জন্ম ও মৃত্যু
১. প্রত্যেক মানুষকেই মরিতে হইবে।
–আল-কোরআন
২. প্রতিদিন জীবগণ যায় যম ঘরে,
শেষ থাকে যারা তারা এই মনে করে
আমরা তো চিরজীবী
নাহি হব ক্ষয়,
ইহা হতে কী আশ্চর্য কহ মহাশয়।
মহাভারত
৩. নগ্ন জন্ম নিয়েছি মায়ের কোলে, আর নগ্নই আমি ফিরে যাব।
বাইবেল
৪. তরুণ মরতে পারে, কিন্তু বৃদ্ধ অবশ্যই মরবে।
–লঙফেলো
৫. এ-জগতে একটি শিশু জন্মলাভ করা মাত্রই ধরে নেয়া যায় মৃত্যু তার চরম ও শেষ পরিণতি।
স্যার জেমস জীনস
৬. মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দুটোরই শুরু এবং শেষ হয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে।
–উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি
৭. বেশি আয়ু পেলেই মানুষ বেশি সুখী হতে পারে না।
উইলিঙ্কি ৮. যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করার বিদ্যাটা ঢের দুরূহ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৯. মানুষ বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি বয়স ক্রমাগত কমে।
ক্যানিং
১০. মৃতেরা ঘুমিয়ে থাকে অমাবস্যায়, আমার দরকার জীবিতদের।
ইমারসন
১১. জন্মদিনের উৎসব করাটা বোকামি। জীবন থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সেজন্যে অনুতাপ করাই উচিত।
–নরম্যান বি. হল
১২. জীবন যাদের অন্তঃসারশূন্য তারাও পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
স্যার ফিলিপ
১৩. জীবন হচ্ছে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
কোলরিজ
১৪. মৃত্যু ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হয়, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।
–আর. এইচ. বারহাম
১৫. অতিরিক্ত পরিশ্রমে মৃত্যু হয় না। মানুষ মারা যায় বিশৃঙ্খলায় আর দুর্ভাবনায়।
—ডেল কার্নেগি
১৬. মহৎ কারণে যার মৃত্যু ঘটে সে অপরাজেয়।
ভার্জিল
১৭. মৃত্যুর চেয়ে মৃত্যুভয় বেশি ক্ষতিকর।
রবার্ট হ্যারিক
১৮. মানুষের জন্ম ও মৃত্যুও প্রকৃতির গোপন বিষয়।
টি. সি. উইলিয়াম
১৯. মৃত্যু নয়, মুমূর্ষ অবস্থাই হল আমার আতঙ্কের কারণ।
–মন্টেন
২০. জন্মিলে মরিতে হবে, অমর
কে কোথা কবে?
চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে?
–মাইকেল মধুসূদন দত্ত
২১. হয় বাঁচো, না হয় মরে যাও হও ডুবে যাও, না হয় সঁতার কাটো।
–জর্জ পেল
২২. তুমি যতদিন বাঁচ-না কেন, ভালোভাবে বাঁচার পথ তোমাকেই জানতে হবে।
–উইলিয়াম মরিস
২৩. মরিতে না হইলে বাচিয়া থাকিবার কোনো মর্যাদাই থাকিত না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৪. যদি মৃত্যু না থাকিত, জগতের যেখানকার যাহা তাহা চিরকাল সেখানেই যদি অবিকৃতভাবে দাঁড়াইয়া থাকিত, তবে জগন্টা একটা চিরস্থায়ী সমাধি মন্দিরের মতো অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ, অত্যন্ত কঠিন, অত্যন্ত বদ্ধ হইয়া রহিত। …….. মৃত্যুর অভাবে কোনো বিষয়ে কোথাও দাঁড়ি দিবার জো থাকিত না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫. আমার জীবনের যেখানে নিশ্চয়তা নেই, তখন কী নিয়ে অহংকার করব।
–আর্থার গুইটারম্যান
২৬. মৃত্যুকে যে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তারেই টানে,
মৃত্যু যারা বুক পেতে লয় বাঁচতে তারাই জানে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৮. মৃত্যুহীনদের কাছেই একমাত্র মহান মৃত্যু আসে।
–জোসেফ হল
২৯. ফুলের ছোট্ট জীবন–অথচ কী মহিমাময়!
–জন ডুইট
৩০. ফুলের জীবন স্বল্প সময়ের, অথচ কতো মহিমাময়।
লরেন্স হোপ
৩১. মরে যাওয়াটাই শেষ কথা নয়–তার পরেও বেঁচে থাকা চাই।
–এইচ. জি. ভন
৩২. পৃথিবীতে কিছু লোক বেঁচে থাকে, আর বেশির ভাগ বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
মিন্টু ব্রন সটন
৩৩. মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের
মূল্য দিতে হয়
সে প্রাণ অমৃত লোক
মৃত্যু করে জয়।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৪. মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত সময়ের অব্যর্থতা সম্পর্কে সঠিক ধারণায় পৌঁছতে পারলে মানুষের নিকট সকল আশাই দুরাশায় পরিণত হত।
–হযরত আলি (রা.)
৩৫. মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। মৃত্যুর দূত তোমার ঘরের কাছে দাঁড়াইয়া আছে। তাহার ডাক দিবার পর আর প্রস্তুত হইবার অবসর পাইবে না।
–হযরত আলি (রা.)
৩৬. মানুষ মৃত্যুকে ঘৃণা করে। কিন্তু মৃত্যুই পারে তার সব জ্বালা-যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে।
ওমর খৈয়াম
৩৭. তাঁহাদের তোমরা মৃত বলিও না, যাহারা আল্লাহর পথে শহীদ হইয়াছেন। তাঁহারা জীবিতই রহিয়াছেন–তোমরা শুধু তাহা বুঝিতে পারিতেছ না। –আল-কোরআন
৩৮. তবু মরিতে হবে এও সত্যি জানি
মোর বাণী
একদিন এ বাতাসে ফুটিবে না,
মোর আঁখি এ আলোকে লুটিবে
না,
মোর হিয়া ছুটিবে না।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৯. মৃত্যু, তবু মৃত্যু নয়। নিল যারা শহীদ শপথ,
মৃত্যু বিভীষিকা মাঝে পেল যারা প্রাণের সঞ্চয়।
ফররুখ আহমদ
৪০. প্রাণ দিবার শক্তি তাহাদের ছিল, লজ্জায় হোক, ধর্মোৎসাহে হোক, প্রাণ তাহারা দিয়াছিলেন। বাংলার সেই প্রাণ বিসর্জনপরায়ণা পিতামহীকে আজ আমরা প্রণাম করি। তুমি যেমন দিবাবসানে সংসারের কাজ শেষ করিয়া নিঃশব্দে পতির পালঙ্কে আরোহণ করিতে, দাম্পত্য লীলার অবসান দিনে সংসারের কার্যক্ষেত্র হইতে বিদায় লইয়া তুমি তেমনি সহজে বধূবেশে সংসারে মঙ্গল সিন্দুর পরিয়া পতির চিতায় আরোহণ করিয়াছ, মৃত্যুকে তুমি সুন্দর করিয়াছ, শুভ করিয়াছ, পবিত্র করিয়াছ, চিত্তকে তুমি বিবাহশয্যার ন্যায় আনন্দময় করিয়াছ, কল্যাণময় করিয়াছ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪১. না ফুরাতে আশা ভাষা; না
মিটিতে ক্ষুধা
না ফুরাতে ধরণীর মৃৎ-পাত্রসুধা,
না পুরিতে জীবনের সকল আস্বাদ–
মধ্যাহ্নে আসিল দূত! যত
তৃষ্ণা সাধ
কাঁদিল আঁকড়ি ধরা
যেতে নাহি চায়।
ছেড়ে যেতে
যেন সব স্নায়ু ছিঁড়ে যায়!
ধরার নাড়ীতে পড়ে টান! তরুলতা
জলবায়ু মাটি সব কয় যেন কথা।
যেয়োনাক যেয়োনাক যেন সবে বলে–
কাজী নজরুল ইসলাম
৪২. তরুণরা বারবার করে মৃত্যুবরণ করতে পারে, বৃদ্ধেরা একবারই মরে।
জন রে
৪৩. তুমি পাশে আসি বসো অচপল
ওগো অতি মৃদুগতি চরণ।
আমি বুঝি না যে কী কথা কও,
ওগো মরণ
হে মোর মরণ।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৪. সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো, না হলে মরে যাও।
মেরিডিথ
৪৫. যতদিন বাঁচব ততদিন অন্যের চোখে সুন্দর হয়ে বাঁচব।
রবার্ট বার্নস
৪৬. সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা একটা আর্ট, যার জন্য সাধনার প্রয়োজন হয়।
জন ম্যাকি
৪৭. সেতো সেদিনের কথা বাক্যহীন যবে
এসেছিনু প্রবাসীর মতো এই ভবে
বিনা কোনো পরিচয়, রিক্ত,
শূন্য হাতে,
একমাত্র ক্রন্দন সম্বল লয়ে হাতে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৮. সমাধিই যেন মানুষের প্রকৃত আশ্রয়স্থল। যেখানে যাবার জন্য মানুষকে জন্মের পর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।
–বি. এফ, ওয়েস্টম্যান
৪৯. জীবনটা নিজের হলেও এ-জীবন নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আত্মহত্যা নীতির চোখে অন্যায়, আইনের চোখে অপরাধ। আত্মহত্যা ব্যক্তি পরিবার গোষ্ঠী তথা সমাজে বিশৃঙ্খলা এনে দেয়।
সুনীলকুমার নাগ
৫০. আত্মহত্যাই জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
৫১. নতুন জন্মদিনে
পুরাতন অন্তরেতে
নতুন লও চিনে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫২. মনরে মনে কর শেষের সেদিন ভয়ংকর
অন্যে কথা কইবে কিন্তু তুমি রৈবে নিরুত্তর।
রামমোহন রায়
৫৩. একদিন হবে যদি অবশ্য মরণ,
এত দম্ভ অহংকার কর কি কারণ।
এই যে মানব দেহ,
যারে এত কর স্নেহ
ভস্মসার তার মস্তক চরণ।
রামমোহন রায়
৫৪. মৃত্যু আর এক জীবন, সম্মানের সাথে আমরা তার নিকট মাথা নত করি।
আলেকজান্ডার
৫৫. যে সবসমসয় মৃত্যুর কথা ভাবে, জীবনের প্রতি মমত্ববোধ তার জন্মে না।
এস. টি. কোলরিজ
৫৬. ভীরু মৃত্যুকে পালাবার পথ বলে মনে করছ কেন? মৃত্যু সবচেয়ে নিশ্চিত জীবনের গতিস্রোতের চরম সমুদ্র, সব সত্য-মিথ্যা ভালো-মন্দর নিঃশেষ সমন্বয় তার। মধ্যে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৭. মানুষের ভাগ্য, মানুষের ভবিষ্যৎ আর মানুষের সভ্যতার রূপান্তর সবকিছু নির্ভর করছে মৃত্যুকে আয়ত্তে আনার উপর।
আবুল ফজল
৫৮. মৃত্যুটা শিশুদের কাছে তেমন ভয়াবহ নয়, ওরা যে কেবলি পেরিয়ে এসেছে জীবন-মৃত্যুর সীমানা। বয়সের সঙ্গে মৃত্যুভয় বাড়ে, সীমানাটা ক্রমে দূরে চলে যায় কিনা। বৃদ্ধের মতো মৃত্যুভীতি কার।
–প্রমথনাথ বিশী
৪৭. সেতো সেদিনের কথা বাক্যহীন যবে
এসেছিনু প্রবাসীর মতো এই ভবে
বিনা কোনো পরিচয়, রিক্ত, শূন্য হাতে,
একমাত্র ক্রন্দন সম্বল লয়ে হাতে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৮. সমাধিই যেন মানুষের প্রকৃত আশ্রয়স্থল। যেখানে যাবার জন্য মানুষকে জন্মের পর থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।
–বি. এফ. ওয়েস্টম্যান
৪৯. জীবনটা নিজের হলেও এ-জীবন নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আত্মহত্যা নীতির চোখে অন্যায়, আইনের চোখে অপরাধ। আত্মহত্যা ব্যক্তি পরিবার গোষ্ঠী তথা সমাজে বিশৃঙ্খলা এনে দেয়।
সুনীলকুমার নাগ
৫০. আত্মহত্যাই জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
৫১. নতুন জন্মদিনে
পুরাতন অন্তরেতে নতুন লও চিনে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫২. মনরে মনে কর শেষের সেদিন ভয়ংকর
অন্যে কথা কইবে কিন্তু তুমি রৈবে
নিরুত্তর।
রামমোহন রায়
৫৩ একদিন হবে যদি অবশ্য মরণ,
এত দম্ভ অহংকার কর কি কারণ।
এই যে মানব দেহ,
যারে এত কর স্নেহ
ভস্মসার তার মস্তক চরণ।
রামমোহন রায়
৫৪. মৃত্যু আর এক জীবন, সম্মানের সাথে আমরা তার নিকট মাথা নত করি।
–আলেকজান্ডার
৫৫. যে সবসমসয় মৃত্যুর কথা ভাবে, জীবনের প্রতি মমত্ববোধ তার জন্মে না।
এস. টি. কোলরিজ
৫৬. ভীরু মৃত্যুকে পালাবার পথ বলে মনে করছ কেন? মৃত্যু সবচেয়ে নিশ্চিত। জীবনের গতিস্রোতের চরম সমুদ্র, সব সত্য-মিথ্যা ভালো-মন্দর নিঃশেষ সমন্বয় তার মধ্যে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫৭. মানুষের ভাগ্য, মানুষের ভবিষ্যৎ আর মানুষের সভ্যতার রূপান্তর সবকিছু নির্ভর করছে মৃত্যুকে আয়ত্তে আনার উপর।
আবুল ফজল
৫৮. মৃত্যুটা শিশুদের কাছে তেমন ভয়াবহ নয়, ওরা যে কেবলি পেরিয়ে এসেছে জীবন-মৃত্যুর সীমানা। বয়সের সঙ্গে মৃত্যুভয় বাড়ে, সীমানাটা ক্রমে দূরে চলে যায় কিনা। বৃদ্ধের মতো মৃত্যুভীতি কার।
–প্রমথনাথ বিশী
৫৯. যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুম।
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চীকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বোঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৬০. যখন জীবনকে শত্রু এবং আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বধির মনে হয়, তখনই মানুষ পৃথিবীর আকর্ষণ ছেড়ে মৃত্যুর পরপারে যাওয়ার বাসনা প্রকাশ করে।
–আর্থার গুইটারম্যান
৬১. সংসারতাপক্লিষ্ট হইয়া কাহারও মৃত্যু কামনা করা উচিত নয়। যদি তদ্রুপ কেহ থাকে, তবে তাহার এরূপ বলা উচিত–প্রভু, জীবনধারণ করা যদি আমার জন্য ভালোই বিবেচনা কর; তবে আমাকে জীবিত রাখো। কিন্তু মরণই যদি আমার জন্য শ্রেয় হইয়া থাকে তবে আমার নিকট মৃত্যুদূত প্রেরণ করো।
–আল-হাদিস
৬২. মৃত্যু প্রতি দিবস ঘটনা;
তাহে কেন এত শোক?
সবাই মরিবে সবাই মরেছে,
চিরজীবী কোন লোক?
