি বাধতামিন্দ্রো দনিবাসুরা৷ ১১। ইমং বিভর্মি বরণমায়ুম্মাচ্ছতশারদঃ। স মে রাষ্ট্রং চ ক্ষত্রং চ পশূনোজশ্চ মে দধৎ ॥১২। যথা বাতো বনস্পতী বৃক্ষান্ ভনক্ত্যোজসা। এবা সপত্নান্ মে ভন্ধি পূর্বান্ জাতা উতাপরা বরণাভি রক্ষতু ॥১৩৷ যথা বাতাগ্নিশ্চ বৃক্ষান্ তো বনস্পতীন। এবা সপত্নান্ মে গ্লাহি পূর্বান্ জাত উপরা বরণস্কাভি রক্ষতু ॥১৪৷৷ যথা বাতেন প্ৰক্ষীণা বৃক্ষাঃ শেরে ন্যর্পিতাঃ। এবা সপত্নাংস্তুং মন প্র ক্ষিণীহি ন্যপঁয় পূর্বান্ জাতা উপরান বরণাভি রক্ষতু ॥১৫৷৷ তাংস্তং চ্ছিধি বরণ পুরা দিষ্টাৎ পুরায়ুষঃ। য এনং পশুষু দিন্তি যে চাস্য রাষ্ট্রদিবঃ ॥১৬৷ যথা সূর্যো অভিভাতি যথাস্মিন তেজ আহিতম। এবা মে বরণো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুতু যশসা সমন মা। ১৭৷৷ যথা যশশ্চন্দ্ৰমস্যাদিত্যে চ নৃচক্ষসি। এবা মে বরো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুক্ষতু যশসা সমন মা। ১৮৷৷ যথা যশঃ পৃথিব্যাং যথাস্মিন্ জাতবেদসি এবা মে বরণে মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুক্ষতু যশসা সমন মা ॥১৯। যথা যশঃ কন্যায়াং যথাম্মিৎস্যুতে রথে। এবা মে বরো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুতু যশসা সমন মা। ২০। যথা যশঃ সোমপীথে মধুপর্কে যথা যশঃ। এবা মে বরো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুতু যশসা সমনকু মা ॥২১৷ যথা যশোহগ্নিহোত্রে বষটকারে যথা যশঃ। এবা মে বরণে মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুক্ষতু যশসা সমন মা। ২২। যথা যশো যজমানে যস্মিন্ যজ্ঞ আহিত। এবা মে বরো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা : মা সমুতু যশসা সমন মা ॥ ২৩৷৷ যথা যশঃ প্রজাপতৌ যথাম্মি পরমেষ্ঠিনি। এবা মে বরণো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুতু যশসা সমন মা ৷ ২৪৷৷ যথা দেবেম্বমৃতং যথেষু সত্যমাহিত। এবা মে বরণো মণিঃ কীর্তিং ভূতিং নি যচ্ছতু তেজসা মা সমুক্ষতু যশসা সমন মা ॥ ২৫

