পথ যে দীর্ঘ তা অনুমানে জানা ছিল। কিন্তু তা যে এতো দীর্ঘ কল্পনা করেনি কখনও। প্রথমে পদব্রজে, অতঃপর গো-শকটে। শেষে নৌকায়। অপরিচিত জনপদ, কেউ প্রশ্ন করে না, তোমাদের সম্পর্কটি কি? প্রশ্নের অবকাশ কোথায়? লীলা প্রায় দেহলগ্ন হয়ে বসে। অবগুণ্ঠনটি দীর্ঘ করে নববধূর মতো, আর সর্বক্ষণই প্রায় নীরব সে। চকিতে কখনও মুখখানি দেখা গেলে, কিংবা তার মৃদু কণ্ঠস্বর শোনা গেলেও কিছুই বোধগম্য হয় না। ফলে সকলেই সরল অনুমানটিই করে। মনে করে, নববধূ স্বামীগৃহে চলেছে।
তবে বিপদ হয়েছিলো আত্রেয়ী তীরের একটি গ্রামে। সেদিন ছিলো গ্রামের হাট। ক্ষুদ্র পান্থশালাটিতে স্থান ছিলো না। মন্দিরেও স্থান পাওয়া গেলো না। মহাসমস্যা, কোথায় রাত্রিযাপন করে। এদিকে রাত্রি গভীরতর হচ্ছে, ক্ষুধা তৃষ্ণা ক্লান্তি ইত্যাদির ভারে দেহ আর চলে না। এমন সময় পান্থশালার প্রৌঢ় অধিকারীটি ডাকলেন। বললেন, আপনারা আমার গৃহে চলুন, সেখানে আপনাদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা হবে।
ব্যবস্থাটি অভাবিতপূর্ব, বহির্বাটির একটি সম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠ পাওয়া গেলো–এমনকি তৈল প্রদীপটি পর্যন্ত। ফলাহারের উপকরণাদি তারা সঙ্গে বহন করে–সুতরাং আহার পর্ব সহজেই সমাধা হলো। তারপরই নিদ্রা চাই। কিন্তু শয্যা মাত্র একখানিই এবং তা এতোই ক্ষুদ্র যে একাধিক লোকের, স্বামী স্ত্রী না হলে, স্থান সংকুলান অসম্ভব। পূর্বে এমন অবস্থা হয়নি। কারণ পথিমধ্যে যে দুদিন রাত্রিযাপন করেছে সে দুদিন লীলাবতীর স্থান হয়েছে অন্তঃপুরে। বলা যায়, দুজনে এক প্রকোষ্ঠে রাত্রিযাপন এই প্রথম। শ্যামাঙ্গ কোনো প্রকার চিন্তা না করে দ্বারের কাছে ভূমিতে লম্বমান হলো। লীলাকে শয্যাখানির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললো, তুমি ঐখানে শয়ন করো।
লীলাবতী কিছু বললো না। স্থাণু মূর্তির মতো দীর্ঘক্ষণ একইভাবে দাঁড়িয়ে রইলো।
শ্যামাঙ্গ কী বলবে ভেবে পায় না। যদি সে শয্যায় শয়ন করে, তাহলে লীলাবতীর ধারণা হবে যে সে লোভী এবং সুযোগ সন্ধানী, আর যদি ভূমিতে রাত্রিযাপন করে, তাহলে লীলাবতী শয্যায় শয়ান হয়ে সমস্ত রাত্রি অস্বস্তি বোধ করবে। সে পুনরায় বললো, লীলা, তুমি শয়ন করো, রাত্রি গম্ভীর হয়েছে।
লীলাবতী গুণ্ঠন উন্মোচন করে বলে, তুমি শয়ন করবে ভূমিতে আর আমি শয়ন করবো শয্যায়? এ কথা চিন্তা করবার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?
এ তো মহাজ্বালা! শ্যামাঙ্গ উঠে দাঁড়ায়। বলে, তুমি আমাকে কী করতে বলো?
তুমি শয্যায় শয়ন করো, আমি ভূমিতে থাকি।
তোমার এ ব্যবস্থাই বা আমি মানবো কেন?
শ্যামাঙ্গের এই কথায় লীলাবতী ঈষৎ কুপিতা হয়। বলে, উত্তম কথা, তুমি মেনন না–এসো, তাহলে অশ্বের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দুজনে নিদ্রা যাই।
না, তা কেন?
