আজ মাসের প্রথম শুক্রবার।
মাসের প্রথম শুক্রবারে মা কিছু এতিম খাওয়ান। বেজোড় সংখ্যক এতিম–তিন, পাঁচ, কিংবা সাত। কোন হাদিসে তিনি পড়েছেন আল্লাহ নিজে যেহেতু বেজোড় তিনি বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন। বেজোড় সংখ্যার উপর আল্লাহর খাস রহমত।
কাজের ছেলে মাখন গিযেছে এতিমের সন্ধানে। বাসায় তেহারী রান্না হচ্ছে। মা নিজেই রাঁধছেন। বাজারও তিনি নিজেই তাঁর রোজগারের টাকায় করে নিয়ে এসেছেন। কুটা বাছা সব নিজে করবেন। এতিমদের পরিবেশনার দায়িত্বও তাঁর নিজের। সোয়াবের ভাগ অন্য কাউকে দেবেন না। সবটাই তাঁর।
এতিম খাওয়ানোর দিনে আমরা একটু ভয়ে ভয়ে থাকি কারণ মার মেজাজ থাকে খুব খারাপ। তিনি খিদে সহ্য করতে পারেন না, এই দিনে তিনি রোজা রাখেন। বলে মাথা ঠিক থাকে না।
আজ তাঁর মাথা অন্যদিনের চেয়েও খারাপ কারণ কাজের ছেলে খুঁজে পেতে মাত্র দুজন এতিম ধরে এনেছে। বেজোড় আনার কথা, জোড় এনেছে। তাদের খেতে দেয়া হয়নি, বসিয়ে রাখা হয়েছে। মাখন আবারো গেছে। তার ফেরার নাম নেই। আড়াইটা বেজে গেছে। আমাদের খাবার দেয়া হচ্ছে না, কারণ এতিম দুজন অতিথি। এরা খাওয়া শেষ করলে আমরা খাব।
এতিম দুজনের মধ্যে একজন উসখুস করছে। চলে যেতে চাচ্ছে। মনে হয় এ তেমন ক্ষুধার্ত না, কিংবা নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করার মত সাহস তার আছে। শূন্য থালা সামনে নিয়ে কতক্ষণ আর বসে থাকা যায়?
পৌনে তিনটায় সাইকেলের পছনে বসিয়ে মাখন তৃতীয় এতিম নিয়ে উপস্থিত হল। মাখনের মুখ ভর্তি হাসি। মা বললেন, একটা এতিম জোগাড় করতে এতক্ষণ লাগল?
মাখন দাঁত বের করে বলল, আসল নকল বিচার কইরা আনা লাগে না? নকল এতিমে ঢাকা ভর্তি।
যেটা এনেছিস সেটা আসল?
বাজাইয়া আনছি আম্মা। আর মা তিনজনকেই বসে বসে খাওয়ালেন। আরেকটু নাও, আরেকটু নাও বলে খাদিমদারি করলেন। খাওয়ার শেষে পান সুপারি এবং তিনটা করে টাকা দেয়া হল। মা আনন্দিত মনে ঘরে ঢুকলেন। আর তখনি রূপার সঙ্গে তাঁর বড় ধরনের ঝামেলা বেঁধে গেল। ঝামেলার শুরুটা আমি জানি না। বাথরুমে ছিলাম, শুনতে পাইনি। যা শুনলাম তা হল–মা রাগী গলায় বলছেন,
তোমার ধারণা আমার এই এতিম খাওয়ানো ব্যাপারটা হাস্যকর?
দ্ধি মা, আমার তাই ধারণা। খুব হাস্যকর।
দরিদ্র ক্ষুধার্ত মানুষকে ভরপেট খাওয়ানো তোমার কাছে হাস্যকর?
যে ভঙ্গিমায় খাওয়াচ্ছেন তা হাস্যকর। আয়োজনটা হাস্যকর। কেন?
ক্ষুধার্ত মানুষ, ভিখিরী এদের জন্যে আপনার আসলে তেমন কোন মমতা নেই। এতিম খাওয়ানো উপলক্ষে হৈ চৈ করতে পারছেন–এটাই আসল।
এই বয়সে আসল নকল জেনে বসে আছ? দুদিনের মেয়ে, আমার ভুল ধরতে আস? নিজের ভুলগুলি চোখে পড়ে না?
রূপা শান্তগলায় বলল, আমার কি ভুল মা?
