বৈশাখ মাসের বার তারিখ আখলাক সাহেবের বিয়ে হলো। বেশ ধুমধাম করে বিয়ে। আখলাক সাহেবের কঠিন নিষেধ সত্ত্বেও মিলি কার্ড ছাপিয়ে মহা উৎসাহে সবাইকে বিলি করল। আখলাক সাহেবের লজ্জার সীমা রইল না। তবে একটা কার্ডে তিনি হ্রিহ্রিলা ও ভোভোঁহার নাম লিখে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে টেবিলের উপর রেখে দিলেন। সকালে উঠে সেই কার্ড আর দেখলেন না।
আখলাক সাহেবের ধারণা ওরা বউ-ভাতেও এসেছিল। তের তারিখ রাতে সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে বউ-ভাত হলো। যখন সবাই খাওয়া দাওয়া করছে তখন হঠাৎ ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। সারা শহরে ইলেকট্রিসিটি আছে শুধু কমিউনিটি সেন্টারে নেই। ওদের নিজস্ব জেনারেটর আছে। অনেক চেষ্টা করেও সেই জেনারেটর চালু করা গেল না। মিনিট দশেক পর আপনা-আপনি সব বাতি জ্বলে উঠল।
তারপর অনেক দিন কেটে গেছে, আখলাক সাহেবের একটি মেয়ে হয়েছে। সেই মেয়েও বড় হয়েছে, এখন সে অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাশ থ্রিতে পড়ে। মেয়েকে আখলাক সাহেব অসম্ভব আদর করেন। মাঝে মধ্যে বিচিত্র একটা নামে তিনি মেয়েকে ডাকেন। সেই নামটা হলো–হ্রিহ্রিলা। কলেজ থেকে ফিরে মধুর গলায় ডাকবেন, আমার হ্রিহ্রিলা মা কই গো?
আখলাক সাহেবের স্ত্রী খুব রাগ কবেন। এত সুন্দর সুন্দর নাম থাকতে পরীর মতো রূপবতী মেয়েকে কেউ হ্রিহ্রিলা ডাকে? নিজের মেয়েকে আদর করার সময় ভূত মেয়ের কথাও তার মনে পড়ে যায়। সেই মেয়েকেও তার খুব আদর করতে ইচ্ছা করে।