–অক্ষয়কুমার বড়াল
৬৩. মৃত্যুর মধ্যে যে তত্ত্ব আছে সে আর কিছুই নয়, সে এই–যারা জন্মায়নি তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দেবার জন্য যারা জন্মিয়েছে তারা মরবে। সমাজকে তাই হয় দুর্ভিক্ষের জন্য, নয় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়–দুর্ভিক্ষের মরা তিলে তিলে, যুদ্ধের মরা এক নিমিষে। দুর্ভিক্ষে যারা মরে তারা আগে থাকতে দুর্বল, তারা সাধারণত বৃদ্ধ কিংবা শিশু কিংবা স্ত্রীলোক। আর যুদ্ধে যারা মরে তারা যুবা, সবচেয়ে বলবান, সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান পুরুষ।
অন্নদাশঙ্কর রায়
৬৪. মৃত্যুই অনন্ত পথযাত্রার প্রারম্ভ।
–আল-হাদিস
৬৫. মৃত্যুটা জন্মানোর মতোই স্বাভাবিক।
বেকন
৬৬. অসীমের দরজা খোলার স্বর্ণচাবি হচ্ছে মৃত্যু। হচ্ছে মত।
মিল্টন
৬৭. এত সাজসজ্জা, এত বিলাস, এত ভোগ ও তিতিক্ষা, এত দুঃখ ও প্রেম–সমস্ত আয়োজন মৃত্যুর দিকেই, সকল উপকরণ দিয়ে একদিন আত্মবলি দিতেই হবে মৃত্যুর পদতলে। অজ্ঞান মানুষের স্থায়িত্বের প্রতি তাই এত প্রলোভন। কেউ গড়ে তাজমহল, কেউ পিরামিড, কেউবা মহাপ্রাচীর। মৃত্যুর কোনো সান্ত্বনা নেই, সে অকরুণ, তার ষোল আনা প্রাপ্য এক সময় চুকিয়ে নেবেই। আশি লক্ষ জীবের সঙ্গে মানুষও তার চোখে সমান। মানুষ বলে কোনো বিশেষ সম্মান অথবা পক্ষপাতিত্ব তার কাছে নেই, তার ধ্বংসের সম্মার্জনী ঝেটিয়ে সবাইকে এক একবার সাফ করে দিচ্ছে।
–প্রবোধকুমার সান্যাল
৬৮. পূজা-আয়োজন সব সারা হবে একদিন,
প্রস্তুত হয়ে রবো,
নীরবে বাড়ায়ে বাহু দুটি সেই গৃহহীন
অতিথিকে বরি লব।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৯. কবরে গিয়ে সবার পথের শেষ হয় এবং কবর ধনী-দরিদ্র সকলকে সমানভাবে স্বাগত জানায়।
রজার নর্থ
৭০. আত্মহত্যা খুনের চেয়েও নিকৃষ্টতম কাজ, কারণ এতে অনুশোচনার কোনো সুযোগ থাকে না।
রবার্ট ব্লয়ার
৭১. মৃত্যু যেন বাগানের একট পুরাতন দরজা।
-ন্যান্সি টার্নার
৭২. ওহে মৃত্যু! তুমি মোরে কি দেখাও ভয়, ও ভয়ে কম্পিত নয় আমার হৃদয়।
–কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
৭৩. মৃত্যু মুসলমানের নিকট উপঢৌকাসদৃশ। মৃত ব্যক্তিদিগকে সর্বদা স্মরণ করিও, তাহাদের গুণকীর্তন করিও এবং তাহাদের সম্বন্ধে মন্দবাক্য বলিও না।
–আল-হাদিস
৭৪. শ্যেনসম অকস্মাৎ করে উর্ধ্বে লয়ে যাও
পঙ্ক কুণ্ড হতে
মহান মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি করে দাও মোরে
বজ্রের আলোতে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৫. আল্লাহ্ সকলকে তার নির্দিষ্ট সময়ে মৃত্যুদান করেন। তাঁর হুকুম ব্যতীত কেহই মৃত্যুবরণ করতে পারে না।
–আল-কোরআন
৭৬. মৃত্যুকে ভয়ভাব কেন? জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দুঃসাহসিক ঘটনাই তো হচ্ছে মৃত্যু।
চার্লস ফ্ৰোহম্যান
৭৭. ভাল লোক কখনোই মরে না।
ক্যালিমাচাস
৭৮. জগতে সমস্ত কিশোর-কিশোরীরাই অন্তরে কামনা, জন্মদিনটা আরও ঘনঘন আসুক। আর তারা তো কল্পনা করতে পারে না যে তাদের জীবনেই এমন এক সময় আসবে যখন প্রতি জন্মদিনের মধ্যেই থাকবে আসন্ন বার্ধক্যের ক্রমিক পদক্ষেপ। সেটা তখন যৌবনের ফেয়ারওয়েল পার্টি; জরার ট্রাফিক সিগন্যাল। বয়স বাড়ছে এ অনুভূতি জীবনের পূর্বাহ্বে যেমনই আনন্দদায়ক অপরাহ্বে তেমনি অপ্রীতিকর। দাদার চেয়ে অনেক বড় হওয়ার সাধ বড় হয়ে বাবার মত হলে আপনিই উবে যায়।
যাযাবর
৭৯. মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে …..। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আরেক জন্ম সকলকে নিয়ে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮০. অনেকের জীবনে আনন্দ যেমন আকস্মিকভাবে আসে, মৃত্যুও তেমনি আকস্মিকভাবে আসে।
–ওয়াল্ট হুইটম্যান
৮১. মুত্যু-দরজা সবসময় খোলা থাকে, বন্ধ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
দানিয়েল ডিফো
৮২. জীবন আমার,
এত ভালবাসি বলে হয়েছে প্রত্যয়,
মৃত্যুরে এমনি ভালবসিব নিশ্চয়।
স্তন হতে তুলে নিলে কাঁদে শিশু ডরে,
মুহূর্তে আশ্বাস পায় গিয়া স্তনান্তরে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৩. পার্থিব সুখ বিনাশকারী মৃত্যুর কথা সর্বদা স্মরণ রাখিও।
–আল-হাদিস
৮৪. মাথা পেতে নিতে হবে
বিধির বিধান
পর তরে খালি করে
দিতে হবে স্থান।
জসীম উদ্দীন
৮৫. আমার মৃত্যুর পর থেমে যাবে কথার গুঞ্জন
বুকের স্পন্দনটুকু মূর্ত হবে ঝিল্লির ঝংকারে
জীবনের পথপ্রান্তে ভুলে যাব মৃত্যুর শঙ্কারে
উজ্জ্বল আলোর চোখে আঁকা
হবে আঁধার অঞ্জন।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৮৬. মৃত্যু একটা প্রকাণ্ড কালো কঠিন কষ্টিপাথরের মতো, ইহারই গায়ে কষিয়া সংসারের সমস্ত খাঁটি সোনার পরীক্ষা হইয়া থাকে।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৭. একটি মানুষ না মরা পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে জন্মলাভ করে না।
ফ্রাংকলিন
৮৮. আমাকে সবসময় মনে রাখতে হবে–আমার জন্মটা যেন মৃত্যুর মধ্যেই শেষ না হয়ে যায়।
–এস. টি. কোলরিজ
৮৯. মৃত্যুশয্যায় শায়িত একজন সম্রাটও বড় অসহায়।
কার্লাইল
৯০. জীবনমাত্রই একদিন মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করবে।
–আল-কোরআন
৯১. সকল মৃত্যুর মধ্যে শহীদি মৃত্যুই সর্বাপেক্ষা উত্তম।
–আল-কোরআন
৯২. গোলামীর চেয়ে শহীদী দরজা
অনেক ঊর্ধ্বে জেনো,
চাপরাশির ওই তকমার চেয়ে তলোয়ার বড় মেনো।
কাজী নজরুল ইসলাম