এর উত্তরে মা কিছু ভয়ংকর কথা বলে ফেললেন। তাঁকে ঠিক দোষ দেয়া যায় না। সারাদিনের পরিশ্রমে এবং উপবাসে তাঁর মাথায় রক্ত চড়ে গেছে। তাছাড়া এই কঠিন কথাগুলি তাঁর মনে ছিল। বলার মত পরিস্থিতি হয় নি। কে জানে মা হয়ত এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগালেন। প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। মা বললেন, তোমার ভুল আমাকে বলে দিতে হবে? তুমি নিজে তা জান না? সিনেমা করার নামে রাজ্যের পুরুষদের সঙ্গে যে মাখামাখিটা কর তা তুমি নিজে জান না? নাকি নিজের অজান্তে কর? আর করবে নাই বা কেন? রক্তের টান আছে না? মার কাছ থেকেই তো শিখেছ? তোমার মাও তো ক্লাবে ক্লাবে নেচে বেড়াতে। কোন ধরনের মেয়ে ক্লাবে ক্লাবে নেচে বেড়ায় তা কি আমি জানি না? নাকি তুমি ভেবেছ আমিও রঞ্জুর মত গাধা?
রূপ৷ ফ্যাকাশে হয়ে গেল।
আমি বিস্মিত হয়ে ঘরে উপস্থিত অন্য মানুষগুলির দিকে তাকালাম। কেউ কিছু বলছে না। কেউ মাকে থামাবার চেষ্টা করছে না। বাবা এমন ভাব করছেন যেন তিনি কিছুই শুনতে পান নি। মুনিয়া তার মেয়ের মুখে তেহারী তুলে দেয়ায় অতিরিক্ত রকমের ব্যস্ত। আদর্শ মানব বাবু একমনে খেয়ে যাচ্ছে। আমার ধারণা মায়ের কোন কথাই তার কানে ঢুকে নি। তার প্লেটের কাছে একটা বই খোলা। তার সমস্ত ইন্দ্রিয় বই—এ নিবদ্ধ। আগামীকাল থেকে তার পরীক্ষা শুরু।
রূপা বলল, আপনি ঠিকই বলেছেন, কিছু কিছু জিনিস আমি আমার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি। আপনাকে রাগিয়ে দেবার জন্যে দুঃখিত। আসুন, খেতে আসুন।
মা চেঁচিয়ে বললেন, খেতে আসব মানে? তুমি কি জান না আমি রোজা?
না, আমি জানতাম না।
এখন বল–রোজা রাখাও একটা হাস্যকর ব্যাপার।
রূপা তার জবাব না দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, খেতে বস। তুমি না বললে তোমার ক্ষিধে পেয়েছে?
আমি খেতে বসলাম। লক্ষ করলাম রূপা খেতে পারছে না। ভাত মাখাচ্ছে, মুখে তুলতে পারছে না। তার চোখ ভেজা। আমি রূপাকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। আজ কি সে কাঁদবে? রূপা কিছু কিছু জিনিস তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। কঠিন আঘাতে না কাঁদার স্বভাবও কি তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া?
বাবা খুব সম্ভব প্রসঙ্গ পাল্টাবার জন্যে বললেন, বিরিয়ানী এবং তেহারী এই দুটা জিনিসের মধ্যে ডিফারেন্সটা কি?
আদর্শ মানব বাবু অবাক হয়ে বলল, আমাকে কিছু বলছেন? বিরিয়ানী এবং তেহারী এই দুয়ের মধ্যে ডিফারেন্সটা কি?
আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন? আমি কি বাবুর্চি? আমাকে এমন জিনিস জিজ্ঞেস করবেন যার উত্তর আমি জানি। যেমন ধরুন, আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন–ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই দুয়ের মধ্যে প্রভেদ কি তাহলে আমি বলতে পারব। সেটা কি জানতে চান?
বাবা অসম্ভব বিরক্ত হলেন। বাবু তাকাল রূপার দিকে।
ভাবী, তুমি জানতে চাও?
চাই।
সত্যি চাও না কথার কথা?
সত্যি চাই।
ঠিক আছে বলছি। নিউটনের নাম শুনেছ তো ভাবী? নিউটনের গতিসূত্র দিয়ে শুরু করা যাক …
বাবু বক বক করে যাচ্ছে। রূপা মনোযোগী ছাত্রীর মত তাকিয়ে আছে বাবুর দিকে। আমি তাকিয়ে আছি রূপার চোখের দিকে। দেখতে চাচ্ছি তার ভেজা চোখ কি শুকিয়ে যাবে? না কি শেষ পর্যন্ত সে নিজেকে সামলাতে পারবে না? কতটুক শক্ত এই মেয়ে!
খাওয়া শেষ করে ঘরে এসেছি। রূপা পান চিবুতে চিবুতে ঘরে ঢুকল। হাসি মুখে বলল, মা মিষ্টি পান আনিয়েছেন। পান খাবে?
আমি পান নিলাম।
তুমি বিছানায় বস তো। আমি তোমার ইজিচেয়ারটায় বসে দেখি কেমন লাগে।
আমরা জায়গা বদল করলাম। রূপা বলল, তোমাকে বলতে ভুলে গেছি মুনিয়ার হাসবেণ্ড অর্থাৎ এক্স হাসবেও টেলিফোন করেছিলেন। তোমার সঙ্গে তাঁর নকি ভীষণ জরুরী কথা আছে। ঠিকানা দিয়ে দিয়েছেন। দেখা করতে বললেন।
কবে দেখা করতে হবে?
আজ। বিকেলে চলে যেও।
আচ্ছা।
তুমি কি ঘুমুবে? ঘুমুতে চাইলে চাদর গায়ে শুয়ে পড়। আমি ইজিচেয়ারে শুয়ে শুয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি।
ঘুম পাচ্ছে না।
রূপা হাসল। আমি বললাম, হাসছ কেন?
রূপা হাসতে হাসতে বলল, তোমার পড়ুয়া ভাইকে কিছুক্ষণ আগে একটা ধাঁধা জিজ্ঞেস করলাম। সে ধাঁধা শুনে পুরোপুরি ভড়কে গেছে–আমার ধারণা পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন সে এইটা নিয়েই ভাববে।
কি ধাঁধা।
খুব সহজ ধাঁধা। দুজন ছেলেকে তাদের বাবারা কিছু টাকা দিয়েছিলেন। একজন তাঁর ছেলেকে দিলেন ১৫০ টাকা, অন্যজন দিলেন ১০০ টাকা। ছেলে দুজন তাদের টাকা গুনে দেখল একত্রে তাদের টাকা হয়েছে মাত্র ১৫০। কি করে সম্ভব হল? তুমি কি পারবে?
না।
বাবুও পারবে না। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সহজ জিনিসগুলি খুব জটিল ভাবে চিন্তা করে। তাদের পক্ষে এই ধাঁধার উত্তর বের করা অসম্ভব।
আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
রূপা তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তার মুখের ভাব সহজ। চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক। যেন কিছুই হয়নি। দুপুরের ঘটনাটা সে মাথা থেকে দূর করে দিয়েছে। রূপা বলল, চা খাবে?
না।
খাও একটু। মতির মাকে চা দিতে বলেছি। সে চা নিয়ে আসবে।
আচ্ছা।
মতির মা চা নিয়ে ঘরে ঢুকল। আমি এবং রূপা চা খাচ্ছি। চা খেতে খেতে রূপা বলল, আমি যখন কোন কথা বলি তখন কি তুমি মন দিয়ে শোন, না শুধু তাকিয়ে থাক?
মন দিয়ে শুনি। সবার কথাই আমি মন দিয়ে শুনি।
তোমার মা আজ ভাত খাবার সময় যে কথাগুলি বলেছিলেন তুমি কি তা মন দিয়ে শুনেছ?
হুঁ।
আমার মা সম্পর্কে তিনি যা বললেন সেগুলি কি তোমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে?
না।
যদি বিশ্বাসযোগ্য মনে না হয়ে থাকে তাহলে কেন তুমি তোমার মাকে চুপ করতে বললে না? আমি যে কি ভয়ংকর লজ্জা পাচ্ছিলাম তা তোমার চোখে পড়ে নি?
চোখে পড়েছে।
তাহলে চুপ করে ছিলে কেন? প্রতিবাদ করনি কেন?
রূপার গলার স্বর বদলে যাচ্ছে। চোখের তারায় অন্য এক ধরনের আলো। সে আজ বিশেষ কিছু বলবে। সেই বিশেষ কথাগুলি শোনার জন্যে আমি অপেক্ষা। করছি। রূপা চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে ঠোঁট মুছল, তারপর আগের চেয়েও নিচু গলায় বলল, প্রতিবাদ আমি নিজেও করতে পারতাম। ভণ্ডামী, ভান এইসব আমার ভাল লাগে না। যেখানে এইসব দেখেছি কঠিন গলায় প্রতিবাদ করেছি। তোমার মার কথার কোন প্রতিবাদ করতে পারলাম না, কারণ তিনি যা বলেছেন সত্যি বলেছেন। এক বিন্দু মিথ্যা নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না।
সবটা শোন তারপর বল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমার মা আর্ট স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। অহংকারী জেদী একটি মেয়ে। অসম্ভব রূপবতী। আমি বলেছি না মার কিছু কিছু জিনিস আমি পেয়েছি। রূপ হচ্ছে তার একটা। কিন্তু মা ছিলেন দরিদ্র। তাদের পুরো পরিবারটাই দরিদ্র। দুবেলা খাবার সামর্থও এই পরিবারের ছিল না। এমন একটা পরিবারে রূপবতী মেয়ে হয়ে জন্মানোর হাজারো সমস্যা। মা আর্ট স্কুলের পড়ার খরচ চালাতে পারেন না। অনাহারের কষ্টও এক সময় অসহ্য বোধ হল। এক সময় দেখা গেল ছুটির দিনে নাইট ক্লাবগুলিতে তিনি নাচতে শুরু করেছেন। বাড়তি কিছু টাকা আসছে।
আমি বললাম, থাক এসব।
রূপা বলল, থাকবে কেন? আমি তো বলতে লজ্জা পাচ্ছি না। তুমি শুনতে লজ্জা পাচ্ছ কেন? আমার মা প্রতিটি ঘটনা আমাকে বলেছেন। যখন বলেছেন তখন আমার বয়স খুব অল্প। তিনি বলতে লজ্জা পান নি, আমিও মার কথা শুনে লজ্জা পাইনি। তুমি কেন পাবে? মা বলতেন–শরীর এবং মন আলাদা আলাদা। শরীর অশুচি হলেই মন অশুচি হয় না। এটা হয়ত তিনি নিজেকে সান্ত্বনা দেবার জন্যেই বলতেন।
মা ভয়ংকর জীবন বেছে নিয়েছিলেন। আমার বাবা তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। বিয়ে করেন। দেশে নিয়ে আসেন। মার সমস্ত দুঃখ, সমস্ত কষ্ট ভুলিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কেমন লাগছে তোমার গল্পটা?
ভাল?
শুধু ভাল? এটা কি চমৎকার একটা গল্প না?
হ্যাঁ চমৎকার গল্প।
এই চমৎকার গল্পের একটা ভয়ংকর অংশ আছে। সেই অংশটা এখন আমি তোমাকে বলব।
বল।
বাবা যখন আমার মাকে বিয়ে করেন তখন আমার মা অন্তঃসত্তা। আমার মা ঠিক জানেন না–আমার বাবা কে। এইসব কিছুই আমি তোমাকে বলিনি। এখন। বললাম, কারণ পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। আমার চাচার বাবার সম্পত্তির জন্যে মামলা মোকদ্দমা করবেন। একজন অবৈধ কন্যা বিপুল সম্পত্তি পাবে তা তো হয় না। বাবার শরীর অসুস্থ। তিনি যে দীর্ঘদিন বাইরে থাকেন চিকিৎসার জন্যে থাকেন। সম্পত্তি নিয়ে কথাবার্তা বলার সময় এসে গেছে।
আমি চুপ করে আছি। দেখছি রূপাকে। মানুষ কি করে এত সুন্দর হয়!
রূপা বলল, আমি এখন যে কথাগুলি বললাম তা কি তুমি তোমার বাবা, মা, ভাইবোন–এদের বলতে পারবে?
না।
আমার ধারণা হয়েছিল পারবে। আমি এমন একজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম যে সবকিছু তুচ্ছ করে আমাকে গ্রহণ করতে পারবে। আমার চারপাশে অনেকেই ছিল। তিনজনের একটা তালিকা তৈরি করেছিলাম। তুমি ছিলে দু নম্বরে।
এক নম্বরে কে ছিল?
সফিক ছিল এক নম্বরে।
রূপা হাই তুলতে তুলতে বলল, আমি ঘুমুব। আমাকে একটু জায়গা দাও তো। সে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। ঘুমিয়ে পড়ল প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে তার পাশে বসে রইলাম। সে গভীর ঘুমে অচেতন। ঘুমের মধ্যেই হাসছে, স্বপ্ন দেখছে হয়ত।
সন্ধ্যা মিলাবার পর বেরুলাম। মুনিয়ার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। সেখান থেকে একবার যাব সফিকের কাছে। তারপর? তারপর কি আমি জানি না। একটা সাইকেল থাকলে ভাল হত। সাইকেলে করে সারা শহর চক্কর দেয়া যেত।