কেন নয়, তাহলে কি বলতে চাও দুজনেই এক শয্যায় রাত্রিযাপন করবো? যদি ঐরূপই তোমার ইচ্ছা থাকে, তাহলে বলো–আমি সেইভাবে রাত্রিযাপনের জন্য প্রস্তুত হই।
ক্লান্ত অবসন্ন দেহে মধ্যরাত্রে বাদানুবাদে শ্যামাঙ্গের প্রবৃত্তি হচ্ছিলো না। তার চক্ষু দুটি মুদিত হয়ে আসছিলো। ফলে আর সে কথা বললো না, শয্যায় নিজেকে নিক্ষেপ করলোএবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রায়, বলা যায়, সে নিদ্রায় নিমজ্জিত হয়ে গেলো।
তৈলদীপ কখন নির্বাপিত হয়েছে জানে না। গভীর রাত্রে অনুভব করলো একখানি কোমল হাত তার কেশ বিলুলিত করছে। সে নিদ্রার ভান করে রইলো। এক সময় অনুভব হলো, হাত নয়, দুটি ওষ্ঠ তার কপাল চুম্বন করছে। এবং ঐ মুহূর্তে সে দুবাহুতে গলদেশ বেষ্টন করে নিজের মুখখানি লীলাবতীর পরিপূর্ণ বক্ষে নিমজ্জিত করলো। শ্যামাঙ্গের ঐ আচরণে মুহূর্তের জন্য যেন বিমূঢ় হলো লীলাবতী। সজোরে নিজেকে মুক্ত করে ভারাক্রান্ত স্বরে বললো, ছাড়ো আমাকে শ্যামাঙ্গ, আমাকে তুমি এভাবে প্রলুব্ধ করো না।
ঐ মুহূর্তে দুই বিন্দু অশ্রু কপোলে এসে পড়লে সে চমকিত হয়। বলে, কি ব্যাপার, লীলা, তুমি কাঁদছো কেন?
রুদ্ধবাক লীলার দমিত কান্না ঐ কথার পর যেন সকল সংযমের বাধা অতিক্রম করে। সে শ্যামাঙ্গের বক্ষে মাথা রেখে কাঁদতে থাকে। শ্যামাঙ্গ নির্বাক। সর্বস্বহৃতা এই রমণীকে সে কী বলবে? আত্মীয়–পরিজনহীন, বর্তমান ভবিষ্যৎহীন, এই নারীকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কি কোনো ভাষা রচিত হয়েছে কোথাও? সে জানে না। বারংবার সে একটি কথাই বলতে পারলো। আর তা হলো, কেঁদো না লীলা, জীবন যেভাবে এসেছে সেভাবেই আমাদের গ্রহণ করতে হবে না হলে আমাদের মরণ।
গবাক্ষ পথে চন্দ্রালোকের আভা প্রকোষ্ঠে আসছিলো। তাতে লীলার অশ্রুসিক্ত মুখখানি, উজ্জ্বল চোখ দুটি, চন্দ্রকলার মতো কপালখানি, ভারী সুন্দর হয়ে অন্ধকারের মধ্যে ফুটে উঠলো। কান্নায় তার অধরোষ্ঠ স্ফুরিত হলো বারেক, বারেক তার অশ্রুময় চোখের দৃষ্টি বাহিরের শীতল জ্যোৎস্নায় অবগাহন করলো–তারপর সে বললো, শ্যামাঙ্গ, তুমি আমাকে ত্যাগ করে যাও–আমার ক্ষমতা নেই যে আমি তোমাকে গ্রহণ করি যখনই তুমি আমার দিকে চাও, তখনই নিজেকে অপরাধী মনে হয়–কিন্তু তবু আমি নিজেকে নিঃশেষে দান করতে পারি না। কখনও দেহ উন্মুখ হয়, কখনও মন। বড় জটিল অবস্থা আমার তুমি আমাকে ত্যাগ করো।
শ্যামাঙ্গ হাসে। বলে উত্তম কথা, ত্যাগ না হয় করলাম। অতঃপর তুমি কোথায় যাবে?
আমি জানি না, শ্যামাঙ্গ, পুনরায় লীলার কান্না উদ্বেলিত হয়। বলে, যখনই তুমি আমার দেহে হাত রাখো, তখনই যেন মনে হয় এক লম্পট আমার দেহে হাত রাখছে। যখনই তুমি আমার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকাও, মনে হয় তুমি দেহ সম্ভোগের পরিকল্পনা করছো। মনে হয়, কেবল ঐ একটি কারণের জন্য সঙ্গে সঙ্গে চলেছো তুমি। বরং তুমি যদি এমন না হয়ে অন্যদের মতো হতে, যদি কোনো বাধা না মেনে আমাকে বলাকার করতে–তাহলে যেন ছিলো ভালো। আমি তোমাকে ভাবতে পারতাম লম্পট, লোভী এবং স্বার্থান্বেষী বলে, এবং তাহলে তোমাকে আমি ঘৃণা করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তুমি তা নও। তুমি এতো ভালো, মুখপানে চাইলে তোমার পদতলে নিজেকে নিবেদন করার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু নিকটে গেলেই আর পারি না। তুমি যাও প্রিয়তম। আমার ললাটে যা আছে তাই হবে–আমি তোমার সঙ্গে মিথ্যাচার করতে পারবো না।
ঐ সময় শ্যামাঙ্গ উঠে বসে লীলাবতীর স্কন্ধে হাত রাখে। বলে, তুমি কি উন্মাদিনী হয়েছো? এমন অদ্ভুত কথা কেন বলছো? দেখো আমার চক্ষু দুটির দিকে। এই মুহূর্তে আমার কী ইচ্ছা করছে, জানো? ইচ্ছা করছে তোমাকে চুম্বন করি, বক্ষে পিষ্ট করি এবং তারপর প্রাণভরে তোমাকে সম্ভোগ করি–কিন্তু আমি তা করছি না–কারণ জানো?
কী? বলো, কী? লীলাবতীর চক্ষু দুটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
শ্যামাঙ্গ জানায়, আমি যে তোমাকে হৃদয় দান করেছি–আমি কেন লম্পটের মতো অপহরণ করবো? প্রেম নিঃশেষে নিবেদন করার–তাই আমি অপেক্ষা করে আছি।
বলো না শ্যামাঙ্গ। ওভাবে বলো না–আমি জটিল হয়ে পড়েছি–আমাকে উন্মাদিনী জ্ঞান করে ত্যাগ করো।
তবে রে রমণী, ফের ঐ কথা? হঠাৎ শ্যামাঙ্গ ক্রোধের ভান করে। বলে, দেখ তবে জীবন কাকে বলে–এই বলতে বলতে সে দুবাহুতে সজোরে বেষ্টন করে লীলাবতীকে এবং তারপর তার অধরোষ্ঠে পরিপূর্ণ এবং দীর্ঘ একটি চুম্বন দান করে।
ঐ পর্যন্তই–-লীলাবতীর সমগ্র অস্তিত্ব স্তব্ধ হয়ে যায়–আকাঙ্ক্ষায় না ঘৃণায় বলা দুষ্কর। শ্যামাঙ্গ আর অগ্রসর হয় না। সে শয্যায় দেহ রাখে এবং লীলাবতী তার ভূমি শয্যায় ফিরে যায়।
পরদিন তারা শয্যা ত্যাগ করে বিলম্বে। প্রকোষ্ঠের বাইরে এসে দাঁড়ালে অধিকারীটি সম্মুখে এসে দাঁড়ায়। জানতে চায়, মহাশয়ের বোধ হয় জাগরণে রাত্রি অতিবাহিত হয়েছে?
শ্যামাঙ্গের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। জানতে চায়, কেন–একথা কেন বলছেন–কেন আমরা রাত্রি জাগরণ করবো?
হেঁ হেঁ হেঁ, ক্রুদ্ধ হবেন না মহাশয়, লোকটি বিনয়ে বিগলিত হতে আরম্ভ করে। বলে, সমস্ত রাত্রি আপনারা আলাপ করেছেন তো, তাই বলছি
শ্যামাঙ্গ লক্ষ্য করে প্রৌঢ়টির দৃষ্টি যেমন, তেমনি হাসিটিও কদর্য। তার ক্রোধ হয়। বলে, আপনি দেখছি ছিদ্রান্বেষী–ছিদ্রপথে অন্যের গোপন ক্রিয়াকলাপ দেখে থাকেন।
না না ওকথা বলবেন না, আমার বয়স হয়েছে, দেখতেই পাচ্ছেন
হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি, বৃদ্ধ শালিক পক্ষীর গ্রীবায় নতুন পালকের উদগম হয়েছে, শ্যামাঙ্গ নিজেকে সংযত রাখতে পারে না।
হেঁ হেঁ আপনি দেখছি রসিকও, প্রৌঢ়টির চাটুকারিতা দেখবার মতো। লীলাবতীর দিকে ইঙ্গিত করে বলে, তা ইনি কি আপনার বিবাহিতা পত্নী?
শ্যামাঙ্গ বুঝলো, লোকটি অসম্ভব ধূর্ত এবং বদ–স্বভাব। সে সংযত হলো, কে জানে, এই বদলোক কোন গোলযোগ সৃষ্টি করে। বললো, ইনি আমার সহধর্মিণী–আমরা যোব্রতী।
হেঁ হেঁ, তাই বলুন, আমার সন্দেহ তাহলে অমূলক নয়–আপনারা যোগী। যোগ সাধনায় সঙ্গিনীর অবশ্যই প্রয়োজন, হেঁ হেঁ–তা এই কথাটা পূর্বে বললে হতো না?
কোন কথা? শ্যামাঙ্গ বিভ্রান্ত বোধ করে।
এই যে, আপনারা যোগী, আমার গৃহে রাত্রিকালে যোগ সাধনা করবেন? ছি ছি কি অনাচার। এখন আমাকে গৃহশুদ্ধি করতে হবে। দেখুন তো, আপনারা আমার কি সর্বনাশ করেছেন?
শ্যামাঙ্গ অনুমান করে প্রৌঢ়টি তাকে বিপদাপন্ন করবে। সে বললো, মহাশয়, এতো বিচলিত হচ্ছেন কেন? আমরা তো রাত্রিযাপনের জন্য অর্থ দিচ্ছিই, সেই সঙ্গে না হয় আরও কিছু অধিক দেবো।
ঐ কথায় কাজ হয়, প্রৌঢ়টি শান্ত হয়। কিন্তু তার মুখ শান্ত হয় না। তখন তার আবার অন্যরূপ বিনয়। বলতে লাগলো, আমার দোষ নেবেন না মহাশয়, গৃহশুদ্ধি আমাদের বাধ্য হয়ে করতে হয়–এ গ্রামের সমাজপতিরা শুদ্ধাশুদ্ধি বিচারে অত্যধিক তৎপর থাকেন। সামান্য ত্রুটি হলেই তারা সমাজে পতিত ঘোষণা করে দেন, সুতরাং বুঝতেই পারছেন…
শ্যামাঙ্গ জানতে চাইলোতা আপনারা কি শূদ্রের মধ্যেও জলাচল শ্রেণীভেদ করে রেখেছেন নাকি?
না তা করিনি?
তাহলে যোগী স্পর্শে গৃহশুদ্ধি করতে হবে কেন?
আমি তো বৈশ্য, অম্বো০ষ্ঠ বৈশ্য।
শ্যামাঙ্গের বিশ্বাস হতে চায় না। বলে, আপনি অঘোষ্ঠ বৈশ্য হলে পান্থশালার রক্ষক হন কি প্রকারে?
মহাশয় আর বলবেন না, সবই সমাজপতিদের ইচ্ছা। সামাজিক যতো বিধান, সবই তাঁদের প্রয়োজনে। ব্রাহ্মণ যখন কুলবৃত্তি যজ্ঞ–যাজনাদি ত্যাগ করে রাজকার্য করে, তখন কেউ তাদের দোষ দেয় না, বরং ঐ নববৃত্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নতুন কুলের উদ্ভাবন করা হয়। ব্রাহ্মণ হয়ে যায় ব্রহ্মক্ষত্রিয়–আমার ক্ষেত্রেও ঐ প্রকার ব্যবস্থা হয়েছে আর কি! গ্রামপতি ও ব্রাহ্মণরা বললেন যে, তোমার পান্থশালা–রক্ষক হতে বাধা নেই। কারণ তোমার বৈদ্য পিতা যা করেন, তোমার কাজও তাই। তিনি রুগ্ন মানুষের সেবা করেন। আর তুমি করবে শ্রান্ত ক্লান্ত মানুষের সেবা–সুতরাং বাধা কোথায়? তাই অঘোষ্ঠ বৈশ্য হয়েও আমরা পান্থশালার অধিকারী।
শ্যামাঙ্গ ততক্ষণে মনস্থির করে নিয়েছে–আর এক মুহূর্ত নয় এ স্থানে। প্রৌঢ়ের কথা শেষ হলে সে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি উর্ধ্বে তুলে বললো, আপনারা প্রকৃত কী, জানেন? আপনারা হচ্ছেন অশ্বডিম্ব–বুঝলেন? উৎকৃষ্ট এবং সুগোলাকার একটি অশ্বডিম্ব।
প্রাপ্তিটি অভাবিতপূর্ব এবং অত্যধিক। এক রাত্রির জন্য একেবারে একটি সম্পূর্ণ মুদ্রা! প্রৌঢ়টি সবিস্ময়ে নিজের প্রসারিত হস্তপানে চেয়ে থাকে। তার ধারণা হয়, লোকটি নিশ্চয়ই উন্মাদ।
পথে লীলাবতী জানায়, দেখলে তো আমাদের স্থান কোথায়? গৃহে অবস্থান করলে লোকে গৃহশুদ্ধি করে।
সে তো করবেই, যোগীদের অনেকেই ঘৃণ্য মনে করে। তুমি যোগী–এই পরিচয় ব্যতিরেকে অন্য আর কী পরিচয় দিতে পারতে?
কেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলে হতো না?
শ্যামাঙ্গ হতচকিত হয়। তার ধারণা ছিলো না যে ঐ পরিচয়দানের জন্য লীলাবতী এখন প্রস্তুত! বললো, উত্তম কথা, এবার থেকে স্বামী–স্ত্রী পরিচয়টিই প্রচার করবো।