বঙ্গানুবাদ –বরণ (বা বরুণ) বৃক্ষের মণি শত্রুনাশক, ঈঙ্গিত ফলসমূহের রক্ষিকা, সর্বদুঃখের চিকিৎসিকা (অবসানকারিণী), শত্ৰুপতনকারিণী ও সহস্রাক্ষের (ইন্দ্রের) সমান পরাক্রমী; তুমি এই মণি ধারণ করো এবং শত্রুমর্দন করে। এটি ব্যাধি, পাপ-ভীতি, দুঃস্বপ্ন-ভীতি কুলক্ষণ (কাক ইত্যাদি পক্ষীসমূহের দ্বারা প্রাপ্ত দুর্লক্ষণ), শত্রু-ভীতি, অভিচার এবং মৃত্যুময় তথা মাতা-পিতার প্রতি অপরাধজনিত পাপ ইত্যাদি হতে তোমাকে রক্ষা করবে। আমার শত্রু এই মণির দ্বারা ব্যথিত হয়ে আছে, তারা ভীষণ অন্ধকারে পতিত হয়ে রয়েছে। আমি হিংসরহিত হয়ে (অর্থাৎ কারো দ্বারা হিংসিত না হয়ে) শান্তি প্রাপ্ত হয়ে আছি। আমি পুত্র, ভৃত্য ইত্যাদি সম্পন্ন আছি; আয়ুষ্মন হয়েছি। এই মণি সর্বত্র আমাকে রক্ষা করুক। এই মণি আমার হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এটি আমার শত্রুদের বাধক। এটি আমাতে সকল রক্ষাসাধনকে স্থাপনা করুক। আমি শতায়ু হওয়ায় এটিকে ধারণ করছি। বায়ু যেমন বৃক্ষকে উৎপাটিত করে, তেমনই এই মণি আমার সকল শত্রুকে উৎপাটিত করে দিক। যেমন অগ্নি নিকটে আগত হয়ে বৃক্ষসমূহকে ভস্ম করে, তেমনই এই মণি আমার শত্রুদের ভস্ম করে দিক। শুষ্ক বৃক্ষ যেমন ভূপতিত হয়, তেমনই আমার শত্রুগণ পতন লাভ করুক। …এই মণি আমাকে পৃথিবী, অগ্নি, চন্দ্র-সূর্য তুল্য যশ প্রদান করুক। যেমন মধুপর্কে যশ রয়েছে, তেমনই এই মণি আমাকে যশ প্রদান করুক। অগ্নিহোত্র ও বষট্‌কারে যেমন,যশ আছে, তেমনই যশ এই বরণমণি আমাকে প্রদান করুক। যেমন যশ প্রজাপতি ও পরমেষ্ঠীতে রয়েছে, যেমন যশ দেবতাগণের অমৃতে রয়েছে, তেমন এই মণি আমাতে যশ ও ভূতি তথা তেজ ও যশ প্রতিষ্ঠিত করুক।

 টীকা –উপযুক্ত সূক্তে বরণ (বরুণ নামক বৃক্ষের) মণির প্রভাব, শৌর্য, শত্রুক্ষয়ের সামর্থ্য, ধারণকারীর সর্বদুঃখবিনাশ ইত্যাদি বর্ণিত হয়েছে। সর্বকাম পূর্তির নিমিত্ত এই সূক্তমন্ত্রগুলির দ্বারা দধি ও মধু তিন রাত্রি বাসিত করে বরণমণি আভিমন্ত্রিত করে ধারণ করণীয়। কৌশিক সূত্র (৩/২) অনুসারে পরবর্তী অনুবাকের দ্বিতীয় সূক্তে উল্লেখিত সূক্তস্য বিনিয়োগঃ অনুসরণীয়। নক্ষত্র কল্পে (১৯) বলা হয়েছে– মহাশান্তৌ বরণমণিবন্ধনেপি এতৎ সূক্তং। অর্থাৎ মহাশান্তিকর্মে বরণমনি-বন্ধনেও এই সূক্তের বিনিয়োগ হয়ে থাকে। আবার, নক্ষত্র কল্পে (১৭) অভয়ং ভয়ার্তস্য কথাটি উল্লেখিত হওয়ায় এই সূক্তটি ভয়ার্তকে অভয়দানের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বিহিত হয়েছে ৷ (১০কা, ২অ. ১সূ.)।

.

দ্বিতীয় সূক্ত : সর্পবিষদূরীকরণম

 [ঋষি : গরুত্মান দেবতা : তক্ষক ছন্দ : পংক্তি, গায়ত্রী, বৃহতী, অনুষ্টুপ, ত্রিষ্টুপ]

ইন্দ্রস্য প্রথমোরথো দেবানামপরো রথো বরুণস্য তৃতীয় ইৎ। অহীনামপমা রথ স্থাণুমারদথার্ষ ॥ ১৷ দর্ভঃ শোচিস্তরূণকমশ্বস্য বারঃ পরুষস্য বারঃ। রথস্য বন্ধুর ॥ ২॥ অব শ্বেত পদা জহি পূর্বেণ চাপরেণ চ। উদপ্লুতমিব দাৰ্বহীনামরসং বিষং বারুগ্রম্ ॥ ৩ অরংঘুষো নিমজ্যোন্মজ্য পুনরব্রবীৎ। উদপুতনি দাৰ্বহীনামসং বিষং বারুগ্রম। ৪ পৈদ্বো হন্তি কর্ণীলং পৈদঃ শ্বিমুতাসিম। পৈদ্বো রথাঃ শিরঃ সং বিভেদ পৃদাকাঃ ॥ ৫৷৷ পৈদ্বো প্রেহি প্রথমোহনু বা বয়মেমসি। অহীন্ ব্যস্যতাৎ পথে যেন স্মা বয়মেমসি ॥ ৬৷৷ ইদং পৈদ্বো অজায়তেদমস্য পরায়ণ। ইমান্যবর্তঃ পদাহিয়ো বাজিনীবতঃ ॥৭॥ সংযতং ন বি স্পর ব্যাত্তং ন সং যমৎ। অস্মিন্ ক্ষেত্রে দ্বাবহী স্ত্রী চ পুমাংশ্চ তাবুভাবরসা ॥ ৮ আরসাস ইহাহয়ো যে অস্তি যে চ দূরকে। ঘনেন হন্মি বৃশ্চিকমহিং দন্ডেনাগতম। ৯৷৷ অঘাস্যেদং ভেষজমুভয়োঃ স্বজস্য চ। ইন্দ্রো মেহহিমঘায়ন্তমহিং পৈদ্বো অরন্ধয়ৎ ॥ ১০৷ পৈদ্বস্য মন্মহে বয়ং স্থিরস্য স্থিরধাঃ। ইমে পশ্চা পৃদাকবঃ প্রদীধ্যত আসতে ॥ ১১৷৷ নষ্টাসবো নষ্টবিষ হতা ইন্দ্রেণ বত্রিণা। জঘানেল্লো জঘিমা বয়ম্ ॥ ১২৷৷ হতাস্তিরশ্চিরাজয়ো নিপিষ্টাসঃ পৃদাকবঃ। দর্বিং করিতং খিত্রং দর্ভেম্ববিতং জহি ॥ ১৩৷৷ কৈরাতিকা কুমারকিা সকা খনতি ভেষজম হিরণ্যয়ীভিরদ্রিভিৰ্গিরীণামুপ সানুষু। ১৪। আয়মগন্ যুবা ভিষক পৃশ্নিহাপরাজিতঃ। স বৈ স্বজস্য জন উভযোবৃশ্চিকস্য চ ॥ ১৫৷ ইন্দ্রো মেহহিমরন্ধয়ন্মিত্ৰশ্চ বরুণশ্চ। বাতাপর্জন্যোভা ॥ ১৬৷৷ ইন্দ্রো মেহহিমরন্ধয়ৎ পৃদাকুং চ পৃদাম। স্বজং তিরশ্চিরাজিং কসর্ণালং দশোনসিম্ ॥ ১৭, ইন্দ্রো জঘান প্রথমং জনিতারমহে তব। তেষামু তৃহ্যমাণানাং কঃ স্বিৎ তেষামসদ রসঃ ॥১৮ সং হি শীর্ষাণ্যগ্রভং পৌঞ্জিষ্ঠ ইব কর্বরম। সিন্ধোমধ্যং পরেত্য ব্যনিজমহের্বিষম৷ ১৯। অহীনাং সর্বেষাং বিষং পরা বহন্তু সিন্ধবঃ হতাস্তিরশ্চিরাজয়ো নিপিষ্টাসঃ পৃদাকবঃ ॥ ২০ ওষধীনামহং বৃণ উর্বরীরিব সাধুয়া। নয়াম্যবতীরিবাহে নিরৈতু তে বিষম্ ॥ ২১৷৷ যদগ্নেী সূর্যে বিষং পৃথিব্যামোষধীষু যৎ। কান্দাবিষং কনককং নিরৈতৃতু তে বিষম৷ ২২৷৷ যে অগ্নিজা ওষধিজা অহীনাং-যে অসুজা বিদজৎ আবভূবুঃ। যেষাং জাতানি বহুধা মহান্তি তেভ্যঃ সর্পেভ্যা নমসা বিধেম ॥ ২৩৷৷ তৌদী নামাসি কন্যা ঘৃতাচী নাম বা অসি। অধম্পদেন তে পদমা দদে বিষদূষণম্ ॥ ২৪। অঙ্গাঙ্গাৎ প্র চ্যায় হৃদয়ং পরি বর্জয়। অধা বিষস্য যৎ তেজোহবাচীনং তদেতু তে॥ ২৫৷ আরে অভুদ বিষমরৌদ বিষে বিষমপ্রাগপি। অগ্নির্বিষমহের্নিরধাৎ সোমো নিরণয়ীৎ। দংষ্টারমন্থগাদ বিষমহিরমৃত ॥ ২৬।

 বঙ্গানুবাদ –ইন্দ্রের প্রথম, দেবতাগণের দ্বিতীয়, বরুণের তৃতীয় এবং সর্পগণের অপমা নামক রথ আছে। এই দর্ভ (ঔষধি) সর্পগণের শোকপ্রদ, এবং তরূণক, অশ্ব, পরুষ নামক সর্পের বিষকে নিবারণশালী। হে দর্ভ! তুমি শ্রেষ্ঠ; তুমি শ্বেত, কৃষ্ণ এবং অন্য সর্পসমূহের নাশক। তুমি এইস্থানে আগত হও এবং যে মার্গে আমরা গমনাগমন করি, সেই পথ সর্পরহিত করে দাও। আমাদের দংশনের নিমিত্ত সর্পের মুখ যেন উন্মোচিত হতে না পারে। এই ক্ষেত্রের নর ও স্ত্রীজাতীয়–দুই রকম সর্প নষ্ট হোক। নিকটস্থ; দূরস্থ, সকল সর্প বিষহীন হয়ে যাক। আমি মুরাঘাতে বৃশ্চিকগণকে দলিত করছি। এই সর্পগুলির বিষকে বজ্রধারী ইন্দ্র নষ্ট করে দিয়েছেন। ইন্দ্রের দ্বারা প্রহৃত (বা নিহত) সর্পগুলিকেই আমরা প্রহার করছি। মন্ত্রশক্তির দ্বারা তির্যক, তিরশ্চরাজ, শ্বেত ও কৃষ্ণবর্ণের সর্পকে কুশের (দর্ভের ) উপর স্থাপন করে বিনাশ করছি। এই যুবা বৈদ্য বৃশ্চিক ও সর্পের বিষকে নষ্ট-করণে সমর্থ। এঁর মধ্যে মন্ত্রশক্তি ব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে। আমি আপন সৎ-বুদ্ধির দ্বারা উবা ঔষধিগুলিকে বরণ পূর্বক সেগুলিকে বেগের সাথে প্রেরণ করছি; তাতেই সর্প তোমার (সর্পদষ্ট ব্যক্তির) বিষ দূর হয়ে যাক। সূর্য, অগ্নি, পৃথিবী ও ঔষধিসমূহে যে বিষ আছে, তা পূর্ণভাবে দূরে যাক। হে তৌদি ও ঘৃতাচী নামশালিনী ঔষধি! আমি বিষকে নির্বীর্য করণশালী অঙ্গকে গ্রহণ করছি। হে রোগী! তোমার উপর বিষের প্রভাব নষ্ট হয়ে যাক। অগ্নি ও সোম সর্পবিষকে দূর করে দিয়েছেন। এই বিষ দংশনকারী সর্পেরই প্রাপ্য হোক!

সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অস্মিন সূক্তে নানাসপান্তেষাং চ বিষানি তত্তপ্রতীকারাশ্চ কবিবাগ্বিষয়ঃ। সর্পবিষভৈষজ্যে চ মন্ত্রাঃ। বিষভৈষজ্যে কর্মণি ইন্দ্রস্য প্রথমঃ ইত্যর্থসূক্তস্য ব্রাহ্মণো জজ্ঞে ইতি (৪/৬) সূক্তবৎ বিনিয়োগগাবগন্তব্যঃ।…ইত্যাদি। (১০কা, ২অ. ২সূ.)। টীকা –উপযুক্ত সূক্তটিতে নানা রকম সর্প ও তাদের বিষের প্রতিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই মন্ত্রগুলির সব কটিই সর্পবিষের ভৈষজ্যে বিনিয়োগ হয়। এই সূক্তের বিশেষ বিনিয়োগগুলি চতুর্থ কাণ্ডের দ্বিতীয় অনুবাকের প্রথম সূক্তে দেওয়া হয়েছে। এই কর্মে এই সূক্তের দ্বারা অভিমন্ত্রিত কুশ-তৃণ পিষ্ট করে দক্ষিণ অঙ্গুষ্ঠের দ্বারা রোগীর দক্ষিণ নাসাপুটে নস্য প্রদান করণীয়।…ইত্যাদি। (১০কা, ২অ, ২সূ.)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *