০৯. রচনাপঞ্জি পরিচিতি
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জীবদ্দশায় সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। সবগুলিই কবিতাগ্রন্থ। গ্রন্থগুলির প্রথম প্রকাশের বিবরণ কবির নিজস্ব বানানে তুলে ধরা হলো :
১. উপদ্রুত উপকূল ॥ প্রকাশ : ফালগুন ১৩৮৫, ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। প্রকাশক : আহমদ ছফা, বুক সোসাইটি, ৩৮ বাংলাবাজার, ঢাকা। মুদ্রন : মডার্ন টাইপ ফাউন্ডার্স, প্রিন্টার্স এন্ড পাবলিশার্স লি. ২৪৪ নবাবপুর রোড, ঢাকা ১। গ্রন্থস্বত্ব : বিথীকা শারমিন। প্রচ্ছদ : কাজী হাসান হাবীব। আলোকচিত্র : শামসুল ইসলাম আলমাজী। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৬৪। মূল্য : পাঁচ টাকা। উৎসর্গপত্র :
থামাও, থামাও এই মর্মঘাতী করুন বিনাশ
এই ঘোর অপচয় রোধ করো হত্যার প্লাবন
শিরাজ শিকদার
শেখ মুজিবুর রহমান
আবু তাহের
কবি-রচিত ভূমিকা :
গ্রন্থে কিছু শব্দের বানানে পরিবর্তন চোখে পড়বে। ধ্বনিকে মূল ভিত্তি ধরে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। আর ইংরেজি ফুলস্টপের মতো নোতুন যে যতিচিহ্নের ব্যবহার করেছি–সেটি অর্ধ-কমা। এ-সবের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার।
আমার অসন্তুষ্ট পিতা, সদা-শংকিত জননী, যার বুকে লালিত হয়েছি সেই মা, বিক্ষুব্ধ আত্মীয়বৃন্দ, অপরিচিত অনুরাগী, শুভাকাংখি, স্বজন, বিশ্বাসঘাতক প্রেমিকাগণ (একজন ছাড়া), বন্ধু, শত্রু, পাঠক এবং উপদ্রুত উপকূলের আটকোটি মানুষ–সবার জন্যে আমার শুভেচ্ছা।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২১. সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. অভিমানের খেয়া ২. আজীবন জন্মের ঘ্রাণে ৩. বাতাসে লাশের গন্ধ ৪. আধখানা বেলা ৫. মুখরিত মর্মমূল ৬. বিমানবালা ৭. নষ্ট অন্ধকারে ৮. স্মৃতি বন্টন ৯. ইচ্ছের দরোজায় ১০. শব্দ-শ্রমিক ১১, এ কেমন ভ্রান্তি আমার ১২, মাংশভুক পাখি ১৩. আমি সেই অভিমান ১৪. বিশ্বাসে বিষের বকুল ১৫. অমলিন পরিচয় ১৬. শ্যামল পালক ১৭. মাতালের মধ্যরাত্রি ১৮ প্রিয় দংশন বিষ ১৯. বাকা ব্যবধান ২০. অপর বেলায় ২১. মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল ২২, প্রজ্জ্বলন্ত লোকালয় ২৩. পাজরে পুষ্পের ঘ্রাণ ২৪. পথের পৃথিবী ২৫, স্বজনের শুভ্র হাড় ২৬. পরাজিত নই পলাতক নই ২৭. কার্পাশ মেঘের ছায়া ২৮. পশ্চাতে হলুদ বাড়ি ২৯. পঞ্চাশ লালবাগ ৩০. নিবেদিত বকুল-বেদনা ৩১. নিরাপদ দেশলাই ৩২. অপরূপ ধংশ ৩৩, সভ্যতার সরঞ্জাম ৩৪. অবরোধ চারিদিকে ৩৫. প্রথম পথিক ৩৬. ফসলের কাফন ৩৭. অনন্ত স্বভাব ৩৮. প্রত্যাশার প্রতিশ্রুতি ৩৯. জানালায় জেগে আছি ৪০. অশোভন তনু ৪১. শ্যামলিম নির্বাসন ৪২ গোপন ইঁদুর ৪৩. বিষবৃক্ষ ‘ভালোবাসা ৪৪. ধাবমান ট্রেনের গল্প ৪৫. বিশ্বাসী বৃক্ষের ছায়া ৪৬. ফুলের কৃপক্ষ ৪৭. অনিদ্রার শোকচিহ্ন ৪৮, ফাঁসির মঞ্চ থেকে ৪৯, হে আমার বিষণ্ণ-সুন্দর ৫০, নক্ষত্রের ধুলো ৫১. কৃষ্ণপক্ষে ফেরা ৫২. দুর্বিনীত জলের সাহস ৫৩. করাঘাত ৫৪. পৃথিবীর প্রৌঢ়স্তন ৫৫. ক্লান্ত ইতিহাস ৫৬, বিশ্বাসের হাতিয়ার ৫৭. নিশব্দ থামাও ৫৮, বেলা যায় বোধিদ্রুমে।
২. ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম৷৷ প্রকাশ : ফাল্গুন ১৩৮৭, ফেব্রুয়ারি ১৯৮১। প্রকাশক : দ্রাবিড় প্রকাশনী, ১১/১ উত্তর বাসাবো, ঢাকা। মুদ্রন : আনন্দ, ১৯/১ আই, শেখ সাহেব বাজার ঢাকা। গ্রন্থস্বত্ব : লীমা নাসরীন। প্রচ্ছদ : কালিদাস কর্মকার ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। আলোকচিত্র : মোহাম্মদ আলী মিনার। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৪৬। মূল্য : পাঁচ টাকা। উৎসর্গপত্র :
বিশ্বাসের তাতে আজ আবার বুনতে চাই
জীবনের দগ্ধ মসলিন
কবি-রচিত ভূমিকা :
স্বর্নগ্রাম কোনো গ্রাম নয়। স্বর্নগ্রাম হচ্ছে আমাদের ইতিহাস, জাতিসত্তা আর প্রেরনাময় ঐতিহ্যের প্রতীক। স্বর্নগ্রাম বাঙালির আত্মার নাম, রক্তের নাম। বৃক্ষের বিকাশের জন্যে যেমন মাটিতে শিকড় বিস্তার করা প্রয়োজন, একটি জাতির বিকাশের জন্যেও তেমনি প্রয়োজন তার-মাটিতে তার-ইতিহাসে সাহিত্যে, শিল্পে, দর্শনে, বিজ্ঞানে, তার প্রেরনাময় ঐতিহ্যে শিকড় বিস্তার করা। আর সে কারনেই এই আত্মানুসন্ধান, এই স্বরূপ অন্বেষন।
বানানের ব্যাপারে আমার আগের চিন্তা ভাবনা এই বইতেও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তবে দুটি ন-এর পরিবর্তে এই গ্রন্থে শুধু দন্ত্য ন ব্যবহার করেছি। সবাইকে শুভেচ্ছা।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১১/১ উত্তর বাসাবো ঢাকা
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. হাড়েরও ঘরখানি ২. পৌরানিক চার্য ৩. কাঁচের গেলাশে উপচানো মদ ৪. হারাই। হরিনপুর ৫. অকর্ষিত হিয়া ৬. পরিচয় ৭. ও মন আমি আর পারি না ৮. একজোড়া অন্ধ আঁখি ৯. পরাজিত, প্রেম ১০. দুটি চোখ মনে আছে ১১. ও পরবাসীয়া ১২. বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা ১৩. নিখুিলের অনন্ত অঙ্গন ১৪. মনে করো তাম্রলিপ্তি ১৫. পক্ষপাত ১৬. পুড়িয়ে দেবো নীল কারুকাজ ১৭. মুখোমুখি দাঁড়াবার দিন ১৮. হাউসের তালা ১৯. গহিন গাঙের জল ২০. চাষারা ঘুমায়ে আছে ২১. তামাটে রাখাল ২২. খামার ২৩. বৈশাখি ছেনাল রোদ ২৪. সাত পুরুষের ভাঙা নৌকো ২৫. রাস্তার কবিতা ২৬. স্বপ্ন জাগানিয়া ২৭. হারানো আঙুল।
মানুষের মানচিত্র প্রকাশ : এপ্রিল ১৯৮৪। প্রকাশক : সৈয়দ রাজা হুসাইন, সব্যসাচী, ১ গেবিন্দ দত্ত লেন, লক্ষীবাজার ঢাকা ১। মুদ্রন : শামীম প্রিন্টিং ওয়ার্কস, ১২ ফোল্ডার স্ট্রিট, ঢাকা ৩। গ্রন্থস্বত্ব : মুহম্মদ সাইফুল্লাহ। প্রচ্ছদ : এস এম সুলতানের তৈলচিত্র ফার্স্ট প্লান্টেশন অবলম্বনে মোশতাক দাউদী। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৪+৩২। মূল্য : পনের টাকা। উৎসর্গপত্র :
কেউ কি বেহুলা নেই হাড়ের খোয়াব নিয়ে বৈরী জলে ভাসে?
বইটির শুরুতে অর্থাৎ নামপত্রের আগের পৃষ্ঠায় কবি ও কবিতাগুলো সম্পর্কে একটি পরিচিতি ছাপা হয়েছে। সেটি উল্লেখ করা হল :
মানুষের মানচিত্র
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
বাংলাদেশের কবিতায় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ এখন একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। মুক্তি আন্দোলনে তারুণ্যের প্রিয় নাম। প্রথম কাব্যগ্রন্থ থেকেই তিনি মানুষের অগ্রযাত্রার সংগ্রামে অঙ্গীকারবদ্ধ। তার কবিতার অন্তর-বিষয় নির্মিত হয়েছে স্বদেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং মানুষের জীবন ও মানস-চিন্তার উপকরনে। সভ্যতার অগ্রযাত্রার এই পর্যায়ে মানুষ শৃংখলিত হয়েছে তার স্বরচিত কারাগারে। কিন্তু মানুষ কখনোই তার নিয়তিকে প্রতিরোধহীন মেনে নেয়নি। নির্মান এবং বিনাশ মানুষের একান্ত প্রবনতা। ‘মানুষের মানচিত্রে সেই শৃংখল, সেই কারাগার, সেই অন্ধকারের উন্মোচন ঘটেছে। ভাযার সাবলীল অন্তরঙ্গতা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ-র কবিতাকে করেছে অনায়াসবোধ্য। অবাধে এই কবিতার সড়কে-গলিতে বিচরন সম্ভব। উপদ্রুত উপকূল এবং ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’-এর ধারাবাহিকতা ‘মানুষের মানচিত্রে’ স্মরনীয় প্রকাশ লাভ করেছে।
কবি-রচিত ভূমিকা :
স্বীকারোক্তি
পৃথিবীতে তখনো মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি। ভূমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো। তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান। অরন্য আর মরুভূমির, সমুদ্র আর পাহাড়ের ভাষা তখন আমরা জানি। জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে আমরা সে-ভাষা শিখেছি। আমরা ভূমিকে কর্ষন কোরে শস্য জন্মাতে শিখেছি। আমার বিশল্যকরনীর চিকিৎসা জানি। আমরা শীত আর উত্তাপে সহনশীল ত্বক তৈরি করেছি আমাদের শরীরে। আমরা তখন সোমরস, নৃত্য আর শরীরের পবিত্র উৎসব শিখেছি।
আমাদের নারীরা জমিনে শস্য ফলায় আর আমাদের পুরুষেরা শিকার করে ঘাই হরিন, সীল, খরগোশ। আমরা সবাই মিলে খাই আর পান করি। জ্বলন্ত আগুনকে ঘিরে সবাই আমরা নাচি আর প্রশংসা করি পৃথিবীর। আমরা আমাদের বিস্ময় আর সুন্দরগুলোকে বন্দনা করি। পৃথিবীর পূনিমা রাতে ঝলোমলো জোস্নায়, পৃথিবীর নারী আর পুরুষেরা সবুজ পাহাড়ের অরন্যে এসে শরীরের উৎসব করে। তখন কী গৌরবময় আমাদের মৃত্যু!
তারপর… ভারি জিনিশ টানার জন্যে যে চাকা তৈরি করেছিলাম তাকে ব্যবহার করলাম আমরা আমাদের পায়ের পেশীদের আরাম দেবার জন্যে। আমরা আমাদের চোখকে সুদূরপ্রসারিত করার জন্যে দূরবীন আর সুক্ষ নিরীক্ষনের জন্যে অনুবীক্ষন তৈরি করলাম। নিসর্গ-হত্যায় মেতে উঠলো আমাদের যন্ত্রের শানিত পাঁত। আমাদের মস্তিষ্ককে আরো নিখুঁত এবং ব্যাপক করার জন্যে আমরা তৈরি করলাম কম্পিউটার।
একটার পর একটা খাঁচা নির্মান করেছি আমরা। আবার সেখাঁচা ভেঙে নোতুন খাঁচা বানিয়েছি। আবার খাঁচা ভেঙেছি–আবার খাঁচা বানিয়েছি। খাঁচার পর খাঁচায় আটকা পড়তে পড়তে, খাঁচার আঘাতে ভাঙতে ভাঙতে, টুকরো টুকরো হয়ে আজ আমরা একা হয়ে গেছি। প্রত্যেক একা হয়ে গেছি। কী ভয়ংকর এই একাকিত্ব! কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা!! কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা!!!
এই নিখিলের এই সৌরমন্ডলের এই পৃথিবীর এই একভাগ স্থলের এই এশিয়ার এই ভারতের এই বাংলার এই বাংলাদেশের কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে যে শিশুর জন্ম। যার শৈশব আর কৈশোর দক্ষিন সমুদ্রের নোনা বাতাস আর মোংলানদীর ঘোলা জলে ধোয়া। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে ছুটে বেড়ানোর অদম্য স্বপ্ন যে কিশোরের। যার শৈশব কেটেছে গ্রামে। একেবারে গ্রামে। অথচ অনাহারে নয়, শীত-কষ্টে নয় বরং খাদ্য ও অর্থের উপর খানিক অশ্রদ্ধা নিয়ে। যার কৈশোর অনাহারি বন্ধুদের খিদের কষ্ট দেখেও তাদের খেতে দিতে না-পারায় কেটেছে। যে তার পিতার সচ্ছলতা আর মাতার সম্পদের আস্থা ও নিরাপত্তায় বেড়ে উঠেছে। যে-তার পিতামাতার পারিবারিক মর্যাদার লড়াইয়ে বিধ্বস্ত দাম্পত্যের বিদ্বেষ আর অবহেলা আক্রান্ত। জোস্না যাকে প্লাবিত করে। বনভূমি যাকে দুর্বিনীত করে। নদীর জোয়ার যাকে ডাকে নেশার ডাকের মতো। যার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ঔপনিবেশিক অত্যাচারী ইংরেজের তৈরি শিক্ষাপদ্ধতি। গোলাম বানানোর যন্ত্র। যার উপর প্রয়োগ করা হয়েছে এক হৃদয়হীন আচারের ধর্ম। ধর্ম নয়, ধর্মের পোষাক। যে তরুন উনসত্তুরের আন্দোলনে ছিলো। যে প্রচন্ড ইচ্ছার পরও অস্ত্র-হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে পারেনি। যে তরুনের বিশ্বাস-স্বপ্ন-সাধ স্বাধীনতা-উত্তরকালে ভেঙে খান খান হয়েছে। অন্তরে রক্তাক্ত যে তরুন নিরুপায় দেখেছে নৈরাজ্য, প্রতারনা আর নির্মমতাকে। বিশাল জলোচ্ছ্বাস আর দুর্ভিক্ষ যার নিভৃত স্বপ্নগুলো দুমড়ে-মুচড়ে তছনছ করেছে। যে যুবক দেখেছে এই সবকিছুর ভেতরেও একটি প্রচন্ড আগুন। এক বেগবান অনল-প্রবাহ। দেখেছে পবিত্র বিশ্বাস আর ভালোবাসার স্রোতকে বিপথগামী করতে।
যে যুবক মিছিলে নেমেছে। বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে। আকণ্ঠ মদের নেশায় চুর হয়ে থেকেছে। অনাহারে উড়নচন্ডি ঘুরেছে। ভয়ানক অনিশ্চয়তা আর বাজির মুখে ছুঁড়ে দিয়েছে নিজেকে। যে পুরুষ এক শ্যামল নারীর সাথে জীবন বিনিময় করেছে। যে পুরুষ ক্ষুধা, মৃত্যু আর বেদনার কবিতা লিখছে এখনো। লিখছে বিক্ষোভ আর স্বপ্নের কবিতা–সে আমি।
আমি একা। এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা। আমার অন্তর রক্তাক্ত। আমার মস্তিষ্ক জর্জরিত। আমার শরীর লাবন্যহীন। আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রিত। আমার জিভ কাটা। তবু নোতুন পৃথিবীর স্বপ্ন আমাকে কাতর করে। আমাকে তাড়ায়…
আমাদের কৃষকেরা শূন্য পাকস্থলি আর বুকে ক্ষয়কাশ নিয়ে মাঠে যায়। আমাদের নারীরা ক্ষুধায় পীড়িত। হাড্ডিসার। লাবন্যহীন। আমাদের শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যহীন। আমাদের শিশুরা অপুষ্ট, বীভৎস-করুন। আমাদের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা, অকালমৃত্যু আর দীর্ঘশ্বাসের সমুদ্রে ডুবে আছে। পৃথিবীর যুদ্ধবাজ লোকদের জটিল পরিচালনায়, ষড়যন্ত্রে আর নির্মমতায় আমরা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা আর চরম অসহায়ত্বের আবর্তে আটকা পড়েছি। কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা! কী বীভৎস এই ভালোবাসাহীনতা!! কী নির্মম এই স্বপ্নহীনতা!!!
আজ আমরা আবার সেই বিশ্বাস আর আনন্দকে খুঁজে পেতে চাই। আজ আমরা আবার সেই সাহস আর সরলতাকে ফিরে পেতে চাই। আজ আমরা আবার সেই শ্রম আর উৎসবকে ফিরে পেতে চাই। আজ আমরা আবার সেই ভালোবাসা আর প্রশান্তিকে কাছে পেতে চাই। আজ আমরা আবার সেই কান্নাহীন আর দীর্ঘশ্বাসহীন জীবনের কাছে যেতে চাই। আজ আমরা আবার সেই স্বাস্থ্য আর শরীরের লাবন্যকে ফিরে পেতে চাই। আজ আমার শোষন আর শঠতা, অকালমৃত্যু আর ক্ষুধার হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই।
আমাদের সমৃদ্ধ এই বিজ্ঞান নিয়ে। আমাদের অভিজ্ঞতাময় এই শিল্পসম্ভার নিয়ে। আমাদের দূরলক্ষ্য আর সূক্ষুবীক্ষন নিয়ে। আমাদের দ্বন্দ্বময় বেগবান দর্শন নিয়ে আমরা ফিরে যাবো। আমাদের বিশ্বাসের পৃথিবীতে। আমাদের সমতার পৃথিবীতে। আমাদের শ্রম, উৎসব, আনন্দ আর প্রশান্তির পৃথিবীতে।
পরমানুর সঠিক ব্যবহার আমাদের শস্যের উৎপাদন প্রয়োজনতুল্য কোরে তুলবে। আমাদের কারখানাগুলো কখনোই হত্যার অস্ত্র তৈরি করবে না। আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞান নিরোগ করবে পৃথিবীকে। আমাদের মর্যাদার ভিত্তি হবে মেধা, সাহস আর শ্রম। আমাদের পুরুষেরা সুলতানের ছবির পুরুষদের মতো স্বাস্থ্যবান, কর্মঠ আর প্রচন্ড পৌরুষদীপ্ত হবে। আমাদের নারীরা হবে শ্রমবতী, লক্ষ্মীমন্ত আর লাবন্যময়ী।
আমাদের শিশুরা হবে পৃথিবীর সুন্দরতম সম্পদ। আমরা শস্য আর স্বাস্থ্যের, সুন্দর আর গৌরবের কবিতা লিখবো। আমরা গান গাইবো আমাদের বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা কোরে। আমরা উৎসব করবো শস্যের। আমরা উৎসব করবো পূর্নিমার। আমরা উৎসব করবো গৌরবময় মৃত্যু আর বেগবান জীবনের।
কিন্তু এই স্বপ্নের জীবনে যাবার পথ আটকে আছে সামান্য কিছু মানুষ। অস্ত্র আর সেনা-ছউনিগুলো তাদের দখলে। সমাজ পরিচালনার নামে তারা এক ভয়ংকর কারাগার তৈরি করেছে। তারা বস্ত্রহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দি করেছে। তারা চিকিৎসাহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দি করেছে। তারা জুলুম দিয়ে আমাদের বন্দি করেছে, বুলেট দিয়ে বন্দি করেছে।
তারা সবচে’ কম শ্রম দেয় আর সবচে বেশি সম্পদ ভোগ করে। তারা সবচে’ ভালো খাদ্যগুলো খায় আর সবচে’ দামি পোষাকগুলো পরে। তাদের পুরুষদের শরীর মেদে আবৃত। কদাকার। তাদের মুখ লাবন্যহীন চর্বিতে ঢাকা। তাদের মেয়েদের মুখের ত্বক দ্যাখা যায় না। প্রসাধনে আবৃত। তাদের মেয়েরা আলস্য আর কর্মহীনতায় কাতর। পঙ্গু। তাদের ঈর্ষা কুটিলতাময়। কুৎসিত। তাদের হিংসা পর্বতপ্রমান। তাদের নির্মমতা ক্ষমাহীন। তাদের জুলুম অশ্রুতপূর্ব।
তারা আমাদের জিভ কেটে নিতে চায়। তারা আমাদের মেধাকে বিকৃত করতে চায়। তারা আমাদের পেশীগুলোকে অকেজো কোরে দিতে চায়। আমাদের সন্তানদেরও তারা চায় গোলাম বানাতে।
একদা অরন্যে যেভাবে অতিকায় বন্যপ্রানী হত্যা কোরে আমরা অরন্য-জীবনের শান্তি ফিরিয়ে এনেছি, আজ এইসব কদাকার অতিকায় বন্য মানুষগুলো নিমূল কোরে আমরা আবার সমতার পৃথিবী বানাবো। সম্পদ আর আনন্দের পৃথিবী বানাবো। প্রশান্তির পৃথিবী বানাবো।
‘মানুষের মানচিত্র’ আমাদের নির্যাতিত জীবনের কিছু প্রমান। আমাদের সমাজে সবচে’ কম সুবিধা যারা ভোগ করে। একবেলা পেট ভরে খেতে পারাটাই যাদের বিলাসিতা। বিত্তবান আর আধা-বিত্তবানের চাপে যাদের পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। হিমালয়ের মতো বিশাল অন্ধকারের ভার যাদের অহরহ দ’লে পিষে মারছে; ‘মানুষের মানচিত্রে’ সেই অন্ধকার জীবনের সামান্য কিছু ছবি আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষুধার অন্ধকার, বস্ত্রহীনতার অন্ধকার, বাস্তুহীনতার অন্ধকার, চিকিৎসাহীনতার অন্ধকার, শিক্ষাহীনতার অন্ধকার আর শোষনের অন্ধকারে যে বিশাল জনগোষ্ঠী ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলা কবিতায় তাদের বড়ো একটি দ্যাখা যায়নি।
‘মানুষের মানচিত্র’ জীবনের অন্ধকারের বীভৎস উপস্থিতি আমার অনেক স্নিগ্ধ রুচির পাঠককে বিব্রত করেছে। কবিতায় ‘এই সব নোংরামির আমদানী’কে তিরস্কার করেছে কেউ কেউ। বলাবাহুল্য তাঁরা বিত্তবান শ্রেনীর অধিবাসী। যারা অভিনন্দন জানিয়েছে তাদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্তের এবং তারা অধিকাংশই সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পক্ষে। মানুষের মানচিত্রে প্রধানত ভাঙাচোরা জীবনের মানুষদের উপস্থিত করতে চেষ্টা করেছি। এখন তাদের কণ্ঠে দিতে হবে জীবনের দাবি আর সংগ্রামের ভাষা। সমাজের চূড়ান্ত শোষনের অবস্থাটা জানা যায় সেই সমাজের একটি নারীর জীবনে উন্মোচন করলে। শোষিত পুরুষও তার ঘরের নারীর উপর শোষন চালায়। এই বই-এ এ-রকম অনেক নারীচরিত্রের সাথে পাঠকের দ্যাখা হবে।
আমার মনে হয়েছে, বাংলাদেশের কবিতায় এক নোতুন বলদীপ্ত তাজা কোমল ভাষার নির্মান হতে চলেছে। প্রচলিত অভিজাত ভাষার ক্রিয়াপদ অক্ষুণ্ণ রেখে লোকজ শব্দের মিশালের মধ্যেই রয়েছে এই নোতুন ভাষার প্রানশক্তি। প্রাথমিক প্রয়োগ হিসেবে ফিরে চাই স্বর্নগ্রামের কয়েকটি কবিতায় এ-জাতীয় কাজ করেছিলাম বছর চার-পাঁচ আগে। এই গ্রন্থে আরো ব্যাপকভাবে এই কাজটি করার চেষ্টা করেছি। সর্বক্ষেত্রে সার্থক হয়নি। কিন্তু যেখানে হয়েছে, বোঝা যায়, কতোখানি দীপ্রগতি আর অন্তরঙ্গ গভীরতা ধারন করতে পারে এই ভাষা। ‘মানুষের মানচিত্রে’ দক্ষিনবাংলার লোকজ শব্দই বেশি ব্যবহার করেছি।
সম্প্রতি কেউ কেউ অবিকল আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। কাজটি ক্ষতিকর। ভবিষ্যতে এতে এক ব্যাপক সাহিত্যিক অরাজকতার সৃষ্টি হতে পারে। বিশ চরন আর বাইশ মাত্রার সমিল অক্ষরবৃত্তে এই বই-এর কবিতাগুলো লেখা হয়েছে, কয়েকটি কবিতা ইচ্ছাকৃতভাবে অমিল রেখেছি। লক্ষ্য করলে প্রায় প্রতিটি কবিতায় অন্ধকার শব্দটি চোখে পড়বে–এটাও ইচ্ছাকৃত। বানানের ব্যাপারে আগের সব সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। সবাব জন্যে রক্তিম শুভেচ্ছে।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
৮ ফাগুন ১৩৮৯
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
এই গ্রন্থে ‘মানুষের মানচিত্র’ শীর্ষক ৩২টি কবিতা স্থান পেয়েছে। আলাদা শিরোনামের পরিবর্তে ১, ২, ৩,…৩২ পর্যন্ত সংখ্যাক্রম ব্যবহৃত হয়েছে।
৪. ছোবল ৷৷ প্রকাশ : ফাগুন ১৩৯২, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬। প্রকাশক : দ্রাবিড় প্রকাশনী,
ঢাকা। মুদ্রন : নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রচ্ছদ : নাম উল্লেখ করা হয়নি। গ্রন্থস্বত্ব : সোফিয়া শারমিন। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৩৮। মূল্য : বিশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
শুধু রক্তে আজ আর কৃষ্ণচূড়া ফুটবে না দেশে,
অস্ত্র চাই, অস্ত্র চাই, স্বপ্নবান অস্ত্র চাই হাতে।
কবি-রচিত ভূমিকা :
আমাদের স্বপ্ন এক অস্ত্রহীন পৃথিবীর। অথচ এ-মুহূর্তে অস্ত্র-বাহকদের হটাতে অস্ত্রের প্রয়োজন, প্রয়োজন সশস্ত্র উত্থানের।
দেশে বিরাজমান সামরিক শাসন, অন্তসারশূন্য রাজনীতি, নেতৃত্বে বিশ্বাসঘাতী আপোষকামিতা, লুটতরাজে মত্ত প্রশাসন, বগাহীন বিত্তবানের বিলাসের ঘোড়া। নৈরাজ্যই সবচে’ সত্য এখন। সত্য এখন অন্ধকার। আর অন্ধকারে আগুনই হচ্ছে একমাত্র অবলম্বন। আগুন সংক্রামিত হোক। আগুন ছড়িয়ে পড়ুক।
পৃথিবী হোক একটি দেশের নাম। পৃথিবী হোক একটি গ্রামের নাম, একটি পরিবারের নাম। কারন মানুষ কোনো দেশের সন্তান নয়, মানুষ পৃথিবীর সন্তান?
