০৮. জনম জনম কাঁদিব

আনিসের ঘরের বারান্দায় ঝুলানো চারটা অর্কিড গাছেই ফুল ফুটেছে। নীল ফুল। লম্বা বড় বড় সতেজ অহংকারি পাপড়ি। আনিস মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। স্বপ্নে আর্কিড গাছে ফুল ফুটতে সে দেখেছে। স্বপ্লের ফুল থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছিল। বাস্তবের ফুলগুলি থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছে না, কিন্তু দেখতে স্বপ্নের ফুলের চেয়েও সুন্দর লাগছে। আনিস ঠিক করল–অর্কিড গাছে ফুল ফোটার খবরটা নবনীকে জানাবে। কয়েক লাইনের চিঠি–তুমি যে অর্কিডগুলি দিয়েছিলে সেখানে ফুল ফুটেছে। এই সঙ্গে গাছের কিছু ছবি।

নবনী ক্যামেরার জন্যে ফিল্ম নিয়ে এসেছিল, ব্যবহার করা হয় নি। এখন ব্যবহার করা যাবে। ফিল্ম নেত্রকোনা পাঠিয়ে ডেভেলপ করে আনাতেও দু’দিন লাগবে। বিরাটনগরের কিছু ছবিও সে তুলে নিয়ে যাবে। শ্মশানঘাটের ছবি, বুধবারে যে হাট বসে–হাটের ছবি, আড়ং-এর ছবি।

বিরাটনগরে থাকার কাল শেষ হয়েছে। ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পিএইচডি করার স্কলারশিপ পাওয়া গেছে। গবেষণার কাজটা তার কেমন লাগবে সে বুঝতে পারছে না। ডাক্তারি করে যে আনন্দ সে পেয়েছে সেই আনন্দ কি পাবে? মনে হয়। পাবে না। মানুষের ভালোবাসায় যে অভ্যস্ত হয়ে যায়। সেই ভালোবাসা না পেলে সে অথৈ জলে পড়ে যায়।

আনিসকে দেখিয়ে কেউ যখন গর্ব এবং অহংকার নিয়ে বলে–আমরার সাইকেল ডাক্তার যায়। বাক্কা বেড়ার চাক্কাডা–তখন মনে হয় কড়া কোনো নেশার বস্তু রক্তে ঢুকে গেছে। শরীর ঝনঝনি করতে থাকে।

বুধবার হাটে আনিস মাছ কিনতে গিয়েছিল। দশটা কইমাছ কিনে দাম দিতে গেলা–মাছওয়ালা এমনভাবে তাকাল যেন সে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছে। হড়বড় করে বলল–আমি গরিব বইল্যা এই অপমান–আপনে আমারে দাম দিতে চান। কপালের দোষে গরিব হইছি ডাক্তার সাব। আইজ যদি আপনের কাছে মাছের দাম নেই। আর এই সংবাদ আমার পরিবারের কানে যায়–হে আমারে তিন তালাক দিয়া বাপের বাড়ি চইল্যা যাবে।

আনিস হাসতে হাসতে বলল, কারণ কী?

কারণ আফনে তারে বাঁচাইছিলেন। আমরা তার জীবনের আশা ছাইড়া দিয়া মৌলবি ডাকাইয়া তওবা পর্যন্ত পড়াইছি।

মানুষের ভালোবাসার বন্ধন কাটানো খুবই কঠিন। কঠিন হলেও বন্ধন কাটাতে হবে। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। আনিস সাইকেল নিয়ে পথে নামল। সাইকেলের কেরিয়ারে ডাক্তারি ব্যাগ আছে। সেই ব্যাগের এক কোনায় আছে একটা ক্যামেরা। ছবি তোলা হবে।

মসজিদের কাছে এসে আনিস সাইকেল থেকে নামল। মসজিদের নতুন ইমাম সাহেব বের হয়ে এলেন। খুবই অল্পবয়স্ক, হাসি খুশি একজন যুবক। সুন্দর চেহারা।

আনিস বলল, ইমাম সাহেব কেমন আছেন?

ইমাম বিনয়ের সঙ্গে বলল, ভালো আছি। ডাক্তার সাহেব।

আনিস বলল, একা একা থাকেন। ভয় লাগে না?

ইমাম বলল, জি না ভয় লাগে না। আল্লাহপাকের পাক কালাম পড়ে রাতে ঘুমাই–ভয় লাগবে কী জন্যে!

