সুহানা সফর
সফরসূচি শেষ পর্যন্ত এইরকম ঠিক হল :
১৭ মে – ডুন এক্সপ্রেস।
১৯ মে–ভোরে হরিদ্বার।
১৯-২০ মে – হরিদ্বারে দুদিন। হর-কি-পাউড়িতে সন্ধ্যারতি দর্শন ও চৈতির প্রদীপ ভাসানো। কণখল : আনন্দময়ী মার আশ্রম। রোপওয়েতে মনসা পাহাড়। নীল ধারা। ভারতমাতা মন্দির। পবন মন্দির (কাচওয়ালা)। মথুরাবালার মালাই সন্দেশ।
২১-২২ মে—হৃষীকেশ। শিবানন্দ আশ্রম। লছমনঝোলা। স্টিমারে গীতা ভবন। পরমার্থ ভবন ঘাটে লোহার চেন ধরে স্নান (নইলে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে)। ছাইবাবার ঝোপড়ি।
২৩ মে – মুনি-কি-রেতির সংযুক্ত বাস আড্ডা থেকে ভোর ৬.৩০ মিনিটে গাড়োয়াল নিগমের বাস (GTT 7009)।
২৩-৩০ মে – চিলা—পাউড়ি বদ্রী-কেদার। টেন্ট কলোনি। এ ব্যাপারে আমাদের করণীয় কিছু নেই। (আপলোগ গোড়ায়াল নিগমকা সাত রোজকা মেহমান হ্যায়।)
৩১ মে–হৃষীকেশ। মুনি-কি-রেতিতে ওরা ছেড়ে দেবে।
১ জুন – মুসৌরি। (একদিনের বেশি নয়। দিল্লির সামার ক্যাপিটাল। হেজিপেজি হোটেল এখন ৪০০ টাকা। গলা কেটে নেবে।)
২ জুন – দেরাদুন থেকে ডুন এক্সপ্রেস।
৪ জুন – কলকাতা। যাবার আগের দিন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মতো দীপ্তির মাথা ধরা থেকে জ্বরজারি, সর্দিকাশি, মায় ফুড পয়েজনের যাবতীয় ওষুধ কিনে, কর্পোরেশন থেকে পাওয়া কলেরার ভুয়ো সার্টিফিকেট হাতে দাঁড়িয়ে আছি। কিছু কেনাকাটি এখনও বাকি আছে।দীপ্তি সেজন্যেই আসবে। যেমন, দুটো হাওয়া বালিশ (একটা আছে), টর্চের ব্যাটারি, ক্যামেরার ফিল্ম। যেমন, পকেটওলা ড্রয়ার, যদি পাওয়া যায়। হাজার দশেক টাকা ক্যাশ সঙ্গে যাচ্ছে, বেশিটা দীপ্তি সেখানে রাখবে। শায়া ও শালোয়ারে সে ইতিমধ্যে ইনসাইড পকেট করে নিয়েছে। ট্রাভেলার্স চেক? ধূর, ওদিকে ব্যাঙ্ক-ফ্যাঙ্ক কোথা? টাকা আমার কাছে থাকবে না। হারিয়ে ফেলব। গত বছরে একদিন,হ্যাঁ, সপ্তমীর দিন, এক প্যাকেট উইলস ফিল্টার কিনে, হা, রাসবিহারীতে চোদ্দ টাকা ফেরত নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। মনে নেই? কনট্রাসেপটিভস? ছিঃ। স্বর্গে গিয়েও ধান। ভানবে? চেঁকি কোথাকার।
৬টায় আসার কথা মেট্রোর সামনে।
চৈতি যোধপুর পার্কে মামার বাড়িতে। সেখান থেকে ওকে তুলে ফেরা। ৮টা বেজে গেল, দীপ্তির দেখা নেই। বাড়ির ফোন খারাপ। যোধপুরে ফোন পেয়ে চৈতি বলল, সে কী। তুমি সোজা বাড়ি চলে যাও। আমি আজ এখানেই থেকে যাচ্ছি। কিন্তু, তুমি আমাকে ফোন করবে। ফোন না পেলে এখানে এসে খবর দিয়ে যাবে। যত রাতই হোক। বুঝলে?
চৈতি একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছে মনে হল।