এ-পৃথিবী অস্ত্রনির্মাতার নয়, অস্ত্রবাহকের নয়, অত্যাচারীর নয়–এ-পৃথিবী আমাদের। এই স্বপ্ন সংক্রামিত হোক। এই স্বপ্ন আগুনের মতো প্রজ্বলিত হয়ে উঠুক।
বানানের ব্যাপারে আমার আগের সব চিন্তা-ভাবনাই বহাল রয়েছে। কাব্য-বিশ্বাসও অপরিবর্তিত। পৃথিবীর সংগ্রামী মানুষের জন্যে আমার রক্তিম শুভেচ্ছা।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১৬.১২.৮৫
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. ইশতেহার ২. ছিনতাই ৩. দ্বিধাগ্রস্ত দাঁড়িয়ে আছি ৪. কুশল সংবাদ ৫. প্রতিবাদপত্র : ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৮৩ ৬, লাশগুলো আবার দাঁড়াক ৭. মুখোমুখি ৮. পাকস্থলি ৯. কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ১০. পোস্টমর্টেম ১১, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ১২ চরিত্র বদল ১৩. ঘোষনা : ১৯৮৪ ১৪. এই রক্ত আগুন জ্বালাবে ১৫. কালোকাঁচ গাড়ি ১৬. আল্লাহতালার হাত ১৭. নৈশভোজ ৮৩ ১৮. নপুংশক কবিদের প্রতি ১৯. ইটের নিসর্গ ২০. মিছিল ২২. অত্র চাই।
৫. গল্প ।। প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭। প্রকাশক : নিখিল প্রকাশন, লালবাগ, ঢাকা। মুদ্রন : উষা আর্ট প্রেস, লালবাগ, ঢাকা। গ্রন্থস্বত্ব : নাম নেই। প্রচ্ছদ : হাশেম খান। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৪৮। মূল্য : বিশ টাকা।
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. পাখিদের গল্প ২. সকালের গল্প ৩. শাড়ি কাপড়ের গল্প ৪. নারী ও নদীর গল্প ৫. কবিতার গল্প ৬. মিছিল ও নারীর গল্প ৭. চিঠিপত্রের গল্প ৮. দাম্পত্য কলহের গল্প ৯. দ্বিধার গল্প ১০. গাছগাছালির গল্প ১১. নিঃসঙ্গতার গল্প ১২, অনুতপ্ত অন্ধকার–এক ১৩. অনুতপ্ত অন্ধকার-দুই ১৪, অনুতপ্ত অন্ধকার-তিন ১৫, অনুতপ্ত অন্ধকার-চার— ১৬. অনুতপ্ত অন্ধকার-পাঁচ ১৭, অনুতপ্ত অন্ধকার-ছয় ১৮, ভেঙে যাই দ্বিখন্ডিত ১৯. অপরাহ্নের অসুখ ২০. আছে ২১. ভিন্ন ভিন্ন ভালোবাসা ২২. সীমাবদ্ধ ভাঙচুর ২৩, এখানেও সাধ ২৪. জীবনযাপন–এক ২৫. জীবনযাপন-দুই ২৬, জীবনযাপন-তিন ২৭. জীবনযাপন-চার ২৮, জীবনযাপন-পঁচ ২৯. জীবনযাপন-ছয়।
৬. দিয়েছিলে সকল আকাশ।। প্রকাশ : ভাদ্র ১৩৯৫, আগস্ট ১৯৮৮। প্রকাশক : চিত্তরঞ্জন সাহা, মুক্তধারা, ৭৪ ফরাশগঞ্জ, ঢাকা ১১০০। মুদ্ৰক : প্রভাংশুরঞ্জন সাহা, ঢাকা প্রেস, ৭৪ ফরাশগঞ্জ, ঢাকা ১১০০। গ্রন্থস্বত্ব : আবীর আবদুল্লাহ। প্রচ্ছদ : হাশেম খান। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮+৪০। মূল্য : ২৪ টাকা। উৎসর্গপত্র :
নাড়ায়, ভেতরে কেউ নিবিড় কড়া নাড়ায়
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. পটভূমি ২. শিকল সামাজিক ৩. পথ ৪. এই জল এই দুঃসময় ৫, অন্তর্গত যাত্রা ৬. পৃথক প্রবেশ ৭. দূষিত দুপুর একজন উদাসীন ৯. যুগল কুকুর ১০. চাদে পাওয়া ১১. আত্মরক্ষা ১২. দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা ১৩. বার বার আপনার চোখ ১৪. আকাশ বদল ১৫. বেহুলার সাম্পান ১৬. মরীচীকা বোধ ১৭. সেই এক রোদের রাখাল ১৮. বৈশাখের নাগর দোলায় ১৯. স্বাস্থ্যসম্মত প্রত্যাখ্যান ২০. শুশান ২১. উল্টোঘুড়ি ২২. কানামাছি ভো ভো ২৩, উড়িয়ে দাও দুপুর তোমার ২৪. ফিরে এসো নিশ্চয়তা ২৫. দূরে আছো দূরে ২৬, একাকি সেফটিপিন ২৭, শোদ বোধ ২৮. পরানে চাই দখিন হাওয়া ২৯. হে নদী দূরের মেঘ ৩০. ঘুমন্ত ঘুঙুর আমি বেজে উঠি ৩১ মগ্ন চিতা ৩২, দৃশ্য কাব্য-১ ৩৩. দৃশ্য কাব্য-২ ৩৪. দৃশ্য কাব্য-৩ ৩৫, ভেসে যাও অনন্ত অবধি ৩৬, ফাঁদে অন্ধকারে
৭. মৌলিক মুখোশ ৷৷ প্রকাশ : ১লা ফালগুন ১৩৯৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। প্রকাশক : সাঈদ হাসান তুহিন, সংযোগ প্রকাশনী, ঢাকা। মুদ্রন : জাকির আর্ট প্রেস, ঢাকা। গ্রন্থস্বত্ব : সুবীর ওবায়েদ। প্রচ্ছদ : রুহুল আমিন কাজলের তৈলচিত্র অবলম্বনে ইউসুফ হাসান। আলোচিত্র : গোলাম হিলালী। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮+৪০। মূল্য : পঁচিশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
আমাদের স্বপ্নগুলো ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে কাক ও শকুন।
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. এক্সরে রিপোর্ট ২, ময়নাতদন্ত ৩, ক্রান্তিকাল ৪. রূপকথা ৫. মধ্যরাত ৬. অবদমনের ডালপালা ৭, যোগ্যতা ৮. চোখ খুলে ফ্যালো ৯, সামঞ্জস্য ১০. ক্রাচ ১১. আঁধারপুরের বাস’১২. সবুজ গোলাপ হৃদপিন্ড ১৩. খতিয়ান ১৪. ফিরে দাঁড়াও, দেয়াল ১৫যুগল দোলনা ১৬, বেয়াড়া শোকের চুল ১৭. স্বপ্নের বাস্তুভিটে ১৮. পান করো রাত্রি ১৯, পরকীয়া ২০. সকালের অন্ধকারে ২১. শীতার্ত সময় ২২. যে যায় সন্ধ্যার কাছে ২৩. অবচেতনের পথঘাট ২৪. আগুন ও বারুদের ভাষা ২৫. চিলেকোঠা ২৬. পালায়ন ২৭. চিত্রনাট্য-১ ২৮. চিত্রনাট্য-২ ২৯. স্বপ্নগুলো ২০. গলে যাচ্ছে মুহূর্ত, সময়। এই সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও রুদ্রের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘এক গ্লাস অন্ধকার’ এবং নাট্যকাব্য ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’। এছাড়া কবি অসীম সাহার সম্পাদনা প্রকাশিত হয়েছে ‘রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর রচনাসমগ্র ১ম ও ২য় খণ্ড। ক্রমানুসারে বইগুলির পরিচিতি :
৮. একগ্লাস অন্ধকার প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯২। প্রকাশক : মজিবর রহমান খোকা, বিদ্যাপ্রকাশ, ৩৮/৪ বাংলাবাজার ঢাকা। প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান। গ্রন্থস্বত্ব : ইরা শারমিন। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৪২। মূল্য : চল্লিশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
একগ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বোসে আছি।
শূন্যতার দিকে চোখ, শূন্যতা চোখের ভেতরও–
একগ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে একা বোসে আছি।
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. কথা ছিলো সবিনয় ২, পথ ছাড়ো ৩. সাধারনের নিয়মনীতি ৪. বিচারের কথা কেউ বলছে না কেন ৫. মিছিলে নোতুন মুখ ৬. পাখিদের কথা ভেবে ডানা মেলে দিই ৭ চুটকি ৮, আমরা অনার্য ৯. বেহুলার ভেলা ভাসে সময়ের তুমুল তুফানে ১০. ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ, ঘৃন্য চতুরতা ১১. একই সাপের দুই মুখ ১২. পারলৌকিক মূলো ১৩. বাগেরহাট ১৪. নির্বিরোধ কৃষ্ণচূড়াপুর ১৫. স্বপ্নগ্রস্ত ১৬. ফিরছি স্বদেশে শ্রান্ত সিন্দাবাদ ১৭, বৃষ্টির ভ্রন দেখে ১৮, ছুঁয়ে আছি নশ্বর মাংশের দেহ ১৯. এক গ্লাস অন্ধকার ২০. খেলাধুলার সরল অংক ২১. তছনছ বিশ্বামিত্র ২২ প্রজাপতির স্বভাব ২৩. নদীর ওপারে থাকে রোদ ২৪. কুড়িয়ে পেয়েছি একটি আধুলি ২৫. মৃত মাছেদের শরীরের খোঁজে ২৬. খুঁটিনাটি খুনশুটি ও অন্যান্য কবিতা ২৭. মাঝের দেয়াল ২৮. শস্যের বিশ্বাস ২৯. আবরিত আশ্রয় ৩০, পাললিক উদ্ধার ৩১. চিল-ডাকা নদীর কিনার ৩২. আশ্রয় ৩৩. জেব্রাক্রোধ।
৯. বিষ বিরিক্ষের বীজ। প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯২। প্রকাশক : মজিবর রহমান খোকা, বিদ্যাপ্রকাশ, ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা। গ্রন্থস্বত্ব : সুমেল সারাফাত, হিমেল বরকত। প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪+৩৬। মূল্য : তিরিশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
অস্তিত্বের যুদ্ধে যায় মানুষের প্রতিটি দিবস
১০. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর রচনাসমগ্র ১ম খণ্ড ॥ সম্পাদনা : অসীম সাহা। প্রকাশ :
ফেব্রুয়ারি ১৯৯২। প্রকাশক : মজিবর রহমান খোকা, বিদ্যাপ্রকাশ, ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা। প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান, পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬+২০৪। মূল্য : একশ ত্রিশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাই।
সম্পাদক-রচিত ভূমিকা :
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ বাংলাদেশের কবিতায় একাধিকবার উচ্চারিত একটি নাম। তারুণ্য যদি জীবনের গতিময়তার প্রতীক হয়, আর কবিতা যদি হয় সেই প্রতাঁকের শিল্পিত প্রকাশ, তা হলে সেই ভূমিকায় রুদ্র’র পরিচয় রুদ্র নিজে। রুদ্র’র কবিতা যারা মনোযোগের সঙ্গে পাঠ করেছেন কিংবা করবেন, তারা এটা লক্ষ করবেন, যে-কেন্দ্র থেকে ওর অভিযাত্রা শুরু, বহুপথ ঘুরে, বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, জীবনের স্বপ্ন ও সংগ্রাম, প্রেম ও বিরহ, বন্ধন ও বিচ্ছেদ সব কিছুর মধ্যেও কেন্দ্রাতিগ-সংলগ্নতা থেকে বিন্দুমাত্রও বিচ্যুত হয় নি। পথ চলতে বারবার হোঁচট খেয়ে, রক্তাক্ত হয়ে, অসুন্দরের প্রলোভনে সমর্পিত হয়েও, সে কখনো আত্মবিক্রিত ক্রীতদাসে পরিণত হয় নি।
রুদ্র’র কবিতার প্রধান প্রবণতা–দ্রোহ। বাংলা কবিতার এক অন্যতম ধারার প্রতিনিধি হিসেবে এর উত্তরাধিকার বহন করতে গিয়ে রুদ্র কখনো কখনো উচ্চকিত রূঢ়কণ্ঠের ধারক হওয়া সত্ত্বেও, কবিতার শৈল্পিক অঙ্গীকারকে সে অস্বীকার করে নি।
আমাদের দুর্ভাগ্য, যে-কাজ সমাজকর্মীর, যে-কাজ রাজনীতিকের, এ-দেশে সেই কাজটির সাহসী সূচনা সবসময়ই করতে হয়েছে কবিদের। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এই দাবি অধিকতর তীব্র হওয়ায় কবিদের ওপর সে-গুরুভার অর্পিত হয়েছে, তার বোঝা কাঁধে নিতে যে-ক’জন কবি সামনের কাতারে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ তাদের মধ্যে অন্যতম। সে-কারণেই রুদ্র’র কবিতা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র কণ্ঠস্বর, শুধুমাত্র শ্লোগান। রুদ্র নিজেও এব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন ছিলো। তাই ধীরে ধীরে সে নিজেকে সংযত ও সংযমী করে তোলার কাজে নিয়োজিত হয়েছিলো। কিন্তু পরিণতির আগেই অকালমৃত্যু এসে কেড়ে নিয়ে যাওয়াতে সেই কর্মোদ্যোগ সফল করা তার পক্ষে সম্ভব হলো না। আমরা বঞ্চিত হলাম সম্ভাবনাময় এক তরুণকবির পরিণত প্রয়াসের শিল্পিত ফসলের আস্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ থেকে।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র কবিতারচনার সূচনা স্কুলজীবন থেকে শুরু হলেও মূলত পঁচাত্তর সালের পরেই তার সরব উপস্থিতি বাংলাদেশের কবিতার অঙ্গনকে উচ্চকিত করে তোলে। কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠে যে-কজন কবি কবিতাকে শ্ৰোতৃপ্রিয় করে তোলে, রুদ্র তাদের অন্যতম। রুদ্র’র অনেক কবিতাই এই শ্রোতাদের লক্ষ করে লেখা। তাই ওর কবিতার অনেকগুলোই মঞ্চসফল কবিতা। কবিতা হিসেবে এগুলোর কোনো শৈল্পিক মূল্য নেই। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে এ-সব কবিতার ভূমিকা, সন্দেহ নেই, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে, যে-কজন কবির কবিতার পংক্তি বারবার উচ্চারিত হয়, রুদ্র’র কবিতার সংখ্যা তাদের মধ্যে সম্ভবত সবচাইতে বেশি। এর আর একটি কারণ রুদ্র’র রাজনীতি-সংলগ্নতা। পঁচাত্তরের পরের প্রায় সবকটি গণআন্দোলনে, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে রুদ্র ছিলো মিছিলের সর্বাগ্রে, তেমনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সে ছিলো পথিকৃতের ভূমিকায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে তার কর্মপ্রয়াস থেকেই তা অনুধাবন করা যায়। অন্যান্য কবি থেকে রুদ্র’র পার্থক্য এখানেই। অন্য অনেকেই যখন কবিতাকে এই সকল স্কুল সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে পৃথক করে দেখতে আগ্রহী, রুদ্র তখন কবিতার সঙ্গে জীবনের এই সকল অনিবার্য ঘটনাপ্রবাহকে গ্রন্থিত করার চেষ্টা করেছে। সে কখনো তাতে সফল হয়েছে, কখনো হয় নি। রুদ্র’র আত্মবিশ্বাস ছিলো প্রবল। সে কারণে সে কখনো পরাজিত হতে চায় নি। জীবন মানে সংগ্রাম, জীবন মানে দু’পা পিছিয়ে আবার চার পা এগিয়ে যাওয়া–এই বিশ্বাসের জোরেই সে এগিয়ে যেতে পেরেছে বহুদূর–যদিও অনেকটা পথ অতিক্রম করা তার দুঃসাধ্য ছিলো। আর অকালমৃত্যু বাকি পথটা অতিক্রম করার সুযোগ থেকে তাকে চিরকালের জন্য বঞ্চিত করলো।
রুদ্র’র সবচাইতে বড়ো বৈশিষ্ট্য সম্ভবত এই যে, সে এ-দেশের আত্মাকে ভালোবেসেছিলো। একে শুধু দেশপ্রেম বলা যায় না, একে বলা যেতে পারে মাতৃপ্রেম। সেজন্যেই মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় সদস্য না-হওয়া সত্ত্বেও সে ছিলো মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বস্ত কবিদের অন্যতম। ‘আজও আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই’ কিংবা ‘জাতির পতাকা আজ খাচছে ধরেছে সেই পুরনো শুকন’–এই দুই বিখ্যাত পংক্তির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির প্রতি তার যে-ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তাতে রুদ্র বাংলাদেশের এক ব্যাপক জনগোষ্ঠীর প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে পেরেছে। বস্তুত মুক্তিযুদ্ধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে রুদ্র’র কণ্ঠ। ছিলো উচ্চকিত। এই উচ্চকিত কণ্ঠের কবিতাসমূহের অধিকাংশই সফল কবিতা হয়ে। উঠতে পারে নি। কিন্তু এগুলো সময়ের দাবি মিটিয়েছে, সমাজের দাবি মিটিয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে কবির আত্মনিমগ্নতা ছিলো না। রুদ্র তা চায়ও নি। আস্তে আস্তে রুদ্র নিজেকে আত্মমগ্নতায় সমর্পণ করতে শুরু করে। বিশেষত সাংসারিক জীবনের অবসানের মধ্য দিয়ে তার চেতনায় যে-নতুন আবর্তের সৃষ্টি হয়, তা তাকে কবিতার নতুন দিগন্তে পরিভ্রমণের সুযোগ করে দেয়। শুধু বিষয়বস্তুতে নয়, কবিতার আঙ্গিকে, প্রকরণে, ছন্দনির্মাণে, শব্দপ্রয়োগে সে নতুন অভিযাত্রায় শরিক হয়। এই অভিযাত্রায় সে কি সম্পূর্ণরূপে তার যাত্রাবিন্দু থেকে সরে আসে? তা নয়। বরং সে এই নতুন নিবেদনের পাশাপাশি তার প্রিয় বিষয়সমূহকেও তার কবিতায় স্থান করে দেয়। এ– ক্ষেত্রে রুদ্র হয়ে ওঠ পরিশীলিত, শুদ্ধতাসন্ধানী, শিল্পের অঙ্গীকারে নিবেদিত। সে কারণেই পূর্ববর্তী কাব্যসমূহের জনপ্রিয় পংক্তি পাওয়া না গেলেও এ-সকল কবিতায় একজন শুদ্ধতা-তৎপর কবির প্রয়াস দুর্লক্ষ্য হয় না। রুদ্র’র কবিতাকে বিবেচনা করতে হবে এই প্রয়াসের আলোকে।
বাংলা কবিতার বিচারে, এমনকি বাংলাদেশের কবিতার বিচারে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র অবস্থান কোথায়, তা বিচার করবে সময়। কিন্তু একজন তারুণ্যদীপ্ত কবির সার্বক্ষণিক কাব্যপিপাসার অকৃত্রিমতাকে মোহমুক্তভাবে বিচার করলেও আমরা যে-কবিকে পাবো, ত্মর একটি সঠিক মূল্যায়ন হওয়া দরকার, এটা জোরের সঙ্গেই বলা যায়।
‘রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর রচনা সমগ্র’ প্রকাশ সেই মূল্যায়নের কোনো প্রয়াস নয়। বরং ভবিষ্যতে যারা সেই কাজটি করবে, তাদেরকে সহযোগিতা করার একটি উদ্যোগ।
রুদ্র বেঁচে থাকতে তার ৭টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিলো। এছাড়াও আরো অজস্র লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। রুদ্র বেঁচে থাকতেই চেয়েছিলো তার ‘রচনা সমগ্র’ প্রকাশ করতে। সেজন্যে সে তার প্রকাশিত, অপ্রকাশিত, গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত কবিতার পাণ্ডুলিপি তৈরি করছিলো সযত্নে। সকল কবিতাই হয়তো তার পক্ষে পাণ্ডলিপিভক্ত করা সম্ভব হয় নি, আমাদের পক্ষেও তার সকল রচনা গ্রন্থিত করা সম্ভব হলো, এমন দাবিও করা সম্ভব নয়। তবুও আমাদের পক্ষে যতোটা সম্ভব হয়েছে, চেষ্টা করেছি, ‘রচনা সমগ্র’-র মধ্যে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে।
রুদ্র’র রচনার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। স্বম্পায়ু জীবনে সে ছিলো তরুণদের মধ্যে সবচাইতে সক্রিয়। কবিতা-রচনা ছাড়াও সে কয়েকটি গল্প রচনা করেছিলো, এ সংকলনে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে সে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্য রচনা করে, সেটি ছাড়াও তার অপ্রকাশিত অধিকাংশ কবিতাই গ্রন্থধৃত হয়েছে। এর মধ্যে রুদ্র’র লেখালেখির শুরুর প্রথম দিকের কিছু রচনা এখানে সংযোজিত হয়েছে। এসব রচনা অনেকটাই কঁচা, অল্পবয়সের উন্মাদনায় রচিত। তবু কবিকে বোঝার জন্যে, কবিজীবনকে উপলব্ধির জন্যে এ-সব কবিতা পাঠকের কাছে নিবেদন করবার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না। এগুলোও গ্রন্থভুক্ত হয়েছে।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কবিতার ভাষা নিয়ে, শব্দের বানান নিয়ে পূর্বাপরই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। তার এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে বেশ তোলপাড়ও হয়েছে। বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ’ণ’ ধ্বনির উচ্চারণ নেই, এ-যুক্তিতে রুদ্র তার কবিতায় ‘ণ’ ধ্বনি কখনো ব্যবহার করে নি। এ-রকম আরো কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে তার নিজস্ব বানান-পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলো। তার এই পদ্ধতিটি যুক্তিসঙ্গত কিনা সে নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও আমরা রচনাসমগ্রের প্রায় পুরোটাতে তার অনুসৃত বানানই রক্ষা। করার চেষ্টা করেছি। সে তার মূল পাণ্ডুলিপিতে যেভাবে বানান লিখেছে, আমরা ঠিক সেভাবেই বানান রক্ষার চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র তার প্রথম দিকের রচনা, যেগুলো ১৯৭৩, ১৯৭৪ সালের দিকে রচিত, সেখানে আমরা তার পরিণত বয়সের বানান-পদ্ধতি অনুযায়ী বানান সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কারণ এই সময়ের কবিতাতে বানানে সে কোনো পদ্ধতি রক্ষা করতে পারে নি, অজস্র ভুলে কণ্টকিত রয়েছে লেখাগুলো। সেটা খুব অস্বাভাবিকও নয়। সেক্ষেত্রে আমরা যতোটা সম্ভব ওর পরবর্তী বানান অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। রচনাসমগ্র’-র পাণ্ডুলিপি তৈরি করার সময় তার গ্রন্থধৃত কবিতা থেকেও রুদ্র কখনো কখনো কিছু কিছু কবিতা বাদ দিয়েছে, সেগুলোকে আমরা গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত না-করে ‘সংযোজন’ অংশে উদ্ধৃত করেছি।
আমাদের ইচ্ছে ছিলো রদ্র’র ‘রচনা সমগ্র’কে সম্পূর্ণ করে তোলার। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়েছে বলে, বাস্তবে তা সম্ভব হলো না। সুযোগ হলে পরবর্তী সংস্করণে একে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করবো। আগেই বলেছি রুদ্র’র রচনার সংখ্যা অনেক। আমরা তার সম্পূর্ণ রচনাকে একটি খণ্ডে করতে চেয়েছিলাম। কলেবরের কারণে একে দুই খণ্ডে সম্পন্ন করতে হলো।
আমরা জানি, রুদ্র’র পাঠকপ্রিয়তা হিংসা করার মতো। সমস্ত অপূর্ণতা সত্ত্বেও তার এই রচনাসমগ্র’ সেই পাঠকপ্রিয়তা লাভে সক্ষম হবে বলে আমাদের ধারণা।
এই গ্রন্থ প্রকাশে অনেকের সহযোগিতাই পেয়েছি। রুদ্র’র পরিবার, তার বন্ধু-বান্ধব আমাকে মানসিকভাবে উৎসাহ জুগিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। সে-কারণেই আমি এ-ধরনের একটি কাজে হাত দিতে সাহসী হয়েছি। এ-কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব প্রদান করা উচিত ছিলো একজন যথার্থ সম্পাদকের ওপর। সময়ের অভাবে আমার ওপরে সে-দায়িত্ব এসে পড়েছে। আমি সম্পাদনা কতোটুকু করতে পেরেছি জানি না, তবে রুদ্র’র সমগ্র রচনাকে দুই মলাটের মাঝখানে ধারণ করার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখি নি।
এ-কাজে আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছে অনেকেই। এ-সংকলন প্রকাশনার ক্ষেত্রে তসলিমা নাসরিন, প্রুফ সংশোধনের ক্ষেত্রে রেজাউল আহসান রাজু, সীমা রায় ও রহিমা আক্তার কল্পনা আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আর যারা পরামর্শ দিয়ে, সাহস জুগিয়ে আমাকে এ-কাজে ব্রতী করেছেন, তাঁদের সকলের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা। পরিশেষে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ‘বিদ্যাপ্রকাশ’-এর স্বত্বাধিকারী মজিবর রহমান খোকাকে, যিনি এতো বৃহৎ কলেবরের একটি গ্রন্থ প্রকাশের ঝুঁকি নিয়ে রুদ্র’র প্রতি তার ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং রুদ্র’র অজস্র অনুরাগীকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। রুদ্র’র ‘রচনাসমগ্র’ পাঠকের সমাদর পাবে, এ-বিশ্বাস আমাদের আছে। আর সেটা হলেই আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।
অসীম সাহা
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
এই খণ্ডে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর উপদ্রুত উপকূল, ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম, মানুষের মানচিত্র, ছোবল, গল্প, দিয়েছিলে সকল আকাশ–এই ছয়টি কাব্যগ্রন্থের সকল কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
১১. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর রচনাসমগ্র ২য় খণ্ড। সম্পাদনা : অসীম সাহা। প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯২। প্রকাশক : মজিবর রহমান খোকা, বিদ্যাপ্রকাশ, ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা, প্রচ্ছদ : খালিদ আহসান। পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৬+১৭১। মূল্য : একশ সত্তর টাকা।
উৎসর্গপত্র :
এটা প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয় শুধু এক শব্দহীন সবল অস্বীকার।
এই বইটিতে সম্পাদক-রচিত ১ম খণ্ডের ভূমিকাই ব্যবহৃত হয়েছে।
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
মৌলিক মুখোশ, একগ্লাস অন্ধকার, বিষ বিরিক্ষের বীজ–এই তিনটি গ্রন্থের সমস্ত রচনা ছাড়াও অগ্রন্থিতটি কবিতা এবং ৫টি গল্প প্রকাশিত হয়েছে। গল্প পাঁচটির নাম সোনালি শিশির, ইতর, নিঃসঙ্গতা, উপন্যাসের খসড়া ও যেখানে নরকে গোলাপ। আরো কয়েকটি সংকলন-গ্রন্থ :
১২. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা সম্পাদক : অসীম সাহা। প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪। প্রকাশক : মজিবর রহমান খোকা, বিদ্যাপ্রকাশ, ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা। প্রচ্ছদ : ওয়াকিলুর রহমান। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৮+৭২। মূল্য : পঞ্চাশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
চলে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চলে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভুবনে আছো।
সম্পাদক-রচিত ভূমিকা
‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র অভিধা নিয়ে যতো বিতর্কই থাক, পাঠকের প্রয়োজনে শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। শ্রেষ্ঠ কবিতা বাছাইয়ে সম্পাদকের অভিরুচিই প্রধান হলেও পাঠকের চাহিদাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এ-সংকলনে এমন কিছু কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যাকে সূক্ষবিবেচনায় হয়তো শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নিতে কষ্ট হবে। যদি খুব চুলচেরা বিশ্লেষণে আমি যেতাম, তাহলে সংকলিত এমন কিছু কবিতা আমাকে বাদ দিতে হতো, যা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতার অনুরাগী-পাঠকদের আহত করতো। সেজন্যেই রুদ্রর শ্রেষ্ঠ কবিতা বাছাইয়ে আমি দুটি দিক বিশেষভাবে মনে রেখেছি। প্রথমত তার শিল্পসম্মত কবিতা, দ্বিতীয়ত জনপ্রিয় অথচ মানোত্তীর্ণ কবিতা। শুধুমাত্র জনপ্রিয়
কবিতাকে আমি এই সংকলনভুক্ত করার চেষ্টা করি নি। রুদ্র’র কবিতা নিয়ে নতুন করে বলার তেমন কিছু নেই। সংকলনভুক্ত কবিতাগুলো পাঠ করে পাঠক রুদ্রকে আবিষ্কার করবেন, স্মরণ করবেন, এ-প্রত্যাশা থেকেই ‘রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা’র প্রকাশ। সে-উদ্দেশ্য সিদ্ধ হলেই এই সংকলন প্রকাশের সার্থকতা।
অসীম সাহা
গ্রন্থভুক্ত কবিতা :
১. অভিমানের খেয়া ২. বাতাসে লাশের গন্ধ ৩. বিমানবালা ৪. এ কেমন ভ্রান্তি আমার ৫. বিশ্বাসে বিষের বকুল ৬. অমলিন পরিচয় ৭. মাতালের মধ্যরাত্রি ৮. মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল ৯. পাজরে পুষ্পের ঘ্রান ১০. স্বজনের শুভ্র হাড় ১১. কার্পাস মেঘের ছায়া ১২. নিরাপদ দেশলাই ১৩, প্রথম পথিক ১৪. ফসলের কাফন ১৫. বিষবৃক্ষ ভালোবাসা ১৬. ধাবমান ট্রেনের গল্প ১৭. বিশ্বাসী বৃক্ষের ছায়া ১৮. ফাঁসির মঞ্চ থেকে ১৯. হে আমার বিষণ্ণ সুন্দর ২০. অবেলায় শঙ্খধ্বনি ২১. ক্লান্ত ইতিহাস ২২. বিশ্বাসের হাতিয়ার ২৩. নিঃশব্দ থামাও ২৪. অকর্ষিত হিয়া ২৫. পরিচয় ২৬. একজোড়া অন্ধ আঁখি ২৭. পরাজিত প্রেম ২৮. বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা ২৯. মনে করো তাম্রলিপি ৩০. গহিন গাঙের জলে ৩১. হারানো আঙুল ৩২ মানুষের মানচিত্র-১ ৩৩. মানুষের মানচিত্র-১৪ ৩৪, মানুষের মানচিত্র-১৫ ৩৫. মানুষের মানচিত্র-১৬ ৩৬. পাখিদের গল্প ৩৭. দ্বিধার গল্প ৩৮. গাছগাছালির গল্প ৩৯. অনুতপ্ত অন্ধকার-১ ৪০. অনুতপ্ত অন্ধকার-৪ ৪১. অনুতপ্ত অন্ধকার-৬ ৪২, জীবনযাপন-৩ ৪৩. জীবনযাপন-৪ ৪৪, জীবনযাপন-৬ ৪৫ ইশতেহার ৪৬. মুখোমুখি ৪৭. কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ৪৮. দ্বিধাগ্রস্ত দাঁড়িয়ে আছি ৪৯. সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ৫০. দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা ৫১. আকাশ বদল ৫২. বেহুলার সাম্পান ৫৩. সেই এক রোদের রাখাল ৫৪. শুশান ৫৫. উল্টোঘুড়ি ৫৬. হে নদী দুরের মেঘ ৫৭. দৃশ্যকাব্য-২ ৫৮. ময়না তদন্ত ৫৯. ক্রান্তিকাল ৬০. মধ্যরাত ৬১. অবদমনের ডালপালা ৬২. সামঞ্জস্য ৬৩, ক্রাচ ৬৪. খতিয়ান ৬৫. যুগল দোলনা ৬৬, বেয়াড়া শোকের চুল ৬৭, পরকীয়া ৬৮. যে যার সন্ধার কাছে ৬৯. মিছিলে নোতুন মুখ
৭০. পারলৌকিক মুলো ৭১. এক গ্লাস অন্ধকার। ১৩. রুদ্রের নির্বাচিত অণুকাব্য। সম্পাদনা : হিমেল বরকত ও আহসানুল কবির। প্রকাশক : সমুদ্র সাহিত্য পরিষদ, ঢাকা। প্রকাশ : ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬। পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১০+২২। মূল্য : দশ টাকা। উৎসর্গপত্র :
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক,
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক।
বইটিতে কবি-পরিচিতি ছাড়াও রুদ্র-রচিত ৩২টি ছোট আকারের কবিতা স্থান পেয়েছে।
১৪. প্রেম-বিরহ ভালোবাসার কবিতা৷৷ প্রকাশ : এপ্রিল ১৯৯৭। প্রকাশক : নজরুল ইসলাম বাহার, শিখা প্রকাশনী, ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা। প্রচ্ছদশিল্পী : নাজিব তারেক। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪+২৮। মূল্য : তিরিশ টাকা।
গ্রন্থপরিচিতি : এই গ্রন্থখানি ‘চার কবির প্রেম-বিরহ-ভালোবাসার কবিতা’র একটি সেটের অংশ। এই সেটে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছাড়াও শহীদ কাদরী, নির্মলেন্দু গুণ এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের কবিতার সংকলন রয়েছে।
এছাড়া রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচিত ও সুরারোপিত গান নিয়ে একটি অডিও ক্যাসেট বেরিয়েছে।
শিরোনাম : রুদ্রের গান/ভালো আছি ভালো থেকো
কথা ও সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
সংগীত পরিচালনা : রেশাদ।
প্রযোজনা ও স্বত্ব : রুদ্র পরিবার
পরিবেশনা : মধুমতি ইলেকট্রনিক্স, ৩১/১ পাটুয়াটুলী, ঢাকা ১১০০।
পরিবেশক-রচিত ভূমিকা :
মূলত কবি হিসেবে স্বীকৃত রুদ্র, নিভৃতে, সংবেদনশীলতার সঁকো ধরে হাঁটতে গিয়ে ১শিল্পকলার আর একটি সৃজনী পথে পা রেখেছিলেন একদিন।
ধ্যানী বৈরাগ্য ও তীক্ষ্ণ অনুসন্ধিৎসা বুকের গভীর থেকে তুলে আনে যে বাউলের সুর, আবহমান বাংলার সেই সুরে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ বেঁধেছিলেন গানগুলি।
লিখেছেন সহজ সরল ভাষায়, সুর করেছেন আরও সহজ করে। পথচলতি মানুষ, ক্ষেতের চাষী, নির্মাণ শ্রমিক, শহুরে নাগরিক মন এককাতারবন্দী হয়ে ওঠে যে ভাষায়–সুরে, রুদ্রের গান মানে সেইসব।
রুদ্রের গানে, সব ধরনের কষ্ট স্বীকার করে যারা কণ্ঠ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। যারা তাদের সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
ক্যাসেটভুক্ত গান :
এপিঠ
১. ও নিঠুর দরিয়ার পানি – সুবীর নন্দী
২. দিন গেল দিন গেলরে – খালিদ
৩. অন্তর বাজাও – এম. এ. খালেক
৪. ছিড়িতে না পারি – শুক্লা দে
৫. আমার ভিতর বাহিরে – রফিকুল আলম
৬. দরোজাটাকে খোল – শাহীন খান
ওপিঠ
১. ঘেরে ঘেরে ঘেরাও – গোলাম মহম্মদ
২. আমরা পাড়ি দেব – খালিদ হাসান মিলু
৩. বৃষ্টিবরন – শাওন
৪. হারানো সুর ফিরে এলো – মাহমুদুজ্জামান বাবু
৫. ভালো আছি ভালো থেকো – সাবিনা ইয়াসমিন
গানগুলি ছাড়াও ‘ওপিঠ’–এ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কণ্ঠে স্বরচিত কয়েকটি কবিতা রেকর্ড করা হয়েছে।
.
সাময়িকপত্রে প্রকাশিত রচনাসমূহ
সত্তর দশকের শুরুতে ঢাকা থেকে এবং ঢাকার বাইরের প্রায় প্রত্যেক জেলা থেকে প্রকাশিত হয় অজস্র সাহিত্য-সংকলন। কিছু সংকলন বের হয় বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং শহিদ দিবস উপলক্ষে আর কিছু ছিল একান্তভাবেই লিটল ম্যাগাজিন। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন এ-সব পত্রিকার একজন উল্লেখযোগ্য লেখক। সাময়িকপত্রে প্রকাশিত বেশ কবিতার প্রথম প্রকাশের স্থান, সম্পাদকের নামসহ পত্রিকার নাম এবং প্রকাশকাল এখানে দেয়া যায় :
দুর্বিনীত, ঢাকা
সম্পাদক : মিয়া মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
সহযোগী সম্পাদক : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ)
১. দুর্বিনীত – আটই ফাল্গুন ১৩৭৯
কালস্রোত, ঢাকা
সম্পাদক : মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম
২. ক্লান্ত নাবিক – ডিসেম্বর ১৯৭৭
৩. বন্যাক্রান্ত স্বদেশ এবং চশমা – জুলাই-অক্টোবর ১৯৭৪
লোকালয়, ঢাকা
সম্পাদক : কামাল চৌধুরী
৪. নিরুদ্দিষ্ট ব্যবধান – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
ঢাকা ডাইজেস্ট, ঢাকা
সম্পাদক : ওবায়দুর রহমান।
৫. একখানা শেফালিকা বাস – জুলাই ১৯৭৫
পেণ্ডুলাম, ঢাকা
সম্পাদক : জাফর ওয়াজেদ
৬. সম্প্রতি আমার চশমা উপলক্ষ্যে
৭. তুমি চলে গেলে তোমাকে পেলাম
৮. এনে দেবো শিল্পসম্মত কবিতার ভুবন
৯. যে-কোনো পাহাড়েই আমি উঠতে পারি
১০. জলপাই এবং সাম্প্রতিক টুকিটাকি
১১. বিড়াল সম্পর্কিত দ্বৈত মত – – মার্চ/এপ্রিল/ মে ১৯৭৫
পায়ের চিহ্ন এই বাটে, ঢাকা
সম্পাদক : মানস ঘোষ
১২. অপরূপ ধ্বংশ – ১৯৭৫
শাপলা, নারায়ণগঞ্জ
সম্পাদক : বংশী সাহা
১৩. অনিশ্চিত আঘ্রানে – একুশের সংকলন ১৩৮৩
সেঁজুতি, ময়মনসিংহ
সম্পাদক : তসলিমা নাসরিন
১৪. পরবাসে খাট – আষাঢ়-আশ্বিন/১৩৮৬
কণ্ঠস্বর, ঢাকা
সম্পাদক : আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
১৫. ফুলেরা কৃষ্ণপক্ষে চলে যায় – দশম বর্ষ, সংখ্যা ১৯৭৫
পূর্বাচল, ঢাকা
সম্পাদক : তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়।
১৬. অসমাপ্ত ইচ্ছের দরোজায় – চৈত্র ১৩৮১
১৭. জানালায় জেগে আছি – আষাঢ় ১৩৮৩
১৮. ফেনায় ফসলের জীবন – আশ্বিন ১৩৮৪
১৯. সমুদ্রে সমর্পিত – অগ্রহায়ণ ১৩৮৩
গণমন, ফরিদপুর
সম্পাদক : ফরিদপুর জেলা বোর্ড
২০. আকাশে নিঃশব্দ রোদ – জুলাই ১৯৭৬
২১. ধানের স্মৃতিতে দাঁড়িয়ে – মে ১৯৭৭
সমকাল, ঢাকা
সম্পাদক : হাসান হাফিজুর রহমান/ইসমাইল হোসেন
২২. আজীবন জন্মের ঘ্রান – ভাদ্র ১৩৮৩
২৩. বিপরীত আকাঙ্ক্ষা – শ্রাবণ ১৩৮৪
আবাহন, ঢাকা
সম্পাদক : আসাফউদদৌলা রেজা
২৪. যুদ্ধ কোথায় – জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
২৫. বসন্ত উৎসব – এপ্রিল ১৯৭৭
মহুয়া, ময়মনসিংহ
সম্পাদক : ময়মনসিংহ জেলা বোর্ড
২৬. দুঃসাহসী আঙুলে – পৌষ ১৩৮৩
২৭. প্রতিকুল পিরামিড – মাঘ-ফাগুন ১৩৮৩
২৮. উদাসীন প্রস্থান – বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য ১৩৮৪
উত্তরাধিকার, ঢাকা
সম্পাদক : বাংলা একাডেমী
২৯. আধখানা বেলা – জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
৩০. বিষবৃক্ষ ভালোবাসা রানার, ঢাকা সম্পাদক : সংস্কৃতি সংসদ (ঢা. বি) – নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৭৭
৩১. রক্তের বীজ – বিজয় দিবস ১৯৭৭
মুক্তকণ্ঠ, ঢাকা
সম্পাদক : বিভুরঞ্জন সরকার
৩২. প্রতীক্ষার পথ – একুশের প্রকাশনা ১৯৭৮
পরিচয়, কলকাতা
সম্পাদক : দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৩. গহিন গাঙের জল – জুলাই ১৯৭৫
প্রতিধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : গোলাম রব্বানী বাবু
৩৪. আমি সেই অভিমান – এপ্রিল ১৯৭৮
প্রতিফলন, ঢাকা
সম্পাদক : চৌধুরী মোহাম্মদ জহুরুল হক
৩৫. অসুস্থ চাঁদ – ভাষা দিবস সংখ্যা ১৯৭৮
স্বকাল, ঢাকা
সম্পাদক : আহমদ আজাদ
৩৬, রৌদ্র সম্পাত – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮
শব্দমী, ঢাকা
সম্পাদক : তারিক এ, খন্দকার
৩৭. একদিন কৃষ্ণচূড়া – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮
৩৮. বিষের বকুল – জুন-জুলাই ১৯৭৮
৩৯. নেপথ্য ট্রাফিক বিজয় – দিবস ১৯৭৭
অরণি, সিরাজগঞ্জ
সম্পাদক : ছাইফুল ইসলাম
৪০. কৃষ্ণপক্ষে ফেরা – একুশের সংকলন ১৯৭৮
গণসাহিত্য, ঢাকা ভারপ্রাপ্ত
সম্পাদক : আবদুলহাফিজ/মফিদুল হক
৪১. অপরাধ দগ্ধদীপ – বৈশাখ ১৩৮৫
৪২, হাড়েরও ঘরখানি – ফাগুন ১৩৮৭
তারুণ্যের অক্ষর, ঢাকা
সম্পাদক : আবুল কাসেম (যুব ইউনিয়ন)
৪৩. বিশ্বাসী বৃক্ষের ছায়া – একুশের প্রকাশনা ১৯৭৮
ধানসিঁড়ি, ঢাকা
সম্পাদক : শাহেদ মিজানুর রহমান
৪৪. নির্জন হত্যাকারী – মাঘ ১৩৮৪
রৌদ্রের রঙ, ঢাকা
সম্পাদক : শামীম কবির/নাঈম হাসান
৪৫. শূন্যতার পিপীলিকা – বিজয় দিসব ১৯৭৮
৪৬. বিশ্বমিত্র নই – পৌষ-মাঘ ১৩৮৭
বন্ধু এবার চল, ঢাকা
সম্পাদক : রবীন্দ্রনাথ অধিকারী (সংস্কৃতি সংসদ)
৪৭. রাস্তার কবিতা – গণসঙ্গীতের সংকলন ১৯৭৮
ভাস্কর, খুলনা
সম্পাদক : কামাল উদ্দিন মাহমুদ (ভাস্কর কবিগোষ্ঠী)
৪৮. বিশ্বাসের চোখে নির্মান – চতুর্থ সংখ্যা ১৯৭৮
স্বকীয়তা, ঢাকা
সম্পাদক : ইসরাইল খান
৪৯. চাঁদের করোটি – আগস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৭৮
৫০. আঁধার শীতল রাত – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
সভ্যতা, ঢাকা
সম্পাদক : হাফিজুর রহমান।
৫১. বিশ্বাসের হাতিয়ার – এপ্রিল ১৯৭৭
সাম্প্রতিক, ঢাকা
সম্পাদক : আমিনুল ইসলাম বেদু
৫২. সেই গ্রাম সেই বুকের পাজর – শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৮৪
৫৩. আমি সেই অভিমান – ফাগুন ১৩৮৩
৫৪. নক্ষত্রের ধুলো – ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৮২
ইশতেহার, ঢাকা
সম্পাদক : জাতীয় ছাত্রদল, ঢাকা নগর কমিটি
৫৫. করতলে গ্রেনেড – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
বৈজয়ন্তী, ঢাকা
সম্পাদক : নেয়ামুল বারী বারু/সিদ্দিকুজ্জামান বাহার/অশোকরঞ্জন ঘোষ
৫৬. শিকড়ের ঋন – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
ধলেশ্বরী, ঢাকা
সম্পাদক : নাসিমা খান
৫৭. সম্রাটের চাবুক – ১৯৭৬
৫৮. প্রিয় দংশন বিষ – ১৯৭৭
৫৯. জানালা দরজা বিহীন অন্ধকার – ১৯৭৮
৬০. সান্ধ্যকালীন মহুয়াকে – ১৯৭৬
বন্ধ করো না পাখা, ঢাকা
সম্পাদক : জাফরুল আহসান
৬১. অশোভন তনু – সেপ্টেম্বর ১৯৭৬
বিশ্বাস, ঢাকা
সম্পাদক: মুহম্মদ নূরুল হুদা
৬২. মুখেমুখি দাঁড়াবার দিন – জানুয়ারি-মার্চ ১৯৭৭
তোমার আঙিনা জুড়ে, ঢাকা
সম্পাদক : আবুল কাসেম (যুব ইউনিয়ন)
৬৩. বিশ্বাসের হাতিয়ার – বৈশাখ ১৩৮৫ এপ্রিল ১৯৭৮
নান্দনিক, ঢাকা
সম্পাদক : মুস্তফা আনোয়ার
৬৪. পাললিক উদ্ধার – ২৬ মার্চ ১৯৭৭
৬৫. মোহমগ্ন পর্যটন – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৬
নির্জন ক্রোধ, ঢাকা
সম্পাদক : আনোয়ারুল ইসলাম/মাহবুব নওরোজ
৬৬. হারানো হরিনপুর – শহিদ দিবস সংখ্যা ১৯৭৭
সুপ্রভাত, ঢাকা
সম্পাদক : সুলতানা বেগম
৬৭. উপদ্রুত উপকূল – জানুয়ারি ১৯৭৮
ছাড়পত্র, ঢাকা সম্পাদক : রনু রহমান
৬৮. প্রতিবাদী সবুজ শ্রমিক – একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
শ্লোগান, খুলনা
সম্পাদক : অনুশীলন কবি গোষ্ঠী
৬৯. ফেনিল মেঘলা চোখ – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
স্ফুলিঙ্গ, সিরাজগঞ্জ সম্পাদক : শ. ম. শহীদুল ইসলাম
৭০, সেই লাজুক শ্যামল পাখি – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
উপকূল, খুলনা
সম্পাদক : (নাম পৃষ্ঠা ঘেঁড়া)
৭১. মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল – ১৯৭৭
চন্দ্রালোকে পাখির পালক, খুলনা
সম্পাদক : (নাম পৃষ্ঠা ছেঁড়া)
৭২. মাংসে নীল পোকা – ১৯৭৭
মাতাল মোহনা, রাজশাহী
সম্পাদক : মোহাম্মদ রেজাউল কাবীর
৭৩. মাতাল মোহনা – ১৩/৯/১৯৭৭
অয়ন, ঢাকা
সম্পাদক : তপন জ্যোতি
৭৪. অনুর্বর ঋতু – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭
৭৫. হে হরিৎ হননবিলাসী – জানুয়ারি ১৯৭৭
পলিমাটি, ঢাকা
সম্পাদক : বিমল দত্ত
৭৬. মানুষের মানচিত্র-২৩ – পৌষ ১৩৯০
৭৭. বৈশাখি ছেনাল রোদ – বৈশাখ ১৩৮৮
সড়ক, ঢাকা
সম্পাদক : বাবুল আনোয়ার
৭৮. মানুষের মানচিত্র-৫ – আগস্ট-অক্টোবর ১৯৮৩
বিকেল, ঢাকা
সম্পাদক : মাহমুদ মান্না
৭৯. মানুষের মানচিত্র-৪ – ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩
৮০. মানুষের মানচিত্র-৫ – ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩
প্রগতি, ঢাকা
সম্পাদক : নূর মোহম্মদ নুরু
৮১. সাহস – মে দিবস সংখ্যা ১৯৭৯
অরোরা, ঢাকা
সম্পাদক : মহিউদ্দিন আহম্মেদ (অরোরা চলচিত্র সংসদ)
৮২. প্রতিবাদপত্র – শহিদ দিবস সংখ্যা ১৯৮৩
দুর্যোগের আলো, ঢাকা
সম্পাদক : শফিউল্লাহ নাজিম (তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগ)
৮৩. মানুষের মানচিত্র-২৯ – স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা ১৯৮৩
এই সময়, ঢাকা
সম্পাদক : ধূমকেতু সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ
৮৪. আল্লাতালার হাত – একুশের সংকলন ১৯৮৪
৮৫. চরিত্র বদল – একুশের সংকলন ১৯৮৬
একুশ মানেই লড়াই করার প্রস্তুতি, ঢাকা
সম্পাদনা : রুমী কবির (তেজগাঁও পলিটেকনিক শাখা, ছাত্রলীগ)
৮৬. মানুষের মানচিত্র-৩২ – একুশের সংকলন ১৯৮৪
জয়ধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)
৮৭. নৈশভোজ ৮৩ – একুশের প্রকাশনা ১৯৮৪
একুশ আমার সূর্য তোরণ, ঢাকা
সম্পাদনা : আইভি রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
৮৮. মানুষের মানচিত্র-২২ – একুশের সংকলন ১৯৮৪
রক্তঘামে রক্তমাখা, রাজশাহী
সম্পাদক : আবু রাকিব (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)
৮৯. পাকস্থলি – একুশের প্রকাশনা ১৯৮৫
কাশবন, ঢাকা
সম্পাদক : আমিনুল ইসলাম
৯০. কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প – অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৮৬
জয়ধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : মাসুদ বিবাগী (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)।
৯১. মিছিল – একুশের প্রকাশনা ১৯৮৫
নৈকট্য, ঢাকা
সম্পাদক : মিজানুর রহমান বাবু
৯২. পৃথক প্রবেশ – একুশে সংখ্যা ১৯৮৭
সাহিত্য সাময়িকী, ঢাকা
সম্পাদনাঃ শিরিন সুলতানা।
৯৩. শ্মশান – একুশে সংখ্যা ১৯৮৭
স্রোত, ঢাকা
সম্পাদক : ফজল মাহমুদ
৯৪. স্বাস্থ্যসম্মত প্রত্যাখ্যান – ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭
কিছুধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : আনওয়ার আহমেদ
৯৫, গাছগাছালির গল্প – জানুয়ারি ১৯৮৮
৯৬. শাড়ি কাপড়ের গল্প – একুশে সংকলন ১৯৮৮
ঢাকার ডাক, ঢাকা
সম্পাদক : আলতাফ আলী হাসু (ঋষিজ)
৯৮. দৃশ্যকাব্য-২ – একুশে সংকলন ১৯৮৮
৯৯. গান (মুক্তিপাক) – একুশে সংকলন ১৯৮৮
সমুদ্র, ঢাকা
সম্পাদক : ওমর ফারুক
১০০. দৃশ্যকাব্য-২ – এপ্রিল ১৯৮৮
নান্দীপাঠ, সাভার
সম্পাদক : সাজ্জাদ আরেফিন
১০১. চোখ খুলে গ্যালো – জুলাই ১৯৮৮
জয়ন্তী, ঢাকা
সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান মাহফুজ
১০২. মানুষের মানচিত্র-১০ – আগস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৮১
অভিব্যক্তি, জয়দেবপুর
সম্পাদক : আমজাদ হোসাইন
১০৩. একজন উদাসিন – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯
অঙ্গীকার, ঢাকা
সম্পাদক : মনোজ মণ্ডল (জগন্নাথ হল শাখা, ছাত্র ইউনিয়ন)
১০৪. শিকড় – একুশের সংকলন ১৯৮১
মুখরিত প্রতিরোধ, ঢাকা
সম্পাদক : অনুপম মণ্ডল (জগন্নাথ হল ছাত্রসংসদ)
১০৫. সাত পুরুষের ভাঙা নৌকো – একুশের সংকলন ১৯৮১
জয়ধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : বিভুরঞ্জন সরকার (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)
১০৬. গহিন গাঙের জল – একুশে ১৯৮১
স্বর, খুলনা
সম্পাদক : নজরুল খন্দকার/সুকান্ত সরকার/অর্পনউজামান/কামাল মাহমুদ
১০৭. রক্তের বীজ – ৯ ফাগুন ১৯৮৮
ইন্দ্রানী, কলকাতা
সম্পাদক : নির্মল বসাক
১০৮. সাত পুরুষের ভাঙা নৌকো – রথযাত্রা ১৩৮৮
কয়েকজন, ময়মনসিংহ
সম্পাদক : শাহজাহান সিদ্দিকী
১০৯. ছিনতাই – এপ্রিল ১৯৮১
বিপক্ষে, ঢাকা
সম্পাদক : আবু সাঈদ জুবেরী/আহমদ বশীর/জাহিদ হায়দার
১১০. মানুষের মানচিত্র-৮ – ডিসেম্বর ১৯৮১
গণসংস্কৃতি, ঢাকা
সম্পাদক : কুয়াত ইল ইসলাম
১১১. মানুষের মানচিত্র – ফাগুন ১৩৮৮
১১২. ধমান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ ঘৃন্য চতুরতা – আশ্বিন ১৩৯৭
পতাকা যারে দাও, ঢাকা
সম্পাদক : জাফর ওয়াজেদ (ডাকসু)
১১৩. মনে করো তাম্রলিপ্তি – একুশের প্রকাশনা ১৯৮১
সুন্দরম, ঢাকা
সম্পাদক : আবুল কালাম আজাদ
১১৪. একজন উদাসিন – সেপ্টেম্বর ১৯৮০
চেতনা, ঢাকা
সম্পাদক : সাদেক সাচী
১১৫. অতিক্রম – একুশের সংকলন ১৯৮০
অলক্ত, কুমিল্লা
সম্পাদক : তিতাশ চৌধুরী
১১৬. একজন উদাসিন – এপ্রিল ১৯৮০
জয়ধ্বনি, ঢাকা
সম্পাদক : কামরুল আহসান (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন)
১১৭. নীল কারুকাজ পুড়িয়ে দেব – একুশের প্রকাশনা ১৯৮০
কবি, যশোর
সম্পাদক : বোরহান উদ্দীন জাকির
১১৮. শ্রাবন এলে আকাশের চোখে – শহিদ দিবস ১৯৭৬
সংলাপ, কুমিল্লা
সম্পাদক : কিংশুক ওসমান/সপ্তক ওসমান
১১৯. আঁধারের শ্রমিক – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
রক্তের সিঁড়ি বেয়ে, ঢাকা
সম্পাদক : মতিউর রহমান ভূঁইয়া
১২০. অন্তর্গত জটিলতা – একুশে ১৯৭৬
কিংশুক, ঢাকা
সম্পাদক : জালাল আহমে
১২১. অলৌকিক রাতে শব্দের শিশির – বৈশাখ ১৩৮৩
১২২. স্মৃতি বিষয়ক তৃতীয় ঢেউ – বৈশাখ ১৩৮২
কৃষ্ণের লালপাখী, ঢাকা
সম্পাদক : শাহরিয়ার ইমাম
১২৩. বিকল্প বসতি – জুলাই ১৯৭৬
কণ্ঠস্বর, ঢাকা
সম্পাদক : আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
১২৪. বেলা যায় বোধিদ্রুমে – মার্চ ১৯৭৬
১৯৭৬ ডিসেম্বর ১৯৭৬ – আশ্বিন ১৩৮৩
কৌসুমী, ঢাকা
সম্পাদক : কামাল আতাউর রহমান
১২৫. গ্লানির মুকুট মাথায় –
১২৬. নিবেদিত বকুল বেদনা –
ছন্দধারা, ঢাকা
সম্পাদক : মোহাম্মদ আবদুল মন্নান মিয়া
১২৭. গৈরিক লাবন্য তুমি। রংপুর সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা, রংপুর সম্পাদক : আবু মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
১২৮. কষ্টবিদ্ধ মানুষ – বৈশাখ-চৈত্র ১৩৮৩
১২৯. শস্যের বিশ্বাস – বৈশাখ-চৈত্র ১৩৮৩
ইদানিং, ঢাকা
সম্পাদক :এরশাদ হাসিব
১৩০. অনির্দিষ্ট অধিবাস – কার্তিক ১৩৮৩
প্রতিদ্বন্দ্বী জনপদ, ঢাকা
সম্পাদক : (নাম জানা যায় নি)
১৩১. আলোকিত হোক বোধি – বিজয় দিবস/১৯৭৬
বিচিত্রা, ঢাকা
সম্পাদক : শামসুর রাহমান
১৩২. মানুষের মানচিত্র-২৫ – ৮ জুলাই ১৯৮৩
১৩৩. মানুষের মানচিত্র-৩১ – ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪
১৩৪. মৌলিক মুখোশ – ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭
বিচিন্তা, ঢাকা
সম্পাদক : মিনার মাহমুদ
১৩৫. এক্স-রে রিপোর্ট – ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮
দিকচিহ্ন, ঢাকা
সম্পাদক : মোহন রায়হান
১৩৬. রূপকথা – উৎসব সংখ্যা ১৩৯৬
ভারত বিচিত্রা, ঢাকা
সম্পাদক : বেলাল চৌধুরী
১৩৭. আত্মরক্ষা – জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮
১৩৮. তছনছ বিশ্বামিত্র – জুলাই ১৯৯০
নিপুণ, ঢাকা
সম্পাদক : শাহজাহান চৌধুরী
১৩৯. জীবন যাপন-৩ – ১লা বৈশাখ ১৩৯২
১৪০. চিত্রনাট্য-১ – মার্চ ১৯৮৪
সাপ্তাহিক লাবণী, ঢাকা
সম্পাদক : লীনা কবীর
১৪১. ফেরা – শহিদ দিবস সংখ্যা ১৯৮৭
রোববার, ঢাকা
সম্পাদক : আবদুল হাফিজ
১৪২. শ্মশান – শহিদ দিবস ১৯৮৭
১৪৩. কাঁচের গেলাসে উপচানো মদ – ২৯ নভেম্বর ১৯৭৮
১৪৪. পথের পৃথিবী – শহিদ দিবস ১৯৭৯
১৪৫. অপরাহ্নের অসুখ – ২২ জুলাই ১৯৭৯
১৪৬. খামার – ২ মার্চ ১৯৮০
১৪৭. হাউসের তালা – ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮০
১৪৮. মানুষের মানচিত্র-১৬ – ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮১
১৪৯. অনুতপ্ত অন্ধকার-১ – ২৮ আগস্ট ১৯৮৩
১৫০. অনুতপ্ত অন্ধকার-২ – ১৩ নভেম্বর ১৯৮৩
১৫১. জীবনযাপন – ঈদপুনর্মিলনী সংখ্যা ১৯৮৫
১৫২. অবচেতনের পথঘাট – ২২ মে ১৯৮৮
১৫৩. ঘুমিয়ে পড়েছে সব – ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯০
পূর্ণিমা, ঢাকা
নির্বাহী সম্পাদক : আতাহার খান
১৫৪. পাখিদের কথা ভেবে ডানা মেলে দিই – ২১ নভেম্বর ১৯৯০
মূলধারা, ঢাকা
প্রধান সম্পাদক : শামসুর রাহমান
১৫৫. নষ্ট আঙুলে নষ্ট নিখিল নাড়ি – ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯০
১৫৬. অপ্রাপ্ত আধুলি – ২৫ মার্চ ১৯৯০
১৫৭. নদীর ওপারে সূর্য – ১৭ জুন ১৯৯০
১৫৮. ১৯৮৯ – ৭ জানুয়ারি ১৯৯০
পূর্বাভাষ, ঢাকা
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোজাম্মেল বাবু
১৫৯. বাতাসে লাগের গন্ধ – ১৫ অক্টোবর ১৯৯০
১৬০. বেহুলার ভেলা ভাসে সময়ের তুমুল তুফানে – ২৩ জানুয়ারি ১৯৯০
যোগাযোগ বার্তা, ঢাকা
সম্পাদক : শিরীন রহমান জাহিদ
১৬১. অন্তর্গত যাত্রা – এপ্রিল ১৯৯০
সাপ্তাহিক আগামী, ঢাকা
সম্পাদক : আরেফিন বাদল
১৬২. পরকীয়া – ১৬ নভেম্বর ১৯৯০
উত্তরণ, ঢাকা
সম্পাদক : কাজী আকরাম হোসেন
১৬৩. গাঢ় দুঃসময় – ২৪ জুন-৮ জুলাই ১৯৯০
লাবণী, ঢাকা
সম্পাদক : নাঈমুল ইসলাম খান
১৬৪. প্রজাপতির স্বভাব – ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০
উন্মেষ, ঢাকা
সম্পাদক : জাফর সাদেক অর্ক
১৬৫. এক্স-রে রিপোর্ট – স্বাধীনতা দিবস ১৯৯০
শতাব্দী, ঢাকা
প্রধান সম্পাদক শামসুল বারী উৎপল
১৬৬. যুগল দোলনা – স্বাধীনতা দিবস ১৯৯০
ক্যাম্পাস, ঢাকা
সম্পাদক : আশরাফ মোহাম্মদ ইকবাল
১৬৭. সুতনুকা উদ্ধার – ১৩ জানুয়ারি ১৯৭৭
দুর্বার, ঢাকা
নির্বাহী সম্পাদক : এম এ সাত্তার
১৬৮. শব্দ শ্রমিক
মাসিক প্রতিরোধ, ঢাকা
সম্পাদক : আরেফিন বাদল
১৬৯. ফসলের সভ্যতা – ১ অক্টোবর ১৯৭৭
১৭০. কার্পাস মেঘের দিকে – ১ অক্টোবর ১৯৭৮
মণীষা, ঢাকা
সম্পাদক : জাহানারা তাহের
১৭১. পলাতকা শুভ্র আঙুল – বর্যশুরু সংখ্যা ১৯৭৭
পাক্ষিক আজকাল, ঢাকা
কার্যনির্বাহী সম্পাদক : সেলিনা হোসেন
১৭২. প্রতীক্ষার চিতায় – ৩১ জানুয়ারি ১৯৭৮
সচিত্র বাংলাদেশ, ঢাকা
প্রধান সম্পাদক : এম এ ওহাব
১৭৩. পরানে চাই দখিন হাওয়া – ১লা অক্টোবর ১৯৮০
১৭৪. হাউসের তালা – ১ মে ১৯৮১
সুখী পরিবার, ঢাকা
কার্যনির্বাহী সম্পাদক : আ ম মকসুদুজ্জামান লস্কর (এফপিএবি-র মুখপত্র)
১৭৫. সাত পুরুষের ভাঙা নৌকো – নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৮০
১৭৬. মানুষের মানচিত্র-২৫ – মে-আগস্ট ১৯৮২
দীপক, ঢাকা
সম্পাদক : কাজী জহুরুল হক (পুলিশ সমবায় সমিতির সাহিত্যপত্র)
১৭৭, মানুষের মানচিত্র–৯ – ভাদ্র ১৩৮৮
১৭৮, মানুষের মানচিত্র-১০ – কার্তিক ১৩৮৮
১৭৯. মানুষের মানচিত্র-১২ – মাঘ ১৩৮৮
দুঃসহ প্রহরে আমি, ঢাকা
সম্পাদক : মনিরুল ইসলাম (মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের মুখপত্র)
১৮০. মনো করো তাম্রলিপ্তি – বিজয় দিবস ১৯৮১
সচিত্র স্বদেশ, ঢাকা
সম্পাদক : জাকিউদ্দিন আহমেদ
১৮১. মানুষের মানচিত্র-৬ – ১৪ জানুয়ারি ১৯৮২
১৮২. মানুষের মানচিত্র-১৩ – ৮ জুলাই ১৯৮২
সাপ্তাহিক বিপ্লব, ঢাকা
সম্পাদক : সিকদার আমিনুল হক
১৮৩. মানুষের মানচিত্র-২ – ২৭ জুলাই ১৯৮৩
১৮৪. মানুষের মানচিত্র-৩০ – ৫ জানুয়ারি ১৯৮৪
১৮৫. অনুতপ্ত অন্ধকার-৪ – ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪
স্বর, খুলনা
সম্পাদক : কামরুল ইসলাম/কামাল মাহমুদ
১৮৬. চিঠিপত্রের গল্প – একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫
সচিত্র সন্ধানী, ঢাকা
সম্পাদক : গাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ
১৮৭. স্বপ্নগ্রস্ত – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
১৮৮, একজোড়া অন্ধ আঁখি – ৩০ জুলাই ১৯৭৮
১৮৯, পৌরানিক চাষা – ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮
১৯০. চাষারা ঘুমিয়ে আছে – ৪ মার্চ ১৯৭৯
১৯১. বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা- ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯
১৯২. দ্বিধা – ১৪ অক্টোবর ১৯৭৯
১৯৩. মানুষের মানচিত্র-১ – ২৬ জুলাই ১৯৮১
১৯৪. মানুষের মানচিত্র-৭ – ১৫ জুলাই ১৯৮১
১৯৫. দুটি চোখ মনে আছে – ১১ জানুয়ারি ১৯৮১
১৯৬. মানুষের মানচিত্র-১১ – ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
১৯৭. মানুষের মানচিত্র-৯ – ২০ ডিসেম্বর ১৯৮১
১৯৮. মানুষের মানচিত্র-২০ – ১৮ এপ্রিল ১৯৮২
২৯৯. নপুংশক কবিদের প্রতি – ২ ডিসেম্বর ১৯৮৪
২০০. ক্রান্তিকাল – ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪
সৃজনী সাহিত্য পত্রিকা, নেত্রকোণা
প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : খালেকদাদ চৌধুরী
২০১. কানামাছি ভোঁ ভো – বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৯৫
দুর্বার, ঢাকা
সম্পাদক : মো. আবদুস সালম
২০২. এক্স-রে রিপোর্ট – ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮
গণবার্তা, কলকাতা
সম্পাদক : সুখময় চক্রবর্তী
২০৪. নৈশভোজ – শারদীয় সংখ্যা ১৩৯৭
কোমল গান্ধার, খুলনা
সম্পাদক : কামরুল ইসলাম (নির্মাণ লেখক শিবির)
২০৫. পরাজয় ভিন্ন কিছু – ১৩৮৩
২০৬. কৃষ্ণপক্ষে ফেরা – ফেব্রুয়ারি ১৩৮৩
সাপ্তাহিক কক্সবাজার, কক্সবাজার
সম্পাদক : (নাম জানা যায় নি।
২০৭. মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল – ২৭ নভেম্বর ১৯৭৭
যখন অনুভব, চট্টগ্রাম
সম্পাদক : নিতাই সেন
২০৮. অশোভন তনু – ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
এ-ছাড়া তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছে। কিছু গান কবিতা হিসেবেই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিছু গান রচিত হয়েছে ক্যাসেটের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনেই। ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর ‘শোকার্ত বাংলা’ শীর্ষক ক্যাসেটের জন্যে কয়েকটি গান লিখেছেন। কবি-রচিত গানগুলোর একটি তালিকা দেয়া যেতে পারে।
১. প্রকৃতির সাথে মানুষের/এই বোঝাঁপড়া – ২৪.০১.৮৮
২. ও নিঠুর দরিয়ার পানি ২৪.০১.৮৮
সুর : গোলাম মহম্মদ
৩. কি লাভ তাহলে আর/ইটের সভ্যতা গোড়ে – ২৩.০১.৮৮
৪. মানুষ কেন যে বৃক্ষের মতো নয়/বিনাশী নখরহীন! – ২২.০১.৮৮
৫. আমার ঘরে খাবার নেই রে/মরলাম শুধু খেটে
৬. কেবল মেঘের আওয়াজ শুনি গুম্ গুম্ – ১৫.১২ ৮৪
৭. যদি চোখে আর চোখ রাখা না-ই হয় – ০৭.১১.৮৭
৮. শত বছরের পরাধীন কোটি প্রাণে – ২৬.১০.৮৭
সুর : শেখ সাদী খান
৯. নাচতে নেমে বলছি না তো ঘোমটা দেবো – ১০.০৩.৮৭
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১০. জোস্নায় ভেজা বালুচরে/দাঁড়িয়েছিলাম – ২১.০৩.৮৭
১১. রাতের আকাশের চেয়ে/তারা গোনা সেই দিনগুলো – ০৩.০৩.৮৭
১২. প্রিয় হৃদয় আমার, চিঠি লিখো – ০৫.০৯.৮৪
১৩. মুক্তি পাক, মুক্তি পাক/গণতন্ত্র মুক্তি পাক – ০২.০২.৮৮
সুর : ফকির আলমগীর
১৪. পাহাড় এসে সামনে দাঁড়ায় – ১৯.০১.৭৮
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১৫. ওই আকাশ গান শোনাবে – ১৯.০১.৭৮
১৬. কোন দিকে ভাসাবে এ স্বপ্নের নাও? – ১৯.০১.৭৮
১৭. এদেশে দুর্দিন,/জমেছে বহু ঋণ –
১৮. গাছের পাতা হলুদ হইতাছে –
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১৯. রোদ ঝলমল এই যে দুপুর – ১৬.০৫.৮৭
২০. পথপানে চেয়ে বোসে ছিলাম – ১১.০৫.৮৭
২১. মুখে বোল্লেও কিছু বুঝি না, বুঝি না – ০১.০৫.৮৭
২২. আকাশের গ্রামে, মেঘের পাড়ায় – ১৭.১০.৮৬
২৩. কষ্টের মেঘ জমে থাকে বুকে/বৃষ্টি নামে না চোখে – ১৭.১০.৮৬
২৪. দিন গেল দিন গ্যালো রে/ও দিন গ্যালো রে
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২৫. আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২৬. আমরা পাড়ি দেবো/রুদ্র সমুদ্র, কালো রাত – ১০.০৩.৮৭
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২৭. ছিড়িতে না পারি দড়াদড়ি
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২৮. দরোজাটাকে খোলো – ১০.০৩.৮৭
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
২৯. হৃদয়ে এক ফুল ফুটেছে/ তোমরা কি ঘ্রান পাও? – ১০.০৩.৮৭
৩০. এ আমার শুধু তোমাকেই ভুলে থাকা – ১১.০৫.৮৭
৩১. এই ঘুম ঘুম চাঁদনি রাত/তুমি আমি একা দু’জনে – ১১.০৫.৮৭
৩২. ওই চাঁদ জানে আকাশের/ গোপন ব্যথা – ০৩.০৩.৮৭
সুর : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
৩৩. আমায় শুধু একটি কথাই দাও – ১৬.০৫.৮৭
৩৪. আমি চিরদিন শুধু তোমারি – ১৩.০৫.৮৭
৩৫, তোমার আমার কিছু গান আর – ১৪.০৫.৮৯
৩৬. পথে পথে একার ছায়া – ২৯.০৫.৮৯
৩৭. সেই বনে আজো ফুল ফুটে হেসে রয় – ১৬.০৫.৮৭
৩৮. শাদা কালো মানুষের ভেদাভেদ নেই
৩৯. শৃংখল মুক্তির জন্যে কবিতা আজ – ২২.০১.৮৭
সুর : ফকির আলমগীর
৪০. নুর হোসেনের রক্তে লেখা আন্দোলনের নাম – ০২.০২.৮৮
সুর : ফকির আলমগীর
৪১. রোমের রাজা বাঁশি বাজায়/কারবাইনের সুরে – ০২.০২.৮৮
৪২. শাদা মানুষের পিশাচের থাবা – ০৫.০৪.৮৬
৪৩. সংবাদপত্রের টোকাই না ভাই/রক্তেমাংশে গড়া – ০৬.০৪.৮৬
৪৪. সারা জীবন এই জীবনের/ঝরাপাতা টোকাই – ০৬.০৪.৮৬
৪৬. কষ্টের কথা বলতে গেলে – ২৭.১০.৮৫
সুর : ফকির আলমগীর
৪৭. নানান রঙের দালান উঠছে ঢাকার শহরে – ২৫.১০.৮৫
৪৮. এই জীবন দিয়ে জানিয়ে গেলাম/জীবন অন্ধকার – ২৫.১০.৮৫
সুর : ফকির আলমগীর
৪৯. শবমেহেরের কপাল তার হাতে – ২৫.০৪.৮৫
সুর : ফকির আলমগীর
৫০. এই দেহ বানাইছে আল্লায় – ০৪.০৫.৮৫
৫১. ইচ্ছা ছিল মনে/আশা ছিল মনে – ০৪.০৫.৮৫
৫২. ভাঙাচোরা মন, বল… ০৪.০৫.৮৫
৫৩. পাপ কারে কয় সই? – ০৪.০৫.৮৫