নতুন এই ইমামকে আনিসের খুব পছন্দ। ছেলেটা হাদিস কোরানের বইপত্র ঘেঁটে সবাইকে দেখিয়েছে, অপঘাতে যার মৃত্যু হয়েছে তার জন্যেও জানাজার নামাজ হবে। সে আগের ইমাম সাহেবের জন্যে জানাজার নামাজের ব্যবস্থা করেছে। আনিস সকিনাকে চিঠি লিখে ঘটনাটা জানিয়েছে। আনিস লিখেছে—

আপনি শুনে আনন্দিত হবেন যে আপনার বাবার জন্যে জানাজার নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদের নতুন ইমাম সাহেব ব্যবস্থা করেছেন। এবং প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। বিরাট নগর গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের গ্রামের মানুষরা জানাজায় শরিক হয়েছে। জানাজার পর মিলাদ হয়েছে। চেয়ারম্যান জহির খাঁ সাহেব মিলাদ উপলক্ষে দুটা গরু জবেহা করে লোকজনদের খাইয়েছেন।

আপনার শুনে খুবই ভালো লাগবে যে জহির খাঁ সাহেব মিলাদের অনুষ্ঠানে বলেছেন—‘তিনি অন্যায় করেছেন। একজন সম্মানিত মানুষকে অপমান করেছেন।’

জহির খাঁ সাহেবের শরীর ভালো না। আপনি দয়া করে তার ওপর কোনো রাগ রাখবেন না।

 

ক্লিনিকের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আনিস কিছুক্ষণ শুয়ে থাকল। তার নিজের শরীরও ভালো যাচ্ছে না। অল্পতেই ক্লান্তি লাগে। এই ক্লান্তি মনের না শরীরের তাও সে বুঝতে পারছে না। জটিল কোনো ব্যাধি কি শরীরে ঢুকে পড়েছে। যে ব্যাধিকে সে নিজে সাইকেলে ঘণ্টা বাজিয়ে দূর করতে পারবে না। প্রকৃতি মানুষকে নিয়ে নানান খেলা খেলে। প্রকৃতি হঠাৎ যদি চায়…

আনিস ঘুমিয়ে পড়ল। তার দুপুরের খাওয়া হলো না। সুজাত মিয়া রান্না করে বসে রইল। মানুষটা না খেয়ে ঘুমাচ্ছে–সে কী করে খায়। সুজাতের পায়ে চকচকে নতুন জুতা। এই জুতা আনিস অর্ডার দিয়ে ঢাকা থেকে বানিয়েছে। জুতার হিল একটা বড়, একটা ছোট। এই জুতা পরে সুজাত অন্য সবার মতো সাধারণভাবে হাঁটতে পারে। পায়ে জুতা পরা অবস্থায় তার হাঁটা দেখে কেউ বলতেই পারবে না। তার পায়ে কোনো সমস্যা আছে। জুতা পরে হাঁটতে তার খুবই লজ্জা লাগে। সে হলো ফকিরের বাচ্চা, কিন্তু পায়ে চকচকা জুতা। আবার এই জুতা পরে হাঁটতেও তার ভালো লাগে। একদিন জুতা পরে সে একটা দৌড় দিয়েছিল। কোনো সমস্যা হয় নি।

সুজাত শুনেছে আনিস চলে যাবে। সুজাত এই নিয়ে কিছু বলে নি। তবে সে ঠিক করে রেখেছে। ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে সেও যাবে। বিলাত, লন্ডন, যেখানেই হোক যাবে। বিরাটনগর ছেড়ে সে থাকতে পারবে না। ডাক্তার সাহেব যদি তাকে নিতে না চান তাহলে সে এই জুতা জোড়া পরবে না। মগড়া নদীতে ভাসিয়ে দেবে। এটা তার মুখের কথা না, সে জুম্মা ঘর ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছে।

দুপুরের ডাকে আনিস দুটা চিঠি পেয়েছে। একটা তার মা লিখেছেন, আরেকটা নবনী। মা’র চিঠিটা আনিস বিছানা থেকে না নেমে সঙ্গে সঙ্গে পড়ে ফেলল। মা লিখেছেন–

বাবা তুমি পিএইচডি করতে বাইরে যাচ্ছ শুনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। তোমার বাবা তার স্বভাবমতো এটা নিয়েও নানাবিধ যন্ত্রণা করছেন–তুমি আমেরিকার যে স্টেটে যাচ্ছ তার আবহাওয়া এবং তার জলবায়ু নিয়ে বইপত্র এনে নানান ধরনের গবেষণা শুরু করেছেন এবং তিনি তার জ্ঞানের নমুনা আমাকে দেখাতে শুরু করেছেন। রাত তিনটার সময় কেউ যদি আমারে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে–মেরিল্যান্ডে ডিসেম্বর মাসেও বরফ পড়ে না। গত বছর ক্রিসমাসের সময়ও বরফ পড়ে নি। তখন কেমন লাগে। তুমিই বলো। এই নিয়ে আমি দু একটা কঠিন কথা বলেছি–তার ফলে তোমার বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এখন তিনি আছেন উত্তরায় তার খালাতো ভাই পারভেজ সাহেবের বাসায়। সেখান থেকে নিয়ম করে প্রতিদিন টেলিফোনে আমার সঙ্গে ঝগড়া করছেন। যতই বয়স বাড়ছে। ততই তোমার বাবা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছেন। শুনেছি। তুমি খুব ভালো ডাক্তার হয়েছ–তোমার বাবার জন্যে অবশ্যই ওষুধের ব্যবস্থা করবে।

আনিস হো হো করে হাসছে। সুজাত ঘরে ঢুকে বলল, ভাত খাইবেন না? আনিস বলল, অবেলায় আর ভাত খাব না। শরীরটা ভালো লাগছে না। এক কাপ চা খাব। আচ্ছা শোন চাও খাব না।

সুজাত শুকনা মুখে তাকিয়ে আছে। তার প্রচণ্ড ক্ষিধে লেগেছে। কিন্তু সে ডাক্তার সাহেবকে ফেলে খাবে কীভাবে?

নবনীর চিঠিটা পড়তে আনিসের ভয় ভয় লাগছে। চিঠিতে কী লেখা আছে আনিস তা অনুমান করতে পারে–তারপরেও চিঠি পড়ার মতো সাহস সে সঞ্চয় করে উঠতে পারছে না। আনিস বিছানা ছেড়ে উঠল। শরীরের অসুস্থতাটাকে প্রশ্ৰয় দেওয়া ঠিক হবে না। সাইকেলে করে সে খানিকটা ঘুরবে–তারপর যাবে। শ্মশানঘাটায়। নবনীর সব চিঠিই সে শশানঘাটের নির্জনতায় পড়েছে। আজকেরটা বাদ যাবে কেন? হোক না কঠিন কোনো চিঠি।

 

আনিস শশানঘাটে গিয়ে খানিকটা চমকাল। কেউ একজন শ্মশানঘাটা ঝকঝাক করে রাখছে। এই কাজটা যে আজই প্ৰথম করা হচ্ছে তা-না। রোজই করা হচ্ছে। কাজটা কেউ একজন আনিসকে খুশি করার জন্যে করছে তা বোঝা যাচ্ছে। যে কাজটা করছে সে ঘটনাটা প্ৰকাশ করছে না। নবনী থাকলে চট করে বের করে ফেলত। এসব ব্যাপারে তার অসম্ভব বুদ্ধি। আনিস নবনীর চিঠি পড়তে শুরু করল।

ডাক্তার সাহেব,

কেমন আছ বল তো? শুনে খুশি হবে কি-না জানি না, আমার দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়েছে। কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে ঢাকায় এসে দুঃস্বপ্লহীন রাত কাটাচ্ছি। স্বপ্ন-খাতাটা কুটিকুটি করে ফেলে দিয়েছি।

আমার চিঠি পড়ে কি কষ্ট পাচ্ছ? প্লীজ কষ্ট পেও না। দুঃস্বপ্ন নিয়েও যদি তোমার গলায় ঝুলে থাকতাম তাহলে কষ্টটা অনেক বেশি হতো। এখন অনেক কমের ওপর দিয়ে গেল। আমার সিদ্ধান্ত তোমার মা-কে জানাতে গিয়েছিলাম।–তিনি তোমার বিদেশ যাত্ৰা নিয়ে এতই আনন্দিত যে কথাটা বলা গেল না। বিদেশ যাবার ব্যাপারটা নিয়ে তুমি একটু চিন্তা কর তো। আমার ধারণা গ্রামে ডাক্তারির ব্যাপারটায় তুমি যতটা আনন্দ পাচ্ছ–বিদেশের ল্যাবোরেটরিতে তত আনন্দ পাবে না। তোমাকে ‘সাইকেল ডাক্তার’ হিসেবে যতটা মানায়–মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুগম্ভীর অধ্যাপক হিসেবে তত মানায় না।

তোমাদের মতি আমার কাছে গোপনে একটা পরামর্শ চেয়েছে–সে না-কি স্বপ্নে পাওয়া কি ট্যাবলেট বানাতে চাচ্ছে। ট্যাবলেট জোড়া লাগছে না। জোড়া কীভাবে লাগে জানতে চেয়েছে। তাকে বল আগার আগার গাম ব্যবহার করতে। আমি এক্সপার্ট ওপিনিয়ন নিয়েই বলছি। আগার আগার গাম পানিতে গুলে বড়ির সঙ্গে মেশাতে হবে।

তোমাদের মতি যে ইমাম সাহেব সেজে বিভিন্ন মানুষকে ভয় দেখাতো এটা জান? মহিলা শার্লক হোমসের মতো আমি রহস্যভেদ করেছি। কীভাবে করলাম বলি–আমি লক্ষ করলাম মতির হাইট এবং ইমাম সাহেবের হাইট একই। দু’জনই রোগাপাতলা ছোটখাট মানুষ। তখন আমার সন্দেহ হলো মতি বোধহয় ইমাম সাহেবের আচকান টুপি চুরি করে এই কাজটা করছে। আমি মতিকে হুট করে জিজ্ঞেস করলাম, মতি ইমাম সাহেবের আচকান টুপি চুরি করেছ কেন? মতি পুরোপুরি হকচকিয়ে গেল। তখন বললাম, মানুষকে ভয় দেখাও কেন? মানুষকে ভয় দেখানো কি উচিত? মাতি খুবই বিব্ৰত ভঙ্গিতে মাথা চুলকাতে লাগল।

দেখেছি আমার কত বুদ্ধি?

তোমাদের চেয়ারম্যান জহির খাঁ সাহেবের কথায় বিভ্ৰান্ত হয়ো না। তিনি অত্যন্ত চালাক মানুষ। তার চালাকির সঙ্গে তুমি পারবে না। তুমি তো জান না যে তার স্ত্রীর রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিল। ভদ্রমহিলা কলেরায় মারা গেছেন এই ঘোষণা দিয়ে তিনি অতি দ্রুত তার স্ত্রীর কবরের ব্যবস্থা করেন। এই লোককে চট করে বিশ্বাস করা কি উচিত?

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে অতি দ্রুত তিনি তোমাকে কোনো বিপদে ফেলবেন। কারণ তিনি তার আশেপাশে ক্ষমতাবান মানুষ পছন্দ করেন না। তুমি কাকতালীয়ভাবে এই অঞ্চলের একজন ক্ষমতাধর মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছ। তুমি মানুষটা বোকা বলেই আমার ভয়।

বোকা বলছি বলে রাগ করছ না তো? তুমি বোকা তো বটেই, বোকা বলেই আমি যখন বলেছি তোমাকে আমার পছন্দ হচ্ছে না। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি–তুমি সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে ফেলেছ। মানুষকে এত বিশ্বাস করাও কিন্তু ঠিক না।

আমি ঢাকায় আসার সময় ট্রেনে উঠেছি–দেখলাম তুমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছ। একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছ না। আমি প্ৰথম ভাবলাম রাগ করে তাকাচ্ছ না। তারপর হঠাৎ দেখি তোমার চোখ ভর্তি পানি। আমার কী যে আনন্দ হলো। তখন ভাবলাম, কিছুদিন তোমাকে কষ্ট দিয়ে দেখি। আনন্দকে তীব্র করার জন্যে কষ্টের প্রয়োজন আছে, তাই না?

আমার আর্কিড গাছগুলোতে ফুল ফুটলেই আমাকে খবর দেবে। আমি চলে আসব।

ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্যে দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি ‘জনম জনম কাঁদিব।’

 

চিঠি শেষ করে আনিস স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। এক সময় সন্ধ্যা মিলাল, রাত হলো। অন্ধকার রাত–তারপরেও আনিসের মনে হলো–অপূর্ব জোছনা হয়েছে। জোছনার তীব্ৰ আলো শ্বেতপাথরে চকমক করছে। জোছনা গায়ে মাখার জন্যে কি-না কে জানে ডাক্তারি ব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে আনিস লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল।

অন্ধকার ঝোপের আড়াল থেকে মতি অবাক হয়ে দৃশ্যটা দেখছে। শ্মশানঘাট সেই ধুয়ে পরিষ্কার করে। শ্মশানঘাটায় এসে এই পাগল ডাক্তার যা করে তাই তার দেখতে ভালো লাগে। তার কাছে মনে হয় রহস্যে ভরা এই মানব জীবনটাকে লোকে যত খারাপ বলে–আসলে তত খারাপ না।

মতির কাছে মনে হলো ডাক্তার শুধু যে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে তা না, মাঝে মাঝে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মতি মনে মনে বলল, আহারে আহারে!

1 Comment
Collapse Comments
হামিদুল August 14, 2021 at 9:02 pm

Most favourite Novel.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *