তৃতীয় অনুবাক
প্রথম সূক্ত: পঞ্চৌদনো অজঃ
[ঋষি : ভৃগু। দেবতা : পঞ্চৌদন–অজ। ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, জগতী, অনুষ্টুপ, গায়ত্রী, উষ্ণিক, অষ্টি, প্রকৃতি ]
আ নয়ৈতমা রভম্ব সুকৃতাং লোকমপি গচ্ছতু প্রজান। তীৰ্বা তমাংসি বহুধা মহান্ত্যজো নাকমা ক্রমতাং তৃতীয়ম্ ॥১॥ ইন্দ্রায় ভাগং পরি জা নয়াম্যস্মিন্ যজ্ঞে যজমানায় সূরিম। যো নো দ্বিষন্ত্যনু তান্ রভস্বানাগসো যজমানস্য বীরাঃ ॥২॥ প্র পদোহব নেনিগ্ধি দুশ্চরিতং যচ্চচার শুদ্ধৈঃ শফৈরা ক্রমতাং প্রজান। তীৰ্বা তমাংসি বহুধা বিপশ্যন্নজো নামা ক্রমতাং তৃতীয়ম্ ॥৩৷৷ অনুচ্ছ শ্যামেন ত্বমেতাং বিশস্তথাবর্পসিনা মাভি মংস্থাঃ। মাভি দ্রুহঃ পরুশঃ কল্পয়ৈনং তৃতীয়ে নাকে অধি বি শ্রয়ৈন ॥৪॥ ঋচা কুম্ভীমধ্যষ্মেী শ্ৰয়াম্যা সিঞ্চোদকমব ধেহেন। পর্যাধাগ্নিনা শমিতারঃ শৃতো গচ্ছতু সুকৃতাং যত্র লোকঃ ॥৫॥৷ উজ্জামাতঃ পরি চেদতপ্তস্তপ্তাশ্চয়োরধি নাকং তৃতীয়। অগ্নেরগ্নিরধি সং বভূবিথ জ্যোতিষ্মন্তমভি লোকং জয়ৈতম্ ॥৬॥ অজো অগ্নিরজমু জ্যোতিরাহুরজং জীবতা ব্ৰহ্মণে দেয়মাহুঃ। অজস্তমাংস্যপ হন্তি দূরমস্মিংল্লোকে শ্রদ্ধানেন দত্তঃ ॥৭৷৷ পঞ্চৌদনং পঞ্চধা বি ক্রমতামাক্রংস্যমানস্ত্রীণি জ্যোতীংষি। ঈজানানাং সুকৃতাং প্রেহি মধ্যং তৃতীয়ে নাকে অধি বি শ্ৰয়স্ব ॥৮॥ অজা বোহ সুকৃতাং যত্র লোকঃ শরভো ন চট্টোহতি দুর্গাণ্যেষঃ। পঞ্চোদনো ব্ৰহ্মণে দীয়মানঃ স দাতারং তৃপ্ত্যা তৰ্পয়াতি ॥৯॥ অজস্ত্রিকে ত্রিদিবে ত্রিপৃষ্ঠে নাকস্য পৃষ্ঠে দিবাংস দধাতি। পঞ্চৌদনো ব্ৰহ্মণে দীয়মাননা বিশ্বরূপা ধেনুঃ কামদুঘাস্যেকা ॥১০৷৷ এতদ বো জ্যোতিঃ পিতরস্তৃতীয়ং পঞ্চোদনং ব্রহ্মণেহজং দদাতি। অজস্তমাংসপ হন্তি দূরমষ্মিংশ্লোকে শ্রদ্ধানেন দত্তঃ ॥১১৷ ঈজানানাং সুকৃতাং লোকমীন্স পঞ্চোদনং ব্ৰহ্মণেহজং দদাতি। স ব্যাপ্তিমভি লোকং জয়েতং শিবোহস্মভ্যং প্রতিগৃহীতত অন্তু ॥১২। অজো হ্যগ্নেরজনিষ্ট শোকাদ বিপো বিপ্রস্য সহসো বিপশ্চিৎ। ইষ্টং পূর্তমভিপূর্তং বষট্রকৃতং তৎ দেবা ঋতুশঃ কল্পয়ন্তু ॥১৩৷৷ অমোতং বাসো দদ্যাদ্ধিরণ্যমপি দক্ষিণাম। তথা লোকাসমাপ্নোতি যে দিব্যা যে চ পার্থিবাঃ ॥১৪৷৷ এজোপ যন্তু ধারাঃ সৌম্যা দেবীধৃতপৃষ্ঠা মধুশ্রুতঃ। শুভান পৃথিবীমুত দ্যাং নাকস্য পৃষ্ঠেধি সপ্তরশ্মেী ॥১৫। অজোহস্যজ স্বর্গোহসি ত্বয়া লোকমঙ্গিরসঃ প্রাজান। ত্বং নোকং পুণ্যং প্র জ্ঞেষম্ ॥১৬যেনা সহস্রং বহসি যোগে সর্ববেদস। তেনেমং যজ্ঞং নো বহ স্বর্দেবেষু গন্তবে॥১৭। অজঃ পঃ স্বর্গে লোকে দধাতি পঞ্চৌদনো নিঋতিং বাধমানঃ। তেন লোকাসূর্ষবতো জয়েম ॥১৮ যং ব্রাহ্মণে নিদধে যং চ বিক্ষু যা বিষ ওদনানামজস্য। সর্বং তদগ্নে সুকৃতস্য লোকে জানীতান্নঃ সঙ্গমনে পথীনাম্ ॥১৯৷ অজো বা ইদমগ্রে ব্যক্ৰমত স্যোর ইয়মভবদ্দৌঃ পৃষ্ঠ। অন্তরিক্ষং মধ্যং দিশঃ পার্শ্বে সমুদ্রৌ কুক্ষী ॥২০। সত্যং চর্তং চ চক্ষুষী বিশ্বং সত্যং শ্রদ্ধা প্রাণো বিরাট শিরঃ। এষ বা অপরিমিতো যজ্ঞো যদজঃ পঞ্চৌদনঃ ॥২১। অপরিমিতমেব যজ্ঞনাপোত্যপরিমিতং লোকমব রুধে। যোহজং পঞ্চোদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥২২৷ নাস্যাস্থীনি ভিল্যান্ন মজজ্ঞো নির্ধয়েৎ। সর্বমেনং সমাদায়েদমিদং প্র বেশয়েৎ ॥ ২৩ ইদমিদমেবাস্য রূপৎ ভবতি তেনৈনং সং গময়তি। ইষৎ মহ উর্জমস্মৈ দুহে যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥২৪৷৷ পঞ্চ রক্মা পঞ্চ নবানি বস্ত্রা পঞ্চাস্মৈ ধেনবঃ কামদুঘা ভবন্তি। যোহজং পঞ্চোদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥২৫পঞ্চ রুক্মা জ্যোতিরস্মৈ ভবন্তি বর্ম বাসাংসি তন্বে ভবন্তি। স্বর্গং নোকমতে যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥২৬৷৷ যা পূর্বং পতিং বিত্বাথান্যং বিন্দুতেইপরম্। পঞ্চৌদনং চ তাবজং দদাতো ন বি যোষতঃ ॥ ২৭ ৷৷ সমানলোকো ভবতি পুনর্ভুবাপরঃ পতিঃ। যোহজং পঞ্চোদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥ ২৮৷৷ অনুপূর্ববৎসাং ধেনুমনড়াহমুপবহণম্। বাসো হিরণ্যং দত্ত্বা তে যন্তি দিবমুত্তমম্ ॥২৯৷ আত্মানং পিতরং পুত্রং পৌত্রং পিতামহম। জায়াং জনিত্ৰীং মাতরং যে প্রিয়াস্তানুপ হয়ে ॥৩০৷৷ যা বৈ নৈদাঘং নামর্তুং বেদ। এষ বৈ নৈদাঘো নামতুর্যদজঃ পঞ্চোদনঃ। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়ং দহতি ভবত্যাত্মনা। যোহজং পঞ্চোদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩১৷ যো বৈ কুবন্তং নামঠুং বেদ। কুর্বতীংকুর্বতীমেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়মা দত্তে। এষ বৈ কুবর্নামর্তুর্যদজঃ পঞ্চৌদনঃ। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়ং দহতি ভব্যত্মনা। যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩২ ৷ যো বৈ সংযন্তং নামতুং বেদ। সংযতীংসংযতীমেবাপ্রিয়স্য ভাতৃব্যস্য শ্রিয়মা দত্তে। এষ বৈ সংযন্নামর্তুর্যদজঃ পঞ্চোদনঃ। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শ্রিয়ং দহতি ভবত্যয়না। যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩৩৷৷ যো বৈ পিন্বন্তং নামর্তুং বেদ। পিন্বতীংপিন্বতীমেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়মা দত্তে। এষ বৈ পিন্বন্নামর্তুর্যজদঃ পঞ্চোদনং। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়ং দহাতি ভবত্যত্মনা। যোহজং পঞ্চোদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩৪। যো বা উদ্যন্তং নামং বেদ। উদ্যতীমুদ্যতীমেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শ্রিয়মা দত্তে। এষ বা উদ্যন্নামতুর্যদজঃ পঞ্চোদনঃ। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়ং দহতি ভবত্যাত্মনা। যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩৫৷৷ যো বা অভিভূবং নামঞ্জুং বেদ। অভিভবন্তীমভিভবন্তীমেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শ্রিয়মা দত্তে। এষ বা অভিভূর্নামর্তুর্যদজঃ পঞ্চৌদনঃ। নিরেবাপ্রিয়স্য ভ্রাতৃব্যস্য শিয়ং দহতি ভবত্যাত্মনা। যোহজং পঞ্চৌদনং দক্ষিণাজ্যোতিষং দদাতি ॥৩৬৷৷. অজং চ পচত পঞ্চ চৌদ্দনা।, সর্বা দিশঃ সম্মনসঃ সীচীঃ সান্তর্দেশাঃ প্রতি গৃহ্নন্তু ত এম ॥৩৭৷ তাস্তে রক্ষন্তু তব ভুভ্যমেতং তাভ্য আজং হবিরিদং জুহোমি ॥৩৮
বঙ্গানুবাদ— (এই সূক্তে যে অজ-এর উল্লেখ করা হয়েছে তার অর্থ ছাগ বা পাঁঠা বলে বুঝলে ভুল হবে; বরং এর অর্থ অজন্মা জীবাত্মা বোঝাই উচিত। কারণ এই সূক্তেই বলা হয়েছে। অজ হলো ব্রহ্মজ্ঞানী, বলকে জ্ঞাতশালী এবং অগ্নির শিখায় প্রকটনশালী)।
এই অজকে নিয়ে যজ্ঞ-কার্য আরম্ভ করো। যে লোকে পুণ্যাত্মা গমন করেন, সেখানে এই অজও গমন করুক এবং অন্ধকার উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্গপ্রাপ্ত হোক। হে বিজ্ঞ অজ! এই যজ্ঞে, আমি তোমাকে ইন্দ্রের ভাগের নিমিত্ত যজমানের নিকট সমর্পণ করছি। তুমি আমাদের বৈরীগণের উপর পাদস্থাপন করো। এই যজমানের পুত্র ইত্যাদি তাহলে পাপরহিত তোক।…হে অজ! তুমি বিভিন্ন লোককে দর্শন পূর্বক তৃতীয় নাকে (স্বর্গে) গমন করো।…আমি ঋকের (মন্ত্রের) দ্বারা অগ্নির উপর কলসকে স্থাপিত করছি।..অজই জ্যোতি, সে-ই অগ্নি; জীবিত পুরুষ অজকে দান করুক। শ্রদ্ধার সাথে এই লোকে দান-কৃত অজ পাপসমূহকে দূরীভূত করে স্বর্গের সাধন করে থাকে। পঞ্চৌদনের (পঞ্চযজ্ঞের) পাঁচটি ক্রম আছে। তা সূর্য, চন্দ্র ও অগ্নি এই জ্যোতিত্রয়ের উপর আরোহণ করে। হে পঞ্চৌদন! তুমি যজ্ঞাত্মক সুকর্মের মধ্যে গমন করে স্বর্গকে প্রাপ্ত হও।…ব্রহ্মার নিমিত্ত কৃত পঞ্চৌদন দাতাকে তৃপ্ত করে দিয়ে থাকে। এই অজ দাতাকে তৃতীয় নাক ও ত্রিপৃষ্ঠ ইত্যাদি স্বর্গে আরোহিত করিয়ে দিয়ে থাকে। হে অজ! ব্রহ্মার নিমিত্ত দানকৃত হয়ে পঞ্চৌদন দাতার নিকট কাম পূর্ণ করণশালিনী ধেনুতে পরিণত হয়ে যায়।…হে পিতৃগণ! ব্রহ্মার নিমিত্ত তৃতীয় পঞ্চৌদন রূপ যে অজকে দান করা হয়, তা তোমাদের নিমিত্ত জ্যোতিরূপ হয়ে যায়। এই অজ ব্রহ্মাকে জ্ঞাতশালী, বলকে জ্ঞাতশালী এবং অগ্নির জ্বালার দ্বারা প্রকট হওনশালী। এর দ্বারা পূর্ণ ইষ্টপূর্তি, অভিপূর্তি ও ব র্মকে দেবগণ কল্পিত করুন। …হে অজ! তুমিই স্বর্গ, এমনকি অঙ্গিরাবংশীয় ঋষিগণও তোমার দ্বারাই স্বর্গকে জ্ঞাত হয়েছিলেন।…অজ প্রথমে ব্যক্রমণ করেছিল, ভূমি তার উদর, দ্যৌ তার পৃষ্ঠ, অন্তরিক্ষ মধ্যভাগ, দিসমূহ পঞ্জর, তথা সমুদ্র কুক্ষি হয়েছিল। তার নেত্র সত্য ও ঋতু হয়েছিল, শির বিরাট হয়েছিল, প্রাণ সত্য ও শ্রদ্ধা হয়েছিল; এই নিমিত্ত পঞ্চৌদন অজ অসীমিত যজ্ঞই হয়ে গিয়েছিল।…যে ব্যক্তি দক্ষিণাযুক্ত পঞ্চৌদন অজকে দান করে থাকেন, তিনি স্বর্গকে উপভোগ করে থাকেন।…যে দাতা উপবহণ বৃষভ এবং অনুপূর্ববৎসা ধেনুকে স্বর্ণ-বস্ত্রের সাথে দান করে থাকে, সে শ্রেষ্ঠ স্বর্গলোকে গমন করে থাকে।…পঞ্চৌদন অজই নৈদাঘ ঋতু। যে এই নৈদাঘ নামক গ্রীষ্ম ঋতুকে জ্ঞাতশালী হয় এবং পঞ্চৌদন অজকে দক্ষিণার সাথে দান করে, তার শুভ কর্ম শত্রুর ঐশ্বর্যকে ভস্মীভূত করে দিয়ে থাকে।…পঞ্চৌদন অজকে কুবন্ত ঋতুরূপে জ্ঞাত হয়ে, কিংবা তাকে সংযন্ত ঋতুরূপে জ্ঞাত হয়ে, কিংবা তাকে পিন্বন্ত ঋতুরূপে জ্ঞাত হয়ে, কিংবা তাকে উদ্যন্ত ঋতুরূপে জ্ঞাত হয়ে, কিংবা তাকে অভিভূ ঋতুরূপে জ্ঞাত হয়ে, ঐ ঐ ঋতুতে দক্ষিণাযুক্ত পঞ্চৌদনকে দান করে, সে শত্রুর ধনসমূহ, সম্পদরাশি, ঐশ্বর্য, লক্ষ্মী ইত্যাদি ভস্ম করে থাকে। …সকল দিক, সকল অন্তর্দিকের সাথে সমান মনঃশালিনী হয়ে এই পঋেীদুনকে স্বাগত করুক। সেই দিকসমূহ, (হে যজমান!) তোমার যজ্ঞের রক্ষক হোক; তাদের নিমিত্ত আমি (ঋত্বিক) এই হবিঃ সমর্পণ করছি। [ সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অস্মিন সূক্তে পৗেদনে নামে সবে হৃয়মানস্যাজস্য জীবতো মারিতস্য চ প্রশংসা। অপরাজিতায়া আনীয়মানোজঃ প্রোক্তপ্রকারেণ হতঃ সংস্কৃতশ্চ ইন্দ্রং তপয়িত্বা তৃতীয়নাকে নাম স্বর্গভাগে যদ্বা সুকৃতাং পুষ্ণলোকে গচ্ছতি। তত্র গতপূর্বস্য যজমানাদেশ্চ তমোহন্তা ভবতীত্যাদি বর্ণনং। সাম্প্রদায়িকা অপ্যেবমেব। পঞ্চোদনসবে আ নয়ৈতং ইত্যর্থসূক্তস্য, বিনিয়োগঃ।…তথা অগ্নিচয়নে পুনশ্চিতৌ যেনা সহস্রং ইত্যনয়া গার্যপত্যে চীয়মানা ইষ্টকা ব্রহ্মা অনুমন্ত্রয়েত। তদ্ উক্তং বৈতানে। …যেনা সহস্রং ইতি বৈশ্বকর্মণহোমান ইতি (বৈ. ৫/২ ॥ (৯কা, ৩অ. ১সূ.)।
টীকা— এই সূক্তে পঞ্চৌদন নামক যজ্ঞে হ্য়মান অজের প্রশংসা করা হয়েছে। সূত্রোক্তপ্রকারে ইন্দ্রের তর্পণ পূর্বক তৃতীয় নাক নামক স্বর্গভাগে গমন করা যায়। সেই স্থানে গমনকারী যজমানগণের অন্ধকার বিনাশ ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে। সূত্রোক্তপ্রকারে এই সূক্তের অপরাপর মন্ত্রগুলির দ্বারা অগ্নিচয়ন ইত্যাদি নানা কর্মের বিনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেমন এই সূক্তের ১৭শ তম (যেনা সহস্রং) মন্ত্রটির বৈশ্যকর্মহোমে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বৈতান সূত্রের (৫/২) কথা উল্লেখিত হয়েছে।..ইত্যাদি। (৯কা, ৩অ. ১সূ.)।
.
দ্বিতীয় সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : গায়ত্রী, ত্রিষ্টুপ, অনুষ্টুপ, বৃহতী, জগতী, পংক্তি]
যো বিদ্যাদ ব্ৰহ্ম প্রত্যক্ষং পরুংষি যস্য। সম্ভারা ঋচো যস্যান্ক্যম্ ॥ ১। সামানি যস্য লোমানি যজুহৃদয়মুচ্যতে পরিস্তরণমিদ্ধবিঃ ॥ ২॥ যদ বা অতিথিপতিরতিথী প্রতিপশ্যতি দেবযজনং প্রেক্ষতে ৷ ৩৷৷ যদভিবদতি দীক্ষামুপৈতে যদুদকং যাচত্যপঃ প্রণয়তি। ৪যা এব যজ্ঞ আপঃ প্ৰণীয়ন্তে তা এব তাঃ ॥ ৫৷৷ যৎ তর্পণমাহরন্তি য এবাগ্নীষোমীয়ঃ পশুবধ্যতে স এব সঃ ৷৷ ৬৷ যদাবসথা কল্পয়ন্তি সদোহবির্ধানান্যেব তৎ কল্পয়ন্তি ॥ ৭৷৷ যদুপস্কুণন্তি বহিরেব তৎ ॥ ৮ যদুপরিশয়নমাহরন্তি স্বৰ্গমেব তেন লোকমব রুধে ॥ ৯৷৷ যং কশিপূপবর্ণমাহরন্তি পরিধয় এব তে ॥ ১০৷৷ যদাঞ্জনাভ্যঞ্জনমাহরত্যাজ্যমেব তৎ॥ ১১ যৎ পুরা পরিবেষাৎ খাদমাহরন্তি পুরোডাশাবেব তৌ ॥ ১২। যদশনকৃতং হয়ন্তি হবিষ্কৃতমেব তদ ধ্বয়ন্তি ॥ ১৩ যে ব্রীহয়ে যবা নিরুপ্যন্তেহংশব এব তে। ১৪. যানখলমুসলানি গ্রাবাণ এব তে॥ ১৫শূর্পং পবিত্রং তুষা ঋজিষাভিষবণীরাপঃ ॥ ১৬। মুগ দর্বিনেক্ষণমায়বনং দ্রোণকলশাঃ কুম্ভ্যো বায়ব্যানি। পাত্ৰাণীয়মেব কৃষ্ণাজিনম্ ॥ ১৭৷
বঙ্গানুবাদ— যা প্রত্যক্ষ ব্রহ্মের জ্ঞাতা, যার গ্রন্থিতেই সম্ভার এবং অনুক্যই ঋসমূহ; যার হৃদয় যজুঃ এবং লোম সাম এবং পরিস্তরণই হব্য; যে অতিথিপতি অতিথিকে দেখে থাকে, সে দেবযজ্ঞকেই দর্শনশালী হয়। অতিথির দ্বারা ভাষণই দীক্ষা এবং উদকের প্রার্থনাই প্রণয়নস্বরূপ।… অগ্নিযোমীয় পশুকে বন্ধনই তৰ্পণ ..ধান্য ও যবই সোম। উল্খল ও মূসলই গ্রাবা।…দবীহ সুবা, শুদ্ধ করণই আয়বন, কলশই দ্রোণকলশ (কুম্ভ) এবং কৃষ্ণমৃগের চমই বায়ব্য, পাত্র।
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— যো বিদ্যাৎ ইতি সূক্তেন জপং করোতি স্বৰ্গকামঃ ইতি বিনিয়োগমালা সম্প্রদায়ানুসারেণ। বস্তুতস্তু যো বিদ্যাদিত্যারভ্য যৎক্ষত্তারং ইত্যন্তে ষট্সু পর্যায়েষু অতিথেৰ্মাহাত্মং তথা তস্য সভাজনং তৎসভাজনস্য চ যজ্ঞফলতুল্যং ফলং চেতি আতিথ্যস্য প্রশংসা বর্ণতে।…ইত্যাদি। (৯কা. ৩অ. ২সূ.)।
টীকা –স্বৰ্গকামী জন উপযুক্ত সূক্তটির দ্বারা সম্প্রদায়ানুসারে সূত্রোক্ত প্রকারে জপ করবেন–এমনই বিনিয়োগের নির্দেশ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই সূক্তটি এবং এর পরবর্তী পাঁচটি সূক্তে একই রকমের বক্তব্য ও বিনিয়োগ বিধৃত আছে। এগুলিতে অতিথির মাহাত্ম, সভাজন ও তার সভাজনের সেবার যজ্ঞফল লাভের তুল্য ফল ও আতিথেয়তার প্রশংসা বর্ণিত হয়েছে ৷ (৯কা, ৩অ. ২সূ.)।
.
তৃতীয় সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : বৃহতী, ত্রিষ্টুপ, উষ্ণিক, অনুষ্টুপ, পংক্তি]
যজমানব্রাহ্মণং বা এতদতিথিপতিঃ কুরুতে যদাহার্যাণি। প্রেক্ষত ইদং ভূয়া ইদামিতি। ১। যদাহ ভূয় উদ্ধরেতি প্রাণমেব তেন বর্ষীয়াংসং কুরুতে। ২ উপ হরতি হবীংষ্যা সাদয়তি। ৩। তেষামাসন্নানামতিথিরাত্মন্ জুহোতি। ৪সুচা হস্তেন প্রাণে ঘূপে সুক্কারেণ বষট্কারেণ। ৫৷৷ এতে বৈ প্রিয়াশ্চাপ্রিয়াশ্চর্ভূিজঃ স্বর্গং লোকং গময়ন্তি যদতিথয়ঃ ॥ ৬ স য এবং বিদ্বান্ ন দ্বিষন্নশীয়ান্ন দ্বিষতোহমশীয়ান্ন মীমাংসিতস্য ন মীমাংসমানস্য৷ ৭৷ সর্বো বা এষ জগ্ধপাপ্পা যস্যান্নমন্তি। ৮। সর্বো বা এষোইজদ্ধপাস্ম্যা যস্যান্নং নাশ্নন্তি ॥ ৯। সর্বদা বা এষ যুক্তগ্রাবাপবিত্রো বিততাব্বর আহৃতজ্ঞতুর্য উপহরতি ॥ ১০৷ প্রাজাপত্যো বা এতস্য যজ্ঞো বিততো য উপহরতি ৷ ১১৷ প্রজাপতো এষ বিক্রমাননুবিক্রমতে য উপহরতি। ১২ যোহতিথীনাং স আহবনীয়ো যো বেশ্মনি স গার্যপত্যো। যস্মিন্ পচন্তি স দক্ষিণাগ্নিঃ ॥ ১৩৷৷
বঙ্গানুবাদ— এই অতিথিপতি অধিক গুণসম্পন্ন, এইরকম দর্শনশালী যজমান ব্রাহ্মণেরই হিত সাধিত হয়। উঠাও, ভক্ষণ করো (অতিথিকে) এমন কহনশীল ব্যক্তি তার প্রাণেরই বৃদ্ধি সাধিত করেন।..উপহরণ পূর্বক অতিথি সেই হবিকে গ্রহণ করে থাকেন। অতিথি সেই স্পৃষ্ট হওয়া পদার্থকে আপন আত্মায় হবন করে থাকেন। তিনি হস্তরূপী সুবায়, প্রাণরূপী যুপে এবং বযটুকার রূপী সুককারের দ্বারা আপন আত্মায় হবন করে থাকেন।…অতিথিগণকে সর্বদা অন্নদানরত ব্যক্তি গ্রাবাসমূহ সহ, আর্দ্র পবিত্র যজ্ঞকরণশালী ও যজ্ঞকে পূর্ণ করণশালী হয়ে থাকেন।…অতিথি আহ্বানই আহ্বানীয় অগ্নি, গৃহে স্থিত অগ্নিই গার্হপত্য অগ্নি এবং রন্ধনশীল অগ্নিই দক্ষিণাগ্নি।
টীকা –এই সূক্তের বিনিয়োগ পূর্ববৎ ॥ (৯কা, ৩অ, ৩সূ.)।
.
চতুর্থ সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : গায়ত্রী, বৃহতী, উষ্ণিক]
ইষ্টং চ বা এষ পূর্তং চ গৃহাণামাতি ষঃ পূবোহতিথেরশ্নাতি। ১। পয়শ্চ বা এষ রসং চ গৃহাণামশ্নাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নতি। ২৷৷ উজাং চ বা এষ ফাতিং চ গৃহাণামাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ ৩॥ প্রজাং চ বা এষ পশূংশ্চ গৃহাণামাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি। ৪ কীর্তিং চ বা এষ যশশ্চ গৃহাণামশ্নাতি যঃ পূর্বোহতিথেরাতি ॥ ৫৷৷ শিয়ং চ বা এষ সংবিদং চ গৃহাণামশ্নাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি৷ ৬ ৷৷ এষ বা অতিথিচ্ছোত্রিয়স্তস্মাৎ পূর্বে নামীয়াৎ ৭৷ অশিতাব্যতিখাবশ্নীয়াদ যজ্ঞস্য সাত্মত্বায়। যজ্ঞস্যাবিচ্ছেদায় তদ ব্ৰতম্ ॥৮ _ এতদ বা উ স্বাদীয়ো যদধিগবং ক্ষীরং বা মাংসং বা তদেব নাশীয়াৎ। ৯৷৷
বঙ্গানুবাদ –যিনি অতিথির পূর্বে ভোজন করে থাকেন, তিনি গৃহের সকল ইষ্টকর্মের ফলকেই ভক্ষণ করে থাকেন। এইভাবে, অতিথির পূর্বে ভোজনকারী ব্যক্তি তার গৃহের দুগ্ধ ও, রসকে, গৃহের বল ও সমৃদ্ধিকে, গৃহের প্রজা ও পশুকে, গৃহের যশকে এবং গৃহের শ্রী ও সমান মতিকে নষ্ট করে থাকেন। শ্রোত্রিয়ই বাস্তবিক রূপে অতিথি হয়ে থাকেন, সুতরাং তার পূর্বে ভোজন করা উচিত নয়। অতিথির ভোজনের পর ভোজন করাই গৃহস্থের ব্রত। গাভীর দুগ্ধ ও মাংস (আমিষ পদার্থ) ভক্ষণ অনুচিত।
টীকা— এই সূক্তের বিনিয়োগ দ্বিতীয় সূক্তে উল্লেখিত হয়েছে। (৯কা, ৩অ. ৪সূ.)।
.
পঞ্চম সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : অনুষ্টুপ, গায়ত্রী, পংক্তি]
স য এবং বিদ্বান্ ক্ষীরমুপসিচোপহরতি ॥১॥ যাবদগ্নিষ্টোমেনেস্ত্রা সুসমৃদ্ধেনাবরুধে তাবদেনেনাব রুধে ৷৷ ২৷৷ স য এবং বিদ্বাৎসর্পিরুপসিচোপহরতি। ৩। যাবদিতরাত্রেণেষ্টা সুসমৃদ্ধেনাবরুধে তাবদেনেনাব রুধে ॥৪॥ স য এবং বিদ্বান্ মধূপসিচোপহরতি ॥ ৫৷৷ যাবৎ সত্ৰসদ্যেনো সুসমৃদ্ধেনাবরুধে তাবদেনেনাব রুধে। ৬। স য এবং বিদ্বান্ মাংসমুপসিচোপহরতি ॥ ৭৷৷ যাবদ দ্বাদশাহেনো সুসমৃদ্ধেনাবরুধে তাবদেনেনাব রুধে ॥ ৮ স য এবং বিদ্বানুদকমুপসিদ্যোপহরতি। ৯। প্রজানাং প্রজননায় গচ্ছতি প্রতিষ্ঠাং প্রিয়ঃ প্রজানাং ভবতি য এবং বিদ্বানুদকমুপসিচ্যোপহরতি ॥ ১০।
বঙ্গানুবাদ— এই সম্পর্কে যিনি জ্ঞাত আছেন (অর্থাৎ গো-দুগ্ধ ভক্ষণ অনুচিত, এই কথা যিনি জানেন), তিনি দুগ্ধকে উপসেচন পূর্বক অতিথির নিমিত্ত ভোজ্য পদার্থে পরিণত করে অগ্নিষ্টোমের দ্বারা যজ্ঞ করার পর যতটুকু স্থান নিজের নিমিত্ত উন্মুক্ত (প্রাপ্ত) করা হয়, অতিথির (সেবার) দ্বারা ততটাই স্থান প্রাপ্ত হন।…অতিথির নিমিত্ত মৃতকে উপসেচনকারী জন, অতিরাত্র যজ্ঞ সাধনের পরে স্বর্গের যতটুকু অধিকার প্রাপ্ত হওয়া যায়, অতিথির দ্বারা ততটাই অধিকার লাভ করেন। অতিথির নিমিত্ত মধুযুক্ত ভোজ্য পদার্থ আনয়নকারী জন সত্ৰসদ্য যজ্ঞের ফলের ন্যায় স্বর্গফল প্রাপ্ত হন। এইভাবে অতিথির নিমিত্ত বস্তুকে উপসৈচন পূর্বক খাদ্য আনয়নকারী ব্যক্তি দ্বাদশাহ কর্মের ফল লাভ করেন। অতিথির নিমিত্ত জল উপসেচনপূর্বক ভোজ্য আনয়নকারী পুরুষ সন্তানবর্গের প্রজনন প্রাপ্ত হন, প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং প্রজাবর্গের প্রিয় রূপে গণ্য হন।–ইত্যাদি।
টীকা –এই সূক্তের বিনিয়োগ পূর্ববৎ ॥ (৯কা, ৩অ. ৫সূ)।
.
ষষ্ঠ সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : উষ্ণিক, বৃহতী, অনুষ্টুপ, গায়ত্রী]
তম্মা উষা হিঙকপোতি সবিতা প্র স্তেতি৷ ১বৃহস্পতিরূর্জয়োয়তি ত্বষ্টা পুষ্ট্যা প্রতি। হরতি বিশ্বে দেবা নিধনম্ ॥ ২ নিধনং ভূত্যাঃ প্রজায়াঃ পশূনাং ভবতি য এবং বেদ ৷৷ ৩৷ তস্মা উদ্যন্তসূর্যো হিকৃণোতি সঙ্গবঃ প্র স্তেীতি। ৪মধ্যন্দিন উগায়ত্যপরাহ্নঃ প্রতি হরত্যস্তংযন্নিধন। নিধন ভূত্যাঃ প্রজায়াঃ পশুনাং ভবতি য এবং বেদ ॥ ৫তম্মা অভ্রো ভবন্ হিকৃপোতি স্তনয় প্র স্তেীতি ৷৷ ৬ ৷৷ বিদ্যোতমানঃ প্রতি হরতি বর্ষায়ত্যু নিধন। নিধন ভূত্যাঃ প্রজায়াঃ পশূনাং ভবতি য এবং বেদ। ৭। অতিথী প্রতি পশ্যতি হিকৃণোত্যভি বদতি প্ৰ স্তৌত্যুদকং যাচয়তি ॥ ৮৷৷ উপ হরতি প্রতি হরত্যুচ্ছিষ্ঠং নিধন। ৯. নিধনং ভূত্যাঃ প্রজায়াঃ পশুনাং ভবতি য এবং বেদ। ১০
বঙ্গানুবাদ –অতিথি-সেবকের নিমিত্তই প্রজাগণ ধন্য ধন্য রব করে, সূর্য তাঁকে যশস্বী করেন, বৃহস্পতি অন্নরসের দ্বারা উৎপন্ন পুষ্টি উগায়ন করেন, ত্বষ্টা পুষ্টি দান করেন এবং সামপরিসমাপ্ত করণশালিনী বাণীর দ্বারা বিশ্বদেবগণ তাঁর স্তুতি করে থাকেন। সূর্য তার প্রশংসাও করেন এবং তিনি ঐ অতিথি-সেবকের মৃত্যুকে বিনাশ করেন।…মেঘও তার প্রশংসায় গর্জন করে।…এমন যিনি জানেন, তিনি ভূতি (অষ্ট-ঐশ্বর্য), প্রজা ইত্যাদি লাভ করেন। টীকা –এই সূক্তের বিনিয়োগ পূর্ববৎ। (৯কা, ৩অ. ৬সূ.)।
.
সপ্তম সূক্ত : অতিথি–সৎকারঃ
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : অতিথি, বিদ্যা। ছন্দ : গায়ত্রী, অনুষ্টুপ, পংক্তি, বৃহতী, জগতী, ত্রিষ্টুপ]
যৎ ক্ষত্তারং হুয়ত্যা শ্রাবয়ত্যেব তৎ৷৷ ১। যৎ প্রতিশৃণোতি প্রত্যাশ্রাবয়ত্যেব তৎ॥ ২॥ যৎ পরিবেষ্টারঃ পাত্রহস্তাঃ পূর্বে চাপরে চ প্রপদ্যন্তে। চমসাধ্বর্যব এব তে ৷৷ ৩. তেষাং ন কশ্চনাহোতা ৷ ৪৷ যদ বা অতিথিপতিরতিথী পরিবিষ্য গৃহানুপোদৈত্যবyথমেব তদুপাবৈতি ৷৷ ৫যৎ সভাগয়তি দক্ষিণাঃ সভাগয়তি যদনুষ্ঠিত উদবস্যত্যেব তৎ ॥ ৬। স উপহূতঃ পৃথিব্যাং ভক্ষয়ত্যুপহূতস্তস্মিন্ যৎ পৃথিব্যাং বিশ্বরূপম্ ॥৭॥ স উপহুতোহন্তরিক্ষে ভক্ষয়ত্যুপহূতস্তস্মিন্ যদন্তরিক্ষে বিশ্বরূপ ॥৮॥ স উপহুতো দিবি ভক্ষয়ত্যুপূতস্তস্মিন্ যদ দিবি বিশ্বরূপ ॥ ৯। স উপহুতো দেবেষু ভক্ষয়ত্যুপহুতস্তস্মিন্ যদ দেবেষু বিশ্বরূপ। ১০ স উপহূত লোকেষু ভক্ষয়ত্যুপহূতস্তস্মিন্ যশ্লোকেষু বিশ্বরূপম্ ॥ ১১স উপহৃত উপহৃতঃ ॥ ১২৷ অপ্নোতীমং লোকমাপোত্যমুম্ ॥ ১৩৷৷ জ্যোতিষ্মতো লোকান্ জয়তি য এবং বেদ ১৪।
বঙ্গানুবাদ –যিনি অভিলষিত কার্যশালী ক্ষাকে আহ্বান করেন, তিনি শ্রুতিকেই শ্রবণশালী হন।..হস্তে পাত্র গ্রহণ করে, অগ্রে-পশ্চাতে ভ্রমণ পূর্বক পরিবেশনশালীই চমস ও অধ্বর্য।.. অতিথিগণকে পরিবেশন করে গৃহের নিকটে আগমনশীল অতিথিপতি, অবyথ স্নান পূর্বক গৃহে উপবেশনকারীর সমান। ভোজনসামগ্রীগুলিকে পৃথক পৃথকভাবে পরিবেশন করে দক্ষিণা দিয়ে দণ্ডায়মান থাকা, এটাই উদবসান।…উপহৃত হওয়ার পর দেবতাগণের মধ্যে ভোজন করা হয়, দেবগণের মধ্যে যে প্রাণী আছে, তাদের দ্বারা উপহৃত হয়ে থাকে।…(অতিথিপতি) এই লোক ও পরলোকেও সাদরে আহূত হয়ে থাকেন। তিনি এই লোক ও পরলোককে লাভ করে থাকেন। যিনি এই তথ্য জ্ঞাত হন, তিনি জ্যোতির্ময় লোক প্রাপ্ত হন।
টীকা –এই সূক্তের বিনিয়োগ পূর্ববৎ ॥ (৯কা, ৩অ. ৭সূ)।