৯৩. মৃত্যুর কারণই একজনকে শহীদের মর্যাদা দেয়, মৃত্যু নহে।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
৯৪. যদি জগতে মানুষের মতো বাঁচতে সক্ষম না হও, তবে বীর মুজাহিদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেই জীবনের প্রকৃত মর্যাদা লাভ করো।
ইকবাল
৯৫. একটি মৃত সিংহের চেয়ে একটি জীবিত কুকুর অনেক শ্রেয়।
বাইবেল
৯৬. দেহধারী জীবের এই দেহেই যেমন বাল্য, যৌবন ও বার্ধক্য দেখা যায়, আত্মার অন্য দেহে চলিয়া যাওয়া অর্থাৎ মৃত্যুও তেমনি। তাহাতে জ্ঞানী ব্যক্তিরা দুঃখ করেন না।
শ্রীশ্রীগীতা
৯৭. মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই শেষ বিন্দু পর্যন্ত জীবনকে উপভোগ করো।
–মোরাভিয়া
৯৮. চাঁদ যখন পূর্ণ নয়, তারা তখনই উজ্জ্বল।
বিদেশি প্রবাদ
৯৯. মরণশীলতারও স্তোকবাক্য আছে : প্রথমত সব কুশ্রীতাই সাময়িক; অন্যটি হল, সুসময় আসতে পারে।
জর্জ সান্তয়ন
১০০. যে জন্মিবে, তাহার মরণ হইবেই; আবার যে মরিয়াছে, তাহারও আবার জন্ম। হইবেই। ইহা এড়ানো যায় না, হইবেই হইবে, তাই এই বিষয়ে দুঃখ করা উচিত নহে।
শ্রীশ্রীগীতা
১০১. আইস, আমরা পান ও ভোজন করি; যেহেতু আগামীকালই আমাদের মৃত্যু।
–বাইবেল : পুরনো নিয়ম
১০২. একটি ঝরে পড়া পাতা জীবিতের জন্যে ফিসফিস করে একটি বার্তা।
ইংরেজি প্রবাদ
১০৩. এই শ্মশানে আসিলে সকলেই সমান হয়। পণ্ডিত, মূর্খ, ধনী, দরিদ্র, সুন্দর, কুৎসিত, মহৎ, ব্রাহ্মণ, শূদ্র, ইংরেজ, বাঙালি এইখানে সকলেই সমান। নৈসর্গিক, অনৈসর্গিক সকল বৈষম্য এখানে তিরোহিত হয়।
চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়
১০৪. জন্মের মতো মৃত্যুও প্রকৃতির গোপন বিষয়। টি. সি. উইলিয়ামস
১০৫. নিজের জন্মদিন বৎসরের অন্য ৩৬৪ দিনের চেয়ে নিজের কাছে কিছুমাত্র বড় নয়। যদি অন্যের কাছে তার মূল্য থাকে তবেই তার মূল্য।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৬. জ্ঞানী ব্যক্তিরা মৃত বা জীবিত, কাহারও জন্য শোক করেন না।
শ্রীশ্রীগীতা
১০৭. তোমার শুভ জন্মদিনের
সোনার আলো চোখে মাখি,
আশা আমার ডাকবে কভু
এই জীবনে সোনার পাখি।
আবদুল হাই মাশরেকী
১০৮. মরণের কোল বুঝি
দুখহরা শান্তিময়
সব জ্বালা দূর হয়।
অজ্ঞাত
১০৯. যার মহৎ কারণে মৃত্যুবরণ করে তারা কখনো ব্যর্থ হয় না।
বায়রন
১১০. মৃত্যু হচ্ছে বৃহত্তম এক শান্তির সমুদ্র।
জহীর হায়দার
১১১. মৃত্যু ছোট্ট একটি শব্দ, কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে হলে এমন কিছু কাজ করে যেতে হয়, যাতে মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে।
–আর. এইচ. বারহাম
১১২. মরণ রে
তুহু মম শ্যাম সমান।
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর